ঢাকা ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের সামর্থ্য, আফগানিস্তানের সক্ষমতা

প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫১ পিএম
বাংলাদেশের সামর্থ্য, আফগানিস্তানের সক্ষমতা
প্রথম ওয়ানডে চলার সময় অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও সৌম্য সরকার। ছবি: বিবিসি

আফগনিস্তানের কাছে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশের হারকে অনেকেই অবিশ্বাস্য, অকল্পনীয় এরকম নানা বিশেষণ ব্যবহার করে আখ্যায়িত করছেন। আফগানিস্তানের ২৩৫ রানের জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ একপর্যায়ে ২৫.৪ ওভারে ২ উইকেটে ১২০ রান করেছিল। জয়ের ভীত তৈরি হয়ে হেছে। এখন শুধু দেখার পালা সেই জয়টা আসে কীভাবে? হাতে ৮ উইকেট নিয়ে করতে হবে ১১৬ রান। ওভার বাকি ২৪.২টি। ওভারপ্রতি পাঁচের কম করে রান। সেখান থেকে বাংলাদেশের ছন্দপতন ঘটে। সেই ছন্দপতন ছিল খুবই দ্রুত। যা শেয়ারবাজারের পতনকেও হার মানাবে। ২২ গজে ব্যাটারদের অবস্থান হয়ে উঠে কচু পাতার পানি। শুরু হয় আসা-যাওয়ার মিছিল।

৮.৫ ওভারে ১৬ রানে পড়ে ৮ উইকেট। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তার গতি বাড়তে থাকে। ৩.৫ ওভারে ১১ রানে পড়ে ৭ উইকেট। ২.৫ ওভারে ৮ রানে পড়ে ৬ উইকেট। ২.২ ওভারে ৭ রানে পড়ে ৫ উইকেট। ১.৫ ওভারে ৫ রানে পড়ে ৪ উইকেট। ১ বল পড়ে আরও ১ উইকেট। এভাবেই শেষ হয় ১০ উইকেটের পতন। যখন বাংলাদেশের স্কোর বোর্ডে রান শোভা পাচ্ছে মাত্র ১৪৩। 

সাম্প্রতিক সময় বাংলাদেশ ওয়ানডে ছাড়া টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি যত ম্যাচ খেলেছে, সেখানে শুধু পাকিস্তানের বিপক্ষে ২ টেস্টের সিরিজ বাদ দিলে সর্বত্রই ছিল ব্যাটারদের হতাশার চিত্র। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার ১১৩ রান তাড়া করতে পারেনি। ব্যাটিং ব্যর্থতায় হেরেছিল ৪ রানে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১২৪ রান পাড়ি দিতে যার পরনাই কষ্ট করতে হয়েছিল। নেপালের বিপক্ষে মাত্র ১০৬ রান করে আবার ম্যাচ জিতেছিল বোলারদের দাপটে। সুপার এইটে আফগানিস্তানের করা ১১৫ রান টপকাতে পারেনি। হোঁচট খেয়েছিল ১০৫ রানে অলআউট হয়ে। সুপার এইটে অপর দুই ম্যাচে হেরেছিল ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে বড় ব্যবধানে।

টেস্ট ক্রিকেটে সম্প্রতি ঘরের মাঠে দুই টেস্টের চার ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১০৬ ও ৩০৭ এবং ১৫৯ ও ১৪৩। ভারত সফরেও দুই টেস্টের চার ইনিংসে বাংলাদেশ করেছিল ১৪৯ ও ২৩৪ এবং ২৩৩ ও ১৪৬। এই সফরে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশের রান ছিল যথাক্রমে ১২৭. ১৩৫/৯ ও ১৬৪/৭। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ব্যাটিং ব্যর্থতা সংক্রামিত হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটেও এসে ভর করেছে। যার প্রমাণ আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে।

পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জেতার পর বাংলাদেশ দল তিন ফরম্যাটে কোনো ম্যাচই জিততে পারেনি। এমনকি ন্যূনতম কোনো লড়াইও করতে পারেনি। ব্যাটারদের এ রকম অমাজর্নীয় ব্যর্থতায় ম্লান হয়ে যাচ্ছে বোলারদের বিশেষ কীর্তি। ব্যাটারদের এ রকম ধারাবাহিক ব্যর্থতায় স্পষ্ট হয়ে উঠছে এটাই বাংলাদেশের ব্যাটিং সামর্থ্য। বর্তমান দলের কাছে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা বাতুলতা মাত্র। 

ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট সংস্করণ টি-টোয়েন্টি। কিন্তু সেই খেলাও ফুটবল, হকি ভলিবল, কাবাডি, বাস্কেটবলের চেয়ে দ্বিগুণ সময় বেশি লাগে শেষ হতে। যে কারণে ক্রিকেটে যেকোনো সময় বিপর্যয় আসতেই পারে। তা আবার সামাল দিয়ে উঠার সক্ষমতাও থাকতে হবে। অব্যাহত ব্যর্থতার মাঝে বাংলাদেশ দল হঠাৎ করে কোনো ম্যাচে রান করে ফেলে। কিন্তু পরের ম্যাচে গিয়ে আবার মুখ থুবড়ে পড়ে। এটা সামর্থ্যের বহিঃপ্রকাশ! কিন্তু সামর্থ্য যদি এর থেকে বেশি থাকত, তাহলে ব্যর্থতার জাল ছিন্ন করে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারত। যেটা আবার করে দেখিয়েছে আফগানিস্তান। ৩৫ রানে ৪, ৭১ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরও তারা নিজেদের সক্ষমতা বা যোগ্যতা দেখিয়েছে। যে কারণে শেষ পর্যন্ত ২ বল বাকি থাকতে অলআউট হওয়ার আগে ভাণ্ডারে যোগ করে ২৩৫ রান। এটা তাদের সক্ষমতা। বাংলাদেশ দলে একবার মড়ক লাগলে, ঘুরে দাঁড়ানোর নজির কম। ২ উইকেটে ১২০ রান থেকে ১৪৩ রানে অলআউট। 

এভাবে একটি করে ম্যাচ আসে, ভরাডুবির মাধ্যমে শেষ হয়। আর ম্যাচ শেষে অধিনায়ক, কোচ কিংবা দলের প্রতিনিধি হয়ে কথা বলতে আসা ক্রিকেটারের কণ্ঠ থেকে বের হয়ে আসে আগামীতে ভালো করার প্রত্যয়। ভুল সংশোধনের প্রতিশ্রুতি। কিন্তু এ সবই কথার কথা হয়ে থাকে। পরের ম্যাচে এসে আবারও একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি দেখা যায়। আবারও ম্যাচ শেষে শুনা যায় পুরোনো রেকর্ড। কিন্তু পরিবর্তনের ছাপ আর চোখে পড়ে না। এবার আফগানিস্তানের কাছে এভাবে জেতা ম্যাচ হাতছাড়া হওয়ার পর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কণ্ঠ দিয়ে বের হয়েছে সেই পুরোনো রেকর্ড, ‘আমাদের প্রস্তুতি ভালো ছিল। কিন্তু আজ আমাদের দিন ছিল। না। আশা করি আমরা ঘুরে দাঁড়াব।’ 

প্রত্যাবর্তনে শান্তর বিধ্বংসী ইনিংস

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১২ পিএম
প্রত্যাবর্তনে শান্তর বিধ্বংসী ইনিংস
ছবি : সংগৃহীত

চোটে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দলের সঙ্গে নেই নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে দলের শেষ সিরিজে খেলতে পারেননি তিনি। আজ এনসিএল টি-টোয়েন্টি দিয়ে মাঠে ফিরেছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক। ফিরেই তান্ডব চালিয়েছেন ব্যাট হাতে। 

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে রাজশাহীর হয়ে হাঁকিয়েছেন বিধ্বংসী ফিফটি।

টস জিতে সিলেটের অ্যাকাডেমি মাঠে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৮৪ রান সংগ্রহ করে রাজশাহী। যেই রান করার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন নাজমুল হোসেন শান্ত। 

রাজশাহীর হয়ে ওপেনিংয়ে নেমে খেলেছেন ৫৪ বলে ৮০ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৫ চার এবং ৪ ছক্কায়। উদ্বোধনী জুটিতে হাবিবুর রহমানের সঙ্গে যোগ করেন ৮৯ রান। হাবিবুরের ব্যাটে এসেছে ৩৩ বলে ১ চার ৫ ছক্কায় ৪৭ রানের ইনিংস।

শান্ত দারুণ ইনিংস খেললেও জয় পায়নি রাজশাহী। বরিশালের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে তার দল। বরিশালের ফজলে মাহমুদ রাব্বি ৩৪ বলে ৫৬ এবং ৩৯ বলে ৫৩ রান করেন আব্দুল মজিদ। 

টি-টোয়েন্টি সিরিজ ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আরামসে হারাতে পারব’

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫১ পিএম
‘ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আরামসে হারাতে পারব’
ছবি : সংগৃহীত

টেস্ট সিরিজ ১-১ ব্যবধানে ড্র হওয়ার পর ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশ। এবার দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ১৬ তারিখ ভোরে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ কিংসটাউনে।

ওয়ানডে সিরিজে করুণ পরিণতির পরও সেই সিরিজে মাঠে নামার আগে আত্মবিশ্বাসী দারুণ ছন্দে থাকা সৌম্য সরকার।

প্রথম ম্যাচের আগে ক্যারিবিয়ানদের হারানোর ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে সৌম্য বলেন, ‘পরশু থেকে আমাদের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হচ্ছে কারা বড় দল, কারা ছোট দল সেটার থেকে বড় কথা হচ্ছে কারা ২০ ওভার, ৪০ ওভার ভালো খেলবে মাঠে। ওইটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’  

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বদাই শক্ত প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপরও জয়ের ব্যাপারে সৌম্য আত্মবিশ্বাসী, ‘আমরা যদি তিনটি দিকেই ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং ভালো করতে পারি, দল হিসেবে ভালো করতে পারি আমরা আশাকরি তাদেরকে আরামসে হারাতে পারব। ওরা টি-টোয়েন্টিতে ভালো দল, ওদের থেকে মনোযোগ দিতে হবে আমরা আমাদের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করলে ম্যাচ জিততে পারব।’

ওয়ানডে সিরিজ হারলেও সেখান থেকে ভালো যেসকল দিক আছে সেগুলো নিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাঠে নামতে যান এই বাঁ-হাতি ব্যাটার, ‘ওয়ানডেতে আমরা ভালো খেলে আসছিলাম কিন্তু লাস্ট দুই-একটা সিরিজ আমাদের ভালো যায়নি। তার মধ্যেও একটা ভালো জিনিস আছে আমরা ব্যাটাররা তিনশ রান করছি, এটাও একটা ভালো দিক।’

সিরিজের শেষ ম্যাচে ৩২১ রান করেও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। এত বড় সংগ্রহের পরও দল হেরে যাওয়ার পেছনে বোলারদের দায় আছে অনেকাংশে। তবে টি-টোয়েন্টিতে বোলাররা ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশাবাদী সৌম্য। বলেন, ‘আমাদের বোলাররা সবসময় ভালো করে আসতেছিল এই সিরিজে হয়ত তারা একটু স্ট্রাগল করেছে। আমি আশা করি তারা সামনের টি-টোয়েন্টিতে কামব্যাক করবে। পাশাপাশি আমরা ব্যাটাররা যারা রান করছিলাম বা রান করছে সবাই যেহেতু আমরা ওয়ানডেতে ৩০০ রান করছি এটার ধারাবাহিকতা যদি তারা বজায় রাখতে পারে তাহলে বোলার ও ব্যাটার মিলে একটা ভালো সিরিজ হবে।’

ব্রিসবেন টেস্ট বৃষ্টির কারণে টিকিটের টাকা ফেরত পাবেন দর্শকরা

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১৩ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১৪ পিএম
বৃষ্টির কারণে টিকিটের টাকা ফেরত পাবেন দর্শকরা
ছবি : সংগৃহীত

ব্রিসবেনে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনটা বৃষ্টির দখলে। প্রথম সেশনে কিছুটা খেলা হলে মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার পরের দুই সেশনে এক বলও খেলা হয়নি।

সবমিলিয়ে ১৩.২ ওভারের খেলা হয়েছে। যেখানে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৮ রান সংগ্রহ করেছে অস্ট্রেলিয়া। দিনের খেলা ১৫ ওভারেরও কম হওয়ায় টিকিটের টাকা ফেরত পাবেন দর্শকরা।

টিকিটের মূল্য ফেরত পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় ভোরে টস জিতে মেঘিওলা পরিবেশে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা।

যেই আশায় রোহিত বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা অবশ্য পূরণ হয়নি। ১৩.২ ওভার পুরোটাই টিকেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার উসমান খাজা ও নাথান ম্যাকসুয়েনি।

৪৭ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত আছেন খাজা আর ম্যাকসুয়েনি অপরাজিত ৩৩ বলে ৪ রানে। ভারতের হয়ে জসপ্রীত বুমরা করেছেন ৬ ওভার, মোহাম্মদ সিরাজ ৪ আর আকাশ দীপ ৩.২ ওভার।

সাউদির শেষ টেস্টের প্রথম দিনে নিউজিল্যান্ডের বোর্ডে ৩১৫

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৬ পিএম
সাউদির শেষ টেস্টের প্রথম দিনে নিউজিল্যান্ডের বোর্ডে ৩১৫
ছবি : সংগৃহীত

অধিনায়ক টম লাথাম ও উইল ইয়াংয়ের উদ্বোধনী জুটি ১০৫ রানের। আর দিনশেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১৫ রান। অলআউটের দ্বারপ্রান্তে থাকা স্বাগতিকরা পুরোপুরি খুশি হওয়ার উপায় নেই উদ্বোধনী জুটির পর দিনশেষে এই স্কোর নিয়ে। তবে ইংল্যান্ডের জন্য অবশ্যই স্বস্তির। 

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট ম্যাচে মাঠে ঢুকেছিলেন টিন সাউদি মেয়েকে কোলে নিয়ে। তবে তার দল টস হেরে পেয়েছে ব্যাটিং। তাই শুরুতে বোলিং করার সুযোগ হয়নি সাউদির। সাউদির বিদায়ী টেস্টের প্রথম দিনে তার দল এক বছরেরও বেশি সময় পর টেস্টে ওপেনিং জুটিতে শত রানের দেখা পেয়েছে। 

গুজ অ্যাটকিনসনের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ৪২ রান করে ইয়াং ফিরলে ভাঙে এই জুটি। এরপর আরও বেশ কয়েকটি ত্রিশোর্ধ্ব জুটি হলেও তা বড় না হওয়ায় দিনশেষে ৯ উইকেট হারিয়েছে তারা।  

সর্বোচ্চ ৬৩ রান এসেছে অধিনায়ক টম লাথামের ব্যাট থেকে। তিনে নামা কেন উইলিয়ামসন করেছেন ৪৪। ম্যাথু পটসের বলে অপ্রত্যাশিতভাবে বোল্ড আউট হয়েছেন তিনি। 

তবে দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেছেন মিচেল স্যান্টনার। এই অলরাউন্ডার ব্যাটে এসেছে ৫০ রান। দিনশেষে তিনি অপরাজিত আছেন। দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটিতেও আছে তার নাম। অষ্টম উইকেটে দুই মিচেল স্যান্টনার–ম্যাট হেনরি ৫৪ বলে ৪১ রানের জুটি গড়েন। দিনশেষে স্যান্টনারের সঙ্গে অপরাজিত আছেন উইল ও’রুর্কি। 

ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে মাঠে নামা সাউদির ব্যাটে এসেছে ক্যামিও ইনিংস। ৩ ছক্কা ও ১ চারে ১০ বলে ২৩। ইংল্যান্ডের হয়ে ৩টি করে উইকেট অ্যাটকিনসন ও পটসের।

সেই কুমিল্লায় আবাহনী-মোহামেডান লড়াই

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫২ পিএম
সেই কুমিল্লায় আবাহনী-মোহামেডান লড়াই
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে সাম্প্রতিক সময়ের রোমাঞ্চকর ম্যাচের তালিকা করলে ২০২২-২৩ মৌসুমের ফেডারেশন কাপের ফাইনালের কথাই আগে আসবে। গত বছর মে মাসে সেই ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী লিমিডেট ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। চরম নাটকীয়তা ও উত্তেজনায় ভরা ম্যাচটির ফলাফল নির্ধারিত হয়েছিল ট্রাইব্রেকারে। তাতে আবাহনীকে হারিয়ে ১৪ বছর পর ফেড কাপের শিরোপা জিতেছিল মোহামেডান।

ওই ম্যাচটি বাংলাদেশের ফুটবল অনুরাগীদের মনে বেশ আশার সঞ্চার করেছিল। কারণ আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচের উত্তাপ যখন হারিয়ে যাচ্ছে বলে হাহাকার শুরু হয়ে গিয়েছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে এমন একটা ম্যাচের মঞ্চায়ন হয়েছিল। ভেন্যু ছিল কুমিল্লার শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়াম। দেড় বছর পর সেই একই মাঠে আজ মুখোমুখি হবে আবাহনী ও মোহামেডান। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচটি শুরু হবে বেলা আড়াইটায়।

আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচকে অনেকে ‘ঢাকা ডার্বি’ বা ‘বাংলা ক্লাসিকো’ বলে থাকেন। ২০২৪-২৫ মৌসুমে এটিই প্রথম মুখোমুখি লড়াই হতে যাচ্ছে দল দুটির। এখন পর্যন্ত মৌসুমে অপরাজিত দল আবাহনী। ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবকে ২-০ গোলে হারিয়ে লিগ ও নতুন মৌসুমে নিজেদের পথচলা শুরু করে মারুফুল হকের দল। দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকা ওয়ান্ডারার্সকে হারায় ১-০ ব্যবধানে। এরপর গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আবাহনীকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফেডারেশন কাপে নিজেদের মিশন শুরু করেছে। সব মিলিয়ে মৌসুমে তিন ম্যাচের তিনটিতেই জিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের মুখোমুখি হচ্ছে আকাশি-নীল জার্সিধারীরা।

মোহামেডানের মৌসুমের শুরুটাও খারাপ ছিল না। এবারই প্রথম ঘরোয়া ক্যালেন্ডারে যুক্ত হওয়া চ্যালেঞ্জ কাপ দিয়ে মৌসুম শুরু করে তারা। যেখানে বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে হারে দলটি। তবে এই বসুন্ধরা কিংসকেই লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে ১-০ গোলে হারিয়ে দেয় সাদা-কালো জার্সিধারীরা। প্রথম রাউন্ডে তারা ওয়ান্ডারার্সকে হারিয়েছিল ৬-০ গোলে।

কিন্তু লিগে এমন একটা শুরুর পর গত মঙ্গলবার ফেড কাপে হোঁচট খায় দলটি। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১-০ গোলে হেরে বসে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে। তাই বিগ ম্যাচটিতে আবাহনী জয়ের ধারা নিয়ে মাঠে নামতে পারলেও মোহামেডান সেটা পারছে না। নতুন মৌসুমে চার ম্যাচ খেলে তাদের জয় ও হার সমান ২টি করে ম্যাচে।

মোহামেডান কোচ আলফাজ আহমেদ অবশ্য আবাহনীকে হারানোর ব্যাপারে বেশ আশাবাদী। খবরের কাগজকে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের ভালো প্রস্তুতি হয়েছে। দলে কোনো ইনজুরি সমস্যাও নেই। ম্যাচটির জন্য আমরা পুরোপুরি তৈরি। আশা করি খেলোয়াড়রা নিজেদের সেরাটা দিতে পারবে এবং আমরা জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ব।’ দিন কয়েক আগে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে হার নিয়ে তার ব্যাখ্যা, ‘লিগ ম্যাচকে আমরা বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি। তাই ওই ম্যাচে আমরা বেশ কিছু খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিয়েছিলাম। সব মিলিয়ে ওই হার এ ম্যাচে কোনো প্রভাব ফেলবে না। আর ফেডারেশন কাপেও আমরা কাম ব্যাক করতে পারব বলে আশাবাদী আমি।’

আবাহনী ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু বলেছেন, ‘এটি একটি মর্যাদার ম্যাচ। উভয় দলই জিততে চায়। কেউ কাউকে কোনো ছাড় দিতে চায় না। আমরা অবশ্যই জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামব। ম্যাচের আগে যে প্রস্তুতি নেওয়া দরকার, খেলোয়াড়রা সেটা নিয়েছে। বড় ধরনের ইনজুরির সমস্যাও নেই। আশাকরি আমরা সেরা দল নিয়েই মাঠে নামতে পারব।’

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });