ঢাকা ২০ কার্তিক ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪

উত্তর পাকিস্তান থেকে বিশ্বকাপে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে সন্ত্রাসী হামলার হুমকি

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৪, ১১:০৪ এএম
আপডেট: ০৬ মে ২০২৪, ১১:১১ এএম
উত্তর পাকিস্তান থেকে বিশ্বকাপে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে সন্ত্রাসী হামলার হুমকি
ছবি : সংগৃহীত

দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে হবে এবারের আসর। ইতোমধ্যেই নিরাপত্তা থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের প্রস্তুতি সেরে নিয়েছে দুই আয়োজক কর্তৃপক্ষ। এর মাঝেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে উইন্ডিজ কর্তৃপক্ষ। উত্তর পাকিস্তান থেকে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে হুমকি দেওয়া হয়েছে সন্ত্রসী হামলার।

ক্রিকেট বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজ এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ক্রিকবাজকে উইন্ডিজ ক্রিকেটের সিইও জনি গ্রেভস বলেছেন, ‘আমরা আয়োজক শহরগুলোর কর্তৃপক্ষ নিবিড়ভাবে কাজ করছি এবং সবকিছু নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করছি সঠিক পরিকল্পনা নিশ্চিত করে ইভেন্টের ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য।’

নিরাপত্তা সতর্কতায় বলা হয়েছে, ‘ইসলামিক স্টেট (আইএস) পন্থী মাধ্যমগুল উৎসগুলো খেলাধুলার বিরুদ্ধে সহিংসতাকে উসকে দেওয়ার প্রচারণা শুরু করেছে, যেখানে আফগানিস্তান-পাকিস্তানের শাখা থেকে ভিডিওবার্তায় বিভিন্ন দেশে হামলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং সমর্থকদের তাদের দেশে যুদ্ধে অংশ নেওয়ার আহবান জানানো হয়েছে।’

ক্যারিবিয়ান সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ এমন সম্ভ্যাব্য হুমকির দিকে নজর রাখছে।

‘আমরা সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের আশ্বস্ত করতে চাই যে আইসিসি পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রত্যেকের নিরাপত্তা আমাদের এক নম্বর অগ্রাধিকার এবং আমাদের কাছে শক্তিশালী নিরাপত্তা পরিকল্পনা রয়েছে’ – গ্রেভস যোফ করেন।

জুনের ১ তারিখ থেকে ২৯ তারিখ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসতে যাচ্ছে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসর।

ত্রিনিদাদের ডেইলি এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে দ্বীপের প্রধানমন্ত্রী কিথ রাউলির বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ‘ক্যারিকাম ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলো বিশ্বকাপের নিরাপত্তা মোকাবিলা করতে কাজ করছে। আরও জানা গেছে যে বার্বাডোসের আঞ্চলিক নিরাপত্তা কর্মকর্তারা আইসিসি ইভেন্টের সম্ভাব্য হুমকির বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন।’

গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী বিশ্বকাপের সম্ভাব্য হুমকিটি ইসলামিক স্টেট (দায়েশ) এর মিডিয়া গ্রুপ ‘নাশির গ্রুপ’ কর্তৃক দেওয়া হয়েছে। ডেইলি এক্সপ্রেসের মতে নাশির-ই পাকিস্তান ইসলামিক স্টেটের প্রজ্ঞাপন প্রচার চ্যানেল।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ছয়টি ও যুক্তরাষ্ট্রের তিন ভেন্যুতে হবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। উইন্ডিজে হুমকি প্রদান করা হলেও যুক্তরাষ্ট্রে কোনোপ্রকার নিরাপত্তাজনিত হুমকি নেই।

অস্ট্রেলিয়ায় খারাপ করলে অধিনায়কত্ব ছাড়বেন রোহিত!

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫০ এএম
অস্ট্রেলিয়ায় খারাপ করলে অধিনায়কত্ব ছাড়বেন রোহিত!
ছবি : সংগৃহীত০

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে পরাজিত হওয়ায় সমালোচিত হচ্ছে ভারতের ক্রিকেটাররা। বিশেষ করে দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের নিয়ে করা হচ্ছে তির্যক মন্তব্য। এবার রোহিত শর্মার অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত।

তিনি প্রশ্ন করেন – ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা অস্ট্রেলিয়া সফর শেষে কি দুটোই থাকবে নাকি একটি? 

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হতে যাওয়া সিরিজে রানে ফিরতে না পারলে এই সংস্করণ ছাড়তে পারেন রোহিত বলে মনে করেন শ্রীকান্ত। তবে যদি কোহলিও ফিরতে না পারেন রানে? কোহলির ব্যাপারে এই মন্তব্য আগেভাগেই হয়ে যাবে মনে করেন ভারতের এই সাবেক অধিনায়ক।

শ্রীকান্ত বলেন, রোহিত শর্মা ভালো করতে না পারলে আমার মনে হয়, সে নিজেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়াবে। শুধু ওয়ানডে খেলবে। টি–টোয়েন্টি তো আগেই ছেড়েছে। আমাদের মনে রাখতে হবে, তার বয়স বাড়ছে, কমছে না।

ইউটিউব শোতে শ্রীকান্ত বলেছেন, ‘১০০ ভাগ। আপনাকে আগেই ভেবে রাখতে হবে (ভারত যদি অস্ট্রেলিয়ায় ভালো করতে না পারে)। রোহিত শর্মা ভালো করতে না পারলে আমার মনে হয়, সে নিজেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়াবে। শুধু ওয়ানডে খেলবে। টি–টোয়েন্টি তো আগেই ছেড়েছে। আমাদের মনে রাখতে হবে, তার বয়স বাড়ছে, কমছে না।’

কোহলিকে নিয়ে শ্রীকান্ত বলেছেন, ‘আমার মতে, বিরাট কোহলি অস্ট্রেলিয়ায় (রানে ফেরা) শুরু করবে। অস্ট্রেলিয়াই তার জায়গা এবং আমার মতে, এটাই তার শক্তি। কোহলিকে নিয়ে এখন এসব (টেস্ট ছাড়া) কথা একটু আগেভাগেই হয়ে যায়। আমি এটা মানব না। বিরাট কোহলির হাতে অনেক সময় আছে।’

পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে ভারত। ২২ নভেম্বর পার্থে শুরু হবে প্রথম টেস্ট।

ফের চোটে নেইমার

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৬ এএম
ফের চোটে নেইমার
ছবি : সংগৃহীত

ক্যারিয়ারজুড়ে চোটে পড়ে মাঠের বাইরে থেকেছেন অসংখ্য দিন। আল হিলালে যাওয়ার পরপরই চোটে পড়ে মাঠের বাইরে ছিলেন একবছর। এসিএল ইনজুরি থেকে সেরে ওঠা নেইমার ২১ অক্টোবর মাঠে ফেরার পর আবারও পড়েছেন চোটে। 

চোট কাটিয়ে ফিরে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে নেমেই আবারও ছিটকে পড়ার আশঙ্কায় এই ব্রাজিলের তারকা। ইস্তেঘাল এফসির বিপক্ষে মাঠে নেমেও পুরো ম্যাচ খেলতে পারেননি নেইমার। মাঠের নামার ৩০ মিনিট পরেই ছাড়তে হয়েছে মাঠ। 

দ্বিতীয়ার্ধের ৫৮ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে তাকে নামানো হয় মাঠে। তার এই হতাশার মাঝেও এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে এস্তেগলালকে আল হিলাল হারিয়েছে ৩-০ ব্যবধানে। এই জয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন সার্বিয়ান তারকা আলেক্সান্দার মিত্রোভিচ। 

আল হিলাল জয় পেলেও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েহে নেইমারের চোট। ডান পায়ের পেছনের অংশে চোট পেয়েছেন তিনি। তাই বাধ্য হয়েই তাকে মাঠ তুলে নেন হিলালের কোচ। এক বছর পর মাঠে ফিরে দুই ম্যাচ মিলিয়ে মাত্র ৪২ মিনিট খেলেছেন এই ব্রাজিলিয়ান।

উরুর মাংসপেশির ইনজুরিতে পড়েছেন নেইমার। এই ইনজুরি কতটা মারাত্মক তা এখনও পরিষ্কার না হলেও এই চোট বড় কিছু নয় বলে ভক্তদের নিশ্চিত করেছেন নেইমার।

ম্যাচের পর ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে তিনি লিখেছেন, আশা করি, এটা বড় কিছু নয়...এটা স্বাভাবিক যে এক বছর পর মাঠে নামলে এমনটা হয়, চিকিৎসক আমাকে আগেই সতর্ক করেছিল, তাই আমার সতর্ক থাকতে হবে এবং আরও বেশি মিনিট খেলতে হবে।

‘ব্যথায় মাঠেই কান্না করে দিই’

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৫ এএম
আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৯ এএম
‘ব্যথায় মাঠেই কান্না করে দিই’
ছবি : সংগৃহীত

সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে পাকিস্তানের বিপক্ষে কপালে ব্যান্ডেজ নিয়ে খেলেও শেষ মুহূর্তে গোল করেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। তাতে ড্র হয় ম্যাচ। তার ওই মহামূল্যবান গোলটির পর টুর্নামেন্টে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি বাংলাদেশকে। টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরেই নেপাল থেকে ফিরেছে মেয়েরা। তবে শামসুন্নাহারকে পুরো আসরে চোটের সঙ্গে লড়াই করে খেলতে হয়েছে। খবরের কাগজের মুখোমুখি হয়ে কঠিন এই পথ পাড়ি দেওয়ার গল্প শুনিয়েছেন কলসিন্দুরের কৃতী এই কন্যা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ক্রীড়া প্রতিবেদক তোফায়েল আহমেদ

খবরের কাগজ: এবারের সাফে মাত্র একটি গোল আপনার। তবে সেই গোলটার মূল্য অনেক। আপনার ওই গোলেই প্রতিযোগিতায় টিকে ছিল বাংলাদেশ…

শামসুন্নাহার জুনিয়র: আপনারা তো ছিলেন সেখানে, খেলা দেখেছেন। আমাদের প্রথম ম্যাচটা আসলে খারাপ গেছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে এমন কিছু হবে এটা আমরা ভাবিনি। কিন্তু প্রথমে গোল হজম করে বসি আমরা। ধরতে গেলে ম্যাচটা ১-০ গোলে হেরেই যাচ্ছিলাম। ৬ মিনিটের যোগ করা সময়ে প্রথম মিনিটেই গোলটা হয়েছে। আমাদের চেষ্টা ছিল যে আমরা অন্তত ড্রটা যেন করতে পারি। তাহলে ভারতের সঙ্গে ভালো কিছু করলে আমরা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারব বা সেমিফাইনাল খেলতে পারব। এমন একটা আশা আমাদের সবার মধ্যে ছিল। 

খবরের কাগজ: কিন্তু নির্ধারিত সময়েও তো গোল পেলেন না। ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গেল…। ভয় কাজ করেনি?

শামসুন্নাহার জুনিয়র: ওই সময়টায় ডিফেন্স লাইন থেকে আমাদের অনেক সাপোর্ট করেছে এবং অনেক প্রেসার দিয়েছে। ডিফেন্স থেকে শুধু বলছিল, গোল করো, গোল করো। সত্যি বলতে খুব চাপ ছিল তখন।

খবরের কাগজ: পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের শুরুর দিকেই চোখের ওপর আঘাত পান। এর পরও ব্যান্ডেজ নিয়ে খেলে গেছেন এবং গোলও করেছেন। অবিশ্বাস্যই বলতে হবে। কীভাবে পারলেন এটা?

শামসুন্নাহার জুনিয়র: খেলার শুরুতেই ব্যথাটা পেয়েছি। আমার মনোবল ছিল, পারব। ফিজিও লাইজু আপু (লাইজু ইয়াসমীন) জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘তুমি কি পারবে?’ আমি বলেছিলাম, ‘আমার কোনো সমস্যা হচ্ছে না, আমি খেলব।’ আর টিমের সবাই আমাকে খুব সাপোর্ট করছিল। বলছিল, তুমি পারবে। আমি তো কিছুক্ষণ বাইরে ছিলাম, খেলা চলছিল। ফিজিও আপু ব্যান্ডেজ করে দেওয়ার পর আমি ওভাবেই মাঠে নেমেছি। পরে কিন্তু আমি হেডেই গোল করেছি।

খবরের কাগজ: দুই বছর আগের আসরে আপনি ফাইনালেও গোল করেছিলেন। এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই গোল পেয়েছেন। কিন্তু পরে চোট আপনার পিছু ছাড়েনি…

শামসুন্নাহার জুনিয়র: পাকিস্তান ম্যাচের শেষ দিকে আমি পায়েও অনেক ব্যথা পাই। অনেক বেশি আঘাত ছিল ওটা। যে কারণে আমি পরের দুই দিন অনুশীলন করিনি। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে ব্যান্ডেজ করে খেলতে নেমেছিলাম। কিন্তু কয়েক মিনিট খেলার পর থেকেই ব্যথা লাগছিল। মাঠেই আমি কান্না করে দিই। আসলে আমি আর পারতেছিলাম না। বলেছিলাম, আমাকে চেঞ্জ করে অন্য কাউকে নামাতে। কারণ শতভাগ দিতে পারছি না। দলের জন্য কিছু করতে পারছি না। খারাপ লাগছিল। মাঠের ভেতর ভেঙে পড়ি আমি। তবে মারিয়া আপু, সাবিনা আপু, শিউলী আপু ওনারা অনেক হেল্প করেছেন। বলেছেন, তুমি পারবে। প্রথমার্ধের আগে চেঞ্জ হলে তো বদলি নামানোর ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। তাই আমাকে সবাই বলছিল প্রথমার্ধটা অন্তত খেলো। পরে পায়ে ব্যথা নিয়ে প্রথমার্ধ পর্যন্ত খেলে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। তবে ওই ম্যাচের পর আমার ব্যথা আরও বেড়ে যায়। যে কারণে সেমিফাইনালে ভুটানের বিপক্ষে আমাকে অফ করা হয়, যেন ফাইনালে আমি খেলতে পারি।

খবরের কাগজ: ফাইনালে শেষ পর্যন্ত খেলেছেন। গোল না পেলেও আপনার পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো…

শামসুন্নাহার জুনিয়র: ফাইনালেও কিন্তু আমার পায়ে অনেক ব্যথা ছিল। ফিজিও আপু আমাকে অনেক সাপোর্ট করেছেন। ওনার ভরসায় আমি নেমেছিলাম মাঠে। এর পরও আমার মনে হয়েছে আমি হয়তো পুরোপুরি দিতে পারিনি। তবে সবাই বলেছে, তুই ভালো খেলেছিস। তুই তোর সর্বোচ্চটা দিয়েছিস। তবে সবাই খুশি থাকলেও আমি নিজে খুশি না। ব্যথাটা না থাকলে হয়তো আমি আরও ভালো করতে পারতাম।

খবরের কাগজ: তার মানে এবারের আসরে অভারঅল নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে খারাপ লাগা আছে আপনার?

শামসুন্নাহার জুনিয়র: হ্যাঁ, কিছুটা খারাপ লাগা আছে। আসলে শুরুর ম্যাচেই ব্যথা পেয়েছিলাম। তাই পুরোপুরি সেরে উঠতে পারিনি। দেশে এসে এক্স-রে করেছি। ফ্র্যাকচার হয়েছে। আমি আগেও এ রকম ব্যথা নিয়ে খেলেছি। আর খারাপ লাগার কথা যেটা বললেন, এটা তো আমার নিজের ব্যক্তিগত বিষয় বললাম। কিন্তু আমার দলীয় সাফল্যের কথা যদি বলি, আমার কোনো অতৃপ্তি নেই।

খবরের কাগজ: বাংলাদেশ দুবার সাফে চ্যাম্পিয়ন হলো। আপনি দুটি চ্যাম্পিয়ন দলেরই অংশ। দুটির মধ্যে আপনি কোনটিকে এগিয়ে রাখবেন?

শামসুন্নাহার জুনিয়র: প্রথমবার যখন চ্যাম্পিয়ন হই সেটা ছিল আলাদা ভালো লাগার। আমি সেবার প্রথমবার সিনিয়র সাফ খেলতে যাই। প্রথমবারই চ্যাম্পিয়ন হই। তাই সেটার আনন্দটা অন্য রকম ছিল। এবার আবার অন্য ধরনের চ্যালেঞ্জ ছিল। চ্যালেঞ্জ এ জন্য যে একবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, এবার যদি না হতে পারি, তাহলে সবাই ভাববে আমরা হয়তো হঠাৎ করে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছিলাম। এই দিক থেকে এবার অনেক চাপ ছিল। এর মধ্যে আবার প্রথম ম্যাচটা আমরা খারাপ করে ফেলি। সব মিলিয়ে দুটির অনুভূতি দুই ধরনের। একটির সঙ্গে আরেকটি মেলাব না।

খবরের কাগজ: চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফিরেছেন। এখন তো চারদিকে মাতামাতি। কিন্তু যেটা হয়, কিছুদিন পরেই আর কেউ খোঁজ রাখে না বা মনে রাখে না। কী বলবেন এ নিয়ে?

শামসুন্নাহার জুনিয়র: ভুলে যাবে তো, এটাই স্বাভাবিকই। আবার একবারে যে ভুলে যাবে, এমন তো না। অবশ্যই মনে রাখবে। যদি একেবারেই ভুলে যেত তাহলে তো আর এবার বলত না তোমরা দুবারের চ্যাম্পিয়ন। এখন যারা ভুলে যাওয়ার তারা ভুলে যাবে। আর আমরা পরের বারের জন্য প্রস্তুতি নেব। যদি লম্বা সময় আমাদের ক্যাম্পটা চলমান থাকে, তাহলে আশা করি আমরা দেশকে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়নশিপ দিতে পারব।

খবরের কাগজ: ২০২২ সালে আপনারা চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসার পর দেখা গেছে ৯ মাস আপনাদের আন্তর্জাতিক ম্যাচ ছিল না। এবার নিশ্চয়ই এমন কিছু চাইবেন না?

শামসুন্নাহার জুনিয়র: আমরা তো সবাই টানা ক্যাম্পের মধ্যে থাকি। নিজেরা নিজেরা প্র্যাকটিস করি। যদি আমাদের ফ্রেন্ডলি ম্যাচগুলো বেশি বেশি হয়, আমাদের থেকে শক্তিশালী দলের সঙ্গে যদি আমরা খেলতে পারি, তাহলে আমাদের উন্নতি করার সুযোগ আরও বাড়বে। বড় দলের সঙ্গে হারি বা জিতি, এটা বিষয় নয়। আমাদের অভিজ্ঞতা তো হবে। সেই সঙ্গে উন্নতিও হবে। নিজেদের ভুলগুলো আমরা বুঝতে পারব। তাই চাইব, এখন থেকে যেন ভালো ভালো দলের সঙ্গে খেলতে পারি আমরা। এখন দক্ষিণ এশিয়ার দলগুলোর সঙ্গে তো খেলিই। সামনে যেন এশিয়া বা এশিয়ার বাইরের বড় বড় দলের সঙ্গেও খেলতে পারি।

খবরের কাগজ: মাত্র ২০ বছর বয়স আপনার। এরই মধ্যে দু-দুটি সিনিয়র সাফজয়ী দলের অংশ আপনি। জুনিয়র পর্যায়েও অনেক ট্রফি জিতেছেন। নিজেকে নিয়ে আপনি কতটা খুশি?

শামসুন্নাহার জুনিয়র: ২০১৭ সালে আমি বয়সভিত্তিক জাতীয় দলে ঢুকি। আমি যতটুকু করতে পেরেছি, তাতে শুকরিয়া আল্লাহর কাছে। আমি নিজে অনেক সন্তুষ্ট। সামনে আরও ভালো কিছু করার চেষ্টা থাকবে।

খবরের কাগজ: কোথায় দেখতে চান নিজেকে?

শামসুন্নাহার জুনিয়র: আমার ইচ্ছা বিদেশের লিগে লেখার। আগে তো আমাদের দেশ থেকে একজন-দুজন করে বাইরের দেশে গিয়ে লিগ খেলত। আমারও ইচ্ছা, ওদের মতো খেলার। আমাদের এখানকার সব খেলোয়াড় যেন এ রকম সুযোগগুলো পায়, এটা চাই। এখন যে পরিমাণ খেলোয়াড় যাচ্ছে, এটা সামনে নিশ্চয়ই আরও বাড়বে।

বিপিএলে দেখা যেতে পারে হলিউড তারকাদের

প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৮ পিএম
আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৯ পিএম
বিপিএলে দেখা যেতে পারে হলিউড তারকাদের
বিপিএল

দুয়ারে কড়া নাড়ছে বিপিএল। নতুন রোমাঞ্চে ভাসছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অতীতের বিতর্ক পেছনে ফেলে সাত দলের এই টুর্নামেন্টকে নতুনভাবে সাজানোর উদ্যোগ নিচ্ছে বিসিবি। এবারের বিপিএলে বিসিবি পাশে পাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে। যিনি গত প্যারিস অলিম্পিকে সম্পৃক্ত ছিলেন। তার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবারের বিপিএলকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে চায় বিসিবি। জানা গেছে, এবারের বিপিএলে দেখা যেতে পারে হলিউড তারকাদের। 

সোমবার (৪ নভেম্বর) মিরপুরে আসন্ন বিপিএল নিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে কথা বলেন বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম। 

প্রধান উপদেষ্টার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ইভেন্টে সামাজিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে মানুষকে কীভাবে আরও সম্পৃক্ত করতে হয়, এ বিষয়গুলো আমাদের প্রধান উপদেষ্টার চেয়ে ভালো কেউ জানেন না।’

এবারের বিপিএলে দেখা যেতে পারে বৈশ্বিক তারকাদেরও। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধান উপদেষ্টা যদি মাঠে আসেন, একটা বক্তব্য দেন, বিদেশ থেকে নামকরা একজন ফুটবলার বা হলিউড থেকে একজন অভিনেতা বা অভিনেত্রী এখানে এসে সংযুক্ত হন, এটা নিশ্চয়ই বিশ্ব মিডিয়াতে আসবে।’

আগামী ৩০ ডিসেম্বর শুরু হওয়ার কথা বিপিএলের ১১তম আসর। এ লক্ষ্যে তৈরি হচ্ছে টুর্নামেন্টের থিম সং। থাকবে মাসকটও। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে বেশ জাঁকালো। মিরপুর ছাড়াও অন্য দুই ভেন্যু চট্টগ্রাম ও সিলেটে হবে কনসার্ট। কনসার্টে পাকিস্তানের বিখ্যাত সংগীতশিল্পী রাহাত ফাতেহ আলী খানের আসার সম্ভাবনা আছে।

চঞ্চল/সালমান/

সাকিবের অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তুললো কাউন্টি কর্তৃপক্ষ

প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৯ পিএম
আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২১ পিএম
সাকিবের অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তুললো কাউন্টি কর্তৃপক্ষ
ছবি : সংগৃহীত
সাকিবের দুঃসময় যেন কাটছেই না। দেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজ খেলে অবসর নিতে চাওয়ার প্রত্যাশা জানিয়েও শেষ পর্যন্ত পারেননি। এবার পেলেন আরেক দুঃসংবাদ। পরেরবার কাউন্টি ক্রিকেটে খেলতে গেলে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়ে তারপর তাকে খেলতে নামতে হবে সেখানে, এমন নিয়ম করে দেওয়া হয়েছে সাকিবের জন্য। 
 
কাউন্টি ক্রিকেটে সাকিব অনেক পুরোনো খেলোয়াড়। সেখানে বেশ কয়েকবার খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। তবে এবারই প্রথম অদ্ভুত নিয়ম ঠিক করে দিয়েছে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ কর্তৃপক্ষ সাকিবের জন্য। 
 
তবে কাউন্টির এমন সিদ্ধান্তে অবাক না হয়েও উপায় নেই। ১৮ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দাপিয়ে বেড়ানো কারো শেষবেলায় এসে বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, তাতে অবাক হওয়াটাই স্বাভাবিক। 
 
ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে মাঠে নামার আগে ইংল্যান্ডের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে যান সাকিব সারে ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে। সেখানে এক ম্যাচ খেলে ৯ উইকেট শিকার করেন তিনি। সেই ম্যাচেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন। 
 
ম্যাচ শেষে দুই ফিল্ড আম্পায়ারের কেউ একজন ম্যাচ রেফারির কাছে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। ম্যাচ রেফারির ম্যাচ রিপোর্টে সেটি উল্লেখ করেছেন। পরে তা তদন্ত করে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ কর্তৃপক্ষ।
 
সকল ধরনের যাচাই-বাছাই শেষে ভবিষ্যতে সাকিবকে কাউন্টিতে খেলতে নামার আগে অবশ্যই দিতে হবে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা। ইতোমধ্যে সাকিবকে এই বিষয়ে নিদের্শনাও দেওয়া হয়েছে।