ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

শুভ জন্মদিন স্বপ্নের ফেরিওয়ালা

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৬:২৮ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ০৭:৩৮ পিএম
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা
ছবি : সংগৃহীত

কেউ বলেন এলিয়েন, কেউবা ভিনগ্রহের ফুটবলার। বিশ্ব ফুটবলের রাজপুত্তুর লিওনেল মেসিকে নিয়ে বিশেষণের শেষ নেই। ক্লাব থেকে শুরু করে জাতীয় দল আর্জেন্টিনা, সবখানেই মেসির আলোকময় উপস্থিতি। কাঁড়ি কাঁড়ি গোল আরও রেকর্ডে মোড়ানো বর্ণিল ক্যারিয়ারে সম্ভাব্য সব শিরোপা জেতা লিওনেল মেসিকে তাই অনেকে বলেন, GOAT, গ্রেটেস্ট অব অল টাইম। আর্জেন্টিনার খুদে এই ফুটবল জাদুকরের আজ জন্মদিন। ৩৭-এ পা রাখা লিওনেল মেসিকে নিয়ে খবরের কাগজের দুই পর্বের বিশেষ আয়োজন। আজ থাকছে প্রথম পর্ব।

‘মেসিকে নিয়ে কিছু লিখো না। তাকে বর্ণনা করার চেষ্টাও করো না। শুধু তার খেলা দেখ এবং উপভোগ করে যাও’ 
-পেপ গার্দিওলা 

বাঁ পায়ের জাদু। সেটা অপার্থিব নাকি মায়াবী বিভ্রম। কেউ বলে ঐশী দক্ষতা, কেউবা বলে অত্যাশ্চর্য ক্ষমতা। সবুজ গালিচায় সর্পিল গতিতে তার আঁকাবাঁকা চলা মুগ্ধতার রেণু ছড়ায়। সঙ্গে ওলটপালট হয় রেকর্ড বুক। কত গোল, কত ট্রফি, কত কীর্তি, রোসারিও থেকে বার্সেলোনা, টিস্যু পেপারে সাইন করা থেকে ভুবন মাতানো এক ফুটবলার- লিওনেল আন্দ্রেস মেসি।

২০২২ কাতার বিশ্বকাপের আগে পর্যন্তও মেসির নামের পাশে ছিল নানা বিশেষণ। কিন্তু সবই ছিল অর্থহীন। সর্বকালের সেরার প্রশ্নে গুটিয়ে যেত তর্কে জড়ানো মেসি ভক্তরা। কারণ মেসির শোকেসে ছিল না আকাশি-নীল জার্সিতে একটি সোনালি ট্রফি। মেসির মনের উঠোনজুড়ে তাই ছিল বিশাল অঙ্কের আঁকিবুঁকি। হিসাবটা তাই তিনি মেলালেন মরুর বুকে কাতারের ঐতিহাসিক লুসাইল স্টেডিয়ামে। ভক্তদের মনে রোমাঞ্চের কাঁপন তুলে জিতলেন পরম আরাধ্যের বিশ্বকাপ। মেসির হাতে বিশ্বকাপ দিয়ে যেন দায়মুক্ত হলো ফুটবলও। 

২০২২ কাতার বিশ্বকাপ জেতার পর লুসাইল স্টেডিয়ামে প্রিয় বন্ধু সার্জিও আগুয়েরোর কাঁধে লিওনেল মেসি। ছবি : সংগৃহীত

একটি বিশ্বকাপের জন্য কত হাপিত্যেশ ছিল এই মেসির, তা সবারই জানা। ম্যারাডোনার নেতৃত্বে ১৯৯০, মেসির কাঁধে চড়ে ২০১৪। দুই বিশ্বকাপের ফাইনালেই জার্মান মেশিনে বিকল হয়েছিল আর্জেন্টিনা।  ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপের পর দুবার কোপা আমেরিকার খেতাব মিস। পেনাল্টি মিসে সূর্যাস্ত। অভিমান-দুঃখে অবসরও নিয়েছিলেন মেসি। তবে শেষ সেখানেই নয়। হেরে যাওয়ার মুহূর্ত থেকে যারা চ্যাম্পিয়নের সরণিতে ফিরে আসেন, তারাই প্রকৃত লিজেন্ড। মেসিও যেমন তাই। কাতার বিশ্বকাপ জিতে মেসি প্রমাণ করেছেন, তিনি ভিনগ্রহের ফুটবলার। আধুনিক ফুটবলের হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা।

অথচ কে জানত, ভাগ্য আরেকটু বিরূপ হলেই মেসি নামের কোনো ফুটবলারকেই হয়তো চিনত না বিশ্ব। দশ বছর বয়সে গ্রোথ হরমোনজনিত সমস্যায় ধরা পড়া মেসি ছোট্ট দুটি পায়ে মাতিয়ে রেখেছিলেন নিওয়েলস ওল্ড বয়েজ ক্লাব। কিন্তু উচ্চতা না বাড়লে ফুটবল খেলতে পারবে না, তা নিয়ে শঙ্কা ছিল ঢের। এই রোগের যে চিকিৎসা ব্যয়ভার তা মেটাতে পারেনি নিওয়েলস বয়েজ কিংবা আর্জেন্টিনার বিখ্যাত ক্লাব রিভারপ্লেটও। কারণ প্রতি মাসে মেসির চিকিৎসার জন্য দরকার হতো ৯০০ মার্কিন ডলার। একপর্যায়ে মেসিকে নিয়ে হালই ছেড়ে দিয়েছিল তার পরিবার। কিন্তু যার কপালে বিশ্বজয়ের রাজটিকা, তাকে রুখতে পারে কে! এগিয়ে আসে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা। ২০০০ সালে ঐতিহাসিক ন্যাপকিন চুক্তিতে অসামান্য এই প্রতিভাকে নিজেদের করে নেয় বার্সা। সঙ্গে মেসির চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব। বাকিটা ইতিহাস।

কিন্তু মেসির এই ঝলমলে ক্যারিয়ারের পথ-পরিক্রমা মোটেও সহজ ছিল না। এসেছে নানা বাধা-বিপত্তি। তবে লক্ষ্য অটুট থাকলে সবকিছুই সম্ভব। মেসি তা প্রমাণ করেছেন। যেখানে ভাগ্যটাও পাশে পেয়েছেন তিনি, সঙ্গে ছিল বাঁ পায়ের ঐশ্বরিক জাদু। আর হার না মানার মানসিকতা। শুনুন মেসির মুখেই, ‘আর্জেন্টিনা থেকে একটা স্বভাব আমি আমার সঙ্গে এনেছিলাম, সেটা হলো পরাজয়ের প্রতি ঘৃণা। পরাজয়; সেটা যে ক্ষেত্রেই হোক না কেন, আমি মানতে পারি না। এখন মনে হয়, ছোটবেলায় আমরা যখন রাস্তায় ফুটবল খেলতাম, তখন ভাই-কাজিনরা মাঝেমধ্যে ইচ্ছা করে হেরে যেত। তারা আমাকে জিতিয়ে দিত। কারণ জানত, আমি হেরে গেলে তাদের কপালে দুঃখ আছে। ১৩ বছর বয়সে যখন এখানে (ন্যু ক্যাম্প) খেলা শুরু করলাম, তখনো আমি হার মানতে চাইতাম না। সতীর্থরা যখন হেরে গিয়েও মেনে নিত, আমার কাছে খুব অবাক লাগত।’

মেসি নামের শব্দটি শুনলেই এখন সবার চোখে ভাসে আর্জেন্টিনার সান্তা ফে প্রদেশের সবচেয়ে বড় শহর রোসারিও। শহরের দক্ষিণে ব্যারিও লাস হেরাস পাড়া। ছিমছাম সবুজেঘেরা একটি বাড়ি। কিন্তু ফুটবল খেলার জায়গার অভাব। দুই বেড়ার মাঝে খানিকটা ফাঁকা জায়গায় ফুটবল নিয়ে মেতে উঠত ছোট্ট এক ছেলে। কিন্তু সেখানে জমত না খেলা। শুকনো, কাঁচা রাস্তাই ছিল ভরসা। দুই পাশে গোলপোস্টের কোনো রকম চিহ্ন এঁকে চলত ফুটবল খেলা। 

শিশু মেসি। ছবি : সংগৃহীত

মেসির বয়স যখন তিন কিংবা চার বছর, জন্মদিনে উপহার পেয়েছিলেন একটি ফুটবল। যে ফুটবল জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল ছোট্ট শিশুটির। জন্মদিন এলেই মেসি অপেক্ষা করতেন নতুন ফুটবলের জন্য। এ প্রসঙ্গে একবার মেসি বলেছিলেন, ‘খুব ছোটবেলায় আমি আমার প্রথম ফুটবলটা পেয়েছিলাম। তখন কতই-বা বয়স, তিন বা চার। কে যেন উপহার দিয়েছিল। সেদিন থেকে যেকোনো উপলক্ষে আমি একটা উপহারই চাইতাম- ফুটবল, হোক সেটা বড়দিন বা জন্মদিন। আমি ফুটবল জমাতাম। ঘরের বাইরে নিতাম না, যদি কেউ নষ্ট করে ফেলে, সেই ভয়ে।’

বাবা হোর্হে হোরাসিও মেসি কাজ করতেন স্টিল ফ্যাক্টরিতে। মা সেলিয়া মারিয়া পার্ট টাইম ক্লিনার। বড় দুই ভাই রদ্রিগো ও মাতিয়াস, ছোট বোন মারিয়া সল। পাঁচ বছর বয়সে মেসি স্থানীয় ক্লাব গ্র্যান্দোলির হয়ে ফুটবল খেলা শুরু করেন। মেসির কোচ ছিলেন তার বাবা হোর্হে। এই ক্লাবের হয়ে মেসির পরিবারের অনেকেই খেলেছেন। স্মৃতি বেশ সতেজ মেসির, ‘আমার বাবা ছিলেন ক্লাবের কোচ। রবিবার সারা দিন কাটত গ্র্যান্দোলির সঙ্গে। পুরো পরিবার মিলে খেলতাম। হয়তো আমি খেলছি, বিপক্ষ দলে বড়দের মধ্যে আমার চাচাও আছেন। এভাবেই কেটে যেত সারা দিন।’ 

একেক দলে তখন খেলত সাতজন করে। মেসির প্রথম ম্যাচ খেলার ঘটনা সবার জানা। মেসির মুখেই শুনন তা, ‘প্রথম ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলাম আমার দাদির কারণে। গ্র্যান্দোলির দলে আমার মতো ছোট্ট ছেলের জায়গা ছিল না। এক দিন বড় একজনকে পাওয়া যাচ্ছিল না বলে দাদি আমাকে এগিয়ে দিলেন। কোচ শুরুতে রাজি ছিলেন না, পরে আপত্তি করেননি।’ ছোট্ট মেসির ড্রিবলিং দেখে সেই কোচের চোখ ছানাবড়া। চোখের নিমিষেই মেসির অসাধারণ সব কারিকুরি নজর কেড়েছিল সবার।

২০০৪-২০২১ পর্যন্ত দীর্ঘ ১৭ বছর খেলেছেন স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার জার্সিতে। ছবি : সংগৃহীত

কোনো ফুটবলার মেসির নায়ক ছিলেন না। তবে ভক্ত ছিলেন ম্যারাডোনার। ভবিষ্যতে কী হতে চাও, এমন প্রশ্নে ছোট্ট মেসি একবার বলেছিলেন, ‘আমি আর্জেন্টিনার হয়ে খেলতে চাই, সব আর্জেন্টাইনের মতো আমিও ম্যারাডোনার ভক্ত ছিলাম। মুগ্ধ হয়ে তার খেলার ভিডিও দেখতাম, সেই স্মৃতি এখনো মনে পড়ে। পাবলো আইমার যখন প্রথম এলেন, তার খেলাও খুব ভালো লাগত। কিন্তু তারা কেউ আমার আদর্শ ছিলেন না। ভাই আর কাজিনদের সঙ্গে রাস্তায় খেলে আমি বড় হয়েছি। তাদের দেখেই শিখেছি। আমার পরিবার আমাকে বাঁচার কৌশল শিখিয়েছে, কিন্তু ফুটবলের কৌশল আমি শিখেছি নিজে নিজে।’

গ্র্যান্দোলির সঙ্গে বছর দেড়েক থাকার পর নিওয়েলসের সঙ্গে প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন মেসি। সমস্যা বাধে সেখানেই। ১১ জনের দলে আর সবার চেয়ে মেসি ছিলেন অপেক্ষাকৃত ছোট। কিন্তু প্রসঙ্গ যখন ফুটবল, এই ঘাটতি কখনোই মেসিকে ভাবাত না। কিন্তু খেলা শুরুর আগে বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়রা তাকিয়ে থাকতেন, তাতে অস্বস্তি বাড়ত তার। কিন্তু খেলা শুরু হলে মেসির পায়ে বল আসার পর দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যেত সবার।

ঠিক কী কারণে মেসির আকৃতি ছোট। নিওয়েলস তাই মেসিকে পাঠাল ক্লিনিকে। ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানালেন, মেসির শরীরে একটা অবর্ধনশীল হরমোন আছে। মেসি বেড়ে উঠছিলেন, তবে স্বাভাবিকের চেয়ে ধীরগতিতে। ডাক্তার বললেন, চিকিৎসা নিলে মেসি অন্যান্য ছেলেমেয়ের মতো বেড়ে উঠতে পারবে। যখন চিকিৎসা শুরু হলো, মেসির বয়স বড়োজোর ১১ কি ১২। প্রায় এক বছর চিকিৎসার ব্যয় মেসির বাবা বহন করেন। মাসে ৯০০ মার্কিন ডলারের খরচ কুলিয়ে উঠতে পারেনি মেসির পরিবার। দুঃসময়ের মুখোমুখি তখন হোর্হে। তখনই এগিয়ে আসে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা। ঐতিহাসিক ন্যাপকিন চুক্তিতে নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেন মেসি। রোসারিও ছেড়ে মেসির পরিবারের নতুন ঠিকানা বার্সেলোনার ন্যু ক্যাম্প। 

চলবে....

টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজও হারল বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ১০:৩৭ পিএম
টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজও হারল বাংলাদেশ
ছবি: সংগৃহীত

একটা জয়ে ফিরতে পারে হারানো আত্মবিশ্বাস- এমন ধারণা ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে নিয়ে। হ্যাঁ, প্রয়োজনীয় সেই জয়ে এসেছে কিন্তু বাংলাদেশ হয়নি আত্মবিশ্বাসী। ফলস্বরূপ লঙ্কান দ্বীপে আরও একটি সিরিজ হারের গল্প লিখেছে টিম টাইগার্স।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ক্যান্ডিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে ৯৯ রানের ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে স্বাগতিকরা তাদের খাতায় যোগ করে ৭ উইকেটে ২৮৫। লক্ষ্য তাড়ায় কখনোই জয়ের পথে ছিল না বাংলাদেশ। নিদারুণ ব্যাটিংয়ে ৩৯.৪ ওভারে অলআউট হয় ১৮৬ রানে।

শ্রীলঙ্কার মাটিতে কখনোই ওয়ানডে সিরিজ জিতেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এ যাত্রায় কলম্বোয় প্রথম ওয়ানডে হারে ৭৭ রানে। একই ভেন্যুতে ১৬ রানের জয়ে সমতায় ফেরে সফরকারীরা। তাতে প্রথমবার সিরিজ জয়ের সুযোগ আসে। তবে আত্মবিশ্বাস হারানো বাংলাদেশ দল আরও একবার ব্যর্থ হলো ২২ গজে।

লক্ষ্য তাড়ায় টাইগার ব্যাটাররা উপহার দেয় উদাসীন ব্যাটিং। দায়িত্ব নিয়ে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি কেউই। সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন তাওহিদ হৃদয়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন এবং অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। সাবেক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত মারেন ডাক। শ্রীলঙ্কার হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন আসিথা ফার্নান্দো এবং দুস্মান্থা চামিরা। দুনিথ ভাল্লালাগে এবং ভানিন্দু হাসারাঙ্গা ২টি করে পান।

১-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ হেরে শ্রীলঙ্কা সফর শুরু করে বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজ হারল ২-১ ব্যবধানে। এরপর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দুই দল, যা শুরু হবে আগামী ১০ জুলাই।

 

কুশল মেন্ডিসের ব্যাটে এগোচ্ছে শ্রীলঙ্কা

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৫:৪২ পিএম
কুশল মেন্ডিসের ব্যাটে এগোচ্ছে শ্রীলঙ্কা
ছবি : সংগৃহীত

ছোট ছোট জুটি গড়ে এগোচ্ছে শ্রীলঙ্কা। ১০০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা ভারসাম্য হারালেও এখন আবার ঠিকঠাক এগোচ্ছে কুশল মেন্ডিসের ব্যাটে। ৩৪ ওভারের খেলা শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৮২ রান।

দলীয় ১৩ রানে তানজিম হাসান সাকিবের বলে নিশান মাদুশাঙ্কা ১ রান করে ক্যাচ দেন নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। তৃতীয় উইকেটে ৫৬ রানের জুটি গড়েন পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। 

সেই জুটিতে দলীয় ৬৯ রানে বাধ সাধেন আগের ম্যাচে ফাইফার নিয়ে নায়ক বনে যাওয়া তানভীর ইসলাম। বড় শট খেলার প্রচেষ্টায় বাউন্ডারি পারভেজ হোসেন ইমনের হাতে ধরা পড়েন ৩৫ রান করা নিশাঙ্কা।

এরপর আরও একটি ছোট জুটি হয় কামিন্দু মেন্ডিসের সঙ্গে কুশল মেন্ডিসের। দুই মেন্ডিসের জুটি ভাঙেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩১ রানের জুটিটি ভাঙে কামিন্দু মিরাজের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়লে। ১০০ রানে তাতে তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে।।

তবে একপ্রান্ত আগলে রাখা কুশল মেন্ডিস ইঙ্গিত দিচ্ছেন দলের বড় সংগ্রহের। অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কাকে নিয়ে এখন পর্যন্ত গড়েছেন ৮২ রানের জুটি। ৮৫ রানে অপরাজিত কুশল অপেক্ষায় আছেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ওয়ানডে শতকের। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আসালাঙ্কা অপরাজিত আছেন ৪২ রানে।

বাবর-শাহিনদের ছাড়াই বাংলাদেশে আসছে পাকিস্তান দল

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৪:৪৪ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৪:৫১ পিএম
বাবর-শাহিনদের ছাড়াই বাংলাদেশে আসছে পাকিস্তান দল
ছবি : সংগৃহীত

চলতি মাসেই বাংলাদেশ সফরে আসছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের মাটিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দলটি। সেই সিরিজকে সামনে রেখে স্কোয়াড ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। 

ঘোষিত এই স্কোয়াডে জায়গা হয়নি বাবর আজম, শাহিন শাহ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের। বেশ কিছুদিন ধরেই তারা উপেক্ষিত পাকিস্তান দলে।

১৫ সদস্যের স্কোয়াডের নেতৃত্বে রয়েছেন যথারীতি সালমান আলী আঘা। দলে ফিরেছে মোহাম্মদ নওয়াজ, আব্বাস আফ্রিদি ও সুফিয়ান হাকিম। নতুন মুখ সালমান মির্জা। 

চোটে পড়ে দলে সুযোগ পাননি পেসার হারিস রউফ। ঘরের মাঠে অবশ্য তিনি খেলেছিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। টানা তিন সিরিজে দলে রাখা হয়নি বাবর, রিজওয়ান ও শাহিনকে।

আগামী ১৬ জুলাই ঢাকা আসবে পাকিস্তান দল। মিরপুর শেরেবাংলায় ম্যাচ তিনটি হবে ২০,২২ ও ২৪ জুলাই। সবগুলো ম্যাচ শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। 

পাকিস্তানের মাটিতে গিয়ে সবশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশ। লড়াইটা এবার তাই প্রতিশোধেরও!

পাকিস্তান স্কোয়াড: সাইম আইয়ুব, ফখর জামান, মোহাম্মদ হারিস, হাসান নাওয়াজ, সালমান আলী আগা (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নাওয়াজ, খুশদিল শাহ, ফাহিম আশরাফ, আব্বাস আফ্রিদি, আবরার আহমেদ, সাহিবজাদা ফারহান, হুসাইন তালাত, সুফিয়ান মুকিম, আহমেদ দানিয়াল ও সালমান মির্জা।

ক্লাব বিশ্বকাপ এবার ফাইনালে ওঠার লড়াই

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩৪ পিএম
এবার ফাইনালে ওঠার লড়াই
ছবি : সংগৃহীত

৩২ দলের রোমাঞ্চকর লড়াই শেষে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ এখন এসে দাঁড়িয়েছে শেষ চারে। শিরোপা জয়ের দৌড়ে টিকে আছে চার দল-ফ্লুমিনেন্স, চেলসি, পিএসজি ও রিয়াল মাদ্রিদ। এর মধ্যে থেকেই উঠে আসবে এবারকার বিশ্বসেরা ক্লাব।

সেমিফাইনালের প্রথম ম্যাচে আজ মঙ্গলবার রাতে মাঠে নামবে ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্স ও ইংলিশ ক্লাব চেলসি। আর এক দিন পর, বুধবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই ইউরোপিয়ান জায়ান্ট পিএসজি ও রিয়াল মাদ্রিদ। 

টুর্নামেন্টে ব্রাজিল থেকে অংশ নিয়েছিল চারটি ক্লাব। গ্রুপ পর্বে তারা সবাই দারুণ চমক দেখিয়ে পৌঁছায় শেষ ষোলোয়। সেখান থেকে ফ্লুমিনেন্স ও পালমেইরাস জায়গা করে নেয় কোয়ার্টার ফাইনালে। যদিও পালমেইরাস থেমে যায় শেষ আটেই, একমাত্র ব্রাজিলিয়ান প্রতিনিধি হিসেবে এখন টিকে আছে কেবল ফ্লুমিনেন্স।

অন্যদিকে, ইউরোপীয় দলগুলোর শুরুটা কিছুটা নড়বড়ে হলেও সময়ের সঙ্গে তারা নিজেদের মেলে ধরেছে। শেষ ষোলো থেকে নিজেদের চেনা ছন্দে ফেরে রিয়াল, চেলসি ও পিএসজি। ফলাফল, শেষ চার দলের তিনটিই ইউরোপের।

এ পরিস্থিতিতে একটি অল-ইউরোপিয়ান ফাইনালের সম্ভাবনা যেমন জোরালো, তেমনি দক্ষিণ আমেরিকা বনাম ইউরোপ মহারণেরও সুযোগ আছে। আর সেটা হতে হলে আজ চেলসিকে হারাতে হবে ফ্লুমিনেন্সকে।

শেষ ষোলোয় ইন্টার মিলানকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল ফ্লুমিনেন্স। সেই পারফরম্যান্স যদি আবার ফুটে ওঠে, তবে চেলসির পথ কঠিন হতে পারে। এখন দেখার, ফ্লুমিনেন্স কি পারবে আরেকটি চমক উপহার দিতে?

কার হাতে উঠবে গোল্ডেন বুট?

টুর্নামেন্টের সেরা গোলদাতার খেতাব গোল্ডেন বুট জয়ের লড়াইয়েও জমে উঠেছে উত্তেজনা। এ মুহূর্তে প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে আলোচনায় থাকা দুই নাম রিয়াল মাদ্রিদের তরুণ ফরোয়ার্ড গনসালো গার্সিয়া এবং চেলসির উইঙ্গার পেদ্রো নেতো।

২১ বছর বয়সী গার্সিয়া যেন এই বিশ্বকাপের বিস্ময়! রিয়ালের হয়ে এখন পর্যন্ত প্রতিটি ম্যাচেই রেখেছেন সরাসরি অবদান, ৪ গোল ও ১ অ্যাসিস্ট। তার পারফরম্যান্স বলছে, গোল্ডেন বুট জয়ের দৌড়ে তিনিই সবচেয়ে এগিয়ে। গার্সিয়ার মতো ৪ গোল করে টুর্নামেন্ট থেকে আগেই বিদায় নিয়েছেন বেনফিকার আনহেল দি মারিয়া, আল হিলালের মার্কোস লিওনার্দো এবং বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের সেরহু গিরাসি। অর্থাৎ তাদের গোলসংখ্যা বাড়ার আর সুযোগ নেই।

তবে গার্সিয়ার এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এখন একমাত্র টিকে আছেন পেদ্রো নেতো। তিনিও করেছেন ৩ গোল। চেলসি যদি ফাইনাল পর্যন্ত যেতে পারে এবং নেতো নিজেও ছন্দে থাকেন, তাহলে তিনিও দারুণভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন গার্সিয়ার সঙ্গে।

অলিখিত ফাইনালে আগে ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কা

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০২:৩০ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০২:৪৮ পিএম
অলিখিত ফাইনালে আগে ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কা
ছবি : সংগৃহীত

পাল্লেকেলেতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। এই ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় মাঠে গড়াবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে।

বাংলাদেশ একাদশে আছে এক পরিবর্তন। গত ম্যাচে ওয়ার্কলোডের কারণে বিশ্রামে থাকা তাসকিন আহমেদ একাদশে ফিরেছেন।

এক ম্যাচ বিরতি দিয়ে একাদশে ফিরেছেন এই ডানহাতি পেসার। অন্যদিকে নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে ছিল খানিকটা দুশ্চিন্তা। ম্যাচের আগে ফিটনেস টেস্টে উতরে যাওয়ায় তাকে একাদশে রেখেছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার একাদশে কোনো পরিবর্তন নেই।

বাংলাদেশ একাদশ

তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, নাজমুল হোসেন শান্ত, শামীম পাটোয়ারী, তাওহিদ হৃদয়, মেহেদি হাসান মিরাজ, জাকের আলী অনিক, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ, তানভীর ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।

শ্রীলঙ্কা একাদশ

পাথুম নিশাঙ্কা, নিশান মাদুশকা, কুশল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিস, চারিথ আসালাঙ্কা, জেনিথ লিয়ানেগে, দুনিথ ভেল্লালেগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মহেশ থিকসানা, দুশমন্থ চামিরা ও আসিথা ফার্নান্দো।