ঢাকা ১৯ বৈশাখ ১৪৩২, শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫
English

নিউজিল্যান্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকছেন না উইলিয়ামসন

প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৪, ১২:৫২ পিএম
আপডেট: ১৯ জুন ২০২৪, ১২:৫৯ পিএম
নিউজিল্যান্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকছেন না উইলিয়ামসন
ছবি : সংগৃহীত

সবশেষ কয়েকটি বিশ্বকাপে ফেবারিট হয়ে মাঠে নেমেছিল নিউজিল্যান্ড। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা ঘরে তুললেও বাকিগুলোতে খেলেছিল অন্তত সেমিফাইনাল। কিন্তু, এবার বাদ পড়তে হয়েছে গ্রুপ পর্ব থেকেই। এমন ব্যর্থ আসর শেষে কেইন উইলিয়ামসনের সামনে প্রশ্ন এসেছিল তিনি আর কতদিন খেলতে চান এই সংস্করণে, উত্তরে অবশ্য কিছুই খোলাসা না করলেও তিনি জানিয়েছিলেন নিজের টি-টোয়েন্টির ভবিষ্যত তিনি অনিশ্চিত।

এমন কথার ঠিকঠাক দুদিন না পেরোতেই অধিনায়কত্ব থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সময়ের এই সেরা ব্যাটার। এমনকি ২০২৪-২৫ মৌসুমের জন্য নিজের নামও প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তিনি নিউজিল্যান্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে। তবে জাতীয় দলে খেলা চালিয়ে যেতে চান তিনি। নির্দিষ্ট একটা সময়ের জন্য বিরতিও চেয়েছেন তিনি। সেই সময়টায় খেলতে চান বিদেশি লিগগুলোতে।

কেইন উইলিয়ামসন বলেন, ‘সব ফরম্যাটে দলকে সামনে এগিয়ে নিতে সাহায্য করা এমন একটা ব্যাপার, যার জন্য আমি খুবই আগ্রহী। আমি দলে অবদান রেখে যেতে চাই। তবে বিদেশি লিগের সুযোগগুলো নিতে নিউজিল্যান্ডে গ্রীষ্মে আমাকে পাওয়া যাবে না। এজন্যই কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকছি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলা আমার জন্য বড় সম্পদ। দলকে কিছু দিতে চাওয়ায় কোনো কমতি নেই। ক্রিকেটের বাইরে আমার জীবনও বদলে গেছে। পরিবারকে সময় দেওয়া ও তাদের সঙ্গে দেশে এবং দেশের বাইরে অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করা এখন আমার জন্য আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

এছাড়া চলমান বিশ্বকাপ এই সংস্করনে পেস বোলারের শেষ, এটি জানিয়ে রেখেছিলেন ট্রেন্ট বোল্ট। গুঞ্জন রয়েছে ন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকতে আগ্রহী নন আরেক পেসার লাকি ফার্গুসনও।

জিম্বাবুয়ের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ জিতলে আরও ভালো লাগতো: শান্ত

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৬ পিএম
জিম্বাবুয়ের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ জিতলে আরও ভালো লাগতো: শান্ত
ছবি: সংগৃহীত

জিম্বাবুয়ের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ জিততে পারলে আরও ভালো লাগতো মন্তব্য করে বাংলাদেশ দলের ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, পুরো সিরিজে ভালো খেলেছি এটা বলবো না। আমাদের আরও ভাল করা উচিত ছিল। চট্টগ্রাম টেস্ট জিতছি সেটা বড় কথা নয়।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) চট্টগ্রাম টেস্ট জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, আমাদের প্রত্যেকে কিছু কিছু রান করেছে। সাদমান আর মিরাজের শতক আমাদের দলের বড় লিড দিতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি বলেন, মিরাজ বলিং করার পর আরও আগে ব্যাটিংয়ে নামাটা খুবই চ্যালেঞ্জিং। তাই তাকে ৬ বা ৭ নম্বরে নামানো হয়। ওখানেও দায়িত্বশীল ব্যাটিং দরকার। যেমনটি আজ হয়েছে। শেষে দিকে নেমেও মিরাজ শতক করেছে। আমাদের দলেও বড় লিড এনে দিয়েছে। পাশাপাশি প্রত্যেক বোলারও যদি ব্যাটিংয়ে একটু একটু ভাল করে তাহলে মোটের ওপর দলের জন্য ভাল। আজ যা হয়েছে তাতেই আমরা বড় সন্তুষ্ট না হলে মোটামোটি সন্তুষ্ট। তাইজুল ভাই প্রথম ম্যাচের পর এ ম্যাচে কামবেক করেছে।

সাকিবের ব্যাটিং ভাল লেগেছে উল্লেখ করে নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, প্রথম ম্যাচ হিসেবে সে ভাল করেছে। এটি দারুণ ছিল। স্পিনাররা সবসময় ভালো করেন। স্পিনারদের বাড়তি প্রেসার আমি দিতে চাই না। তারা তুলনামূলক ভালই করছে। টেস্ট ম্যাচে ৫ জন বোলার দরকার। সব মিলিয়ে আমরা তা রেখেছি।

দলে সক্ষমতা নিয়ে শতভাগ আশাবাদী ছিল নাজমুল হোসেন শান্ত। কারণ এর আগে ওয়েস্টইন্ডিস থেকে টেস্টে জিতেছে পাকিস্তান থেকে জিতেছে। এবারও সেই কনফিডেন্স নিয়ে মাঠে নেমেছে। আমরা যে মানের ক্রিকেট খেলি। আমি মনে করে আমাদের স্ট্যান্ডার্ট অনুসারে খেলতে পেরেছি। আগামিতে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ম্যাচ আছে সেখানে আমরা চাইবো সেখানে লম্বা ইনিংস যাতে হয় সেটা চেষ্টা থাকবে। যেটা সম্ভব আমাদের জন্য। আমাদের ব্যাটিংয়ে যদি শতক পুরনের পর আউট না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ম্যাচের শেষের দিকে সুযোগ হাতছাড়া করেননি উল্লেখ করে অধিনায়ক বলেন, ম্যাচের শেষের দিকে একটু লাইট কমেছে আমরা সেটা সুযোগ হিসেবে নিয়েছি। আম্পায়ারকে বার বার বলেছি আমরা খেলবো। জিম্বাবুয়ের ইউকেটও শেষের দিকে। তাই আমরা সেই সুযোগ নিয়েছি এবং সাকসেস হয়েছি।

আবদুস সাত্তার/এমএ/

৩ দিনেই জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ব্যবধানে হারাল বাংলাদেশ

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০৬ পিএম
আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১৬ পিএম
৩ দিনেই জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ব্যবধানে হারাল বাংলাদেশ
ছবি: সংগৃহীত

সিলেট টেস্ট শেষ হয়েছিল চার দিনে। জিতেছিল জিম্বাবুয়ে। তবে চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের দারুণ প্রত্যাবর্তন। মাত্র তিন দিনেই জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ব্যবধানে হারের লজ্জা দিয়েছে টাইগাররা। বুধবার (৩০ এপ্রিল) ইনিংস ও ১০৬ রানের জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজ ড্র করল বাংলাদেশ।

প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে করেছিল ২২৭ রান। জবাবে বাংলাদেশ সাদমান ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজের দারুণ সেঞ্চুরিতে ৪৪৪ রান করে। দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবুয়ে গুটিয়ে যায় মাত্র ১১১ রানে। সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট নেওয়ার সুবাদে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

সেঞ্চুরি পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট— বিরল এক কীর্তিতে নাম লিখিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সাকিব আল হাসান ও সোহাগ গাজীর পর বাংলাদেশের তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এক টেস্টে সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন মিরাজ। সাকিবের এই কীর্তি আছে দুবার। সব মিলিয়ে টেস্টে ইতিহাসে এমন কীর্তি নেওয়ার ঘটনা ৩৯টি।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৭ উইকেটে ২৯১ রান। মিরাজ ১৬ রানে ও তাইজুল ৫ রানে ছিলেন অপরাজিত। আজ তৃতীয় দিনে চমক দেখান মিরাজ। তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি তিনি করেছিলেন ২০২১ সালে।

গত বছর মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে ৯৭ রানে থেমেছিলেন মিরাজ। এবার তিনি পেলেন সেঞ্চুরির উষ্ণ ছোঁয়া। 
১৬২ বলে ১০৪ রান করেন মিরাজ। তার ইনিংসে ছিল ১১টি চার ও এক ছক্কা। ব্যাট হাতে দারুণ করেন অভিষিক্ত তানজিম সাকিব। ৮০ বলে তিনি করেন ৪১ রান। ৪৫ বলে তাইজুলের রান ২০। জিম্বাবুয়ের হয়ে বল হাতে পাঁচ উইকেট নেন অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা ভিনসেন্ট মাসেকেসা। 

দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে বেশিদূর আগাতে পারেনি। মিরাজ, তাইজুল ও নাঈম- তিন স্পিনারের তোপে কোণঠাসা ছিল আরভিন শিবির। ব্যাট হাতে সেঞ্চুরির পর বল হাতে ফাইফারের দেখা পান মিরাজ। তিন উইকেট নেন তাইজুল। নাঈম পান এক উইকেটের দেখা।

জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার বেন কারান। অধিনায়ক আরভিন ২৫ ও মাসাকাদজা ১০ রান করেন। বাকিদের কেউ ছুতে পারেনি দুই অঙ্কের রান। দেশের মাটিতে টানা ছয় টেস্ট হারের পর জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে দেশের জন্য স্বস্তিরই।

চঞ্চল/এমএ/

চা-বিরতি তাইজুলের জোড়া আঘাত

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১৩ পিএম
আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১৫ পিএম
তাইজুলের জোড়া আঘাত
ছবি : ফাইল

বাংলাদেশকে ৪৪৪ রানে অলআউট করে চা-বিরতির আগে ওভার ব্যাটিং করে তাইজুলের জোড়া আঘাতে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ২ উইকেট হারিয়ে ১৭ রান।

বাংলাদশ ২১৭ রানের লিড দিয়েছে আর জিম্বাবুয়ে তা থেকে এখনও ২০০ রান দূরে অবস্থান করছে।

ব্রায়ান বেনেট তাইজুল ইসলামের বলে ডিফেন্স করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন সাদমান ইসলামের হাতে। ৬ রান করে আউট হয়েছেন তিনি দলীয় ৮ রানে।

নতুন ব্যাটার নিক ওয়েলচ বল লিভ করতে গিয়ে বল লাগে প্যাডে। যদিও বাংলাদেশ দলের আবেদনে সাড়া দেননি কুমার ধর্মসেনা। পরে রিভিউ নিলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন লঙ্কান আম্পায়ার। রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হয়েছেন আগের ম্যাচে অর্ধশতক হাঁকানো এই ব্যাটার।

ফলে ৮ রানেই ২ উইকেট হাইরিয়ে বিপদে পড়ে যায় সফরকারীরা। চা-বিরতির আগে তাদের সংগ্রহ ২ উইকেট হারিয়ে ১৭ রান। বেন কারান ৮ ও শন উইলিয়ামস অপরাজিত আছেন ৩ রানে।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বার্সার ডেরায় ইন্টার

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৫ পিএম
বার্সার ডেরায় ইন্টার
ছবি : সংগৃহীত

হোম গ্রাউন্ড কেবল একটি মাঠ নয়। এটি অনুভূতি এবং অনুপ্রেরণা, যা তাতিয়ে তোলে স্বাগতিকদের। আত্মবিশ্বাসী খেলোয়াড়রাও নিংড়ে দেয় তাদের সবটুকুই। আজ বার্সেলোনা ফুটবলাররাও তাই করবে। কারণ তাদের ডেরায় যে ইতালিয়ান জায়ান্ট ইন্টার মিলান। ইউরোপ সেরা টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মুখোমুখি হবে দুই দল। লড়বে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে। এস্তাদিও অলিম্পিক লুইসে খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়।

সবার জানা, বার্সার মূল মাঠ ক্যাম্প ন্যুতে চলছে সংস্কারকাজ। তাই ২০২৩-২৪ মৌসুম থেকে অলিম্পিক লুইস স্প্যানিশ জায়ান্টদের হোম গ্রাউন্ড। সেই ডেরায় আজ ইন্টার পরীক্ষা দেবে হ্যান্সি ফ্লিকের দল, যারা আগের ম্যাচেই শিরোপা উৎসবে রাঙিয়েছে নিজেদের। স্পেনে কোপা দেল রের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে ৩-২ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমির জন্য সেরা প্রস্তুতিই নিয়েছে কাতালুনিয়ার ক্লাবটি।

ইন্টারের মাথা নত টানা ব্যর্থতার ভারে। সিরি’আতে তারা তাদের সর্বশেষ দুই ম্যাচ হেরে হারিয়েছে শীর্ষস্থান। এই দুই হারের মাঝে ‘মিলান ডার্বি’তে পরাস্ত হওয়ায় ইতালিয়ান কাপের সেমিফাইনালে থেমেছে তাদের যাত্রা। সব মিলিয়ে টানা চার ম্যাচ জয়হীন ইতালিয়ান ক্লাবটি। সাম্প্রতিক ব্যর্থতার এই রেকর্ড স্পষ্টভাবেই বার্সার বিপক্ষে প্রথম লেগে পিছিয়ে রাখছে ইন্টারকে। তবে এটাও মনে রাখতে হবে, বায়ার্ন মিউনিখের মতো দলকে পেছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে ইন্টার।

এবার বার্সা আঙিনা স্তব্ধ করার চ্যালেঞ্জ ইন্টারের, যারা কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্নের মাঠে জিতেছিল ২-১ ব্যবধানে। কঠিন চ্যালেঞ্জে ইন্টার অধিনায়ক লাউতারো মার্টিনেজ পাচ্ছেন শক্তিশালী দল। তাকে সঙ্গ দিতে প্রস্তুত জোয়াকিন কোরেয়া-মার্কাস থুরামরা। এদিক থেকে কিছুটা চাপে বার্সা। স্বাগতিকদের খেলতে হবে চোটাক্রান্ত রবার্ত লেভানদোভস্কিকে ছাড়া। যদিও ইয়ামাল-ওলমো-পেদ্রিরা বার্সার ইঞ্জিন সচল রাখতে প্রস্তুত।

ইউরোপিয়ান টুর্নামেন্টে পূর্বে ১৬ বার সাক্ষাৎ হয়েছে বার্সা-ইন্টারের। অর্ধেক ম্যাচে জয় স্প্যানিশ জায়ান্টদের। ড্র ৫টি এবং হার মাত্র ৩টি। ইউরোপে দ্বিতীয়বার নকআউট ম্যাচে দেখা হবে তাদের। প্রথমবারও দেখা হয়েছিল সেমিফাইনালে, ২০০৯-১০ মৌসুমে। সেবার হোসে মরিনহোর ইন্টার বিদায় করেছিল বার্সাকে (৩-২ অগ্রগামিতায়)। এ যাত্রায় কী হয়, সেটা জানা যাবে দুই জায়ান্টের দুই লেগের লড়াই শেষে।

মিরাজের সেঞ্চুরিতে ২১৭ রানের লিড বাংলাদেশের

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩০ পিএম
মিরাজের সেঞ্চুরিতে ২১৭ রানের লিড বাংলাদেশের
ছবি : সংগৃহীত

দ্বিতীয় দিন শেষ বিকালের ধসে অস্বস্তি নিয়ে দিনশেষ করেছিল বাংলাদেশ। সাদমান ইসলামের দারুণ শতকের পরও শেষ পর্যন্ত মুখের হাসিটা ধরে রাখতে পারেনি স্বাগতিকরা। ৭ উইকেট হারিয়ে ২৯১ রান সংগ্রহ করা বাংলাদেশের হয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ অপরাজিত ছিলেন মাত্র ১৬ রানে। তার সঙ্গী ছিলেন ৫ রান করা তাইজুল ইসলাম।

তৃতীয় দিন এই দুজনই বাংলাদেশের সকালটা সুন্দর করার দায়িত্ব নেন। তাদের জুটি হয় ৬৩ রানের। ২০ রান করে তাইজুল ফিরলেও তানজিম হাসান সাকিবের সঙ্গে ৯৬ রানের জুটি গড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ। দলীয় ৪৩৮ রানে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে ব্যক্তিগত ৪১ রানে তানজিম আত্মহুতি দিলে দায়িত্ব নিয়ে খেলতে থাকা ৯৮ রানে অপরাজিত মেহেদী হাসান মিরাজের শতক পড়ে যায় শঙ্কায়। 

যদিও নতুন ব্যাটার হাসান মাহমুদ ঠিকঠাক পরের বলগুলো ঠেকিয়ে দিলে মিরাজ পেয়ে যান ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট শতক। এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০২১ সালে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট শতকের দেখা পেয়েছিলেন মিরাজ।

মিরাজ ও তানজিম সাকিবের জুটিতে দলের স্কোর পেরিয়ে যায় ৪০০। দলের লিডও বড় হতে থাকে। ১১ চার ও ১ ছয়ে আউট হওয়ার আগে ১৬২ বলে ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন মিরাজ। তার বিদায়েই ৪৪৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ আর লিড দাঁড়ায় ২১৭ রানে।

মাসেকেসার বলে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে বড় শট খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হয়েছেন মিরাজ। তার উইকেট নিয়ে অভিষেকেই ৫ উইকেট শিকার জিম্বাবুয়ের লেগস্পিনার মাসেকেসার। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মুজারাবানি, মাসাকাদজা, মাধেভেরে ও বেনেট।