ঢাকা ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
English
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

‘ব্যথায় মাঠেই কান্না করে দিই’

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৫ এএম
আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৯ এএম
‘ব্যথায় মাঠেই কান্না করে দিই’
ছবি : সংগৃহীত

সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে পাকিস্তানের বিপক্ষে কপালে ব্যান্ডেজ নিয়ে খেলেও শেষ মুহূর্তে গোল করেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। তাতে ড্র হয় ম্যাচ। তার ওই মহামূল্যবান গোলটির পর টুর্নামেন্টে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি বাংলাদেশকে। টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরেই নেপাল থেকে ফিরেছে মেয়েরা। তবে শামসুন্নাহারকে পুরো আসরে চোটের সঙ্গে লড়াই করে খেলতে হয়েছে। খবরের কাগজের মুখোমুখি হয়ে কঠিন এই পথ পাড়ি দেওয়ার গল্প শুনিয়েছেন কলসিন্দুরের কৃতী এই কন্যা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ক্রীড়া প্রতিবেদক তোফায়েল আহমেদ

খবরের কাগজ: এবারের সাফে মাত্র একটি গোল আপনার। তবে সেই গোলটার মূল্য অনেক। আপনার ওই গোলেই প্রতিযোগিতায় টিকে ছিল বাংলাদেশ…

শামসুন্নাহার জুনিয়র: আপনারা তো ছিলেন সেখানে, খেলা দেখেছেন। আমাদের প্রথম ম্যাচটা আসলে খারাপ গেছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে এমন কিছু হবে এটা আমরা ভাবিনি। কিন্তু প্রথমে গোল হজম করে বসি আমরা। ধরতে গেলে ম্যাচটা ১-০ গোলে হেরেই যাচ্ছিলাম। ৬ মিনিটের যোগ করা সময়ে প্রথম মিনিটেই গোলটা হয়েছে। আমাদের চেষ্টা ছিল যে আমরা অন্তত ড্রটা যেন করতে পারি। তাহলে ভারতের সঙ্গে ভালো কিছু করলে আমরা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারব বা সেমিফাইনাল খেলতে পারব। এমন একটা আশা আমাদের সবার মধ্যে ছিল। 

খবরের কাগজ: কিন্তু নির্ধারিত সময়েও তো গোল পেলেন না। ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গেল…। ভয় কাজ করেনি?

শামসুন্নাহার জুনিয়র: ওই সময়টায় ডিফেন্স লাইন থেকে আমাদের অনেক সাপোর্ট করেছে এবং অনেক প্রেসার দিয়েছে। ডিফেন্স থেকে শুধু বলছিল, গোল করো, গোল করো। সত্যি বলতে খুব চাপ ছিল তখন।

খবরের কাগজ: পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের শুরুর দিকেই চোখের ওপর আঘাত পান। এর পরও ব্যান্ডেজ নিয়ে খেলে গেছেন এবং গোলও করেছেন। অবিশ্বাস্যই বলতে হবে। কীভাবে পারলেন এটা?

শামসুন্নাহার জুনিয়র: খেলার শুরুতেই ব্যথাটা পেয়েছি। আমার মনোবল ছিল, পারব। ফিজিও লাইজু আপু (লাইজু ইয়াসমীন) জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘তুমি কি পারবে?’ আমি বলেছিলাম, ‘আমার কোনো সমস্যা হচ্ছে না, আমি খেলব।’ আর টিমের সবাই আমাকে খুব সাপোর্ট করছিল। বলছিল, তুমি পারবে। আমি তো কিছুক্ষণ বাইরে ছিলাম, খেলা চলছিল। ফিজিও আপু ব্যান্ডেজ করে দেওয়ার পর আমি ওভাবেই মাঠে নেমেছি। পরে কিন্তু আমি হেডেই গোল করেছি।

খবরের কাগজ: দুই বছর আগের আসরে আপনি ফাইনালেও গোল করেছিলেন। এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই গোল পেয়েছেন। কিন্তু পরে চোট আপনার পিছু ছাড়েনি…

