দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে ফাইনালে কুমিল্লার সঙ্গী হয়েছে তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন ফরচুন বরিশাল। রংপুরকে হারানোর দিনে ব্যাট হাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রংপুরকে হারানোর রাতে সংবাদ সম্মেলনে এসে এক প্রশ্নের জবাবে মুখ বন্ধ করে দিলেন সমালোচকদের। কথা বলেছেন নিজের ফিটনেস আর দেশের তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়েও।
চলমান বিপিএলে বরিশাল দল গড়েছে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের সমন্বয়ে। অভিজ্ঞরাই ব্যাটে-বলে এগিয়ে নিয়ে গেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে। এমনই এক অভিজ্ঞতার সুফল পাওয়ার প্রশ্নে মুশফিক বলেন, ‘কেন ভাই টুর্নামেন্ট শুরুর আগে তো বললেন যে, বরিশাল সবচাইতে বুড়াদের টিম। অভিজ্ঞদের নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে খেলা হয় না। তো হিয়ার উই আর।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ধারণাটা খুবই ভুল মনে হয় আমার কাছে। যেই বলুক, অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্য, সবসময় একটা মিক্সার থাকে যে কোনো ফরম্যাটে; টি-টোয়েন্টি বলেন, ওয়ানডে বলেন, টেস্ট বলেন— সব ফরম্যাটেই।’
সিনিয়র ক্রিকেটারদের ভূমিকা দেখছেন তিনি তরুণদের উত্থানের জন্য, ‘এটাই হচ্ছে দুনিয়ার নিয়ম। নতুনরা আসবে, পুরনোরা চলে যাবে এবং তাদের সংমিশ্রণে ওই জিনিসটা তৈরি হয়ে যাবে। ওই লিগেসিটা যেন আমরা যারা আছি তারা যেন রেখে যেতে পারি এবং তারা যেন এখান থেকে বড় হয়।’
তবে ফিটনেসের বেলায় মুশফিক আত্মবিশ্বাসী আর সবার চেয়ে। নিজের ফিটনেস নিয়ে বললেন, ‘আমার কাছে খারাপ লাগে। কারণ আপনি যদি এখনো অনেক তরুণ খেলোয়াড়দের আমার সামনে নেন, আমি অবশ্যই নিশ্চিত তারা আমার ফিটনেসের ধারেকাছেও থাকতে পারবে না। আমি এটা লিখে দিতে পারি। ফিটনেসের ক্রাইটেরিয়া কীভাবে দেবেন বয়স বা ধরেন পারফরম্যান্সে।’.
‘আমার কাছে মনে হয় বয়স ও পারফরম্যান্সের থেকে সবচেয়ে বড় হয় ফিটনেস বা পারফরম্যান্সটা কতটুকু। বয়স জাস্ট আ নাম্বার। না হলে জেমি অ্যান্ডারসনের মতো, যাক নম্বরটা হয়তো এদিক-ওদিক হবে; এ রকম খেলোয়াড় খুব কম থাকত। কিন্তু এখনো হি ইজ ডুয়িং হোয়াট হি ডাজ বেস্ট,’ যোগ করেন মুশফিক।