গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে গায়ানা অ্যামাজনের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে দলকে জিতিয়েছিলেন নিকোলাস পুরান। রানরেটের কারণে তাদের খেলতে হয়েছে এলিমিনেটর। সেই ম্যাচেও পেয়েছিলেন শতক হাঁকানোর সুযোগ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর সেটি করতে পারেননি ফ্লাডলাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায়।
বার্বাডোজের বিপক্ষে ১৯.১ ওভারের সময় পুরানের দল ত্রিনবাগোর সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৬৮ রানে। আর পুরান ছিলেন ৯১ রানে অপরাজিত। এরপরই ফ্লাডলাইট বন্ধ হয়ে যায় প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামের।
প্রায় ঘন্টা দুয়েক খেলা বন্ধ থাকায় শঙ্কা তৈরি হওয়ায় খেলা আর শুরু না হওয়ায়। তৈরি হয় ম্যাচ বাতিলের গুঞ্জনও। সেই অবস্থায় ম্যাচ বাতিল হলে পয়েন্ট তালিকায় ওপরে থাকায় কোয়ালিফায়ারে খেলার সুযোগ পেত ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। যদিও তেমনকিছুই হয়নি শেষ পর্যন্ত খেলা মাঠে গড়ানোয়।
ডিএলএস পদ্ধতিতে বার্বাডোজের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫ ওভারে ৬০ রান, যা ডেভিড মিলারের ১৭ বলের ফিফটিতে ৪ বল হাতে রেখে টপকে যায় বার্বাডোজ। দলে সুনীল নারাইন, আন্দ্রে রাসেল, কাইরন পোলার্ড, পুরানরা থাকার পরও এলিমিনেটর থেকেই ছিটকে যেতে হয় নাইট রাইডার্সকে।
আসর থেকে বাদ পড়লেও ৫০৪ রান করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক হয়েছেন নিকোলাস পুরানই। ১৭০ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করেছেন তিনি ৫৬ গড়ে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই এক পঞ্জিকাবর্ষে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছেন এই উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান। গট ২৭ সেপ্টেম্বর বার্বাডোজ রয়্যালসের বিপক্ষে ১৫ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলার সময় টপকে যান মোহাম্মদ রিজওয়ানকে।
৪৫ ইনিংসে রিজওয়ান ২০২১ সালে ৫৬.৫৫ গড় ও ১৩২.০৩ স্ট্রাইকরেটে করেছিলেন ২০৩৬ রান। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত পুরানের ব্যাটে এসেছে ২২৫১। এই ৬৮ ইনিংসে ৪৫ গড়ে ব্যাটিং করেছেন ১৬০ স্ট্রাইকরেটে।