ঢাকা ২৫ ভাদ্র ১৪৩১, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

‘উড়ে এসে জুড়ে বসিনি’

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ০৮:২১ এএম
‘উড়ে এসে জুড়ে বসিনি’
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে যখন সোচ্চার একদল ফুটবল সমর্থক, ঠিক সেই সময়ই নীরবতা ভেঙেছেন কিংবদন্তি এই ফুটবলার। ২০০৮ সাল থেকে বাফুফে সভাপতির পদে থাকা সালাউদ্দিন পদত্যাগের দাবি রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছেন। বরং দুই মাস পর হতে যাওয়া বাফুফে নির্বাচনে টানা পঞ্চমবারের মতো প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। গতকাল সন্ধ্যায় খবরের কাগজের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি আন্দোলনকারী ও তাদের দাবি, উভয় বিষয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। সেই সঙ্গে খেলোয়াড় হিসেবে দেশের ফুটবলে তার অবদানের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘আমি কিন্তু উড়ে এসে জুড়ে বসিনি।’

কাজী সালাউদ্দিনের বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হতে আর খুব বেশি দিন বাকি নেই। আগামী ৩ অক্টোবরই শেষ হবে তার বর্তমান কমিটির মেয়াদ। এরই মধ্যে নির্বাচনের প্রাথমিক দিনক্ষণও ঘোষণা করেছে বাফুফে। সব ঠিক থাকলে আগামী ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বাফুফের নির্বাচন। কিন্তু গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিভিন্ন সংস্থায় শীর্ষ পদে হচ্ছে রদবদল। অনেক প্রতিষ্ঠানে নেতৃত্ব বদলের জন্য চলছে আন্দোলন। সরকার পতনের পর থেকেই ‘বাংলাদেশি ফুটবল আলট্রাস’ ব্যানারে বাফুফে সভাপতি সালাউদ্দিনের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছে একদল সমর্থক। বাফুফে ভবনের সামনে বিক্ষোভ থেকে শুরু করে ‘মার্চ টু বাফুফে’র মতো কর্মসূচিও তারা করেছে। তাদের দাবি, ফিফার আইনের বাধ্যবাধকতার কারণে যদি পদত্যাগ করতে না পারেন, তাহলে অন্তত আগামী নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা যাতে দেন কাজী সালাউদ্দিন। এমন প্রেক্ষাপটে রক্ষণাত্মক নয়, আক্রমণাত্মক কৌশলই অবলম্বন করছেন সালাউদ্দিন। সরাসরি বলেছেন, ‘এরা (আন্দোলনকারী) ফুটবলের কেউ না। এরা সাইফ পাওয়ার টেকের লোক। ফুটবল খেলতে এসে যারা চলে গেছে (২০২২ সালে বিলুপ্ত হয় প্রতিষ্ঠানটির ক্লাব সাইফ স্পোর্টিং)। সে (ক্লাবের কর্ণধার তরফদার রুহুল আমিন) এসেছিল ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি হওয়ার জন্য। এরা (আন্দোলনকারী) তো তাদের সাপোর্টার। তাদের লোকজন এরা। ফুটবলের কেউ না।’

আন্দোলনকারীদের দাবির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সালাউদ্দিন বলেন, ‘তাদের দাবিটা কি দেখুন? আমি যেন পদত্যাগ করি এবং আমি যেন নির্বাচন না করি। আমি পদত্যাগ না করলে আমাকে রাস্তাঘাটে মারবে। আমি নির্বাচন করব কী করব না, এ নিয়ে কি আমাকে কারও কাছে কৈফিয়ত দিতে হবে?’ সালাউদ্দিন বলে যান, ‘আপনি কিন্তু একটা জিনিস ভুলে গেছেন, আমি কিন্তু একাত্তরে স্বাধীন বাংলা ফুটবলের খেলোয়াড় এবং আমি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছি। আমি ১৩ বছর জাতীয় দলে খেলেছি। আমি কিন্তু উড়ে এসে জুড়ে বসিনি।’

