ঢাকা ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

নাসিম-শাহিনদের তোপে অস্ট্রেলিয়া অলআউট ১৪০ রানে

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৪ পিএম
নাসিম-শাহিনদের তোপে অস্ট্রেলিয়া অলআউট ১৪০ রানে
ছবি : সংগৃহীত

পেস বোলিংয়ের উপযুক্ত উইকেটে পাকিস্তানের বোলাররা কতটা ভয়ঙ্কর তা আরেকবার প্রমানিত হল। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়াকে মাত্র ১৪০ রানে অলআউট করেছে পাকিস্তান নাসিম-শাহিনদের দাপটে। ফলে পাকিস্তানের সামনে সিরিজ জিততে লক্ষ্য এখন মাত্র ১৪১ রান।

রবিবার (১০ নভেম্বর) টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। তার সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করে পাকিস্তানের পেসাররা ১০০ রানের আগেই তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়ার ৫ উইকেট। 

অজিদের ধসের শুরুটা করেছিলেন নাসিম শাহ ম্যাকগার্ককে ফিরিয়ে দলীয় ২০ রানে। তরুণ এই ব্যাটার করেন ৭ রান। অ্যারন হার্ডি ও জশ ইংলিসের উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহ। ৩৬ রানেই ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।

দলীয় ৭২ রানে আঘাত হানেন হারিস রউফ। ওপেনার ম্যাথু শর্ট ২২ রান করে আউট হন। দলীয় ৭৯ রানে কুপার কনলি মোহাম্মদ হাসনাইনের বলে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন। এরপর তিনি আর মাঠে নামেননি। অপরাজিত ছিলেন ৭ রানে। 

আরেকবার হারিস মন খারাপের কারণ হয়ে দাঁড়ান অজিদের। রানের খাতা খোলার আগেই ম্যাক্সয়েলকে ফিরিয়ে নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন তিনি। ততক্ষণে ৭৯ রানে ৫ উইকেট নেই স্বাগতিকদের।     

মার্কাস স্টয়নিসও পারেননি দলের হাল ধরতে। হাসনাইনের বলে সাজঘরে ফিরেছেন দলীয় ৮৮ ও ব্যক্তিগত ৮ রানে। ৩০ রানের জুটি গড়েন অ্যাডাম জাম্পা ও শেন অ্যাবট। সেই জুটি ভাঙেন নাসিম শাহ জাম্পাকে ফিরিয়ে ব্যক্তিগত ১৩ রানে। ৭ উইকেট হারিয়ে তখন অলআউটের অপেক্ষায় অজিরা।

এরপর শেন অ্যাবট ২২ রানের জুটি গড়েন আউট হওয়ার আগে স্পেনসার জনসনের সঙ্গে ২২ রানের। সেই জুটি ভাঙেন অ্যাবোটকে ফিরিয়ে শাহিন শাহ আফ্রিদি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান করা অ্যাবোটের বিদায়ে ১৪০ রানে ৮ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসও থামে ১৪০ রানে শাহিন শাহ আফ্রিদি ল্যান্স মরিসকে বোল্ড করলে। রিটায়ার্ড হার্ট হওয়া কুপার কুনলি ফিরে না আসায় এখানেই থামে অজিদের ইনিংস।  স্পেনসার জনসন অপরাজিত ছিলেন ১২ রান করে।

১৪০ রানও হওয়ার কথা ছিল না স্বাগতিকদের। পাকিস্তানের বোলাররা ১৬টি ওয়াইড মিলিয়ে অতিরিক্ত রান দিয়েছেন মোট ২২। নাসিম ও শাহিন ৩টি করে উইকেট পান। দুটি উইকেট পান হারিস রউফ আর ১টি শিকার করেন মোহাম্মদ হাসনাইন।

যুব হকি দলকে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা ক্রীড়া উপদেষ্টার

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৯ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২০ পিএম
যুব হকি দলকে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা ক্রীড়া উপদেষ্টার
যুব এশিয়া কাপে চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করা বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ হকি দল। ছবি: সংগৃহীত

যুব এশিয়া কাপে পঞ্চম হয়ে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করা বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ হকি দলকে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. নূর আলম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

যুব এশিয়া কাপে নিজেদের মিশন শেষে গত বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দেশে ফেরেন অনূর্ধ্ব-২১ হকি দলের সদস্যরা। ওই দিনই তাদের সংবর্ধনা দেয় হকি ফেডারেশন। অনুষ্ঠানে এই অর্জনের জন্য পুরো দলকে মাত্র ৫ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়। যা নিয়ে আলোচনা হয় অনেক।

হকি খেলোয়াড়দের চাওয়া ছিল সরকারের পক্ষ থেকে বড় কোনো সংবর্ধনা। এসব আলোচনার মাঝেই ক্রীড়া উপদেষ্টার পক্ষ থেকে এই পুরস্কারের ঘোষণা এলো।

নাবিল/

১০ জনের মোহামেডানের কাছে হারল বসুন্ধরা কিংস

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২০ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৬ পিএম
১০ জনের মোহামেডানের কাছে হারল বসুন্ধরা কিংস
বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে একমাত্র গোলটি করেন মোহামেডানের সুলেমান দিয়াবাতে। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ঘটনাবহুল ম্যাচে ১০ জন নিয়ে খেলেও বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) কুমিল্লার শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ স্টেডিয়ামে ১-০ গোলে জয় তুলে নেয় আলফাজ আহমেদের দল। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে একমাত্র গোলটি করেন সুলেমান দিয়াবাতে।

প্রথমার্ধের ২৫ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন দলের গোলকিপার সুজন হোসেন। এতে বিপাকে পড়ে সাদা-কালো জার্সিধারীরা। তবে ১০ জনের দলে পরিণত হয়েও দারুণ লড়াই করেছে দলটি এবং শেষ পর্যন্ত তুলে নিয়েছে দারুণ এক জয়।

যদি ৭৫ মিনিটে পেনাল্টি মিস না করতেন দিয়াবাতে, তাহলে মোহামেডানের জয়ের ব্যবধান আরও বড় হতে পারতো। তার নেওয়া শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে রুখে দেন কিংস গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ।

চট্টগ্রাম আবাহনীকে ৭-০ গোলে হারিয়ে টানা ষষ্ঠ লিগ শিরোপার মিশন শুরু করা কিংস হোঁচট খেল দ্বিতীয় ম্যাচেই। অন্যদিকে মোহামেডান তুলে নিল টানা দ্বিতীয় জয়। ঢাকা ওয়ান্ডারার্সকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে লিগ মিশন শুরু করে তারা।

চ্যালেঞ্জ কাপে মোহামেডানকে ২-১ গোলে হারিয়ে মৌসুম শুরু করেছিল বসুন্ধরা কিংস। সেই ম্যাচে শুরুতে এগিয়ে গিয়েও লিড ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় মোহামেডান। এ ম্যাচে অবশ্য তেমন কিছু হয়নি। গত মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগের প্রথম লেগেও বসুন্ধরাকে হারিয়েছিল মোহামেডান।

লিগ কিংবা কোনো টুর্নামেন্টে সাম্প্রতিক সময়ে এই দুই দলের নিয়মিত লড়াই দেখা যাচ্ছে। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ছয়বার মুখোমুখি হলো দুই দল। যার চারটিতে জিতল বসুন্ধরা, দুটিতে মোহামেডান।

নাবিল/এমএ/

পাকিস্তানকে উড়িয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০১ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০৪ পিএম
পাকিস্তানকে উড়িয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
উইকেট শিকারের পর বাংলাদেশের যুবাদের উদযাপন। ছবি : সংগৃহীত

পাকিস্তানকে উড়িয়ে যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠেছে বাংলাদেশ। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালে ৭ উইকেটের দাপুটে জয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো এই টুর্নামেন্টের শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে পা রাখল বাংলাদেশের যুবারা। 

ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। একই সময়ে শুরু হওয়া দ্বিতীয় সেমিতে ভারত সাত উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। আগামী ৮ ডিসেম্বর শিরোপার জন্য লড়বে বাংলাদেশ ও ভারত। 

‘এ’ গ্রুপে টানা তিন জয়ে সেমিতে উঠে এসেছিল পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচে এই দলটি হারিয়েছিল শক্তিশালী ভারতকেও। কিন্তু সেমিফাইনালে বাংলাদেশের কাছে পাত্তাই পায়নি তারা। আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের বোলিং তোপে ৩৭ ওভারে মাত্র ১১৬ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। জবাবে বাংলাদেশ লক্ষ্যে পৌঁছায় ১৬৭ বল হাতে রেখে। উইকেট পতন মাত্র তিনটি। 

জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামা বাংলাদেশ ২৮ রানের মধ্যে হারায় দুটি উইকেট। ১৪ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি ওপেনার কালাম সিদ্দিকি। জাওয়াদ আবরার ২৫ বলে করেন ১৭ রান। 

তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের জয়ের ভিত্তি গড়ে দেন অধিনায়ক আজিজুল হাকিম ও শিহাব জেমস। ২৬ রানে শিহাব বিদায় নিলেও দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন আজিজুল। ৪২ বলে সাত চার ও তিন ছক্কায় ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন মিডল অর্ডারের ফারহান ইউসুফ (৩২)। রিয়াজউল্লাহ ২৮, সাদ বাইগ ১৮, হারুন আরশাদ ১০ রান করেন। বাকিদের কেউ ছুতে পারেননি দুই অঙ্কের রান। 

বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে আগুন ঝরান ইকবাল হোসেন ইমন। ২৪ রানে সর্বোচ্চ চার উইকেট তুলে নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা। এ ছাড়া মারুফ ২টি, আল ফাহাদ ও দেবাশিষ একটি করে উইকেট নেন।

চঞ্চল/সালমান/

বিশ্বকাপ কোয়ালিফাইয়ের পুরস্কার ২৪ হাজার টাকা!

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩৩ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৬ পিএম
বিশ্বকাপ কোয়ালিফাইয়ের পুরস্কার ২৪ হাজার টাকা!
ফ্যালকন হলে সংবর্ধনার পর অনূর্ধ্ব-২১ হকি কয়েকজন খেলোয়াড়। ছবি: খবরের কাগজ

প্রথমবারের মতো যুব বিশ্বকাপ হকিতে কোয়ালিফাই করে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দল। দারুণ এই অর্জন নিয়ে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে ওমান থেকে দেশে ফিরে মেহরাব, রাকিব, আমিরুলরা। এদিন দুপুরেই বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ফ্যালকন হলে খেলোয়াড়দের সংবর্ধনা দেয় হকি ফেডারেশন। কিন্তু বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে প্রথমবারের মতো কোয়ালিফাই করা দলকে পুরস্কার হিসেবে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে মাত্র ৫ লাখ টাকা।

১৮ জন খেলোয়াড়, সঙ্গে একজন করে কোচ, ফিজিও ও ম্যানেজার মিলিয়ে যুব এশিয়া কাপে বাংলাদেশের বহর ছিল ২১ সদস্যের। সেই হিসেবে দারুণ এই অর্জনের সারথিরা জনপ্রতি পাবেন ২৪ হাজারেরও কম (২৩ হাজার ৮০৯.৫২ টাকা)। অথচ হকি খেলোয়াড়দের একজোড়া বুট কিনতেই লাগে প্রায় ২০ হাজার টাকা। হকিস্টিক কিনতে লাগে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। পুরস্কারের টাকায় তাই বুট কিংবা স্টিক, বড়জোড় যেকোনো একটি কিনতে পারবেন খেলোয়াড়রা। 

অথচ এই খেলোয়াড়দের বড় কোনো সম্মাননা দেওয়া হোক, এমনটাই চাচ্ছিলেন হকি অঙ্গনের সবাই। খবরের কাগজকে জাতীয় দলের ডিফেন্ডার আশরাফুল ইসলাম যেমন বলেছিলেন, ‘এই খেলোয়াড়দের যেন সর্বোচ্চ সম্মাননা দেওয়া হয়।’ যুব এশিয়া কাপে পঞ্চম হয়ে যুব বিশ্বকাপ নিশ্চিত করা খেলোয়াড়দের চাওয়াও বড় কিছুই ছিল। ফেডারেশনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরুর আগে দলের অন্যতম সেরা এক পারফর্মার খবরের কাগজকে বলেছিলেন, ‘আমরা বিশ্বকাপের মতো আসরে কোয়ালিফাই করে এসেছি। টিম গেমে ক্রিকেটের পর আমাদের হাত ধরে এত বড় সাফল্য এসেছে। আমরা আশাবাদী যে কিছু ঘোষণা আসবে।’ এই ঘোষণা বলতে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে বড় সংবর্ধনার কথা বোঝাচ্ছিলেন তিনি, ‘যেহেতু মেয়েরা সাফ গেমস জিতে এসে বড় সংবর্ধনা পেয়েছে। আমরা যেহেতু বিশ্বকাপ কোয়ালিফাই করে এসেছি, আমাদেরও তাই সংবর্ধনা দেওয়া উচিত।’ কিন্তু এখন পর্যন্ত যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বা সরকারের অন্য কোনো মহল থেকে এই খেলোয়াড়দের জন্য কোনো ঘোষণা আসেনি।

হকি ফেডারেশন যে সংবর্ধনা দিয়েছে, তাতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশন সভাপতি ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রথমে খেলোয়াড়দের প্রত্যেককে ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করে নেন তিনি। এরপর ১৫ মিনিটের মতো বক্তৃতায় খেলোয়াড়দের অর্জনের প্রশংসার পাশাপাশি তাদের উদ্দেশে বিভিন্ন বার্তা দেন। একই সঙ্গে হকি নিয়ে আগামী দিনের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন। এই খেলোয়াড়দের কীভাবে বিশ্বকাপের জন্য তৈরি করা হবে, সে নিয়েও প্রাথমিক পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। বলেন, বিশ্বকাপের আগে খেলোয়াড়দের ৬ মাসের ক্যাম্পে রাখতে চান তারা। ফেডারেশন সভাপতি তার বক্তৃতার একপর্যায়ে উল্লেখ করেন, ‘আমি একটি ভালো খবর দিয়ে শেষ করব।’ 

তার সেই ভালো খবরটিই ছিল যুব বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে ফেরা দলের জন্য ৫ লাখ টাকা পুরস্কার। তিনি ঘোষণাটি দিয়েছেন এভাবে- ‘তোমাদের এই অর্জনে আমরা খুশি হয়েছি। যদিও আমাদের আর্থিক অবস্থা এতটা ভালো না। এরপরও আমি তোমাদেরকে ৫ লাখ টাকা অনুদান ঘোষণা করছি। যাতে তোমরা এই বিজয়টাকে সুন্দরভাবে উদযাপন করতে পারো।’

পুরস্কারের যে অঙ্ক, তাতে খেলোয়াড়দের মধ্যে হতাশার ছবিটা ছিল স্পষ্ট। যদিও কোচ-খেলোয়াড়দের কেউই এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে রাজি হননি। তবে অনেকের সঙ্গেই কথা বলে এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে, তারা আরও বড় কিছুই আশা করেছিলেন। অন্তত বড় কোনো সংবর্ধনার ঘোষণা আসতে পারে, এমনও ভেবেছিলেন কেউ কেউ। আদতে যার হয়নি কিছুই। যে কারণে সবাই হতাশা নিয়েই বিমানবাহিনীর ফ্যালকন হল ছেড়েছেন।

গত মঙ্গল ও বুধবার টানা দুই দিনে দুটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার স্থান নির্ধারণী ম্যাচে থাইল্যান্ডকে ৭-২ গোলে হারানোর মাধ্যমে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করে যুবারা। বুধবার চীনকে ৬-৩ গোলে হারিয়ে নিশ্চিত করে প্রতিযোগিতার পঞ্চম স্থান। আগের টানা দুই দিন দুটি ম্যাচ খেলা, সঙ্গে বিমান ভ্রমণ, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে খেলোয়াড়দের চোখে-মুখে খানিকটা ক্লান্তির ছাপ উঁকি দিচ্ছিল। কিন্তু সবাই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বেশ উচ্ছ্বাস নিয়ে। খেলোয়াড়দের ইন্টারভিউ নেওয়ার প্রতিযোগিতাতেই মেতে উঠেছিল সংবাদকর্মীরা।

যুব এশিয়া কাপে পঞ্চম হওয়া বাংলাদেশকে যুব বিশ্বকাপের মঞ্চে অনেক বড় পরীক্ষা দিতে হবে। কারণ আগামী বছরের ডিসেম্বরে ভারতে হতে যাওয়া সেই আসরে খেলবে ইউরোপ, আমেরিয়ার সেরা সেরা সব দল। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দলের অন্যতম সেরা তারকা আমিরুল ইসলাম খবরের কাগজের সঙ্গে আলাপে বলেন, ‘এখন আমাদের দীর্ঘমেয়াদি ক্যাম্প প্রয়োজন। ইউরোপের দলগুলোর সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ দরকার। এগুলো করলে আমাদের দল আরও শক্তিশালী হবে।’ অধিনায়ক মেহরাব হাসানও কথা বলেছেন একই সুরে, ‘যত দ্রুত সম্ভব আমাদের অনুশীলন যেন শুরু করা হয় এবং বাইরের দেশের সঙ্গে প্র্যাকটিস ম্যাচের ব্যবস্থা করা হয়, এটাই চাওয়া থাকবে।’

যুবাদের ফাইনালে যাওয়ার মিশনে বাধা পাকিস্তান

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৪ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২৫ পিএম
যুবাদের ফাইনালে যাওয়ার মিশনে বাধা পাকিস্তান
ছবি : সংগৃহীত

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ ক্রিকেটকে ভারতের নিজস্বই বলা যায়। ১০ বারের আয়োজনে তাদের ঘরেই শিরোপা গিয়েছে সাতবার। এ ছাড়া পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথভাবে আছে একবার। এর বাইরে আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ জিতেছে একবার করে। ভারত শিরোপা জেতার পথে ফাইনালে এক শ্রীলঙ্কাকেই হারিয়েছে পাঁচবার। একবার করে হারিয়েছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে। যে দুবার তারা শিরোপা জিততে পারেনি, সেই দুবার তারা ফাইনালে উঠতে পারেনি। এই পরিসংখ্যানে যেকোনো দলই চাইবে ফাইনালের আগে ভারতকে মোকাবিলা না করতে। এখানে বাংলাদেশ অনেকটাই সফল বলা যায়। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বাংলাদেশ শিরোপা ধরে রাখার মিশনে পৌঁছে গেছে সেমিতে। সেখানে তারা এড়াতে পেরেছে ভারতকে। পেয়েছে পাকিস্তানকে। যারা যুবাদের আসরে এককভাবে কখনো শিরোপা জিততে পারেনি। ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে তৃতীয় আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। আজ দুবাইয়ে দুই দল মুখোমুখি হবে। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টায়। একই দিন শারজাহেতে অপর সেমিতে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও ভারত।

বাংলাদেশ সেমিতে জায়গা করে নিয়েছে ‘বি’ গ্রুপের রানার্সআপ হয়ে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে তারা শ্রীলঙ্কার কাছে ভালো অবস্থান থেকেও শেষ পর্যন্ত হেরে গিয়েছিল মাত্র ৭ রানে। শ্রীলঙ্কাকে ২২৮ রানে আটকে দিয়ে একপর্যায়ে তাদের রান ছিল ৩ উইকেটে ৩৯ ওভারে ১৭২। সেখান থেকে তারা ২২১ রানে অলআউট হয়ে নিশ্চিত জেতা ম্যাচ হাতছাড়া করেছিল। জিতলে বাংলাদেশকে আজ খেলতে হতো ভারতের বিপক্ষে। ভারত গ্রুপ রানার্সআপ হয়েছে আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের কাছে ৪৩ রানে হেরে। শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান পূর্ণ ৬ পয়েন্ট করে নিয়ে এবং বাংলাদেশ ও ভারত ৪ পয়েন্ট করে নিয়ে নিজ নিজ গ্রুপ থেকে সেমিতে উঠে আসে।

সেমিতে ভারতকে এড়াতে পারলেও পাকিস্তানকে হালকাভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই আজিজুল হাকিম তামিমের দলকে। কারণ গ্রুপ পর্বে পাকিস্তান ভারতের পর অপর দুই প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জাপানকেও পাত্তা দেয়নি। ব্যাট হাতে দারুণ ফর্মে আছেন তাদের ওপেনার শাহজিবজ খান। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচের দুটিতেই হাঁকিয়েছেন সেঞ্চুরি। ভারতের বিপক্ষে রান করার পর আরব আমিরাতের বিপক্ষে করেন ১৩২ রান। জাপানের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে না নেমে ছয়ে নেমে ৪৫ রান করেছিলেন। তিন ম্যাচে ৩৩৬ রান করে সবার থেকে অনেক এগিয়ে তিনি আছেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীর তালিকায়। ১৯৯ রান করে দুয়ে থাকা মোহাম্মদ রিয়াজউল্লাহও পাকিস্তানি। মিডল অর্ডারের এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে এসেছে একটি করে সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরি।     ব্যাট হাতে বাংলাদেশের ভরসার নাম অধিনায়ক আজিজুল হাকিম। আফগানিস্তানের বিপক্ষে আসরের উদ্বোধনী ম্যাচেই তার ব্যাট থেকে এসেছিল ১০৩ রান। পরের ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে করেছিলেন অপরাজিত ৫২ রান। ১৬৩ রান করে তিনি আছেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীর তালিকায় ছয়ে। ২ রান কম করে পাঁচে থাকা কলিম সিদ্দিকিও লাল-সবুজের প্রতিনিধি। কোনো সেঞ্চুরির দেখা না পেলেও দুটি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। 

বল হাতে ৯ উইকেট নিয়ে সর্বাধিক উইকেট শিকারির তালিকায় আছেন আবার বাংলাদেশের ডানহাতি পেসার আল ফাহাদ। ১ উইকেট কম নিয়ে তার পেছনেই আছেন আবার পাকিস্তানের পেসার আব্দুল সোবহান। বল হাতে ভালো করেছেন বাংলাদেশের অপর দুই পেসার ইকবাল হোসেন ইমন ও মো. রিজান হোসেন। ইকবাল ৬টি ও রিজান ৫টি উইকেট পেয়েছেন। গ্রুপ পর্বে দুই দলই তাদের সবগুলো ম্যাচ খেলেছে দুবাইয়ে। পাকিস্তান সবগুলো ম্যাচই জিতেছে আগে ব্যাট করে। বাংলাদেশের এখানে আবার মিশ্র অনুভূতি। প্রথম ম্যাচ আগে ব্যাট করে ও দ্বিতীয় ম্যাচ পরে ব্যাট করে জিতলেও শেষ ম্যাচ পরে ব্যাট করে জিততে পারেনি। 

যুব এশিয়া কাপের ইতিহাসে এর আগে ২০১৭ সালে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান একবারই মাত্র মুখোমুখি হয়েছিল সেমিতে। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশ মাত্র ২ রানে হেরেছিল।