ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

‘উড়ে এসে জুড়ে বসিনি’

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ০৮:২১ এএম
‘উড়ে এসে জুড়ে বসিনি’
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে যখন সোচ্চার একদল ফুটবল সমর্থক, ঠিক সেই সময়ই নীরবতা ভেঙেছেন কিংবদন্তি এই ফুটবলার। ২০০৮ সাল থেকে বাফুফে সভাপতির পদে থাকা সালাউদ্দিন পদত্যাগের দাবি রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছেন। বরং দুই মাস পর হতে যাওয়া বাফুফে নির্বাচনে টানা পঞ্চমবারের মতো প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। গতকাল সন্ধ্যায় খবরের কাগজের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি আন্দোলনকারী ও তাদের দাবি, উভয় বিষয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। সেই সঙ্গে খেলোয়াড় হিসেবে দেশের ফুটবলে তার অবদানের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘আমি কিন্তু উড়ে এসে জুড়ে বসিনি।’

কাজী সালাউদ্দিনের বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হতে আর খুব বেশি দিন বাকি নেই। আগামী ৩ অক্টোবরই শেষ হবে তার বর্তমান কমিটির মেয়াদ। এরই মধ্যে নির্বাচনের প্রাথমিক দিনক্ষণও ঘোষণা করেছে বাফুফে। সব ঠিক থাকলে আগামী ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বাফুফের নির্বাচন। কিন্তু গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিভিন্ন সংস্থায় শীর্ষ পদে হচ্ছে রদবদল। অনেক প্রতিষ্ঠানে নেতৃত্ব বদলের জন্য চলছে আন্দোলন। সরকার পতনের পর থেকেই ‘বাংলাদেশি ফুটবল আলট্রাস’ ব্যানারে বাফুফে সভাপতি সালাউদ্দিনের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছে একদল সমর্থক। বাফুফে ভবনের সামনে বিক্ষোভ থেকে শুরু করে ‘মার্চ টু বাফুফে’র মতো কর্মসূচিও তারা করেছে। তাদের দাবি, ফিফার আইনের বাধ্যবাধকতার কারণে যদি পদত্যাগ করতে না পারেন, তাহলে অন্তত আগামী নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা যাতে দেন কাজী সালাউদ্দিন। এমন প্রেক্ষাপটে রক্ষণাত্মক নয়, আক্রমণাত্মক কৌশলই অবলম্বন করছেন সালাউদ্দিন। সরাসরি বলেছেন, ‘এরা (আন্দোলনকারী) ফুটবলের কেউ না। এরা সাইফ পাওয়ার টেকের লোক। ফুটবল খেলতে এসে যারা চলে গেছে (২০২২ সালে বিলুপ্ত হয় প্রতিষ্ঠানটির ক্লাব সাইফ স্পোর্টিং)। সে (ক্লাবের কর্ণধার তরফদার রুহুল আমিন) এসেছিল ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি হওয়ার জন্য। এরা (আন্দোলনকারী) তো তাদের সাপোর্টার। তাদের লোকজন এরা। ফুটবলের কেউ না।’

আন্দোলনকারীদের দাবির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সালাউদ্দিন বলেন, ‘তাদের দাবিটা কি দেখুন? আমি যেন পদত্যাগ করি এবং আমি যেন নির্বাচন না করি। আমি পদত্যাগ না করলে আমাকে রাস্তাঘাটে মারবে। আমি নির্বাচন করব কী করব না, এ নিয়ে কি আমাকে কারও কাছে কৈফিয়ত দিতে হবে?’ সালাউদ্দিন বলে যান, ‘আপনি কিন্তু একটা জিনিস ভুলে গেছেন, আমি কিন্তু একাত্তরে স্বাধীন বাংলা ফুটবলের খেলোয়াড় এবং আমি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছি। আমি ১৩ বছর জাতীয় দলে খেলেছি। আমি কিন্তু উড়ে এসে জুড়ে বসিনি।’

সালাউদ্দিন আরও বলেন, ‘আমি ২০০৮ সালে নির্বাচন করেছি আওয়ামী লীগ ট্যাগের প্যানেলের বিপক্ষে। বাদল রায়, হারুনুর রশিদ, সালাম মুর্শেদী, কাজী নাবিলদের বিপক্ষ প্যানেলে আমি লড়েছি। আমি দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনে (সাফ) চারবার নির্বাচন করে নির্বাচিত হয়েছি। যেখানে ভারত, পাকিস্তানের সবাই আছে। ওখানেও আমি জিতেছি। তার মানে আমার ফুটবলের ব্যাকগ্রাউন্ড আছে। তো কারা এরা, যারা আমাকে মারবে, যদি আমি নির্বাচন করি? আমার তো মনে হয় না আমার এটা মানার কোনো কারণ আছে। আমি নির্বাচনে হারতে পারি, সেটা কোনো ব্যাপার না। কিন্তু আমাকে মারবে, এটা কোন ধরনের কথা?’

এ ধরনের হুমকির বিষয় চাইলেই ফিফাকে অবহিত করতে পারেন সালাউদ্দিন। কিন্তু তিনি সেই পথে হাঁটবেন না বলে জানালেন, ‘আমি তো চেষ্টা করব আমার দেশ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। আমি দেশকে সাসপেন্ড করে টিকে থাকতে চাইব না। আমি তো নির্বাচন দিয়েই দিয়েছি। ২৬ অক্টোবর নির্বাচনের তারিখ দিয়েছি। এখন আপনি যদি বদল চান, তাহলে একটাই উপায়, নির্বাচন।’

টানা চার মেয়াদে বাফুফে সভাপতির পদ সামলাচ্ছেন সালাউদ্দিন। অনেকে বলেন, ফুটবলার হিসেবে কিংবদন্তি হলেও বাফুফে সভাপতি হিসেবে চূড়ান্ত ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। তার এক সময়ের সতীর্থরাও দীর্ঘদিন ধরে তাকে ব্যর্থ বলে আসছেন। কিন্তু এরপরও সালাউদ্দিন দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থার সবচেয়ে শীর্ষ চেয়ারে আছেন বহাল তবিয়তে। এটাও ঠিক যে তিনি বারবারই নির্বাচিত হয়েছেন। যত সমালোচনাই হোক, কাউন্সিলররা নিজেদের ভোটটা ঠিকই তাকে দিয়েছেন। 

অনেকে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে বাফুফে চেয়ারে থেকে গেছেন সালাউদ্দিন। কিন্তু সালাউদ্দিন এমন ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন। তার দাবি, ‘জিয়াউর রহমান সাহেবের সরকার কিন্তু আমাকে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার দিয়েছে। এরশাদ সাহেবের সরকার আমাকে প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে। এরপর বিএনপি সরকার আমাকে দেশের সবচেয়ে বড় পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কার দিয়েছে। এরপর এল আওয়ামী লীগ সরকার। তারা আমাকে শেখ কামাল আজীবন সম্মাননা পুরস্কার দিয়েছে। আমি কোনো রাজনীতিও করিনি। কোনো দিন সংসদ সদস্য হওয়ার জন্যও আবেদন করিনি। আমি সাধারণ একজন ফুটবলার।’ এরপর তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘১৩ বছর আমি জাতীয় দলে খেলেছি, জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলাম। এসবের কি কোনো দাম নেই?’ যোগ করেন, ‘আমি একাত্তরে যুদ্ধে গিয়েছি, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলে খেলেছি, আমি তো অন্যদের মতো উড়ে এসে জুড়ে বসিনি।’

বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে নিয়ে সমালোচনাকারী একটি গোষ্ঠীই আছে বলা চলে। সেই সব মহল থেকে নানাভাবে ব্যক্তিগত আক্রমণও করা হয় তাকে। কাজী সালাউদ্দিনকে কি এসব কষ্ট দেয়? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যদি না দেয় তাহলে তো আমি মানুষ না।’ আর আসছে নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না জানতে চাইলে বলেন, ‘আমি নির্বাচন করতেছি। আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখছে নির্বাচন করব।’

টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজও হারল বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ১০:৩৭ পিএম
টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজও হারল বাংলাদেশ
ছবি: সংগৃহীত

