ঢাকা ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
English
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মরুর বুকে ফুল ফুটানোর অপেক্ষায় নাজমুলরা

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৬ এএম
মরুর বুকে ফুল ফুটানোর অপেক্ষায় নাজমুলরা
ছবি : সংগৃহীত

টেস্ট পরিবারের সদস্য হওয়ার পর খুব সম্ভবত এবারই প্রথম বাংলাদেশ দল কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে গিয়েছে, যা নিয়ে দেশবাসীর খুব একটা আগ্রহ নেই। তা যেমন দেশ ছাড়ার আগে-পরে, তেমনি আজকের প্রথম ম্যাচকে সামনে রেখেও। মরুর বুকে শারজাহতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আজ শুরু হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায়।

ক্রিকেট দলের প্রতি এ রকম অনাগ্রহের কারণ অব্যাহত ব্যর্থতার পাশাপাশি নারী ফুটবলে দলের অভূতপূর্ব সাফল্য। পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে দুই টেস্টের সিরিজে ধবলধোলাই করার পর বাংলাদেশ দলকে নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের আগ্রহ অতীতের তুলনায় বেড়ে আকাশচুম্বি হয়ে উঠেছিল। কিন্তু তা মুহূতেই মিলিয়ে যেতে সময় লাগেনি।

পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করার পর ভারত সফরে এবং ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বাংলাদেশ দল খুবই বাজেভাবে নাজেহাল হয়ে হার মানে। ন্যূনতম কোনো রকম প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়ে তুলতে পারেনি। বাংলাদেশ দল এতটাই বাজে খেলেছে যে কানপুর টেস্টে আড়াই দিনেরও বেশি সময় বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পরও সেই টেস্ট বাংলাদেশ দল বাঁচাতে পারেনি। ভারত এমন খেলা খেলেছে যে, দেখে মনে হবে তাদের হাতে রিমোট কন্ট্রোল যেভাবে চাচ্ছে, সেভাবেই হচ্ছে। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে টানা বাজেহার ক্রিকেটপ্রেমীদের যারপরনাই হতাশ করে। দলীয় ব্যর্থতার পাশাপাশি অধিনায়ক নাজমুলও রান খরায় ভুগতে থাকায় অধিনায়কত্ব ছাড়ারও সিদ্ধান্ত নেন। পরে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের হস্তক্ষেপে তিনি তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। 

ক্রিকেট দলের এ রকম ব্যর্থতার মাঝেই সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের মেয়েরা শিরোপা অক্ষুণ্ন রেখে দেশবাসীকে উল্লাসে ভাসার উপলক্ষ তৈরি করে দেয়। প্রধান উপদেষ্টা পর্যন্ত তাদের সংবর্ধনা দেন। এখনো চলছে মেয়েদের সাফল্যের সেই স্রোত। এরই মাঝে আবার নাজমুল হোসেন শান্ত তার বাহিনী নিয়ে খেলতে নামছেন ওয়ানডে ম্যাচ। যেখানে নেই তাদের প্রতি সে রকম কোনো প্রত্যাশা। সবার ভাবনা এমন যে সাফল্য আসলে ভালো, না আসলে নতুন আর কি?

তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ধারাবাহিক ওয়ানডে ক্রিকেটে। আফগানিস্তানের বিপক্ষেও পরিসংখ্যান ভালো। ১৬ বারের মোকাবিলায় বাংলাদেশের জয় ১০টিতে। বাকি ৬টিতে জয় আফগানিস্তানের। আবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ তিনবারের মোকাবিলাতে বাংলাদেশেই জিতেছে সব কটিতেই। এমনকি বাংলাদেশ সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেখানেও বাংলাদেশ জয় ছিল ৪ উইকেটে। সব মিলিয়ে যায় আজকে মাঠে নামার আগে সব কিছুই বাংলাদেশের অনকূলে। কিন্তু যখনই টেস্ট ক্রিকেটের সাম্প্রতিক ব্যর্থতা সামনে চলে আসে, তখনই সব কিছু উধাও হয়ে যায়। সামনে চলে আসে শুধুই অন্ধকার। যে অন্ধকার ভেদ করে আলো জ্বালানো নাজমুল হোসেন শান্ত বাহিনীর জন্য অনেক কঠিনই।

এই কঠিন আরও কঠিনতর হয়ে উঠছে আফগানদের সাম্প্রতিক সাফল্য। এই শারজাহ হতেই তারা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজি জিতেছে ২-১ ব্যবধানে। যেখানে তারা প্রথম দুই ম্যাচ জিতেই সিরিজ নিশ্চিত করেছিল। শারজাহ এখন আফগানিস্তানের হোম গ্রাউন্ড। ব্যাটে-বলে তারা ব্যালেন্সড। বোলিংয়ে একদিকে যেমন আছেন রশিদ খান, ফজলহক ফারুকী, নুর আহমেদ, মোহাম্মদ নবী, গজনফর, নানগেইয়ালি খারুতি, তেমনি ব্যাটিংয়ে ভরসার নাম রহমতউল্লাহ গুরবাজ, গুলবাদিন নাইব, রহমত শাহ, হাসমতউল্লাহ শহিদী, আজমতউল্লাহ ওমরজাই।

এই শারজাহ আবার বাংলাদেশ দলের জন্য অচেনা! কারণ সর্বশেষ তারা এই স্টেডিয়ামে ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিল ১৯৯৫ সালে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে। হেরেছিল ৬ উইকেটে। সময়ের হিসাবে ২৯ বছর। বর্তমান দলের অনেকেরই সে সময় জন্ম হয়নি। অবশ্য ওয়ানডে ম্যাচ না খেললেও এই সময়ে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ দল। যদিও সেখানে নেই কোনো জয়। সর্বশেষ ম্যাচ খেলতে নেমে হেরেছিল আবার এই আফগানিস্তানের কাছেই ২০২২ সালে এশিয়া কাপে ৭ উইকেটে। যে কারণে আজকের ম্যাচ হবে বাংলাদেশের পায়ের নিচের মাটি খুঁজে পাওয়ার মতো। 

২৯ বছর পর শারজাহ বাংলাদেশ খেলতে নামছে একটি মাইলফলককে সামনে রেখে। আজকের ম্যাচ শারজাহ স্টেডিয়ামের ৩০০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে জয়হীন থাকা বাংলাদেশ দলের সামনে তাই মাইলফলকের ম্যাচকে জয় দিয়ে স্মরণীয় করে রাখার বিরল সুযোগ। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর পথে বাংলাদেশ দল কিন্তু মাঠে নামার আগেই বিরাট এক হোঁচট খেয়েছে। কারণ ভিসা সমস্যার কারণে ১৫ জনের দলের দুজন নাসুম আহমেদ ও নাহিদ রানা এখনো যেতে পারেননি। যে কারণ ১৩ জনের দল থেকেই সাঝাতে হবে একাদশ। এই ১৩ জনের দলের ১০ জনই খেলেছেন সর্বশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেই দলের নেই শুধু এনামুল হক বিজয়। বাকি ১০ জন হলেন তানজিদ তামিম (সৌম্য সরকারে কানকাসন সাব হিসেবে খেলেছিলেন), নাজমুল, তাওহিদ, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক, মিরাজ রিশাদ, তাসকিন, শরিফুল, মোস্তাফিজ। এই ১০ জনকে খেলালে, সেখানে শুধু ঢুকবেন জাকির, সৌম্য কিংবা জাকের আলীর মাঝে যে কোনো একজন। আবার একাধিকও হতে পারে।

এনসিএল টি-টোয়েন্টি তামিমের ব্যাটে চট্টগ্রামের জয়

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৪ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৫ পিএম
তামিমের ব্যাটে চট্টগ্রামের জয়
ছবি : সংগৃহীত

আগের ম্যাচে চট্টগ্রাম হেরেছিল ৫ উইকেটে। ৭ মাস পর মাঠের ক্রিকেটে ফিরে তামিম ইকবালের ব্যাটে এসেছিল মাত্র ১৩ রান। তবে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই দাপুটে ইনিংস খেললেন তামিম। ৩৩ বলে করেছেন ৬৫ রানের ঝোড়ো এক ইনিংস। তার ব্যাটে ভর করেই ১২ রানের জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ ১২ রানে সিলেটের বিপক্ষে।

৮ চার ও  ৩ ছক্কায় তার এই ইনিংসটি সাজানো ছিল। প্রথম ম্যাচে ১৩ রানে আউট হওয়ার পর এই ইনিংসটি তার জন্য স্বস্তির। একইভাবে ম্যাচটি স্বস্তির তার দলের জন্যেও। 

কুয়াশার কারণে সকালবেলার ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ের চেয়েও দেরিতে শুরু হওয়ায় ১৫ ওভারে হয় ম্যাচটি। যেখানে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট খরচায় ১৪৫ রানের পুঁজি পায় চট্টগ্রাম। 

যার জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৪.২ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে সিলেট তুলতে পেরেছে ১৩৩ রান। সিলেটের হয়ে তৌফিক খান তুষার ৩৬ বলে ৭৬ রান করেও ঠেকাতে পারেননি পরাজয়।

চট্টগ্রামের বোলারদের মধ্যে নাঈম হাসান ও হাসান মুরাদের শিকার ৩টি করে উইকেট। ৩৩ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন চট্টগ্রামের তামিম ইকবাল।

এনসিএল টি-টোয়েন্টি রান আউটের হ্যাটট্রিকে ১ রানের জয় খুলনার

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৩ পিএম
রান আউটের হ্যাটট্রিকে ১ রানের জয় খুলনার
ছবি : সংগৃহীত

বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারেনি খুলনা বিভাগ। ১৩০ রানের সংগ্রহেও শেষ তিন বলে রান আউটের হ্যাটট্রিকে জয় পেয়েছে নুরুল হাসান সোহানের দল ১ রানে। শেষ ৩ বলে বরিশাল বিভাগের যখন ২ রান দরকার, তখন টানা ৩ ব্যাটারকে রানআউট করে নাটকীয়ভাবে ম্যাচ জিতে নিয়েছে খুলনা।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান তোলে খুলনা বিভাগ। 

দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রান আসে ওপেনার এনামুল হক বিজয়ের ব্যাট থেকে। ১৭ রানা সে জিয়াউর রহমানের ব্যাট থেকে।

ছোট লক্ষ্য জবাব দিতে নেমে ওপেনার আব্দুল মজিদ দলের হাল ধরেন ব্যাটিং ধসে। একের পর এক ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে তার ৫১ রানই দলের সর্বোচ্চ। তিনি যখন আউট হন তখন ১১৩ রানে ৬ উইকেট হারায় বরিশাল ১৮.২ ওভারে। 

মাঝে মঈন খান ২৭ বলে ৪৩ রানের ইনিংসেও এগোচ্ছিল দলটি। তবে তিনি স্ট্রাইক না পাওয়ায় ও শেষ ওভারের ৩ বলে রান আউটের হ্যাটট্রিকের নাটকীয়তায় হারতে হয়েছে ১ রানে।

শেষ বরিশালের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৯ রান। প্রথম তিন বলে ৭ রান চলে আসে। যার মধ্যে প্রথম বলে লেগ বাই, দ্বিতীয় বলে মঈন খান সিঙ্গেল নেন। তৃতীয় বলে চার মারেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। 

কিন্তু শেষ তিন বলে রাব্বি, তানভির ও রুয়েল রান আউট হলে জয়ের একেবারে কাছে গিয়েও আর জেতা হয়নি বরিশালের। সোহানের দারুণ এক থ্রোতে শেষ বলে নন স্ট্রাইক প্রান্তে রান আউট করেন সোহান। মাঝে একটি বল ওয়াইড হলে শেষ বলে জিততে ২ ও টাই করতে ১ রান দরকার ছিল বরিশালের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জেতা হয়নি বরিশালের। 

খুলনার মেহেদী রানা ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা।

ঢাকায় প্রদর্শিত হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৫ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৬ পিএম
ঢাকায় প্রদর্শিত হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
ছবি : খবরের কাগজ।

২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন কোন পদ্ধতিতে হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে টুর্নামেন্টটির ট্রফি ঘুরে বেড়াচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ট্রফি ট্যুরের অংশ হিসেবে আজ তৃতীয় দিনের মতো বাংলাদেশ অবস্থান করছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। 

গতকাল বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে প্রদর্শনের পর আজ সকাল ১১টা থেকে ঢাকায় বসুন্ধরা সিটি শপিংমলে রাখা হয়েছে ভক্তদের জন্য। ট্রফিটি সেখানে রাখা হবে রাত ৮টা পর্যন্ত।

ফুটবল কিংবা ক্রিকেট, যেকোনো বিশ্বকাপের ট্রফি ট্যুরের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে এলেই ক্রীড়ামোদিদের আগ্রহ থাকে সেই ট্রফিকে কেন্দ্র করে। সবশেষ ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ট্রফিও ভ্রমণ করে গিয়েছিল বাংলাদেশে।

তবে সেবারের তুলনায় এবার ভক্তদের আনাগোনা অনেকটাই কম। আগেরবারের মতো ভক্তদের জন্য চারটি লাইন করা হলেও উপস্থিতির সংখ্যা বেশ কম নজরে এসেছে। গেল বার উপস্থিতির সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি ছিল এবারের চেয়ে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাম্প্রতিক অফ ফর্ম অন্যতম কারণ হতে পারে ভক্ত ও সমর্থকদের আগ্রহ কমে যাওয়ার পেছনে। 

আগামীকাল ট্রফিটির শেষদিন বাংলাদেশে। রাখা হবে হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে। সেখানে ক্রিকেটার, মিডিয়া, অফিসিয়ালদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে ট্রফিটি। সেখান থেকে রাতেই ট্রফিটি ঢাকা ছাড়বে।

ফের নতুন রেকর্ড গড়ে মাবিয়া বললেন, ‘সময়টা ভালো যাচ্ছে’

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১২ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৩ পিএম
ফের নতুন রেকর্ড গড়ে মাবিয়া বললেন, ‘সময়টা ভালো যাচ্ছে’
ছবি : সংগৃহীত

গত মাসের শেষ দিকে আন্তঃসার্ভিস ভারোত্তলন প্রতিযোগিতায় তিনটি নতুন জাতীয় রেকর্ডসহ স্বর্ণ জিতেছিলেন মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। ১৭ দিনের ব্যবধানে নিজের সেই পারফরম্যান্সকে আরও ওপরে নিয়ে গেলেন তিনি। নিজের গড়া রেকর্ডটাই ভেঙে গড়লেন নতুন জাতীয় রেকর্ড। সেটাও আন্তর্জাতিক মঞ্চে।

বাহরাইনের মানামায় চলছে আইডব্লিউএফ ওয়ার্ল্ড ভারোত্তলন চ্যাম্পিয়নশিপ। এই প্রতিযোগিতায় ৭১ কেজি ওজন শ্রেণিতে অংশ নিয়েছেন মাবিয়া। গতকাল বুধবার ‘সি’ গ্রুপে থাকা মাবিয়া স্ন্যাচে ৮৮ কেজি ও ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১১৪ কেজি ওজন তুলেছেন। সব মিলিয়ে তুলেছেন ২০২ কেজি ওজন। তিনটিই নতুন জাতীয় রেকর্ড।

নভেম্বরে অনুষ্ঠিত আন্তঃসার্ভিসে ৭১ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্ন্যাচে ৮৫, ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১১১ কেজিসহ সবমিলিয়ে ১৯৬ কেজি ওজন তোলেন মাবিয়া। তখনও তিনটিতেই হয়েছিল নতুন জাতীয় রেকর্ড। সে সময় ৮ মাস আগে নিজের গড়া রেকর্ডটাই ভেঙেছিলেন তিনি।

এভাবে নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙে চলেছেন মাবিয়া। অর্থাৎ প্রতিনিয়ত নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। পারফরম্যান্সের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী রাখতে পারায় দারুণ খুশি টানা দুই এসএ গেমসে দেশকে স্বর্ণ উপহার দেওয়া এই ভারোত্তোলক।

নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়ার পর বাহরাইন থেকে খবরের কাগজকে মাবিয়া বলেন, ‘মনে হয় সময়টা ভালো যাচ্ছে। সবার ভাবনার বাইরে লিফট (ওজন তোলা) করতে পারছি, নতুন রেকর্ড গড়তে পারছি, অনুভূতিটা প্রকাশ করার মতো না।’

মাবিয়া তার গ্রুপে ১০ জনের মধ্যে যৌথভাবে চতুর্থ সর্বোচ্চ ওজন তুলেছেন। যদিও নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েছেন, তবে অন্য দেশের প্রতিযোগীদের থেকে বেশ পেছনেই তার অবস্থান। নিজের ওজন শ্রেণিতে ২৬ জনের মধ্যে হয়েছেন ২১তম। 

এই ইভেন্টে সেরা হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের অলিভিয়া রিভস। স্ন্যাচে ১২০, ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১৪৭ কেজি ওজন তুলেছেন তিনি। ‍দুটি মিলিয়ে তুলেছেন ২৬৭ কেজি ওজন।

উড়ন্ত বার্সার কাছে বরুশিয়ার হার

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৫ পিএম
উড়ন্ত বার্সার কাছে বরুশিয়ার হার
ছবি : সংগৃহীত
 
মাঠে দারুণ সময় পার করছে বার্সেলোনা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গেল মৌসুমে রানার্সআপ বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে তাদের মাঠেই ৩-২ গোলে হারিয়ে এসেছে ক্লাবটি।
 
হার দিয়ে ইউরোপের এই বড় আসর শুরু করা বার্সেলোনা জিতেছে পরের পাঁচ ম্যাচ। হারিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখকেও।
 
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বরুশিয়ার ঘরের মাঠ সিগনাল ইডুনা পার্ক থেকে জয় নিয়ে মাঠে ছেড়েছে জার্মান কোচ হানসি ফ্লিকের বার্সা। 
 
প্রথমার্ধে দারুণ খেললেও কোনো গোলের দেখা পায়নি দলটি। বিরতির পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোল পায় কাতালানরা। রাফিনহার গোলে ৫৩ মিনিটে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় দলটি। ডর্টমুন্ড সমতায় ফেরে পেনাল্টি থেকে শেরহো গিরেসি ৬০ মিনিটে গোল করলে। 
 
৭৫ মিনিটে আরেকবার এগিয়ে যায় বার্সা স্প্যানিশ উইঙ্গার ফেরান তোরেসের গোলে। তবে সেই গোল শোধ করতে সময় নেয়নি স্বাগতিকরা। সেই গিরেসিই ৭৮ মিনিটে নিজের ও দলের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন। 
 
গিরেসি জোড়া গোল করে ডর্টমুন্ডকে সমতায় ফেরালেও বার্সার তোরেসের জোড়া গোলে জয় নিশ্চিত হয়ে যায় দলটির। ৮৫ মিনিটে তার দ্বিতীয় গোলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দলের পঞ্চম জয় নিশ্চিত হয় বার্সার। 
 
এই জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় যাওয়ার পথে একধাপ এগিয়ে গেল বার্সা। ৬ ম্যাচে ৫ জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে দুইয়ে আছে কাতালানরা। গ্রুপে তাদের বাকি দুই ম্যাচের অন্তত একটিতে জিতলে সরাসরি দ্বিতীয় রাউন্ড খেলার সুযোগ থাকবে বার্সার।
'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });