সবশেষ ২০০৭ সালে ব্রাজিলের কোচ ফুটবলার জিতেছিলেন ব্যালন ডি’অর। এসি মিলানের হয়ে হয়ে দারুণ পারফরম্যান্স করে জিতেছিলেন এই খেতাব। কিন্তু এরপর থেকে ব্রাজিলের আরকোনো খেলোয়াড়ই নিতে পারেনি এই পুরস্কারের স্বাদ। ধারণা করা হয়েছিল এবার ব্রাজিলের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ভিনিসিয়ুসের হাতে উঠতে যাচ্ছে।
ব্যালন ডি’অর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। ২০২৪ সালের ব্যালন ডি’অর জিতে নিয়েছেন ম্যানসিটির হয়ে খেলা স্পেনের মিডফিল্ডার রদ্রি।
ভিনি নিজেও আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে এবারের ব্যালন ডি’অর তিনিই পেতে যাচ্ছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হওয়ায় তিনি মনে করেন, বর্ণবাদের বিপক্ষে কথা বলায় তাকে জিততে দেওয়া হয়নি এই পুরস্কার।
ভিনিসিয়ুসের ব্যালন ডি’অর না জেতা মানতে পারছেন না ব্রাজিলিয়ানরা। দলটির কোচ দরিভাল জুনিয়র তো জানিয়েই দিয়েছেন এটা ‘অন্যায়’।
২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে দুটি ম্যাচ রয়েছে এই নভেম্বরে। সেই দুই ম্যাচের জন্য ভিনিকে রেখেই ২৩ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে ব্রাজিলের কোচ দরিভাল জুনিয়র।
স্কোয়াড ঘোষণার সময় ভিনির ব্যালন ডি’অর নিয়ে নিজের হতাশার কথাও জানিয়েছেন দরিভাল।
ব্রাজিলের কোচ বলেন, ‘তার সঙ্গে আমার (ব্যালন ডি’অর দেওয়ার) আগের দিন কথা হয়েছে, পরে হয়নি। সরাসরি কথা বলতে হবে। আমার মতে, এটা অন্যায়। এটা ব্যক্তিগত পুরস্কার। যদি এমন কেউ থেকে থাকে, যে দুর্দান্ত, তীক্ষ্ণ ও ভয়ংকর অ্যাথলেট, যার প্রতিভা মৌসুমজুড়ে পুরো বিশ্ব দেখেছে, সেটা সে-ই (ভিনি)।’
দরিভাল আরও বলেন, ‘যে এই পুরস্কার জিতেছে, তার বিরুদ্ধে আমি নই। (রদ্রি) সে স্প্যানিশ ও বিশ্ব ফুটবলের জন্যই দারুণ খেলোয়াড়। অনেকবার নিজেকে চিনিয়েছে। কিন্তু ভিনিসিয়ুস যা করেছে, সে জন্য তার অন্য রকম স্বীকৃতি প্রাপ্য ছিল। তবে ভিনিসিয়ুস সম্ভবত সেরা যে পুরস্কারটি জিতেছে, সেটি তার (দেশের) মানুষের সম্মান ও ভালোবাসা। ব্রাজিলের অধিকাংশ মানুষ বুঝতে পেরেছে, এটা অন্যায়।’