ঢাকা ২১ কার্তিক ১৪৩১, বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪

‘সাকিব যা করেছে তা অবিশ্বাস্য’

প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫৯ এএম
আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫৯ এএম
‘সাকিব যা করেছে তা অবিশ্বাস্য’
ছবি : সংগৃহীত

একটা সময় দুজনে ছিলেন ভালো বন্ধু। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যেমন অনেক কিছু পরিবর্তন হয়, সম্পর্কেরও উত্থান-পতন ঘটে। সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালও অনেকটা সেরকমই। সময়ের আবর্তে দুজনের মধ্যকার সেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কটা আর নেই। এখন অনেকটা সাপে-নেউলের মতো। তারপরও কথাবার্তায় দুজনই বেশ সংযত। তামিম ইকবাল তো সাকিব প্রসঙ্গ এলে প্রশংসার ঝাঁপি খুলে দেন। যেমনটা দিয়েছেন ভারতীয় ক্রীড়া সাময়িকী ‘স্পোর্টস্টার’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে।

বাংলাদেশ দল এই মুহূর্তে আছে ভারত সফরে। তামিম ইকবাল দায়িত্ব পালন করছেন ধারাভাষ্যকর হিসেবে। সেখান থেকেই দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিবসহ বাংলাদেশের ক্রিকেটের নানা দিক নিয়ে কথা বলেছেন তামিম ইকবাল। সাকিবের প্রসঙ্গে তামিম বলেন, ‘সম্পর্কে উত্থান-পতন থাকা স্বাভাবিক। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে আপনার কারণে যেন অন্য কারও ক্ষতি না হয়। আমরা দুজনই (সাকিবসহ) দেশের জন্য খেলেছি। কখনোই তাকে নিয়ে গণমাধ্যম বা অন্য কোথাও আপত্তিকর কিছু বলিনি, তাকে দোষ দেইনি।’

এরপর সাকিবকে প্রশংসায় ভাসিয়ে তামিম বলেন, ‘আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, সাকিব দেশের জন্য যা করেছে তা অবিশ্বাস্য। তার সঙ্গে আপনার সম্পর্ক ভালো কিংবা খারাপ যেমনই থাকুক, তাকে এড়িয়ে যেতে পারবেন না। সাকিব বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় তারকা।’

সাকিবের সঙ্গে আপনার সম্পর্কটা ভালো হলে তা ক্রিকেটে কেমন প্রভাব পড়ত? এমন প্রশ্নের জবাবে তামিম ইকবাল জানান, ‘কোন সন্দেহ নেই দুজনের সম্পর্কটা ভালো থাকলে তা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্যই ভালো হতো। তবে আমরা দুজনই বাংলাদেশের হয়ে খেলেছি। দুজনেরই মানসিকতাও ছিল ইতিবাচক।’

মাশরাফি, সাকিব, তামিম-বাংলাদেশের ক্রিকেটে হিরো। কিন্তু এদের বিদায়ের ক্ষেত্রে পরিবেশটা ভালো থাকে না। ক্রিকেটাররা এ ক্ষেত্রে আরও ভালো কিছু প্রত্যাশা করে বলে তামিম জানান, ‘এ ক্ষেত্রে বিসিবিরও ইতিবাচক মানসিকতা দরকার। কারণ এই ক্রিকেটাররা দেশের হয়ে দীর্ঘদিন সার্ভিস দিয়েছে।’

টি-টোয়েন্টি থেকে সাকিবের অবসর কি সঠিক সময়ে হয়েছে? এ প্রসঙ্গে তামিম বলেন, ‘এই বিষয় নিয়ে অনেক চর্চা হয়েছে। মিডিয়াতেও লেখা হয়েছে। বিসিবি, কোচ, অধিনায়ক- এদের নিজস্ব মতামত থাকতে পারে। তবে আপনি যদি মনে করেন, এটাই বিদায় নেওয়ার সঠিক সময়, তাহলে আপনার সেটাই করা উচিত।’

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বরাবরই বিদেশি কোচ নির্ভর। যদিও এই কালচার থেকে বের হয়ে এসেছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। এমনকি শ্রীলঙ্কাও। সেখানে বাংলাদেশ কবে এই ধারা থেকে বের হবে? তামিম মনে করেন, ‘আমার মনে হয় না, প্রধান কোচ হওয়ার মতো যোগ্য কেউ এখন আছে বাংলাদেশে। এখন এমন দু-তিনজন আছেন, যারা সহকারী কোচ হতে পারেন। কিন্তু আমার মনে হয় না, তারা জাতীয় দলের প্রধান কোচ হওয়ার উপযুক্ত।’

কোচিং স্টাফ নিয়োগে নিজের চিন্তাধারাও জানিয়েছেন তামিম, ‘বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফে ৭০: ৩০ অনুপাত থাকা উচিত। প্রধান কোচ পদে একজন বিদেশি ও তার সঙ্গে বড়জোর আরও দুজন বিদেশি কোচ থাকতে পারেন। সহকারী কোচ পদে বাকি ৭০ শতাংশ বাংলাদেশি নিয়োগ করা উচিত। তাতে স্থানীয় কোচদের বেড়ে ওঠায় সাহায্য হবে এবং এক দিন তারা প্রধান কোচ হতে পারবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বড় নামের পেছনে ছোটা বন্ধ করা উচিত। কারণ, বিখ্যাত সবাই দলের জন্য ভালো কোচ হয় না। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য কারা মানানসই, সেটা তাদের (বিসিবি) খুঁজে বের করতে হবে। সেই ব্যক্তিকে কঠোর পরিশ্রমী হওয়ার পাশাপাশি দলে কিছু যোগ করার সামর্থ্য থাকতে হবে।’

চ্যাম্পিয়নদের জালে আল নাসরের ৫ গোল

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১০ পিএম
আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৮ পিএম
চ্যাম্পিয়নদের জালে আল নাসরের ৫ গোল
ছবি : সংগৃহীত

এশিয়ার ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আল আইনকে গোলবন্যায় ভাসিয়েছে আল নাসর। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের জালে ৫ গোল দিয়েছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দল।

মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) ঘরের মাঠ আল আওয়াল পার্কে আল আইনের বিপক্ষে ৫-১ গোলের বড় জয় পেয়েছে আল নাসর। 

সবশেষ মৌসুমে এই আল আইনের কাছে হেরেই আসর থেকে বাদ পড়তে হয়েছিল আল নাসরকে। তাই বড় ব্যবধানে পাওয়া এই জয় আল নাসরের কাছে প্রতিশোধও বটে। 
এই জয়ে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এলিটের পশ্চিমাঞ্চলের পয়েন্ট তালিকার তিনে উঠে গেছে আল নাসর। ৪ ম্যাচে রোনালদোদের পয়েন্ট এখন ১০।

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোরা এই জয়ে তিনে উঠলেও আল আইন চলে গেছে টেবিলের ১২তম স্থানে। ফলে অনিশ্চয়তায় চলে গেছে আল আইনের শেষ ষোলোতে উত্তীর্ণ হওয়ায়। 

৫-১ গোলের জয়ে আল নাসরের হয়ে জোড়া গোল করেছেন অ্যান্ডারসন টেলিস্কা। ম্যাচের ৫ ও ৯৪ মিনিটে গোলের দেখা পান তিনি। পর্তুগীজ তারকা রোনালদো গোল করেন ৩১ মিনিটে। 

৩৭ মিনিটে আল নাসরকে আত্মঘাতী গোল উপহার দেন আল আইন। আল আইনের কফিনে সর্বশেষ পেরেকটি ঠুকে দেন ওয়েসলি রিভেইরো।

আত্মঘাতী গোল করেছেন আল নাসরের খেলোয়াড়রাও। ৫৬ মিনিটে ভুল করে নিজেদের জালে বল জমা করেন আল নাসরের বেন্টো ৫৬ মিনিটে।

প্রবাসীদের সমর্থন চাইলেন শান্ত

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৫ পিএম
আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩০ পিএম
প্রবাসীদের সমর্থন চাইলেন শান্ত
ছবি : সংগৃহীত

সংযুক্ত আরব-আমিরাতে আজ থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। এই সিরিজ দিয়ে প্রায় ৮ মাস পর ওয়ানডে ক্রিকেটে ফিরছে বাংলাদেশ দল। দেশে কিংবা দেশের বাইরে যেখানেই খেলুক না কেন, বাংলাদেশ দল সবসময় দর্শকদের সমর্থন পেয়ে আসছে। 

সংযুক্ত আরব আমিরাতে এর আগে ২০১৮ এশিয়া কাপ ও ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দেখা গেছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভরপুর উপস্থিতি ছিল গ্যালারিজুড়ে। এমনটা এবারও আশা করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। 

দর্শকরা বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগ করে উল্লেখ করে ম্যাচের আগেরদিন সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘অবশ্যই, দর্শক তো আমার মনে হয় শুধু এখানে না, সব জায়গা তে গেলেই আমাদের সমর্থন দিতে আসেন। এখানেও আমি আশা করবো পুরো গ্যালারিজুড়ে আমাদেরই দর্শক থাকবে এবং দলকে সমর্থন দিতে আসবে। এটা তো অবশ্যই বাড়তি প্রেরণা যোগায়। দেশের বাইরে খেলতে আসছি, এখানে সমর্থন পাচ্ছি এটা অনেক বড় ব্যাপার।’

পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে ঐতিহাসিক জয়ের পর বড় আশা নিয়ে ভারতে গেলেও সেখানে বাজেভাবে হেরেছে শান্তরা ২-০ ব্যবধানে। সেই ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা অব্যাহত ছিল ভারত সফরের পরও। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করে বাংলাদেশ ধবলধোলাই হয়েছে ২-০ ব্যবধানে।

টানা হারে অনেকটাই হতাশ বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমর্থকরা। এরপরও প্রবাসী বাংলাদেশিরা মাঠে আসবেন এমনটা আশা করে শান্ত বলেন, ‘মাঠে আসবেন, খেলা দেখবেন এবং বাংলাদেশ দলকে অনেকবেশি সমর্থন করবেনল।’

শারজাহতে আজ বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টায় সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে দুই দল। এখন পর্যন্ত দুই দলের ১৬ সাক্ষাতে ১০০ বার জিতেছে বাংলাদেশ আর ৬ বার জয় পেয়েছে আফগানিস্তান।

মরুর বুকে ফুল ফুটানোর অপেক্ষায় নাজমুলরা

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৬ এএম
মরুর বুকে ফুল ফুটানোর অপেক্ষায় নাজমুলরা
ছবি : সংগৃহীত

টেস্ট পরিবারের সদস্য হওয়ার পর খুব সম্ভবত এবারই প্রথম বাংলাদেশ দল কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে গিয়েছে, যা নিয়ে দেশবাসীর খুব একটা আগ্রহ নেই। তা যেমন দেশ ছাড়ার আগে-পরে, তেমনি আজকের প্রথম ম্যাচকে সামনে রেখেও। মরুর বুকে শারজাহতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আজ শুরু হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায়।

ক্রিকেট দলের প্রতি এ রকম অনাগ্রহের কারণ অব্যাহত ব্যর্থতার পাশাপাশি নারী ফুটবলে দলের অভূতপূর্ব সাফল্য। পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে দুই টেস্টের সিরিজে ধবলধোলাই করার পর বাংলাদেশ দলকে নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের আগ্রহ অতীতের তুলনায় বেড়ে আকাশচুম্বি হয়ে উঠেছিল। কিন্তু তা মুহূতেই মিলিয়ে যেতে সময় লাগেনি।

পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করার পর ভারত সফরে এবং ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বাংলাদেশ দল খুবই বাজেভাবে নাজেহাল হয়ে হার মানে। ন্যূনতম কোনো রকম প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়ে তুলতে পারেনি। বাংলাদেশ দল এতটাই বাজে খেলেছে যে কানপুর টেস্টে আড়াই দিনেরও বেশি সময় বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পরও সেই টেস্ট বাংলাদেশ দল বাঁচাতে পারেনি। ভারত এমন খেলা খেলেছে যে, দেখে মনে হবে তাদের হাতে রিমোট কন্ট্রোল যেভাবে চাচ্ছে, সেভাবেই হচ্ছে। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে টানা বাজেহার ক্রিকেটপ্রেমীদের যারপরনাই হতাশ করে। দলীয় ব্যর্থতার পাশাপাশি অধিনায়ক নাজমুলও রান খরায় ভুগতে থাকায় অধিনায়কত্ব ছাড়ারও সিদ্ধান্ত নেন। পরে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের হস্তক্ষেপে তিনি তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। 

