ঢাকা ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজসিক প্রত্যাবর্তন

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩২ পিএম
আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৫ পিএম
রাজসিক প্রত্যাবর্তন
বিমানবন্দর থেকে ফেরার সময় ছাদখোলা বাসে ট্রফি হাতে সাফ চ্যাম্পিয়ন নারী ফুটবল দল। ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশ বিমানের ‘বিজি-৩৭২’ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতেই তুমুল করতালি। এই করতালি যাত্রী আসনে বসে থাকা সদ্য সাফজয়ী মেয়েদের। সাবিনা খাতুন, মারিয়া মান্দা, ঋতুপর্ণা চাকমাদের অভিনন্দনে সিক্ত হন পাইলটরা।

আগের দিন সাবিনারা স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জিতেছেন। দুই বছর আগে যে ট্রফি তারা প্রথমবার জিতেছিলেন, এবার সেটা নিজেদের কাছেই রেখে দিতে পেরেছেন। ট্রফি নিয়েই সাবিনারা বাংলাদেশ বিমানের ‘বিজি-৩৭২’ ফ্লাইটে করে ঢাকায় এসেছেন। ট্রফিসহ সাবিনা ব্রিগেডদের নিরাপদে দেশে আনার দায়িত্ব তো ছিল পাইলটেরই। সাবিনাদের সঙ্গে ছিলেন বাফুফের কর্মকর্তা, সাফ কাভার করতে যাওয়া সাংবাদিকসহ সাধারণ অনেক যাত্রীরাও। তাই বিমান ঢাকার মাটি ছুঁতেই পাইলটদের সাবিনাদের এমন স্বীকৃতি।

কাঠমান্ডু টু ঢাকা, বাংলাদেশ বিমানের গতকালের দুপুরের ফ্লাইটটি আসলে অন্য রকমই ছিল। সাধারণ যাত্রীদের অনেকেই তো রীতিমতো বিস্মিত। সদ্য সাফজয়ী বাংলাদেশ নারী দল যে তাদের সহযাত্রী। পাইলট, কেবিন ক্রুরাইবা বাদ থাকলেন কই। সাবিনারা বিমানে উঠতেই ট্রফি সঙ্গে নিয়ে ছবির জন্য পোজ দিলেন দুই পাইলট। পরে খেলোয়াড়রা একে একে গিয়ে দুই পাইলটের সঙ্গে ছবি তুললেন। বিমানের ভেতর তখন উৎসবের আমেজ।

আর এই বিমানটি কাঠমান্ডুর আকাশে ওড়ার ২০ মিনিটের মধ্যে সবার আনন্দ আরও বেড়ে গেল। ঘোষণা এল, বাঁ পাশের জানালা দিয়ে দেখা যাবে মাউন্ট এভারেস্ট। এক দিন আগে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হওয়া সাবিনারা সেই মাউন্ট এভারেস্ট দেখলেন বেশ রোমাঞ্চ নিয়ে। ডান পাশের রোতে যারা বসে ছিলেন, তারাও তাকিয়ে রইলেন বাঁ পাশের জানালার দিকে। খেলোয়াড়দের কেউ কেউ তো ডান পাশ থেকে বাঁ দিকেই চলে এলেন। প্রকৃতির অপূর্ব এই দৃশ্য এত সুন্দর করে দেখার সুযোগ করে দেওয়াতেই কি পাইলটদের উদ্দেশে সাবিনাদের করতালির আওয়াজ জোরালো ছিল!

কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চ্যাম্পিয়নদের সহযাত্রী হয়ে এই প্রতিবেদকের সাফ কাভার করে ফেরা। চ্যাম্পিয়নরা কীভাবে বিমানে ওঠেন, কীভাবে তারা বিমানে সময় কাটান মনে রাখার মতো এক অভিজ্ঞতাই হলো।

রোমাঞ্চিত ছিলেন সাবিনা, ঋতুপর্ণারাও। সেটা শুধু টানা দ্বিতীয়বার সাফের শ্রেষ্ঠত্ব জিততে পারার জন্যই নয়। দেশের মানুষকে দেওয়া কথা রাখতে পারার জন্য। ট্রফি নিয়ে তারা ফিরতে চেয়েছিলেন। সব বাধা অতিক্রম করে সেই ট্রফি নিয়েই তারা কাল কাঠমান্ডু থেকে ঢাকায় পা রেখেছেন।

