প্রত্যাশা ছিল স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে বাংলাদেশের মেয়েরা। কাজটা ঠিকঠাক করতে পেরেছিলেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডকে অল্প রানে আটকে দেওয়ার পর ম্যাচ জয়ের সুযোগ ছিল। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় সেই সুযোগ আর মুঠোবন্দি করা হয়নি। ফলে দুই ম্যাচ শেষে একটি করে জয় ও হারে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৪ নম্বরে আছে বাংলাদেশ। পাঁচ দলের গ্রুপে চারে থাকা বাংলাদেশের সামনে এখনো সুযোগ আছে সেমিফাইনালে খেলার। নিজেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবার সেমিফাইনালে খেলতে হলে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর বিকল্প নেই। শারজাহ স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়।
সেমিফাইনাল খেলার এই সমীকরণ খুব ভালো করে জানে বাংলাদেশ। সে কারণে উইন্ডিজকে হারাতে মরিয়া টাইগ্রেসরা। ম্যাচের আগে প্রস্তুতির জন্য লম্বা সময় পাওয়ায় নিজেদের প্রস্তুত করে নিয়েছেন বলে জানান স্পিনার নাহিদা আক্তার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের আগে প্রস্তুতি শেষে নাহিদা বলেন, ‘গত ম্যাচের হারটা অবশ্যই আমাদের জন্য কষ্টদায়ক, খারাপ লাগার একটি জায়গা, এই কয়দিনে আমাদের যে অনুশীলন সেশন চলছে, আমরা চেষ্টা করছি ওই জায়গা থেকে বের হওয়ার, কীভাবে আরেকটু উন্নতি করা যায় এবং ম্যাচে তা কাজে লাগানো যায়।’
স্কটল্যান্ডকে হারানো বাংলাদেশের বর্তমান লক্ষ্য সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা। এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পরের দুই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতেই হবে। সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে এই দুই ম্যাচে জয় চান নাহিদা। তার কথায়, ‘যেহেতু আমরা সেমিফাইনাল খেলতে চাই, সেহেতু এই দুটি ম্যাচ খুব গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য। পরের ম্যাচ আমাদের ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। আমরা এই ম্যাচে মনোযোগ দিচ্ছি, যে কীভাবে জিততে পারি।’
গ্রুপ পর্বের শেষ দুই ম্যাচে জয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা বাংলাদেশের প্রথম চাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানো। তাদের হারালে সেমিফাইনালের পথ যে খানিকটা সহজ হবে সেটা মাথায় রেখে নাহিদা বলেন, ‘আমরা যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচটি জিততে পারি, তাহলে সেমিফাইনালে যাওয়াটা সহজ হবে আমাদের জন্য। সবদিক থেকেই আমাদের মনোযোগ পরের ম্যাচে। এই ম্যাচে ভালো করার জন্য… শুধু ভালো করার জন্য নয়, জয়ের জন্য নামব আমরা এবং জেতার জন্য যা যা করা দরকার, চেষ্টা করব সেসব করার।’
সেমিফাইনালে লক্ষ্য রাখা বাংলাদেশকে নিজেদের রানরেট বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে। ‘বি’ গ্রুপে তিন দলের পয়েন্ট সমান হলেও রানরেটের ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় ৪ নম্বরে আছে বাংলাদেশের নাম। পয়েন্ট টেবিলের চারে থাকা বাংলাদেশের নেট রানরেট-০.১২৫। ওপরে থাকা তিন দল- ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার নেট রানরেট যথাক্রমে ০.৬৫৩, ১.১৫৪ ও ০.২৪৫। এর মাঝে ইংল্যান্ড শুধু ২ ম্যাচের দুটিতেই জয়ী হয়ে পয়েন্ট টেবিলের ওপরে আছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকা দুই দলের পয়েন্টই ২ ম্যাচে ২ পয়েন্ট করে। যে কারণে নেট রানরেটের দিকেও মনযোগ দিতে হবে বাংলাদেশকে। ব্যাটিং ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দি থাকা নিগার সুলতানা জ্যোতি বাহিনীকে নিজেদের ব্যাটিংয়েও করতে হবে উন্নতি। শেষ পর্যন্ত জয়ের পাশাপাশি নেট রানরেটের দিকে ঠিকঠাক মনযোগ রাখতে পারে কি না সেটাই দেখার অপেক্ষা।