শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দইন চুপ্পু। এরপর থেকে সাকিব আল হাসান হয়ে গেছেন শুধুমাত্র ক্রিকেটার। এখন আর তিনি সংসদ সদস্য নন। আছেন পাকিস্তান সফরের দলেও। আজ জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজ়ী আশরাফ হোসেন লিপু জানিয়েছেন, জাতীয় দলে থাকা অবস্থায় কেউ যাতে রাজনীতি করতে না পারে সেই সিদ্ধান্ত আসছে দ্রুতই।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাকিব আল হাসান ছাত্রদের পক্ষে কোনো কথা না বলায় ভক্তরা বেজায় চটেছিলেন সাকিবের ওপর। কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে এক ভক্তের প্রশ্নের জবাবে পাল্টা প্রশ্ন করে বসেন, ‘দেশের জন্য আপনি কি করেছেন?’ স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছিলেন সাফারি পার্কে।
সোমবার (১২ আগস্ট) মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসে পাকিস্তান সফরে সাকিবকে অন্তর্ভূক্তির ব্যাপারে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ বলেন, ‘অবশ্যই বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমরা চিন্তিত। তার নিরাপত্তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের একজন টপ প্লেয়ার। সিলেকশনের ক্ষেত্রে আমরা ভেবেছি, যেহেতু তিনি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। মূলত তার মেধার বিবেচনায় তাকে দলে নেওয়া হয়েছে।’
মাশরাফি বিন মুর্তজা ২০১৮ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে হয়েছিলেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য। একইভাবে ২০২৪ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে মাগুরা-১ আসনের সাংসদ নির্বাচিত হন সাকিব। তবে অনেকদিন ধরেই আলোচনা চলছিল ক্রিকেটীয় জীবন থেকে অবসরে যাওয়ার আগে কেউ রাজনীতিতে যোগ দিতে পারেন কিনা।
এই ব্যাপারে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ বললেন, তারা এবার বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন, ‘যে সংস্কারের ছোঁয়া লেগেছে, তা এগিয়ে যাবে। কেউ জাতীয় দলে থাকা অবস্থায় রাজনীতি করতে পারবেন না, এটা নিয়েও হয়তো কোনো সিদ্ধান্ত আসবে। কোনো রাজনৈতিক দলেরও কি উচিত কোনো রানিং খেলোয়াড়কে তাদের দলে নেওয়া?’