শামসুন্নাহার জুনিয়র: পাকিস্তান ম্যাচের শেষ দিকে আমি পায়েও অনেক ব্যথা পাই। অনেক বেশি আঘাত ছিল ওটা। যে কারণে আমি পরের দুই দিন অনুশীলন করিনি। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে ব্যান্ডেজ করে খেলতে নেমেছিলাম। কিন্তু কয়েক মিনিট খেলার পর থেকেই ব্যথা লাগছিল। মাঠেই আমি কান্না করে দিই। আসলে আমি আর পারতেছিলাম না। বলেছিলাম, আমাকে চেঞ্জ করে অন্য কাউকে নামাতে। কারণ শতভাগ দিতে পারছি না। দলের জন্য কিছু করতে পারছি না। খারাপ লাগছিল। মাঠের ভেতর ভেঙে পড়ি আমি। তবে মারিয়া আপু, সাবিনা আপু, শিউলী আপু ওনারা অনেক হেল্প করেছেন। বলেছেন, তুমি পারবে। প্রথমার্ধের আগে চেঞ্জ হলে তো বদলি নামানোর ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। তাই আমাকে সবাই বলছিল প্রথমার্ধটা অন্তত খেলো। পরে পায়ে ব্যথা নিয়ে প্রথমার্ধ পর্যন্ত খেলে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। তবে ওই ম্যাচের পর আমার ব্যথা আরও বেড়ে যায়। যে কারণে সেমিফাইনালে ভুটানের বিপক্ষে আমাকে অফ করা হয়, যেন ফাইনালে আমি খেলতে পারি।

খবরের কাগজ: ফাইনালে শেষ পর্যন্ত খেলেছেন। গোল না পেলেও আপনার পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো…

শামসুন্নাহার জুনিয়র: ফাইনালেও কিন্তু আমার পায়ে অনেক ব্যথা ছিল। ফিজিও আপু আমাকে অনেক সাপোর্ট করেছেন। ওনার ভরসায় আমি নেমেছিলাম মাঠে। এর পরও আমার মনে হয়েছে আমি হয়তো পুরোপুরি দিতে পারিনি। তবে সবাই বলেছে, তুই ভালো খেলেছিস। তুই তোর সর্বোচ্চটা দিয়েছিস। তবে সবাই খুশি থাকলেও আমি নিজে খুশি না। ব্যথাটা না থাকলে হয়তো আমি আরও ভালো করতে পারতাম।

খবরের কাগজ: তার মানে এবারের আসরে অভারঅল নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে খারাপ লাগা আছে আপনার?

শামসুন্নাহার জুনিয়র: হ্যাঁ, কিছুটা খারাপ লাগা আছে। আসলে শুরুর ম্যাচেই ব্যথা পেয়েছিলাম। তাই পুরোপুরি সেরে উঠতে পারিনি। দেশে এসে এক্স-রে করেছি। ফ্র্যাকচার হয়েছে। আমি আগেও এ রকম ব্যথা নিয়ে খেলেছি। আর খারাপ লাগার কথা যেটা বললেন, এটা তো আমার নিজের ব্যক্তিগত বিষয় বললাম। কিন্তু আমার দলীয় সাফল্যের কথা যদি বলি, আমার কোনো অতৃপ্তি নেই।

খবরের কাগজ: বাংলাদেশ দুবার সাফে চ্যাম্পিয়ন হলো। আপনি দুটি চ্যাম্পিয়ন দলেরই অংশ। দুটির মধ্যে আপনি কোনটিকে এগিয়ে রাখবেন?

শামসুন্নাহার জুনিয়র: প্রথমবার যখন চ্যাম্পিয়ন হই সেটা ছিল আলাদা ভালো লাগার। আমি সেবার প্রথমবার সিনিয়র সাফ খেলতে যাই। প্রথমবারই চ্যাম্পিয়ন হই। তাই সেটার আনন্দটা অন্য রকম ছিল। এবার আবার অন্য ধরনের চ্যালেঞ্জ ছিল। চ্যালেঞ্জ এ জন্য যে একবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, এবার যদি না হতে পারি, তাহলে সবাই ভাববে আমরা হয়তো হঠাৎ করে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছিলাম। এই দিক থেকে এবার অনেক চাপ ছিল। এর মধ্যে আবার প্রথম ম্যাচটা আমরা খারাপ করে ফেলি। সব মিলিয়ে দুটির অনুভূতি দুই ধরনের। একটির সঙ্গে আরেকটি মেলাব না।

খবরের কাগজ: চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফিরেছেন। এখন তো চারদিকে মাতামাতি। কিন্তু যেটা হয়, কিছুদিন পরেই আর কেউ খোঁজ রাখে না বা মনে রাখে না। কী বলবেন এ নিয়ে?

শামসুন্নাহার জুনিয়র: ভুলে যাবে তো, এটাই স্বাভাবিকই। আবার একবারে যে ভুলে যাবে, এমন তো না। অবশ্যই মনে রাখবে। যদি একেবারেই ভুলে যেত তাহলে তো আর এবার বলত না তোমরা দুবারের চ্যাম্পিয়ন। এখন যারা ভুলে যাওয়ার তারা ভুলে যাবে। আর আমরা পরের বারের জন্য প্রস্তুতি নেব। যদি লম্বা সময় আমাদের ক্যাম্পটা চলমান থাকে, তাহলে আশা করি আমরা দেশকে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়নশিপ দিতে পারব।

খবরের কাগজ: ২০২২ সালে আপনারা চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসার পর দেখা গেছে ৯ মাস আপনাদের আন্তর্জাতিক ম্যাচ ছিল না। এবার নিশ্চয়ই এমন কিছু চাইবেন না?

শামসুন্নাহার জুনিয়র: আমরা তো সবাই টানা ক্যাম্পের মধ্যে থাকি। নিজেরা নিজেরা প্র্যাকটিস করি। যদি আমাদের ফ্রেন্ডলি ম্যাচগুলো বেশি বেশি হয়, আমাদের থেকে শক্তিশালী দলের সঙ্গে যদি আমরা খেলতে পারি, তাহলে আমাদের উন্নতি করার সুযোগ আরও বাড়বে। বড় দলের সঙ্গে হারি বা জিতি, এটা বিষয় নয়। আমাদের অভিজ্ঞতা তো হবে। সেই সঙ্গে উন্নতিও হবে। নিজেদের ভুলগুলো আমরা বুঝতে পারব। তাই চাইব, এখন থেকে যেন ভালো ভালো দলের সঙ্গে খেলতে পারি আমরা। এখন দক্ষিণ এশিয়ার দলগুলোর সঙ্গে তো খেলিই। সামনে যেন এশিয়া বা এশিয়ার বাইরের বড় বড় দলের সঙ্গেও খেলতে পারি।

খবরের কাগজ: মাত্র ২০ বছর বয়স আপনার। এরই মধ্যে দু-দুটি সিনিয়র সাফজয়ী দলের অংশ আপনি। জুনিয়র পর্যায়েও অনেক ট্রফি জিতেছেন। নিজেকে নিয়ে আপনি কতটা খুশি?

শামসুন্নাহার জুনিয়র: ২০১৭ সালে আমি বয়সভিত্তিক জাতীয় দলে ঢুকি। আমি যতটুকু করতে পেরেছি, তাতে শুকরিয়া আল্লাহর কাছে। আমি নিজে অনেক সন্তুষ্ট। সামনে আরও ভালো কিছু করার চেষ্টা থাকবে।

খবরের কাগজ: কোথায় দেখতে চান নিজেকে?

শামসুন্নাহার জুনিয়র: আমার ইচ্ছা বিদেশের লিগে লেখার। আগে তো আমাদের দেশ থেকে একজন-দুজন করে বাইরের দেশে গিয়ে লিগ খেলত। আমারও ইচ্ছা, ওদের মতো খেলার। আমাদের এখানকার সব খেলোয়াড় যেন এ রকম সুযোগগুলো পায়, এটা চাই। এখন যে পরিমাণ খেলোয়াড় যাচ্ছে, এটা সামনে নিশ্চয়ই আরও বাড়বে।

১৯ দেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন ঢাকায়

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩০ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৫ পিএম
১৯ দেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন ঢাকায়
ছবি: সংগৃহীত

গুটি কয়েক ঘরোয়া প্রতিযোগিতা বাদে বাংলাদেশের ব্যাডমিন্টন আলোচনায় থাকে খুব কমই। সেই ব্যাডমিন্টনই এবার গড়তে যাচ্ছে দারুণ এক উদাহরণ। পাঁচ আগস্টের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ক্রিকেট-ফুটবল বাদে আর কোনো খেলার আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ঢাকায় আয়োজিত হয়নি। সেখানে ক্রিকেট-ফুটবলের পর ব্যাডমিন্টন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে যাচ্ছে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের কর্মকর্তারা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামরুল নাহার ডানা, টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর ও ফেডারেশনের নির্বাহী সদস্য তাপতুন নাসরীন।

আগামী ১৩ ডিসেম্বর থেকে ঢাকায় বসবে ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা। সিনিয়র ও জুনিয়র বিভাগ মিলিয়ে অংশ নেবে ১৯টি দেশ।

১৩ ডিসেম্বর শুরু হবে জুনিয়র বিভাগের প্রতিযোগিতা। এতে অংশ নেবে তিনটি দেশ। স্বাগতিক বাংলাদেশ বাদে অন্য দুই দেশ- ভারত ও ইন্দোনেশিয়া। মালদ্বীপ খেলার কথা থাকলেও তারা নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তবে সিনিয়র বিভাগে খেলবে তারা। 

এ ছাড়া ১৭ ডিসেম্বর শুরু হওয়া সিনিয়র বিভাগের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ছাড়াও খেলবে ১৮টি দেশ। বাংলাদেশ ছাড়াও ছেলেদের বিভাগে অংশ নিবে ভারত, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, কানাডা, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, জাপান, মালদ্বীপ, ইউক্রেন, ইতালি, ফিনল্যান্ড, বুলগেরিয়া, উগান্ডা, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর ও ইংল্যান্ডের শাটলাররা।

বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন জানিয়েছে, জুনিয়র বিভাগে ১১৪ জন ও সিনিয়র বিভাগে ২২৮ জন খেলোয়াড় অংশ নিবে বলে তারা প্রত্যাশা করছেন। এই প্রতিযোগিতার বাজেট ৭০ লাখ টাকা। জুনিয়র বিভাগে পাঁচ হাজার ডলার ও সিনিয়র বিভাগে ১৫ হাজার ডলার পুরস্কার থাকছে। ইউনেক্স গ্রুপ প্রধান পৃষ্ঠপোষক হলেও এতে আর্থিক সহায়তা করছে একমি ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

মেহেদী/এমএ/

এনসিএল টি-টোয়েন্টি চট্টগ্রামের বিপক্ষে রংপুরের সহজ জয়

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১১ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১২ পিএম
চট্টগ্রামের বিপক্ষে রংপুরের সহজ জয়
ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে ৫ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে রংপুর বিভাগ। 

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় রংপুরের অধিনায়ক আকবর আলী। আগে ব্যাটিং করে চট্টগ্রাম দাঁড় করে ১৩৩ রানের সংগ্রহ। যা ৫ উইকেট হাতে রেখেচ সহজেই টপকে গেছে রংপুর।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২২ রানে প্রথম উইকেট হারালেও ৫১ রানের জুটি গড়েন তানভির হায়দার ও নাইম ইসলাম। ১২ বলে ২৪ করে নাইম আউট হলে ৭৩ রানে ২ উইকেট হারায় রংপুর। ৩ রানের ব্যবধানে ১ রান করে আব্দুল্লাহ আল মামুনও ফিরে যান দলীয় ৭৫ রানে। ফলে ৩ উইকেট হারায় রংপুর। দলের হাল ধরে রাখা তানভির দলীয় ৯৮ রানে সর্বোচ্চ ৪১ করে আউট হলে ৯৮ রানে ৪ উইকেট হারায় আকবর আলীর দল।

পরের পথ এগোতে অবশ্য কষ্ট হয়নি রংপুরের। অধিনায়ক আকবর ২৫ রান করে আউট হলে ৫ম উইকেটের পতন ঘটে দলীয় ১২৪ রানে। তাতে অবশ্য কোনো সমস্যা হয়নি রংপুরের। আরিফুল ১৫ ও আলাউদ্দিন বাবু ১০ রানে অপরাজিত থেকে জয় আদায় করে নেয় ৫ উইকেট ও ১৯ বল হাতে রেখে।

এর আগে, রংপুর অধিনায়কের আমন্ত্রণে ব্যাট করতে নেমে প্রতিপক্ষের বোলারদের তোপে পড়ে চট্টগ্রাম। ৫৭ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। মাহমুদুল হাসান জয়, তামিম ইকবাল ও ইয়াসির আলী সাজঘরে ফেরেন ব্যর্থ হয়ে। তারা করেন যথাক্রমে ১৪, ১৩ ও ১৮ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন মুমিনুল হক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান আসে ইরফান শুক্কুরের ব্যাটে। সবমিলিয়ে ২০ ওভার ব্যাটিং করে ১৩২ রান পর্যন্ত করতে সমর্থ হয় চট্টগ্রাম ৯ উইকেট হারিয়ে। যা যথেষ্ট হয়নি জয় পেতে।

৪ ওভারে ৯ রান দিয়ে ২ উইকেট ও ব্যাট হাতে ১০ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরা হয়েছেন রংপুরের আলাউদ্দিন বাবু।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বায়ার্নের গোলউৎসবের দিনে পিএসজিরও জয়

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩১ পিএম
বায়ার্নের গোলউৎসবের দিনে পিএসজিরও জয়
ছবি : সংগৃহীত

ইউক্রেনের ক্লাব শাখতার দোনেৎস্ক শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল বায়ার্নের জালে গোল দিয়ে। কিন্তু পরবর্তীতে শাখতারের জালেই গোলউৎসব করেছে বায়র্ন মিউনিখ। জার্মান ক্লাবটি জয় পেয়েছে ৫-১ গোলের বড় ব্যবধানে। 

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে ঘরের মাঠে ৫ মিনিটেই গোল করে এগিয়ে যায় দোনেৎস্ক। স্বাগতিকদের হয়ে গোলটি করেন কেভিন। 

পিছিয়ে পড়ার ৬ মিনিট পর অবশ্য কানরাড লাইমারের গোলে ১-১ সমতায় ফেরে বায়ার্ন মিউনিখ। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে ৪৫ মিনিটে আরও একটি গোলের দেখা পায় জার্মান ক্লাবটি। ফলে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় মিউনিখ টমাস মুলারের গোলে।

দ্বিতীয়ার্ধে আরও শক্তিশালী হয়ে ফেরে বায়ার্ন মাইকেল অলিসির জোড়া গোলে। ৭০ ও ৯৩ মিনিটে গোল করেন তিনি। যার প্রথমটি ছিল পেনাল্টিতে। এই দুই গোলের মাঝে ৮৭ আরও একটি গোল করেন বায়ার্ন মিডফিল্ডার জামাল মুসিয়ালা। এতে ৫-১ গোলে জয় পায় জার্মান বুন্দেসলিগার ক্লাবটি।

টানা তিন জয়ে টেবিলের অষ্টম স্থানে উঠে গেছে বায়ার্ন। ৬ ম্যাচে ভিনসেন্ট কোম্পানির দলের পয়েন্ট ১২। 

সাল্জবুর্গ ০-৩ পিএসজি

রাতের আরেক ম্যাচে অস্ট্রিয়ান ক্লাব সালজবুর্গকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে পিএসজি। প্রথমার্ধে একটি ও দ্বিতীয়ার্ধে দুটি গোল করে ক্লাবটি।

প্রথমার্ধের ৩০ মিনিটে গঞ্জেলো রামোস প্রথম গোল করে এগিয়ে নেন পিএসজিকে। সেই গোলের পর প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না হলে পিএসজি ১-০ ব্যবধানে এগিয়েই শেষ করে প্রথমার্ধের খেলা। 

ম্যাচের ৭০ শতাংশ বল দখলে রেখেও দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় গোল পেতে অনেক সময় পার করতে হয় প্যারিসের ক্লাবটিকে। ৭২ মিনিটে নুনো মেন্ডিস দলের হয়ে দ্বিতীয় গোল করে ব্যবধান বাড়ান প্রতিপক্ষের সঙ্গে।

ম্যাচের শেষদিকে তৃতীয় গোলটি আসে ৮৫ মিনিটে। দেশায়ার দুয়ে করেন সেই গোলটি।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শুরু ভালো হয়নি পিএসজির। বুধবারের জয়ে প্লে-অফের সর্বশেষ জায়গা পেয়েছে লুইস এনরিকের দল। ৩৬ দলের প্রতিযোগিতায় শেষ ষোলোর আশা বাঁচিয়ে রাখতে অন্তত ২৪তম স্থানে থাকতে হবে পিএসজিকে। বর্তমানে ৬ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ২৪তম স্থানে আছে তারা।

এনসিএল টি-টোয়েন্টি শেষ বলের ছয়ে রোমাঞ্চকর জয় ঢাকা বিভাগের

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৭ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৭ পিএম
শেষ বলের ছয়ে রোমাঞ্চকর জয় ঢাকা বিভাগের
ছবি : সংগৃহীত

সিলেট ও ঢাকার লড়াইয়ে শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১২ রান। সিলেটের তোফায়েল আহমেদের করা ওভারটি থেকে ৫ বলে ৭ রান সংগ্রহ করে ঢাকা বিভাগ। শেষ বলে ৫ রানের কঠিন সমীকরণ ছক্কা মেরে মিলিয়ে রোমাঞ্চকর এক জয়ে ঢাকাকে শুভসূচনা এনে দেন শুভাগত হোম চৌধুরী।

দিনের উদ্বোধনী ম্যাচেই বয়ে গেছে চার-ছয়ের বৃষ্টি। সিলেটের ইনিংসে দাপুটে শতক হাঁকান তরুণ জিসান আলম। ১০ ছক্কায় ও ৪ চারে ৫২ বলে ১০০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তার ব্যাটেই ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছিল সিলেট।

এছাড়া মাহফুযুর রহমান রাব্বি করেন ১৭ বলে ৩০, ১৭ বলে ২৯ করেন তৌফিক খান তুষার। ২ উইকেট শিকার করেন নাজমুল ইসলাম অপু, ১টি করে উইকেট পেয়েছেন এনামুল হক ও তাইবুর রহমান।

সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একই রকম ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ঢাকার তরুণ ব্যাটার আরিফুল ইসলাম। অল্পের জন্য শতক হাতছাড়া করেন তিনি। তার ইনিংসটি ৪৬ বলে ৯৪ রানের। তবে তার ইনিংসে ভর করেই জয়ের ভিত পায় ঢাকা। 

ভিত পেলেও তাদের পেত্ব হয়েছে রোমাঞ্চকর জয়। শেষ ওভারের শেষ বলে ছয় হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন শুভাগত হোম। ৬ উইকেটের এই জয়ে দারুণভাবে আসর শুরু করল ঢাকা বিভাগ। 

সিলেটের হয়ে খালেদ আহমেদ, আবু জায়েদ রাহি ও রেজাউর রহমান রাজা পেয়েছেন ১টি করে উইকেট।

৪৬ বলে ৯৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ম্যাচসেরা হয়েছেন ঢাকার আরিফুল ইসলাম।

এনসিএল টি-টোয়েন্টি সিলেটে জিসানের ঝোড়ো শতক

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৫ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৬ পিএম
সিলেটে জিসানের ঝোড়ো শতক
ছবি : সংগৃহীত

আজ থেকে শুরু হওয়ার জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ম্যাচেই ঝোড়ো শতক হাঁকিয়েছে জিসান আলম। সিলেট ও ঢাকার ম্যাচে সিলেটের হয়ে ৫৩ বলে ১০ ছক্কায় করেছেন ১০০ রান। 

তার ইনিংসে ভর করেই সিলেট সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে ২০৫ রানের। ইনিংসের ১৫তম ওভারে ঢাকা বিভাগের অফ স্পিনার আরাফাত সানি জুনিয়রকে শেষ পাঁচ বলে পাঁচ ছয় হাঁকিয়েছেন। 

পুরো ইনিংসজুড়েই মাঠের চারপাশে চার-ছয়ের পসরা সাজিয়েছেন, নিখুঁত সব শটে। চারের চেয়ে বেশি তিনি ছক্কা হাঁকিয়েছেন এই দাপুটে ইনিংসে। ১০ ছয়ের বিপরীতে চার মেরেছেন মাত্র ৪টি। 

৫২ বলে ১০০ ছোঁয়া ব্যাটসম্যান মুখোমুখি হওয়ার পরের বলেই বোল্ড হয়ে যান। তবে তার ইনিংসটি হয়ে থাকলো বাংলাদেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টির অন্যতম সেরা ইনিংস। 

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });