ঢাকা ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

ফ্লাডলাইট বন্ধ হওয়ায় সেঞ্চুরি মিস পুরানের

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০২:১৪ পিএম
ফ্লাডলাইট বন্ধ হওয়ায় সেঞ্চুরি মিস পুরানের
ছবি : সংগৃহীত

গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে গায়ানা অ্যামাজনের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে দলকে জিতিয়েছিলেন নিকোলাস পুরান। রানরেটের কারণে তাদের খেলতে হয়েছে এলিমিনেটর। সেই ম্যাচেও পেয়েছিলেন শতক হাঁকানোর সুযোগ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর সেটি করতে পারেননি ফ্লাডলাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায়। 

বার্বাডোজের বিপক্ষে ১৯.১ ওভারের সময় পুরানের দল ত্রিনবাগোর সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৬৮ রানে। আর পুরান ছিলেন ৯১ রানে অপরাজিত। এরপরই ফ্লাডলাইট বন্ধ হয়ে যায় প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামের। 

প্রায় ঘন্টা দুয়েক খেলা বন্ধ থাকায় শঙ্কা তৈরি হওয়ায় খেলা আর শুরু না হওয়ায়। তৈরি হয় ম্যাচ বাতিলের গুঞ্জনও। সেই অবস্থায় ম্যাচ বাতিল হলে পয়েন্ট তালিকায় ওপরে থাকায় কোয়ালিফায়ারে খেলার সুযোগ পেত ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। যদিও তেমনকিছুই হয়নি শেষ পর্যন্ত খেলা মাঠে গড়ানোয়।

ডিএলএস পদ্ধতিতে বার্বাডোজের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫ ওভারে ৬০ রান, যা ডেভিড মিলারের ১৭ বলের ফিফটিতে ৪ বল হাতে রেখে টপকে যায় বার্বাডোজ। দলে সুনীল নারাইন, আন্দ্রে রাসেল, কাইরন পোলার্ড, পুরানরা থাকার পরও এলিমিনেটর থেকেই ছিটকে যেতে হয় নাইট রাইডার্সকে।

আসর থেকে বাদ পড়লেও ৫০৪ রান করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক হয়েছেন নিকোলাস পুরানই। ১৭০ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করেছেন তিনি ৫৬ গড়ে। 

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই এক পঞ্জিকাবর্ষে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছেন এই উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান। গট ২৭ সেপ্টেম্বর বার্বাডোজ রয়্যালসের বিপক্ষে ১৫ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলার সময় টপকে যান মোহাম্মদ রিজওয়ানকে। 

৪৫ ইনিংসে রিজওয়ান ২০২১ সালে ৫৬.৫৫ গড় ও ১৩২.০৩ স্ট্রাইকরেটে করেছিলেন ২০৩৬ রান। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত পুরানের ব্যাটে এসেছে ২২৫১। এই ৬৮ ইনিংসে ৪৫ গড়ে ব্যাটিং করেছেন ১৬০ স্ট্রাইকরেটে।

সেপ্টেম্বরের মাসসেরা কামিন্দু মেন্ডিস

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৯ এএম
সেপ্টেম্বরের মাসসেরা কামিন্দু মেন্ডিস
ছবি : সংগৃহীত

নজরকাড়া পারফরম্যান্স করে আইসিসির সেপ্টেম্বরের মাসসেরা হয়েছেন শ্রীলঙ্কান ব্যাটার কামিন্দু মেন্ডিস। মাসসেরা হতে গিয়ে তিনি পেছনে ফেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড ও স্বদেশী প্রবাথ জয়াসুরিয়াকে। 

সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকালে সেপ্টেম্বরের মাসের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয় কামিন্দু মেন্ডিসের। দ্বিতীয়বারের মতো এই পুরস্কার জিতেছেন তিনি। আর সেপ্টেম্বরের সেরা নারী ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন ইংল্যান্ডের ট্যামি বিউমন্ট।

