ঢাকা ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

সাক্ষাৎকারে মারিয়া মান্দা দেশকে যেন আরও এগিয়ে নিতে পারি

প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৫ পিএম
আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২২ পিএম
দেশকে যেন আরও এগিয়ে নিতে পারি
মারিয়া মান্দা

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের মধ্যমাঠের কাণ্ডারি মারিয়া মান্দা। সিনিয়র ও বয়সভিত্তিক মিলিয়ে দেশের অনেক সাফল্যের সঙ্গে জড়িয়ে আছে তার নাম। সদ্য সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপাজয়ী দলের সহঅধিনায়কের দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। খবরের কাগজের মুখোমুখি হয়ে মারিয়া কথা বলেছেন সাম্প্রতিক সাফল্য ও প্রাসঙ্গিক নানা বিষয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ক্রীড়া প্রতিবেদক তোফায়েল আহমেদ

খবরের কাগজ: সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে পর পর দুই আসরে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। দুই বারই দলের সারথি আপনি। এই সাফল্যের অনুভূতি কেমন?
মারিয়া মান্দা: আমরা ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হই। প্রথমবার জেতায় খুব ভালো লেগেছিল। দ্বিতীয়বারের মতো আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। খুব ভালো লাগছে যে, দেশের জন্য কিছু করতে পেরেছি। এটাই আসলে নিজের কাছে স্বার্থকতা। আর আমাদের যে এত এত পরিশ্রম, সেটা কাজে দিয়েছে। এ জন্য আমরা খুবই আনন্দিত।

খবরের কাগজ: এবারের চ্যাম্পিয়নশিপটা নিশ্চয়ই অনেক কঠিন ছিল?
মারিয়া মান্দা: অবশ্যই। কারণ এবার সব দলই অনেক উন্নতি করে এসেছিল। আগে যখন আমরা খেলেছিলাম, তখন মালদ্বীপ, ভুটান একটু অন্য রকম (কম শক্তির) দল ছিল। মানুষ আগে থেকেই বুঝতে পারত যে তাদের বিপক্ষে জয় সম্ভব। এবার কিন্তু সেটা ছিল না। এবার সব দল খুব ভালো প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিল। সবাই চেয়েছে চ্যাম্পিয়ন হতে। সব দলের মধ্যে এই লক্ষ্যটা ছিল যে, কেউ কাউকে ট্রফি নিয়ে যেতে দিবে না। আমরা নিজেদের ওপর বিশ্বাস রেখেছিলাম। নিজেদের শতভাগ যদি দিতে পারি, তাহলে কোনো না কোনো ভাবে রেজাল্ট বেরিয়ে আসবে, এই বিশ্বাস আমাদের ছিল। বাকিটা ছিল সৃষ্টিকর্তার ওপরে বিশ্বাস।  সৃষ্টিকর্তা চাইলে সবকিছু হবে। আমাদের মনোবল হারানো যাবে না। সেভাবে আমরা লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি এবং প্রত্যেকটি ম্যাচ খেলেছি। ঈশ্বরের আশীর্বাদে ফলাফলও পেয়েছি। শুধু পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটা একটু অন্য রকম হয়েছিল। ১-০ গোলে পিছিয়ে ছিলাম আমরা। হেরে যাওয়ার মতো অবস্থাও তৈরি হয়েছিল। এর পরও ১-১ ড্র করতে পেরেছি আমরা। এ ছাড়া প্রত্যেকটি ম্যাচ আমরা ভালো ব্যবধানে জিতেছি।

খবরের কাগজ: ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় এবার কি বাড়তি চাপ কাজ করেছে?
মারিয়া মান্দা: চাপ বলতে আমরা যেহেতু গতবার চ্যাম্পিয়ন ছিলাম, এবারও চ্যাম্পিয়ন হব, সবাই এই প্রত্যাশা নিয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে ছিল। দেশবাসীকে এবারও যেন আমরা চ্যাম্পিয়নশিপ উপহার দিতে পারি, এটা আমাদের মনের মধ্যেও ছিল। চেষ্টা করেছি যে বিগত দিনের সাফল্য যেন আমরা ধরে রাখতে পারি।   মনের মধ্যে শুধু এটা ছিল যে, ভালো কিছু করতে হবে।

খবরের কাগজ: শিরোপা ধরে রাখার ব্যাপারে আপনি নিজে কতটা বিশ্বাসী ছিলেন?
মারিয়া মান্দা: আমাদের কাছে আসলে টিম বন্ডিংটাই মুখ্য। টিম বন্ডিং ছাড়া কখনো কোনো রেজাল্ট হয় না। দলের মধ্যে সব সময় আমাদের আলোচনা হয়। কার কি সমস্যা, সবকিছু নিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে কথা বলি। এবারের আসর নিয়ে যখন আমরা কথা বলেছি, তখন এই জিনিসটিই আমরা ফিল করতে পেরেছি, আমরা যদি একসঙ্গে শতভাগ দিয়ে খেলি, তাহলে অবশ্যই আমরা পারব। এই বিশ্বাসটা আমাদের সবার মধ্যে ছিল।

খবরের কাগজ: এবার তো টুর্নামেন্ট চলাকালে নানা বিষয়ে অনেক সমালোচনাও হচ্ছিল। এগুলো সামলানো কতটা কঠিন ছিল?
মারিয়া মান্দা: আসল কথা কি, খেলা চলাকালে আমাদের সব মনোযোগ খেলার মধ্যেই থাকে। বাকি যেগুলো আছে, সেগুলো আমাদের নিজেদের ভালো থাকার জন্য, খুশি থাকার জন্য। অনেকে আছে না, ঘুরতে পছন্দ করে, খেতে পছন্দ করে, ওই রকম একটা জিনিস। আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও করি, টিকটক করি, এসব বিষয় নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু ভিডিও বলেন, টিকটক বলেন, ঘুরতে যাওয়া বলেন, খেলাধুলার বাইরে মন ভালো রাখার জন্য এগুলো তো থাকেই। সেগুলো ধরে যদি খেলোয়াড়দের ওপর নানা দায় চাপানো হয়, তাহলে কেমন না? আপনি দেখেন, পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা থাকা উচিত, এরকম কথা বলি আমরা। আমরা খেলোয়াড়দেরও খেলার পাশাপাশি মন ভালো রাখার জন্য কিছু করে থাকি। এখানে তো দোষের কিছু থাকার কথা নয়। একটা কথা- জাতীয় দলে খেলার মধ্যে আমরা এসব বিষয়ে অ্যাফোর্ড দেই না। খেলার দিকেই আমাদের সব মনোযোগ থাকে।

খবরের কাগজ: এসব সমালোচনাকে একপাশে রেখেই তো চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। নেপাল থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফেরার পর কেমন লাগছে?
মারিয়া মান্দা: চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফেরার পর তো বাফুফে ভবনেই আছি। এখনো বাসায় যেতে পারিনি। বুধবার নতুন সভাপতি আমাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। সব মিলিয়ে ভালোই কাটছে সময়।

খবরের কাগজ: বাড়ি যাওয়ার জন্য কি মন ব্যাকুল হয়ে আছে?
মারিয়া মান্দা: ব্যাকুল বলতে কি, যেহেতু চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। আমাদের তো এখন আরও ভালো কিছু করার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। এগুলোই টার্গেট। সামনে ক্রিসমাস আসছে। তখন তো বাড়ি যাবই।

খবরের কাগজ: এবারের ক্রিসমাসের আনন্দ নিশ্চয়ই অন্য রমম হবে? সাফে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন বলে কথা?
মারিয়া মান্দা: হ্যাঁ, সেটা তো হবেই… (হাসি)।

খবরের কাগজ: এখন আগামী আসরে নিশ্চয়ই হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়নশিপে চোখ থাকব? আর এ জন্য কি প্রয়োজন বলে মনে করেন?
মারিয়া মান্দা: ভালো কিছু করতে গেলে তো অবশ্যই ভালো কিছু প্রয়োজন। যেমন প্র্যাকটিসের জন্য আমাদের ভালো ভেন্যু দরকার। এবার যেমন ঘাসের মাঠে খেলা ছিল। তাই আমরা বসুন্ধরা কিংসে গিয়ে ঘাসের মাঠে প্র্যাকটিস করতাম। বাফুফে থেকে সেটা অনেক দূর ছিল। ধারে-কাছে আমাদের এ ধরনের মাঠ দরকার। যে ধরনের ভেন্যুতে খেলা থাকে, সেই ভেন্যু অনুযায়ী যদি আমরা প্র্যাকটিস করতে পারি, তাহলে আমাদের জন্য ভালো। আর প্রত্যেকবারই ফ্রেন্ডলি ম্যাচ হবে-হবে করে বাতিল হয়ে যায়। যদি ঘন ঘন ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলা হয়, তাহলে আমাদের উন্নতির জন্য ভালো হবে। কারণ আমাদের অনেক ভুল-ভ্রান্তি থাকে। ফ্রেন্ডলি ম্যাচ হলে সেগুলো আমরা বুঝতে পারি। কীভাবে সেখান থেকে আমরা বের হতে পারি, নিজেরা সেই চেষ্টাটা তখন করতে পারি। প্রীতি ম্যাচ না হলে সেগুলো আমরা ধরতে পারি না। নিজেরা-নিজেরা খেলা হলে অতটা ভুল-ত্রুটি বের হয় না। একসঙ্গে ক্যাম্পিং করা, প্রীতি ম্যাচ খেলা, এগুলো খুবই জরুরি। এর সঙ্গে আরও কিছু বিষয় আছে। যেমন- জিমের কথা বলবেন। আমাদের জিমে কিন্তু অনেক কিছুই নেই। দুয়েকটা যা আছে, সেগুলো আসলে কাজে দেয় না। খুব গুরুত্বপূর্ণ যেগুলো, অন্তত সেগুলো যদি থাকে, সেটা আমাদের খেলার জন্য আরও শক্তিশালী করে তুলবে।

খবরের কাগজ: মেয়েদের লিগটা ভালোভাবে আয়োজিত হোক, এটাও নিশ্চয়ই চাইবেন?
মারিয়া মান্দা: লিগ নিয়মিত হলে তো সেটা আমাদের জন্য অনেক ভালো। বয়সভিত্তিক বলেন, সিনিয়র পর্যায় বলেন, অনেক ভালো খেলোয়াড় এর মাধ্যমে উঠে আসবে।

খবরের কাগজ: নিয়মিত বেতন না হওয়াটাও তো আপনাদের বড় একটি সমস্যা…
মারিয়া মান্দা: আমাদের যে সমস্যাগুলো ছিল, আমাদের সভাপতি চেষ্টা করবেন সমাধানের। যেগুলো প্রয়োজনীয় সেগুলো নিশ্চয়ই তারা দেবেন।

খবরের কাগজ: দেশে ফেরার পর প্রধান উপদেষ্টা আপনাদের সংবর্ধনা দিয়েছেন। শুনেছি, আপনারা নিজেদের জন্য ঢাকায় একটি করে ফ্ল্যাট চেয়েছেন?
মারিয়া মান্দা: আমাদের সবার চাওয়া এটি। কারণ যখন আমাদের পরিবারকে ঢাকায় নিয়ে আসতে চাই, তখন পরিবারকে রাখার জন্য কোনো জায়গা থাকে না। ঢাকার শহরে তো এরকম পরিস্থিতি নেই যে, আমাদের পরিবারকে রাখব। সেই হিসেবে যদি সরকার আমাদের প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্য একটি করে ফ্ল্যাট দেয় তাহলে আমাদের জন্য খুব ভালো হয়।

খবরের কাগজ: আপনার মার তো অনেক অবদান। অনেক ত্যাগ তার। মা কতটা খুশি এবারের সাফল্যে?
মারিয়া মান্দা: মা তো অনেক বেশি খুশি। শুধু সফল হয়েছি বলেই না, মা সব সময়ই খুশি থাকে আমাকে নিয়ে। মা সব সময় বলে, খেলার মাঠে নামার আগে ঈশ্বরের কথা মনে করবি। প্রার্থনা করে মাঠে নামবি। আমি সেই চেষ্টাটা সব সময় করি।

খবরের কাগজ: নিজের কাছে কি চাওয়া আপনার? মারিয়া ভবিষ্যতে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
মারিয়া মান্দা: আমরা যেন দেশের জন্য আরও ভালো কিছু করতে পারি। আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে বলি, আমারও ইচ্ছে দেশের বাইরে লিগ খেলার। ভুটানের ক্লাবের হয়ে একবার খেলেছিও। যেন দেশের বাইরে লিগ আরও বেশি খেলতে পারি এবং দেশকে যেন আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।

মেয়েদের সিরিজে ফেরার লড়াই

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫০ এএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ পিএম
মেয়েদের সিরিজে ফেরার লড়াই
ছবি : সংগৃহীত

ওয়ানডে সিরিজে দাপুটে পারফরম্যান্স। যার জের ধরে তিন ম্যাচের সিরিজে আইরিশ মেয়েদের হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। অথচ সেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হার দিয়ে শুরু হয়েছে বাংলাদেশের মেয়েদের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। মুঠোয় থাকা ম্যাচ বাংলাদেশ হেরে যায় ১২ রানে। সিরিজে ফেরার লক্ষ্য নিয়ে আজ মাঠে নামবে বাংলাদেশ। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বেলা ২টায় মুখোমুখি হবে দুই দল। 

প্রথম ম্যাচের আগে এই আইরিশদের বিপক্ষে শেষ সাত ম্যাচেই জিতেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় প্রথম ম্যাচে হার মানে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। সিরিজ জিততে হলে বাকি দুই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নাই। তার আগে দরকার সিরিজে সমতা আনা। দলের তারকা ক্রিকেটার জাহানারা আলম মনে করেন, শুরুতে হারলেও সিরিজে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ।

সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর মিশন হলেও গতকাল অনুশীলন করেনি বাংলাদেশ দল। তবে দলের প্রস্তুতি, পারফরম্যান্স ও জয়ের প্রত্যাশা নিয়ে জাহানারা বিসিবির প্রচারিত ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলার সুযোগ পাওয়া সব সময় আমার জন্য গর্বের বিষয়। প্রথম ম্যাচে আমাদের ফল প্রত্যাশিত ছিল না। তবে আমাদের দলের ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে। ব্যাটিং লাইনআপে ইতিবাচক কিছু পাওয়া গেছে। চারজন ব্যাটার ভালো স্কোর করেছে, যা আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। ইনশাআল্লাহ সিরিজে আমরা ফিরতে পারব।’

প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ১৭০ রান। ১২ ওভারে ১ উইকেটে ১০৩ রান করেও ম্যাচ হেরে যায় দল। জাহানারা বলেন, ‘এটি আমাদের বড় সংগ্রহের একটি উদাহরণ। যদিও কয়েকটি ভুলের জন্য আমরা জয় পাইনি। তবে আমরা জানি কীভাবে সেগুলো শুধরে সিরিজে ফিরতে হবে। দলে যদি আরও ২-৩ জন ব্যাটার রান করতে শুরু করে, তাহলে ছয়-সাতজন মিলে বড় লক্ষ্য তাড়া করার সামর্থ্য রাখি।’

জাহানারার মতে টি-টোয়েন্টিতে প্রত্যেকটা বল গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে সময় খুব কম। এখানে বল ধরে ধরে পরিকল্পনা করতে হয় এবং প্রতিটি মুহূর্তে মনোযোগ ধরে রাখতে হয়। আমরা যদি আমাদের শক্তি অনুযায়ী খেলতে পারি এবং আইরিশদের টপ অর্ডার দ্রুত ফেরাতে পারি, তাহলে তাদের অল্প রানে আটকে রাখতে পারব। এভাবে ম্যাচে ইতিবাচক ফল আনতে পারব।’

মেজর লিগের বর্ষসেরা মেসি

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৩ এএম
মেজর লিগের বর্ষসেরা মেসি
ছবি : সংগৃহীত

২০২৩ সালে লিওনেল মেসি মেজর লিগ সকারে পা রাখার পর থেকেই লিগটির গাম্ভীর্যতেই এসেছে অনেক পরিবর্তন। যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলেও মেসি প্রভাবটাও দৃশ্যমান বলা চলে। মেসির জাদুতে এগিয়ে যাচ্ছে ইন্টার মায়ামিও। ক্লাবটি দুটি শিরোপাও জিতেছে মেসি যোগ দেওয়ার পর। গোলাপি জার্সিতে দারুণ পারফরম্যান্স করছেন মেসিও। তার মাথায় উঠেছে এমএলএসের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের মুকুট।

চলতি বছর ১৯ ম্যাচ খেলে ২০ গোল করেছেন মেসি, পাশাপাশি করিয়েছেন ১৬টি গোল। যদিও কোপা আমেরিকা ও চোটে পড়ে ৬২ দিন মাঠে নামা হয়নি তার। এরপরও নিজের নৈপুণ্যে ছাড়িয়ে গেছেন সবাইকে। চোটের কারণে মেসি দলের বাইরে থাকায় ভুগেছে মায়ামিও। হাতছাড়া হয়ে গেছে এমএলএসের শিরোপা। তবে মায়ামি সাপোর্টাস শিল্ড জিতেছে।

খেলোয়াড়, সংবাদকর্মী ও ক্লাবগুলোর ভোটে এমএলএসের মোস্ট ভ্যালুয়েবল খেলোয়াড়ের পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কারটির নাম  ২০১৫ সালে ‘ল্যান্ডন ডোনাভ্যান এমএলএস মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার’ করা হয় লস অ্যাঞ্জেলস গ্যালাক্সির রেকর্ড স্কোরার এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক তারকা ফুটবলার ল্যান্ডন ডোনোভ্যানের নামানুসারে। 

নিজের সাফল্যে মেসি খুব একটা তৃপ্ত নন দলীয় সাফল্য ধরা না দেওয়ায়। এমএলএসের ফাইনালে খেলতে না পারায় কিছুটা অসন্তুষ্টি আছে মেসির মাঝে। 

তবে আগামী আসরে শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে থাকার লক্ষ্য জানিয়ে দিয়েছেন মেসি। তিনি বলেন, ‘এই বছর এমএলএস চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনেক বড় স্বপ্ন ছিল আমাদের। এবার সেটা পূর্ণ হয়নি, তবে আগামী বছর আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে আবার চেষ্টা করব।’

সম্মিলিত ভোটে মেসি বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে এমএলএস কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, ফুটবলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৪.৪৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন মেসি। কলম্বাস ক্রুর ফরোয়ার্ড কুচো হার্নান্দেজ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩.৭০ ভোট পান। মেসির সতীর্থ লুইস সুয়ারেজসহ সেই লড়াইয়ে আরও তিনজন থাকলেও, তারা ১০ শতাংশ ভোটও পাননি।

গ্লোবাল সুপার লিগে চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৬ এএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ পিএম
গ্লোবাল সুপার লিগে চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স
ছবি : সংগৃহীত

টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে হেরে পিছিয়ে পড়েছিল রংপুর রাইডার্স। প্রথমটি হ্যাম্পশায়ারের কাছে সুপার ওভারে আর দ্বিতীয়টিতে ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে ১০ রানে। সেখানেই অনেকে দলটির শেষ দেখে ফেললেও তা হয়নি। পরের দুই ম্যাচে গায়ানা আমাজন ও লাহোর কালান্দার্সকে হারিয়ে ফাইনালে পা রাখে বাংলাদেশের দলটি।

আর ফাইনালে সৌম্য সরকারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের পর বোলারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ফাইনালে ৫৬ রানে জিতে গ্লোবাল সুপার লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রংপুর রাইডার্স। 

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ফাইনালে গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ভিক্টোরিয়াকে ১৭৯ রানের লক্ষ্য দেয় রংপুর। যেখানে ৫৪ বলে সর্বোচ্চ ৮৬ রানের ইনিংস খেলেন সৌম্য। জবাব দিতে নেমে ১১ বল আগেই ১২২ রানে অলআউট হয় ভিক্টোরিয়া। এতে ৫৬ রানের জয় পায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা।

রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলা যুক্তরাষ্ট্রের বোলার হারমিত সিং সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন। শেখ মাহেদী, রিশাদ হোসেন এবং সাইফ হাসান শিকার করেন দুটি করে উইকেট। এক উইকেট শিকার করেছেন কামরুল হাসান রাব্বি। 

এর আগে, ব্যাট করতে নেমে রংপুরের দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও স্টিভেন টেইলরের মারকুটে ব্যাটিংয়ে উড়ন্ত শুরু পায় বিপিএলের দলটি। তাদের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১২৪ রান। সৌম্য ৩৩ বলে এবং টেইলর ৪৪ বলে ফিফটি তুলে নেন।

টেইলর ৪৯ বলে ৬৮ রান করে আউট হলেও ব্যাট চালাতে থাকেন সৌম্য। মাঝে সাইফ (৬) ও ম্যাডসন (১০) ব্যর্থ হলেও রংপুরকে এগিয়ে নেন সৌম্য। শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করে অপরাজিত থাকেন ৮৬ রানের ইনিংস খেলে। তার ইনিংসে ভর করে ১৭৮ রানের বড় পুঁজি পায় রাইডার্সরা। সৌম্যর ইনিংসেই মূলত জয়ের ভিত পায় দলটি। পরে বোলারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শিরোপা ঘরে তোলে মিকি আর্থারের শিষ্যরা।

ম্যাচসেরা হওয়ার পাশাপাশি টুর্নামেন্টের সেরাও হয়েছেন সৌম্য সরকার।

যুব হকি দলকে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা ক্রীড়া উপদেষ্টার

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৯ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২০ পিএম
যুব হকি দলকে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা ক্রীড়া উপদেষ্টার
যুব এশিয়া কাপে চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করা বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ হকি দল। ছবি: সংগৃহীত

যুব এশিয়া কাপে পঞ্চম হয়ে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করা বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ হকি দলকে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. নূর আলম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

যুব এশিয়া কাপে নিজেদের মিশন শেষে গত বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দেশে ফেরেন অনূর্ধ্ব-২১ হকি দলের সদস্যরা। ওই দিনই তাদের সংবর্ধনা দেয় হকি ফেডারেশন। অনুষ্ঠানে এই অর্জনের জন্য পুরো দলকে মাত্র ৫ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়। যা নিয়ে আলোচনা হয় অনেক।

হকি খেলোয়াড়দের চাওয়া ছিল সরকারের পক্ষ থেকে বড় কোনো সংবর্ধনা। এসব আলোচনার মাঝেই ক্রীড়া উপদেষ্টার পক্ষ থেকে এই পুরস্কারের ঘোষণা এলো।

নাবিল/

১০ জনের মোহামেডানের কাছে হারল বসুন্ধরা কিংস

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২০ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৬ পিএম
১০ জনের মোহামেডানের কাছে হারল বসুন্ধরা কিংস
বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে একমাত্র গোলটি করেন মোহামেডানের সুলেমান দিয়াবাতে। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ঘটনাবহুল ম্যাচে ১০ জন নিয়ে খেলেও বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) কুমিল্লার শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ স্টেডিয়ামে ১-০ গোলে জয় তুলে নেয় আলফাজ আহমেদের দল। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে একমাত্র গোলটি করেন সুলেমান দিয়াবাতে।

প্রথমার্ধের ২৫ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন দলের গোলকিপার সুজন হোসেন। এতে বিপাকে পড়ে সাদা-কালো জার্সিধারীরা। তবে ১০ জনের দলে পরিণত হয়েও দারুণ লড়াই করেছে দলটি এবং শেষ পর্যন্ত তুলে নিয়েছে দারুণ এক জয়।

যদি ৭৫ মিনিটে পেনাল্টি মিস না করতেন দিয়াবাতে, তাহলে মোহামেডানের জয়ের ব্যবধান আরও বড় হতে পারতো। তার নেওয়া শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে রুখে দেন কিংস গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ।

চট্টগ্রাম আবাহনীকে ৭-০ গোলে হারিয়ে টানা ষষ্ঠ লিগ শিরোপার মিশন শুরু করা কিংস হোঁচট খেল দ্বিতীয় ম্যাচেই। অন্যদিকে মোহামেডান তুলে নিল টানা দ্বিতীয় জয়। ঢাকা ওয়ান্ডারার্সকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে লিগ মিশন শুরু করে তারা।

চ্যালেঞ্জ কাপে মোহামেডানকে ২-১ গোলে হারিয়ে মৌসুম শুরু করেছিল বসুন্ধরা কিংস। সেই ম্যাচে শুরুতে এগিয়ে গিয়েও লিড ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় মোহামেডান। এ ম্যাচে অবশ্য তেমন কিছু হয়নি। গত মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগের প্রথম লেগেও বসুন্ধরাকে হারিয়েছিল মোহামেডান।

লিগ কিংবা কোনো টুর্নামেন্টে সাম্প্রতিক সময়ে এই দুই দলের নিয়মিত লড়াই দেখা যাচ্ছে। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ছয়বার মুখোমুখি হলো দুই দল। যার চারটিতে জিতল বসুন্ধরা, দুটিতে মোহামেডান।

নাবিল/এমএ/