ঢাকা ১৭ কার্তিক ১৪৩১, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪

বাফুফে নির্বাচন ২০২৪ কেমন হবে বাফুফের নির্বাচনি সমীকরণ

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫০ এএম
আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫১ এএম
কেমন হবে বাফুফের নির্বাচনি সমীকরণ
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এলেও প্রার্থীর দেখা নেই। নির্বাচন করতে পারেন কিংবা নির্বাচন করে থাকেন এমন ব্যক্তিরা এখনো নিশ্চুপ। ফলে নির্বাচনি হাওয়া কেমন হবে, তা বোঝা বড় দায়।

আগামী ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বাফুফের নির্বাচন। পরবর্তী ৪ বছর কারা দেশের ফুটবল পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন, ১৩৩ জন ভোটারের রায়ে তা নির্ধারণ হবে। সেই ভোটার তালিকা এরই মধ্যে চূড়ান্ত হয়ে গেছে। গঠন হয়েছে নির্বাচন কমিশন। অতি দ্রুত তারা সভা করে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করবেন। যারা প্রার্থী হতে চান, তফসিল অনুযায়ী তারা মনোনয়নপত্র কিনবেন। তখন বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে, কারা কোন পদে লড়তে চান।

কিন্তু ভোটের লড়াইয়ে কারা সামিল হতে পারেন, এটা সাধারণত নির্বাচনের বেশ আগেই অনেকটা আঁচ করা যায়। এবার যা হচ্ছে না। এখানেই এবারের বাফুফে নির্বাচন অন্য যেকোনো বারের চেয়ে ব্যতিক্রম। ব্যতিক্রম আরও এক জায়গায়। এবারের নির্বাচনে থাকছেন না কাজী মো. সালাউদ্দিন। টানা ১৬ বছর বাফুফে সভাপতির পদ সামলানো সাবেক এই ফুটবলার এবার নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি নিজের এই সিদ্ধান্তে অটল থাকলে আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন অভিভাবক পাবে দেশের ফুটবল।
এখন পর্যন্ত বাফুফে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন মাত্র দুজন। একজন তরফদার মো. রুহুল আমিন, অন্যজন তাবিথ আওয়াল। দুজনই সভাপতি পদে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এ ছাড়া অন্য কোনো পদে এখন পর্যন্ত আর কেউ প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেননি।

কাজী সালাউদ্দিন যে নির্বাচনে অংশ নেবেন না, এই ঘোষণা তিনি দিয়েছিলেন গত ১৪ সেপ্টেম্বর। এরপর দিনই (১৫ সেপ্টেম্বর) সভাপতি পদে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছিলেন আলোচিত ব্যবসায়ী তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন। বেশ কিছু সাবেক ফুটবলার ও সংগঠকদের পাশে নিয়ে এই ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। এর কিছুদিন পর গত ২৩ সেপ্টেম্বর সভাপতি পদে লড়াই করার ঘোষণা দেন তাবিথ আওয়াল। দুজন সভাপতি পদে লড়াইয়ের ঘোষণা দেওয়া মানে জমজমাট লড়াইয়ের বার্তা। কিন্তু এখানে সেটা হয়নি। রুহুল আমিন নিজেকে সভাপতি প্রার্থী ঘোষণা দেওয়ার পর যতটুকু নির্বাচনি আমেজ তৈরি হয়ে ছিল, সেটা বরং স্তিমিত হয়ে যায় তাবিথ প্রার্থী হতে চাওয়ায়।

এর বড় কারণ, রুহুল আমিন যাদের পাশে নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন, তাদের একটি বড় অংশ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) শীর্ষ স্তরের নেতা। এদিকে তাবিথ নিজেও বিএনপির জাতীয় কমিটিতে থাকা একজন শীর্ষ নেতা। ফলে তরফদার রুহুল আমিনকে যারা সমর্থন দিয়েছিলেন, তারাই একপর্যায়ে বেশ অস্বস্তিতে পড়ে যান এবং এখন পর্যন্ত সেই অস্বস্তিটা পরিষ্কার।

যাদের পাশে নিয়ে রুহুল আমিন সভাপতি প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক ফুটবলার রুম্মন বিন ওয়ালী সাব্বির। আছেন সাবেক ফুটবলার ও কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক। এই দুজন রুহুল আমিনের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার অনুষ্ঠানে রীতিমতো মঞ্চে ছিলেন। দুজনের সঙ্গেই কথা হয় এই প্রতিবেদকের। নির্বাচন ইস্যুতে এখন দুজনই খুব বেশি কিছু বলতে চাচ্ছেন না। তারা অপেক্ষা করতে চাচ্ছেন। তবে তাদের কথাতে এটা পরিষ্কার যে, তাদের অবস্থানটাও আর আগের মতো নেই। 

এমন কি তরফদার রুহুল আমিন নিজেও এখন আর নির্বাচন করার কথা জোর দিয়ে বললেন না। তার সঙ্গেও আলাপ হয়েছে এই প্রতিবেদকের। যদিও তিনি প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা পুরোপুরি নাকোচ করে দেননি। কিন্তু জোর দিয়ে বলেননি যে নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হচ্ছেনই।

ফুটবল সংশ্লিষ্টদের কেউ কেউ তাই ধারণা করছেন, তাবিথ আওয়ালই এবার বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হতে পারেন। তিনি কাজী সালাউদ্দিন যুগে দু-দুবার সহসভাপতি পদে ছিলেন। কাজী সালাউদ্দিনের কমিটির অনেককে পাশে নিয়ে তিনি নিজের প্যানেল সাজাবেন বলে জোর গুঞ্জন রয়েছে। যদিও তাবিথ আওয়াল তার প্যানেলে কাদের রাখবেন, তার নির্বাচনি ইশতেহারই বা কি হবে, এ নিয়ে এখনো কোনো কিছু পরিষ্কার করেননি। নিজের সভাপতি পদে লড়াইর ঘোষণার দিন বলেছেন, নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার পর এসব নিয়ে বিস্তারিত জানাবেন। অর্থাৎ এ জন্য আরও কটা দিন অপেক্ষা করতে হবে।

এদিকে বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ও বাফুফের সহসভাপতি পদে থাকা ইমরুল হাসানও সভাপতি পদে নির্বাচন করতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে খবরের কাগজকে তিনি বলেছেন, ‘আমি তো কোথাও বলিনি, আমি সভাপতি পদে প্রার্থী হব। তবে যেহেতু ফুটবলের সঙ্গে আছি, তাই কোনো না কোনো ভূমিকাতে তো থাকতেই পারি। সেটা সময় এলেই সব পরিষ্কার হওয়া যাবে।’ 

সাফজয়ীদের সমস্যাগুলো লিখিত আকারে চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৮ পিএম
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২০ পিএম
সাফজয়ীদের সমস্যাগুলো লিখিত আকারে চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
ছবি : সংগৃহীত

সাফজয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ যমুনায় এই সংবর্ধনা দেওয়া হয় সারফ চ্যাম্পিয়নদের। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফুটবলারদের সোহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। 

শনিবার (২ নভেম্বর) যমুনায় সকাল ১১টায় নারী দলের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে ফুটবলারদের সকল কথা মনযোগ সহকারে শোনেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান। 

ফুটবলাররা আবাসন-অনুশীলনে সমস্যা, বেতন কাঠামো পরিবর্তনসহ নানা বিষয় তুলে ধরেন। সবার সমস্যার কথা শুনে লিখিত আকারে দেওয়ার পরামর্শ দেন ড. ইউনূস। ফুটবলাররাও যত দ্রুত সম্ভব তা পৌঁছে দেওয়ার কথা জানান।

এ ব্যাপারে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা খুব ধৈর্য সহকারে নারী ফুটবলারদের কথা শুনেছেন। বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনেছেন এবং সেগুলো লিখিতভাবে দেওয়ার জন্য বলেছেন। সেগুলো আমরা লিখিত পেলে খুব দ্রুত ব্যবস্থা যাতে নিতে পারি। নারী ফুটবলারদের সমস্যার বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।’

সাফজয়ী নারী দলের সকল সদস্যরা নিজেদের অটোগ্রাফ সংবলিত অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের জার্সি ও ফুটবল প্রধান উপদেষ্টাকে উপহার দিয়েছেন। সেটি নিশিচত করে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘নারী ফুটবলাররা প্রত্যেকের সাইন করা জার্সি এবং ফুটবল প্রধান উপদেষ্টাকে উপহার দিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টাসহ আমরা সবাই নারী ফুটবলারদের সঙ্গে সকালের নাস্তা করেছি।’

প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে কোচিং স্টাফের মধ্যে শুধু হেড কোচ পিটার বাটলার ও কর্মকর্তাদের মধ্যে ম্যানেজার মাহমুদা আক্তার গিয়েছেন। 

প্রধান উপদেষ্টার সংবর্ধনা পেলেন সাবিনারা

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৩ পিএম
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৬ পিএম
প্রধান উপদেষ্টার সংবর্ধনা পেলেন সাবিনারা
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাফজয়ী নারী ফুটবলাররা।

নেপালকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সেই সাফজয়ী নারীদের সংবর্ধনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

শনিবার (২ নভেম্বর) সকাল ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সংবর্ধনার দেওয়া হয়।

সংবর্ধনা নিতে সকাল ১০টায় যমুনায় প্রবেশ করেন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে দেশে ফেরা নারী দলের সদস্যরা। দুইদিন আগে (বৃহস্পতিবার) দেশে ফিরলেও তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে আজ। 

যমুনায় সাফজয়ী নারী দলের পক্ষ থেকে সকল খেলোয়াড়ের অটোগ্রাফ সংবলিত অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের একটি জার্সি উপহার দেওয়া হয় প্রধান উপদেষ্টাকে। পরে নারী দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন সারেন প্রধান উপদেষ্টা। উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও। 

এই সংবর্ধনায় খেলোয়াড় ছাড়াও যোগ দেন প্রধান কোচ পিটার বাটলার ও ম্যানেজার মাহমুদা অনন্যা। তবে আসেননি কোনো বাফুফে কর্তা।

এর আগে, দেশে ফেরার পর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছাদখোলা বাসে সংবর্ধনা দিয়ে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় মতিঝিলের বাফুফে ভবনে। সেখানে তাদের বরণ করে নেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। 

বাফুফে ভবনে সাবিনাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়ার পর যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা তাদের হাতে ১ কোটি টাকা পুরস্কারের ডামি চেক তুলে দেন।

মাঠে ফিরছেন ইবাদত

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৫ পিএম
মাঠে ফিরছেন ইবাদত
ছবি : সংগৃহীত

১৪ মাসের বিরতি শেষে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরছেন বাংলাদেশের পেসার ইবাদত হোসেন। চলমান জাতীয় ক্রিকেট লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সিলেট বিভাগের হয়ে মাঠে ফিরছেন তিনি। 

ক্রিকেটভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজকে ইবাদতের ইনজুরির উন্নতির খবরটি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এক কর্মকর্তা।

২০২৩ সালের জুলাইয়ে ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ চলাকালীন এসিএল ইনজুরিতে পড়ে খেলা হয়নি ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপেও। 

সিলেট বিভাগকে প্রতিনিধিত্ব করা ইবাদত চলমান জাতীয় ক্রিকেট লিগে খুলনা বিভাগের বিপক্ষে চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচ দিয়ে মাঠে নামবে নভেম্বরের ৯ তারিখ। 

বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী ক্রিকবাজকে জানিয়েছেন, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী এনসিলের চতুর্থ রাউন্ডে তার মাঠে নামার কথা। আমরাও দেখতে চাই প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে খেলার পর সে কেমন বোধ করে।

তিনি আরও বলন, ‘এটি তার পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার অংশ, সেখানে কিছু বিধিনিষেধও থাকবে (তার বোলিং নিয়ে)।
‘ইবাদতকে তার ছন্দ ফিরে পেতে হবে এবং এটি ফিরে পাওয়ার একমাত্র উপায় ম্যাচে বোলিং করে আর আমরাও সেদিকে নজর রাখছি এই মুহূর্তে। তিনি বোলিং করে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তবে সবকিছু ঠিক আছে কিন্তু যদি সেটি না হয় তাহলে তার কিছু সময় পাবে তা থেকে সেরে উঠতে এবং সেই জায়গাগুলো নিয়ে কাজ করতে পারবে যেগুলোতে উন্নতি প্রয়োজন’ – যোগ করেন দেবাশীষ।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল ইবাদতকে দলে ভিড়িয়েছে আগামী মৌসুমের জন্য। ডিসেম্বরের ৩০ তারিখ শুরু হতে যাচ্ছে এবারের বিপিএল।

সম্প্রতি ভারত সফরে দলের সঙ্গে ছিলেন ইবাদতও। টিম ম্যানজমেন্টের কাছাকাছি অবস্থান করে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার জন্য। 

ইউনাইটেড বিশ্বকাপ নিয়ে কৌশলী মেসি

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১০ পিএম
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২১ পিএম
ইউনাইটেড বিশ্বকাপ নিয়ে কৌশলী মেসি
ছবি : সংগৃহীত

কাতারে পরম আরাধ্যের বিশ্বকাপ জিতেছেন দুই বছর আগে। এরপর পিএসজি অধ্যায় শেষ করে ইন্টার মায়ামিতে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন লিওনেল মেসি। সামনের ইউনাইটেড বিশ্বকাপ আসতে আরও বছর দুয়েক বাকি। ফুটবলের যে বৈশ্বিক আসর বসবে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায়। 

সময়ের হিসেবে সামনের বিশ্বকাপ বেশ দূরে থাকলেও একটি প্রশ্নের সামনে বারবার মুখোমুখি হন লিওনেল মেসি। আর তা হলো, সামনের বিশ্বকাপে দেখা যাবে তো মেসিকে? বরাবর একটাই উত্তর দেন আর্জেন্টিনার এই বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক, ‘সময়টাকে উপভোগ করছি এখন, সামনের বিশ্বকাপ নিয়ে আপাতত ভাবছি না।’

সম্প্রতি ফুটবল বিশ্বের পরিচিত মুখ সাংবাদিক ফাব্রিসিও রোমানোর সঙ্গে ‘দা ৪৩৩ অ্যাপ’ ও অ্যাপল টিভির জন্য এক সাক্ষাৎকারে মেসি একটু বিস্তারিতই বলেছেন সামনের বিশ্বকাপ নিয়ে। যেখানে অনেকটা কৌশলী ছিলেন ফুটবলের এই জাদুকর। যার সারমর্ম, ধাপে ধাপে এগোতে চান তিনি। তবে তিনি এও বলেছেন, সামনের বিশ্বকাপ তিনি খেলতে পারবেন কি না, তা তিনি জানেন না। 

মেসি বলেছেন, ‘আমি সত্যিই জানি না (২০২৬ বিশ্বকাপে খেলব কি না)। আমাকে অনেক প্রশ্ন করা হয় এটা নিয়ে, বিশেষ করে আর্জেন্টিনায়। আপাতত আমার চাওয়া বছরটা ভালোভাবে শেষ করা। এরপর ভালো একটা প্রাক-মৌসুম কাটিয়ে নতুন বছর শুরু করা।’

চোটের কারণে ইন্টার মায়ামিতে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে ছিলেন মেসি। খেলতে পারেননি আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের কয়েকটি ম্যাচও। ভবিষ্যৎ নিয়ে আগাম কিছু বলা কঠিন। মেসি ভালো করে জানেন তা। সে কারণেই সব কিছু সময়ের হাতেই ছেড়ে দিচ্ছেন তিনি। 

মেসি বলেন, ‘নতুন মৌসুমে আমি দেখব, কেমন করছি এবং কেমন লাগছে। আমরা কাছাকাছি আছি, তবে পাশাপাশি এটাও সত্যি, অনেক সময় এখনো বাকি এবং ফুটবলে যেকোনো কিছুই হতে পারে। আপাতত বেশি দূরে না তাকিয়ে প্রতিটি দিনে থাকতে চাই।’

যেকোন টুর্নামেন্টে সম্ভাব্য শিরোপাজয়ী দলের অধিনায়ক যেমনটি বলেন, ধাপে ধাপে এগোতে চাই। মেসিও তেমনটি চাচ্ছেন। মোদ্দা কথা, ততদিন পর্যন্ত (বিশ্বকাপ) ফিটনেস ও ছন্দ যদি ঠিকঠাক থাকে, তাহলে মেসি সগৌরবে হাজির হবেন। আগাম কোনো কিছু বলা থেকে তাই বিরত থাকছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার। 

মেসির ভাবনা এখন ইন্টার মায়ামিকে ঘিরেই, ‘এই সময়, পারিপার্শ্বিকতা ও বয়সের কারণে খেলার ধরন বদলেছি আমি। সবকিছুতে একটু করে মানিয়ে নিচ্ছি। নিজেকে পুনরাবিষ্কার করছি আমি এবং এই লিগে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি, আমার জন্য যা নতুন। তবে শুরু থেকেই এখানে খুব স্বস্তি অনুভব করেছি।’

মেসি আসার আগে মেজর লিগ সকারে তলানির দল ছিল ইন্টার মায়ামি। তবে খুদে এই জাদুকরের ছোঁয়ায় বদলে গেছে অনেক কিছু। মেসি জাদুতে দলটি জিতেছে লিগস কাপ। এই মৌসুমে মেজর লিগ সকারে পয়েন্টের রেকর্ড গড়ে তারা জিতেছে সাপোর্টার্স শিল্ডও। এখন প্লেঅফে খেলছে তারা এমএলএস কাপের জন্য।

এমএলএস কাপ জিততেই এখন মরিয়া ৩৭ বছর বয়সী এই ফুটবলার। তিনি বলেন, ‘একটা ক্লাব গড়ে তুলতে শিরোপার প্রয়োজন পড়ে। বাজে একটা বছর (২০২৩) কাটিয়ে এসেছে এই ক্লাব এবং আমি আসার কিছুদিন পর লিগস কাপ জিতেছি আমরা, ক্লাবের প্রথম ট্রফি সেটি। আমাদের জন্য এটা ছিল অসাধারণ এবং এখন আমরা মুখিয়ে আছি এই প্লেঅফ ম্য্যাচগুলো খেলতে এবং এমএলএস কাপ জিততে। ব্যক্তিগতভাবে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, ক্লাবের জন্য জিততে চাই।’  

ভিনির ব্যালন ডি’অর না জেতা ‘অন্যায়’ মনে করেন দরিভাল

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৩ এএম
ভিনির ব্যালন ডি’অর না জেতা ‘অন্যায়’ মনে করেন দরিভাল
ছবি : সংগৃহীত

সবশেষ ২০০৭ সালে ব্রাজিলের কোচ ফুটবলার জিতেছিলেন ব্যালন ডি’অর। এসি মিলানের হয়ে হয়ে দারুণ পারফরম্যান্স করে জিতেছিলেন এই খেতাব। কিন্তু এরপর থেকে ব্রাজিলের আরকোনো খেলোয়াড়ই নিতে পারেনি এই পুরস্কারের স্বাদ। ধারণা করা হয়েছিল এবার ব্রাজিলের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ভিনিসিয়ুসের হাতে উঠতে যাচ্ছে।

ব্যালন ডি’অর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। ২০২৪ সালের ব্যালন ডি’অর জিতে নিয়েছেন ম্যানসিটির হয়ে খেলা স্পেনের মিডফিল্ডার রদ্রি।

ভিনি নিজেও আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে এবারের ব্যালন ডি’অর তিনিই পেতে যাচ্ছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হওয়ায় তিনি মনে করেন, বর্ণবাদের বিপক্ষে কথা বলায় তাকে জিততে দেওয়া হয়নি এই পুরস্কার। 

ভিনিসিয়ুসের ব্যালন ডি’অর না জেতা মানতে পারছেন না ব্রাজিলিয়ানরা। দলটির কোচ দরিভাল জুনিয়র তো জানিয়েই দিয়েছেন এটা ‘অন্যায়’।

২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে দুটি ম্যাচ রয়েছে এই নভেম্বরে। সেই দুই ম্যাচের জন্য ভিনিকে রেখেই ২৩ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে ব্রাজিলের কোচ দরিভাল জুনিয়র। 
স্কোয়াড ঘোষণার সময় ভিনির ব্যালন ডি’অর নিয়ে নিজের হতাশার কথাও জানিয়েছেন দরিভাল।

ব্রাজিলের কোচ বলেন, ‘তার সঙ্গে আমার (ব্যালন ডি’অর দেওয়ার) আগের দিন কথা হয়েছে, পরে হয়নি। সরাসরি কথা বলতে হবে। আমার মতে, এটা অন্যায়। এটা ব্যক্তিগত পুরস্কার। যদি এমন কেউ থেকে থাকে, যে দুর্দান্ত, তীক্ষ্ণ ও ভয়ংকর অ্যাথলেট, যার প্রতিভা মৌসুমজুড়ে পুরো বিশ্ব দেখেছে, সেটা সে-ই (ভিনি)।’

দরিভাল আরও বলেন, ‘যে এই পুরস্কার জিতেছে, তার বিরুদ্ধে আমি নই। (রদ্রি) সে স্প্যানিশ ও বিশ্ব ফুটবলের জন্যই দারুণ খেলোয়াড়। অনেকবার নিজেকে চিনিয়েছে। কিন্তু ভিনিসিয়ুস যা করেছে, সে জন্য তার অন্য রকম স্বীকৃতি প্রাপ্য ছিল। তবে ভিনিসিয়ুস সম্ভবত সেরা যে পুরস্কারটি জিতেছে, সেটি তার (দেশের) মানুষের সম্মান ও ভালোবাসা। ব্রাজিলের অধিকাংশ মানুষ বুঝতে পেরেছে, এটা অন্যায়।’