সাকিব-তামিম দেখা হলো। ব্যাটে-বলে লড়াইও হলো। কিন্তু দুজনের মাঝে কোনো কথা হলো না। গতকাল শনিবার বিপিএলে রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশালের ম্যাচ শেষে বিজয়ী অধিনায়ক হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে আসেন তামিম ইকবাল। ফরচুন বরিশালকে তামিম ইকবাল নেতৃত্ব দিলেও সাকিব আল হাসান রংপুর রাইডার্সে খেলছেন শুধুই একজন ক্রিকেটার হিসেবে। সংবাদ সম্মেলনে দুজনের মাঝে কোনো কথা হয়েছে কি না, প্রশ্ন করতেই তামিম সরাসরি উত্তর দেন ‘না’।
পরে সাকিব প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কিছুটা বিরক্তিই প্রকাশ করে প্রশ্ন কর্তাকে থামিয়ে দিয়ে বরিশাল অধিনায়ক বলেন, ‘আমি মনে করি এটা অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন। আপনারা সবাই সবকিছু জানেন। কেন একটা জিনিস নিয়ে বারবার গুতান? ওরে (সাকিব) জিজ্ঞেস করুন, যদি কিছু জিজ্ঞেস করতে চান।’ পরে এ নিয়ে আর প্রশ্ন হয়নি।
বিপিএল শুরুর আগে ১৮ জানুয়ারি তামিম ইকবাল সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেখানেও তাকে সাকিব প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাব দিতে হয়েছিল। দুজনের দেখা হলে কথা বলা হবে কিনা- এ রকম এক প্রশ্নের জবাবে তামিম জানিয়েছিলেন, ‘যদি দেখা হয়, অবশ্যই কথাতো হবে। তখন দেখা যাক কী হয়?’ যে কারণে রংপুর ও বরিশালের ম্যাচটি শুরুর আগে থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন তামিম ও সাকিব। টস হেরে ওয়ান ডাউনে ব্যাট করতে নেমে সাকিব ৩ বল খেলে ২ রান করে আউট হয়ে যান। এ সময় দুজনের মাঝে কোনো আলাপচারিতা হতে দেখা যায়নি। পরে বাকি থেকে যায় তামিমের ব্যাটিংয়ের সময় কী হয়। কারণ তামিম যদি ক্রিজে থাকেন আর সাকিব বোলিং করতে আসেন, তাহলে অনেকটা দুজনে মুখোমুখি হয়ে যাবেন।
তখন হয়তো কথা বলার একটা সম্ভাবনা থাকবে? সাকিব যখন প্রথম বল হাতে নেন, স্ট্রাইকিং প্রান্তে ব্যাটারের নামটা তখন তামিম! মুখোমুখি প্রথম বলটায় সিঙ্গেল নেন তামিম। পরের বলে ইব্রাহিম জাদরানকে ফিরিয়ে উইকেটের স্বাদ নেন সাকিব। এর আগে তামিমও ব্যাটিংয়ে পেয়েছিলেন দারুণ শুরু। দুজনের মুখোমুখি লড়াইয়ের আবহটা তাই বেশ জমেই উঠে। মোহাম্মদ নবির করা অস্টম ওভারে তামিম আউট হয়ে ফেরার আগে সাকিবের দুই ওভার মিলে মোট ৭ বল মোকাবিলা করেন তামিম। যার পাঁচটিতে নিয়েছেন সিঙ্গেল। দুটি বল ছিল ডট। তামিম যখন নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে ছিলেন, তখন সাকিব তাকে টপকে বোলিং করেছেন। এ রকম হয়েছিল পাঁচবার। কিন্তু এত কাছাকাছি হওয়ার পরও দুজনের কেউই কথা বলার জন্য এগিয়ে আসেননি।