মোছাম্মদ সাগরিকা, মুনকি আক্তারদের দাপুটে ফুটবলের সামনে দাঁড়াতেই পারল না শ্রীলঙ্কা। প্রতিপক্ষকে গোলে ভাসিয়ে সাফ উইমেন্স অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করল স্বাগতিক বাংলাদেশের মেয়েরা।
শুক্রবার (১১ জুলাই) বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী ম্যাচটি ৯-১ গোলে জিতেছে বাংলাদেশ। হ্যাটট্রিক করেছেন সাগরিকা। জোড়া গোল করেন মুনকি। একটি করে গোল করেন স্বপ্না রানী, সিনহা জাহান শিখা, রুপা আক্তার ও শান্তি মার্ডি।
ম্যাচের সিংহভাগ সময় শ্রীলঙ্কার অর্ধেই বল ছিল। বাংলাদেশের রক্ষণ ও গোলরক্ষক স্বর্ণা রানী মণ্ডলকে বলতে গেলে কোনো পরীক্ষাই দিতে হয়নি। প্রথমার্ধে ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয়ার্ধে করে আরও ৬ গোল। ম্যাচের যোগ করা সময়ে গিয়ে সান্তনার একটি গোল পায় শ্রীলঙ্কা।
স্বপ্না রানীর অসাধারণ এক ফ্রি কিকে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। মুনকি ডামি করলেও ডানপায়ে শটটা নেন স্বপ্না। যা লঙ্কান গোলকিপার থারুশিকার নাগালের বাইরে দিয়ে পোস্টে জড়ায়। পঞ্চম মিনিটে মুনিকর গোলে ব্যবধান দ্বিগুন করেন বাংলাদেশ। বক্সে ঢুকে বাঁপায়ের শটে গোলটি করেন মুনকি।
৩৭ মিনিটে সাগরিকা ৩-০ করেন। ডানপ্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে শিখার নেওয়া শট শ্রীলঙ্কা গোলরক্ষক থারুশিকার হাত গলে বেরিয়ে গেলে সাগরিকার পায়ে যায়। সেখান থেকেই বা পায়ের শটে গোল করেন সাগরিকা।
৪৮ মিনিটে মুনকি আক্তার নিজের দ্বিতীয় গোল আদায় করলে বাংলাদেশ ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। গোলটা বড় কৃতিত্ব দিতে হবে সাগরিকাকে। বাঁ প্রান্ত দিয়ে আক্রমনে ঢুকে মুনকির উদ্দেশ্যে কাটব্যাক করেন তিনি। আলতো টোকায় মুনকি বল জালে জড়ান।
দুই মিনিট পরই ব্যবধান ৫-০ করে ফেলেন শিখা। প্রথমার্ধেই গোল পেতে পারতেন তিনি। রাইট উইংয়ে শুরু থেকেই তিনি দারুণ খেলছিলেন। প্রথমার্ধে গোল না পেলেও দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতে তিনি সুযোগ হাতছাড়া করেননি। বাঁ প্রান্ত থেকে শান্তি মার্ডির ক্রস থেকে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে বল জালে জড়ান তিনি।
৫৪ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল আদায় করেন সাগরিকা। সতীর্থের থেকে বল পেয়ে বক্সে ঢুকে ডান পায়ের শটে গোলটি করেন এই ফরোয়ার্ড। বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ৬-০ গোলে।
৫৮ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন সাগরিকা। এ দফায় বক্সের ভেতর পূজার কাটব্যাক থেকে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে গোলটি করেন তিনি (৭-০)। ৮৫ মিনিটে কর্নার কিক থেকে রুপার গোলে ব্যবধান ৮-০ করে বাংলাদেশ।
যোগ করা সময়ে শ্রীলঙ্কার পক্ষে লায়ানশিকা জাশোথারান গোল আদায় করেন। সার্কেলের পাশ থেকে বল পেয়ে আক্রমণে ঢুকেন। বাংলাদেশের রক্ষণভাবের সব খেলোয়াড়ই শ্রীলঙ্কার অর্ধে ঢুকে যাওয়ার সুযোগটা তিনি দারুণভাবে কাজে লাগান। কেউ তাকে আর আটকাতে পারেননি। আর গোল রক্ষক স্বর্ণাকেও পরাস্ত করতে ভুলে করেননি তিনি।
ম্যাচের শেষ গোলটা অবশ্য বাংলাদেশই করে। যা তাদের নবম গোল। ডানপ্রান্ত থেকে তৃষ্ণার করা ক্রস থেকে বাঁ পায়ের শটে গোলটি করেন শান্তি মার্ডি।
তোফায়েল/সুমন/