চ্যাম্পিয়নের ট্রফি নিয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা ঢাকায় পা রাখলে উৎসবের মাত্রা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। সাবিনারা বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর পান ফুলেল শুভেচ্ছা। তাদের জন্য বিমানবন্দরের বাইরে আগে থেকেই প্রস্তুত রাখা হয়েছিল ছাদখোলা বাস। মেয়েদের বহনকারী বিমান ৩টা নাগাদ ঢাকায় পা রাখলেও বিমানন্দরে নানা আনুষ্ঠানিকতা শেষে মেয়েরা ছাদখোলা বাসে ওঠেন ৪টা নাগাদ। বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতি তো ছিলই, সাধারণ মানুষেরও উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। ছাদখোলা বাসে করে সাবিনারা বিমানবন্দরের টার্মিনাল থেকে বের হলে ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ; চ্যাম্পিয়ন, চ্যাম্পিয়ন’ স্লোগান দিয়ে তাদের স্বাগত জানায় উচ্ছ্বসিত জনতা।

বিজয়ী মেয়েদের স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরের সামনের সড়কে জড়ো হয়েছিলেন কয়েক শ মানুষ। হাত নেড়ে তারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে থাকেন। নিচ থেকে কেউ কেউ ছুড়ে দেন ফুল। ছাদখোলা বাস থেকে ঋতুপর্ণা, সাবিনা, মনিকারাও পতাকা নেড়ে সাড়া দেন।

বিমানবন্দরে থেকে সেই ছাদখোলা বাসে করে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সাবিনাদের নিয়ে যাওয়া হয় বাফুফে ভবনে। দুপুর থেকেই বাফুফে ভবন ঢাকঢোল, আর বাদ্যবাজনায় মুখর ছিল। সাবিনারা বাফুফে ভবনে পা রাখতে রাখতে সন্ধ্যা। সেখানে তাদের সঙ্গে দেখা করে এক কোটি টাকার চেক তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

সাবিনারা ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও। টিম বাসে করে হোটেল থেকে তারা বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখানে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ট্রফি নিয়ে বাংলাদেশ দলের চেক-ইন করার দৃশ্যটাও ছিল দেখার মতো। শুধু চ্যাম্পিয়নের ট্রফিই নয়। ঋতুপর্ণা টুর্নামেন্টসেরা ও রুপনা হয়েছেন সেরা গোলরক্ষক। এই দুটি ট্রফিও ছিল বাংলাদেশ দলের সঙ্গী। ঋতুপর্ণা ও রুপনা সর্বক্ষণ তাদের ব্যক্তিগত স্মারকটা নিজেদের কাছে রেখেছেন। বিমানবন্দরে অনেকের ছবির আবদার মিটিয়েছেন। বাংলাদেশের মতো মালদ্বীপ দলও একই দিন কাঠমান্ডু ছেড়েছে। মালদ্বীপের খেলোয়াড়দের সঙ্গেও সাবিনারা আনন্দঘন সময় কাটিয়েছেন ত্রিভুবন বিমানবন্দরে।

এবারের সাফে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ গোলদাতা তহুরা খাতুন। মোট ৫ গোল করেন তিনি। গ্রুপ পর্বে ভারতের বিপক্ষে জোড়া গোল করার পর সেমিফাইনালে ভুটানের বিপক্ষে করেন হ্যাটট্রিক। তবে ফাইনালে গোল পাওয়া হয়নি। সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় তৃতীয় স্থানে থেকে তাকে আসর শেষ করতে হয়েছে। ৮ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন ভুটানের ডেকি হাজম। ৭ গোল করে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে নেপালের রেখা পৌদেল। যিনি কার্ড নিষেধাজ্ঞায় খেলতে পারেননি ফাইনালে। তহুরা শেষ পর্যন্ত ডেকি ও রেখার চেয়ে গোল সংখ্যায় পিছিয়ে থাকলেও দলীয় সাফল্যে যোজন যোজন এগিয়ে। তাই সর্বোচ্চ গোলদাতা না হওয়া নিয়ে কোনো আক্ষেপই নেই তার। তবে ত্রিভুবন বিমানন্দরে চেক-ইন করার সময়ে তহুরা আক্ষেপ করলেন ফাইনালের দ্বিতীয় মিনিটেই তার শট বারে লাগা নিয়ে। তার কথায়, ‘শট বারে লাগাটা আসলে কুফা। বারে লাগলে আর গোল হয় না।’

বিমানে ওঠার পর তহুরাকে এ বিষয়ে মনে করিয়ে দিতেই হেসে বললেন, ‘আসলে গোল পেতে কিন্তু কপালও লাগে। ফাইনালে আমার কপাল ভালো ছিল না। তাই গোল পাইনি।’ তবে দল তো জিতেছে। তহুরা বলছিলেন, ‘এ জন্যই ট্রফিটা নিয়ে ফিরতে পারছি। না হলে এই ট্রফি রেখেই বিমান ধরতে হতো।’

বাংলাদেশের মেয়েদের জন্য বিমান ওঠা, বিমান থেকে এভারেস্ট দেখাটা নতুন কিছু নয়। এবার সাফ খেলতে নেপালে যাওয়ার সময়ও তারা এভারেস্ট দেখতে দেখতে গিয়েছেন। কিন্তু ট্রফি নিয়ে ফেরার সময় মাউন্ট এভারেস্ট দেখাটায় তাদের মধ্যে ছিল অন্য রকম তৃপ্তি। তাদের ভেতর কাজ করছিল অন্য রকম আত্মবিশ্বাসও। ঋতুপর্ণা যেমন বললেন, ‘এভারেস্ট দেখতে সব সময়ই অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করে। নেপালে যাওয়ার সময়ও দেখেছি। এই এভারেস্ট জিততে মানুষ কত কষ্ট করে। অনেক কষ্ট শেষে যখন কেউ এভারেস্ট জিততে পারে, তখনই না পরিশ্রম সার্থক হয়। এভারেস্ট দেখলে তাই সব সময় অন্য রকম আত্মবিশ্বাস কাজ করে। মনে হয় আমরাও পারব।’

এই যে বিশ্বাস, এটাই আসলে বাংলাদেশের মেয়েদের শক্তি। এই বিশ্বাস থেকেই তারা জয় করে চলেছে সব। সাফের ট্রফি জয় শেষে মাউন্ট এভারেস্ট দেখতে দেখতে দেশে ফেরা ঋতুপর্ণারা যেন নিজেদের আরও উঁচুতে তুলে নেওয়ারই ছবি আঁকলেন!

প্রত্যাবর্তনে শান্তর বিধ্বংসী ইনিংস

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১২ পিএম
প্রত্যাবর্তনে শান্তর বিধ্বংসী ইনিংস
ছবি : সংগৃহীত

চোটে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দলের সঙ্গে নেই নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে দলের শেষ সিরিজে খেলতে পারেননি তিনি। আজ এনসিএল টি-টোয়েন্টি দিয়ে মাঠে ফিরেছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক। ফিরেই তান্ডব চালিয়েছেন ব্যাট হাতে। 

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে রাজশাহীর হয়ে হাঁকিয়েছেন বিধ্বংসী ফিফটি।

টস জিতে সিলেটের অ্যাকাডেমি মাঠে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৮৪ রান সংগ্রহ করে রাজশাহী। যেই রান করার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন নাজমুল হোসেন শান্ত। 

রাজশাহীর হয়ে ওপেনিংয়ে নেমে খেলেছেন ৫৪ বলে ৮০ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৫ চার এবং ৪ ছক্কায়। উদ্বোধনী জুটিতে হাবিবুর রহমানের সঙ্গে যোগ করেন ৮৯ রান। হাবিবুরের ব্যাটে এসেছে ৩৩ বলে ১ চার ৫ ছক্কায় ৪৭ রানের ইনিংস।

শান্ত দারুণ ইনিংস খেললেও জয় পায়নি রাজশাহী। বরিশালের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে তার দল। বরিশালের ফজলে মাহমুদ রাব্বি ৩৪ বলে ৫৬ এবং ৩৯ বলে ৫৩ রান করেন আব্দুল মজিদ। 

টি-টোয়েন্টি সিরিজ ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আরামসে হারাতে পারব’

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫১ পিএম
‘ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আরামসে হারাতে পারব’
ছবি : সংগৃহীত

টেস্ট সিরিজ ১-১ ব্যবধানে ড্র হওয়ার পর ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশ। এবার দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ১৬ তারিখ ভোরে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ কিংসটাউনে।

ওয়ানডে সিরিজে করুণ পরিণতির পরও সেই সিরিজে মাঠে নামার আগে আত্মবিশ্বাসী দারুণ ছন্দে থাকা সৌম্য সরকার।

প্রথম ম্যাচের আগে ক্যারিবিয়ানদের হারানোর ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে সৌম্য বলেন, ‘পরশু থেকে আমাদের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হচ্ছে কারা বড় দল, কারা ছোট দল সেটার থেকে বড় কথা হচ্ছে কারা ২০ ওভার, ৪০ ওভার ভালো খেলবে মাঠে। ওইটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’  

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বদাই শক্ত প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপরও জয়ের ব্যাপারে সৌম্য আত্মবিশ্বাসী, ‘আমরা যদি তিনটি দিকেই ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং ভালো করতে পারি, দল হিসেবে ভালো করতে পারি আমরা আশাকরি তাদেরকে আরামসে হারাতে পারব। ওরা টি-টোয়েন্টিতে ভালো দল, ওদের থেকে মনোযোগ দিতে হবে আমরা আমাদের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করলে ম্যাচ জিততে পারব।’

ওয়ানডে সিরিজ হারলেও সেখান থেকে ভালো যেসকল দিক আছে সেগুলো নিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাঠে নামতে যান এই বাঁ-হাতি ব্যাটার, ‘ওয়ানডেতে আমরা ভালো খেলে আসছিলাম কিন্তু লাস্ট দুই-একটা সিরিজ আমাদের ভালো যায়নি। তার মধ্যেও একটা ভালো জিনিস আছে আমরা ব্যাটাররা তিনশ রান করছি, এটাও একটা ভালো দিক।’

সিরিজের শেষ ম্যাচে ৩২১ রান করেও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। এত বড় সংগ্রহের পরও দল হেরে যাওয়ার পেছনে বোলারদের দায় আছে অনেকাংশে। তবে টি-টোয়েন্টিতে বোলাররা ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশাবাদী সৌম্য। বলেন, ‘আমাদের বোলাররা সবসময় ভালো করে আসতেছিল এই সিরিজে হয়ত তারা একটু স্ট্রাগল করেছে। আমি আশা করি তারা সামনের টি-টোয়েন্টিতে কামব্যাক করবে। পাশাপাশি আমরা ব্যাটাররা যারা রান করছিলাম বা রান করছে সবাই যেহেতু আমরা ওয়ানডেতে ৩০০ রান করছি এটার ধারাবাহিকতা যদি তারা বজায় রাখতে পারে তাহলে বোলার ও ব্যাটার মিলে একটা ভালো সিরিজ হবে।’

ব্রিসবেন টেস্ট বৃষ্টির কারণে টিকিটের টাকা ফেরত পাবেন দর্শকরা

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১৩ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১৪ পিএম
বৃষ্টির কারণে টিকিটের টাকা ফেরত পাবেন দর্শকরা
ছবি : সংগৃহীত

ব্রিসবেনে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনটা বৃষ্টির দখলে। প্রথম সেশনে কিছুটা খেলা হলে মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার পরের দুই সেশনে এক বলও খেলা হয়নি।

সবমিলিয়ে ১৩.২ ওভারের খেলা হয়েছে। যেখানে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৮ রান সংগ্রহ করেছে অস্ট্রেলিয়া। দিনের খেলা ১৫ ওভারেরও কম হওয়ায় টিকিটের টাকা ফেরত পাবেন দর্শকরা।

টিকিটের মূল্য ফেরত পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় ভোরে টস জিতে মেঘিওলা পরিবেশে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা।

যেই আশায় রোহিত বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা অবশ্য পূরণ হয়নি। ১৩.২ ওভার পুরোটাই টিকেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার উসমান খাজা ও নাথান ম্যাকসুয়েনি।

৪৭ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত আছেন খাজা আর ম্যাকসুয়েনি অপরাজিত ৩৩ বলে ৪ রানে। ভারতের হয়ে জসপ্রীত বুমরা করেছেন ৬ ওভার, মোহাম্মদ সিরাজ ৪ আর আকাশ দীপ ৩.২ ওভার।

সাউদির শেষ টেস্টের প্রথম দিনে নিউজিল্যান্ডের বোর্ডে ৩১৫

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৬ পিএম
সাউদির শেষ টেস্টের প্রথম দিনে নিউজিল্যান্ডের বোর্ডে ৩১৫
ছবি : সংগৃহীত

অধিনায়ক টম লাথাম ও উইল ইয়াংয়ের উদ্বোধনী জুটি ১০৫ রানের। আর দিনশেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১৫ রান। অলআউটের দ্বারপ্রান্তে থাকা স্বাগতিকরা পুরোপুরি খুশি হওয়ার উপায় নেই উদ্বোধনী জুটির পর দিনশেষে এই স্কোর নিয়ে। তবে ইংল্যান্ডের জন্য অবশ্যই স্বস্তির। 

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট ম্যাচে মাঠে ঢুকেছিলেন টিন সাউদি মেয়েকে কোলে নিয়ে। তবে তার দল টস হেরে পেয়েছে ব্যাটিং। তাই শুরুতে বোলিং করার সুযোগ হয়নি সাউদির। সাউদির বিদায়ী টেস্টের প্রথম দিনে তার দল এক বছরেরও বেশি সময় পর টেস্টে ওপেনিং জুটিতে শত রানের দেখা পেয়েছে। 

গুজ অ্যাটকিনসনের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ৪২ রান করে ইয়াং ফিরলে ভাঙে এই জুটি। এরপর আরও বেশ কয়েকটি ত্রিশোর্ধ্ব জুটি হলেও তা বড় না হওয়ায় দিনশেষে ৯ উইকেট হারিয়েছে তারা।  

সর্বোচ্চ ৬৩ রান এসেছে অধিনায়ক টম লাথামের ব্যাট থেকে। তিনে নামা কেন উইলিয়ামসন করেছেন ৪৪। ম্যাথু পটসের বলে অপ্রত্যাশিতভাবে বোল্ড আউট হয়েছেন তিনি। 

তবে দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেছেন মিচেল স্যান্টনার। এই অলরাউন্ডার ব্যাটে এসেছে ৫০ রান। দিনশেষে তিনি অপরাজিত আছেন। দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটিতেও আছে তার নাম। অষ্টম উইকেটে দুই মিচেল স্যান্টনার–ম্যাট হেনরি ৫৪ বলে ৪১ রানের জুটি গড়েন। দিনশেষে স্যান্টনারের সঙ্গে অপরাজিত আছেন উইল ও’রুর্কি। 

ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে মাঠে নামা সাউদির ব্যাটে এসেছে ক্যামিও ইনিংস। ৩ ছক্কা ও ১ চারে ১০ বলে ২৩। ইংল্যান্ডের হয়ে ৩টি করে উইকেট অ্যাটকিনসন ও পটসের।

সেই কুমিল্লায় আবাহনী-মোহামেডান লড়াই

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫২ পিএম
সেই কুমিল্লায় আবাহনী-মোহামেডান লড়াই
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে সাম্প্রতিক সময়ের রোমাঞ্চকর ম্যাচের তালিকা করলে ২০২২-২৩ মৌসুমের ফেডারেশন কাপের ফাইনালের কথাই আগে আসবে। গত বছর মে মাসে সেই ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী লিমিডেট ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। চরম নাটকীয়তা ও উত্তেজনায় ভরা ম্যাচটির ফলাফল নির্ধারিত হয়েছিল ট্রাইব্রেকারে। তাতে আবাহনীকে হারিয়ে ১৪ বছর পর ফেড কাপের শিরোপা জিতেছিল মোহামেডান।

ওই ম্যাচটি বাংলাদেশের ফুটবল অনুরাগীদের মনে বেশ আশার সঞ্চার করেছিল। কারণ আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচের উত্তাপ যখন হারিয়ে যাচ্ছে বলে হাহাকার শুরু হয়ে গিয়েছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে এমন একটা ম্যাচের মঞ্চায়ন হয়েছিল। ভেন্যু ছিল কুমিল্লার শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়াম। দেড় বছর পর সেই একই মাঠে আজ মুখোমুখি হবে আবাহনী ও মোহামেডান। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচটি শুরু হবে বেলা আড়াইটায়।

আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচকে অনেকে ‘ঢাকা ডার্বি’ বা ‘বাংলা ক্লাসিকো’ বলে থাকেন। ২০২৪-২৫ মৌসুমে এটিই প্রথম মুখোমুখি লড়াই হতে যাচ্ছে দল দুটির। এখন পর্যন্ত মৌসুমে অপরাজিত দল আবাহনী। ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবকে ২-০ গোলে হারিয়ে লিগ ও নতুন মৌসুমে নিজেদের পথচলা শুরু করে মারুফুল হকের দল। দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকা ওয়ান্ডারার্সকে হারায় ১-০ ব্যবধানে। এরপর গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আবাহনীকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফেডারেশন কাপে নিজেদের মিশন শুরু করেছে। সব মিলিয়ে মৌসুমে তিন ম্যাচের তিনটিতেই জিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের মুখোমুখি হচ্ছে আকাশি-নীল জার্সিধারীরা।

মোহামেডানের মৌসুমের শুরুটাও খারাপ ছিল না। এবারই প্রথম ঘরোয়া ক্যালেন্ডারে যুক্ত হওয়া চ্যালেঞ্জ কাপ দিয়ে মৌসুম শুরু করে তারা। যেখানে বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে হারে দলটি। তবে এই বসুন্ধরা কিংসকেই লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে ১-০ গোলে হারিয়ে দেয় সাদা-কালো জার্সিধারীরা। প্রথম রাউন্ডে তারা ওয়ান্ডারার্সকে হারিয়েছিল ৬-০ গোলে।

কিন্তু লিগে এমন একটা শুরুর পর গত মঙ্গলবার ফেড কাপে হোঁচট খায় দলটি। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১-০ গোলে হেরে বসে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে। তাই বিগ ম্যাচটিতে আবাহনী জয়ের ধারা নিয়ে মাঠে নামতে পারলেও মোহামেডান সেটা পারছে না। নতুন মৌসুমে চার ম্যাচ খেলে তাদের জয় ও হার সমান ২টি করে ম্যাচে।

মোহামেডান কোচ আলফাজ আহমেদ অবশ্য আবাহনীকে হারানোর ব্যাপারে বেশ আশাবাদী। খবরের কাগজকে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের ভালো প্রস্তুতি হয়েছে। দলে কোনো ইনজুরি সমস্যাও নেই। ম্যাচটির জন্য আমরা পুরোপুরি তৈরি। আশা করি খেলোয়াড়রা নিজেদের সেরাটা দিতে পারবে এবং আমরা জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ব।’ দিন কয়েক আগে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে হার নিয়ে তার ব্যাখ্যা, ‘লিগ ম্যাচকে আমরা বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি। তাই ওই ম্যাচে আমরা বেশ কিছু খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিয়েছিলাম। সব মিলিয়ে ওই হার এ ম্যাচে কোনো প্রভাব ফেলবে না। আর ফেডারেশন কাপেও আমরা কাম ব্যাক করতে পারব বলে আশাবাদী আমি।’

আবাহনী ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু বলেছেন, ‘এটি একটি মর্যাদার ম্যাচ। উভয় দলই জিততে চায়। কেউ কাউকে কোনো ছাড় দিতে চায় না। আমরা অবশ্যই জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামব। ম্যাচের আগে যে প্রস্তুতি নেওয়া দরকার, খেলোয়াড়রা সেটা নিয়েছে। বড় ধরনের ইনজুরির সমস্যাও নেই। আশাকরি আমরা সেরা দল নিয়েই মাঠে নামতে পারব।’

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });