এফএ কাপের ফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করে নিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ফাইনালে পৌঁছানো যতটা সহজ মনে হচ্ছে মূলত ততটা সহজ ছিল না ম্যানইউর জন্য। ৭০ মিনিট পর্যন্ত ৩-০ গোলে এগিয়ে থাকার পরও শেষ ২০ মিনিটের নাটকীয়তায় তিন গোলই পরিশোধ করে দেয় কভেন্ট্রি। অনিশ্চতায় ফেলে দেয় ম্যানইউর ফাইনাল ভাগ্য।
ম্যানইউর জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়া সেই ম্যাচ ড্র হয়ে যাওয়ার পর তা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে দারুণভাবে ফিরে এসে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে জিতে এফএ কাপের ফাইনালে জায়গা করে নেয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
স্কট ম্যাকটমিনের গোলে প্রথমার্ধের ২৩ মিনিটে ম্যানইউ এগিয়ে যায়। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে হ্যারি ম্যাগুইরের দুর্দান্ত হেডে ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় তারা। বিরতির থেকে আরেকবার গোলের দেখা পেয়ে যায় তারা। ব্রুনো ফের্নান্দেসের গোল করেন ৫৮ মিনিটে। ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়া ইউনাইটেডের জয় তখন সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল।
কিন্তু সেখান থেকেই অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন কভেন্ট্রির। এলিস সিমসের গোলে ৭১ মিনিটে দলটি ব্যবধান কমায়। এর ঠিক ৮ মিনিট পর ম্যানইউ ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে ক্যালাম ও’হারের শট খুঁজে নেয় জাল। ইনজুরি টাইমের পঞ্চম মিনিটে পেনাল্টি থেকে হাজি রাইটের গোল ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নেয়।
সেখানে ত্রিশ মিনিট খেলেও দুই দলের কেউই পায়নি গোলের দেখা। কভেন্ট্রি একটি গোল করলেও ভাগ্যের কাছে তারা হেরে যায়। অফসাইডে বাতিল হয় তাদের সেই গোলটি।
এরপর টাইব্রেকারের খেলা গড়ালে সেখানে শুরুতেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে প্রথম পেনাল্টি নিতে আসা ক্যাসিমিরোর শট ঠেকিয়ে দেন কভেন্ট্রির গোলরক্ষক। যদিও আরকোনো ভুল করেননি ইউনাইটেডের খেলোয়াড়রা। সবকটি পেনাল্টি থেকে গোল করে ইউনাইটেড।
ওনানা ও’হারার পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন দেন আর বেন শেফ মারেন বাইরে। ফলে ৪-২ গোলে শুট আউট জিতে টানা দ্বিতীয়বারের মতো এফএ কাপের ফাইনাল নিশ্চিত হয় ম্যানইউর।
২৫ মে এফএ কাপের ফাইনালে আরেকটি ম্যানচেস্টার ডার্বি ফাইনাল দেখার অপেক্ষায় থাকবে বিশ্ব।