ঢাকা ১৭ কার্তিক ১৪৩১, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ১৬০০ মিটার দৌঁড়ালেন ক্রিকেটাররা

প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৪ পিএম
আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৮ পিএম
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ১৬০০ মিটার দৌঁড়ালেন ক্রিকেটাররা
ছবি : সংগৃহীত

চিরচেনা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বহু বছর পর ফিরল বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এই মাঠেই ভারতের বিপক্ষে ২০০০ সালে নিজেদের প্রথম টেস্ট খেলেছিল টাইগাররা। এই মাঠে এখন আর ক্রিকেটের নেই। ২০০৬ সাল থেকে এই মাঠ ব্যবহৃত হচ্ছে ফুটবলের জন্য। সেই মাঠে অনেকদিন পর তাই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ৩৪ সদস্য বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ফিরেছে অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে ব্যতিক্রমী রানিং করতে।

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ট্র্যাকে দৌঁড়ানো ৩৪ জন ক্রিকেটার ১৬০০ মিটার দৌঁড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। ৩৪ জনকে দুই দলে ভাগ করে আয়োজিত হয়ে এই প্রতিযোগিতা। প্রথম ভাগে ১৭ জনের মধ্যে প্রথম হন পেসার তানজিম হাসান সাকিব। এই ভাগে দ্বিতীয় হন টেস্ট দলের নিয়মিত মুখ মাহমুদুল হাসান জয়। তৃতীয় স্থান লাভ করেন মুমিনুল হক।

দ্বিতীয় বহরে প্রথমস্থান লাভ করেন সদ্যই জাতীয় দলে অভিষেক হওয়া তরুণ পেসার নাহিদ রানা। দ্বিতীয় হন স্পিনার হাসান মুরাদ আর তৃতীয় হয়েছেন আরেক তরুণ পেসার মুশফিক হাসান।

বর্তমানে জাতীয় দলের সদস্যদের মধ্যে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম খেলেছেন এই মাঠে। ২০০৪ সালে এই মাঠে একটি কর্পোরেত টি-টোয়েন্টি লিগ খেলেছিলেন তিনি। আর মুশফিকুর রহিম ২০০৪ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ বয়সভিত্তিক ক্রিকেট আসরে বিকেএসপির হয়ে এ মাঠে খেলেছেন।

বিসিবি ক্রিকেট অপারেশন্স ম্যানেজার ও জাতীয় দলের সাবেক টপ অর্ডার ব্যাটার শাহরিয়ার নাফীস মনে করেন, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম দেশের সকল ক্রীড়াবিদের কাছে সবসময়ই একটা অন্যরকম ভেন্যু। ক্রিকেটারদের যারা রানিং টেস্ট দিতে আজ ভোরে এ মাঠে এসেছেন, সবাই এক অন্যরকম পুলক অনুভব করছেন।

২৮ রানের লিড নিয়ে অলআউট ভারত

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৬ পিএম
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৭ পিএম
২৮ রানের লিড নিয়ে অলআউট ভারত
ছবি : সংগৃহীত

৮৬ রানে ৪ উইকেট হারানো ভারত দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ভালোই করেছিল। কিন্তু সেই ভালোটা ধরে রাখতে না পারায় অলআউট হতে হয়েছে ২৬৩ রানে। ফলে ২৮ রানের বেশি লিড নিতে পারেনি ভারত।

প্রথম দিন শেষ বিকালে ৮ বলের ঝড়ে ৩ উইকেট হারিয়ে ৮৪ রানে ৪ উইকেটের দলে পরিণত হয় ভারত। সেই বিপর্যয় সামলেছে দ্বিতীয় দিনে শুভমান গিল ও ঋষভ পন্তের ৯৬ রানের জুটি। ইশ সোধির বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে পন্ত ৬০ রান করে আউট হলে ভেঙে যায় জুটি। ১৮০ রানে ভারত হারায় নিজেদের পঞ্চম উইকেট। 

গিলের সঙ্গে জাদেজা মাঠে অবস্থান করে দুশো রান পারলেও ১ রানের ব্যবধানে জাদেজা ও সরফরাজের উইকেট হারিয়ে ২০৪ রানে ৭ উইকেটে পরিণত হয় ৭ উইকেটে।

ফিলিপসের বলে মিচেলকে ক্যাচ দিয়ে জাদেজা আউট হন ১৪ রানে আর সরফরাজ পারেননি রানের খাতাই খুলতে। আজাজ প্যাটেলের বলে টম ব্লুন্ডেলকে ক্যাচ দেন তিনি।

একপ্রান্ত আগলে রাখা শুভমান গিল শতকের কাছাকাছি গিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৯০ রান করা গিলও আউট হন প্যাটেলের বলে মিচেলকে ক্যাচ দিয়ে। তখনও ভারত স্পর্শ করতে পারেনি নিউজিল্যান্ডের স্কোর। তার আগেই ৮ উইকেটের পতন ঘটে ২২৭ রানে। 

স্রোতের বিপরীতে ৪টি চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ৩৬ বলে ৩৮ রান করে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন ওয়াশিংটন সুন্দর। মাঝে অশ্বিনকেও প্যাটেল সাজঘরে ফিরিয়ে দেন ব্যক্তিগত ৬ রানে সেই মিচেলের ক্যাচ বানিয়ে। ২৪৭ রানে ৯ উইকেট হারানো ভারত আর বেশিদূর এগোতে পারেনি আকাশ দীপ কোনো বল মোকাবেলা না করেই রানআউট হলে। ফলে ২৮ রানের লিড নিয়ে ২৬৩ রানে অলআউট হয় ভারত।

আজাজ প্যাটেল ৫ উইকেট শিকার করেন। ১টি করে উইকেট পান মাট হেনরি, গ্লেন ফিলিপস ও ইশ সোধি।

সাফজয়ীদের সমস্যাগুলো লিখিত আকারে চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৮ পিএম
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২০ পিএম
সাফজয়ীদের সমস্যাগুলো লিখিত আকারে চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
ছবি : সংগৃহীত

সাফজয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ যমুনায় এই সংবর্ধনা দেওয়া হয় সারফ চ্যাম্পিয়নদের। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফুটবলারদের সোহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। 

শনিবার (২ নভেম্বর) যমুনায় সকাল ১১টায় নারী দলের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে ফুটবলারদের সকল কথা মনযোগ সহকারে শোনেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান। 

ফুটবলাররা আবাসন-অনুশীলনে সমস্যা, বেতন কাঠামো পরিবর্তনসহ নানা বিষয় তুলে ধরেন। সবার সমস্যার কথা শুনে লিখিত আকারে দেওয়ার পরামর্শ দেন ড. ইউনূস। ফুটবলাররাও যত দ্রুত সম্ভব তা পৌঁছে দেওয়ার কথা জানান।

এ ব্যাপারে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা খুব ধৈর্য সহকারে নারী ফুটবলারদের কথা শুনেছেন। বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনেছেন এবং সেগুলো লিখিতভাবে দেওয়ার জন্য বলেছেন। সেগুলো আমরা লিখিত পেলে খুব দ্রুত ব্যবস্থা যাতে নিতে পারি। নারী ফুটবলারদের সমস্যার বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।’

সাফজয়ী নারী দলের সকল সদস্যরা নিজেদের অটোগ্রাফ সংবলিত অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের জার্সি ও ফুটবল প্রধান উপদেষ্টাকে উপহার দিয়েছেন। সেটি নিশিচত করে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘নারী ফুটবলাররা প্রত্যেকের সাইন করা জার্সি এবং ফুটবল প্রধান উপদেষ্টাকে উপহার দিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টাসহ আমরা সবাই নারী ফুটবলারদের সঙ্গে সকালের নাস্তা করেছি।’

প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে কোচিং স্টাফের মধ্যে শুধু হেড কোচ পিটার বাটলার ও কর্মকর্তাদের মধ্যে ম্যানেজার মাহমুদা আক্তার গিয়েছেন। 

প্রধান উপদেষ্টার সংবর্ধনা পেলেন সাবিনারা

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৩ পিএম
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৬ পিএম
প্রধান উপদেষ্টার সংবর্ধনা পেলেন সাবিনারা
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাফজয়ী নারী ফুটবলাররা।

নেপালকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সেই সাফজয়ী নারীদের সংবর্ধনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

শনিবার (২ নভেম্বর) সকাল ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সংবর্ধনার দেওয়া হয়।

সংবর্ধনা নিতে সকাল ১০টায় যমুনায় প্রবেশ করেন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে দেশে ফেরা নারী দলের সদস্যরা। দুইদিন আগে (বৃহস্পতিবার) দেশে ফিরলেও তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে আজ। 

যমুনায় সাফজয়ী নারী দলের পক্ষ থেকে সকল খেলোয়াড়ের অটোগ্রাফ সংবলিত অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের একটি জার্সি উপহার দেওয়া হয় প্রধান উপদেষ্টাকে। পরে নারী দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন সারেন প্রধান উপদেষ্টা। উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও। 

এই সংবর্ধনায় খেলোয়াড় ছাড়াও যোগ দেন প্রধান কোচ পিটার বাটলার ও ম্যানেজার মাহমুদা অনন্যা। তবে আসেননি কোনো বাফুফে কর্তা।

এর আগে, দেশে ফেরার পর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছাদখোলা বাসে সংবর্ধনা দিয়ে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় মতিঝিলের বাফুফে ভবনে। সেখানে তাদের বরণ করে নেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। 

বাফুফে ভবনে সাবিনাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়ার পর যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা তাদের হাতে ১ কোটি টাকা পুরস্কারের ডামি চেক তুলে দেন।

মাঠে ফিরছেন ইবাদত

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৫ পিএম
মাঠে ফিরছেন ইবাদত
ছবি : সংগৃহীত

১৪ মাসের বিরতি শেষে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরছেন বাংলাদেশের পেসার ইবাদত হোসেন। চলমান জাতীয় ক্রিকেট লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সিলেট বিভাগের হয়ে মাঠে ফিরছেন তিনি। 

ক্রিকেটভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজকে ইবাদতের ইনজুরির উন্নতির খবরটি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এক কর্মকর্তা।

২০২৩ সালের জুলাইয়ে ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ চলাকালীন এসিএল ইনজুরিতে পড়ে খেলা হয়নি ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপেও। 

সিলেট বিভাগকে প্রতিনিধিত্ব করা ইবাদত চলমান জাতীয় ক্রিকেট লিগে খুলনা বিভাগের বিপক্ষে চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচ দিয়ে মাঠে নামবে নভেম্বরের ৯ তারিখ। 

বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী ক্রিকবাজকে জানিয়েছেন, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী এনসিলের চতুর্থ রাউন্ডে তার মাঠে নামার কথা। আমরাও দেখতে চাই প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে খেলার পর সে কেমন বোধ করে।

তিনি আরও বলন, ‘এটি তার পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার অংশ, সেখানে কিছু বিধিনিষেধও থাকবে (তার বোলিং নিয়ে)।
‘ইবাদতকে তার ছন্দ ফিরে পেতে হবে এবং এটি ফিরে পাওয়ার একমাত্র উপায় ম্যাচে বোলিং করে আর আমরাও সেদিকে নজর রাখছি এই মুহূর্তে। তিনি বোলিং করে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তবে সবকিছু ঠিক আছে কিন্তু যদি সেটি না হয় তাহলে তার কিছু সময় পাবে তা থেকে সেরে উঠতে এবং সেই জায়গাগুলো নিয়ে কাজ করতে পারবে যেগুলোতে উন্নতি প্রয়োজন’ – যোগ করেন দেবাশীষ।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল ইবাদতকে দলে ভিড়িয়েছে আগামী মৌসুমের জন্য। ডিসেম্বরের ৩০ তারিখ শুরু হতে যাচ্ছে এবারের বিপিএল।

সম্প্রতি ভারত সফরে দলের সঙ্গে ছিলেন ইবাদতও। টিম ম্যানজমেন্টের কাছাকাছি অবস্থান করে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার জন্য। 

ইউনাইটেড বিশ্বকাপ নিয়ে কৌশলী মেসি

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১০ পিএম
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২১ পিএম
ইউনাইটেড বিশ্বকাপ নিয়ে কৌশলী মেসি
ছবি : সংগৃহীত

কাতারে পরম আরাধ্যের বিশ্বকাপ জিতেছেন দুই বছর আগে। এরপর পিএসজি অধ্যায় শেষ করে ইন্টার মায়ামিতে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন লিওনেল মেসি। সামনের ইউনাইটেড বিশ্বকাপ আসতে আরও বছর দুয়েক বাকি। ফুটবলের যে বৈশ্বিক আসর বসবে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায়। 

সময়ের হিসেবে সামনের বিশ্বকাপ বেশ দূরে থাকলেও একটি প্রশ্নের সামনে বারবার মুখোমুখি হন লিওনেল মেসি। আর তা হলো, সামনের বিশ্বকাপে দেখা যাবে তো মেসিকে? বরাবর একটাই উত্তর দেন আর্জেন্টিনার এই বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক, ‘সময়টাকে উপভোগ করছি এখন, সামনের বিশ্বকাপ নিয়ে আপাতত ভাবছি না।’

সম্প্রতি ফুটবল বিশ্বের পরিচিত মুখ সাংবাদিক ফাব্রিসিও রোমানোর সঙ্গে ‘দা ৪৩৩ অ্যাপ’ ও অ্যাপল টিভির জন্য এক সাক্ষাৎকারে মেসি একটু বিস্তারিতই বলেছেন সামনের বিশ্বকাপ নিয়ে। যেখানে অনেকটা কৌশলী ছিলেন ফুটবলের এই জাদুকর। যার সারমর্ম, ধাপে ধাপে এগোতে চান তিনি। তবে তিনি এও বলেছেন, সামনের বিশ্বকাপ তিনি খেলতে পারবেন কি না, তা তিনি জানেন না। 

মেসি বলেছেন, ‘আমি সত্যিই জানি না (২০২৬ বিশ্বকাপে খেলব কি না)। আমাকে অনেক প্রশ্ন করা হয় এটা নিয়ে, বিশেষ করে আর্জেন্টিনায়। আপাতত আমার চাওয়া বছরটা ভালোভাবে শেষ করা। এরপর ভালো একটা প্রাক-মৌসুম কাটিয়ে নতুন বছর শুরু করা।’

চোটের কারণে ইন্টার মায়ামিতে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে ছিলেন মেসি। খেলতে পারেননি আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের কয়েকটি ম্যাচও। ভবিষ্যৎ নিয়ে আগাম কিছু বলা কঠিন। মেসি ভালো করে জানেন তা। সে কারণেই সব কিছু সময়ের হাতেই ছেড়ে দিচ্ছেন তিনি। 

মেসি বলেন, ‘নতুন মৌসুমে আমি দেখব, কেমন করছি এবং কেমন লাগছে। আমরা কাছাকাছি আছি, তবে পাশাপাশি এটাও সত্যি, অনেক সময় এখনো বাকি এবং ফুটবলে যেকোনো কিছুই হতে পারে। আপাতত বেশি দূরে না তাকিয়ে প্রতিটি দিনে থাকতে চাই।’

যেকোন টুর্নামেন্টে সম্ভাব্য শিরোপাজয়ী দলের অধিনায়ক যেমনটি বলেন, ধাপে ধাপে এগোতে চাই। মেসিও তেমনটি চাচ্ছেন। মোদ্দা কথা, ততদিন পর্যন্ত (বিশ্বকাপ) ফিটনেস ও ছন্দ যদি ঠিকঠাক থাকে, তাহলে মেসি সগৌরবে হাজির হবেন। আগাম কোনো কিছু বলা থেকে তাই বিরত থাকছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার। 

মেসির ভাবনা এখন ইন্টার মায়ামিকে ঘিরেই, ‘এই সময়, পারিপার্শ্বিকতা ও বয়সের কারণে খেলার ধরন বদলেছি আমি। সবকিছুতে একটু করে মানিয়ে নিচ্ছি। নিজেকে পুনরাবিষ্কার করছি আমি এবং এই লিগে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি, আমার জন্য যা নতুন। তবে শুরু থেকেই এখানে খুব স্বস্তি অনুভব করেছি।’

মেসি আসার আগে মেজর লিগ সকারে তলানির দল ছিল ইন্টার মায়ামি। তবে খুদে এই জাদুকরের ছোঁয়ায় বদলে গেছে অনেক কিছু। মেসি জাদুতে দলটি জিতেছে লিগস কাপ। এই মৌসুমে মেজর লিগ সকারে পয়েন্টের রেকর্ড গড়ে তারা জিতেছে সাপোর্টার্স শিল্ডও। এখন প্লেঅফে খেলছে তারা এমএলএস কাপের জন্য।

এমএলএস কাপ জিততেই এখন মরিয়া ৩৭ বছর বয়সী এই ফুটবলার। তিনি বলেন, ‘একটা ক্লাব গড়ে তুলতে শিরোপার প্রয়োজন পড়ে। বাজে একটা বছর (২০২৩) কাটিয়ে এসেছে এই ক্লাব এবং আমি আসার কিছুদিন পর লিগস কাপ জিতেছি আমরা, ক্লাবের প্রথম ট্রফি সেটি। আমাদের জন্য এটা ছিল অসাধারণ এবং এখন আমরা মুখিয়ে আছি এই প্লেঅফ ম্য্যাচগুলো খেলতে এবং এমএলএস কাপ জিততে। ব্যক্তিগতভাবে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, ক্লাবের জন্য জিততে চাই।’