গেল চার টেস্ট ম্যাচে রানের বন্যা বইয়ে দেওয়া কামিন্দু ৯০.২০ গড়ে করেছেন ৪৫১ রান। মাসের শুরুতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৪ এবং ৬৪ রানের দুই ইনিংস খেলেন তিনি।

এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গলে ১১৪ রানের লড়াকু ইনিংসের পর ১৮২ রানের ক্যারিয়ারসেরা ইনিং খেলেন দ্বিতীয় টেস্টে। সেই টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে জেতে শ্রীলঙ্কা। 

প্রথম আট টেস্টের সবকটিতে কমপক্ষে একটি ফিফটি হাঁকানো প্রথম ব্যাটার কামিন্দু। একইসঙ্গে ৭৫ বছরের ইতিহাসে টেস্টে দ্রুততম ১ হাজার রানের মাইলফলকও গড়েছেন তিনি।

বিদেশি ক্রিকেটারদের প্রতি অনীহা!

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৩ এএম
আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৮ এএম
বিদেশি ক্রিকেটারদের প্রতি অনীহা!
ছবি : সংগৃহীত

৫ আগস্ট সরকারের পটপরিবর্তনের কারণে এবারের বিপিএলের ১১তম আসর যথাসময়ে শুরু নিয়ে শঙ্কা ছিল। সেই শঙ্কা দূর হয়ে যায় ফারুক আহমেদ সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর। তারপর ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ছিল বাড়তি নজর। পরে সেখানে যোগ হয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পরামর্শ। অবশেষে প্লেয়ার্স ড্রাফটের মাধ্যমে এবারের বিপিএলের যাত্রা শুরু হলো। এবার মাঠে গড়ানোর পালা। খেলা শুরু হবে ২৭ ডিসেম্বর।

এক সময় বিপিএলে প্লেয়ার্স ড্রাফট নিয়ে সবার মাঝে ব্যাপক কৌতূহল থাকত। এখন আর সে রকম থাকে না। এই না থাকার কারণ দেশি-বিদেশি তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো আগেই সরাসরি চুক্তি করে নেওয়া। পাশাপাশি নিজেদের পছন্দের ক্রিকেটারদেরও ধরে রাখা হয়। তারপরও এবারের প্লেয়ার্স ড্রাফটে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন ঢালিউড নায়ক সাকিব খান। তিনি নতুন মালিকানায় ঢাকা ক্যাপিটালসের হয়ে প্লেয়ার্স ড্রাফটে উপস্থিত হয়েছিলেন। 

এবারে প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগেই পুরোনো ক্রিকেটারদের ধরে রাখা এবং সরাসরি স্বাক্ষর করে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, জাকির হাসান, তানজিম হাসান সাকিব, তানজিদ হাসান তামিম, শরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, নাসুম আহমেদের মতো ক্রিকেটারকে দলে ভেড়ানোর কাজটি সেরে রাখে।

গতবারের মতো এবারের আসরে সাতটি ফ্র্যাঞ্চাইজি অংশ নিলেও তিনটি নতুন মালিকানায়। এ তিনটি দল হলো চিটাগাং কিংস, দুর্বার রাজশাহী, ঢাকা ক্যাপিটালস। চারবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এবার খেলছে না। ড্রাফটে ১৯৮ জন দেশি ও ৪৩৪ জন বিদেশি ক্রিকেটারের নাম ছিল। দেশি ক্রিকেটারদের রাখা হয়েছিল ৬ ক্যাটাগরিতে। বিদেশি ক্রিকেটার খুব একটা মান সম্পন্ন না হওয়াতে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ড্রাফট থেকে খেলোয়াড় কিনতে খুব একটা আগ্রহী হয়নি। সরাসরি নেওয়া ছাড়া ড্রাফটে মাত্র ১৬ জন ক্রিকেটার বিক্রি হয়েছেন। আবার সরাসরি কোনো বিদেশি ক্রিকেটারের সঙ্গে চুক্তি করেনি সিলেট স্ট্রাইকার্স ও দুর্বার রাজশাহী। ঢাকা ক্যাপিটালস করেছে একজন ও খুলনা টাইগার্স দুজনের সঙ্গে সরাসরি চুক্তি করেছে। 

ভারত সফর শেষ করে মঙ্গলবার রাতে দেশে ফিরে জাতীয় দল। তাদের মাঝে মেহেদি হাসান মিরাজ, মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশ-ভারত সিরিজের ধারাভাষ্য দেওয়া তামিম ইকবালও এসে উপস্থিত হয়েছিলেন। প্লেয়ার্স ড্রাফটে একমাত্র চিটাগাং কিংসই বিদেশি ক্রিকেটারদের মাঝে শন টেইটকে রেখেছিল। প্লেয়ার্স ড্রাফটে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ১২ জন ক্রিকেটারকে রাখা হয়েছিল। যাদের আর্থিক মূল্য ছিল ৬০ লাখ টাকা। প্রথম ডাকেই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ‘এ’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটারদের নেওয়ার সুযোগ হাত ছাড়া না করলেও নাজমুল হোসেন শান্ত ও রিশাদ হোসেনের ক্ষেত্রে ঘটে ব্যতিক্রম। প্রতি সেটে একটি দল দুবার করে ক্রিকেটারকে দলে নেওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু প্রথম সেটে নাজমুলকে কোনো দলই নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি। এ সময় নাজমুলের সঙ্গে অবিক্রিত থেকে যান রিশাদ হোসেনও। দ্বিতীয় সেটে নাজমুলকে কিনে নেয় ফরচুন বরিশাল। কিন্তু রিশাদ অবিক্রিতই থেকে যান। শেষ পর্যন্ত তিনি বিক্রি হন চতুর্থ সেটে। এবারও ত্রাণ কর্তা হয়ে হাজির হয় ফরচুন বরিশাল। তারা কিনে নেয় রিশাদকে। এই দুজনের পাশাপাশি তারা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকেও প্রথম ডাকে কিনে নেয় বরিশাল। তামিম ও মুশফিকে ফরচুন বরিশাল ধরে রাখার কারণে এই তিন ক্রিকেটার গতবারের মতো এবারও একই দলে খেলবেন। সঙ্গে যোগ হলেন নাজমুল ও রিশাদ। সিলেট স্ট্রাইকার্স প্রথম ডাকে রনি তালুকদারকে নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডাকে নেয় গত দুই আসরে তাদের হয়ে খেলা অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। এ ছাড়া প্রথম ডাকে একে একে কিনে নেয় দুর্বার রাজশাহী তাসকিন আহমেদকে, ঢাকা ক্যাপিটালস লিটন দাসকে, খুলনা টাইগার্স শামীম হোসেনকে, চিটাগাং কিংস হাসান মাহমুদকে, রংপুর নাহিদ রানাকে। খেলোয়াড় কেনাবেচার হাটে দল পাননি কানপুর টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকানো মুমিনুল হক সৌরভ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, শুভাগত হোমের মতো জাতীয় দলের বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটাররা।

ড্রাফটে দেশি-বিদেশি ক্রিকেটার মিলে সবচেয়ে বেশি ক্রিকেটার কিনেছে ফরচুন বরিশাল ও সিলেট স্ট্রাইকার্স (বিদেশি ৩ জন) ১১ জন করে। ঢাকা ক্যাপিটালস, দুর্বার রাজশাহী, খুলনা টাইগার্স ও চিটাগাং কিংস কিনেছে ১০ জন ( বিদেশি ২ জন) করে। সরাসরি স্বাক্ষর সবচেয়ে বেশি ৭ জন করে করেছে চিটাগাং কিংস ও ফরচুন বরিশাল। চিটাগাং দেশি ২ জন ও বিদেশি ৫ জন ক্রিকেটারের সঙ্গে সরাসরি চুক্তি করেছে। ফরচুন বরিশালের ৭ ক্রিকেটারের মাঝে দেশি শুধু তাওহিদ হৃদয়। বাকি ৬ জন বিদেশি। সরাসরি চুক্তি সবচেয়ে কম ১ জন করে করেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স ও দুর্বার রাজশাহী। সিলেট জাকের আলী অনিক ও রাজশাহী এনামুল হক বিজয়কে নিয়েছে।

