ঢাকা ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
English

সাক্ষাৎকারে রুপনা চাকমা পেছনে থেকেই অনেক কিছু করতে চাই

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৬ এএম
আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৩ এএম
পেছনে থেকেই অনেক কিছু করতে চাই
ছবি : সংগৃহীত

সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে টানা দুই আসরে সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার জিতেছেন রুপনা চাকমা। দেশকে টানা দুবার চ্যাম্পিয়ন করা, সেই সঙ্গে নিজেকেও সেরার কাতারে রাখা রাঙামাটির এই পাহাড়িকন্যা খবরের কাগজের মুখোমুখি হয়ে নিজের সাফল্যসহ নানা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তোফায়েল আহমেদ

খবরের কাগজ: সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে টানা দুবার চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ। আর এই দুই আসরেই আপনি সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার পেয়েছেন। টানা দুইবার দক্ষিণ এশিয়ায় সেরা হয়ে কেমন লাগছে?

রুপনা: অনুভূতি তো অবশ্যই অনেক ভালো। দল হিসেবে আমরা দুই বার চ্যাম্পিয়ন, সঙ্গে আমি দুই বার সেরা গোলকিপার। খুবই ভালো লাগছে।

খবরের কাগজ: চ্যাম্পিয়ন হয়ে নেপাল থেকে দেশে ফেরার পর দিনগুলো কেমন কাটছে?

রুপনা: ভালোই যাচ্ছে…

খবরের কাগজ: আপনাকে কিন্তু অনেক কষ্টে পাওয়া গেল। কাঠমান্ডুতে তো সাক্ষাৎকার চাওয়ায় এক রকম দৌড়ে পালালেন…

রুপনা: (হাসি) আসলে কি, আমি বেশি কথা বলতে পছন্দ করি না। সে জন্য আমি চলে যাই। খেলার সময় আমাকে সতীর্থরা বলে, রুপনা সামনে যাও না কেন? আমি বলি, আমি গোলকিপার, আমি তো সব সময় পেছনেই থাকব। আমার পেছনে থাকাটাই দরকার। সামনে গেলে হবে না। তাই আমি সব সময় পেছনেই থাকতে চাই। পেছনে থেকে অনেক কিছু করতে চাই।

খবরের কাগজ: পোস্টে আপনি থাকলে দল তো বড় ভরসা পায়। এটা নিশ্চয়ই চাপের। চাপটা সামলান কীভাবে?

রুপনা: এখানে আসলে আমার টিমমেটরা আমাকে অনেক সাপোর্ট করে। সবাই বলে, রুপনা তুই যদি ভালো খেলিস, তাহলে আমরা সবাই ভালো খেলব। তুই তো সবই জানিস, সবকিছু বুঝিস। অনেক আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিস। এখন তুই যদি একটা সেভ দিস, তাহলে দলের সবাই ভালো করবে।

খবরের কাগজ: এই যে এত শক্তিশালী আক্রমণভাগের বিপক্ষে খেলেন, ভয় কাজ করে না?

রুপনা: একটু তো ভয় করেই। ভয় সবারই হয়। যখন আপনি ফাইনালে যাবেন, ফাইনালে গিয়ে কীভাবে খেলবেন, টেনশন তো একটু থাকবেই। এবার নেপালের বিপক্ষে ফাইনালের আগে আমি খুব টেনশনে ছিলাম। রাতে ঘুমাতে পারছিলাম না। কীভাবে খেলব, কীভাবে দলকে জিতাব, এসব মনের মধ্যে কাজ করছিল। ম্যাচের আগের দিন রাতে ডিনারে ঠিকমতো খেতে পারছিলাম না। সাবিনা আপুকে বলেছি, আমার না অনেক ভয় করছে, যে কীভাবে খেলব। তখন আপু বলেছে, রুপনা তুমি কেন চিন্তা করছ? তুমি শুধু বারে দাঁড়াও, একটা ভালো সেভ দাও, অবশ্যই আমরা ভালো খেলব। এ রকম করে অনেক সাহস দিয়েছে।

খবরের কাগজ: গতবার সেরা গোলরক্ষক হয়েছিলেন। এবারও সেরা হলেন। নিজের পারফরম্যান্স ধরে রাখা কতটা চ্যালেঞ্জের ছিল?

রুপনা: কঠোর পরিশ্রমই এখানে আসল। ২০২২ সালে যখন আমি প্রথম সেরা গোলকিপার হই, তখনই বলেছিলাম যদি আমি আমার খেলাটা ধরে রাখতে পারি, তাহলে অবশ্যই সামনে আরও ভালো জায়গায় যেতে পারব। আমি আমার খেলাটা ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। সামনে এভাবেই এগিয়ে যেতে চাই। আমার খেলা যদি ভালো থাকে, অবশ্যই আমি পারব।

খবরের কাগজ: নিজেকে ধরে রাখার জন্য এবং আরও উন্নতি করার জন্য আপনি কী কী করেন?

রুপনা: এখানে আমার কোচ মাসুদ আহমেদ উজ্জ্বল স্যারের কথা আগে বলব। আমি দুবার সেরা গোলরক্ষক হলাম। দুবারই কিন্তু স্যার আমাদের গোলকিপার কোচ ছিলেন। উজ্জ্বল স্যার আমাকে অনেক হেল্প করেন। আমি খেলার সময় স্যারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘স্যার আমি কি সেরা গোলকিপার হতে পারব, নাকি পারব না?’ স্যার বলেছিলেন, ‘তুমি নিজের ওপর বিশ্বাস রাখ। আর আমার ওপর বিশ্বাস কর। অবশ্যই তুমি পারবা।’ আমি উজ্জ্বল স্যারের সঙ্গে আমার খেলার সবকিছু শেয়ার করি। যখনই খেলা হয়, কীভাবে খেললে ভালো হবে, এগুলো নিয়ে কথা হয়।

খবরের কাগজ: তার মানে এবারের সাফে যাওয়ার আগেই সেরা গোলরক্ষক হওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছিলেন?

রুপনা: হ্যাঁ, এবারও লক্ষ্য ছিল এবং ওভাবে প্র্যাকটিস করেই গেছি।

খবরের কাগজ: আগেরবারও এরকম লক্ষ্য ছিল?

রুপনা: আগেরবার নিজে জানতাম না যে, আমি সেরা হতে যাচ্ছি। এবারও কিন্তু একই রকম হয়েছে। খেলা শেষে মাইকে যখন নাম বলছিল, তখন চিন্তা করছিলাম, আমি হব, কি হব না? নেপালের গোলরক্ষকও তো অনেক ভালো খেলেছেন। ভালো ভালো সেভ দিয়েছেন। আমিও দিয়েছি। তবে আসলেই কি হব, এমন চিন্তা করছিলাম। আমার সতীর্থরা অবশ্য আমার নাম ধরে চিৎকার করছিল। পুরস্কার অনুষ্ঠানে যখন আমার নাম ঘোষণা হলো, তখন একটু রিল্যাক্স হয়ে গেলাম। এর আগে পর্যন্ত খুব টেনশনে ছিলাম, আমাকে ডাকবে কি ডাকবে না।

খবরের কাগজ: আরেকটু বিস্তারিত বলুন। বিশেষ করে ওই মুহূর্তটার কথা?

রুপনা: ওই মুহূর্তটা আমি আপনাকে বোঝাতে পারব না। কতটা যে খুশি হয়েছি আমি…

খবরের কাগজ: আপনার উঠে আসাটা অনেক সংগ্রামের। খেলোয়াড়ি জীবনেও অনেক বাধা পাড়ি দিতে হয়েছে। একটা সময় তো আপনার উচ্চতা নিয়েও অনেক প্রশ্ন উঠত। এই সীমাবদ্ধতা জয় করে এগিয়ে চলার গল্পটা জানতে চাই।

রুপনা: একটা কথা কি ভাইয়া, উচ্চতা দেখে কিছু হয় না। সবকিছু নিজের ওপরে। আপনারাই দেখেন- লম্বা মানুষ কী করে, আর খাটো মানুষ কী করে। মানুষ অনেক কিছুই ভাবে, তবে মেনে নিতে হয়। সবকিছু তো আর পাওয়া যায় না।

খবরের কাগজ: এগুলো নিয়ে যখন সমালোচনা হতো, তখন কি কষ্ট লাগত?

রুপনা: আমার কোনো কষ্ট লাগত না। আমি বলি, আমি খাটো হয়েছি কী হয়েছে? আমি অনেক কিছু করতে পারব। আমার বরং ভালো লাগত। মানুষ তো বলবেই। খারাপ লাগার কী আছে। আমাকে সৃষ্টিকর্তা যেটা দিয়েছে, এটা তো মেনে নিতে হবে। আমার ওদের (সমালোচক) সঙ্গে রাগ করার তো কোনো কারণ নেই।

খবরের কাগজ: মা কতটা খুশি আপনার সাফল্যে?

রুপনা: আমি ফাইনালের আগের দিন ফোন জমা দেওয়ার আগে মার সঙ্গে কথা বলি। মাকে বলেছি, কালকে আমাদের ফাইনাল, আমার জন্য দোয়া কইরো যেন আমরা ভালো খেলতে পারি এবং চ্যাম্পিয়ন হতে পারি। আমার মা বলেছে, ‘তুমি যদি ভালো খেলো, অবশ্যই জিতবে। আমি সব সময় তোমার জন্য দোয়া করি, এবারও যেন চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসতে পার’ এরকম বলেছে। ফাইনাল শেষে যখন ফোন দিয়ে বলেছি, আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি ও আমি সেরা গোলরক্ষক হয়েছি, তখন মা অনেক খুশি হয়েছে।

খবরের কাগজ: এখন মা নিশ্চয়ই অপেক্ষায় আছেন কবে বাড়ি যাবেন?

রুপনা: হ্যাঁ। মা অপেক্ষা করে আছেন। বলেছি, এখন তো পারছি না। কয়েকটা দিন দেরি হবে।

খবরের কাগজ: আপনারা দুইবার চ্যাম্পিয়ন হলেন। আপনি দুইবার সেরা গোলরক্ষক। সরকারের কাছে কি চাওয়া আপনার?

রুপনা: সরকারের কাছে চাইব, রাঙামাটিতে আমাদের বাড়িতে যাওয়ার যে রাস্তাটা, সেটা যেন ভালোভাবে করে দেন। এ ছাড়া ঢাকায় যখন আমাদের খেলা হয়, তখন পরিবারের সদস্যরা খেলা দেখতে ঢাকায় আসেন। কিন্তু ঢাকায় তাদের কোনো থাকার জায়গা থাকে না। ঢাকাতে যদি কোনো ফ্ল্যাটের ব্যবস্থা করা হয় আমাদের জন্য, তাহলে খুব উপকার হয়। 

খবরের কাগজ: মাত্র ২০ বছর বয়স আপনার। এর মধ্যেই সাফে দুইবার সেরা গোলরক্ষক হলেন। সামনে নিজেকে নিয়ে স্বপ্ন কী?

রুপনা: আমি বাইরের দেশের লিগে খেলতে চাই। এই মুহূর্তে এটা একটা বড় চাওয়া।

খবরের কাগজ: এখন তো অনেকে রুপনার মতো গোলকিপার হতে চায়। তাদের জন্য কী বলবেন?

রুপনা: সবার জন্যই শুভকামনা থাকবে আমার। যেন আমার মতোই ভালো খেলতে পারে, সেরা গোলকিপার হয়ে আসতে পারে। আমার সঙ্গে জুনিয়র যারা আছে, তাদের জন্যও আমার শুভকামনা।

এবার মনিটরিং কমিটিই ভেঙে দিল বাফুফে!

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০২ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২১ পিএম
এবার মনিটরিং কমিটিই ভেঙে দিল বাফুফে!
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)

হঠাৎ করেই ২৯টি জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কমিটি বিলুপ্ত করে দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। 

গত বুধবার (১১ ডিসেম্বর) নির্বাহী কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয় তাবিথ আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিটি। এ নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

বাফুফে থেকে বলা হয়েছিল, তাদের দ্বারা গঠিত ‘ডিএফএ মনিটনিং কমিটি’র সুপারিশের ভিত্তিতে এই কমিটিগুলো ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

মনিটরিং কমিটি নাকি এই ডিএফএগুলোর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে- এক মাসও হয়নি বাফুফের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে এই কমিটিগুলোর দ্বারা নির্ধারিত কাউন্সিলররা ভোটও দিয়েছেন।

তখন সব ঠিক থাকলেও নির্বাচন শেষ হতেই কমিটিগুলো ভেঙে দেওয়া ভিন্ন কিছুই ইঙ্গিত দেয়।

এ সব নিয়ে যখন আলোচনা-সমালোচনা চলছে, তখন জানা যাচ্ছে আরও এক মজার তথ্য। যে মনিটরিং কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে কমিটিগুলো বিলুপ্ত করা হয়েছিল, এবার সেই মনিটরিং কমিটিই নাকি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

যদিও বাফুফের সেই মনিটরিং কমিটি ছিল মাত্র এক সদস্যের। অর্থাৎ এটিকে ঠিক কমিটি বলারও উপায় নেই। এই মনিটরিং কমিটির দায়িত্বে ছিলেন রাজবাড়ী ডিএফএর এবিএম মঞ্জুরুল আলম দুলাল।

উল্লেখ্য, বাফুফে কোন কোন ডিএফএর কমিটি বিলুপ্ত করেছে, তার কোনো তালিকাও এখন পর্যন্ত প্রকাশ করেনি। সবকিছুতেই যেন এক লুকোচুরি খেলায় মেতেছে সংস্থাটি।

নাবিল/এমএ/

এনসিএল টি-টোয়েন্টি তামিমের ব্যাটে চট্টগ্রামের জয়

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৪ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৫ পিএম
তামিমের ব্যাটে চট্টগ্রামের জয়
ছবি : সংগৃহীত

আগের ম্যাচে চট্টগ্রাম হেরেছিল ৫ উইকেটে। ৭ মাস পর মাঠের ক্রিকেটে ফিরে তামিম ইকবালের ব্যাটে এসেছিল মাত্র ১৩ রান। তবে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই দাপুটে ইনিংস খেললেন তামিম। ৩৩ বলে করেছেন ৬৫ রানের ঝোড়ো এক ইনিংস। তার ব্যাটে ভর করেই ১২ রানের জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ ১২ রানে সিলেটের বিপক্ষে।

৮ চার ও  ৩ ছক্কায় তার এই ইনিংসটি সাজানো ছিল। প্রথম ম্যাচে ১৩ রানে আউট হওয়ার পর এই ইনিংসটি তার জন্য স্বস্তির। একইভাবে ম্যাচটি স্বস্তির তার দলের জন্যেও। 

কুয়াশার কারণে সকালবেলার ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ের চেয়েও দেরিতে শুরু হওয়ায় ১৫ ওভারে হয় ম্যাচটি। যেখানে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট খরচায় ১৪৫ রানের পুঁজি পায় চট্টগ্রাম। 

যার জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৪.২ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে সিলেট তুলতে পেরেছে ১৩৩ রান। সিলেটের হয়ে তৌফিক খান তুষার ৩৬ বলে ৭৬ রান করেও ঠেকাতে পারেননি পরাজয়।

চট্টগ্রামের বোলারদের মধ্যে নাঈম হাসান ও হাসান মুরাদের শিকার ৩টি করে উইকেট। ৩৩ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন চট্টগ্রামের তামিম ইকবাল।

এনসিএল টি-টোয়েন্টি রান আউটের হ্যাটট্রিকে ১ রানের জয় খুলনার

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৩ পিএম
রান আউটের হ্যাটট্রিকে ১ রানের জয় খুলনার
ছবি : সংগৃহীত

বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারেনি খুলনা বিভাগ। ১৩০ রানের সংগ্রহেও শেষ তিন বলে রান আউটের হ্যাটট্রিকে জয় পেয়েছে নুরুল হাসান সোহানের দল ১ রানে। শেষ ৩ বলে বরিশাল বিভাগের যখন ২ রান দরকার, তখন টানা ৩ ব্যাটারকে রানআউট করে নাটকীয়ভাবে ম্যাচ জিতে নিয়েছে খুলনা।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান তোলে খুলনা বিভাগ। 

দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রান আসে ওপেনার এনামুল হক বিজয়ের ব্যাট থেকে। ১৭ রানা সে জিয়াউর রহমানের ব্যাট থেকে।

ছোট লক্ষ্য জবাব দিতে নেমে ওপেনার আব্দুল মজিদ দলের হাল ধরেন ব্যাটিং ধসে। একের পর এক ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে তার ৫১ রানই দলের সর্বোচ্চ। তিনি যখন আউট হন তখন ১১৩ রানে ৬ উইকেট হারায় বরিশাল ১৮.২ ওভারে। 

মাঝে মঈন খান ২৭ বলে ৪৩ রানের ইনিংসেও এগোচ্ছিল দলটি। তবে তিনি স্ট্রাইক না পাওয়ায় ও শেষ ওভারের ৩ বলে রান আউটের হ্যাটট্রিকের নাটকীয়তায় হারতে হয়েছে ১ রানে।

শেষ বরিশালের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৯ রান। প্রথম তিন বলে ৭ রান চলে আসে। যার মধ্যে প্রথম বলে লেগ বাই, দ্বিতীয় বলে মঈন খান সিঙ্গেল নেন। তৃতীয় বলে চার মারেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। 

কিন্তু শেষ তিন বলে রাব্বি, তানভির ও রুয়েল রান আউট হলে জয়ের একেবারে কাছে গিয়েও আর জেতা হয়নি বরিশালের। সোহানের দারুণ এক থ্রোতে শেষ বলে নন স্ট্রাইক প্রান্তে রান আউট করেন সোহান। মাঝে একটি বল ওয়াইড হলে শেষ বলে জিততে ২ ও টাই করতে ১ রান দরকার ছিল বরিশালের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জেতা হয়নি বরিশালের। 

খুলনার মেহেদী রানা ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা।

ঢাকায় প্রদর্শিত হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৫ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৬ পিএম
ঢাকায় প্রদর্শিত হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
ছবি : খবরের কাগজ।

২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন কোন পদ্ধতিতে হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে টুর্নামেন্টটির ট্রফি ঘুরে বেড়াচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ট্রফি ট্যুরের অংশ হিসেবে আজ তৃতীয় দিনের মতো বাংলাদেশ অবস্থান করছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। 

গতকাল বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে প্রদর্শনের পর আজ সকাল ১১টা থেকে ঢাকায় বসুন্ধরা সিটি শপিংমলে রাখা হয়েছে ভক্তদের জন্য। ট্রফিটি সেখানে রাখা হবে রাত ৮টা পর্যন্ত।

ফুটবল কিংবা ক্রিকেট, যেকোনো বিশ্বকাপের ট্রফি ট্যুরের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে এলেই ক্রীড়ামোদিদের আগ্রহ থাকে সেই ট্রফিকে কেন্দ্র করে। সবশেষ ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ট্রফিও ভ্রমণ করে গিয়েছিল বাংলাদেশে।

তবে সেবারের তুলনায় এবার ভক্তদের আনাগোনা অনেকটাই কম। আগেরবারের মতো ভক্তদের জন্য চারটি লাইন করা হলেও উপস্থিতির সংখ্যা বেশ কম নজরে এসেছে। গেল বার উপস্থিতির সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি ছিল এবারের চেয়ে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাম্প্রতিক অফ ফর্ম অন্যতম কারণ হতে পারে ভক্ত ও সমর্থকদের আগ্রহ কমে যাওয়ার পেছনে। 

আগামীকাল ট্রফিটির শেষদিন বাংলাদেশে। রাখা হবে হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে। সেখানে ক্রিকেটার, মিডিয়া, অফিসিয়ালদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে ট্রফিটি। সেখান থেকে রাতেই ট্রফিটি ঢাকা ছাড়বে।

ফের নতুন রেকর্ড গড়ে মাবিয়া বললেন, ‘সময়টা ভালো যাচ্ছে’

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১২ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৩ পিএম
ফের নতুন রেকর্ড গড়ে মাবিয়া বললেন, ‘সময়টা ভালো যাচ্ছে’
ছবি : সংগৃহীত

গত মাসের শেষ দিকে আন্তঃসার্ভিস ভারোত্তলন প্রতিযোগিতায় তিনটি নতুন জাতীয় রেকর্ডসহ স্বর্ণ জিতেছিলেন মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। ১৭ দিনের ব্যবধানে নিজের সেই পারফরম্যান্সকে আরও ওপরে নিয়ে গেলেন তিনি। নিজের গড়া রেকর্ডটাই ভেঙে গড়লেন নতুন জাতীয় রেকর্ড। সেটাও আন্তর্জাতিক মঞ্চে।

বাহরাইনের মানামায় চলছে আইডব্লিউএফ ওয়ার্ল্ড ভারোত্তলন চ্যাম্পিয়নশিপ। এই প্রতিযোগিতায় ৭১ কেজি ওজন শ্রেণিতে অংশ নিয়েছেন মাবিয়া। গতকাল বুধবার ‘সি’ গ্রুপে থাকা মাবিয়া স্ন্যাচে ৮৮ কেজি ও ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১১৪ কেজি ওজন তুলেছেন। সব মিলিয়ে তুলেছেন ২০২ কেজি ওজন। তিনটিই নতুন জাতীয় রেকর্ড।

নভেম্বরে অনুষ্ঠিত আন্তঃসার্ভিসে ৭১ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্ন্যাচে ৮৫, ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১১১ কেজিসহ সবমিলিয়ে ১৯৬ কেজি ওজন তোলেন মাবিয়া। তখনও তিনটিতেই হয়েছিল নতুন জাতীয় রেকর্ড। সে সময় ৮ মাস আগে নিজের গড়া রেকর্ডটাই ভেঙেছিলেন তিনি।

এভাবে নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙে চলেছেন মাবিয়া। অর্থাৎ প্রতিনিয়ত নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। পারফরম্যান্সের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী রাখতে পারায় দারুণ খুশি টানা দুই এসএ গেমসে দেশকে স্বর্ণ উপহার দেওয়া এই ভারোত্তোলক।

নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়ার পর বাহরাইন থেকে খবরের কাগজকে মাবিয়া বলেন, ‘মনে হয় সময়টা ভালো যাচ্ছে। সবার ভাবনার বাইরে লিফট (ওজন তোলা) করতে পারছি, নতুন রেকর্ড গড়তে পারছি, অনুভূতিটা প্রকাশ করার মতো না।’

মাবিয়া তার গ্রুপে ১০ জনের মধ্যে যৌথভাবে চতুর্থ সর্বোচ্চ ওজন তুলেছেন। যদিও নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েছেন, তবে অন্য দেশের প্রতিযোগীদের থেকে বেশ পেছনেই তার অবস্থান। নিজের ওজন শ্রেণিতে ২৬ জনের মধ্যে হয়েছেন ২১তম। 

এই ইভেন্টে সেরা হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের অলিভিয়া রিভস। স্ন্যাচে ১২০, ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১৪৭ কেজি ওজন তুলেছেন তিনি। ‍দুটি মিলিয়ে তুলেছেন ২৬৭ কেজি ওজন।

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });