ঢাকা ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

কী ঘটেছিল সাবিনাদের সঙ্গে?

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৫ এএম
কী ঘটেছিল সাবিনাদের সঙ্গে?
ছবি : সংগৃহীত

‘গত দুই বছর কী, গত দুই মাস থেকে যা ঘটেছে, সেটাও তো কম কিছু না।’ সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দুই দিন আগে টিম হোটেলে বসে কথাটা বলেছিলেন সাবিনা খাতুন। কী ঘটেছিল? পাল্টা প্রশ্ন করলে রহস্যমাখা হাসি নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছিলেন, ‘টুর্নামেন্টটা শেষ হোক’।

টুর্নামেন্ট শেষ হয়েছে। বাংলাদেশের মেয়েরা সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়নের মুকুট ধরে রেখেছে। এরই মধ্যে ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরেছে লাল-সবুজের স্বপ্ন সারথিরা।সাফল্য যেহেতু এসেছে, সাবিনা-ঋতুপর্ণাদের নিয়ে এখন মাতামাতিও চলছে। কিন্তু এই মাতামাতি আর উন্মাদনার মাঝে সাবিনাদের সঙ্গে কি ঘটেছিল এই প্রশ্নটা কি হারিয়ে যাবে?

সাবিনার সঙ্গে সেই আলাপচারিতাটা হয়েছিল ভুটানের বিপক্ষে সেমিফাইনালের পর। তার প্রতি প্রশ্নটা ছিল এমন- ‘গত দুই বছরে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল যে ঝড়ঝাপটা পার করেছে, তাতে রানার্সআপ হলেও সেটা নিশ্চয়ই বড় অর্জন হবে? ছোট্ট উত্তরে সাবিনা বলেছিলেন, ‘গত দুই বছর কী, গত দুই মাস থেকে যা ঘটেছে, সেটাও তো কম কিছু না।’

সাবিনা এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে চাননি সেদিন। কিন্তু না বলতে চেয়েও বলে দিয়েছিলেন আরও অনেক কথা। পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে ড্র করার পর সিনিয়র খেলোয়াড়দের সঙ্গে কোচের দ্বন্দ্বের বিষয়টি উঠে এসেছিল। সাবিনাকে এ নিয়ে প্রশ্ন করলে কোনো কিছু লুকাতে পারেননি তিনি। প্রথমে যদিও বলেছিলেন, ‘আমি আসলে এই বিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্যই করতে চাই না। টুর্নামেন্টের পর যত প্রশ্ন আছে আপনাদের, আমি উত্তর দেব।’

কিন্তু পাল্টা প্রশ্নে সিনিয়র খেলোয়াড়দের সঙ্গে কোচ পিটার বাটলারের দ্বন্দ্বের ব্যাপারটা সাবিনা পরিষ্কার করে দেন। বলেন, ‘প্রথম ম্যাচ যদি দেখেন… সেকেন্ড ম্যাচে তো আমরা ফোর্স করে (টিম) করিয়েছি। তারপরও কোচ টিম করতে চায়নি। আমাদেরকে বলেছিল খেল, সিনিয়ররা যেহেতু খেলতে চাও, রেজাল্ট কীভাবে বের করতে হয়, কর।’ সাবিনা বলে যান, ‘আমরা চেষ্টা করেছি, তবে উনার ওপর ক্ষোভ থেকে না। এ সব ম্যাচে কতটা দায়িত্ব নিয়ে খেলবেন, এটা হচ্ছে ব্যাপার। মেয়েরা খেলতে পারে, মেয়েরা সেটা প্রমাণ করেছে’।

আসলেই তাই। পাকিস্তানের বিপক্ষে অপ্রত্যাশিত ড্রয়ের পর শক্তিশালী ভারতকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। অধিনায়ক সাবিনার কথায়, যে ম্যাচে তারা ‘ফোর্স করে’ টিম করেছিলেন। কিন্তু সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের মতো আসরে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের অন্দরমহলে এ রকমটা কেন ঘটল?

সাবিনারা চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় হয়তো সবকিছু ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। পিটার বাটলারই যেমন পরশু কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে মেয়েদের জোড়াজুড়ি করে টিম করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। আলাপচারিতায় জানতে চাইলে সরাসরি বলেছেন, ‘এটা পুরোপুরি মিথ্যা একটি কথা। কেউ আমার কাছে আসেনি। আর কাকে খেলাব, সেটা জিজ্ঞেস করার সাহস তারা পাবে কীভাবে?’ বাটলার জোড় দিয়ে বলেন, ‘যা করেছি, নিজের সিদ্ধান্তেই করেছি আমি’।

তাহলে সাবিনা কি মিথ্যে বলেছেন? সাফ জিতে দেশে ফেরার পর এ বিষয়ে সাবিনার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে এখনই কিছু বলতে চাননি। আবারও রহস্য রেখে দিয়ে বলেলেন, ‘একটু অপেক্ষা করেন…।’

সাবিনা যে বাংলাদেশ নারী ফুটবলের কিংবদন্তি এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। ২০১০ সাল থেকে টানা জাতীয় দলে খেলে চলেছেন। তার নেতৃত্বেই টানা দুটি সাফ শিরোপা পেল বাংলাদেশ। কিন্তু একজন সাবিনার ফুটবল নিয়ে অভিমানও কিন্তু কম নেই। কথায় কথায় সাবিনা বলেছিলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে একটা কথা সামনে আসছে। অনেকেই বলছিলেন, সাবিনার পারফরম্যান্স একটু ডাউন হচ্ছে। কিন্তু আমার যেটা দরকার, সেটা যদি আপনি আমাকে না দেন বা না করেন, আপনি আমার থেকে তো আউটকামটা পাবেন না।’

সাবিনা বলে যান, ‘সারা বছর যদি আপনি আমাকে ক্যাম্পে রাখেন, খেলার মধ্যে না রাখেন, তাহলে দুই বছর পর যদি একটা টুর্নামেন্টে গিয়ে বলেন, সাবিনা তোমাকে ১০ গোল করতে হবে, এটা তো সম্ভব না।’

দুই বছর আগে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে ফেরার পর সাবিনাদের সঙ্গে এমনটাই হয়েছে। দীর্ঘ ৯ মাস আন্তর্জাতিক ফুটবলের বাইরে থাকতে হয়েছে। সাফের শিরোপা ধরে রাখার মিশনে যাওয়ার আগে একটা প্রস্তুতি ম্যাচও তারা পায়নি। এমনকি দুই মাসের বেতন বয়েকা রেখে তাদের সাফ খেলতে পাঠানো হয়েছে। সাবিনাদের সঙ্গে এই অবিচারের অবসান কী এবার ঘটবে?

নেপালকে উড়িয়ে সেমিতে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫১ পিএম
নেপালকে উড়িয়ে সেমিতে বাংলাদেশ
ছবি: সংগৃহীত

প্রথম ম্যাচে আফগানদের বিরুদ্ধে জয়। দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালকে স্রেফ উড়িয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শনিবার (৩০ নভেম্বর) ৫ উইকেটে জিতেছে বাংলার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। 

টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের সামনে সুবিধা করতে পারেনি নেপালের ব্যাটাররা। ৪৫.৪ ওভারে মাত্র ১৪১ রানে অল আউট হয় হিমালয় কন্যারা। জবাবে বাংলাদেশ ১২৮ বল হাতে রেখে পৌঁছায় লক্ষ্যে। 

বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট হাতে ফিফটি করেছেন দুজন। আগের ম্যাচে ডাক মারা ওপেনার জাওয়াদ ৬৫ বলে করেন সর্বোচ্চ ৫৯ রান। প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করা অধিনায়ক আজিজুল হাকিম ৭২ বলে অপরাজিত থাকেন ৫২ রানে। 

নেপালের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন ওপেনার আকাশ ত্রিপাতি। উত্তম মাগার ও অভিষেক তিওয়ারি করেন সমান ২৯ রান। বাকিদের মধ্যে কেউ ছুঁতে পারেনি দুই অঙ্কের রান। বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে আল ফাহাদ, ইকবাল হোসেন, রিজান হোসেন দুটি করে উইকেট নেন। সাদ ইসলাম, রাফিউজ্জামান ও আজিজুল হাকিম নেন একটি করে উইকেট।

বি গ্রুপে একই সময়ে শুরু হওয়া ম্যাচে আফগানিস্তানকে ১৩১ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে সেমিতে উঠেছে শ্রীলঙ্কাও। লঙ্কানদের করা সাত উইকেটে ২৪৩ রানের জবাবে ১১২ রানে গুটিয়ে যায় আফগানরা। 

বি গ্রুপ থেকে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা পৌঁছালো শেষ চারে। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই বিদায় নিতে হলো নেপাল ও আফগানিস্তানকে। আগামী ৩ ডিসেম্বর গ্রুপ চ্যাম্পিয়নের লক্ষ্যে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা।

মাহফুজ/

উদ্বোধন হলো বিপিএলের মাস্কট ‘ডানা-৩৬’

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩০ পিএম
উদ্বোধন হলো বিপিএলের মাস্কট ‘ডানা-৩৬’
ছবি : সংগৃহীত

এবারের বিপিএলে নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপন করতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। চলতি মাসের ৩০ তারিখ থেকে শুরু হতে যাওয়া বিপিএলের প্রস্তুতি হিসেবে আজ উদ্বোধন করা হয়েছে মাস্কট। 

আসন্ন বিপিএলের এবারের আয়োজনে ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কাজ করছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। সম্মিলিত ব্যবস্থাপনায় ‘বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ২০২৫’ এবং তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ আয়োজনের সিদ্ধান্তের পর আজ বিপিএলের মাস্কট উদ্বোধন করা হয় তারুণ্যের উৎসবের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। মাস্কটের নামকরণ করা হয়েছে ‘ডানা-৩৬’

এর আগে, প্রদর্শন করা হয় জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদদের সম্মানে নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র ‘জুলাই-অনির্বাণ’।

মাস্কট উন্মোচনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বিসিবি সভাপতি ফারুক, বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়াল। এছাড়া বাংলাদেশ নারী ও পুরুষ দলের ক্রিকেট সদস্যরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের। চলমান ডিসেম্বর মাসের ২৩ তারিখ মিরপুর শেরেবাংলায় উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে বিপিএলের। এছাড়া আলাদা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থাকবে চট্টগ্রাম ও সিলেটেও। ২৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে এবং ২৭ ডিসেম্বর সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে হবে এই অনুষ্ঠান।

বিপিএলের প্রথম ম্যাচ মাঠ গড়াবে ৩০ ডিসেম্বর। প্রায় দেড় মাসব্যাপী টুর্নামেন্টটি শেষ হবে আগামী বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি। 

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিবের খেলা নিয়ে যা বললেন বিসিবি সভাপতি

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৩ পিএম
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিবের খেলা নিয়ে যা বললেন বিসিবি সভাপতি
ছবি : সংগৃহীত

চলতি সিরিজের ওয়ানডে সংস্করণ দিয়ে মাঠে ফেরার গুঞ্জন ছিল সাকিব আল হাসানের। তবে এই সিরিজেও খেলা হচ্ছে না বলে খবর ছড়িয়েছে। আফগানিস্তান সিরিজের পর লাল-সবুজ জার্সিতে মাঠে নামা হবে না সাকিবের উইন্ডিজ সিরিজেও। 

এটি ছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে বাংলাদেশের শেষ ওয়ানডে সিরিজ। সেই সিরিজেও মাঠে না নামতে পারা সাকিবের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা নিয়েও তাই উঠেছে প্রশ্ন।
এই ব্যাপারে আজ (রবিবার) সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। 

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিবের খেলা নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘এখনো আমাদের লিস্টে আছে। আশা করি যে ও যেভাবে চাচ্ছে এটাকে যদি সমাধান হয়। এটা অবশ্যই আমি মনে করি সাকিব এখনো ক্ষমতা রাখে জাতীয় দলে খেলার।’

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সাকিব আর দেশে ফেরেননি। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সাকিবকে হত্যা মামলার আসামিও করা হয়েছে। দেশের মাটিতে শেষ টেস্ট খেলার আশা প্রকাশ করেও খেলতে পারেননি তিনি।

দেশে আসতে না পারা সাকিব কেবল দেশের বাইরের সিরিজগুলো খেলবেন এই কাজটি সহজ নয় জানিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘এভাবে একজন খেলোয়াড় শুধু বাইরের টুর্নামেন্ট খেলবে, তাকে মানসিকভাবে খুব শক্ত হতে হবে। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আর জাতীয় দল এক কথা না। দলের সাথে একটা প্রস্তুতিরও দরকার আছে। সেটা যেহেতু করতে পারছে না, আমার মনে হয় ও খেলার মতো অবস্থায় খুব একটা নেই। এ বিষয়টা আমরা ওর ওপর ছেড়ে দিয়েছি যে ও কী চিন্তা করছে।’

আসন্ন বিপিএলে চিটাগং কিংসের হয়ে খেলার কথা সাকিব আল হাসানের। তবে এমন অবস্থায় বিপিএলেও তার খেলার নিশ্চয়তাও দিতে পারছেন না ফারুক আহমেদ। বিসিবি সভাপতি জানান, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে আসলে আমি খুব বেশি উত্তর দিতে পারি না। আমাকে যদি বারবার প্রশ্ন করেন… আমি বিব্রত না, আমি চাই ও খেলুক। কিন্তু ব্যাপারটা পুরোপুরি… ও যে কারণে আসতে পারছে না, এতে বোর্ড কোনোভাবে সম্পৃক্ত নয়। এটার উত্তর দেওয়াও সহজ না আমার জন্য। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, আদালত- ওদের এই ব্যাপারটা ম্যানশন করতে হবে।’

তৃতীয় বিভাগের চ্যাম্পিয়ন প্রগতি সেবা সংঘ

প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০০ পিএম
তৃতীয় বিভাগের চ্যাম্পিয়ন প্রগতি সেবা সংঘ
ছবি : সংগৃহীত

তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে প্রগতি সেবা সংঘ। সুপার লিগের সপ্তম রাউন্ডে ট্যালেন্ট হান্ট ক্রিকেট একাডেমিকে ৩ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে প্রগতি। ফলে দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে গেছে ক্লাবটি।

টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন প্রগতির অধিনায়ক হুমায়ুন। তার এই সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করেন দলের বোলাররা। মোহাম্মদ জুম্মন হোসেনের শিকার করেন ফাইফার।

জুম্মনের পাঁচ শিকারে সুবিধা করতে পারেনি ট্যালেন্ট হান্ট ক্রিকেট একাডেমি। অলআউট হয় তারা মাত্র ১২৭ রানে। ট্যালেন্ট হান্টের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান আসে মাকনুন কবিরের ব্যাটে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬ রান আসে ফারহান বিল্লাহ সাজিদ ও ইফাদ রহমানের ব্যাটে।

১২৮ রানের এই লক্ষ্য জবাব দিতে নেমে ৩ উইকেটের জয় তুলে নেয় প্রগতি সেবা সংঘ। এই জয় আদায়ে তারা খেলেছে ৩২ ওভার। সর্বোচ্চ ৩২ রান আসে সুজন মাহমুদের ব্যাটে। শাহেদ ও রিফাত চৌধুরী করেন সমান ২০ রান। দুটি করে উইকেট শিকার করেন ট্যালেন্টের মঞ্জুরুল ইসলাম মুন্না ও রবিউল হাসান অনিক। 

৫ উইকেট শিকার করে ম্যাচসেরা হয়েছেন প্রগতির জুম্মন হোসেন।

পালমাসের কাছে হেরে ম্লান বার্সার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনন্দ

প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫০ পিএম
পালমাসের কাছে হেরে ম্লান বার্সার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনন্দ
ছবি : সংগৃহীত

ক্লাবের ১২৫ বছরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনন্দঘন উদযাপন শেষে মাঠে নেমেছিল বার্সেলোনা। তবে সেই আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়েছে পুচকে পালমাসের কাছে হেরে। নিশ্চিত জয় ধরে রাখা ম্যাচটি হারতে হয়েছে বার্সার পালমাসের কাছে পরাজয়ে।

পালমাসের কাছে ২-১ গোলে হেরে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা টানা তিন ম্যাচ জয়শূন্য ক্লাবটি। তবে ম্যাচে দাপুটে খেলেছিল বার্সেলোনাই। ৭১ শতাংশ বল নিজেদের দখলেই রেখেছিল বার্সা। 

তবে অধিক বল নিজেদের দখলে রেখেও লক্ষ্যে ২৭টি শট নিয়েও লক্ষ্যে রাখতে পারে মাত্র ৮টি। গোল করতে পেরেছে একটিতে। অন্যদিকে ৫টি শট নিয়ে ৩টি লক্ষ্যে রেখে দুটি গোল আদায় করে নেয় পালমাস। 

ম্যাচের প্রথমার্ধে কোনো গোল করতে পারেনি দুই দলের কেউই। ৩ গোলের সবকটিই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। যার শুরুটা হয়েছিল ৪৯ মিনিটে। 

সান্দ্রো রামিরাজের গোলেই এগিয়ে যায় লাস পালমাস। সেই সমতা ফেরায় বার্সা ৬১ মিনিটে। অপ্রতিরোধ্য এক শটে অধিনায়ক রাফিনহা সমতা ফেরান ৬১ মিনিটে।

কিন্তু সমতা ফেরানোর ৬ মিনিটের মাথায় আবারও গোল হজম করে বসে বার্সা। জাভি মুনোজের পাস থেকে ফ্যাবিও সিলভা লিগে তার পঞ্চম গোলটি করেন।

এই জয়ে লা লিগার পয়েন্ট তালিকায় ১৪ নম্বরে উঠে এসেছে লাস পালমাস। রোববার গেটাফের বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদ জিতলে বার্সার সঙ্গে মাত্র ১ পয়েন্ট পেছনে থাকবে।