দলগুলো কেমন হলো তা এখনই বলা যাবে না। কারণ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো মানসম্পন্ন বিদেশি ক্রিকেটার আনার জন্য চেষ্টা করে যাবে? তবে আপাতত শক্তিশালী দল গড়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল, নতুন করে ফিরে আসা চিটাগং কিংস।

আক্ষেপ নিয়েই সাফে যাচ্ছেন সাবিনারা

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫০ পিএম
আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫০ পিএম
আক্ষেপ নিয়েই সাফে যাচ্ছেন সাবিনারা
ছবি : খবরের কাগজ

দীর্ঘদিন চোটের সঙ্গে লড়াই করা কৃষ্ণা রানী সরকারকে নিয়েই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের দল ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ পিটার বাটলার। দলে রয়েছে নতুন খেলোয়াড়ের ছড়াছড়ি।

সাফ উপলক্ষ্যে আজ সোমবার বাফুফে ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে দল ঘোষণা করা হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে সাফে যাওয়ার আগে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে না পারায় আক্ষেপ ঝরেছে অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের কণ্ঠে। কোচ পিটার বাটলারের কণ্ঠেও ছিল আক্ষেপ।
প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে না পারা নিয়ে অধিনায়ক সাবিনা বলেন, ‘সাফের জন্য আসলে কিছু ম্যাচ পাওয়া দরকার ছিল। অবশ্যই খারাপ লাগছে যে কিছু ম্যাচ খেলতে পারিনি। এখানে আক্ষেপের জায়গা আছে। কিন্তু এখন তো আর এটা ভাবার সময় নেই। সামনে তাকাতে হবে।’

লক্ষ্যের কথা জানতে চাইলে সাবিনা বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে সাফ এবার খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। আমাদের জন্য খুব চ্যালেঞ্জের হবে। অনেকে নতুন। তাদের জন্য এটা নতুন অভিজ্ঞতা। আমরা আমাদের স্বাভাবিক খেলা খেলার চেষ্টা করবো। ম্যাচ বাই ম্যাচ আমরা এগোতে চাইবো।’

তবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বিষয়ে জোর দিয়ে কিছু বলতে পারেননি সাবিনা। সরাসরি প্রশ্ন করলে বলছেন, ‘এটা বলতে পারবো না। সাফ এবার অনেক কঠিন হবে। চ্যালেঞ্জিং হবে।’
কোচ পিটার বাটলার বলেন, ‘গ্রুপটা খুবই শক্ত। পূর্ণ পয়েন্ট পাওয়া খুব সহজ হবে না। বেশ কিছু তরুণ খেলোয়াড় আছে, সঙ্গে সাবিনার মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। আমরা ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। যদিও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা হয়নি। তবে ভালো করতে আশাবাদী।’

দলে অনেক সিনিয়র খেলোয়াড়দের নেই। এরপরও লক্ষ্য পূরণে বেশ আশাবাদী বাটলার।

নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরন বলেন, ‘মেয়েরা যেভাবে ট্রেনিং করে সেভাবেই ট্রেনিং করে। এক্সট্রা কিছু আমরা করিনি। অর্থাৎ কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ আমরা আয়োজন করতে পারিনি। আমি মনে করি পিটার বাটলার ‍খুব ভালো কোচ। সেভাবে মেয়েদের খুব ভালোভাবে তৈরি করেছে। আমাদের মেয়েরা গ্রুপ পর্বে ভালো করবে এবং সেমিফাইনাল কোয়ালিফাই করে ফাইনালে খেলবে। আমার বিশ্বাস মেয়েরা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ খেলবে, ফাইনালে খেলবে।’

এবারের সবমিলিয়ে ৯ জন খেলোয়ড় প্রথমবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলবেন। জাতীয় দলে অভিষেকের অপেক্ষায় একজন- মিলি আক্তার।

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য বাংলাদেশ স্কোয়াড:

রুপনা চাকমা, মাসুরা পারভীন, আফঈদা খন্দকার প্রান্তি, শিউলি আযীম, শামছুন্নাহার সিনিয়র, নিলুফা ইয়াসমীন নিলা, আইরিন খাতুন, কোহাতি কিসকু, মনিকা চাকমা, মারিয়া মান্দা, স্বপ্না রানী, সুমাইয়া মাতসুসিমা, সানজিদা আক্তার, মুনকি আক্তার, রিতুপর্ণা চাকমা, শাহেদা আক্তার রিপা, সাবিনা খাতুন, তহুরা খাতুন, শামছুন্নাহার জুনিয়র, কৃষ্ণা রানী সরকার, মোছা. ইয়ারজান, মিলি আক্তার, মোছা. সাগরিকা।

দল পাননি মুমিনুল-মোসাদ্দেক

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৮ পিএম
আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৮ পিএম
দল পাননি মুমিনুল-মোসাদ্দেক
ছবি : সংগৃহীত

শেষ হলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট। নতুন ও পুরাতন ক্রিকেটারদের সমন্বয়ে স্কোয়াড গুছিয়েছে ৭টি দল। 

তবে দল না পাওয়ার হতাশায় ডুবতে হয়েছে জাতীয় দলের সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

টেস্ট ক্রিকেটের নিয়মিত সদস্য হলেও নিয়মিত বিপিএলে সুযোগ পেতেন মুমিনুল। তবে এবার তার প্রতি আগ্রহ দেখায়নি কোনো দল।

অন্যদিকে, টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে ক্রিকেটে জাতীয় দলেই ফিনিশারের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে। অথচ তার প্রতিও আগ্রহ দেখায়নি কোনো দল।
দল পাননি শুভাগত হোমও। ৩৮ ছুঁইছুঁই এই অলরাউন্ডার দল না পাওয়ার পেছনে বয়সটা কারণ হতে পারে। 

তবে ২৮ বছর বয়সী মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত দল না পাওয়ার ঘটনা বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে। এই অলরাউন্ডার দেশের হয়ে ৩৩টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন।

ড্রাফট শেষে কেমন হলো ৭ দলের স্কোয়াড

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৫১ পিএম
ড্রাফট শেষে কেমন হলো ৭ দলের স্কোয়াড
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট সম্পন্ন হয়েছে। এই ড্রাফটে সবমিলিয়ে ৪৪০ জন বিদেশি ক্রিকেটারকে রাখা হয়েছিল পাঁচটি ক্যাটাগরিতে। তার দেশি ১৮৮ ক্রিকেটারকে ভাগ করা হয়েছিল ৬টি ক্যাটাগরিতে।

তার আগেই অবশ্য সরাসরি চুক্তি এবং আহের স্কোয়াড থেকে দুইজনকে ধরে রেখছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। তবে এখনো সুযোগ আছে চাইলে ফ্রাঞ্চাইজিগুলো আরো ক্রিকেটার নিতে পারবে।

দলগুলো চাইলে ড্রাফটের বাইরের ক্রিকেটারদেরও দলে নিতে পারবে। একাদশের আসরের ড্রাফট শেষে কেমন হলো বিপিলের এবার দলগুলো দেখে নেওয়া যাক....


