ঢাকা ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
English

সাক্ষাৎকারে প্রান্তি ছাদখোলা বাসে অনেক আনন্দ করেছি

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০০ পিএম
আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৮ পিএম
ছাদখোলা বাসে অনেক আনন্দ করেছি
ছবি : সংগৃহীত

বয়সভিত্তিক দলে আলো ছাড়ানো আফঈদা খন্দকার প্রান্তি এখন সিনিয়র জাতীয় দলেরও প্রাণভোমরা হয়ে উঠেছেন। এবার প্রথমবারের মতো সিনিয়র সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ দলের অংশ হয়েছিলেন তিনি। প্রথমবারই পেয়েছেন শিরোপার স্বাদ। সাতক্ষীরা থেকে উঠে আসা এই ডিফেন্ডার খবরের কাগজের মুখোমুখি হয়ে দল ও নিজের সাফল্য নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ক্রীড়া প্রতিবেদক তোফায়েল আহমেদ

খবরের কাগজ: প্রথমবার সাফ খেলতে গিয়েই চ্যাম্পিয়ন হলেন। কেমন লাগছে?

প্রান্তি: এটা আমার জীবনের প্রথম সিনিয়র সাফ ছিল। আগে তো জুনিয়র পর্যায়ে মোটামুটি সব প্রতিযোগিতাই খেলা হয়ে গিয়েছিল। শুধু সিনিয়র সাফটা বাকি ছিল। ইচ্ছে ছিল যে সিনিয়র সাফ খেলব। প্রথমবার গিয়েই চ্যাম্পিয়ন, এটা খুব আনন্দের।

খবরের কাগজ: সিনিয়র সাফ কতটা কঠিন মনে হলো?

প্রান্তি: অন্যান্য (জুনিয়র) সাফের থেকে এটা তো অবশ্যই আলাদা। বয়সভিত্তিকে আমরা যেগুলো খেলেছি, সেগুলোও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল। তবে সিনিয়র সাফে যতটা ছিল, ঠিক ততটা ছিল না। এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচই যেমন অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে। এরপর ভারতের সঙ্গে… সবার সঙ্গেই। সিনিয়র দলে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা বেশি থাকে।

খবরের কাগজ: চাপটাও নিশ্চয়ই অনেক বেশি থাকে?

প্রান্তি: হ্যাঁ, যেহেতু প্রথমবার সিনিয়রদের সঙ্গে সাফ খেলেছি। এর আগে সিনিয়র জাতীয় দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচও খেলেছি। চাপ একটু বেশিই ছিল। আর সবাই বলত, আঁখি আপু (ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন) নেই। আঁখি আপুর জায়গায় আমি খেলছি। আমি কীভাবে ভালো খেলতে পারব, এটা মাথার ভেতরে বেশি কাজ করত। যেন মানুষ খারাপ বলতে না পারে। আমি আঁখি আপুর জায়গা কভার করতে পারিনি, এটা যেন বলতে না পারে। এটাই মাথার মধ্যে ছিল। এখন তো রেজাল্টই বলে দিচ্ছে, অভাব ছিল কি ছিল না।

খবরের কাগজ: সব মিলিয়ে নিজের পারফরম্যান্সে আপনি কতটা খুশি?

প্রান্তি: নিজের পারফরম্যান্সে আমি অনেক খুশি। যতটা আশা করিনি, তার থেকেও অনেক কিছু পেয়েছি। এ জন্য আল্লাহর কাছে সব সময় শুকরিয়া জানাই।

খবরের কাগজ: এবারের আসরে আপনার নিজের কাছে সেরা ম্যাচ কোনটি?

প্রান্তি: ভারতের সঙ্গের ম্যাচটি। যেটা আমরা ৩-১-এ জিতে গ্রুপসেরা হয়ে সেমিফাইনালে উঠলাম।

খবরের কাগজ: এটা কি ওই ম্যাচে গোল করেছেন বলে?

প্রান্তি: ঠিক সে জন্য না। ওই ম্যাচ আসলে আমাদের জন্য এক কঠিন পরীক্ষা ছিল। পাকিস্তানের সঙ্গে প্রথম ম্যাচ খেলি আমরা। ম্যাচটা ১-১ গোলে ড্র হয়। ভারতের সঙ্গে ম্যাচটা এমন ছিল যে, আমাদের সেমিফাইনাল অনিশ্চিত হয়ে যেতে পারত। সব মিলিয়ে পুরো টুর্নামেন্টে ওই ম্যাচটা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

খবরের কাগজ: পাকিস্তান ম্যাচের পর অনেক সমালোচনাও তো ঘিরে ধরেছিল আপনাদের। সেখান থেকে বেরিয়ে যে এত সুন্দর ফুটবল উপহার দেওয়া, এটা কীভাবে সম্ভব হলো?

প্রান্তি: আমরা সবাই মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম। সবকিছু আসলে মাথার ওপর নির্ভর করে। মাথা যদি দুর্বল থাকত তাহলে আমরা খেলতে পারতাম না। মানসিকভাবে আমরা অনেক শক্তিশালী ছিলাম বলে সব কিছু ভুলে গিয়ে মাঠেই শুধু ফোকাস দিয়েছি। যে কারণে রেজাল্ট বের হয়ে এসেছে।

খবরের কাগজ: দেশে ফেরার পর তো অনেক অভিনন্দন পাচ্ছেন। বাফুফেও আপনাদের অনেক টাকা পুরস্কার ঘোষণা করল। এই যে মানুষের ভালোবাসা, কেমন লাগছে?

প্রান্তি: সংবর্ধনা, অভিনন্দন পেলে তো ভালোই লাগে। যখন আমরা ভালো করি, দেশের মানুষ তখন উৎসাহিত করেন। এটা অবশ্যই ভালো লাগার। নেপাল থেকে ফেরার পর বিমানবন্দর থেকে বাফুফেতে আসার সময় অনেক মানুষ আমাদের দেখতে এসেছিলেন। এগুলো ভালো লাগে। দেশের জন্য কিছু করলে দেশ যেন আমাদের জন্য করে, এটাই তো আমরা চাই।

খবরের কাগজ: দুই বছর আগে বাংলাদেশ যখন প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হলো, তখন সবাইকে ছাদখোলা বাসে বিমানবন্দর থেকে বাফুফেতে আনা হয়। এবার আপনাদের জন্যই একই ব্যবস্থা ছিল। প্রথমবার যখন এটা করা হয়েছিল, আপনার নিজের মধ্যে কি এই স্বপ্নটা তৈরি হয়েছিল যে, পরের বার যেন আমিও এমনটি করতে পারি?

প্রান্তি: এটা তো কাজ করেছেই। মনের মধ্যে ছিল আমরাও সিনিয়র সাফে খেলব। যদি জিততে পারি তাহলে অবশ্যই আমাদের ছাদখোলা বাসে তোলা হবে। এটা আমাদের শখ ছিল যে ছাদখোলা বাসে উঠব। চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছি বলে আমরা উঠতেও পেরেছি। এ জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া সব সময়। তিনি চেয়েছেন বলেই হয়েছে। খুশি ছিলাম ওই দিন। ছাদখোলা বাসে আনন্দও করেছি অনেক।

খবরের কাগজ: ফুটবলার হওয়ার পেছনে আপনার বাবার অনেক অবদান। তো বাবা কতটা খুশি?

প্রান্তি: আমার ফুটবলার হওয়ার পেছনে পুরো অবদানই আসলে বাবার। বাবা অনেক খুশি। আমরা যখন ফাইনালে উঠি, তখনই বাবা খুশিতে আমার জন্য, মা ও আপুর জন্য ড্রেস কিনে রেখেছেন। এখনো অবশ্য বাড়ি যাওয়া হয়নি। তাই ড্রেসটা পাওয়া হয়নি। তবে বাবা দেখা করতে এসেছিলেন।

খবরের কাগজ: আপনার বোনও খেলোয়াড়?

প্রান্তি: আমার বড় বোন আফরা খন্দকার বক্সিং খেলোয়াড়। সামনেই ওর প্রফেশনাল বক্সিংয়ে খেলা আছে। আমার মতো আপুও বিকেএসপি থেকে বের হয়েছেন। এখন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন।

খবরের কাগজ: সাফ চ্যাম্পিয়ন হলেন। সামনের লক্ষ্য কী?

প্রান্তি: ফেব্রুয়ারিতে আমাদের অনূর্ধ্ব-২০ দলের সাফ খেলা আছে। সেটার জন্য তৈরি হব। লক্ষ্য থাকবে সেখানে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার।

খবরের কাগজ: সিনিয়র সাফে খেললেন। বড় মঞ্চটাও বোঝা হলো। নিজেকে নিয়ে সামনের স্বপ্ন কী?

প্রান্তি: দেশের হয়ে আরও অনেক দিন খেলতে চাই। দেশকে আরও ট্রফি দেওয়ার ইচ্ছা আছে। নিজের জন্য চাই বাইরের দেশে লিগ খেলতে। যেমন সাবিনা আপু, ঋতু আপুরা খেলছেন। আমারও এ ধরনের ইচ্ছা আছে। ইন্শাআল্লাহ, আমিও একদিন যাব খেলতে।

খবরের কাগজ:  সাবিনা খাতুন আপনার এলাকার। তিনি দীর্ঘদিন দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আপনি বষয়ভিত্তিক দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। জাতীয় দলের অধিনায়ক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন?

প্রান্তি: এটা তো দেখিই। এখন কতদূর হয়…। আল্লাহপাক যদি চান, তাহলে অবশ্যই হবে।

এবার মনিটরিং কমিটিই ভেঙে দিল বাফুফে!

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০২ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২১ পিএম
এবার মনিটরিং কমিটিই ভেঙে দিল বাফুফে!
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)

হঠাৎ করেই ২৯টি জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কমিটি বিলুপ্ত করে দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। 

গত বুধবার (১১ ডিসেম্বর) নির্বাহী কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয় তাবিথ আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিটি। এ নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

বাফুফে থেকে বলা হয়েছিল, তাদের দ্বারা গঠিত ‘ডিএফএ মনিটনিং কমিটি’র সুপারিশের ভিত্তিতে এই কমিটিগুলো ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

মনিটরিং কমিটি নাকি এই ডিএফএগুলোর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে- এক মাসও হয়নি বাফুফের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে এই কমিটিগুলোর দ্বারা নির্ধারিত কাউন্সিলররা ভোটও দিয়েছেন।

তখন সব ঠিক থাকলেও নির্বাচন শেষ হতেই কমিটিগুলো ভেঙে দেওয়া ভিন্ন কিছুই ইঙ্গিত দেয়।

এ সব নিয়ে যখন আলোচনা-সমালোচনা চলছে, তখন জানা যাচ্ছে আরও এক মজার তথ্য। যে মনিটরিং কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে কমিটিগুলো বিলুপ্ত করা হয়েছিল, এবার সেই মনিটরিং কমিটিই নাকি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

যদিও বাফুফের সেই মনিটরিং কমিটি ছিল মাত্র এক সদস্যের। অর্থাৎ এটিকে ঠিক কমিটি বলারও উপায় নেই। এই মনিটরিং কমিটির দায়িত্বে ছিলেন রাজবাড়ী ডিএফএর এবিএম মঞ্জুরুল আলম দুলাল।

উল্লেখ্য, বাফুফে কোন কোন ডিএফএর কমিটি বিলুপ্ত করেছে, তার কোনো তালিকাও এখন পর্যন্ত প্রকাশ করেনি। সবকিছুতেই যেন এক লুকোচুরি খেলায় মেতেছে সংস্থাটি।

নাবিল/এমএ/

এনসিএল টি-টোয়েন্টি তামিমের ব্যাটে চট্টগ্রামের জয়

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৪ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৫ পিএম
তামিমের ব্যাটে চট্টগ্রামের জয়
ছবি : সংগৃহীত

আগের ম্যাচে চট্টগ্রাম হেরেছিল ৫ উইকেটে। ৭ মাস পর মাঠের ক্রিকেটে ফিরে তামিম ইকবালের ব্যাটে এসেছিল মাত্র ১৩ রান। তবে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই দাপুটে ইনিংস খেললেন তামিম। ৩৩ বলে করেছেন ৬৫ রানের ঝোড়ো এক ইনিংস। তার ব্যাটে ভর করেই ১২ রানের জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ ১২ রানে সিলেটের বিপক্ষে।

৮ চার ও  ৩ ছক্কায় তার এই ইনিংসটি সাজানো ছিল। প্রথম ম্যাচে ১৩ রানে আউট হওয়ার পর এই ইনিংসটি তার জন্য স্বস্তির। একইভাবে ম্যাচটি স্বস্তির তার দলের জন্যেও। 

