ঢাকা ২৫ ভাদ্র ১৪৩১, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সাকিবের প্রশংসায় তামিম

প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৪, ১১:১৪ এএম
সাকিবের প্রশংসায় তামিম
ছবি : সংগৃহীত

সদ্য শেষ হওয়া বিপিএলে ভিন্না মাত্রা পেয়েছে সাকিব-তামিম দ্বৈরথ। রংপুর বনাম বরিশালের প্রতিটি ম্যাচ রূপ নিয়েছিলন অঘোষিত ফাইনালে। দু দলের তিনবারের দেখায় দুবারই জয় পেয়েছে তামিমের নেতৃত্বাধীন ফরচুন বরিশাল। সবশেষে এলিমিনেটরে তামিমের কাছে গেরে বাদ পড়তে হয়েছে সাকিবের রংপুর রাইডার্সকে। মাঠে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে ৪৯২ রান করে জিতেছেন ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট ও সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের পুরস্কারও। একইসাথে প্রশংসা করেছেন জাতীয় দলের সব সতীর্থদেরও। এ তালিকা থেকে বাদ যায়নি সাকিব আল হাসানের নামও।

বরিশালের প্রথম শিরোপা জেতার দিনে সংবাদ সম্মেলনে এসে প্রশংসায় ভাসান জাতীয় দলের তামিম দলের সতীর্থদের। অধিনায়ক হিসেবে ট্রফি গ্রহণ করতে গিয়ে তামিম ডেকে আনেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। এই শিরোপা তিনি উৎসর্গ করেন তাদের। এরপর সংবাদ সম্মেলনে এসে তামিম বলেন, ‘অবশ্যই যেকোনো শিরোপা জেতা দারুণ ব্যাপার। তবে এবার একটু ভিন্ন কারণ ছিল। কারণ, আমাদের দলে এমন কয়েকজন ছিল, তরুণদের মধ্যে মিরাজ, সৌম্য বা অভিজ্ঞদের মধ্যে রিয়াদ ভাই, মুশফিক — ওরা লম্বা সময় ধরে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে। কিন্তু ওরা এই ট্রফিটা কখনো পায়নি।’

মিরাজ ও সৌম্যদের প্রশংসা করার পাশাপাশি তামিম নাম নিয়েছেন ইনজুরি থেকে ফেরা পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনেরও। আসরের মাঝপথে দলের সাথে যোগ দিয়ে ব্যাটে-বলে দারুণ পারফর্ম করেছেন তিনি। ‘আমার মনে হয় সাইফউদ্দিনের ফেরাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিশেষ করে আজ শেষ ওভারে সে অসাধারণ বোলিং করেছে। যদি ১৫ রান হয়ে যেত, তাহলে ১৭০ রানে কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন ম্যাচ হতো। আমরা তাকে নিয়ে জুয়া খেলেছি। সেটা কাজেও লেগেছে।’

সাদা পোশাকে জাতীয় দলের পরিচিত মুখ স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ঘরের মাঠে সবশেষ নিউজিল্যান্ড সিরিজে যিনি ছিলেন টেস্ট জয়ের কারিগর। বরাবরই তিনি তামিমকে নিজের বড় ভাই হিসেবে মানেন। এমনটা জানিয়েছিলেন কিউইদের হারিয়ে। সেই তাইজুলকেও প্রশংসায় ভাসালেন অধিনায়ক তামিম, ‘তাইজুলকে নিয়ে একটা কথা বলা উচিত নয়। আমরা যদি ড্রাফট থেকে তাইজুলকে দলে নিই, তখন একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি হাসছিল। সে খুব ভালো করেছে। মিরাজ, সে অসাধারণ। সে হয়তো বেশি বোলিং করেনি। কিন্তু যখন করেছে, তখন খুব ভালো করেছে।’

এছাড়াও শিরোপা জেতার পেছনে বরিশালের বিদেশি খেলোয়াড়ডের অবদানের কথাও স্মরণ করেছেন তামিম সংবাদ সম্মেলনে। ‘বিদেশিদের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাইল মায়ার্সের পারফরম্যান্সের কথা না বললেই নয়। টুর্নামেন্টের মাঝপথে বরিশালে যোগ দিয়ে খেলেছেন ৬ ম্যাচ, এর মধ্যে ফাইনালসহ ম্যাচসেরা হয়েছেন ৩ ম্যাচে। বুঝতেই পারছেন, বরিশালের শিরোপা জয়ে তাঁর ভূমিকা কতটা ছিল। তামিমই বললেন, ‘প্রত্যেকটা ম্যাচে তাঁর ইমপ্যাক্ট ছিল ব্যাট আর বলে।’

তামিমকে প্রশ্ন করা হয় পুরো টুর্নামেন্টে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স প্রসঙ্গে। তখন আলাদাভাবে তিনি কুমিল্লার তাওহিদ হৃদয় ও ঢাকার শরিফুল ইসলামের নাম নেন। প্রশংসা করেছেন সাকিব আল হাসানেরও, ‘শরিফুল খুবই ভালো বোলিং করেছে। হৃদয় তো দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেছেন। সে যখন রান করেছে, তখন দারুণ প্রভাববিস্তারী ছিল। সাকিব ভালো করেছে। ভালো শুরু হয়নি। তবে শেষের দিকে ভালো করেছে। তবে দুজনের নাম বললে হৃদয় আর শরিফুল।’

১৭ দফা দাবি নিয়ে মিরপুরে ৬৪ জেলার ক্রিকেটাররা

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০১ পিএম
১৭ দফা দাবি নিয়ে মিরপুরে ৬৪ জেলার ক্রিকেটাররা
ছবি : সংগৃহীত

নাজমুল হাসান পাপন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব ছাড়ার পর নতুন বোর্ড সভাপতি হয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ। নতুন বোর্ড সভাপতি আসার পর প্রতিদিনই মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলন হচ্ছে কেউ না কেউ।

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) মিরপুরে দাবি দাওয়া নিয়ে হাজির হয়ে আন্দোলন করেছে দেশের ৬৪ জেলার ক্রিকেটাররা। আন্দোলনে তারা নতুন বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ ও নতুন পরিচালক হওয়া নাজমুল আবেদীন ফাহিমের ছবি সম্বলিত ব্যানার নিয়ে তারা এসেছিলেন শুভেচ্ছা জানাতে। 

একাডেমি ভবনের সামনে ব্যানার নিয়ে অবস্থান করেন তারা। পরে ফুল দিয়ে পরিচালক ফাহিমকে শুভেচ্ছা জানান তারা। শুভেচ্ছা জানানোর পর ১৭ দফা দাবির কথা জানান তারা নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে। এর মধ্যে ছিল ম্যাচ ফি বৃদ্ধি করার মতো দাবি। 

উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো, ঢাকা বিভাগের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট লিগে টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি-তিন সংস্করণেরই টুর্নামেন্ট থাকতে হবে। ক্রিকেটারদের বেতন কাঠামোরও দাবি জানিয়েছেন তারা।

দাবি জানিয়েছেন তারা ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (কোয়াব) ঢেলে সাজানোরও। স্বাধীনভাবে কোয়াব যেন কাজ করতে পারে সেই নিশ্চয়তা চেয়েছেন ক্রিকেটাররা।

পরিচালক ফাহিম তাদের ১৭ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের অংশগ্রহণ নিয়ে আশাবাদী পিসিবি চেয়ারম্যান

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৩ পিএম
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের অংশগ্রহণ নিয়ে আশাবাদী পিসিবি চেয়ারম্যান
ছবি : সংগৃহীত

আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান। সব দল পাকিস্তান সফরে সম্মতি জানালেও এখনও কিছু জানায় নি ভারত। তারা রাজি না থাকায় ২০২৩ সালের এশিয়া কাপও হয়েছিল হাইব্রিড পদ্ধতিতে। তবে এবার ভারত পাকিস্তানের মাটিতে খেলতে আসবে বলে আশাবাদী পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি।

তিনি জানিয়েছেন, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিবের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছেন।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মোট অংশ নিতে যাচ্ছে ৮টি দল। সবগুলো দলের সঙ্গেই নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছেও বলে এই সাক্ষাৎকারে জানান তিনি, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দলগুলোর বোর্ডের সাথেও আমাদের যোগাযোগ চলছে।’

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খসড়া সূচিতে ভারতের সবগুলো ম্যাচের ভেন্যু হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে লাহোরকে। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বর্তমানেও চলছে আধুনিকায়নের কাজ। মাঠের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে নাকভি জানান, ‘গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের বেসমেন্টের কাজ ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হবে। প্রতিটি ফ্লোর তিন সপ্তাহের মধ্যে শেষ করা হবে। সামনের ভবনটি একটি স্টিলের কাঠামো নিয়ে নির্মিত হবে। স্টেডিয়ামের মূল ভবনের কাজ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হবে।’

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত। বাকিসব দলগুলো পাকিস্তানে যেতে রাজি হলেও ভারত এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। তাই শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে এই টুর্নামেন্ট পুরোটাই কি পাকিস্তানে হবে নাকি ২০২৩ এশিয়া কাপের মতো হাইব্রিড পদ্ধতিতে হবে।

নতুন রূপে সাজছে বিপিএল

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৫৯ পিএম
নতুন রূপে সাজছে বিপিএল
ছবি : সংগৃহীত

বেশ কয়েক দিন ধরে গুঞ্জন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের দায়িত্ব উঠতে পারে ফাহিম সিনহার কাঁধে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে বিসিবি অফিসে আসেন এই পরিচালক। এর কিছুক্ষণ পর বিসিবিতে আসেন প্রসাধনী ব্র্যান্ড হারলান ও ওরিয়ন গ্রুপের প্রতিনিধিরা। পরে জানা যায়, আসন্ন বিপিএলে দল নিতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠান দুটি বৈঠকে বসেছিলেন বিসিবি সভাপতির ফারুক আহমেদের সঙ্গে। ফারুক আহমেদ, ফাহিম সিনহা ছাড়াও ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দুই পরিচালক মাহবুব আনাম ও নাজমুল আবেদিন ফাহিম। এ ছাড়া বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন উপস্থিত ছিলেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ও বিসিবির বৈঠকে। হারলান ও ওরিয়ন গ্রুপের সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করল বিসিবি।

বিপিএল নিয়ে প্রতিবছরই নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা থাকে। নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ এসব সমস্যার সমাধান করে বিপিএলের পুরোনো জৌলুশ ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলেন। এরই অংশ হিসেবে বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক শুরু করেছেন। গত আসরে অংশ নেওয়া বিপিএলের ৭ দলের মধ্যে ৫টি আসন্ন আসরে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাকি দুই দল কুমিল্লা ও ঢাকার জন্য নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি খুঁজছে বিসিবি। মূলত এই দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির নেওয়ার জন্য সাক্ষাৎকার দিতে এসেছে হারলান ও ওরিয়ন।

বিসিবিতে সাক্ষাৎকার দিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন হারলানের নির্বাহী পরিচালক চিত্রনায়ক ইমন। তিনি জানান, তারা বিসিবির সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। তাদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে হারলান দল পাবে কি না। তবে দল পেলে ভালোভাবে চালানো হবে বলে জানান। এই প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী হিসেবে আছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। হারলানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে আছেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সাকিব কী তাহলে হারলানের নেওয়া দলের হয়ে খেলবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ইমন জানান, কোন কোন খেলোয়াড়কে দলে ভেড়ানো হবে তেমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

হারলান ও ওরিয়ন ছাড়া বিপিএলে দল কেনার লড়াইয়ে আছে মিসরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ওরাসকম কনস্ট্রাকশন। এ ছাড়া ২০১২ বিপিএলে চট্টগ্রাম কিংসের মালিকানায় থাকা এসকিউ স্পোর্টসও দল কেনার ব্যাপারে আগ্রহী।

বিপিএলের সবশেষ আসরের আগে রাজস্ব ভাগাভাগি মডেল নিয়ে তৈরি হয় নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে বিসিবি রাজস্ব ভাগাভাগিতে রাজি ছিল না। শেষ পর্যন্ত বিপিএলের রাজস্বের ভাগ পায়নি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। গুঞ্জন আছে, চলতি বছর থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে রাজস্ব ভাগাভাগি করার মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে বিসিবি। এ ছাড়া চলতি সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বিপিএলের এবারের আসরে প্লেয়ার ড্রাফট আয়োজন করা হবে। সব সিদ্ধান্ত আসবে বিসিবি ও বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর বৈঠকের পর। আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে বৈঠক শেষ করবে বিসিবি।

‘ফাইনাল’ জয়ের আনন্দ নিতে চান জামালরা

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০০ পিএম
‘ফাইনাল’ জয়ের আনন্দ নিতে চান জামালরা
ছবি : সংগৃহীত

কোনো লক্ষ্য পূরণ করতে হলে মনে তাড়না থাকতে হয়। তাহলে কাজ অনেকটা সহজ হয়ে যায়। ভুটান সফরে নিজেদের লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশের ফুটবলারদের অন্তত তাড়নার অভাব নেই। তাই তো ৮ বছর আগে যে চাংলিমিথাং স্টেডিয়াম নাড়িয়ে দিয়েছে পুরো বাংলাদেশের ফুটবলকে, সেই মাঠে ফের খেলতে নেমে জয় তুলে নিতে কষ্ট হয়নি হাভিয়ের কাবরেরার দলের।

গত বৃহস্পতিবার সফরের প্রথম প্রীতি ম্যাচে জয় পাওয়া বাংলাদেশের লক্ষ্য এবার দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচেও পূর্ণ তিন পয়েন্ট তুলে নেওয়া। দল এতটাই উদগ্রীব যে, অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া প্রীতি ম্যাচটিকেও ফাইনাল হিসেবে ঘোষণা দিতে দ্বিতীয়বার ভাবছেন না।

থিম্পুর চাংলিমিথাংয়ে আজ রবিবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবেন জামাল-তপুরা। প্রথম প্রীতি ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছিল হাভিয়ের কাবরেরার দল। এই ম্যাচে বাংলাদেশের লক্ষ্য আরও ভালো ফল করা। গতকাল অনুশীলনের ফাঁকে জামাল তো এভাবেই বলেছেন, ‘আমরা আমাদের মিশনের ৫০ শতাংশ শেষ করতে পেরেছি। এখন আরও ৫০ শতাংশ বাকি আছে। আগামীকাল (আজ) দলের জন্য ফাইনাল। কারণ আমরা প্রথম জিতেছি এবং আরও তিন পয়েন্ট নিতে চাই। তাই লক্ষ্য তিন পয়েন্ট। সেটা করতে পারলে বাংলাদেশে আমরা খুশি মনে ফিরতে পারব।’

এই মুহূর্তে র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের (১৮৪তম) থেকে দুই ধাপ এগিয়ে থাকা দল ভুটান (১৮২)। তবে শক্তিতে তারা যে বাংলাদেশ থেকে এগিয়ে, এটা বলার উপায় নেই। পরিসংখ্যানই আসলে বলে দেয় দুই দলের ব্যবধান। এখন পর্যন্ত ১৫ মুখোমুখি লড়াইয়ে বাংলাদেশের জয় ১২টিতেই। দুটি ম্যাচ ড্র হয়েছে, ভুটান জিতেছে মাত্র একটি। ভুটানের সেই একটি জয়ই বাংলাদেশের ফুটবলে অন্ধকার নামিয়ে দিয়েছিল। ২০১৬ সালে এশিয়ান কাপের প্লে অব ম্যাচটি হারার পর প্রায় ২ বছর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ। তীব্র হতাশায় ডুবে ছিল লাল-সবুজের ফুটবল।

পরে সেই হতাশা থেকে ধীরে ধীরে বের হয়েছে দল। সেই হারের পর চলতি সফরের প্রথম প্রীতি ম্যাচটি দিয়ে ভুটানের বিপক্ষে আরও পাঁচবার খেলল বাংলাদেশ। জিতেছে সবগুলোতেই। আজকেও তাই ফলাফল ভিন্ন কিছু হলে সেটা হবে বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য চরম ব্যর্থতা।

তুলনায় সমশক্তির বা কিছুটা পিছিয়ে থাকা দল হওয়ার পরও সেপ্টেম্বরের ফিফা উইন্ডোতে প্রীতি ম্যাচ খেলতে ভুটানকেই প্রতিপক্ষ হিসেবে বেছে নেয় বাংলাদেশ। এর বড় কারণ, দুটি ম্যাচেই যেন জয় আসে। সেটা হলে র্যাঙ্কিংয়ে আগানো যাবে। যার পুরস্কার হিসেবে এশিয়ান কাপের গ্রুপ পর্বের তুলনায় কিছুটা সহজ গ্রুপে পরার সম্ভাবনা বাড়বে।

বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ ও সাবেক অধিনায়ক হাসান আল মামুন গতকালও বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়েছেন। ‘আপনারা জানেন এখানে আমরা এসেছি মূলত ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতির জন্য। আমরা যেহেতু আগে বড় বড় দলের বিপক্ষে খেলেছি, এখন আমাদের থেকে যারা একটু ছোট বা সমশক্তির, তাদের সঙ্গে আমরা জিততে চাই। আমাদের দল মানসিকভাবে সেভাবেই তৈরি হচ্ছে’- বলেন মামুন।

তবে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতার দেশ হওয়ায় ভুটানে খেলাটা বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেই সঙ্গে থিম্পুতে খেলা হয় টার্ফে। এটাতেও অভ্যস্ত নয় বাংলাদেশের ফুটবলাররা। মামুন এই চ্যালেঞ্জগুলোর কথা উল্লেখ করে বলছেন, ‘আমরা অনেকটা মানিয়ে নিয়েছি। আশাকরি কালকে (আজ) একটা বেটার ম্যাচ খেলবে দল। প্রথম ম্যাচে ছোটখাটো যে সমস্যাগুলো ছিল, সেই সমস্যাগুলো এই ম্যাচে কাটিয়ে বিজয়ী হয়ে ফিরব ইনশাআল্লাহ।’ 

প্রথম ম্যাচে চোট পাওয়া ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেনকে যে এ ম্যাচে পাওয়া যাবে না, তা আগেই আঁচ করা গিয়েছিল। গতকাল মামুন নিশ্চিত করেছেন, রাকিব আজ খেলছেন না। তবে স্বস্তির কথাও শুনিয়েছেন তিনি, ‘ইনজুরিটা এত ব্যাপক না যে তাকে লম্বা সময়ের জন্য বসিয়ে রাখবে। আশাকরি খুব দ্রুতই সে দলের সঙ্গে ফিরবে।’

কামিন্দু-ধনাঞ্জয়ার জুটিতে শ্রীলঙ্কার প্রতিরোধ

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৪ পিএম
কামিন্দু-ধনাঞ্জয়ার জুটিতে শ্রীলঙ্কার প্রতিরোধ
ছবি : সংগৃহীত

জমে উঠেছে ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কার ওভাল টেস্ট। বড় স্কোরের সম্ভাবনা জাগিয়েও ৩২৫ রানেই থেমে গেছে ইংল্যান্ড। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ৯৩ রানে ৫ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। এরপর দারুণ এক জুটি গড়ে কামিন্দু মেন্ডিস ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। তাদের অবিচ্ছিন্ন ১১৮ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে শ্রীলঙ্কা। সফরকারীরা পিছিয়ে আছে ১১৪ রানে।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) লন্ডনের দ্য ওভালে সিরিজের তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় উইকেটে পেসারদের জন্য বেস সুবিধা ছিল। আলোকস্বল্পতায় খেলা নির্ধারিত সময়ের আগে শেষ হয়ে যায়। পর্যাপ্ত আলোর অভাবে পেসারদের বোলিংয়ের সুযোগ না থাকায় ওকসের একটি ওভারের শেষ পর্যায়ের চারটি বল স্পিন করতে হয় তাকে। সেই চার বলের মধ্যে একটি বাউন্ডারি হজম করেছেন তিনি।

শ্রীলঙ্কা ৯৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়লে হাল ধরেন অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস। দুইজনই পেয়েছেন ফিফটির দেখা।

এই দুই ব্যাটারের জুটিতে চাপ সামাল দিয়ে দ্বিতীয় দিনে প্রথম ইনিংসে লঙ্কানদের সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ২১১ রান। ধনাঞ্জয়া ৬৪ আর কামিন্দু ৫৪ রানে আপরাজিত।