একটা জয়ে ফিরতে পারে হারানো আত্মবিশ্বাস- এমন ধারণা ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে নিয়ে। হ্যাঁ, প্রয়োজনীয় সেই জয়ে এসেছে কিন্তু বাংলাদেশ হয়নি আত্মবিশ্বাসী। ফলস্বরূপ লঙ্কান দ্বীপে আরও একটি সিরিজ হারের গল্প লিখেছে টিম টাইগার্স।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ক্যান্ডিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে ৯৯ রানের ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে স্বাগতিকরা তাদের খাতায় যোগ করে ৭ উইকেটে ২৮৫। লক্ষ্য তাড়ায় কখনোই জয়ের পথে ছিল না বাংলাদেশ। নিদারুণ ব্যাটিংয়ে ৩৯.৪ ওভারে অলআউট হয় ১৮৬ রানে।

শ্রীলঙ্কার মাটিতে কখনোই ওয়ানডে সিরিজ জিতেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এ যাত্রায় কলম্বোয় প্রথম ওয়ানডে হারে ৭৭ রানে। একই ভেন্যুতে ১৬ রানের জয়ে সমতায় ফেরে সফরকারীরা। তাতে প্রথমবার সিরিজ জয়ের সুযোগ আসে। তবে আত্মবিশ্বাস হারানো বাংলাদেশ দল আরও একবার ব্যর্থ হলো ২২ গজে।

লক্ষ্য তাড়ায় টাইগার ব্যাটাররা উপহার দেয় উদাসীন ব্যাটিং। দায়িত্ব নিয়ে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি কেউই। সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন তাওহিদ হৃদয়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন এবং অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। সাবেক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত মারেন ডাক। শ্রীলঙ্কার হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন আসিথা ফার্নান্দো এবং দুস্মান্থা চামিরা। দুনিথ ভাল্লালাগে এবং ভানিন্দু হাসারাঙ্গা ২টি করে পান।

১-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ হেরে শ্রীলঙ্কা সফর শুরু করে বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজ হারল ২-১ ব্যবধানে। এরপর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দুই দল, যা শুরু হবে আগামী ১০ জুলাই।

 

কুশল মেন্ডিসের ব্যাটে এগোচ্ছে শ্রীলঙ্কা

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৫:৪২ পিএম
কুশল মেন্ডিসের ব্যাটে এগোচ্ছে শ্রীলঙ্কা
ছবি : সংগৃহীত

ছোট ছোট জুটি গড়ে এগোচ্ছে শ্রীলঙ্কা। ১০০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা ভারসাম্য হারালেও এখন আবার ঠিকঠাক এগোচ্ছে কুশল মেন্ডিসের ব্যাটে। ৩৪ ওভারের খেলা শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৮২ রান।

দলীয় ১৩ রানে তানজিম হাসান সাকিবের বলে নিশান মাদুশাঙ্কা ১ রান করে ক্যাচ দেন নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। তৃতীয় উইকেটে ৫৬ রানের জুটি গড়েন পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। 

সেই জুটিতে দলীয় ৬৯ রানে বাধ সাধেন আগের ম্যাচে ফাইফার নিয়ে নায়ক বনে যাওয়া তানভীর ইসলাম। বড় শট খেলার প্রচেষ্টায় বাউন্ডারি পারভেজ হোসেন ইমনের হাতে ধরা পড়েন ৩৫ রান করা নিশাঙ্কা।

এরপর আরও একটি ছোট জুটি হয় কামিন্দু মেন্ডিসের সঙ্গে কুশল মেন্ডিসের। দুই মেন্ডিসের জুটি ভাঙেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩১ রানের জুটিটি ভাঙে কামিন্দু মিরাজের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়লে। ১০০ রানে তাতে তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে।।

তবে একপ্রান্ত আগলে রাখা কুশল মেন্ডিস ইঙ্গিত দিচ্ছেন দলের বড় সংগ্রহের। অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কাকে নিয়ে এখন পর্যন্ত গড়েছেন ৮২ রানের জুটি। ৮৫ রানে অপরাজিত কুশল অপেক্ষায় আছেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ওয়ানডে শতকের। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আসালাঙ্কা অপরাজিত আছেন ৪২ রানে।