চিটাগং কিংস

দেশি: সাকিব আল হাসান, শরীফুল ইসলাম, শামীম হোসেন, পারভেজ হোসেন, খালেদ আহমেদ, আলিস আল ইসলাম, মোহাম্মদ মিঠুন, নাঈম ইসলাম, মারুফ মৃধা, রাহাতুল ফেরদৌস, শেখ পারভেজ, মার্শাল আইয়ুব।

বিদেশি: মঈন আলী, উসমান খান, হায়দার আলী, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, বিনুরা ফার্নান্দো, গ্রাহাম ক্লার্ক, থমাস ও’কনেল।


খুলনা টাইগার্স

দেশি: মেহেদী হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেন, নাসুম আহমেদ, হাসান মাহমুদ, মোহাম্মদ নাঈম, ইমরুল কায়েস, মাহিদুল ইসলাম, আবু হায়দার, জিয়াউর রহমান, মাহফুজুর রহমান, মাহমুদুল হাসান।

বিদেশি: ওশানে থমাস, মোহাম্মদ হাসনাইন, লুইস গ্রেগরি, মোহাম্মদ নেওয়াজ।

দুর্বার রাজশাহী

দেশি: এনামুল হক, তাসকিন আহমেদ, জিশান আলম, ইয়াসির আলী, সাব্বির হোসেন, সানজামুল ইসলাম, এসএম মেহরব হোসেন, আকবর আলী, হাসান মুরাদ, শফিউল ইসলাম, মোহর শেখ।

বিদেশি: সাদ নাসিম, লাহিরু সামারাকুন।

ঢাকা ক্যাপিটাল

দেশি: মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিদ হাসান, লিটন দাস, হাবিবুর রহমান, মুকিদুল ইসলাম, আবু জায়েদ, মুশফিক হাসান, সাব্বির রহমান, মুনিম শাহরিয়ার, আসিফ হাসান, শাহাদাত হোসেন।

বিদেশি: থিসারা পেরেরা, জনসন চার্লস, শাহনেওয়াজ দাহানি, মীর হামজা, স্টিফেন এসকিনেজি, সাইম আইয়ুব, আমির হামজা।

রংপুর রাইডার্স

দেশি: নুরুল হাসান, মেহেদী হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, নাহিদ রানা, সাইফ হাসান, সৌম্য সরকার, রাকিবুল হাসান, রেজাউর রহমান, ইরফান শুক্কুর, কামরুল ইসলাম, তৌফিক খান।

বিদেশি: অ্যালেক্স হেলস, খুশদিল শাহ, আল্লাহ গজনফর, স্টিভেন রায়ান টেলর, সৌরভ নেত্রবালকার, আকিফ জাভেদ, কার্টিস ক্যাম্ফার।

সিলেট স্টাইকার্স

দেশি: জাকির হাসান, জাকের আলী, তানজিম হাসান, রনি তালুকদার, মাশরাফি বিন মুর্তজা, আল আমিন হোসেন, আরাফাত সানি, রুয়েল মিয়া, আরিফুল হক, নিহাদুজ্জামান, নাহিদুল ইসলাম।

বিদেশি: পল স্টার্লিং, জর্জ মানসি, রাহকিম কর্নওয়াল, সামিউল্লাহ শেনওয়ারি, রিস টপলি।

ফরচুন বরিশাল

দেশি: তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, তানভীর ইসলাম, নাজমুল হোসেন, রিপন মন্ডল, ইবাদত হোসেন, নাঈম হাসান, রিশাদ হোসেন, তাইজুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম।

বিদেশি: ডেভিড ম্যালান, কাইল মায়ার্স, মোহাম্মদ নবী, ফাহিম আশরাফ, আলী মোহাম্মদ, খান জাহানদাদ, জেমস ফুলার, পাথুম নিশাঙ্কা, নান্দ্রে বার্গার।