সালাউদ্দিন আরও বলেন, ‘আমি ২০০৮ সালে নির্বাচন করেছি আওয়ামী লীগ ট্যাগের প্যানেলের বিপক্ষে। বাদল রায়, হারুনুর রশিদ, সালাম মুর্শেদী, কাজী নাবিলদের বিপক্ষ প্যানেলে আমি লড়েছি। আমি দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনে (সাফ) চারবার নির্বাচন করে নির্বাচিত হয়েছি। যেখানে ভারত, পাকিস্তানের সবাই আছে। ওখানেও আমি জিতেছি। তার মানে আমার ফুটবলের ব্যাকগ্রাউন্ড আছে। তো কারা এরা, যারা আমাকে মারবে, যদি আমি নির্বাচন করি? আমার তো মনে হয় না আমার এটা মানার কোনো কারণ আছে। আমি নির্বাচনে হারতে পারি, সেটা কোনো ব্যাপার না। কিন্তু আমাকে মারবে, এটা কোন ধরনের কথা?’

এ ধরনের হুমকির বিষয় চাইলেই ফিফাকে অবহিত করতে পারেন সালাউদ্দিন। কিন্তু তিনি সেই পথে হাঁটবেন না বলে জানালেন, ‘আমি তো চেষ্টা করব আমার দেশ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। আমি দেশকে সাসপেন্ড করে টিকে থাকতে চাইব না। আমি তো নির্বাচন দিয়েই দিয়েছি। ২৬ অক্টোবর নির্বাচনের তারিখ দিয়েছি। এখন আপনি যদি বদল চান, তাহলে একটাই উপায়, নির্বাচন।’

টানা চার মেয়াদে বাফুফে সভাপতির পদ সামলাচ্ছেন সালাউদ্দিন। অনেকে বলেন, ফুটবলার হিসেবে কিংবদন্তি হলেও বাফুফে সভাপতি হিসেবে চূড়ান্ত ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। তার এক সময়ের সতীর্থরাও দীর্ঘদিন ধরে তাকে ব্যর্থ বলে আসছেন। কিন্তু এরপরও সালাউদ্দিন দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থার সবচেয়ে শীর্ষ চেয়ারে আছেন বহাল তবিয়তে। এটাও ঠিক যে তিনি বারবারই নির্বাচিত হয়েছেন। যত সমালোচনাই হোক, কাউন্সিলররা নিজেদের ভোটটা ঠিকই তাকে দিয়েছেন। 

অনেকে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে বাফুফে চেয়ারে থেকে গেছেন সালাউদ্দিন। কিন্তু সালাউদ্দিন এমন ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন। তার দাবি, ‘জিয়াউর রহমান সাহেবের সরকার কিন্তু আমাকে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার দিয়েছে। এরশাদ সাহেবের সরকার আমাকে প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে। এরপর বিএনপি সরকার আমাকে দেশের সবচেয়ে বড় পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কার দিয়েছে। এরপর এল আওয়ামী লীগ সরকার। তারা আমাকে শেখ কামাল আজীবন সম্মাননা পুরস্কার দিয়েছে। আমি কোনো রাজনীতিও করিনি। কোনো দিন সংসদ সদস্য হওয়ার জন্যও আবেদন করিনি। আমি সাধারণ একজন ফুটবলার।’ এরপর তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘১৩ বছর আমি জাতীয় দলে খেলেছি, জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলাম। এসবের কি কোনো দাম নেই?’ যোগ করেন, ‘আমি একাত্তরে যুদ্ধে গিয়েছি, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলে খেলেছি, আমি তো অন্যদের মতো উড়ে এসে জুড়ে বসিনি।’

বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে নিয়ে সমালোচনাকারী একটি গোষ্ঠীই আছে বলা চলে। সেই সব মহল থেকে নানাভাবে ব্যক্তিগত আক্রমণও করা হয় তাকে। কাজী সালাউদ্দিনকে কি এসব কষ্ট দেয়? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যদি না দেয় তাহলে তো আমি মানুষ না।’ আর আসছে নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না জানতে চাইলে বলেন, ‘আমি নির্বাচন করতেছি। আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখছে নির্বাচন করব।’

১৭ দফা দাবি নিয়ে মিরপুরে ৬৪ জেলার ক্রিকেটাররা

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০১ পিএম
১৭ দফা দাবি নিয়ে মিরপুরে ৬৪ জেলার ক্রিকেটাররা
ছবি : সংগৃহীত

নাজমুল হাসান পাপন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব ছাড়ার পর নতুন বোর্ড সভাপতি হয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ। নতুন বোর্ড সভাপতি আসার পর প্রতিদিনই মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলন হচ্ছে কেউ না কেউ।

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) মিরপুরে দাবি দাওয়া নিয়ে হাজির হয়ে আন্দোলন করেছে দেশের ৬৪ জেলার ক্রিকেটাররা। আন্দোলনে তারা নতুন বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ ও নতুন পরিচালক হওয়া নাজমুল আবেদীন ফাহিমের ছবি সম্বলিত ব্যানার নিয়ে তারা এসেছিলেন শুভেচ্ছা জানাতে। 

একাডেমি ভবনের সামনে ব্যানার নিয়ে অবস্থান করেন তারা। পরে ফুল দিয়ে পরিচালক ফাহিমকে শুভেচ্ছা জানান তারা। শুভেচ্ছা জানানোর পর ১৭ দফা দাবির কথা জানান তারা নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে। এর মধ্যে ছিল ম্যাচ ফি বৃদ্ধি করার মতো দাবি। 

উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো, ঢাকা বিভাগের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট লিগে টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি-তিন সংস্করণেরই টুর্নামেন্ট থাকতে হবে। ক্রিকেটারদের বেতন কাঠামোরও দাবি জানিয়েছেন তারা।

দাবি জানিয়েছেন তারা ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (কোয়াব) ঢেলে সাজানোরও। স্বাধীনভাবে কোয়াব যেন কাজ করতে পারে সেই নিশ্চয়তা চেয়েছেন ক্রিকেটাররা।

পরিচালক ফাহিম তাদের ১৭ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের অংশগ্রহণ নিয়ে আশাবাদী পিসিবি চেয়ারম্যান

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৩ পিএম
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের অংশগ্রহণ নিয়ে আশাবাদী পিসিবি চেয়ারম্যান
ছবি : সংগৃহীত

আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান। সব দল পাকিস্তান সফরে সম্মতি জানালেও এখনও কিছু জানায় নি ভারত। তারা রাজি না থাকায় ২০২৩ সালের এশিয়া কাপও হয়েছিল হাইব্রিড পদ্ধতিতে। তবে এবার ভারত পাকিস্তানের মাটিতে খেলতে আসবে বলে আশাবাদী পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি।

তিনি জানিয়েছেন, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিবের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছেন।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মোট অংশ নিতে যাচ্ছে ৮টি দল। সবগুলো দলের সঙ্গেই নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছেও বলে এই সাক্ষাৎকারে জানান তিনি, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দলগুলোর বোর্ডের সাথেও আমাদের যোগাযোগ চলছে।’

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খসড়া সূচিতে ভারতের সবগুলো ম্যাচের ভেন্যু হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে লাহোরকে। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বর্তমানেও চলছে আধুনিকায়নের কাজ। মাঠের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে নাকভি জানান, ‘গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের বেসমেন্টের কাজ ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হবে। প্রতিটি ফ্লোর তিন সপ্তাহের মধ্যে শেষ করা হবে। সামনের ভবনটি একটি স্টিলের কাঠামো নিয়ে নির্মিত হবে। স্টেডিয়ামের মূল ভবনের কাজ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হবে।’

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত। বাকিসব দলগুলো পাকিস্তানে যেতে রাজি হলেও ভারত এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। তাই শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে এই টুর্নামেন্ট পুরোটাই কি পাকিস্তানে হবে নাকি ২০২৩ এশিয়া কাপের মতো হাইব্রিড পদ্ধতিতে হবে।

নতুন রূপে সাজছে বিপিএল

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৫৯ পিএম
নতুন রূপে সাজছে বিপিএল
ছবি : সংগৃহীত

বেশ কয়েক দিন ধরে গুঞ্জন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের দায়িত্ব উঠতে পারে ফাহিম সিনহার কাঁধে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে বিসিবি অফিসে আসেন এই পরিচালক। এর কিছুক্ষণ পর বিসিবিতে আসেন প্রসাধনী ব্র্যান্ড হারলান ও ওরিয়ন গ্রুপের প্রতিনিধিরা। পরে জানা যায়, আসন্ন বিপিএলে দল নিতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠান দুটি বৈঠকে বসেছিলেন বিসিবি সভাপতির ফারুক আহমেদের সঙ্গে। ফারুক আহমেদ, ফাহিম সিনহা ছাড়াও ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দুই পরিচালক মাহবুব আনাম ও নাজমুল আবেদিন ফাহিম। এ ছাড়া বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন উপস্থিত ছিলেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ও বিসিবির বৈঠকে। হারলান ও ওরিয়ন গ্রুপের সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করল বিসিবি।

বিপিএল নিয়ে প্রতিবছরই নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা থাকে। নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ এসব সমস্যার সমাধান করে বিপিএলের পুরোনো জৌলুশ ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলেন। এরই অংশ হিসেবে বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক শুরু করেছেন। গত আসরে অংশ নেওয়া বিপিএলের ৭ দলের মধ্যে ৫টি আসন্ন আসরে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাকি দুই দল কুমিল্লা ও ঢাকার জন্য নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি খুঁজছে বিসিবি। মূলত এই দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির নেওয়ার জন্য সাক্ষাৎকার দিতে এসেছে হারলান ও ওরিয়ন।

বিসিবিতে সাক্ষাৎকার দিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন হারলানের নির্বাহী পরিচালক চিত্রনায়ক ইমন। তিনি জানান, তারা বিসিবির সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। তাদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে হারলান দল পাবে কি না। তবে দল পেলে ভালোভাবে চালানো হবে বলে জানান। এই প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী হিসেবে আছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। হারলানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে আছেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সাকিব কী তাহলে হারলানের নেওয়া দলের হয়ে খেলবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ইমন জানান, কোন কোন খেলোয়াড়কে দলে ভেড়ানো হবে তেমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

হারলান ও ওরিয়ন ছাড়া বিপিএলে দল কেনার লড়াইয়ে আছে মিসরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ওরাসকম কনস্ট্রাকশন। এ ছাড়া ২০১২ বিপিএলে চট্টগ্রাম কিংসের মালিকানায় থাকা এসকিউ স্পোর্টসও দল কেনার ব্যাপারে আগ্রহী।

বিপিএলের সবশেষ আসরের আগে রাজস্ব ভাগাভাগি মডেল নিয়ে তৈরি হয় নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে বিসিবি রাজস্ব ভাগাভাগিতে রাজি ছিল না। শেষ পর্যন্ত বিপিএলের রাজস্বের ভাগ পায়নি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। গুঞ্জন আছে, চলতি বছর থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে রাজস্ব ভাগাভাগি করার মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে বিসিবি। এ ছাড়া চলতি সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বিপিএলের এবারের আসরে প্লেয়ার ড্রাফট আয়োজন করা হবে। সব সিদ্ধান্ত আসবে বিসিবি ও বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর বৈঠকের পর। আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে বৈঠক শেষ করবে বিসিবি।

‘ফাইনাল’ জয়ের আনন্দ নিতে চান জামালরা

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০০ পিএম
‘ফাইনাল’ জয়ের আনন্দ নিতে চান জামালরা
ছবি : সংগৃহীত

কোনো লক্ষ্য পূরণ করতে হলে মনে তাড়না থাকতে হয়। তাহলে কাজ অনেকটা সহজ হয়ে যায়। ভুটান সফরে নিজেদের লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশের ফুটবলারদের অন্তত তাড়নার অভাব নেই। তাই তো ৮ বছর আগে যে চাংলিমিথাং স্টেডিয়াম নাড়িয়ে দিয়েছে পুরো বাংলাদেশের ফুটবলকে, সেই মাঠে ফের খেলতে নেমে জয় তুলে নিতে কষ্ট হয়নি হাভিয়ের কাবরেরার দলের।

গত বৃহস্পতিবার সফরের প্রথম প্রীতি ম্যাচে জয় পাওয়া বাংলাদেশের লক্ষ্য এবার দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচেও পূর্ণ তিন পয়েন্ট তুলে নেওয়া। দল এতটাই উদগ্রীব যে, অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া প্রীতি ম্যাচটিকেও ফাইনাল হিসেবে ঘোষণা দিতে দ্বিতীয়বার ভাবছেন না।

থিম্পুর চাংলিমিথাংয়ে আজ রবিবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবেন জামাল-তপুরা। প্রথম প্রীতি ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছিল হাভিয়ের কাবরেরার দল। এই ম্যাচে বাংলাদেশের লক্ষ্য আরও ভালো ফল করা। গতকাল অনুশীলনের ফাঁকে জামাল তো এভাবেই বলেছেন, ‘আমরা আমাদের মিশনের ৫০ শতাংশ শেষ করতে পেরেছি। এখন আরও ৫০ শতাংশ বাকি আছে। আগামীকাল (আজ) দলের জন্য ফাইনাল। কারণ আমরা প্রথম জিতেছি এবং আরও তিন পয়েন্ট নিতে চাই। তাই লক্ষ্য তিন পয়েন্ট। সেটা করতে পারলে বাংলাদেশে আমরা খুশি মনে ফিরতে পারব।’

এই মুহূর্তে র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের (১৮৪তম) থেকে দুই ধাপ এগিয়ে থাকা দল ভুটান (১৮২)। তবে শক্তিতে তারা যে বাংলাদেশ থেকে এগিয়ে, এটা বলার উপায় নেই। পরিসংখ্যানই আসলে বলে দেয় দুই দলের ব্যবধান। এখন পর্যন্ত ১৫ মুখোমুখি লড়াইয়ে বাংলাদেশের জয় ১২টিতেই। দুটি ম্যাচ ড্র হয়েছে, ভুটান জিতেছে মাত্র একটি। ভুটানের সেই একটি জয়ই বাংলাদেশের ফুটবলে অন্ধকার নামিয়ে দিয়েছিল। ২০১৬ সালে এশিয়ান কাপের প্লে অব ম্যাচটি হারার পর প্রায় ২ বছর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ। তীব্র হতাশায় ডুবে ছিল লাল-সবুজের ফুটবল।

পরে সেই হতাশা থেকে ধীরে ধীরে বের হয়েছে দল। সেই হারের পর চলতি সফরের প্রথম প্রীতি ম্যাচটি দিয়ে ভুটানের বিপক্ষে আরও পাঁচবার খেলল বাংলাদেশ। জিতেছে সবগুলোতেই। আজকেও তাই ফলাফল ভিন্ন কিছু হলে সেটা হবে বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য চরম ব্যর্থতা।

তুলনায় সমশক্তির বা কিছুটা পিছিয়ে থাকা দল হওয়ার পরও সেপ্টেম্বরের ফিফা উইন্ডোতে প্রীতি ম্যাচ খেলতে ভুটানকেই প্রতিপক্ষ হিসেবে বেছে নেয় বাংলাদেশ। এর বড় কারণ, দুটি ম্যাচেই যেন জয় আসে। সেটা হলে র্যাঙ্কিংয়ে আগানো যাবে। যার পুরস্কার হিসেবে এশিয়ান কাপের গ্রুপ পর্বের তুলনায় কিছুটা সহজ গ্রুপে পরার সম্ভাবনা বাড়বে।

বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ ও সাবেক অধিনায়ক হাসান আল মামুন গতকালও বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়েছেন। ‘আপনারা জানেন এখানে আমরা এসেছি মূলত ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতির জন্য। আমরা যেহেতু আগে বড় বড় দলের বিপক্ষে খেলেছি, এখন আমাদের থেকে যারা একটু ছোট বা সমশক্তির, তাদের সঙ্গে আমরা জিততে চাই। আমাদের দল মানসিকভাবে সেভাবেই তৈরি হচ্ছে’- বলেন মামুন।

তবে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতার দেশ হওয়ায় ভুটানে খেলাটা বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেই সঙ্গে থিম্পুতে খেলা হয় টার্ফে। এটাতেও অভ্যস্ত নয় বাংলাদেশের ফুটবলাররা। মামুন এই চ্যালেঞ্জগুলোর কথা উল্লেখ করে বলছেন, ‘আমরা অনেকটা মানিয়ে নিয়েছি। আশাকরি কালকে (আজ) একটা বেটার ম্যাচ খেলবে দল। প্রথম ম্যাচে ছোটখাটো যে সমস্যাগুলো ছিল, সেই সমস্যাগুলো এই ম্যাচে কাটিয়ে বিজয়ী হয়ে ফিরব ইনশাআল্লাহ।’ 

প্রথম ম্যাচে চোট পাওয়া ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেনকে যে এ ম্যাচে পাওয়া যাবে না, তা আগেই আঁচ করা গিয়েছিল। গতকাল মামুন নিশ্চিত করেছেন, রাকিব আজ খেলছেন না। তবে স্বস্তির কথাও শুনিয়েছেন তিনি, ‘ইনজুরিটা এত ব্যাপক না যে তাকে লম্বা সময়ের জন্য বসিয়ে রাখবে। আশাকরি খুব দ্রুতই সে দলের সঙ্গে ফিরবে।’

কামিন্দু-ধনাঞ্জয়ার জুটিতে শ্রীলঙ্কার প্রতিরোধ

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৪ পিএম
কামিন্দু-ধনাঞ্জয়ার জুটিতে শ্রীলঙ্কার প্রতিরোধ
ছবি : সংগৃহীত

জমে উঠেছে ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কার ওভাল টেস্ট। বড় স্কোরের সম্ভাবনা জাগিয়েও ৩২৫ রানেই থেমে গেছে ইংল্যান্ড। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ৯৩ রানে ৫ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। এরপর দারুণ এক জুটি গড়ে কামিন্দু মেন্ডিস ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। তাদের অবিচ্ছিন্ন ১১৮ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে শ্রীলঙ্কা। সফরকারীরা পিছিয়ে আছে ১১৪ রানে।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) লন্ডনের দ্য ওভালে সিরিজের তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় উইকেটে পেসারদের জন্য বেস সুবিধা ছিল। আলোকস্বল্পতায় খেলা নির্ধারিত সময়ের আগে শেষ হয়ে যায়। পর্যাপ্ত আলোর অভাবে পেসারদের বোলিংয়ের সুযোগ না থাকায় ওকসের একটি ওভারের শেষ পর্যায়ের চারটি বল স্পিন করতে হয় তাকে। সেই চার বলের মধ্যে একটি বাউন্ডারি হজম করেছেন তিনি।

শ্রীলঙ্কা ৯৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়লে হাল ধরেন অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস। দুইজনই পেয়েছেন ফিফটির দেখা।

এই দুই ব্যাটারের জুটিতে চাপ সামাল দিয়ে দ্বিতীয় দিনে প্রথম ইনিংসে লঙ্কানদের সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ২১১ রান। ধনাঞ্জয়া ৬৪ আর কামিন্দু ৫৪ রানে আপরাজিত।