৮ বছর পর আবারও ভুটানের থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে খেলতে নামছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের বিপক্ষে আজ বৃহস্পতিবার দুই ম্যাচ প্রীতি সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হবেন জামাল ভূঁইয়ারা। খেলা শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়।
ভেন্যু সেই চাংলিমিথাং, যেখানে রচিত হয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবলের অন্যতম ট্র্যাজিক গল্পের। ২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর এই মাঠেই এশিয়ান কাপের প্লে-অফে ভুটানের বিপক্ষে হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। যে কারণে দেড় বছর আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বাইরে চলে যেতে হয় লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। এখন পর্যন্ত ১৪ ম্যাচে ১১ জয় ও ২ ড্রয়ের বিপরীতে হার ওই ১টিই। সেই হারের পর অনেকটা দিন কেটে গেছে ঠিক। কিন্তু এখনো কোনো কোনো উপলক্ষে সেই দুঃস্মৃতি ঠিকই উঁকি মারে। অনেক ফুটবল অনুরাগীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণও ঝরায় ওই ব্যর্থতা। যে চাংলিমিথাংয়ে বাংলাদেশ ফুটবলের এমন ব্যর্থতাভরা এক গল্প রচিত হয়েছিল, সেই মাঠেই হাভিয়ের কাবরেরার দল নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নামতে যাচ্ছে।
ভুটানপাড়ি দেওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ দলের কোচ, অধিনায়ক থেকে শুরু করে সব খেলোয়াড়, সবাই একটা লক্ষ্যের কথাই বলছেন; দুই ম্যাচেই জয় চান তারা। র্যাঙ্কিংয়ে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে ভুটান। বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৪, ভুটান আছে ১৮২তম স্থানে। এই দুই ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতিটাই প্রধান লক্ষ্য জামাল-তপুদের।
গতকাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘দুটি ম্যাচই খুব কঠিন হবে। কারণ আমরা তিন মাস কোনো ম্যাচ খেলিনি। আমরা ক্যাম্প করেছি, কিন্তু ভুটানের খেলোয়াড়দের মতো পর্যায়ে নেই। আমার ধারণা দুটি ম্যাচই কঠিন হবে এবং দারুণ হবে।’
হাভিয়ের কাবরেরাও ভুটানের চ্যালেঞ্জগুলোর কথা মেনে নিচ্ছেন, ‘খুবই চ্যালেঞ্জিং ম্যাচ অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য।’ তবে লক্ষ্য পূরণে ঠিকই প্রত্যয়ী তিনি, ‘আমরা এখানে দুটো ম্যাচই জিততে চাই।’
দেখার বিষয় বাংলাদেশ চাংলিমিথাংয়ের নতুন চ্যালেঞ্জ কতটা সামলাতে পারে।