বাবর-শাহিনদের ছাড়াই বাংলাদেশে আসছে পাকিস্তান দল

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৪:৪৪ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৪:৫১ পিএম
বাবর-শাহিনদের ছাড়াই বাংলাদেশে আসছে পাকিস্তান দল
ছবি : সংগৃহীত

চলতি মাসেই বাংলাদেশ সফরে আসছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের মাটিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দলটি। সেই সিরিজকে সামনে রেখে স্কোয়াড ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। 

ঘোষিত এই স্কোয়াডে জায়গা হয়নি বাবর আজম, শাহিন শাহ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের। বেশ কিছুদিন ধরেই তারা উপেক্ষিত পাকিস্তান দলে।

১৫ সদস্যের স্কোয়াডের নেতৃত্বে রয়েছেন যথারীতি সালমান আলী আঘা। দলে ফিরেছে মোহাম্মদ নওয়াজ, আব্বাস আফ্রিদি ও সুফিয়ান হাকিম। নতুন মুখ সালমান মির্জা। 

চোটে পড়ে দলে সুযোগ পাননি পেসার হারিস রউফ। ঘরের মাঠে অবশ্য তিনি খেলেছিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। টানা তিন সিরিজে দলে রাখা হয়নি বাবর, রিজওয়ান ও শাহিনকে।

আগামী ১৬ জুলাই ঢাকা আসবে পাকিস্তান দল। মিরপুর শেরেবাংলায় ম্যাচ তিনটি হবে ২০,২২ ও ২৪ জুলাই। সবগুলো ম্যাচ শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। 

পাকিস্তানের মাটিতে গিয়ে সবশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশ। লড়াইটা এবার তাই প্রতিশোধেরও!

পাকিস্তান স্কোয়াড: সাইম আইয়ুব, ফখর জামান, মোহাম্মদ হারিস, হাসান নাওয়াজ, সালমান আলী আগা (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নাওয়াজ, খুশদিল শাহ, ফাহিম আশরাফ, আব্বাস আফ্রিদি, আবরার আহমেদ, সাহিবজাদা ফারহান, হুসাইন তালাত, সুফিয়ান মুকিম, আহমেদ দানিয়াল ও সালমান মির্জা।

ক্লাব বিশ্বকাপ এবার ফাইনালে ওঠার লড়াই

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩৪ পিএম
এবার ফাইনালে ওঠার লড়াই
ছবি : সংগৃহীত

৩২ দলের রোমাঞ্চকর লড়াই শেষে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ এখন এসে দাঁড়িয়েছে শেষ চারে। শিরোপা জয়ের দৌড়ে টিকে আছে চার দল-ফ্লুমিনেন্স, চেলসি, পিএসজি ও রিয়াল মাদ্রিদ। এর মধ্যে থেকেই উঠে আসবে এবারকার বিশ্বসেরা ক্লাব।

সেমিফাইনালের প্রথম ম্যাচে আজ মঙ্গলবার রাতে মাঠে নামবে ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্স ও ইংলিশ ক্লাব চেলসি। আর এক দিন পর, বুধবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই ইউরোপিয়ান জায়ান্ট পিএসজি ও রিয়াল মাদ্রিদ। 

টুর্নামেন্টে ব্রাজিল থেকে অংশ নিয়েছিল চারটি ক্লাব। গ্রুপ পর্বে তারা সবাই দারুণ চমক দেখিয়ে পৌঁছায় শেষ ষোলোয়। সেখান থেকে ফ্লুমিনেন্স ও পালমেইরাস জায়গা করে নেয় কোয়ার্টার ফাইনালে। যদিও পালমেইরাস থেমে যায় শেষ আটেই, একমাত্র ব্রাজিলিয়ান প্রতিনিধি হিসেবে এখন টিকে আছে কেবল ফ্লুমিনেন্স।

অন্যদিকে, ইউরোপীয় দলগুলোর শুরুটা কিছুটা নড়বড়ে হলেও সময়ের সঙ্গে তারা নিজেদের মেলে ধরেছে। শেষ ষোলো থেকে নিজেদের চেনা ছন্দে ফেরে রিয়াল, চেলসি ও পিএসজি। ফলাফল, শেষ চার দলের তিনটিই ইউরোপের।

এ পরিস্থিতিতে একটি অল-ইউরোপিয়ান ফাইনালের সম্ভাবনা যেমন জোরালো, তেমনি দক্ষিণ আমেরিকা বনাম ইউরোপ মহারণেরও সুযোগ আছে। আর সেটা হতে হলে আজ চেলসিকে হারাতে হবে ফ্লুমিনেন্সকে।

শেষ ষোলোয় ইন্টার মিলানকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল ফ্লুমিনেন্স। সেই পারফরম্যান্স যদি আবার ফুটে ওঠে, তবে চেলসির পথ কঠিন হতে পারে। এখন দেখার, ফ্লুমিনেন্স কি পারবে আরেকটি চমক উপহার দিতে?

কার হাতে উঠবে গোল্ডেন বুট?

টুর্নামেন্টের সেরা গোলদাতার খেতাব গোল্ডেন বুট জয়ের লড়াইয়েও জমে উঠেছে উত্তেজনা। এ মুহূর্তে প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে আলোচনায় থাকা দুই নাম রিয়াল মাদ্রিদের তরুণ ফরোয়ার্ড গনসালো গার্সিয়া এবং চেলসির উইঙ্গার পেদ্রো নেতো।

২১ বছর বয়সী গার্সিয়া যেন এই বিশ্বকাপের বিস্ময়! রিয়ালের হয়ে এখন পর্যন্ত প্রতিটি ম্যাচেই রেখেছেন সরাসরি অবদান, ৪ গোল ও ১ অ্যাসিস্ট। তার পারফরম্যান্স বলছে, গোল্ডেন বুট জয়ের দৌড়ে তিনিই সবচেয়ে এগিয়ে। গার্সিয়ার মতো ৪ গোল করে টুর্নামেন্ট থেকে আগেই বিদায় নিয়েছেন বেনফিকার আনহেল দি মারিয়া, আল হিলালের মার্কোস লিওনার্দো এবং বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের সেরহু গিরাসি। অর্থাৎ তাদের গোলসংখ্যা বাড়ার আর সুযোগ নেই।

তবে গার্সিয়ার এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এখন একমাত্র টিকে আছেন পেদ্রো নেতো। তিনিও করেছেন ৩ গোল। চেলসি যদি ফাইনাল পর্যন্ত যেতে পারে এবং নেতো নিজেও ছন্দে থাকেন, তাহলে তিনিও দারুণভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন গার্সিয়ার সঙ্গে।

অলিখিত ফাইনালে আগে ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কা

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০২:৩০ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০২:৪৮ পিএম
অলিখিত ফাইনালে আগে ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কা
ছবি : সংগৃহীত

পাল্লেকেলেতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। এই ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় মাঠে গড়াবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে।

বাংলাদেশ একাদশে আছে এক পরিবর্তন। গত ম্যাচে ওয়ার্কলোডের কারণে বিশ্রামে থাকা তাসকিন আহমেদ একাদশে ফিরেছেন।

এক ম্যাচ বিরতি দিয়ে একাদশে ফিরেছেন এই ডানহাতি পেসার। অন্যদিকে নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে ছিল খানিকটা দুশ্চিন্তা। ম্যাচের আগে ফিটনেস টেস্টে উতরে যাওয়ায় তাকে একাদশে রেখেছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার একাদশে কোনো পরিবর্তন নেই।

বাংলাদেশ একাদশ

তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, নাজমুল হোসেন শান্ত, শামীম পাটোয়ারী, তাওহিদ হৃদয়, মেহেদি হাসান মিরাজ, জাকের আলী অনিক, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ, তানভীর ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।

শ্রীলঙ্কা একাদশ

পাথুম নিশাঙ্কা, নিশান মাদুশকা, কুশল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিস, চারিথ আসালাঙ্কা, জেনিথ লিয়ানেগে, দুনিথ ভেল্লালেগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মহেশ থিকসানা, দুশমন্থ চামিরা ও আসিথা ফার্নান্দো।