ঢাকা ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫
English

টেনিসে প্রথম হোয়াইট ব্যাজধারী বাংলাদেশি নারী রেফারি মাসফিয়া আফরিন

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪০ পিএম
আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৬ পিএম
টেনিসে প্রথম হোয়াইট ব্যাজধারী বাংলাদেশি নারী রেফারি মাসফিয়া আফরিন
ছবি : সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক টেনিসের হোয়াইট ব্যাজধারী প্রথম বাংলাদেশি নারী রেফারি হয়ে ইতিহাস গড়লেন মাসফিয়া আফরিন। হোয়াইট ব্যাজধারী রেফারি হয়ে তিনি যোগ্যতা অর্জন করলেন আন্তর্জাতিক টেনিসের গ্র্যান্ড স্লাম ম্যাচ পরিচালনার।

আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশনের ও মালয়েশিয়া টেনিস এসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনায় মালয়েশিয়ার কোয়ালালামপুরে ২৪ এপ্রিল থেকে ‘আইটিএফ হুয়াইট ব্যাজ স্কুল’ অনুষ্ঠিত হয়। হুয়াইট ব্যাজ স্কুলে উত্তীর্ণ হয়ে ১৮ বছর বয়সী বাংলাদেশের মাসফিয়া আফরিন অংশগ্রহণ করে এবং কৃতিত্বের সঙ্গে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে অর্জন করেছেন ‘হোয়াইট ব্যাজ রেফারি’ স্বীকৃতি।বাংলাদেশের মাসফিয়া ছাড়াও অফিসিয়েটিং স্কুলে মালয়েশিয়া, ইরাক, ইরান, লেবানন, উজবেকিস্তান, ভারত, জাপান, ভিয়েতনাম, কাজাখস্তান, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও চীন হতে হতে ১৬ জন অফিসিয়াল অংশগ্রহণ করে।

এই পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার পূর্বে আইটিএফ এর ‘প্রজেক্ট : অফিসিয়েটিং পাথওয়ে’ এর আওতায় অফিসিয়েটিং এর বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য ভারতের কোলকাতা ও দিল্লীতে দুটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সহকারী রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়েছিলেন মাসফিয়া।

উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে বাংলাদেশের সারোয়ার মোস্তফা জয় ২০০০ সালে ‘আইটিএফ হুয়াইট ব্যাজ চেয়ার আম্পায়ার’ এর স্বীকৃতি পেয়েছিলেন।

টি-টোয়েন্টির বিব্রতকর রেকর্ড সবাইকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৫:৪৯ পিএম
টি-টোয়েন্টির বিব্রতকর রেকর্ড সবাইকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশ
ছবি : সংগৃহীত

পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে ভরাডুবির মধ্য দিয়ে বিব্রতকর রেকর্ডে সবার ওপরে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ দল। ১৮৮ ম্যাচে ১১২ হার নিয়ে বিব্রতকর এই রেকর্ডে সবার শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। 

পাকিস্তান সফরে তিন ম্যাচে ধবলধোলাই হওয়ার পরই এই অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কাকে পেছনে ফেলে দেয় টাইগাররা।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১১০ ম্যাচে পরাজিত হয়েছে ২১৬ ম্যাচ খেলে। তাদের চেয়ে ১ ম্যাচ কম তথা ১০৯ ম্যাচে হেরেছে শ্রীলঙ্কা। 

তালিকায় পরের দুই দল পাকিস্তান ও জিম্বাবুয়ে। এশিয়ার দলটি হেরেছে ১০৫ ম্যাচ আর আফ্রিকান দলটি ১০৩ ম্যাচ।

২০২৪ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র সফরে ১০০তম হার আসে বাংলাদেশের। এরপর আরও ১৩টি হার যোগ হয়েছে, জিতেছে মাত্র ২টি ম্যাচ।

বিশ্বকাপে জয়হীন থাকার পাশাপাশি সিরিজ হাতছাড়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, আমিরাত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। সবশেষ সিরিজ জয় ছিল ২০২৪ সালে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানে।

নতুন চ্যাম্পিয়ন পেতে যাচ্ছে আইপিএল

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৪:৩১ পিএম
নতুন চ্যাম্পিয়ন পেতে যাচ্ছে আইপিএল
ছবি : সংগৃহীত

এলিমিনেটরে গুজরাট টাইটান্সকে বিদায় করে কোয়ালিফায়ার দুইয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মুখোমুখি হয় পাঞ্জাব কিংস। আইপিএলের সবচেয়ে সফল দলের সামনে পড়েও চাপহীন ক্রিকেট খেলে ২০৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ১১ বছর পর ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে পাঞ্জাব।

ফাইনালে পাঞ্জাবের প্রতিপক্ষ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। দুদলের কেউই আগে আইপিএলের শিরোপা জেতেনি। পাঞ্জাব ফাইনাল নিশ্চিত করার সঙ্গেই সঙ্গেই নিশ্চিত হয়ে গেছে যে এবার আইপিএল পাচ্ছে নতুন চ্যাম্পিয়ন।

চ্যাম্পিয়ন না হলেও ফাইনাল খেলার স্বাদ রয়েছে দুই দলেরই। বেঙ্গালুরুর ফাইনাল খেলেছে তিনবার আর পাঞ্জাব একবার।

আইপিএলের দ্বিতীয় আসরে ২০০৯ সালে ডেকান চার্জার্সের কাছে ৬ রানে হেরে যায় বেঙ্গালুরুর। ২০১১ সালে ফের ফাইনালে জায়গা করে নিলেও চেন্নাইয়ের কাছে পরাজিত হয় ৫৭ রানে। সবশেষ ২০১৬ সালে সানরাইজার্সা হায়দরাবাদের বিপক্ষে পরাজয়ের স্বাদ পায় ৮ রানের ব্যবধানে। দীর্ঘ ৯ বছরের বিরতি শেষে ফাইনালে আবারও উত্তীর্ণ হলো ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

অন্যদিকে, বেঙ্গালুরুর চেয়েও বেশি সময় পর তথা দীর্ঘ ১১ বছর পর ফাইনালে উঠেছে পাঞ্জাব। ২০১৪ সালে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব নামে খেলার সময়ই প্রথমবার ফাইনালে ওঠে তারা। সেবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে  ৩ উইকেটের ব্যবধানে হেরে অধরা থেকে যায় শিরোপা স্বপ্ন। 

পরিবর্তিত নামে (পাঞ্জাব কিংস) এবারই প্রথম ফাইনালে উঠলো তারা। এবার কী তারা পারবে চ্যাম্পিয়ন হতে। যে দলই জিতবে তারাই পাবে প্রথম শিরোপার স্বাদ। তবে সেটি জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও একদিন।

পুরো সিরিজে যাদের মিস করলেন সিমন্স

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৩:১৫ পিএম
পুরো সিরিজে যাদের মিস করলেন সিমন্স
ছবি : ফাইল

পাকিস্তানের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভরাডুবি হয়েছে বাংলাদেশ দলের। তিন ম্যাচের সবকটিতেই হেরে ধবলধোলাই হয়েছে লিটন দাসরা। সিরিজের শেষ ম্যাচে গতরাতে (২ জুন) ভালো ব্যাটিং করে ১৯৬ রানের সংগ্রহ দাঁড় করানোর পরও হারতে হয়েছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে।

