ঢাকা ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

এখন হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হতে চাই

প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৫ পিএম
আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৯ পিএম
এখন হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হতে চাই
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের রক্ষণভাগের অতন্দ্র এক সেনানী শিউলী আজিম। সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে দেশকে চ্যাম্পিয়ন করতে রেখেছেন বড় ভূমিকা। খবরের কাগজের মুখোমুখি দলের সাফল্য ও নিজেকে নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ক্রীড়া প্রতিবেদক তোফায়েল আহমেদ

খবরের কাগজ: সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে পরপর দুবার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। দুবারই চ্যাম্পিয়ন দলের অংশ আপনি। সাফল্যের অনুভূতি কেমন লাগছে?

শিউলী: খুবই, খুবই ভালো লাগছে। আগেরবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর একটা ভয় ছিল যে আমরা এই ধারা ধরে রাখতে পারব কি না। ধরে রাখতে পেরেছি, এ জন্যই ভালো লাগাটা বেশি। কিন্তু এই ভালো লাগার মধ্যে আরেকটা প্রেশারও এখন কাজ করছে। এখন কিন্তু দেশের মানুষের চাওয়া থাকবে আমরা যেন হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হতে পারি। তো এই চাপটা এখন আমাদের সামলাতে হবে। এ ছাড়া সবকিছু ভালোই লাগছে। ভালোই চলছে…।

খবরের কাগজ: চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফেরার পর দিনগুলো কেমন কাটছে?

শিউলী: সত্যি বলতে আমি সেভাবে উপভোগ করতে পারিনি। কারণ আমার পরীক্ষা চলছে (হাসি)।

খবরের কাগজ: ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আপনারা নেপাল গিয়েছিলেন। শিরোপা ধরে রাখাটা আসলে কতটা কঠিন ছিল?

শিউলী: আমরা কখনোই অতি আত্মবিশ্বাসী থাকি না। যতই ভালো খেলি না কেন, সব সময় আমরা আমাদের প্রতিপক্ষকে বড় করে রাখি, বেশি সম্মান দিই। সব সময় আমরা ভাবি যে আমাদের প্রতিপক্ষ যারা আছে সবাই ভালো। এমনিতে এবারের টুর্নামেন্ট যথেষ্ট কঠিনই গেছে। কারণ পাকিস্তানের সঙ্গে প্রথম ম্যাচে আমরা ড্র করে বসি। আমারই ভুলে গোলটা হয়েছিল। প্রথম ম্যাচ ড্র করার পর একটা ভয় ছিল যে এবার সেমিতে যাওয়ার আগেই বাড়ি চলে আসা লাগে কি না। তাই ভারতের বিপক্ষে পরের ম্যাচে সবাই ওভাবেই নেমেছিল। সবার মধ্যে একটা বিষয়ই ছিল- আমরা সেমিতে ভালোভাবেই যাব। প্ল্যানিং ছিল যে গ্রুপ পর্বে কঠিন ম্যাচ খেলে সেমিতে সহজ দলের সঙ্গে খেলব। যা-ই হোক, ওপরওয়ালা সহায় ছিলেন। তাই বের হয়ে আসতে পেরেছি।

খবরের কাগজ: পাকিস্তানের বিপক্ষে আপনার ভুলে গোল হয়েছে বলছিলেন। ওই ভুলটা পীড়া দিয়েছে খুব?

শিউলী: আমি তো হাফ টাইমের সময় ড্রেসিংরুমে গিয়ে কেঁদে ফেলেছি। কোচ পিটার বাটলার স্যার সাহস দিয়েছেন। বলেছেন, ভুল হচ্ছে খেলার অংশ। এই ভুল যখন তুমি করবে, পরের সেকেন্ড থেকেই তুমি সেটা আর মনে রাখবে না। ভুলে যাবা। স্যার আরও বলেছিলেন, তুমি ভালো খেলছ, এভাবেই ভালো খেলো। আমরা ম্যাচ বের করব। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা আমরা ড্র করেছিলাম। পরের ম্যাচগুলোতে আমি একটু বেশি সতর্ক ছিলাম, যেন কোনো ভুল না হয়। যদিও গ্রুপ পর্বে ভারত ও সেমিফাইনালে ভুটানের সঙ্গে আমরা একটা করে গোল হজম করেছি। ফাইনালেও একটা গোল হজম করতে হয়েছে। আমি আসলে একটু বেশি সতর্ক ছিলাম। কারণ প্রথম ম্যাচেই আমি ভুল করে ফেলেছিলাম। আসলে সিলি মিসটেকগুলো তো আর মাঠে কেউ করতে চায় না। পাকিস্তানের বিপক্ষে ওটা হয়ে গেছে। এখন সামনে এটাই ভাবতে হবে, এই সিলি মিসটেকগুলো যেন না হয়।

খবরের কাগজ: গতবার আর এবারের সাফের মধ্যে কোনটা বেশি কঠিন ছিল বলে মনে করেন?

শিউলী: গতবারেরটায় আসলে আমাদের মধ্যে অতটা চাপ কাজ করেনি। এবারেরটা আমাদের মধ্যে একটু চাপ কাজ করেছে। কারণ ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন তো আমরা।

খবরের কাগজ: চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর মাঠে বলেছিলেন, ফাইনালের আগে নাকি খেতেও পারেননি?

শিউলী: আমরা একেকজন একেকজনের চেহারার দিকে তাকাচ্ছিলাম। এমনিতে আমরা সবাই হাসছিলাম, কথা বলছিলাম। কিন্তু ভেতরে ভেতরে সবাই খুব চিন্তিত ছিলাম। তবে নিজেরা নিজেরাই আবার একজন আরেকজনকে সাহস দিচ্ছিলাম যে ভালো হবে। কী হবে, ওপরওয়ালা জানে। তবে আমরা আমাদের খেলাটা খেলব।

খবরের কাগজ: ফাইনালে তো নেপালি দর্শকে গ্যালারি ভর্তি ছিল। সাবিত্রা ভান্ডারিও ভয় ধরাচ্ছিলেন। ভয় কাজ করেনি?

শিউলী: না, কোনো ভয় কাজ করেনি। আমাদের ডিউটি ছিল ওকে (সাবিত্রা) আটকানো। কোনো ভয় কাজ করেনি। ও তো এমনিতেও সুপারস্টার। আমাদের প্ল্যান ছিল ও বল পেলে আমরা দুজন করে যাব। যেন ও কোনোভাবেই বের হতে না পারে।

খবরের কাগজ: একটু আগে যেটা বললেন, এখন চাওয়া হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হওয়া। এই চাওয়া পূরণে আপনাদের খেলোয়াড়দের কী চাওয়া থাকবে?

শিউলী: মানুষের এখন প্রত্যাশা তো থাকবেই। আমরাও চাই হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হতে। এ জন্য এখন আমাদের প্রচুর প্রচুর হার্ডওয়ার্ক করতে হবে। এর সঙ্গে ফেডারেশন যদি আমাদের সাহায্য করে, তাহলে অনেক বেশি ভালো। ওনারা ক্যাম্পিংটা তো রাখেই। সঙ্গে আরও অনেক বিষয় আছে। আমাদের অন্য চাওয়া-পাওয়াগুলো পূরণ করলে ভালো।

খবরের কাগজ: একটু বলবেন, সেই চাওয়া-পাওয়াগুলো কী?

শিউলী: মিডিয়ায় দেখলাম, কিরণ ম্যাডাম (মাহফুজা আক্তার কিরণ) বলেছেন, কোনো ফেডারেশনই খেলোয়াড়দের মাসিক বেতন দেয় না। এটা আসলেই সত্যি। কিন্তু আমাদের দেশে লিগ তো সেভাবে হয় না। তাই আমরা লিগ থেকে সে রকম ইনকাম করতে পারি না। ওনারা যে স্যালারি দেন, সেটা দিয়ে আমাদের পরিবার চলে। এই স্যালারিটা যদি একটু নিয়মিত হয়, তাহলে ভালো হয়।

খবরের কাগজ: সেই সঙ্গে নিশ্চয়ই লিগটাও নিয়মিত হোক, এটা চাইবেন?

শিউলী: লিগ তো আমাদের হচ্ছেই না। হলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকে না। আর আমাদের দেশের শীর্ষ ক্লাবগুলো তো নারী লিগে অংশই নেয় না। বসুন্ধরা কিংস এসেছিল, এখন তারাও নেই। এখন ফেডারেশন যদি চেষ্টা করে, ওই ক্লাবগুলোকে আসার জন্য উৎসাহ দেয়, লিগটা যদি ভালোভাবে পরিচালনা করে তাহলে ভালো। আমাদের নারী ফুটবলের জন্য এটা উপকারে আসবে।

খবরের কাগজ: চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফেরার পর প্রধান উপদেষ্টা আপনাদের সংবর্ধনা দিয়েছেন। আপনারা খেলোয়াড়রা নাকি ঢাকায় ফ্ল্যাট চেয়েছেন?

শিউলী: (হেসে) আমার কোনো চাওয়া নেই। আর আসলে উনিও তো নতুন। সম্ভাবনা কতটুকু, আর এটা আসলে বাস্তবসম্মত চাওয়া কি না, সেটা একটা বিষয়। চাইতে হবে এমন কিছু যেটা উনি দিতে পারবেন।

খবরের কাগজ: সামনে আরও ভালো করতে আপনার নিজের কাছে নিজের চাওয়া কী?

শিউলী: নিজের কাছে আমার নিজের চাওয়া- শিউলী তুই আর সিলি সিলি মিসটেক করবি না। আর এমন একটা ডিফেন্ডার হবি, যেন তোর পাশ দিয়ে কেউ বল নিয়ে বের হয়ে যেতে না পারে।

খবরের কাগজ: শুনেছি আপনার প্রিয় খেলোয়াড় সার্জিও রামোস। তাকেই আদর্শ মানেন?

শিউলী: আমার ওনাকে ভালো লাগে। আমি মনে করি ডিফেন্ডার হলে এ রকমই হওয়া উচিত। প্রতিপক্ষের ফরোয়ার্ডরা যখন আপনার কাছে প্রথম আসবে, দ্বিতীয়বার এলে যেন আপনাকে নিয়ে আলাদাভাবে ভাবে।

খবরের কাগজ: আপনি তো কলসিন্দুরের মেয়ে। আপনার বাড়ি ও পরিবারের অবস্থার কথা জানতে চাই…

শিউলী: বাবার তো এখন বয়স হচ্ছে। প্রেশারের সমস্যা আছে। মায়েরও একই অবস্থা। এ ছাড়া এমনিতে ভালো আছেন সবাই। আমরা পাঁচ ভাইবোন। আমি দুই নম্বর। এর জন্যই তো এত দায়িত্ব (হেসে)। আমার ভাই আছে তিনজন। তিনজনই আমার ছোট।

খবরের কাগজ: ভাইদের কেউ বোনের মতো ফুটবলার হতে চায় না?

শিউলী: আমার পিচ্চি দুই ভাই খুবই পাগল ফুটবলের জন্য। কিন্তু আমি চাই না। কারণ এটা খুব পরিশ্রমের পেশা।

খবরের কাগজ: খেলার পাশাপাশি আপনি পড়াশোনাতেও এগিয়ে যাচ্ছেন। এখন গণবিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। তো ফুটবলের বাইরেও নিশ্চয়ই অন্য কোনো কিছু করার ইচ্ছা আছে?

শিউলী: ছোটবেলায় আমার শখ ছিল একজন শিক্ষক হব। এখন দেখা যাক। গ্র্যাজুয়েশনটা শেষ করি। ওই ইচ্ছা এখনো মনে পোষণ করছি। সেটা যদি ফুটবলের প্রশিক্ষকও হয়, তাও হব।

মেয়েদের সিরিজে ফেরার লড়াই

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫০ এএম
মেয়েদের সিরিজে ফেরার লড়াই
ছবি : সংগৃহীত

ওয়ানডে সিরিজে দাপুটে পারফরম্যান্স। যার জের ধরে তিন ম্যাচের সিরিজে আইরিশ মেয়েদের হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। অথচ সেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হার দিয়ে শুরু হয়েছে বাংলাদেশের মেয়েদের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। মুঠোয় থাকা ম্যাচ বাংলাদেশ হেরে যায় ১২ রানে। সিরিজে ফেরার লক্ষ্য নিয়ে আজ মাঠে নামবে বাংলাদেশ। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বেলা ২টায় মুখোমুখি হবে দুই দল। 

প্রথম ম্যাচের আগে এই আইরিশদের বিপক্ষে শেষ সাত ম্যাচেই জিতেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় প্রথম ম্যাচে হার মানে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। সিরিজ জিততে হলে বাকি দুই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নাই। তার আগে দরকার সিরিজে সমতা আনা। দলের তারকা ক্রিকেটার জাহানারা আলম মনে করেন, শুরুতে হারলেও সিরিজে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ।

সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর মিশন হলেও গতকাল অনুশীলন করেনি বাংলাদেশ দল। তবে দলের প্রস্তুতি, পারফরম্যান্স ও জয়ের প্রত্যাশা নিয়ে জাহানারা বিসিবির প্রচারিত ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলার সুযোগ পাওয়া সব সময় আমার জন্য গর্বের বিষয়। প্রথম ম্যাচে আমাদের ফল প্রত্যাশিত ছিল না। তবে আমাদের দলের ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে। ব্যাটিং লাইনআপে ইতিবাচক কিছু পাওয়া গেছে। চারজন ব্যাটার ভালো স্কোর করেছে, যা আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। ইনশাআল্লাহ সিরিজে আমরা ফিরতে পারব।’

প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ১৭০ রান। ১২ ওভারে ১ উইকেটে ১০৩ রান করেও ম্যাচ হেরে যায় দল। জাহানারা বলেন, ‘এটি আমাদের বড় সংগ্রহের একটি উদাহরণ। যদিও কয়েকটি ভুলের জন্য আমরা জয় পাইনি। তবে আমরা জানি কীভাবে সেগুলো শুধরে সিরিজে ফিরতে হবে। দলে যদি আরও ২-৩ জন ব্যাটার রান করতে শুরু করে, তাহলে ছয়-সাতজন মিলে বড় লক্ষ্য তাড়া করার সামর্থ্য রাখি।’

জাহানারার মতে টি-টোয়েন্টিতে প্রত্যেকটা বল গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে সময় খুব কম। এখানে বল ধরে ধরে পরিকল্পনা করতে হয় এবং প্রতিটি মুহূর্তে মনোযোগ ধরে রাখতে হয়। আমরা যদি আমাদের শক্তি অনুযায়ী খেলতে পারি এবং আইরিশদের টপ অর্ডার দ্রুত ফেরাতে পারি, তাহলে তাদের অল্প রানে আটকে রাখতে পারব। এভাবে ম্যাচে ইতিবাচক ফল আনতে পারব।’

মেজর লিগের বর্ষসেরা মেসি

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৩ এএম
মেজর লিগের বর্ষসেরা মেসি
ছবি : সংগৃহীত

২০২৩ সালে লিওনেল মেসি মেজর লিগ সকারে পা রাখার পর থেকেই লিগটির গাম্ভীর্যতেই এসেছে অনেক পরিবর্তন। যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলেও মেসি প্রভাবটাও দৃশ্যমান বলা চলে। মেসির জাদুতে এগিয়ে যাচ্ছে ইন্টার মায়ামিও। ক্লাবটি দুটি শিরোপাও জিতেছে মেসি যোগ দেওয়ার পর। গোলাপি জার্সিতে দারুণ পারফরম্যান্স করছেন মেসিও। তার মাথায় উঠেছে এমএলএসের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের মুকুট।

চলতি বছর ১৯ ম্যাচ খেলে ২০ গোল করেছেন মেসি, পাশাপাশি করিয়েছেন ১৬টি গোল। যদিও কোপা আমেরিকা ও চোটে পড়ে ৬২ দিন মাঠে নামা হয়নি তার। এরপরও নিজের নৈপুণ্যে ছাড়িয়ে গেছেন সবাইকে। চোটের কারণে মেসি দলের বাইরে থাকায় ভুগেছে মায়ামিও। হাতছাড়া হয়ে গেছে এমএলএসের শিরোপা। তবে মায়ামি সাপোর্টাস শিল্ড জিতেছে।

খেলোয়াড়, সংবাদকর্মী ও ক্লাবগুলোর ভোটে এমএলএসের মোস্ট ভ্যালুয়েবল খেলোয়াড়ের পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কারটির নাম  ২০১৫ সালে ‘ল্যান্ডন ডোনাভ্যান এমএলএস মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার’ করা হয় লস অ্যাঞ্জেলস গ্যালাক্সির রেকর্ড স্কোরার এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক তারকা ফুটবলার ল্যান্ডন ডোনোভ্যানের নামানুসারে। 

নিজের সাফল্যে মেসি খুব একটা তৃপ্ত নন দলীয় সাফল্য ধরা না দেওয়ায়। এমএলএসের ফাইনালে খেলতে না পারায় কিছুটা অসন্তুষ্টি আছে মেসির মাঝে। 

তবে আগামী আসরে শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে থাকার লক্ষ্য জানিয়ে দিয়েছেন মেসি। তিনি বলেন, ‘এই বছর এমএলএস চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনেক বড় স্বপ্ন ছিল আমাদের। এবার সেটা পূর্ণ হয়নি, তবে আগামী বছর আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে আবার চেষ্টা করব।’

সম্মিলিত ভোটে মেসি বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে এমএলএস কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, ফুটবলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৪.৪৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন মেসি। কলম্বাস ক্রুর ফরোয়ার্ড কুচো হার্নান্দেজ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩.৭০ ভোট পান। মেসির সতীর্থ লুইস সুয়ারেজসহ সেই লড়াইয়ে আরও তিনজন থাকলেও, তারা ১০ শতাংশ ভোটও পাননি।

গ্লোবাল সুপার লিগে চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৬ এএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৯ এএম
গ্লোবাল সুপার লিগে চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স
ছবি : সংগৃহীত

টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে হেরে পিছিয়ে পড়েছিল রংপুর রাইডার্স। প্রথমটি হ্যাম্পশায়ারের কাছে সুপার ওভারে আর দ্বিতীয়টিতে ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে ১০ রানে। সেখানেই অনেকে দলটির শেষ দেখে ফেললেও তা হয়নি। পরের দুই ম্যাচে গায়ানা আমাজন ও লাহোর কালান্দার্সকে হারিয়ে ফাইনালে পা রাখে বাংলাদেশের দলটি।

আর ফাইনালে সৌম্য সরকারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের পর বোলারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ফাইনালে ৫৬ রানে জিতে গ্লোবাল সুপার লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রংপুর রাইডার্স। 

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ফাইনালে গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ভিক্টোরিয়াকে ১৭৯ রানের লক্ষ্য দেয় রংপুর। যেখানে ৫৪ বলে সর্বোচ্চ ৮৬ রানের ইনিংস খেলেন সৌম্য। জবাব দিতে নেমে ১১ বল আগেই ১২২ রানে অলআউট হয় ভিক্টোরিয়া। এতে ৫৬ রানের জয় পায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা।

রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলা যুক্তরাষ্ট্রের বোলার হারমিত সিং সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন। শেখ মাহেদী, রিশাদ হোসেন এবং সাইফ হাসান শিকার করেন দুটি করে উইকেট। এক উইকেট শিকার করেছেন কামরুল হাসান রাব্বি। 

এর আগে, ব্যাট করতে নেমে রংপুরের দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও স্টিভেন টেইলরের মারকুটে ব্যাটিংয়ে উড়ন্ত শুরু পায় বিপিএলের দলটি। তাদের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১২৪ রান। সৌম্য ৩৩ বলে এবং টেইলর ৪৪ বলে ফিফটি তুলে নেন।

টেইলর ৪৯ বলে ৬৮ রান করে আউট হলেও ব্যাট চালাতে থাকেন সৌম্য। মাঝে সাইফ (৬) ও ম্যাডসন (১০) ব্যর্থ হলেও রংপুরকে এগিয়ে নেন সৌম্য। শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করে অপরাজিত থাকেন ৮৬ রানের ইনিংস খেলে। তার ইনিংসে ভর করে ১৭৮ রানের বড় পুঁজি পায় রাইডার্সরা। সৌম্যর ইনিংসেই মূলত জয়ের ভিত পায় দলটি। পরে বোলারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শিরোপা ঘরে তোলে মিকি আর্থারের শিষ্যরা।

যুব হকি দলকে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা ক্রীড়া উপদেষ্টার

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৯ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২০ পিএম
যুব হকি দলকে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা ক্রীড়া উপদেষ্টার
যুব এশিয়া কাপে চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করা বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ হকি দল। ছবি: সংগৃহীত

যুব এশিয়া কাপে পঞ্চম হয়ে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করা বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ হকি দলকে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. নূর আলম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

যুব এশিয়া কাপে নিজেদের মিশন শেষে গত বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দেশে ফেরেন অনূর্ধ্ব-২১ হকি দলের সদস্যরা। ওই দিনই তাদের সংবর্ধনা দেয় হকি ফেডারেশন। অনুষ্ঠানে এই অর্জনের জন্য পুরো দলকে মাত্র ৫ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়। যা নিয়ে আলোচনা হয় অনেক।

হকি খেলোয়াড়দের চাওয়া ছিল সরকারের পক্ষ থেকে বড় কোনো সংবর্ধনা। এসব আলোচনার মাঝেই ক্রীড়া উপদেষ্টার পক্ষ থেকে এই পুরস্কারের ঘোষণা এলো।

নাবিল/

১০ জনের মোহামেডানের কাছে হারল বসুন্ধরা কিংস

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২০ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৬ পিএম
১০ জনের মোহামেডানের কাছে হারল বসুন্ধরা কিংস
বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে একমাত্র গোলটি করেন মোহামেডানের সুলেমান দিয়াবাতে। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ঘটনাবহুল ম্যাচে ১০ জন নিয়ে খেলেও বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) কুমিল্লার শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ স্টেডিয়ামে ১-০ গোলে জয় তুলে নেয় আলফাজ আহমেদের দল। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে একমাত্র গোলটি করেন সুলেমান দিয়াবাতে।

প্রথমার্ধের ২৫ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন দলের গোলকিপার সুজন হোসেন। এতে বিপাকে পড়ে সাদা-কালো জার্সিধারীরা। তবে ১০ জনের দলে পরিণত হয়েও দারুণ লড়াই করেছে দলটি এবং শেষ পর্যন্ত তুলে নিয়েছে দারুণ এক জয়।

যদি ৭৫ মিনিটে পেনাল্টি মিস না করতেন দিয়াবাতে, তাহলে মোহামেডানের জয়ের ব্যবধান আরও বড় হতে পারতো। তার নেওয়া শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে রুখে দেন কিংস গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ।

চট্টগ্রাম আবাহনীকে ৭-০ গোলে হারিয়ে টানা ষষ্ঠ লিগ শিরোপার মিশন শুরু করা কিংস হোঁচট খেল দ্বিতীয় ম্যাচেই। অন্যদিকে মোহামেডান তুলে নিল টানা দ্বিতীয় জয়। ঢাকা ওয়ান্ডারার্সকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে লিগ মিশন শুরু করে তারা।

চ্যালেঞ্জ কাপে মোহামেডানকে ২-১ গোলে হারিয়ে মৌসুম শুরু করেছিল বসুন্ধরা কিংস। সেই ম্যাচে শুরুতে এগিয়ে গিয়েও লিড ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় মোহামেডান। এ ম্যাচে অবশ্য তেমন কিছু হয়নি। গত মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগের প্রথম লেগেও বসুন্ধরাকে হারিয়েছিল মোহামেডান।

লিগ কিংবা কোনো টুর্নামেন্টে সাম্প্রতিক সময়ে এই দুই দলের নিয়মিত লড়াই দেখা যাচ্ছে। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ছয়বার মুখোমুখি হলো দুই দল। যার চারটিতে জিতল বসুন্ধরা, দুটিতে মোহামেডান।

নাবিল/এমএ/