ছবি : সংগৃহীত
দ্বিতীয় টেস্টে ১০১ রানের ব্যবধানে জিতে ১৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের মাঠে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে ১-১ সমতায় সিরিজ শেষ হয়েছে। দারুণ পারফরম্যান্স করে উইন্ডিজের জেইডেন সিলসের সঙ্গে যৌথভাবে সিরিজসেরা হয়েছেন তাসকিন আহমেদ।
প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ ২০১ রানের বড় ব্যবধানে হারলেও তাসকিন বল হাতে ভালো করেছিলেন। প্রথম ইনিংসে ২ উইকেট শিকারের পর দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ফাইফার। ৬৪ রানে ৬ উইকেট শিকার করে সেই টেস্টে মোট ১০ উইকেট শিকার করেন তিনি। লাল বলের ক্রিকেটে যা কিনা তাসকিনের ক্যারিয়ারসেরা বোলিং।
দ্বিতীয় টেস্টে নাহিদ রানা ও তাইজুল দুই ইনিংসে শিকার করেন ফাইফার। দ্বিতীয় ইনিংসের ফাইফারে ম্যাচসেরা হয়েছেন তাইজুল। এই দুই বোলারের ছায়াও থাকলেও দুই ইনিংস মিলিয়ে তাসকিনের শিকার ৩ উইকেট।
অ্যান্টিগা ও জ্যামাইকায় সবমিলিয়ে তাসকিনের শিকার ১১ উইকেট। টেস্ট সিরিজে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকার করেছেন তিনি। ১টি উইকেট কম শিকার করলেও ১০ উইকেট ঝুলিতে থাকা সিলস শতাব্দীর সেরা হাড়কিপটে বোলিংয়ে ভাগ বসিয়েছেন তাসকিনের কীর্তিতে।
২০১৭ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া তাসকিন প্রথমবারের মতো হয়েছেন সিরিজসেরা। এমন কীর্তিতে তাই তার উচ্ছ্বাসের মাত্রাটাও একটু বেশিই। প্রথমবার এমন স্বীকৃতির অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তাসকিন জানালেন, আল্লাহ চাইলে ভবিষ্যতে এমন অর্জন আরও আসবে।
ঊচ্ছ্বসিত্ন তাসকিন বলেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, এটা অনেক বড় অর্জন। আমরা টেস্ট সিরিজ ড্র করলাম। ওদের কন্ডিশনে অনেক বড় বড় দলও ভোগান্তিতে পড়ে। আমরা একটু কঠিন সময় পার করছিলাম। পাকিস্তানের মাটিতে পাকদের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর আমরা কয়েকটি সিরিজ হেরে যাওয়াতে মানসিকভাবে দমে গিয়েছিলাম। তবে শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি।’
সিরিজসেরা হওয়ার অনুভূতিও প্রকাশ করেছেন তাসকিন, ‘দুটি ম্যাচেই আমি আমার সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করেছি। এবং আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহতায়ালা আমাকে এই পুরস্কার দিয়েছেন ম্যান অব দা সিরিজ হিসেবে। ইনশাআল্লাহ, ম্যানি মোর টু কাম (আরও অনেক আসবে)।’
পেসারদের সাধারণত ক্যারিয়ারজুড়েই লড়াই করতে হয় চোটের সঙ্গে। তাসকিন নিজেও পড়েছেন বেশ কয়েকবার চোটে। দিনকয়েক আগে সেরে উঠেছেন কাঁধের চোট থেকে। সে প্রসঙ্গে তাসকিন বলেছেন, ‘আমি আমার কাঁধের সমস্যা কাটিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ফেরার অনেক চেষ্টা করছিলাম। এখন আগের চেয়ে ভালো আছে (অবস্থা)। আশা করছি, আল্লাহ চাইলে এমন অনেক বড় অর্জন হবে সামনে।’