গত সপ্তাহেই কিলিয়ান এমবাপ্পে ভিডিওবার্তায় বলছিলেন, এবারের মৌসুম শেষে পিএসজি ছাড়ছেন তিনি। যদিও কোন ক্লাবে যোগ দিচ্ছেন তা নিশ্চিত করেননি তিনি। ফরাসি তারকা নিশ্চিত না করলেও আগামী মৌসুমে তার রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেছেন লা লিগা সভাপতি হাভিয়ের তেবাস।

আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘ওলেকে’ তেবাস বলেছেন, ‘আগামী মৌসুমে সে (এমবাপ্পে) মাদ্রিদের। তারা পাঁচ বছরের চুক্তি করলে সে পাঁচ মৌসুম সুযোগ পাবে (চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের)।’

২০২১ সালে জুনের এমবাপ্পেকে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। এরপর থেকে প্রতি দলবদলেই তাকে ও রিয়ালকে নিয়ে গুঞ্জনের অনেক ডালপালা গজিয়েছিল।
আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্য*মে তেবাস  আরও বলেছেন, ‘এমবাপ্পে বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। কিন্তু ভিনিসিয়ুস ও বেলিংহামও আছেন। মাদ্রিদের স্কোয়াডটি দারুণ হবে। তবে তাতে লিগ জেতার কোনো নিশ্চয়তা নেই।’

২০১৭ সালে ১৮ কোটি ইউরোতে দল বদল করেন এমবাপ্পে। সেবার মোনাকো থেকে পিএসজিতে যোগ দেন তিনি। পিএসজির ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২৫৬ গোল তার নামের পাশেই। জিতেছেন পিএসজির হয়ে পাঁচবার লিগ ওয়ান শিরোপা তবে অধরা থেকে গেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা। ২০২০ ফাইনালে হেরেছিলেন বায়ার্ন মিউনিখের কাছে। 

বড় ক্লাব হয়েও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা যাদের নেই তারা তো অভাগা বটে! এমনই দুই অভাগা- আর্সেনাল এবং পিএসজির ফাইনালে ওঠার লড়াই শুরু আজ। আজ দুই দলের সেমিফাইনালের প্রথম লেগ গড়াবে আর্সেনালের মাঠ এমিরেটস স্টেডিয়াম। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়।

ইউরোপা সেরা টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। বড় এই মঞ্চে মাত্র একবার করে ফাইনাল খেলার সৌভাগ্য হয়েছে আর্সেনাল-পিএসজি। দুই দলই ফিরেছিল রানার্সআপ ট্রফি নিয়ে: আর্সেনাল ২০০৬ সালে এবং পিএসজি ২০২০ সালে। এ যাত্রায় দ্বিতীয়বার টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলার সৌভাগ্য হবে যেকোনো এক দলের। কে হবে সৌভাগ্যবান দল? প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে দুই লেগ পরই। আপাতত অ্যাওয়ে ম্যাচের ধাক্কা সামলে নেবার পালা পিএসজির।

আজ রাতে ষষ্ঠবারের মতো দেখা হবে আর্সেনাল এবং পিএসজির। আগের পাঁচ ম্যাচে অপরাজেয় ছিল গানাররা: ২ জয় এবং ৩ ড্র। আর্সেনাল হলো সেই প্রতিপক্ষ যাদের বিপক্ষে ইউরোপিয়ান টুর্নামেন্টে কখনোই জিততে পারেনি পিএসজি। চলতি মৌসুমে ইতোমধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দেখা হয়েছে তাদের। এমিরেটস স্টেডিয়ামে লিগপর্বের সেই লড়াইয়ে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নদের ২-০ গোলে হারায় প্রিমিয়ার লিগ ক্লাবটি।

ইউরোপিয়ান টুর্নামেন্টে এক মৌসুমে পিএসজিকে দুবার হারানো একমাত্র ইংলিশ ক্লাব হলো ম্যানচেস্টার সিটি। ২০২০-২১ মৌসুমে ফরাসি জায়ান্টদের সেমিফাইনালের দুই লেগে যথাক্রমে ২-১ এবং ২-০ গোলে পরাস্ত করেছিল সিটিজেনরা। এবার একই পর্যায়ে আরেক ইংলিশ ক্লাব আর্সেনালের সামনে তারা। পরিসংখ্যান বলছে, ইউরোপে ইংলিশ দলের বিপক্ষে খুবই নাজুক অবস্থা মেসি-এমবাপ্পের পিএসজির।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইংলিশ ক্লাবের বিপক্ষে পিএসজি তাদের সর্বশেষ ছয় ম্যাচে পাঁচটিতে হেরেছে। জয় মাত্র একটি। ফরাসিরা হেরেছে ম্যানসিটি, আর্সেনাল, নিউক্যাসল এবং অ্যাস্টন ভিলার কাছে। যাইহোক, আজকের লড়াইটা আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতা এবং পিএসজি কোচ লুইস এনরিকেরও। ইতিহাস বলছে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তৃতীয়বারের মতো সেমিতে মুখোমুখি হতে চলেছেন দুই স্প্যানিশ কোচ।

বলা বাহুল্য, আর্সেনাল তাদের সর্বশেষ আট চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচে অপরাজিত: ৭ জয় এবং ১ ড্র। এটি তাদের এক মৌসুমে অপরাজেয় থাকার দ্বিতীয় সেরা দৌড়। ২০০৫-০৬ মৌসুমে টানা ১২ জয়ের পর ফাইনালে গিয়ে হেরেছিল আর্সেনাল।

দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনটা পুরোপুরি বাংলাদেশে্র। দ্বিতীয় সেশনেও নিজেদের দাপট প্রায় ধরে রেখেছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু চা-বিরতির আগে দ দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে ব্যাঘাত ঘটেছে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। পরপর দুই বলে ২ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।

মুমিনুল হক আউট হয়েছেন দলীয় ১৯৪ রানে। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে স্লগ সুইপ করতে কাটা পড়েন ৩৩ রান করে বেন কারানের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ২ চার ও ১ ছয়ে ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন তিনি। বড় ইনিংস খেলার আভাস দিয়েও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। ৫৩ ওভারের শেষ বলে আউট হন মুমিনুল।

ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক হাঁকানো সাদমান ইসলাম ক্যারিয়ারসেরা ১২০ রানের ইনিংস খেলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরের পথ ধরেন ব্রায়ান বেনেটের বলে ৫৪ ওভারের প্রথম বলেই। পরপর দুই বলে দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে স্বাগতিকরা।

অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ২ ও মুশফিকুর রহিম ৯ রানে অপরাজিত আছেন। বাংলাদেশের স্কোর ৩ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান। এই সেশনে প্রথম সেশনের মতোই ১০৫ রান যোগ হয়েছে বাংলাদেশের বোর্ডে। তবে উইকেট হারিয়েছে ৩টির সবকটিই।

অবশেষে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটিতে স্বস্তি। সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয়ের উদ্বোধনী জুটিতে রান এসেছে ১১৮। ৩২ ইনিংস পর টেস্টে বাংলাদেশের শতরানের উদ্বোধনী জুটি। এনামুল হক বিজয় ৩৯ রানে আউট হলেও আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম দাপট দেখিয়ে তুলে নিয়েছেন শতক।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট শতকের দেখা পেয়েছেন সাদমান। প্রথম শতকটিও ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০২১ সালের জুলাইতে হারারেতে একমাত্র টেস্টে।

সেই শতকের পর আর শতক আসেনি সাদমানের ব্যাটে। তবে পেয়েছেন তিনটি অর্ধশতক। গেল বছর পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে রাওয়ালপিন্ডিতে কাটা পড়েছিলেন ৯৩ রানে।

হারারেতে ২০২১ সালে খেলেছিলেন ১১৫ রানের অপরাজিত ইনিংস। এই শতক হাঁকানোর পথে তিনি ১৬টি চার হাঁকিয়েছেন। তাতেই স্পষ্ট জিম্বাবুয়ের বোলারদের ঠিক কতটা শাসন করে ব্যাটিং করেছেন তিনি। তার ব্যাটেই এখন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের হাতে।

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি আবাহনীকে ২৪১ রানের লক্ষ্য দিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ২৪০ রান সংগ্রহ করেছে মোহামেডান।

মোহামেডানের হয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আরিফুল ইসলাম অর্ধশতক আদায় করেন। দুজনের ব্যাটেই এসেছে ৫০ করে রান। 

তামিম ইকবাল অসুস্থ হওয়ার পর অধিনায়কত্বের ভার আসে তাওহিদ হৃদয়ের ওপর। তিনি নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ায় রনি তালুকদার দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ফাইনালে।

অধিনায়ক রনি ও তৌফিক তুষারকে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৫০ রান। ১৬ রান করে আউট হন তৌফিক। ৪৭ বলে ৪৫ রান করে রনি আউট হলে ৬৬ রানে ২ উইকেট হারায় মোহামেডান। ১৫ রান করে আউট হন আনিসুল ইসলাম। মোহামেডান ৩০ ওভারে ১২৪ রানে ৪৫ উইকেট হারায় ফরহাদ হোসেন ৪০ রান করে বিদায় নিলে।

এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আরিফুল ইসলাম ৯০ রানের জুটি গড়েন। মোসাদ্দেক হোসেনের বলে রিপন মন্ডলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৬২ বলে ৫০ রান করে আউট হন মাহমুদউল্লাহ। ৪৮ তম ওভারে সৈকতই আউট করেন আরিফুলকে। ৫৭ বলে ঠিক ৫০ করে যান আরিফুল। 

শেষপর্যন্ত ২৪০ রানে গিয়ে ঠেকে মোহামেডানের সংগ্রহ। 

সৈকত, মেহেরব ও মাহফুজুর রাব্বি- তিন স্পিনার নিয়েছেন ৫ উইকেট। একটি করে উইকেট নেন দুই পেসার মৃত্যুঞ্জয় ও রিপন মন্ডল

দিনের প্রথম বলেই ব্ল্রেসিং মুজারাবানিকে আউট করে নিজের ষষ্ঠ উইকেট শিকারের পাশাপাশি ২২৭ রানেই জিম্বাবুয়েকে অলআউট করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনে কোনো রান যোগ না করেই অলআউট হয় সফরকারীরা।

এরপর প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ভালোই এগোচ্ছে। অবিচ্ছিন্ন উদ্বোধনী জুটিতে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ১০৫ রান। দীর্ঘ ৩২ ইনিংস পর উদ্বোধনী জুটিতে শতরানের দেখা পেয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

সবশেষ নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসান ১২৪ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েছিলেন ভারতের বিপক্ষে চট্টগ্রামেই।

দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয় দুজনই দেখেশুনে খেলছেন সফরকারী বোলারদের। ইতোমধ্যেই অর্ধশতক আদায় করে নিয়েছেন সাদমান।

সাদমান ইসলাম ৬২ ও এনামুল হক বিজয় ৩৮ রানে অপরাজিত আছেন। সফরকারীদের চেয়ে এখনও ১২২ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ।