ঢাকা ২৫ কার্তিক ১৪৩১, রোববার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব লুকিয়ে এক বছর নিষিদ্ধ লঙ্কান ক্রিকেটার

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫৭ এএম
আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১১:০২ এএম
ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব লুকিয়ে এক বছর নিষিদ্ধ লঙ্কান ক্রিকেটার
ছবি : সংগৃহীত

ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও গোপন করার অভিযোগে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন শ্রীলঙ্কা বাঁহাতি স্পিনার প্রবীণ জয়াবিক্রমা। আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালা ভাঙায় এই শাস্তি পেয়েছেন তিনি।

শ্রীলঙ্কার ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ লঙ্কা প্রিমির লিগে (এলপিএলে) ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও তা গোপন করেন এই ক্রিকেটার। পাশাপাশি অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে ফিক্সিং বিষয়ে কথোপকথন মুছে ফেলার অভিযোগও।

দুইটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয় গত আগস্টে জয়াবিক্রমার বিরুদ্ধে। তাকে ১৪ দিনের সময় দেওয়া হয়েছিল এসব অভিযোগের জবাব দেওয়ার জন্য। যা শুরু হয় ৬ আগস্ট, শেষ হয় ২০ আগস্ট।

পরে এই স্পিনার দুর্নীতিবিরোধী ২.৪.৭ ধারা ভাঙার কথা স্বীকার করেছেন। যে ধারায় বলা আছে, ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও দ্রুত আইসিসিকে জানাতে ব্যর্থ হওয়ার পাশাপাশি তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনীয় নথিপত্র গোপন করা, টেম্পারিং ও ধ্বংস করা। 

ফিক্সিংয়ে জড়ানোর জন্য যেসব প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল সেসব মুছে ফেলে ব্যাঘাত ঘটিয়েছেন দুর্নীতিবিরোধী বিভাগের অনুসন্ধানে। জয়াবিক্রমাকে এক বছরের শাস্তি দেওয়া হলেও শেষ ছয় মাস করা হয়েছে স্থগিত। 

২০২২ সালে মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট খেলেছেন জয়াবিক্রমা। আর সর্বশেষ ম্যাচটি খেলেছেন একই বছরের জুন মাসে পাল্লেকেল্লতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।

নাসিম-শাহিনদের তোপে অস্ট্রেলিয়া অলআউট ১৪০ রানে

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৪ পিএম
নাসিম-শাহিনদের তোপে অস্ট্রেলিয়া অলআউট ১৪০ রানে
ছবি : সংগৃহীত

পেস বোলিংয়ের উপযুক্ত উইকেটে পাকিস্তানের বোলাররা কতটা ভয়ঙ্কর তা আরেকবার প্রমানিত হল। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়াকে মাত্র ১৪০ রানে অলআউট করেছে পাকিস্তান নাসিম-শাহিনদের দাপটে। ফলে পাকিস্তানের সামনে সিরিজ জিততে লক্ষ্য এখন মাত্র ১৪১ রান।

রবিবার (১০ নভেম্বর) টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। তার সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করে পাকিস্তানের পেসাররা ১০০ রানের আগেই তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়ার ৫ উইকেট। 

অজিদের ধসের শুরুটা করেছিলেন নাসিম শাহ ম্যাকগার্ককে ফিরিয়ে দলীয় ২০ রানে। তরুণ এই ব্যাটার করেন ৭ রান। অ্যারন হার্ডি ও জশ ইংলিসের উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহ। ৩৬ রানেই ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।

দলীয় ৭২ রানে আঘাত হানেন হারিস রউফ। ওপেনার ম্যাথু শর্ট ২২ রান করে আউট হন। দলীয় ৭৯ রানে কুপার কনলি মোহাম্মদ হাসনাইনের বলে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন। এরপর তিনি আর মাঠে নামেননি। অপরাজিত ছিলেন ৭ রানে। 

আরেকবার হারিস মন খারাপের কারণ হয়ে দাঁড়ান অজিদের। রানের খাতা খোলার আগেই ম্যাক্সয়েলকে ফিরিয়ে নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন তিনি। ততক্ষণে ৭৯ রানে ৫ উইকেট নেই স্বাগতিকদের।     

মার্কাস স্টয়নিসও পারেননি দলের হাল ধরতে। হাসনাইনের বলে সাজঘরে ফিরেছেন দলীয় ৮৮ ও ব্যক্তিগত ৮ রানে। ৩০ রানের জুটি গড়েন অ্যাডাম জাম্পা ও শেন অ্যাবট। সেই জুটি ভাঙেন নাসিম শাহ জাম্পাকে ফিরিয়ে ব্যক্তিগত ১৩ রানে। ৭ উইকেট হারিয়ে তখন অলআউটের অপেক্ষায় অজিরা।

এরপর শেন অ্যাবট ২২ রানের জুটি গড়েন আউট হওয়ার আগে স্পেনসার জনসনের সঙ্গে ২২ রানের। সেই জুটি ভাঙেন অ্যাবোটকে ফিরিয়ে শাহিন শাহ আফ্রিদি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান করা অ্যাবোটের বিদায়ে ১৪০ রানে ৮ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসও থামে ১৪০ রানে শাহিন শাহ আফ্রিদি ল্যান্স মরিসকে বোল্ড করলে। রিটায়ার্ড হার্ট হওয়া কুপার কুনলি ফিরে না আসায় এখানেই থামে অজিদের ইনিংস।  স্পেনসার জনসন অপরাজিত ছিলেন ১২ রান করে।

১৪০ রানও হওয়ার কথা ছিল না স্বাগতিকদের। পাকিস্তানের বোলাররা ১৬টি ওয়াইড মিলিয়ে অতিরিক্ত রান দিয়েছেন মোট ২২। নাসিম ও শাহিন ৩টি করে উইকেট পান। দুটি উইকেট পান হারিস রউফ আর ১টি শিকার করেন মোহাম্মদ হাসনাইন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে ছুটি চেয়েছেন মোস্তাফিজ

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৫ পিএম
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে ছুটি চেয়েছেন মোস্তাফিজ
ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে খেলা হচ্ছে না মোস্তাফিজুর রহমানের। ডিসেম্বরে জাতীয় দল থেকে ছুটি চেয়েছেন বিসিবির কাছে আবেদন করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তার ছুটি প্রাথমিকভাবে মঞ্জুরও হয়েছে বলে জানা গেছে। 

মূলত সন্তাসম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকতেই জাতীয় দল থেকে ছুটি চেয়েছেন জাতীয় দলের এই পেস বোলার। এই মুহূর্তে দলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আছেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে। 

আগামীকাল সেই সিরিজ শেষ হতে যাচ্ছে। সিরিজ শেষে ১৩ নভেম্বর দেশে ফিরবেন মোস্তাফিজ। 

একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মোস্তাফিজের ছুটির আবেদন মঞ্জুর হয়েছে তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের আগে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে প্রথম টেস্ট শুরু ২২ নভেম্বর ও দ্বিতীয় টেস্ট ৩০ নভেম্বর শুরু। ওয়ানডে সিরিজ শুরু ৮ ডিসেম্বর, টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু ১৬ ডিসেম্বর থেকে।

মেসির গোলে সমতায় ফিরেও হারলো মায়ামির

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৯ এএম
আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৭ এএম
মেসির গোলে সমতায় ফিরেও হারলো মায়ামির
ছবি |: সংগৃহীত

মেজর লিগ সকারে তিন ম্যাচের প্লে-অফ সিরিজ ১-১ সমতায় থাকায় শেষ ম্যাচটি হয়ে দাঁড়িয়েছিল সেমিফাইনাল নিশ্চিতের ম্যাচ। সেই ম্যাচে লিওনেল মেসি গোল করে দলকে সমতায় ফেরালেও এনে দিনে পারেননি কাঙ্ক্ষিত জয়। ৩-২ ব্যবধানে হেরে প্লে-অফ পর্বের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে মেসির ইন্টার মায়ামিকে।

রবিবার (১০ নভেম্বর) প্রতিপক্ষ আটলান্টার মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে শুরুতে এগিয়ে গিয়েও হারতে হয়েছে মায়ামি। 

ম্যাচের ১৭ মিনিটে মায়ামি এগিয়ে যায় মাতিয়াস রোহাসের গোলে। কিন্তু ১৯ ও ২১ মিনিটে পরপর দুই গোল করে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। আটলান্টার হয়ে গোল দুটো করেন সেনেগালিজ স্ট্রাইকার জামাল থিয়ারে।

প্রথমার্ধের খেলা ২-১ ব্যবধানেই শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরার প্রত্যয়ে তিনটি পরিবর্তন আনেন মায়ামির কোচ জেরার্ড মার্তিনো। সেই পরিবর্তনে ৬৫ মিনিটে থেকে মার্সেলো ভাইগান্টের ক্রসে মাথা ছুঁয়ে গোল করেন মেসি। তার গোলে সমতা ফেরে ম্যাচে।

মেসির গোলের পর সুয়ারেজ, রোহাস ও জর্দি আলবার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় আটলান্টা গোলকিপার ব্র্যান্ড গুজানের সঙ্গে। ফলে কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকে।

তবে খেলা চালু হওয়ার পর বিপদ বাড়ে ফ্লোরিডার ক্লাবটির। ৭৬ মিনিটে বারতোজ সিলৎসের গোল মায়ামিকে একেবারেই স্তব্ধ করে দেয়। ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে ম্যাচে নিজেদের শক্ত অবস্থান নিশ্চিত করে আটালান্টা।

চেষ্টা চালিয়েও ম্যাচে আর ফিরতে পারেনি লিওনেল মেসিরা। ৩-২ গোলে হেরে বিদায় নেয় আসর থেকে।

জিতলেও নিজের পারফরম্যান্সে খুশি নন শান্ত

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৯ এএম
জিতলেও নিজের পারফরম্যান্সে খুশি নন শান্ত
ছবি : সংগৃহীত

সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬৮ রানে জিতে সিরিজ এখন সমতায়। প্রথম ম্যাচে হেরে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে দ্বিতীয় ম্যাচে। সিরিজে সমতা টানার ম্যাচে ১১৯ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। 

জেতা ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েও নিজের খেলা নিয়ে খুশি নন শান্ত। এমনটা জানিয়েছেন তিনি ম্যাচশেষে।

শারজার উইকেটে থিতু হয়েও আউট হয়েছেন শতক তুলতে না পেরে। থিতু হওয়ার পর ইনিংসটা আরও লম্বা হওয়া উচিত ছিল বলে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, আমি খুব একটা খুশি নই। আমার আরও লম্বা সময় ব্যাটিং করা উচিত ছিল। এই উইকেটে স্পিনের বিপক্ষে ব্যাটিং করা কঠিন। আমার আরেকটু লম্বা ইনিংস খেলা উচিত ছিল। তবে আমি যেভাবে শুরু করেছি, সেটা নিয়ে খুশি।’

ব্যাটিং ধসে প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশ হেরে গেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে ৬৮ রানের জয়ে। এই জয়ে দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন দুই স্পিনার নাসুম আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তাদের কৃতিত্ব দিয়ে শান্ত বলেন, ‘যেভাবে মিরাজ ও নাসুম বোলিং করেছে, কৃতিত্ব তাদের দিতেই হয়। তাসকিন ভালো শুরু এনে দিয়েছে গুরবাজকে আউট করে। সে আফগানিস্তানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যাটসম্যান। সব মিলিয়ে বোলাররা খুব ভালো করেছে। আমি ফিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে যা চাচ্ছিলাম, যে এনার্জিটা চাচ্ছিলাম, সেটা আজ পেয়েছি। সেদিক থেকে আমি খুবই খুশি।’

মুশফিকুর রহিমের চোটে জাতীয় দলে অভিষেক হওয়া জাকের আলি শেষদিকে খেলেছেন ২৭ বলে অপরাজিত ৩৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। নাসুমের ব্যাট থেকেও আসে গুরুত্বপূর্ণ ২৪ বলে ২৫ রান। শেষের এই দুটো ইনিংস দলের জয়ে দারুণ অবদান রেখেছে বলে মনে করেন শান্ত।

বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘ওরা যেভাবে শেষ করেছে, সেটার পর আমরা মোমেন্টামটা পেয়ে গিয়েছি। আমরা জাকের এবং লোয়ার মিডল অর্ডারে যারা ব্যাটিং করে, যেমন নাসুম, ওদের কাছে এটাই চাইব। ওরা আজ যেভাবে খেলেছে, আমি খুবই খুশি। আশা করছি, ওরা এভাবেই খেলে যাবে।’

টেস্ট স্ট্যাটাসের দুই যুগ দশে আড়াইয়ের বেশি নম্বর দিতে পারব না

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৫ এএম
আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৭ এএম
দশে আড়াইয়ের বেশি নম্বর দিতে পারব না
ছবি : সংগৃহীত

টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর কতগুলো ম্যাচ জিতেছি, কতগুলো ম্যাচ হেরেছি সেটা পরের কথা। আমরা আমাদের র‌্যাঙ্কিং গত ২৪ বছরে সর্বোচ্চ কত ছিল আর এই মুহূর্তে র‌্যাঙ্কিং কত। আমরা কখনোই ৮ এর উপরে উঠতে পারিনি। ২৪ বছর ধরে ৮ থেকে ১২-এর মধ্যে ঘুরাঘুরি করছি। এক নম্বরে এটাই বলে দেয় আমরা কি করছি, না করছি। দুই নম্বর হলো টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার আগে যেই প্রতিশ্রুতিগুলো করেছিলাম যে রিজিওনাল ক্রিকেটগুলো ভালো হবে, ফার্স্টক্লাস ক্রিকেটগুলো ভালো হবে। আমরা এই ২৪ বছর টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পরে কিছুই করিনি। আর দেখেন যে অন্য দেশগুলো টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর কি অর্জন করেছে, আর আমরা কি অর্জন করেছি? 

সবচেয়ে বড় কথা হিসাব করলে দেখবেন যে সর্বশেষ তিনটা টেস্ট সিরিজ আপনি মনে রেখেছেন। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান। এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট। এতটুকুই মনে আছে। ২০২৪ সালের ঘটনা বা অর্ধেক ২০২৪ সাল। কিন্তু পুরোটা যদি আপনি পর্যালোচনা করেন, আমরা কখনোই ধারাবাহিক ছিলাম না। কতগুলো টেস্ট আমরা হেরেছি, কীভাবে হেরেছি। আজকালকার যুগ হচ্ছে ডাটা ড্রিম অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড, সংখ্যায় ড্রিম করে। এই ডাটা ড্রিমে কই আছি আমরাই জানি। আমরা টেস্ট ক্রিকেটকে কখনো বুঝতে চাইনি। কখনো গুরুত্ব দেইনি। ফলশ্রুতিতে আমরা এই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি।

আমরা তো প্রোডাক্টের শেষ জায়গাটা দেখি খেলোয়াড় বা খেলাটা। তার আগে তো একটা দলের প্রস্তুতির ব্যাপার আছে। একটা খেলোয়াড় টেস্ট ক্রিকেট যে খেলবে তার পারিশ্রমিকের ব্যাপার আছে, টেস্ট খেলোয়াড় হিসেবে, কিছুতেই তো আমরা ধারাবাহিক না। আশা করি যে আমাদের দলটা টেস্টে ভালো করবে। টেস্ট ক্রিকেটটা এমন যে, এটা টেম্পারমেন্টের টেস্ট, টেকনিকের টেস্ট, ক্রিকেট অবকাঠামোর টেস্ট বলেই এটা টেস্ট ক্রিকেট। আপনি যদি আমাকে নম্বর দিতে বলেন, আমি দশে আড়াইয়ের বেশি নম্বর দিতে পারব না।

আপনাকে একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, এটার সঙ্গে আমি একটা জিনিস টেনে আনছি ক্রিকেট সংস্কৃতি। আমাদের কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত আছে। যেমন ধরেন আইসিসি ট্রফি যে দিন আমরা জয় করলাম, যে দিন আমরা টেস্ট স্ট্যাটাস পেলাম, আমরা প্রথম টেস্ট খেললাম। এ রকম কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিন আমরা ইচ্ছা করে ভুলে গেছি। অনূর্ধ্ব-১৯ দল বিশ্বকাপ জিতেছে, এই যে ওই দিনগুলোতে ক্রিকেট বোর্ডে যে গোলটেবিল বৈঠক করব, সেমিনার করব উদযাপন করব। জেলাভিত্তিক আমরা এটা একটা আলোচনা অনুষ্ঠান বা সিম্পোজিয়াম করব কখনোই কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আপনারা সাংবাদিকরা কয়জন হয়তো মনে রাখেন, ক্রিকেট বোর্ড তো মনেও রাখে না যে ১০ নভেম্বর টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার দিন। যে জাতি ইতিহাস ভুলে যায় সে জাতি তো সবকিছুই ভুলে যায়।

দুই যুগ পূর্তি হচ্ছে এটা ক্রিকেট বোর্ডের তো একটা বড় সুযোগ, এই সুযোগে ধরেন ক্রিকেটের অবকাঠামো নিয়ে আলোচনা করতে পারি। আমরা তো লুকিয়ে লুকিয়ে আছি। দিনগুলো উদযাপন কি করব, আমরা তাড়াতাড়ি চলে যেতে পারলে বাঁচব মনে হয়।