ক্রিকেট দলের এ রকম ব্যর্থতার মাঝেই সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের মেয়েরা শিরোপা অক্ষুণ্ন রেখে দেশবাসীকে উল্লাসে ভাসার উপলক্ষ তৈরি করে দেয়। প্রধান উপদেষ্টা পর্যন্ত তাদের সংবর্ধনা দেন। এখনো চলছে মেয়েদের সাফল্যের সেই স্রোত। এরই মাঝে আবার নাজমুল হোসেন শান্ত তার বাহিনী নিয়ে খেলতে নামছেন ওয়ানডে ম্যাচ। যেখানে নেই তাদের প্রতি সে রকম কোনো প্রত্যাশা। সবার ভাবনা এমন যে সাফল্য আসলে ভালো, না আসলে নতুন আর কি?

তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ধারাবাহিক ওয়ানডে ক্রিকেটে। আফগানিস্তানের বিপক্ষেও পরিসংখ্যান ভালো। ১৬ বারের মোকাবিলায় বাংলাদেশের জয় ১০টিতে। বাকি ৬টিতে জয় আফগানিস্তানের। আবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ তিনবারের মোকাবিলাতে বাংলাদেশেই জিতেছে সব কটিতেই। এমনকি বাংলাদেশ সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেখানেও বাংলাদেশ জয় ছিল ৪ উইকেটে। সব মিলিয়ে যায় আজকে মাঠে নামার আগে সব কিছুই বাংলাদেশের অনকূলে। কিন্তু যখনই টেস্ট ক্রিকেটের সাম্প্রতিক ব্যর্থতা সামনে চলে আসে, তখনই সব কিছু উধাও হয়ে যায়। সামনে চলে আসে শুধুই অন্ধকার। যে অন্ধকার ভেদ করে আলো জ্বালানো নাজমুল হোসেন শান্ত বাহিনীর জন্য অনেক কঠিনই।

এই কঠিন আরও কঠিনতর হয়ে উঠছে আফগানদের সাম্প্রতিক সাফল্য। এই শারজাহ হতেই তারা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজি জিতেছে ২-১ ব্যবধানে। যেখানে তারা প্রথম দুই ম্যাচ জিতেই সিরিজ নিশ্চিত করেছিল। শারজাহ এখন আফগানিস্তানের হোম গ্রাউন্ড। ব্যাটে-বলে তারা ব্যালেন্সড। বোলিংয়ে একদিকে যেমন আছেন রশিদ খান, ফজলহক ফারুকী, নুর আহমেদ, মোহাম্মদ নবী, গজনফর, নানগেইয়ালি খারুতি, তেমনি ব্যাটিংয়ে ভরসার নাম রহমতউল্লাহ গুরবাজ, গুলবাদিন নাইব, রহমত শাহ, হাসমতউল্লাহ শহিদী, আজমতউল্লাহ ওমরজাই।

এই শারজাহ আবার বাংলাদেশ দলের জন্য অচেনা! কারণ সর্বশেষ তারা এই স্টেডিয়ামে ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিল ১৯৯৫ সালে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে। হেরেছিল ৬ উইকেটে। সময়ের হিসাবে ২৯ বছর। বর্তমান দলের অনেকেরই সে সময় জন্ম হয়নি। অবশ্য ওয়ানডে ম্যাচ না খেললেও এই সময়ে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ দল। যদিও সেখানে নেই কোনো জয়। সর্বশেষ ম্যাচ খেলতে নেমে হেরেছিল আবার এই আফগানিস্তানের কাছেই ২০২২ সালে এশিয়া কাপে ৭ উইকেটে। যে কারণে আজকের ম্যাচ হবে বাংলাদেশের পায়ের নিচের মাটি খুঁজে পাওয়ার মতো। 

২৯ বছর পর শারজাহ বাংলাদেশ খেলতে নামছে একটি মাইলফলককে সামনে রেখে। আজকের ম্যাচ শারজাহ স্টেডিয়ামের ৩০০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে জয়হীন থাকা বাংলাদেশ দলের সামনে তাই মাইলফলকের ম্যাচকে জয় দিয়ে স্মরণীয় করে রাখার বিরল সুযোগ। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর পথে বাংলাদেশ দল কিন্তু মাঠে নামার আগেই বিরাট এক হোঁচট খেয়েছে। কারণ ভিসা সমস্যার কারণে ১৫ জনের দলের দুজন নাসুম আহমেদ ও নাহিদ রানা এখনো যেতে পারেননি। যে কারণ ১৩ জনের দল থেকেই সাঝাতে হবে একাদশ। এই ১৩ জনের দলের ১০ জনই খেলেছেন সর্বশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেই দলের নেই শুধু এনামুল হক বিজয়। বাকি ১০ জন হলেন তানজিদ তামিম (সৌম্য সরকারে কানকাসন সাব হিসেবে খেলেছিলেন), নাজমুল, তাওহিদ, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক, মিরাজ রিশাদ, তাসকিন, শরিফুল, মোস্তাফিজ। এই ১০ জনকে খেলালে, সেখানে শুধু ঢুকবেন জাকির, সৌম্য কিংবা জাকের আলীর মাঝে যে কোনো একজন। আবার একাধিকও হতে পারে।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বার্নাব্যুতে এসি মিলানের কাছেও বিধ্বস্ত রিয়াল

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫২ এএম
বার্নাব্যুতে এসি মিলানের কাছেও বিধ্বস্ত রিয়াল
ছবি : সংগৃহীত

ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদের জয় যেন অবশ্যম্ভাবী ঘটনা। পিছিয়ে পড়লেও এই মাঠ থেকে জয় ছাড়া বিদায় নেয় না দলটি। তবে গেল দুই ম্যাচে যেন নিজেদের মাঠেই খেলা ভুলে গেছে লস ব্লাঙ্কোসরা। গেল সপ্তাহে লা লিগার এল ক্লাসিকোতে বার্সেলোনার কাছে ৪-০ ব্যবধানে বড় পরাজয়ের পর এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে এসি মিলানে কাছে হেরেছে তারা ৩-১ ব্যবধানে। 

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ঘরের মাঠে শুরুতেই গোল হজম করেও সেটি শোধ করে মাদ্রিদ। তবে শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হেসেছে এসি মিলান আলভারো মোরাতার জোড়া গোলে। 

ম্যাচের ১২ মিনিটেই স্বাগতিক দর্শকদের স্তব্ধ করে দিয়ে গোলের দেখা পায় এসি মিলান। অতিথিরা এগিয়ে যায় মালিক চিয়াওয়ের হেডে। কর্নার থেকে আসা বল দারুণ হেডে জাল খুঁজে নেন তিনি। এই গোলের পরের মিনিটেই সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হয় এমবাপ্পে ও ভিনিসিয়ুস।

ঘরের মাঠে রিয়ালের ফিরে আসার গল্প আছে অসংখ্য। তাই ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজা পর্যন্ত সমর্থকরা বিশ্বাস রাখেন দলের ওপর। পিছিয়ে পড়ার ১১ মিনিটের মাথায় ম্যাচের ২৩ মিনিটে স্পটকিক থেকে গোল করেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। 

সমতায় ফিরেও অবশ্য সুবিধা করতে পারেনি মাদ্রিদ। বিরতিতে যাওয়ার আগে আরেকদফা পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। ৩৯ মিনিটে রিয়ালের গোলকিপার আন্দ্রে লুনিনের শট ঠেকিয়ে দিলেও দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় জাল খুঁজে নেন আলভারো মোরাতা।

৪৩ মিনিটে এমবাপ্পের গতির শট ফিরিয়ে দেন মিলানের গোলকিপার মাইক মানিয়াঁর। 

বিরতির পর ম্যাচে ফেরার লক্ষ্যে দুটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে লস ব্লাঙ্কোসরা। অরেলিয়েঁ চুয়ামেনির জায়গায় আসেন ব্রাহিম দিয়াজ এবং ফেদে ভালভের্দের জায়গায় আসেন এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। 

এই দুই পরিবর্তন নিয়ে উজ্জীবিত স্বাগতিকরা বেশ কয়েকবার চেষ্টা চালিয়েও পারছিল না ম্যাচে আরেকবার সমতা ফেরাতে। 

তাদের প্রচেষ্টার বিপরীতে জোরালো আক্রমণ চলমান ছিল এসি মিলানের খেলোয়াড়দেরও। এমনাপ্পে-ভিনিসিয়ুসরা যখন ব্যর্থ তখন আবারও গোলের দেখা পায় মিলান। এবারও গোল করে নিজের জোড়া পূর্ণ করেন মোরাতা। 

ম্যাচের ৭৩ মিনিটে হজম করা ওই গোলের পর ৮১ মিনিটে আন্তোনিও রুদিগারের গোল করলেও সেটি বাতিল হয় অফসাইডের কারণে। হতাশ হতে হয় রিয়ালকে। সেই হতাশা আর কাটাতে পারেনি দলটি। ম্যাচ হেরেছে ৩-১ ব্যবধানে।

সাক্ষাৎকারে রুপনা চাকমা পেছনে থেকেই অনেক কিছু করতে চাই

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৬ এএম
আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৩ এএম
পেছনে থেকেই অনেক কিছু করতে চাই
ছবি : সংগৃহীত

সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে টানা দুই আসরে সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার জিতেছেন রুপনা চাকমা। দেশকে টানা দুবার চ্যাম্পিয়ন করা, সেই সঙ্গে নিজেকেও সেরার কাতারে রাখা রাঙামাটির এই পাহাড়িকন্যা খবরের কাগজের মুখোমুখি হয়ে নিজের সাফল্যসহ নানা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তোফায়েল আহমেদ

খবরের কাগজ: সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে টানা দুবার চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ। আর এই দুই আসরেই আপনি সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার পেয়েছেন। টানা দুইবার দক্ষিণ এশিয়ায় সেরা হয়ে কেমন লাগছে?

রুপনা: অনুভূতি তো অবশ্যই অনেক ভালো। দল হিসেবে আমরা দুই বার চ্যাম্পিয়ন, সঙ্গে আমি দুই বার সেরা গোলকিপার। খুবই ভালো লাগছে।

খবরের কাগজ: চ্যাম্পিয়ন হয়ে নেপাল থেকে দেশে ফেরার পর দিনগুলো কেমন কাটছে?

রুপনা: ভালোই যাচ্ছে…

খবরের কাগজ: আপনাকে কিন্তু অনেক কষ্টে পাওয়া গেল। কাঠমান্ডুতে তো সাক্ষাৎকার চাওয়ায় এক রকম দৌড়ে পালালেন…

রুপনা: (হাসি) আসলে কি, আমি বেশি কথা বলতে পছন্দ করি না। সে জন্য আমি চলে যাই। খেলার সময় আমাকে সতীর্থরা বলে, রুপনা সামনে যাও না কেন? আমি বলি, আমি গোলকিপার, আমি তো সব সময় পেছনেই থাকব। আমার পেছনে থাকাটাই দরকার। সামনে গেলে হবে না। তাই আমি সব সময় পেছনেই থাকতে চাই। পেছনে থেকে অনেক কিছু করতে চাই।

খবরের কাগজ: পোস্টে আপনি থাকলে দল তো বড় ভরসা পায়। এটা নিশ্চয়ই চাপের। চাপটা সামলান কীভাবে?

রুপনা: এখানে আসলে আমার টিমমেটরা আমাকে অনেক সাপোর্ট করে। সবাই বলে, রুপনা তুই যদি ভালো খেলিস, তাহলে আমরা সবাই ভালো খেলব। তুই তো সবই জানিস, সবকিছু বুঝিস। অনেক আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিস। এখন তুই যদি একটা সেভ দিস, তাহলে দলের সবাই ভালো করবে।

খবরের কাগজ: এই যে এত শক্তিশালী আক্রমণভাগের বিপক্ষে খেলেন, ভয় কাজ করে না?

রুপনা: একটু তো ভয় করেই। ভয় সবারই হয়। যখন আপনি ফাইনালে যাবেন, ফাইনালে গিয়ে কীভাবে খেলবেন, টেনশন তো একটু থাকবেই। এবার নেপালের বিপক্ষে ফাইনালের আগে আমি খুব টেনশনে ছিলাম। রাতে ঘুমাতে পারছিলাম না। কীভাবে খেলব, কীভাবে দলকে জিতাব, এসব মনের মধ্যে কাজ করছিল। ম্যাচের আগের দিন রাতে ডিনারে ঠিকমতো খেতে পারছিলাম না। সাবিনা আপুকে বলেছি, আমার না অনেক ভয় করছে, যে কীভাবে খেলব। তখন আপু বলেছে, রুপনা তুমি কেন চিন্তা করছ? তুমি শুধু বারে দাঁড়াও, একটা ভালো সেভ দাও, অবশ্যই আমরা ভালো খেলব। এ রকম করে অনেক সাহস দিয়েছে।

খবরের কাগজ: গতবার সেরা গোলরক্ষক হয়েছিলেন। এবারও সেরা হলেন। নিজের পারফরম্যান্স ধরে রাখা কতটা চ্যালেঞ্জের ছিল?

রুপনা: কঠোর পরিশ্রমই এখানে আসল। ২০২২ সালে যখন আমি প্রথম সেরা গোলকিপার হই, তখনই বলেছিলাম যদি আমি আমার খেলাটা ধরে রাখতে পারি, তাহলে অবশ্যই সামনে আরও ভালো জায়গায় যেতে পারব। আমি আমার খেলাটা ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। সামনে এভাবেই এগিয়ে যেতে চাই। আমার খেলা যদি ভালো থাকে, অবশ্যই আমি পারব।

খবরের কাগজ: নিজেকে ধরে রাখার জন্য এবং আরও উন্নতি করার জন্য আপনি কী কী করেন?

রুপনা: এখানে আমার কোচ মাসুদ আহমেদ উজ্জ্বল স্যারের কথা আগে বলব। আমি দুবার সেরা গোলরক্ষক হলাম। দুবারই কিন্তু স্যার আমাদের গোলকিপার কোচ ছিলেন। উজ্জ্বল স্যার আমাকে অনেক হেল্প করেন। আমি খেলার সময় স্যারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘স্যার আমি কি সেরা গোলকিপার হতে পারব, নাকি পারব না?’ স্যার বলেছিলেন, ‘তুমি নিজের ওপর বিশ্বাস রাখ। আর আমার ওপর বিশ্বাস কর। অবশ্যই তুমি পারবা।’ আমি উজ্জ্বল স্যারের সঙ্গে আমার খেলার সবকিছু শেয়ার করি। যখনই খেলা হয়, কীভাবে খেললে ভালো হবে, এগুলো নিয়ে কথা হয়।

খবরের কাগজ: তার মানে এবারের সাফে যাওয়ার আগেই সেরা গোলরক্ষক হওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছিলেন?

রুপনা: হ্যাঁ, এবারও লক্ষ্য ছিল এবং ওভাবে প্র্যাকটিস করেই গেছি।

খবরের কাগজ: আগেরবারও এরকম লক্ষ্য ছিল?

রুপনা: আগেরবার নিজে জানতাম না যে, আমি সেরা হতে যাচ্ছি। এবারও কিন্তু একই রকম হয়েছে। খেলা শেষে মাইকে যখন নাম বলছিল, তখন চিন্তা করছিলাম, আমি হব, কি হব না? নেপালের গোলরক্ষকও তো অনেক ভালো খেলেছেন। ভালো ভালো সেভ দিয়েছেন। আমিও দিয়েছি। তবে আসলেই কি হব, এমন চিন্তা করছিলাম। আমার সতীর্থরা অবশ্য আমার নাম ধরে চিৎকার করছিল। পুরস্কার অনুষ্ঠানে যখন আমার নাম ঘোষণা হলো, তখন একটু রিল্যাক্স হয়ে গেলাম। এর আগে পর্যন্ত খুব টেনশনে ছিলাম, আমাকে ডাকবে কি ডাকবে না।

খবরের কাগজ: আরেকটু বিস্তারিত বলুন। বিশেষ করে ওই মুহূর্তটার কথা?

রুপনা: ওই মুহূর্তটা আমি আপনাকে বোঝাতে পারব না। কতটা যে খুশি হয়েছি আমি…

খবরের কাগজ: আপনার উঠে আসাটা অনেক সংগ্রামের। খেলোয়াড়ি জীবনেও অনেক বাধা পাড়ি দিতে হয়েছে। একটা সময় তো আপনার উচ্চতা নিয়েও অনেক প্রশ্ন উঠত। এই সীমাবদ্ধতা জয় করে এগিয়ে চলার গল্পটা জানতে চাই।

রুপনা: একটা কথা কি ভাইয়া, উচ্চতা দেখে কিছু হয় না। সবকিছু নিজের ওপরে। আপনারাই দেখেন- লম্বা মানুষ কী করে, আর খাটো মানুষ কী করে। মানুষ অনেক কিছুই ভাবে, তবে মেনে নিতে হয়। সবকিছু তো আর পাওয়া যায় না।

খবরের কাগজ: এগুলো নিয়ে যখন সমালোচনা হতো, তখন কি কষ্ট লাগত?

রুপনা: আমার কোনো কষ্ট লাগত না। আমি বলি, আমি খাটো হয়েছি কী হয়েছে? আমি অনেক কিছু করতে পারব। আমার বরং ভালো লাগত। মানুষ তো বলবেই। খারাপ লাগার কী আছে। আমাকে সৃষ্টিকর্তা যেটা দিয়েছে, এটা তো মেনে নিতে হবে। আমার ওদের (সমালোচক) সঙ্গে রাগ করার তো কোনো কারণ নেই।

খবরের কাগজ: মা কতটা খুশি আপনার সাফল্যে?

রুপনা: আমি ফাইনালের আগের দিন ফোন জমা দেওয়ার আগে মার সঙ্গে কথা বলি। মাকে বলেছি, কালকে আমাদের ফাইনাল, আমার জন্য দোয়া কইরো যেন আমরা ভালো খেলতে পারি এবং চ্যাম্পিয়ন হতে পারি। আমার মা বলেছে, ‘তুমি যদি ভালো খেলো, অবশ্যই জিতবে। আমি সব সময় তোমার জন্য দোয়া করি, এবারও যেন চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসতে পার’ এরকম বলেছে। ফাইনাল শেষে যখন ফোন দিয়ে বলেছি, আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি ও আমি সেরা গোলরক্ষক হয়েছি, তখন মা অনেক খুশি হয়েছে।

খবরের কাগজ: এখন মা নিশ্চয়ই অপেক্ষায় আছেন কবে বাড়ি যাবেন?

রুপনা: হ্যাঁ। মা অপেক্ষা করে আছেন। বলেছি, এখন তো পারছি না। কয়েকটা দিন দেরি হবে।

খবরের কাগজ: আপনারা দুইবার চ্যাম্পিয়ন হলেন। আপনি দুইবার সেরা গোলরক্ষক। সরকারের কাছে কি চাওয়া আপনার?

রুপনা: সরকারের কাছে চাইব, রাঙামাটিতে আমাদের বাড়িতে যাওয়ার যে রাস্তাটা, সেটা যেন ভালোভাবে করে দেন। এ ছাড়া ঢাকায় যখন আমাদের খেলা হয়, তখন পরিবারের সদস্যরা খেলা দেখতে ঢাকায় আসেন। কিন্তু ঢাকায় তাদের কোনো থাকার জায়গা থাকে না। ঢাকাতে যদি কোনো ফ্ল্যাটের ব্যবস্থা করা হয় আমাদের জন্য, তাহলে খুব উপকার হয়। 

খবরের কাগজ: মাত্র ২০ বছর বয়স আপনার। এর মধ্যেই সাফে দুইবার সেরা গোলরক্ষক হলেন। সামনে নিজেকে নিয়ে স্বপ্ন কী?

রুপনা: আমি বাইরের দেশের লিগে খেলতে চাই। এই মুহূর্তে এটা একটা বড় চাওয়া।

খবরের কাগজ: এখন তো অনেকে রুপনার মতো গোলকিপার হতে চায়। তাদের জন্য কী বলবেন?

রুপনা: সবার জন্যই শুভকামনা থাকবে আমার। যেন আমার মতোই ভালো খেলতে পারে, সেরা গোলকিপার হয়ে আসতে পারে। আমার সঙ্গে জুনিয়র যারা আছে, তাদের জন্যও আমার শুভকামনা।