এমন শোচনীয় সিরিজ পরাজয় ও ধবলধোলাইয়ের পর জাতীয় দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স মিস করেছেন দুই বোলারকে। তারা হলেন – মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সিমন্স বলেন, ‘আমার মনে হয় যেকোনো দলই মোস্তাফিজকে মিস করবে। তার স্কিল এমন উইকেটে, তাকে তো মিস করতেই হবে। নাহিদ কিছুটা তরুণ। মাত্রই এসেছে টি-টোয়েন্টিতে, অত অভিজ্ঞ নয়। তবে ফিজ, তাসকিনদের অবশ্যই মিস করবেন। দ্বিতীয় ম্যাচে মেইন বোলারদের একজন শরিফুলও চোটে পড়লো। ফলে কঠিন ছিল।’

হতাশা প্রকাশ করেছেন সিরিজ হার নিয়েও, ‘আসলে যেকোনো সিরিজে হারাটাই হতাশার। আমরা যেখানে আছি, চেষ্টা করছি নতুন কিছু তৈরি করতে। কিছু ব্যাপার চেঞ্জ করতে। তরুণ কিছু ক্রিকেটাররাও আছে। ফলে হতাশাটা আছেই। তবে এতটাও বেশি না যতটা সেটেলড টিম নিয়ে হারলে হতাম।’

এই সিরিজে ভালো করতে পারেননি রিশাদও। তাকে নিয়ে প্রধান কোচ ফিল সিমন্স বলেন, ‘রিশাদের সেরা সিরিজ যায়নি, আমরা জানি, সেও এটা জানে। আমরা তার কাছে আরও বেশি প্রত্যাশা করি। তবে বোলারদের সিরিজ খারাপ যেতেই পারে। তার একটি খারাপ সিরিজ গিয়েছে। সে কাজ চালিয়ে যাবে এবং শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য প্রস্তুত হবে।’

প্যারিসের আকাশে রুপালি জ্যোৎস্না

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০২:৩০ পিএম
প্যারিসের আকাশে রুপালি জ্যোৎস্না
ছবি : সংগৃহীত

মিউনিখের আকাশে আলো ছড়াচ্ছে আইফেল টাওয়ারের পাঁচটি ঝলমলে আলোকচ্ছটা। আনন্দ উৎসবে উন্মাতাল একদল তরুণ। ইউরোপ-সেরার আসরে এতটা দাপট নিয়ে এর আগে কেউ চূড়ায় উঠেছে কি না, তা নিয়ে গবেষণা হতে পারে। তবে পিএসজির এই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিয়েছে নিজ মহিমা আর অনন্য গৌরবে।

১৪ বছর আগে কাতার স্পোর্টস ইনভেস্টমেন্ট যখন পিএসজি ক্লাবটি কিনে নেয়, তখন থেকেই শুরু হয়েছিল স্বপ্নের বীজ বোনা। সে বীজে জল দেওয়ার মতো ঢালা হয়েছিল কাঁড়ি কাঁড়ি পেট্রো ডলার। মেসি, নেইমার, এমবাপ্পের মতো তারকাদের এনে পিএসজিকে পরিণত করা হয়েছিল তারার হাটে। কিন্তু রুপালি ট্রফি আর স্পর্শ করা হয়নি। অধরাই থেকে গিয়েছিল। ফুটবলবিশ্ব তাই ধরে নিয়েছিল- পিএসজির ভাগ্যে বোধ হয় লেখা নেই ‘চ্যাম্পিয়নস লিগ’।

কিন্তু ফুটবল এমন এক খেলা যেখানে সব ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণতা পায় না। আজ যে আকাশে তারা নেই, কালই উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কের দেখা মেলে সেখানে। সেই রকমই এক রূপকথার রাত এল প্যারিসের ক্লাবটির। পাঁচবার আলোকিত হলো আইফেল টাওয়ার, মিউনিখের অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ঠিক যতবার ইন্টার মিলানের জালে বল পাঠিয়েছে। পিএসজি জয়ী ৫-০ ব্যবধানে।

৫৪ বছরের ইতিহাসে এই জয়ের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ইউরোপ সেরা পিএসজি। শুধু জিতেই না, ইউরোপিয়ান কাপে প্রথমবার কোনো দল ফাইনালে পাঁচ গোল করে জিতল। করল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়ও। একই সঙ্গে ট্রেবলও নিশ্চিত হলো দলটির। লিগ ওয়ান, ফরাসি কাপ আর ইউরোপ-সেরা হওয়ার স্বপ্ন; তিন সত্যি একই মৌসুমে।

ট্রেবল জয়ের স্থপতি স্প্যানিশ কোচ লুইস এনরিকে। ২০১৫ সালে বার্সার হয়ে ট্রেবল জেতা এনরিকে নিজের জীবনেও পেলেন অনন্য এক স্বস্তির রাত। ৯ বছর আগে ক্যানসারে না ফেরার দেশে চলে যাওয়া কন্যা জানাকে উৎসর্গ করলেন এই জয়। পিএসজিকে এনে দিলেন সেই সোনালি বিকেল, যার জন্য ক্লাবটি অপেক্ষা করেছিল বছরের পর বছর। একটা সময়ে পিএসজি ছিল তারায় তারায় জ্বলজ্বলে। ছিলেন মেসি, নেইমার ও এমবাপ্পে। কিন্তু তখন হয়নি। যখন হলো তখন পিএসজি তারুণ্যে দীপ্তময় এক দল। 

অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারিনায় ১২ মিনিটে প্রথম গোল আশরাফ হাকিমির। একটা সময় যিনি ছিলেন ইন্টারেরই খেলোয়াড়। ২০ ও ৬৩ মিনিটে জোড়া গোল করে লাইমলাইটে ১৯ বছর বয়সী দেজিরে দুয়ে। তখনই মিউনিখে আগাম উৎসবের সুর। ৭৩ মিনিটে খিচা কাভারেস্কাইয়া এবং ৮৬ মিনিটে মাইয়ুলুর গোল উৎসবের রং বাড়িয়ে দেয় কয়েক গুণ।

ইন্টার মিলানের এই হার কেবল হারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটা একপেশে ধ্বংস। প্রথমার্ধেই দুই গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে তারা। বিরতির পর যেন আর খেলতেই নামেনি সিমোনে ইনজাগির দল। দ্বিতীয়ার্ধে একটি শটও নিতে পারেনি তারা। গোলের সুযোগ মাত্র দুটি, তাও প্রথমার্ধে। যেখানে পিএসজি মাত্র প্রথমার্ধেই ১৩টি শট নেয়!

ধারাভাষ্যকারেরা বলেছিলেন, ‘মেন ভার্সেস বয়েজ’। শেষ বাঁশি বাজার পর বোঝা গেল, বয়সের পরিসংখ্যান নয়, ম্যাচ জেতায় সাহস, গতি আর কৌশল। পিএসজির ‘বয়েজ’রাই প্রকৃত যোদ্ধা। ইন্টারের গর্বের নীল সাপ হয়ে উঠেছে বিষহীন ঢোঁড়া, আর পিএসজির নাইটরা জিতে নিয়েছে রক্তমাংসের বীরের সম্মান।

দেজিরে দুয়ের নামটা আলাদা করে উচ্চারণ করতেই হয়। ১৯৬২ সালে ইউসেবিওর পর তিনিই প্রথম ‘টিনএজার’, যিনি চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে জোড়া গোল করলেন। এই কীর্তি প্যারিসের ইতিহাসে রূপকথা হয়ে থাকবে বহু বছর।

আরেকটা প্রতিশোধও হলো এই জয়ে। ২০২০ সালে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে যাওয়া সেই ফাইনাল- যা ছিল পিএসজির দুঃস্বপ্ন। এবার সেই বায়ার্নের ঘরের মাঠেই রচিত হলো বিজয়ের মহাকাব্য। সব মিলিয়ে পিএসজির জন্য এ রাত ছিল মুক্তির, পরিশ্রমের স্বীকৃতির, দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান।

অনেক সময় ক্লাবের আকাশে তারকার ঝলকানি থাকলেও নিচে বিরাজ করে শূন্যতা। পিএসজি সে পথে না হেঁটে এবার বেছে নিয়েছিল ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি। তারকা নয়, তরুণদের গড়ে তোলার রাস্তায় হেঁটেছিল তারা। ফল? অপ্রতিরোধ্য এক পিএসজি। রোমাঞ্চে ভরা ফুটবল, চোখ ধাঁধানো পাস, ইউরোপ সেরার গর্ব।

আশরাফ হাকিমির গলায় সেই অহংকারের সুর, ‘আমরা ইতিহাস গড়েছি। ক্লাবের প্রাপ্য জেতা আমাদের খুব খুশির।’ ক্লাব মালিক নাসের আল খেলাইফির চোখেমুখে আত্মতৃপ্তি, শেষ বাঁশি বাজার পর চওড়া হাসি যেন বলে দিল, ‘দেখেছ তো? আমরা পেরেছি!’

ওয়ানডে থেকে ম্যাক্সওয়েলের বিদায়

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০১:১৫ পিএম
ওয়ানডে থেকে ম্যাক্সওয়েলের বিদায়
ছবি : সংগৃহীত

বছর তিনেক আগে ২০২২ সালে পা ভেঙে যাওয়ার ধকল এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন গ্লেন ম্যাক্সয়েল। ব্যাটে রানের দেখা পেতেও ধুঁকছেন তিনি আবার ভুগছেন ফিটনেসেও এরপর থেকেই।

এমন বিড়ম্বনার কথা মাথায় রেখেই ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এই ব্যাটার। ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে তরুণদের জন্য জায়গা করে দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ফলে থামছে তার ১৩ বছরের যাত্রা।

সোমবার (২ জুন)  দ্য ফাইনাল ওয়ার্ড পডকাস্টে ম্যাক্সওয়েল জানিয়েছেন, অনেক আগে থেকেই ভেবেছেন ছেড়ে দেবেন। 

সেই পডকাস্টেই তিনি জানিয়েছেন যে গেল ফেব্রুয়ারিতেই প্রধান নির্বাচক জর্জ বেলিকে জানিয়ে দিয়েছিলেন নিজের সিদ্ধান্তের কথা, ‘আমি তখন (চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চলাকালে) তাকে বলেছিলেন, আমাকে দিয়ে মনে হয় (২০২৭ বিশ্বকাপ খেলা) হবে না।’

অজিদের জার্সিতে দীর্ঘ ১৩ বছর খেলেছেন এই মারকুটে ব্যাটার। ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে অভিষেক হয় ওয়ানডে সংস্করণ দিয়েই। ১৪৯ ওয়ানডে ম্যাচ খেলে তার নামের পাশে রয়েছে ৩৯৯০ রান। 

৩৩.৮১ গড়ে ব্যাটিং করেছেন ১৩৬ ইনিংস। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলেছিলেন ২০১ রানের ঐতিহাসিক এক ইনিংস। ৪টি সেঞ্চুরি ছাড়াও ঝুলিতে আছে ২৩টি ফিফটি।

হাত ঘুরিয়ে পেয়েছেন ৭৭ উইকেট। ব্রেক থ্রু দেওয়ার ক্ষেত্রে ছিলেন দারুণ পারদর্শি। 

ছাড়ার আগে অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি তরুণদের জন্য জায়গা ছাড়ার কথা বলেছেন, ‘আমার জায়গায় কাকে খেলানো হবে, তা নিয়ে ভাবার এটাই সঠিক সময়। তারা নিজেদের প্রস্তুত করতে এবং ২০২৭ বিশ্বকাপে নিজেদের যোগ্য করে তুলতে সময় পাবে। আশা করছি, তারা এই ভূমিকায় লিড দেবে এবং সাফল্য পাবে।’