ঢাকা ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪
English
বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সিরিজ জয়ের লড়াই

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ পিএম
আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৬ পিএম
সিরিজ জয়ের লড়াই
ছবি : সংগৃহীত

অস্তিত্ব রক্ষার ম্যাচে শেষ পর্যন্ত জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের চেয়ে ওয়ানডেতে বাংলাদেশ যে তুলনামূলক ভালো, সেটিও ফুটে উঠেছে। শারজাহর মরুর বুকে রাতে ফ্লাড লাইটের আলোতে জয়ের ফুল ফুটানোর পর হেমন্তের হালকা কুয়াশায় শিশির ভেজা যে সকাল বাংলার আকাশে দেখা দেয়, সেটি ছিল আবার ক্রিকেটে অঙ্গনে একটি বিশেষ দিন। ২০০০ সালের ২৬ জুন টেস্ট পরিবারের সদস্য হওয়ার পর ১০ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলেছিল তাদের অভিষেক টেস্ট। সেই টেস্টে ভালো করার সম্ভাবনার আলো জ্বালিয়ে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত হেরেছিল ৯ উইকেটে। দুই যুগপূর্তিতে মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে বিসিবির পক্ষ থেকে কোনো রকমের বিশেষ আয়োজন ছিল না এই দিনটিতে। কিন্তু আলোচনায় জায়গা করে নিয়েছিল আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাওয়া জয়টি।

কারণ প্রথম ম্যাচে ৯২ রানে হেরে ব্যাকফুটে ছিল বাংলাদেশ। শুধু হারের ব্যবধানই যে বড় ছিল, তা কিন্তু নয়। ব্যাটিং ব্যর্থতার মহামারিও মর্মান্তিকভাবে ফুটে উঠেছিল। আফগানিস্তানের করা ২৩৫ রানের জবাব দিতে নেমে মাত্র ২৩ রানে শেষ ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলদেশের তল্পিতল্পা। মূলত টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডেতেও ব্যাটিং ব্যর্থতা ভয়ংকরভাবে ফুটে উঠার কারণেই দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয় পাওয়া নিয়ে সবার মনেই শঙ্কার কালো মেঘ দানা বেঁধে উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত কালো মেঘ কেটে গিয়ে দেখা মিলে ৬৮ রানের জয়ের সূর্যের। যা নিয়ে আসে সিরিজে সমতা। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজের শেষ ম্যাচটি হয়ে উঠেছে দুই দলের জন্য অলিখিত ‘ফাইনাল’। শারজাহতেই আজ বিকেল ৪টায় শুরু হবে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটি।

শারজাহতে এবারের সিরিজের দুটি ম্যাচেই আগে ব্যাট করা দল জয়ী হয়েছে। দুবারই টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিতীয়বার ভাবতে হয়নি অধিনায়কদের। আধুনিক ওয়ানডে ক্রিকেটে ৩০০ রানও নিরাপদ নয়। কিন্তু শারজাহতে এই রান আশাই করা যাচ্ছে না। কারণ আফগানিস্তান প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করে ২৩৫ রানে অলআউট হয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২৫২ রান করতে পেরেছিল। আবার আরেকটি মিল আছে এই দুই ম্যাচে। রান তাড়া করতে নেমে ২০০ রান করতে পারেনি কোনো দলই। বাংলাদেশ ১৪৩ ও আফগানিস্তান ১৮৪ রানে অলআউট হয়েছিল। এই দুই ম্যাচের আলোকে তাই তৃতীয় ম্যাচকে সামনে রেখে অনায়েসেই বলা যায়, টস জিতে আগে ব্যাট করে আড়াই শ রানের ওপরে করতে পারলে, তা হয়ে উঠবে অনেক নিরাপদ। 

প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ জয়ের দুয়ার থেকে ফিরে এসেছে। ২৩৫ রান তাড়া করতে নেমে ২ উইকেটে ১২০ রান থেকে ১৪৩ রানে অলআউট হয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচেও বাংলাদেশ ভালো সূচনা করেও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল। ২ উইকেটে ১৫২ রান থেকে ৬ উইকেটে দাঁড়ায় ১৮৪। সেখান থেকে অলআউট না হয়ে দলের রানকে আড়াই শ পার করে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন মূলত সিরিজে প্রথমবারের মতো খেলতে নামা নাসুম আহমেদ ও জাকের আলী। নাসুম আহমেদ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর দ্বিতীয় ম্যাচেই প্রথম মাঠে নেমেছিলেন। জাকের আলীর ছিল অভিষেক ম্যাচ। জাকের ২৭ বলে ৩ ছক্কা ও ১ চারে অপরাজিত ৩৭ ও নাসুম ২৪ বলে ২ ছক্কা ও ১ চারে ২৫ রান করেছিলেন। নাসুম পরে বল হাতে ৮.৩ ওভারে মাত্র ২৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলারও ছিলেন। 

দুটি ম্যাচেই কিন্তু বাংলাদেশের মিডল অর্ডার পুরোপুরি ব্যর্থ ছিল। মিরাজ, মাহমুদউল্লাহ তাওহিদ হৃদয় নামের প্রতি মোটেই সুবিচার করতে পারেননি। অফ ফর্মে থাকা সৌম্য সরকার আবার দুটি ম্যাচেই মোটামুটি ভালো করেছেন যথাক্রমে ৩৩ ও ৩৫ রান করে। তানজিদ তামিম প্রথম ম্যাচে ৩ রান করলেও পরের ম্যাচ ১৭ বলে ১ ছক্কা ও ৩ চারে ২২ রান করেছিলেন। তবে এই দুটি ম্যাচেই সবচেয়ে সফল ছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দুই ম্যাচেই তিনি ছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। প্রথম ম্যাচে ৪৭ রান করার পর দ্বিতীয় ম্যাচ করেন ৭৬ রান। দল জয়ী হওয়াতে অধিনায়ক নাজমুল খুশি হলেও নিজের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট নন বলে জানান তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচের ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার পাওয়ার পর তিনি জানিয়েছেন তার আরও লম্বা সময় ব্যাটিং করা উচিত ছিল। 

দুটি ম্যাচেই বাংলাদেশের পেসাররা ভালোভাবেই উতরে গেছেন। বিশেষ করে প্রথম ম্যাচে। তাসকিন ও মোস্তাফিজ ৪টি করে ও শরিফুল ১টি উইকেট নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে তাসকিন ও শরিফুল ১টি করে মোস্তাফিজ ২টি উইকেট নিয়েছেন। এই ম্যাচে আবার বেশি সময় ছিলেন স্পিনারার। নাসুম ছাড়া মিরাজ নেন ২ উইকেট।

দুই দলের এটি চতর্থ দ্বিপক্ষীয় সিরিজ। আগের তিন সিরিজের প্রথম দুটিতে বাংলাদেশ জিতেছিল ২-১ ব্যবধানে। তৃতীয় সিরিজ আফগানিস্তান জিতেছিল আবার একই ব্যবধানে। চলমান সিরিজ যে দলই জিতুক, ব্যবধানে হবে আগের মতোই ২-১?

জুনিয়র এশিয়া কাপ হকি চীনকে হারিয়ে পঞ্চম বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২০ পিএম
চীনকে হারিয়ে পঞ্চম বাংলাদেশ
ছবি: সংগৃহীত

জুনিয়র এশিয়া কাপ হকিতে চীনকে হারিয়ে পঞ্চম হয়েছে বাংলাদেশ। ওমানের মাসকাটে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) পঞ্চম-ষষ্ঠ স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ৬-৩ গোলের জয় তুলে নিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ফলে পঞ্চম হয়ে প্রতিযোগিতায় নিজেদের মিশন শেষ করল মওদুদুর রহমান শুভর দল।

মঙ্গলবার থাইল্যান্ডকে হারিয়ে পঞ্চম-ষষ্ঠ স্থান নির্ধারণী ম্যাচে কোয়ালিফাই করেছিল বাংলাদেশ। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো যুব বিশ্বকাপে খেলাও নিশ্চিত হয় তাদের।

যুব এশিয়া কাপের এই আসর থেকে সেরা ৭টি দল আগামী বছর অনুষ্ঠিত যুব বিশ্বকাপে খেলবে। বাংলাদেশ ১০ দলের মধ্যে পঞ্চম হয়ে আসর শেষ করল। 

প্রথম কোয়ার্টারের খেলা ১-১ সমতায় শেষ হলেও দ্বিতীয় কোয়ার্টারে বাংলাদেশ আধিপত্য দেখায়। চীন এক গোল পেলেও বাংলাদেশ আদায় করে তিন গোল। সুবাদে ৪-২ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় তারা।

তৃতীয় কোয়ার্টারে গোল আদায় করে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছিল চীন (৪-৩)। কিন্তু চতুর্থ কোয়ার্টারে বাংলাদেশ দুই গোল আদায় করে (৬-৩) ম্যাচ নিজেদের করে।

বাংলাদেশের পক্ষে তিনটি করে গোল করেন মো. হাসান ও আমিরুল ইসলাম। শেষ কোয়ার্টারে বাংলাদেশের দুটি গোলই করেন মো. হাসান। ম্যাচের প্রথম গোলটিও এসেছিল তার স্ট্রিক থেকে। তার তিনটি গোলই এসেছে ফিল্ড গোল থেকে। আর আমিরুল তার তিনটি গোলই করেছেন পেনাল্টি কর্নার থেকে।

চা শ্রমিকের বেশে দুই অধিনায়কের ফটোসেশন

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২২ পিএম
আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২৩ পিএম
চা শ্রমিকের বেশে দুই অধিনায়কের ফটোসেশন
ছবি : মামুন হোসেন

সিলেটে কোনো সিরিজ আয়োজিত হলেই দুই অধিনায়কের ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন হয় চা বাগানে। তবে এবার চা বাগানে অন্য আঙ্গিকে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড নারী দলের দুই অধিনায়কের ফটোসেশন হয়েছে টি টোয়েন্টি সিরিজকে সামনে রেখে। 

আগামীকাল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে তিন ম্যাচে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটি। সেই সিরিজকে সামনে রেখে চা শ্রমিকদের বেশে ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করেছে বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও  আয়ারল্যান্ড নারী দলের অধিনায়ক গ্যাবি লুইস।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ১৭০ বছরের পুরোনো সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মালনীছড়া চা বাগানে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের ট্রফি উন্মোচন করেন দুই অধিনায়ক।

সিরিজের প্রথম ম্যাচ আগামীকাল। বাকি দুই ম্যাচও হবে একই ভেন্যুতে ৭ ও ৯ ডিসেম্ব। 

এর আগে ঢাকায় তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে সফরকারী আয়ারল্যান্ড।

পুত্র সন্তানের বাবা হলেন মোস্তাফিজ

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১২ পিএম
পুত্র সন্তানের বাবা হলেন মোস্তাফিজ
ছবি : সংগৃহীত

২০১৯ সালে মামাতো বোন সামিয়া পারভীন শিমুর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। এবার তাদের ঘরে এসেছে নতুন অতিথি। এই দম্পতির ঘর আলো করে জন্ম নিয়েছে পুত্র সন্তান।

বিয়ের সাড়ে পাঁচ বছর পর বাবা হওয়ার খবরটি নিজেই জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ভেরিফায়েড পেজে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে।

সেই পোস্টে তিনি সুখবর জানিয়ে মা ও নবাগত সন্তানের সুস্থ থাকার খবরটিও জানিয়েছেন। দোয়াও চেয়েছেন তিনি সেই পোস্টে।

এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ থেকে পারিবারিক কারণে ছুটি নিয়েছিলেন মোস্তাফিজ। সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকতেই ছুটি নিয়েছিলেন। 

গোলউৎসব করে বার্সার জয়ে ফেরা

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৬ পিএম
গোলউৎসব করে বার্সার জয়ে ফেরা
ছবি : সংগৃহীত

লা লিগায় সাম্প্রতিক ফর্মটা সুখকর ছিল না বার্সেলোনার। সবশেষ তিন ম্যাচের মধ্যে দুটিতেই হেরেছে ক্লাবটি আর ড্র কেবল এক ম্যাচ। মৌসুমের শুরু থেকে দারুণ ফর্মে থাকা দলটি হুট করেই হয়ে পড়ে ছন্দহীন। তবে এবা জয়ের ধারায় ফিরেছে দলটি গোলউৎসবে মায়োর্কার বিপক্ষে বড় জয় পেয়ে।

হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচে জিতেছে ৫-১ গোলের ব্যবধানে। এ জয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষস্থান আপাতত সুসংহত থাকল দলটির। 

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) মায়োর্কার মাঠেই এই বিশাল জয় পায় বার্সেলোনা। এই জয়ে জোড়া গোল এসেছে রাফিনহার পা থেকে এবং একটি করে গোল করেন ফেরান তোরেস, ডি ইয়ং এবং পাও ভিক্তর। 

মায়োর্কার মাঠে সফরকারীরা এগিয়ে যায় প্রথমার্ধেই। ১২ মিনিটে ফেরান তোরেসের গোল ম্যাচে লিড এনে দেয় বার্সাকে। তবে বিরতিতে যাওয়ার আগেই ৪৩ মিনিটে স্বাগতিকরা ম্যাচে সমতা ফেরায় মারিকির গোলে।

বিরতি থেকে ফিরে ৫৬ মিনিটে আরেকবার এগিয়ে যায় বার্সা। ইয়ামালকে বক্সে ফেলে দেন মায়োর্কার এক ডিফেন্ডার। ফলে পেনাল্টি পেয়ে বার্সাকে এগিয়ে নেন রাফিনহা। ৭৪ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল পূর্ণ করেন এই ব্রাজিলিয়ান ইয়ামালের চমৎকার পাস কাজে লাগিয়ে।

ডি ইয়ং বলদি নেমে ৭ মিনিটের মাথায় ম্যাচের ৭৯ মিনিটে পেয়ে যান জালের দেখা। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার বক্সের ভেতর বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে বল জালে পাঠান ডাচ মিডফিল্ডার। 

পরে ৮৪ মিনিটে আরেকটি গোলের দেখা পায় বার্সেলোনা। সেই গোলে কাট-ব্যাকে অ্যাসিস্ট করে ৭৩ মিনিটে ফেরানের বদলি নামা ভিক্টর। ৫-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা। 

১৬ ম্যাচে শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার পয়েন্ট ৩৭। ১৪ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ।

আরও সিরিজসেরা হওয়ার প্রত্যয় তাসকিনের

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪০ পিএম
আরও সিরিজসেরা হওয়ার প্রত্যয় তাসকিনের
ছবি : সংগৃহীত

দ্বিতীয় টেস্টে ১০১ রানের ব্যবধানে জিতে ১৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের মাঠে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে ১-১ সমতায় সিরিজ শেষ হয়েছে। দারুণ পারফরম্যান্স করে উইন্ডিজের জেইডেন সিলসের সঙ্গে যৌথভাবে সিরিজসেরা হয়েছেন তাসকিন আহমেদ।

প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ ২০১ রানের বড় ব্যবধানে হারলেও তাসকিন বল হাতে ভালো করেছিলেন। প্রথম ইনিংসে ২ উইকেট শিকারের পর দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ফাইফার। ৬৪ রানে ৬ উইকেট শিকার করে সেই টেস্টে মোট ১০ উইকেট শিকার করেন তিনি। লাল বলের ক্রিকেটে যা কিনা তাসকিনের ক্যারিয়ারসেরা বোলিং।

দ্বিতীয় টেস্টে নাহিদ রানা ও তাইজুল দুই ইনিংসে শিকার করেন ফাইফার। দ্বিতীয় ইনিংসের ফাইফারে ম্যাচসেরা হয়েছেন তাইজুল। এই দুই বোলারের ছায়াও থাকলেও দুই ইনিংস মিলিয়ে তাসকিনের শিকার ৩ উইকেট। 

অ্যান্টিগা ও জ্যামাইকায় সবমিলিয়ে তাসকিনের শিকার ১১ উইকেট। টেস্ট সিরিজে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকার করেছেন তিনি। ১টি উইকেট কম শিকার করলেও ১০ উইকেট ঝুলিতে থাকা সিলস শতাব্দীর সেরা হাড়কিপটে বোলিংয়ে ভাগ বসিয়েছেন তাসকিনের কীর্তিতে।

২০১৭ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া তাসকিন প্রথমবারের মতো হয়েছেন সিরিজসেরা। এমন কীর্তিতে তাই তার উচ্ছ্বাসের মাত্রাটাও একটু বেশিই। প্রথমবার এমন স্বীকৃতির অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তাসকিন জানালেন, আল্লাহ চাইলে ভবিষ্যতে এমন অর্জন আরও আসবে।

ঊচ্ছ্বসিত্ন তাসকিন বলেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, এটা অনেক বড় অর্জন। আমরা টেস্ট সিরিজ ড্র করলাম। ওদের কন্ডিশনে অনেক বড় বড় দলও ভোগান্তিতে পড়ে। আমরা একটু কঠিন সময় পার করছিলাম। পাকিস্তানের মাটিতে পাকদের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর আমরা কয়েকটি সিরিজ হেরে যাওয়াতে মানসিকভাবে দমে গিয়েছিলাম। তবে শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি।’

সিরিজসেরা হওয়ার অনুভূতিও প্রকাশ করেছেন তাসকিন, ‘দুটি ম্যাচেই আমি আমার সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করেছি। এবং আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহতায়ালা আমাকে এই পুরস্কার দিয়েছেন ম্যান অব দা সিরিজ হিসেবে। ইনশাআল্লাহ, ম্যানি মোর টু কাম (আরও অনেক আসবে)।’

পেসারদের সাধারণত ক্যারিয়ারজুড়েই লড়াই করতে হয় চোটের সঙ্গে। তাসকিন নিজেও পড়েছেন বেশ কয়েকবার চোটে। দিনকয়েক আগে সেরে উঠেছেন কাঁধের চোট থেকে। সে প্রসঙ্গে তাসকিন বলেছেন, ‘আমি আমার কাঁধের সমস্যা কাটিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ফেরার অনেক চেষ্টা করছিলাম। এখন আগের চেয়ে ভালো আছে (অবস্থা)। আশা করছি, আল্লাহ চাইলে এমন অনেক বড় অর্জন হবে সামনে।’