ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে ইতিহাস গড়তে চায় কানাডা

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৪, ১০:৪৭ এএম
আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে ইতিহাস গড়তে চায় কানাডা
ছবি : সংগৃহীত

আর মাত্র একটি জয়। তাতেই নিশ্চিত হবে কোপা আমেরিকার ফাইনাল। টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা মঞ্চে যেতে উন্মুখ হয়ে আছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। প্রথমবারের মতো ফাইনালে যেতে মরিয়া কানাডাও। কোপা আমেরিকার প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে এই দুই দল। নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা-কানাডার লড়াই শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল ৬টায়।

তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। কোপায় উরুগুয়ের সঙ্গে যৌথভাবে সর্বাধিক ১৫ বারের চ্যাম্পিয়ন আলবিসেলেস্তারা। ধারে-ভারে কানাডার চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে মেসিরা। সেমিতে তাই আর্জেন্টিনার জয়ের পক্ষে বাজি ধরার লোকই বেশি। তাই বলে কানাডাকে বাতিলের খাতায় ফেলে দিলে তা হবে মারাত্মক ভুল। দল হিসেবে মোটেও দুর্বল নয় তারা। ইতিহাস অন্তত তাই বলে।

কানাডার শক্তিমত্তা

প্রথমবারের মতো কোপা আমেরিকায় খেলছে কানাডা। অভিষেক আসরেই সেমিতে নাম লিখিয়ে ইতোমধ্যে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে উত্তর আমেরিকার দলটি। কোপা আমেরিকা মূলত দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। এর বাইরে যেসব দল আসে, তারা আমন্ত্রিত। কানাডাও তেমনি। তবে উত্তর আমেরিকার মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের আসর কনকাকাফ গোল্ড কাপে কিন্তু কানাডার রয়েছে উজ্জ্বল ইতিহাস। নিজ মহাদেশে এই কানাডা দুইবারের চ্যাম্পিয়ন (১৯৮৫, ২০০০)। সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নের পর অবশ্য ফাইনাল খেলা হয়নি দলটির। সেমিফাইনাল খেলা হয়েছে তিনবার, কোয়ার্টার চারবার।

মুখোমুখি অবস্থান

হেড টু হেডে কানাডার চেয়ে শতভাগ এগিয়ে আর্জেন্টিনা। এখন পর্যন্ত দুই দল মোকাবিলা করেছে দুটি ম্যাচে। দুটিতেই জয় পেয়েছে মেসিরা। প্রথম জয় ২০১০ সালে। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে আর্জেন্টিনা জিতেছিল ৫-০ গোলে। দ্বিতীয় ও সর্বশেষ জয় চলমান কোপা টুর্নামেন্টেই। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে। যেখানে কানাডাকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল আর্জেন্টিনা। 

যেভাবে দুই দল সেমিতে

এ গ্রুপে তিন ম্যাচেই জয় পেয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লেখায় আর্জেন্টিনা। শুরুটা কানাডাকে ২-০ গোলে হারিয়ে। এরপর চিলির বিপক্ষে ১-০ গোলে জয়। শেষ ম্যাচে পেরুকে ২-০ গোলে হারায় স্কালোনি শিবির। তিন ম্যাচে চার গোল লাউতারো মার্তিনেজের। গোলের দেখা পাননি লিওনেল মেসি। যদিও ইনজুরির কারণে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে খেলেননি মেসি। কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হয় ইকুয়েডরের। নির্ধারিত ৯০ মিনিট ছিল ১-১ গোলে ড্র। টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনা জেতে এমিলিয়ানো মার্তিনেজের অসাধারণ দক্ষতায়। টাইব্রেকারে প্রথম শট মিস করেন মেসি।

কানাডা হার দিয়ে মিশন শুরু করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে পেরুকে হারায় ১-০ গোলে। শেষ ম্যাচে চিলির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে শেষ আটে নাম লেখায় কানাডা। আর্জেন্টিনার মতো কানাডাও কোয়ার্টারের বৈতরণী পার করে টাইব্রেকারে। প্রতিপক্ষ ছিল ভেনেজুয়েলা। নির্ধারিত ৯০ মিনিট ১-১ গোলে ড্র। টাইব্রেকারে কানাডা জেতে ৪-৩ ব্যবধানে। 

আর্জেন্টিনার টানা পঞ্চম

কোপা আমেরিকা ফুটবলে টানা পঞ্চমবারের মতো সেমিতে উঠে এসেছে আর্জেন্টিনা। ফাইনালে উঠতে পারলে তা হবে টানা দ্বিতীয়, সব মিলিয়ে ৩০তম। চলমান টুর্নামেন্টে চার ম্যাচে একটি মাত্র গোল হজম করেছে স্কালোনি শিবির। গোলপোস্টে রীতিমতো চীনের দেয়াল হয়ে আছেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে আর্জেন্টিনার জয়ের হার বেশ ভালো। মেজর টুর্নামেন্টে মার্কিন মুলুকে আর্জেন্টিনার সর্বশেষ হার ১৯৯৪ বিশ্বকাপে। যেখানে রোমানিয়ার কাছে ৩-২ গোলে হেরেছিল ম্যারাডোনা শিবির। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ৯ ম্যাচ অপরাজিত থাকা আর্জেন্টিনা এর মধ্যে গোল হজম করেছে মাত্র তিনটি। 

ইতিহাসের সামনে কানাডা

আর্জেন্টিনার সঙ্গে গ্রুপ পর্বে হারার পর মাত্র এক গোল হজম করেছে কানাডা। কনকাকাফ অঞ্চল থেকে তৃতীয় দল হিসেবে সেমিতে পা রেখেছে দলটি (হন্ডুরাস ও মেক্সিকো)। জেসে মার্শ শিবিরের সামনে প্রথমবারের মতো ফাইনালে যাওয়ার হাতছানি। মহাদেশীয় টুর্নামেন্টে কানাডার এটি পঞ্চম সেমিফাইনাল। আগের চারটির মধ্যে দুই বারই সেমি অতিক্রম করতে পেরেছে তারা। ২০০০ সালে গোল্ড কাপে, ত্রিনিদাদ এন্ড টোব্যাগোর বিরুদ্ধে ১-০ গোলে। দ্বিতীয়বার ২০২৩ সালে নেশনস লিগে পানামার বিরুদ্ধে ২-০ গোলের জয়ে।

২০০১ সালের পর কনকাকাফ অঞ্চল থেকে প্রথমবারের মতো কোনো দল ফাইনালে যাওয়ার প্রতীক্ষায়। ২৩ বছর আগে উরগুয়েকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল মেক্সিকো। কিন্তু শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে দলটি ১-০ গোলে হেরেছিল কলম্বিয়ার কাছে।

দুই দলের হালহকিকত

ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরেছেন মেসি। কোয়ার্টারে আক্রমণভাগে তার সঙ্গী ছিলেন লাউতারো মার্তিনেজ। পরে লাউতারোর বদলি হিসেবে নামেন হুলিয়ান আলভারেজ। ইকুয়েডরের বিপক্ষে শেষ আটের ম্যাচে বদলি হিসেবে দেখা যায়নি ডি মারিয়াকে। দ্বিতীয়ার্ধে এনজো ফার্নান্দেজের বদলি হিসেবে খেলেছিলেন নিকোলাস ওতামেন্ডি। এই ম্যাচে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথম গোলের দেখা পান লিসান্দ্রো মার্তিনেজ। গোলপোস্টে অতন্দ্রপ্রহরী হিসেবে আছেন এমি মার্তিনেজ। খুব বেশি রদবদল হয়তো হবে না আর্জেন্টিনার একাদশে।

সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কানাডা হয়তো পাবে না তাজন বুকাননকে। ইন্টার মিলানের হয়ে খেলা এই ফুটবলার ইনজুরিতে পড়েন কোয়ার্টারে ভেনেজুয়েলার ম্যাচের ঠিক এক দিন আগে। কোয়ার্টারে কানাডার একাদশে নতুন মুখ হিসেবে দেখা গিয়েছিল আল আহমেদকে। কানাডার হয়ে চলতি টুর্নামেন্টে দুটি গোল করা জ্যাকব শাফেলবার্গ বড় ভরসার জায়গা।

সম্ভাব্য একাদশ 

আর্জেন্টিনা: এমি মার্তিনেজ, মলিনো, রোমেরো, লাসিন্দ্রো মার্তিনেজ, তাগলিয়াফিকো, ডি পল, ম্যাক অ্যালিস্টার, সেলসো, গঞ্জালেজ, মেসি, লাউতারো মার্তিনেজ।

কানাডা: ক্রেপিউ, জনস্টন, বম্বিতো, কর্নেলিয়াস, ডেভিস, ওসোরিও, ফাসতাকিও, লারেয়া, ডেভিড, শেফেলবার্গ, লারিন। 

টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন হাসারাঙ্গা

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৫:৪৯ পিএম
টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন হাসারাঙ্গা
ছবি : সংগৃহীত

ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর ফুরফুরে মেজাজে থাকা শ্রীলঙ্কা দল পেল দুঃসংবাদ। টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাঠে নামার আগেই ছিটকে গেছেন অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। 

ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে চোট পান তিনি। সেই চোটেই মূলত এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার খেলতে পারবেন না টি-টোয়েন্টিতে। সাদা বলের দুই সংস্করণেই শ্রীলঙ্কা দলে কার্যকরি ভূমিকা রাখেন হাসারাঙ্গা। তাকে ছাড়াই টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাঠে নামা বড় ধাক্কা স্বাগতিকদের জন্য।

চোটে পড়ার কারণে স্কোয়াড ছেড়ে ইতোমধ্যেই তিনি চলে গেছে কলম্বোতে। হাই-পারফরম্যান্স সেন্টারে রিহ্যাব করবেন সেরে উঠতে। এখনও তার বিকল্প কাউকে দলে নেওয়ার ঘোষণা দেয়নি শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড।

আগামী ১০ জুলাই থেকে শুরু হবে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। প্রথম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ক্যান্ডিতে। দ্বিতীয় ম্যাচ ডাম্বুলায় ১৩ জুলাই। আর তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি কলম্বোতে অনুষ্ঠিত হবে ১৬ জুলাই।

শ্রীলঙ্কা স্কোয়াড

চারিথ আসালাঙ্কা (অধিনায়ক), পাথুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, দিনেশ চান্ডিমাল, কুশল পেরেরা, কামিন্দু মেন্ডিস, আভিষ্কা ফার্নান্ডো, দাসুন শানাকা, দুনিত ভেল্লালাগে, মাহিশ থিকশানা, জেফ্রি ভ্যান্ডারসে, চামিকা করুনারত্নে, মাতিশা পাতিরানা, নুয়ান তুষারা, বিনুরা ফার্নান্ডো, ঈশান মালিঙ্গা।

 

ক্রিকেটাররা কিসের চাপে থাকে জানেন না আকরাম খান

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৪:৪৯ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৪:৫০ পিএম
ক্রিকেটাররা কিসের চাপে থাকে জানেন না আকরাম খান
ছবি : ফাইল

ব্যাটারদের ব্যর্থতায় শ্রীলঙ্কার মাটিতে টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজেও হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। গতরাতে (৮ জুলাই) তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ৯৯ রানে হেরে সিরিজে বাংলাদেশ পরাজিত ২-১ ব্যবধানে।

পুরো সিরিজে দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে ব্যর্থ হয়েছেন সফরকারীদের ব্যাটাররা। যারা অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন তারা ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হয়েছেন, নয়তো ব্যাট করেছেন ধীরগতিতে। যা ভুগিয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের দলকে।

বুধবার (৯ জুলাই) মিরপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ব্যাটারদের এমন ব্যর্থতায় আক্ষেপ করেছেন বিসিবি পরিচালক আকরাম  খান। তিনি মনে করেন, স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারছেন না ক্রিকেটাররা। 

আকরাম খান বলেন, ‘আমাদের ব্যাটারদের ব্যাটিং দেখে আমার কাছে মনে হচ্ছে, স্বাভাবিক যে ক্রিকেটটা, যেটা আমরা ঢাকা লিগে খেলি বা এখানে খেলি, সেটা খেলছে না। হয়তো ওভার কনসাস। আমার কাছে মনে হচ্ছে না তারা মানসিকভাবে ফিট। হয়তো অনেক চাপ নিয়ে নিচ্ছে।’

এতটা চাপ কেন নিচ্ছেন ক্রিকেটাররা, সেটি বুঝতে পারছেন না আকরাম, ‘দূর থেকে খেলা দেখে আমার মনে হচ্ছে, খেলোয়াড়রা অতিরিক্ত চাপে থাকে। কিসের জন্য চাপে থাকে, আমি জানি না। কিন্তু আপনি বেশি চাপে থাকলে স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলতে পারবেন না। ওদের ব্যাটিং স্টাইল দেখে, কিছু ভুল দেখে, অ্যাটিটিউড দেখে মনে হচ্ছে না তারা স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলছে।’

আকরামের অসন্তুষ্টি কেবল ব্যাটিং নিয়ে নয়, তিনি অসন্তুষ্ট ক্রিকেটারদের আচরণ নিয়েও। বিশেষ করে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে রানআউটের পর তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাট ছুটে মারার ঘটনায় তিনি বলেন, ‘কিছু অ্যাটিটিউডও আছে, যেগুলো দলে প্রভাব ফেলে। কেউ রান আউট হয়ে এমন অ্যাটিটিউড করছে...এখানে কিন্তু কেউ সেরা খেলোয়াড় না, যারা খেলে সবাই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। এসব করলে টিম কিন্তু দিন দিন নেগেটিভ দিকেই যাবে। প্রপার ক্রিকেট খেলতে হলে আপনাকে সবকিছুতেই উন্নতি করতে হবে।’

সিরিজের তিন ম্যাচের সবকটিতে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ দল। কোনো ম্যাচেই করতে পারেনি পুরো ৫০ ওভার ব্যাটিং। বোলারদের কিছু রানে সম্মানজনক পুঁজি পেয়েছে ম্যাচগুলোতে। যেমন দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তানজিম হাসান সাকিব আটে নেমে ২১ বলে ৩৩ রান করেছিলেন। 

মূল ব্যাটারদের পারফরম্যান্স নিয়ে নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে আকরাম বলেন, ‘এগুলো হলো ভেরি নরমাল বেসিক, ব্যাটারদের জন্য। এগুলো করতেই হবে। অন্য দলগুলো, যারা (ভালো) খেলে, তাদের মধ্যে এই ভুলগুলো পাবেন না। হয়তো ওরা ম্যাচ হারে, জেতে (কিন্তু এমন সমস্যা তাদের নেই)। এই সমস্যাগুলো বিরাট হয়ে দাঁড়াচ্ছে। একটা–দুইটা ম্যাচে হলে ঠিক আছে, কিন্তু দিন দিন এটা হয়েই যাচ্ছে—গত দুই বছর থেকে আমি দেখছি ব্যাটসম্যানদের বিরাট সমস্যা। এখান থেকে বের হতেই হবে। নয়তো আপনি পারফর্ম করতে পারবেন না, চাপে পড়বেন, সবকিছু নেতিবাচক হবে।’

‘দাঁড়িতে নিয়মিত কলপ করতে হলেই বুঝবেন সময় হয়ে গেছে’

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৪:০৪ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৪:০৪ পিএম
‘দাঁড়িতে নিয়মিত কলপ করতে হলেই বুঝবেন সময় হয়ে গেছে’
ছবি : সংগৃহীত

গেল মে মাসের ১২ তারিখ টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন ভারতের ক্রিকেটার বিরাট কোহলি। তার এমন সিদ্ধান্তে অনেকে অবাক হলেও, তার কাছে এটাই ছিল বিদায় জানানোর সঠিক সময়।

তবে জল্পনা কম হয়নি তার অবসর নিয়ে। অবসরের কারণ জানার আগ্রহে কোনো কমতি ছিল না ভক্ত ও সমর্থকদের। টেস্টের ধকল নিতে কষ্ট হচ্ছে নাকি বাধ্য করা হয়েছিল, দুটি প্রশ্ন ঘোরপাক খেয়েছিল বেশ কিছুদিন।

বর্তমানে টেস্ট সিরিজ খেলতে ভারতীয় দল ইংল্যান্ডে। উইম্বলডন উপভোগ করে সস্ত্রীক লন্ডনে আছেন কোহলিও। সেখানেই যুবরাজ সিংয়ের ‘ইউ উই ক্যান’ ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে নিজের অবসর নিয়ে মহার মজার ছলে বলেন, ‘দু’দিন আগেই দাড়িতে কলপ করলাম। যখন চারদিন পরপর দাড়িতে কলপ করতে হয়, তখন বুঝতে হবে সময় এসে গিয়েছে।”

ফিটনেসের দিক থেকে কোহলি ছাড়িয়ে যান অনেক তরুণ ক্রিকেটারকেও। এরপরও তিনি কেন এমন কথা বলেছেন অবসর প্রসঙ্গে, সেটি নিয়েও চলছে জল্পনা। অনেকেই ভাবছেন যে প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর তরুণ ক্রিকেটারদের বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কারণেই তিনি খোঁচা দিয়ে এমন জবাব দিয়েছেন।

যুবরাজ সিংয়ের সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল বিশ্ব ক্রিকেটের একাধিক সাবেক তারকা। রবি শাস্ত্রী, শচীন টেন্ডুলকর, কেভিন পিটারসেন এমনকী ব্রায়ান লারার মতো কিংবদন্তিরাও উপস্থিত ছিলেন। 

সাবকে কোচ রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে রসায়ন নিয়ে কোহলি বলেন, ‘ওর সঙ্গে কাজ না করলে টেস্ট ক্রিকেটে যা করেছি, তা হতো না। আমাদের মধ্যে একটা বোঝাপড়া ছিল। উনি যদি আমার পাশে না দাঁড়াতেন, সমালোচনা সহ্য না করতেন, তাহলে পরিস্থিতি হয়তো অন্যরকম হতো। আমার ক্রিকেট সফরে ওর বিরাট অবদান।’

ভারতীয় দলে অভিষেকের সময় যুবরাজ বড় তারকা। সেই যুবরাজের সঙ্গে অনেকটা সময় খেলেছেন তিনি। সেই কথাও জানিয়েছেন কোহলি। তিনি বলেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার সময় প্রথম যুবরাজের সঙ্গে পরিচয়। ভারতের হয়ে যখন খেলা শুরু করেছিলাম, তখন যুবরাজ, জহির, হরভজনের মতো সিনিয়রকে পেয়েছি। ওরা আমাকে অনেক পরামর্শ দিয়েছে। ওদের সঙ্গে মাঠে অনেক ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছি। যুবরাজ কী ভাবে ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করে ফিরে এসেছে তা দেখেছি।’

কথা বলেছেন যুবরাজের ক্যান্সারের খবর শোনার পর নিজের অনুভূতি নিয়েও, ‘আমাদের মধ্যে মাঠে ও মাঠের বাইরে দারুণ বন্ধুত্ব ছিল। প্রচুর মজা করেছি। বিশ্বকাপের সময় ওকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। তারপর যখন আমরা ক্যানসারের বিষয়ে জানতে পারলাম, তখন চমকে গিয়েছিলাম। এত কাছে থেকেও আমাদের কোনও ধারণা ছিল না। তারপর ও ক্যানসারের সঙ্গে লড়ে কামব্যাক করেছে, সে জন্যই ও চ্যাম্পিয়ন।’

ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে মাঠে থাকবেন ট্রাম্প

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:২৯ পিএম
ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে মাঠে থাকবেন ট্রাম্প
ছবি : সংগৃহীত

আগামী ১৪ জুলাই ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল উপভোগ করতে নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকবেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) হোয়াইট হাউসে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এমন ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

ইতোমধ্যেই সেই ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়ে গেছে চেলসি। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আজ (৯ জুলাই) মুখোমুখি হবে পিএসজি ও রিয়াল মাদ্রিদ। দু দলের মধ্যে যে দল জিতবে তারা চেলসিকে পাবে ফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে।

ফাইনালে মাঠে থাক্র ব্যাপারে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমি খেলাটা দেখতে যাচ্ছি।’

এর আগে সোমবার ডাজন-এর এক সম্প্রচারে উপস্থাপক এমিলি অস্টিন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ফাইনালে ট্রাম্প থাকতে পারেন। চলতি বছরের মার্চেই ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো হোয়াইট হাউস সফরে গিয়ে ফাইনাল ম্যাচে মাঠে থাকার দাওয়াত দেন।

নিউ জার্সির গভর্নর ফিল মারফিও জুনের শুরুতে প্রেসিডেন্টকে ম্যাচে আমন্ত্রণ জানান। সেই সময় মারফি বলেছিলেন, ‘আমি জানি না উনি আসতে পারবেন কি না।’

তবে ট্রাম্প নিজেই নিশ্চিত করে দিলেন যে তিনি থাকছেন ফাইনালের গ্যালারিতে। গেল কয়েকমাস ধরেই তিনি বিভিন্ন স্পোর্টস ইভেন্টে যাচ্ছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে নিউ অরলিন্সে সুপার বোল দেখতে গিয়ে রেকর্ড গড়েছেন। তিনিই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট যিনি সুপার বোলের ম্যাচে গিয়েছেন।

ড্রাগ-অস্ত্রের শহরে ফুটবল ফেরারি

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০২:০০ পিএম
ড্রাগ-অস্ত্রের শহরে ফুটবল ফেরারি
ছবি : সংগৃহীত

রোজারিও আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস এইরেস থেকে ৩০০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত একটি শহর, যা বর্তমানে ড্রাগ ও অপরাধচক্রের দখলে। বহু বছর ধরেই এই শহরে সহিংসতা ও অপরাধের মাত্রা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে চলেছে। যেই শহরটি অপরাধীদের অভয়ারণ্য, সেখানকার ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রালে যোগ দিলেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। যে কাজটি বাকি সেটা করতেই শৈশবের ক্লাবের ফেরা বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টাইন তারকার।

নিজের শিকড়ে ফিরে অশ্রুসিক্ত ডি মারিয়া বলেন, ‘সেন্ট্রালের হয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়াটাই এখন বাকি।’ ১৮ বছর আগে রোজারিওতে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মেসির সাবেক সতীর্থ। শৈশবের স্মৃতিতে ফিরে ৩৭ বছর বয়সী ডি মারিয়া বলেন, ‘এই দীর্ঘ সময় পর বাড়ি ফিরে আসাটা খুবই বিশেষ একটি অনুভূতি। আমি যা চেয়েছিলাম, সেটাই পূরণ হয়েছে, আবার সেন্ট্রালের হয়ে খেলতে পারব। সেন্ট্রালের হয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়াটাই এখন বাকি।’

ডি মারিয়া বহুবার বলেছেন তিনি সেন্ট্রালে ফিরতে চান, কিন্তু ড্রাগ গ্যাংয়ের পক্ষ থেকে মৃত্যুর হুমকি পেয়ে পরিবার নিয়ে ফিরে যেতে সাহস পাচ্ছিলেন না। তবে এবার সেই বাধা ভেঙে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতেই ফিরে এলেন। এ যেন জীবনকালেই মৃত্যুভয় জয়। রোজারিওতে অনুশীলন শেষে তার উপলব্ধি ছিল এমন, ‘যখন অনুশীলনে নামলাম, সবকিছুই অবিশ্বাস্য লাগছিল। প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি আমি।’

ডি মারিয়া মাত্র চার বছর বয়সে রোজারিও সেন্ট্রালের একাডেমিতে যোগ দেন। ২০০৫ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে তার পেশাদার ক্যারিয়ারের অভিষেক হয়। ২০০৭ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ জয়ের পর তাকে পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকাতে বিক্রি করে দেয় রোজারিও। তার পরের পথচলা ছিল দুর্দান্ত। রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, পিএসজি, জুভেন্টাস, পুনরায় বেনফিকা- দীর্ঘ পথচলায় ইতোমধ্যে জয় করেছেন ৩০টি শিরোপা। 

২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে গোল করেছিলেন ডি মারিয়া। ২০২১ ও ২০২৪ কোপা আমেরিকা জয়ী দলেরও সদস্য ছিলেন। সব শেষ তিনি বেনফিকার হয়ে ক্লাব বিশ্বকাপে খেলেছেন এবং তিনটি গোল করেন, যদিও তার দল রাউন্ড অফ ১৬-এ চেলসির কাছে হেরে যায়। এখন ক্যারিয়ারের শেষভাগটা উপভোগের অপেক্ষায় এই আর্জেন্টাইন, ‘এই মুহূর্তে আমি শুধু খেলতে চাই, উপভোগ করতে চাই। যত দিন পারি, নিজের সেরাটা দিতে চাই। অবসরের চিন্তা এখন মাথায় নেই।’