কুয়াশার কারণে সকালবেলার ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ের চেয়েও দেরিতে শুরু হওয়ায় ১৫ ওভারে হয় ম্যাচটি। যেখানে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট খরচায় ১৪৫ রানের পুঁজি পায় চট্টগ্রাম। 

যার জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৪.২ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে সিলেট তুলতে পেরেছে ১৩৩ রান। সিলেটের হয়ে তৌফিক খান তুষার ৩৬ বলে ৭৬ রান করেও ঠেকাতে পারেননি পরাজয়।

চট্টগ্রামের বোলারদের মধ্যে নাঈম হাসান ও হাসান মুরাদের শিকার ৩টি করে উইকেট। ৩৩ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন চট্টগ্রামের তামিম ইকবাল।

এনসিএল টি-টোয়েন্টি রান আউটের হ্যাটট্রিকে ১ রানের জয় খুলনার

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৩ পিএম
রান আউটের হ্যাটট্রিকে ১ রানের জয় খুলনার
ছবি : সংগৃহীত

বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারেনি খুলনা বিভাগ। ১৩০ রানের সংগ্রহেও শেষ তিন বলে রান আউটের হ্যাটট্রিকে জয় পেয়েছে নুরুল হাসান সোহানের দল ১ রানে। শেষ ৩ বলে বরিশাল বিভাগের যখন ২ রান দরকার, তখন টানা ৩ ব্যাটারকে রানআউট করে নাটকীয়ভাবে ম্যাচ জিতে নিয়েছে খুলনা।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান তোলে খুলনা বিভাগ। 

দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রান আসে ওপেনার এনামুল হক বিজয়ের ব্যাট থেকে। ১৭ রানা সে জিয়াউর রহমানের ব্যাট থেকে।

ছোট লক্ষ্য জবাব দিতে নেমে ওপেনার আব্দুল মজিদ দলের হাল ধরেন ব্যাটিং ধসে। একের পর এক ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে তার ৫১ রানই দলের সর্বোচ্চ। তিনি যখন আউট হন তখন ১১৩ রানে ৬ উইকেট হারায় বরিশাল ১৮.২ ওভারে। 

মাঝে মঈন খান ২৭ বলে ৪৩ রানের ইনিংসেও এগোচ্ছিল দলটি। তবে তিনি স্ট্রাইক না পাওয়ায় ও শেষ ওভারের ৩ বলে রান আউটের হ্যাটট্রিকের নাটকীয়তায় হারতে হয়েছে ১ রানে।

শেষ বরিশালের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৯ রান। প্রথম তিন বলে ৭ রান চলে আসে। যার মধ্যে প্রথম বলে লেগ বাই, দ্বিতীয় বলে মঈন খান সিঙ্গেল নেন। তৃতীয় বলে চার মারেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। 

কিন্তু শেষ তিন বলে রাব্বি, তানভির ও রুয়েল রান আউট হলে জয়ের একেবারে কাছে গিয়েও আর জেতা হয়নি বরিশালের। সোহানের দারুণ এক থ্রোতে শেষ বলে নন স্ট্রাইক প্রান্তে রান আউট করেন সোহান। মাঝে একটি বল ওয়াইড হলে শেষ বলে জিততে ২ ও টাই করতে ১ রান দরকার ছিল বরিশালের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জেতা হয়নি বরিশালের। 

খুলনার মেহেদী রানা ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা।

ঢাকায় প্রদর্শিত হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৫ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৬ পিএম
ঢাকায় প্রদর্শিত হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
ছবি : খবরের কাগজ।

২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন কোন পদ্ধতিতে হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে টুর্নামেন্টটির ট্রফি ঘুরে বেড়াচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ট্রফি ট্যুরের অংশ হিসেবে আজ তৃতীয় দিনের মতো বাংলাদেশ অবস্থান করছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। 

গতকাল বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে প্রদর্শনের পর আজ সকাল ১১টা থেকে ঢাকায় বসুন্ধরা সিটি শপিংমলে রাখা হয়েছে ভক্তদের জন্য। ট্রফিটি সেখানে রাখা হবে রাত ৮টা পর্যন্ত।

ফুটবল কিংবা ক্রিকেট, যেকোনো বিশ্বকাপের ট্রফি ট্যুরের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে এলেই ক্রীড়ামোদিদের আগ্রহ থাকে সেই ট্রফিকে কেন্দ্র করে। সবশেষ ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ট্রফিও ভ্রমণ করে গিয়েছিল বাংলাদেশে।

তবে সেবারের তুলনায় এবার ভক্তদের আনাগোনা অনেকটাই কম। আগেরবারের মতো ভক্তদের জন্য চারটি লাইন করা হলেও উপস্থিতির সংখ্যা বেশ কম নজরে এসেছে। গেল বার উপস্থিতির সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি ছিল এবারের চেয়ে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাম্প্রতিক অফ ফর্ম অন্যতম কারণ হতে পারে ভক্ত ও সমর্থকদের আগ্রহ কমে যাওয়ার পেছনে। 

আগামীকাল ট্রফিটির শেষদিন বাংলাদেশে। রাখা হবে হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে। সেখানে ক্রিকেটার, মিডিয়া, অফিসিয়ালদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে ট্রফিটি। সেখান থেকে রাতেই ট্রফিটি ঢাকা ছাড়বে।

ফের নতুন রেকর্ড গড়ে মাবিয়া বললেন, ‘সময়টা ভালো যাচ্ছে’

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১২ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৩ পিএম
ফের নতুন রেকর্ড গড়ে মাবিয়া বললেন, ‘সময়টা ভালো যাচ্ছে’
ছবি : সংগৃহীত

গত মাসের শেষ দিকে আন্তঃসার্ভিস ভারোত্তলন প্রতিযোগিতায় তিনটি নতুন জাতীয় রেকর্ডসহ স্বর্ণ জিতেছিলেন মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। ১৭ দিনের ব্যবধানে নিজের সেই পারফরম্যান্সকে আরও ওপরে নিয়ে গেলেন তিনি। নিজের গড়া রেকর্ডটাই ভেঙে গড়লেন নতুন জাতীয় রেকর্ড। সেটাও আন্তর্জাতিক মঞ্চে।

বাহরাইনের মানামায় চলছে আইডব্লিউএফ ওয়ার্ল্ড ভারোত্তলন চ্যাম্পিয়নশিপ। এই প্রতিযোগিতায় ৭১ কেজি ওজন শ্রেণিতে অংশ নিয়েছেন মাবিয়া। গতকাল বুধবার ‘সি’ গ্রুপে থাকা মাবিয়া স্ন্যাচে ৮৮ কেজি ও ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১১৪ কেজি ওজন তুলেছেন। সব মিলিয়ে তুলেছেন ২০২ কেজি ওজন। তিনটিই নতুন জাতীয় রেকর্ড।

নভেম্বরে অনুষ্ঠিত আন্তঃসার্ভিসে ৭১ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্ন্যাচে ৮৫, ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১১১ কেজিসহ সবমিলিয়ে ১৯৬ কেজি ওজন তোলেন মাবিয়া। তখনও তিনটিতেই হয়েছিল নতুন জাতীয় রেকর্ড। সে সময় ৮ মাস আগে নিজের গড়া রেকর্ডটাই ভেঙেছিলেন তিনি।

এভাবে নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙে চলেছেন মাবিয়া। অর্থাৎ প্রতিনিয়ত নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। পারফরম্যান্সের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী রাখতে পারায় দারুণ খুশি টানা দুই এসএ গেমসে দেশকে স্বর্ণ উপহার দেওয়া এই ভারোত্তোলক।

নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়ার পর বাহরাইন থেকে খবরের কাগজকে মাবিয়া বলেন, ‘মনে হয় সময়টা ভালো যাচ্ছে। সবার ভাবনার বাইরে লিফট (ওজন তোলা) করতে পারছি, নতুন রেকর্ড গড়তে পারছি, অনুভূতিটা প্রকাশ করার মতো না।’

মাবিয়া তার গ্রুপে ১০ জনের মধ্যে যৌথভাবে চতুর্থ সর্বোচ্চ ওজন তুলেছেন। যদিও নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েছেন, তবে অন্য দেশের প্রতিযোগীদের থেকে বেশ পেছনেই তার অবস্থান। নিজের ওজন শ্রেণিতে ২৬ জনের মধ্যে হয়েছেন ২১তম। 

এই ইভেন্টে সেরা হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের অলিভিয়া রিভস। স্ন্যাচে ১২০, ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১৪৭ কেজি ওজন তুলেছেন তিনি। ‍দুটি মিলিয়ে তুলেছেন ২৬৭ কেজি ওজন।

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });