ঢাকা ২৭ কার্তিক ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

দল পাননি মুমিনুল-মোসাদ্দেক

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৮ পিএম
আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৮ পিএম
দল পাননি মুমিনুল-মোসাদ্দেক
ছবি : সংগৃহীত

শেষ হলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট। নতুন ও পুরাতন ক্রিকেটারদের সমন্বয়ে স্কোয়াড গুছিয়েছে ৭টি দল। 

তবে দল না পাওয়ার হতাশায় ডুবতে হয়েছে জাতীয় দলের সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

টেস্ট ক্রিকেটের নিয়মিত সদস্য হলেও নিয়মিত বিপিএলে সুযোগ পেতেন মুমিনুল। তবে এবার তার প্রতি আগ্রহ দেখায়নি কোনো দল।

অন্যদিকে, টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে ক্রিকেটে জাতীয় দলেই ফিনিশারের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে। অথচ তার প্রতিও আগ্রহ দেখায়নি কোনো দল।
দল পাননি শুভাগত হোমও। ৩৮ ছুঁইছুঁই এই অলরাউন্ডার দল না পাওয়ার পেছনে বয়সটা কারণ হতে পারে। 

তবে ২৮ বছর বয়সী মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত দল না পাওয়ার ঘটনা বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে। এই অলরাউন্ডার দেশের হয়ে ৩৩টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন।

নাহিদ রানার প্রশংসায় ইয়ান বিশপ

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩০ পিএম
নাহিদ রানার প্রশংসায় ইয়ান বিশপ
ছবি : সংগৃহীত

টেস্ট ক্রিকেটেব আগেই অভিষেক হয়েছে নাহিদ রানার। পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ে রেখেছিলেন দারুণ ভূমিকা। গতকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ১৫০তম ওয়ানডে ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হলো নাহিদ রানার।

বাংলাদেশ ৫ উইকেটের ব্যবধানে হেরে সিরিজও হেরেছে ২-১ ব্যবধানে। ২২ বছর বয়সী এই পেসার ১০ ওভার বল করে ৪০ রান খরচায় নিয়েছেন ২ উইকেট। তার গতি ও বোলিংয়ের প্রশংসা করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ক্রিকেটার ইয়ন বিশপ। 

শারজার মন্থর উইকেটেও ধারাবাহিকভাবে ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটারের আশপাশে বোলিং করেছেন, তুলেছেন ১৫১ কিলোমিটার গতিও।

তরুণ পেসারদের নিয়ে বরাবরই রোমাঞ্চিত অনুভব করেন এই ধারাভাষ্যকার। গতকাল নাহিদ রানার বোলিংয়ে অভিভূত হয়ে গতকাল এক্সে লিখেন, ‘বাংলাদেশকে সক্রিয় হতে হবে। সেরা স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং বিশেষজ্ঞ ও ডায়েটিশিয়ানকে চাকরি দিতে হবে। নাহিদ রানা ও তাদের ফাস্ট বোলিং দলটাকে হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না। নাহিদের গতি খুবই প্রশংসনীয়।’

ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিং আফগানিস্তানের পেছনে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২২ পিএম
আফগানিস্তানের পেছনে বাংলাদেশ
ছবি : সংগৃহীত

সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ৫ উইকেটে হেরে ২-১ ব্যবধানে সিরিজে পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশ। টানা দ্বিতীয়বার আফগানিস্তানের কাছে ওয়ানডে সিরিজে হেরে আফগানিস্তানের পেছনে পড়ে গেল বাংলাদেশ।

ওয়ানডে ক্রিকেটের দলীয় র‌্যাঙ্কিংয়ে ৮ থেকে ৯ নম্বরে নেমে গেল বাংলাদেশ। সিরিজ জিতে বাংলাদেশকে টপকে আটে উঠে এসেছে আফগানিস্তান। 

বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান দুই দলেরই পয়েন্ট সমান ৮৫। তবে ভগ্নাংশের ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ায় বাংলাদেশ নয়ে নেমে গেছে আর র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়ে আফগানিস্তান উঠে গেছে আটে। 

সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশের পয়েন্ট ছিল ৮৬ আর আফগানিস্তানের ৮৫। সবশেষ তিন সিরিজে দারুণ খেলেছে আফগানিস্তান। একে একে তারা হারিয়েছে আয়ারল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশকে। 

ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে আছে ভারত। দুইয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া, তিনে পাকিস্তান বাকি অবস্থানগুলোতে যথাক্রমে দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ। 

টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের নীচে অবস্থান করছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে। তবে জিম্বাবুয়ে স্কটল্যান্ড থেকেও পিছিয়ে ১৩ নম্বরে আছে। 

প্যারাগুয়েতে নিষিদ্ধ মেসি ও আর্জেন্টিনার জার্সি

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৩ এএম
প্যারাগুয়েতে নিষিদ্ধ মেসি ও আর্জেন্টিনার জার্সি
ছবি : সংগৃহীত

দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের ২০২৬ বিশ্বকাপ ফুটবল বাছাইয়ে আর্জেন্টিনার পরবর্তী প্রতিপক্ষ প্যারাগুয়ে। প্রতিপক্ষে মাঠেই সেই ম্যাচ খেলবে লিওনেল মেসিরা। তবে সেই ম্যাচের আগে অদ্ভুত এক নিয়ম করেছে প্যারাগুয়ে। 

মেসির নাম সংবলিত ও আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে দিয়ে ঢোকা যাবে না স্টেডিয়ামে। হোম টিমের সুবিধা পাওয়ার জন্যেই এমন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে প্যারাগুয়ে। 

প্যারাগুয়ে এফএ-র তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ‘প্যারাগুয়ের জার্সি না পরে কেউ যদি বিপক্ষ দলের প্লেয়ারের নাম লেখা জার্সি পরে খেলা দেখতে আসেন, তার মাঠে প্রবেশাধিকার নেই।’

কেবল মেসির নাম সংবলিত ১০ নম্বর জার্সি নয়, আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে দিয়েও মাঠে ঢুকতে পারবেন না স্থানীয় কোনো দর্শক। প্যারাগুয়ের ফুটবল ফেডারেশনের লাইসেন্সিং ম্যানেজার ফার্নান্দো ভিলাসবোয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে স্থানীয় পর্যায়ে সতর্কবার্তা দিয়েছি। আমরা প্যারাগুয়ে কিংবা নিরপেক্ষ জার্সি ছাড়া গ্যালারির স্বাগতিক সমর্থকদের অংশে প্রবেশের অনুমতি দেব না। প্রতিপক্ষের জার্সি পরে যারা আসবেন, তারা থাকতে পারবেন না।’

এমন নিয়ম করার পেছনে প্যারাগুয়ে ফুটবল সংস্থার তরফ থেকে যুক্তি দাঁড় করানো হয়েছে, ‘কোনো প্লেয়ারের বিরুদ্ধে আমরা নই। প্লেয়ারদের আমরা শ্রদ্ধাই করি। কিন্তু হোম অ্যাডভান্টেজ দরকার।’ 

ফুটবলভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘গোল ডটকম’ প্যারাগুয়ের ফুটবল ফেডারেশনের এই নিয়মকে বলছে ‘অ্যান্টি–লিওনেল মেসি’ ব্যবস্থা। আর্জেন্টিনা-প্যারাগুয়ে ম্যাচটি মাঠে গড়াবে ১৫ নভেম্বর।

সাক্ষাৎকারে স্বপ্না রানী বললেই চ্যাম্পিয়ন হওয়া যায় না

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০০ এএম
আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০০ এএম
বললেই চ্যাম্পিয়ন হওয়া যায় না
ছবি : সংগৃহীত

বয়স সবে ১৮। এরই মধ্যে বাংলাদেশকে দু-দুটি সাফ শিরোপা উপহার দেওয়ার অন্যতম সারথি স্বপ্না রানী। বিকেএসপির এই শিক্ষার্থী মাঠে তার ফুটবলশৈলীতে আলাদা করে নজর কাড়েন সবার। খবরের কাগজের মুখোমুখি হয়ে দলীয় সাফল্য ও নিজেকে নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ক্রীড়া প্রতিবেদক তোফায়েল আহমেদ

খবরের কাগজ: সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে পর পর দুই আসরে চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ। আর এই দুবারই চ্যাম্পিয়ন দলের অংশ আপনি। কেমন লাগছে?

স্বপ্না রানী: অবশ্যই এটা ভালো লাগার অনুভূতিটা। যেহেতু পর পর দুবার চ্যাম্পিয়ন এবং দুবারই আমি চ্যাম্পিয়ন দলের অংশ, তাই অনেক ভালো লাগছে। এই সাফল্য আসলে আমাদের অনেক কষ্টের ফল। আমাদের চেষ্টা, এক্সট্রা অ্যাফোর্ড, দেশবাসীর দোয়া ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায় হয়েছে সবকিছু।

খবরের কাগজ: চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফেরার পর দিনগুলো কেমন কাটছে?

স্বপ্না রানী: দিনগুলো ভালোই কাটছে…

খবরের কাগজ: ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আপনারা নেপাল গিয়েছিলেন। শিরোপা ধরে রাখা কতটা কঠিন ছিল?

স্বপ্না রানী: আসলে একবার চ্যাম্পিয়ন হলে পরবর্তী সময়ে সবার অন্য রকম চাওয়া থাকে। আমাদের কাছেও সবার প্রত্যাশা বেশি ছিল। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে ড্র করি। ওই ম্যাচটা ড্র হওয়ায় আমরা সবাই একটু চাপে ছিলাম। আমরা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন, এটা ভেবে সবাই দুশ্চিন্তায় ছিলাম। পরবর্তী সময় ভারতের সঙ্গে কীভাবে জেতা যায়, সেই পরিকল্পনা শুরু করি আমরা। সবার চেষ্টা ও জেদ ছিল যে ম্যাচটা জিততেই হবে। আমাদের নিজেদের মধ্যেও এই বিশ্বাস ছিল যে, ভারতের বিপক্ষে আমরা জিতব। আমি মাঠে নামার সময় বলেছিলাম, আজকে আমরা ৩ গোলে জিতব। পরে তো আমরা সত্যি সত্যি ওদের ৩ গোল দিয়েছি। খুব খুশি হয়েছিলাম তখন। যাই হোক, আমরা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলাম। এরপরের ধাপ আরও বড়। সেমিফাইনাল জিতে ফাইনালে পা রাখতে হবে। আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে ভুটানের সঙ্গে সেমিফাইনাল জিতব। সেটাও জিতলাম এবং ফাইনালে পা রাখলাম। নেপালের সঙ্গে ফাইনালে তো মাঠে প্রচুর স্বাগতিক দর্শক ছিল। এত এত ক্রাউড, যা অবিশ্বাস্য। আমরা এর মধ্যেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলেছি এবং জিতেছি। আমি নিজে উপভোগ করেছি খুব। একটু ভয়ে ভয়েও ছিলাম।

খবরের কাগজ: ভয় লাগছিল কেমন?

স্বপ্না রানী: ম্যাচের রেজাল্ট শেষ পর্যন্ত কী হবে, সেটা নিয়ে ভয়ে ছিলাম। আমি তো ফাইনালে বদলি হিসেবে নেমেছিলাম। মনে হচ্ছিল আমি কি পারব মাঠে নেমে এক্সট্রা অ্যাফোর্ড দিয়ে খেলতে। পরে তো মনে সাহস নিয়ে নামলাম। সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ম্যাচ শেষের দিকে যখন আমরা ২-১ গোলে এগিয়ে, তখন শুধুই মনে হচ্ছিল, রেফারি কখন শেষ বাঁশি বাজাবে, আর আমরা খুশির উল্লাস করব। শেষ পর্যন্ত রেফারি যখন সেই বাঁশি বাজালেন, কি যে আনন্দ হয়েছে। আমরা পর পর দুবার দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হলাম। ওই মুহূর্তটা বর্ণনা করতে পারব না। তবে যাই বলুন না কেন, ২০২২ সালের থেকে এবার একটু কমই ভয় পেয়েছি। কারণ সেবার তো আমার এসব অভিজ্ঞতা হয়েছিল। এবার যেমন খুশিতে কাঁদিওনি। আগেরবার কিন্তু কেঁদেছিলাম।

খবরের কাগজ: গতবারে আপনি আনন্দ বেশি পেয়েছেন। স্বাভাবিক প্রথম বলে কথা…

স্বপ্না: হ্যাঁ। এবারও কিন্তু ছাদখোলা বাস ছিল। কিন্তু ২০২২ সালের মতো কোনো ফিলিংস ছিল না বা সেবারের মতো মানুষও ছিল না এবার। সেবার তো অনেক মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিলেন।

খবরের কাগজ: যদি বলি গতবার আর এবারের সাফের মধ্যে কোনটা বেশি কঠিন ছিল, তাহলে কী বলবেন?

স্বপ্না রানী: সেটা বলতে পারব না। তবে আমি মনে করি চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা এত সহজ না। বললেই চ্যাম্পিয়ন হওয়া যায় না।

খবরের কাগজ: প্রথম ম্যাচে শুরুর একাদশে ছিলেন। এরপর তো বাকি ম্যাচগুলোতে বদলি হিসেবে খেলতে হয়েছে। বেশি ম্যাচ টাইম না পাওয়ায় আক্ষেপ নেই?

স্বপ্না রানী: না, কোনো আক্ষেপ নেই।

খবরের কাগজ: আপনার ফুটবলার হয়ে ওঠার গল্পটা জানতে চাই। ছোট করে যদি বলতেন?

স্বপ্না রানী: ঠাকুরগাঁওয়ের রাঙাটুঙ্গী ইউনাইটেড নারী ফুটবল একাডেমির হয়ে আমার ফুটবল শুরু। সেখান থেকে বিকেএসপি হয়ে বিভিন্ন বয়সভিত্তিক জাতীয় দলে খেলি। এরপর মূল জাতীয় দল। বিকেএসপিতে ভর্তি হতে জয়া ম্যাডামের (জয়া চাকমা) অনেক অবদান। জয়া ম্যাডাম আমার জন্য অনেক কিছু করেছেন। যা কখনো ভুলতে পারব না। আমার উঠে আসার দিনগুলোতেও বেশ কয়েকজন স্যারের অনেক অবদান আছে। তাদের কথাও ভুলব না কখনো। এখন বিকেএসপিতে আমি একাদশ শ্রেণিতে পড়ছি।

খবরের কাগজ: পরিবারের কথা একটু বলুন…

স্বপ্না রানী: বাড়িতে মা-বাবা আছেন। আমরা তিন বোন, এক ভাই। আমি সবার ছোট। আমার বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। বড় ভাই ডিগ্রি পাস করেছেন। মেজো বোন এইচএসচি পাস করার পর আর ভর্তি হননি। এখন বাসায় মায়ের কাজে সাহায্য করেন। বাবা আগে দিনমজুরের কাজ করতেন। হার্টের সমস্যার কারণে এখন আর কাজ করতে পারেন না। বাসাতেই থাকেন।

খবরের কাগজ: ফুটবল মাঠের স্বপ্না মাঠের বাইরে কেমন?

স্বপ্না রানী: প্রথমেই বলি, খুবই সাধারণ একটা মেয়ে আমি। তবে খুবই ইউনিক। (হাসি)। রাগ ও জেদ বেশি। নিজের কাছে যেটা ভালো মনে হয় সেটা করতে আনন্দ পাই। মানুষের কথায় খুব একটা কান দেওয়ার চেষ্টা করি না। কে কি বলল, না বলল, এসব নিয়েও ভাবি না।

খবরের কাগজ: সব শেষে স্বপ্নার স্বপ্নের কথা জানতে চাই?

স্বপ্না রানী: আমার খুব বেশি স্বপ্ন নেই। তার পরও যদি বলি, মেয়েদের সব থেকে বড় স্বপ্ন হলো তার বাবা-মাকে কীভাবে সুখী রাখা যায়, সেটা। বাবা-মা ও ভাই-বোনদের পাশে থাকা, এটা আমার বড় স্বপ্ন। আর ফুটবলার হিসেবে স্বপ্ন বিদেশের লিগে খেলা। এ ছাড়া বিদেশে পড়াশোনারও ইচ্ছে আছে আমার। চাই নিজের যে ইচ্ছেগুলো আছে, সেগুলো ধীরে ধীরে পূরণ করতে। আর ভালো খেলোয়াড়ের পাশাপাশি ভালো মানুষ হতে চাই।

সতীর্থদের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট মিরাজ

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৬ এএম
সতীর্থদের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট মিরাজ
ছবি : ফাইল

সিরিজে সমতা ফেরালেও শেষ পর্যন্ত আর জেতা হলো না বাংলাদেশের। আফগানিস্তানের কাছে ৫ উইকেটে হেরে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে অধিনাকত্বের অভিষেক হয়েছিল মেহেদী হাসান মিরাজের। ম্যাচ হারলেও সতীর্থদের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেছেন মিরাজ। 

ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মিরাজ বলেন, ‘গত দুই ম্যাচে আমরা দেখেছি উইকেটে স্পিন ধরছে, তাই টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিই। আমাদের ইচ্ছে ছিল স্পিনারদের সহায়তা পাওয়া।’

দ্বিতীয় ইনিংসে শিশিরের কারণে বল ব্যাটে ভালোভাবে আসছিল যা কিনা আফগানিস্তানের ব্যাটারদের জন্য স্বস্তির হয়ে দাঁড়ায়। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই দারুণ ইনিংস খেলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তাদের ইনিংসের প্রশংসা করে মিরাজ বলেন, ‘ওরা খুব ভালো খেলেছে। আমাদের পরিকল্পনা ছিল দ্রুত উইকেট নেওয়া, কিন্তু মধ্য ওভারে সেই উইকেটগুলো তুলতে ব্যর্থ হয়েছি। এটাই আমাদের জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।’

গতকাল প্রথমবারের মতো রঙিন পোশাকে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে নামেন তরুণ পেসার নাহিদ রানা। ১০ ওভার বোলিং করে ৪০ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন নাহিদ। তার পারফরম্যন্সে সন্তুষ্ট মিরাজ বলেন, ‘নাহিদ ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফর্ম করছে, যা আমাদের দলের জন্য আশাব্যঞ্জক।’

ফলাফল নিজের দিকে না এলেও ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মিরাজের মতে, ম্যাচের ফলাফল হতাশাজনক হলেও দলের খেলোয়াড়রা তাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।

উইকেটের আচরণ এবং ম্যাচ পরিস্থিতি বিবেচনায় দল গঠন ও কৌশল নির্ধারণে চিন্তাভাবনা করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে ব্যাটসম্যানদের কিছু ভুল এবং বোলারদের মধ্যে ধারাবাহিকতা না থাকার কারণে কাঙ্ক্ষিত ফল অর্জন করা সম্ভব হয়নি।

পরবর্তীতে দলের কৌশলগত পরিবর্তন আনতে আগ্রহী উন্নতির স্বার্থে, এমনটাও জানিয়েছেন মিরাজ।