ঢাকা ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
English

সাক্ষাৎকারে স্বপ্না রানী বললেই চ্যাম্পিয়ন হওয়া যায় না

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০০ এএম
আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০০ এএম
বললেই চ্যাম্পিয়ন হওয়া যায় না
ছবি : সংগৃহীত

বয়স সবে ১৮। এরই মধ্যে বাংলাদেশকে দু-দুটি সাফ শিরোপা উপহার দেওয়ার অন্যতম সারথি স্বপ্না রানী। বিকেএসপির এই শিক্ষার্থী মাঠে তার ফুটবলশৈলীতে আলাদা করে নজর কাড়েন সবার। খবরের কাগজের মুখোমুখি হয়ে দলীয় সাফল্য ও নিজেকে নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ক্রীড়া প্রতিবেদক তোফায়েল আহমেদ

খবরের কাগজ: সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে পর পর দুই আসরে চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ। আর এই দুবারই চ্যাম্পিয়ন দলের অংশ আপনি। কেমন লাগছে?

স্বপ্না রানী: অবশ্যই এটা ভালো লাগার অনুভূতিটা। যেহেতু পর পর দুবার চ্যাম্পিয়ন এবং দুবারই আমি চ্যাম্পিয়ন দলের অংশ, তাই অনেক ভালো লাগছে। এই সাফল্য আসলে আমাদের অনেক কষ্টের ফল। আমাদের চেষ্টা, এক্সট্রা অ্যাফোর্ড, দেশবাসীর দোয়া ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায় হয়েছে সবকিছু।

খবরের কাগজ: চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফেরার পর দিনগুলো কেমন কাটছে?

স্বপ্না রানী: দিনগুলো ভালোই কাটছে…

খবরের কাগজ: ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আপনারা নেপাল গিয়েছিলেন। শিরোপা ধরে রাখা কতটা কঠিন ছিল?

স্বপ্না রানী: আসলে একবার চ্যাম্পিয়ন হলে পরবর্তী সময়ে সবার অন্য রকম চাওয়া থাকে। আমাদের কাছেও সবার প্রত্যাশা বেশি ছিল। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে ড্র করি। ওই ম্যাচটা ড্র হওয়ায় আমরা সবাই একটু চাপে ছিলাম। আমরা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন, এটা ভেবে সবাই দুশ্চিন্তায় ছিলাম। পরবর্তী সময় ভারতের সঙ্গে কীভাবে জেতা যায়, সেই পরিকল্পনা শুরু করি আমরা। সবার চেষ্টা ও জেদ ছিল যে ম্যাচটা জিততেই হবে। আমাদের নিজেদের মধ্যেও এই বিশ্বাস ছিল যে, ভারতের বিপক্ষে আমরা জিতব। আমি মাঠে নামার সময় বলেছিলাম, আজকে আমরা ৩ গোলে জিতব। পরে তো আমরা সত্যি সত্যি ওদের ৩ গোল দিয়েছি। খুব খুশি হয়েছিলাম তখন। যাই হোক, আমরা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলাম। এরপরের ধাপ আরও বড়। সেমিফাইনাল জিতে ফাইনালে পা রাখতে হবে। আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে ভুটানের সঙ্গে সেমিফাইনাল জিতব। সেটাও জিতলাম এবং ফাইনালে পা রাখলাম। নেপালের সঙ্গে ফাইনালে তো মাঠে প্রচুর স্বাগতিক দর্শক ছিল। এত এত ক্রাউড, যা অবিশ্বাস্য। আমরা এর মধ্যেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলেছি এবং জিতেছি। আমি নিজে উপভোগ করেছি খুব। একটু ভয়ে ভয়েও ছিলাম।

খবরের কাগজ: ভয় লাগছিল কেমন?

স্বপ্না রানী: ম্যাচের রেজাল্ট শেষ পর্যন্ত কী হবে, সেটা নিয়ে ভয়ে ছিলাম। আমি তো ফাইনালে বদলি হিসেবে নেমেছিলাম। মনে হচ্ছিল আমি কি পারব মাঠে নেমে এক্সট্রা অ্যাফোর্ড দিয়ে খেলতে। পরে তো মনে সাহস নিয়ে নামলাম। সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ম্যাচ শেষের দিকে যখন আমরা ২-১ গোলে এগিয়ে, তখন শুধুই মনে হচ্ছিল, রেফারি কখন শেষ বাঁশি বাজাবে, আর আমরা খুশির উল্লাস করব। শেষ পর্যন্ত রেফারি যখন সেই বাঁশি বাজালেন, কি যে আনন্দ হয়েছে। আমরা পর পর দুবার দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হলাম। ওই মুহূর্তটা বর্ণনা করতে পারব না। তবে যাই বলুন না কেন, ২০২২ সালের থেকে এবার একটু কমই ভয় পেয়েছি। কারণ সেবার তো আমার এসব অভিজ্ঞতা হয়েছিল। এবার যেমন খুশিতে কাঁদিওনি। আগেরবার কিন্তু কেঁদেছিলাম।

খবরের কাগজ: গতবারে আপনি আনন্দ বেশি পেয়েছেন। স্বাভাবিক প্রথম বলে কথা…

স্বপ্না: হ্যাঁ। এবারও কিন্তু ছাদখোলা বাস ছিল। কিন্তু ২০২২ সালের মতো কোনো ফিলিংস ছিল না বা সেবারের মতো মানুষও ছিল না এবার। সেবার তো অনেক মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিলেন।

খবরের কাগজ: যদি বলি গতবার আর এবারের সাফের মধ্যে কোনটা বেশি কঠিন ছিল, তাহলে কী বলবেন?

স্বপ্না রানী: সেটা বলতে পারব না। তবে আমি মনে করি চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা এত সহজ না। বললেই চ্যাম্পিয়ন হওয়া যায় না।

খবরের কাগজ: প্রথম ম্যাচে শুরুর একাদশে ছিলেন। এরপর তো বাকি ম্যাচগুলোতে বদলি হিসেবে খেলতে হয়েছে। বেশি ম্যাচ টাইম না পাওয়ায় আক্ষেপ নেই?

স্বপ্না রানী: না, কোনো আক্ষেপ নেই।

খবরের কাগজ: আপনার ফুটবলার হয়ে ওঠার গল্পটা জানতে চাই। ছোট করে যদি বলতেন?

স্বপ্না রানী: ঠাকুরগাঁওয়ের রাঙাটুঙ্গী ইউনাইটেড নারী ফুটবল একাডেমির হয়ে আমার ফুটবল শুরু। সেখান থেকে বিকেএসপি হয়ে বিভিন্ন বয়সভিত্তিক জাতীয় দলে খেলি। এরপর মূল জাতীয় দল। বিকেএসপিতে ভর্তি হতে জয়া ম্যাডামের (জয়া চাকমা) অনেক অবদান। জয়া ম্যাডাম আমার জন্য অনেক কিছু করেছেন। যা কখনো ভুলতে পারব না। আমার উঠে আসার দিনগুলোতেও বেশ কয়েকজন স্যারের অনেক অবদান আছে। তাদের কথাও ভুলব না কখনো। এখন বিকেএসপিতে আমি একাদশ শ্রেণিতে পড়ছি।

খবরের কাগজ: পরিবারের কথা একটু বলুন…

স্বপ্না রানী: বাড়িতে মা-বাবা আছেন। আমরা তিন বোন, এক ভাই। আমি সবার ছোট। আমার বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। বড় ভাই ডিগ্রি পাস করেছেন। মেজো বোন এইচএসচি পাস করার পর আর ভর্তি হননি। এখন বাসায় মায়ের কাজে সাহায্য করেন। বাবা আগে দিনমজুরের কাজ করতেন। হার্টের সমস্যার কারণে এখন আর কাজ করতে পারেন না। বাসাতেই থাকেন।

খবরের কাগজ: ফুটবল মাঠের স্বপ্না মাঠের বাইরে কেমন?

স্বপ্না রানী: প্রথমেই বলি, খুবই সাধারণ একটা মেয়ে আমি। তবে খুবই ইউনিক। (হাসি)। রাগ ও জেদ বেশি। নিজের কাছে যেটা ভালো মনে হয় সেটা করতে আনন্দ পাই। মানুষের কথায় খুব একটা কান দেওয়ার চেষ্টা করি না। কে কি বলল, না বলল, এসব নিয়েও ভাবি না।

খবরের কাগজ: সব শেষে স্বপ্নার স্বপ্নের কথা জানতে চাই?

স্বপ্না রানী: আমার খুব বেশি স্বপ্ন নেই। তার পরও যদি বলি, মেয়েদের সব থেকে বড় স্বপ্ন হলো তার বাবা-মাকে কীভাবে সুখী রাখা যায়, সেটা। বাবা-মা ও ভাই-বোনদের পাশে থাকা, এটা আমার বড় স্বপ্ন। আর ফুটবলার হিসেবে স্বপ্ন বিদেশের লিগে খেলা। এ ছাড়া বিদেশে পড়াশোনারও ইচ্ছে আছে আমার। চাই নিজের যে ইচ্ছেগুলো আছে, সেগুলো ধীরে ধীরে পূরণ করতে। আর ভালো খেলোয়াড়ের পাশাপাশি ভালো মানুষ হতে চাই।

এবার মনিটরিং কমিটিই ভেঙে দিল বাফুফে!

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০২ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২১ পিএম
এবার মনিটরিং কমিটিই ভেঙে দিল বাফুফে!
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)

হঠাৎ করেই ২৯টি জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কমিটি বিলুপ্ত করে দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। 

গত বুধবার (১১ ডিসেম্বর) নির্বাহী কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয় তাবিথ আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিটি। এ নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

বাফুফে থেকে বলা হয়েছিল, তাদের দ্বারা গঠিত ‘ডিএফএ মনিটনিং কমিটি’র সুপারিশের ভিত্তিতে এই কমিটিগুলো ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

মনিটরিং কমিটি নাকি এই ডিএফএগুলোর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে- এক মাসও হয়নি বাফুফের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে এই কমিটিগুলোর দ্বারা নির্ধারিত কাউন্সিলররা ভোটও দিয়েছেন।

তখন সব ঠিক থাকলেও নির্বাচন শেষ হতেই কমিটিগুলো ভেঙে দেওয়া ভিন্ন কিছুই ইঙ্গিত দেয়।

এ সব নিয়ে যখন আলোচনা-সমালোচনা চলছে, তখন জানা যাচ্ছে আরও এক মজার তথ্য। যে মনিটরিং কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে কমিটিগুলো বিলুপ্ত করা হয়েছিল, এবার সেই মনিটরিং কমিটিই নাকি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

যদিও বাফুফের সেই মনিটরিং কমিটি ছিল মাত্র এক সদস্যের। অর্থাৎ এটিকে ঠিক কমিটি বলারও উপায় নেই। এই মনিটরিং কমিটির দায়িত্বে ছিলেন রাজবাড়ী ডিএফএর এবিএম মঞ্জুরুল আলম দুলাল।

উল্লেখ্য, বাফুফে কোন কোন ডিএফএর কমিটি বিলুপ্ত করেছে, তার কোনো তালিকাও এখন পর্যন্ত প্রকাশ করেনি। সবকিছুতেই যেন এক লুকোচুরি খেলায় মেতেছে সংস্থাটি।

নাবিল/এমএ/

এনসিএল টি-টোয়েন্টি তামিমের ব্যাটে চট্টগ্রামের জয়

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৪ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৫ পিএম
তামিমের ব্যাটে চট্টগ্রামের জয়
ছবি : সংগৃহীত

আগের ম্যাচে চট্টগ্রাম হেরেছিল ৫ উইকেটে। ৭ মাস পর মাঠের ক্রিকেটে ফিরে তামিম ইকবালের ব্যাটে এসেছিল মাত্র ১৩ রান। তবে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই দাপুটে ইনিংস খেললেন তামিম। ৩৩ বলে করেছেন ৬৫ রানের ঝোড়ো এক ইনিংস। তার ব্যাটে ভর করেই ১২ রানের জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ ১২ রানে সিলেটের বিপক্ষে।

৮ চার ও  ৩ ছক্কায় তার এই ইনিংসটি সাজানো ছিল। প্রথম ম্যাচে ১৩ রানে আউট হওয়ার পর এই ইনিংসটি তার জন্য স্বস্তির। একইভাবে ম্যাচটি স্বস্তির তার দলের জন্যেও। 

কুয়াশার কারণে সকালবেলার ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ের চেয়েও দেরিতে শুরু হওয়ায় ১৫ ওভারে হয় ম্যাচটি। যেখানে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট খরচায় ১৪৫ রানের পুঁজি পায় চট্টগ্রাম। 

যার জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৪.২ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে সিলেট তুলতে পেরেছে ১৩৩ রান। সিলেটের হয়ে তৌফিক খান তুষার ৩৬ বলে ৭৬ রান করেও ঠেকাতে পারেননি পরাজয়।

চট্টগ্রামের বোলারদের মধ্যে নাঈম হাসান ও হাসান মুরাদের শিকার ৩টি করে উইকেট। ৩৩ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন চট্টগ্রামের তামিম ইকবাল।

এনসিএল টি-টোয়েন্টি রান আউটের হ্যাটট্রিকে ১ রানের জয় খুলনার

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৩ পিএম
রান আউটের হ্যাটট্রিকে ১ রানের জয় খুলনার
ছবি : সংগৃহীত

বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারেনি খুলনা বিভাগ। ১৩০ রানের সংগ্রহেও শেষ তিন বলে রান আউটের হ্যাটট্রিকে জয় পেয়েছে নুরুল হাসান সোহানের দল ১ রানে। শেষ ৩ বলে বরিশাল বিভাগের যখন ২ রান দরকার, তখন টানা ৩ ব্যাটারকে রানআউট করে নাটকীয়ভাবে ম্যাচ জিতে নিয়েছে খুলনা।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান তোলে খুলনা বিভাগ। 

দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রান আসে ওপেনার এনামুল হক বিজয়ের ব্যাট থেকে। ১৭ রানা সে জিয়াউর রহমানের ব্যাট থেকে।

ছোট লক্ষ্য জবাব দিতে নেমে ওপেনার আব্দুল মজিদ দলের হাল ধরেন ব্যাটিং ধসে। একের পর এক ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে তার ৫১ রানই দলের সর্বোচ্চ। তিনি যখন আউট হন তখন ১১৩ রানে ৬ উইকেট হারায় বরিশাল ১৮.২ ওভারে। 

মাঝে মঈন খান ২৭ বলে ৪৩ রানের ইনিংসেও এগোচ্ছিল দলটি। তবে তিনি স্ট্রাইক না পাওয়ায় ও শেষ ওভারের ৩ বলে রান আউটের হ্যাটট্রিকের নাটকীয়তায় হারতে হয়েছে ১ রানে।

শেষ বরিশালের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৯ রান। প্রথম তিন বলে ৭ রান চলে আসে। যার মধ্যে প্রথম বলে লেগ বাই, দ্বিতীয় বলে মঈন খান সিঙ্গেল নেন। তৃতীয় বলে চার মারেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। 

কিন্তু শেষ তিন বলে রাব্বি, তানভির ও রুয়েল রান আউট হলে জয়ের একেবারে কাছে গিয়েও আর জেতা হয়নি বরিশালের। সোহানের দারুণ এক থ্রোতে শেষ বলে নন স্ট্রাইক প্রান্তে রান আউট করেন সোহান। মাঝে একটি বল ওয়াইড হলে শেষ বলে জিততে ২ ও টাই করতে ১ রান দরকার ছিল বরিশালের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জেতা হয়নি বরিশালের। 

খুলনার মেহেদী রানা ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা।

ঢাকায় প্রদর্শিত হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৫ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৬ পিএম
ঢাকায় প্রদর্শিত হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
ছবি : খবরের কাগজ।

২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন কোন পদ্ধতিতে হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে টুর্নামেন্টটির ট্রফি ঘুরে বেড়াচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ট্রফি ট্যুরের অংশ হিসেবে আজ তৃতীয় দিনের মতো বাংলাদেশ অবস্থান করছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। 

গতকাল বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে প্রদর্শনের পর আজ সকাল ১১টা থেকে ঢাকায় বসুন্ধরা সিটি শপিংমলে রাখা হয়েছে ভক্তদের জন্য। ট্রফিটি সেখানে রাখা হবে রাত ৮টা পর্যন্ত।

ফুটবল কিংবা ক্রিকেট, যেকোনো বিশ্বকাপের ট্রফি ট্যুরের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে এলেই ক্রীড়ামোদিদের আগ্রহ থাকে সেই ট্রফিকে কেন্দ্র করে। সবশেষ ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ট্রফিও ভ্রমণ করে গিয়েছিল বাংলাদেশে।

তবে সেবারের তুলনায় এবার ভক্তদের আনাগোনা অনেকটাই কম। আগেরবারের মতো ভক্তদের জন্য চারটি লাইন করা হলেও উপস্থিতির সংখ্যা বেশ কম নজরে এসেছে। গেল বার উপস্থিতির সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি ছিল এবারের চেয়ে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাম্প্রতিক অফ ফর্ম অন্যতম কারণ হতে পারে ভক্ত ও সমর্থকদের আগ্রহ কমে যাওয়ার পেছনে। 

আগামীকাল ট্রফিটির শেষদিন বাংলাদেশে। রাখা হবে হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে। সেখানে ক্রিকেটার, মিডিয়া, অফিসিয়ালদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে ট্রফিটি। সেখান থেকে রাতেই ট্রফিটি ঢাকা ছাড়বে।

ফের নতুন রেকর্ড গড়ে মাবিয়া বললেন, ‘সময়টা ভালো যাচ্ছে’

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১২ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৩ পিএম
ফের নতুন রেকর্ড গড়ে মাবিয়া বললেন, ‘সময়টা ভালো যাচ্ছে’
ছবি : সংগৃহীত

গত মাসের শেষ দিকে আন্তঃসার্ভিস ভারোত্তলন প্রতিযোগিতায় তিনটি নতুন জাতীয় রেকর্ডসহ স্বর্ণ জিতেছিলেন মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। ১৭ দিনের ব্যবধানে নিজের সেই পারফরম্যান্সকে আরও ওপরে নিয়ে গেলেন তিনি। নিজের গড়া রেকর্ডটাই ভেঙে গড়লেন নতুন জাতীয় রেকর্ড। সেটাও আন্তর্জাতিক মঞ্চে।

বাহরাইনের মানামায় চলছে আইডব্লিউএফ ওয়ার্ল্ড ভারোত্তলন চ্যাম্পিয়নশিপ। এই প্রতিযোগিতায় ৭১ কেজি ওজন শ্রেণিতে অংশ নিয়েছেন মাবিয়া। গতকাল বুধবার ‘সি’ গ্রুপে থাকা মাবিয়া স্ন্যাচে ৮৮ কেজি ও ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১১৪ কেজি ওজন তুলেছেন। সব মিলিয়ে তুলেছেন ২০২ কেজি ওজন। তিনটিই নতুন জাতীয় রেকর্ড।

নভেম্বরে অনুষ্ঠিত আন্তঃসার্ভিসে ৭১ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্ন্যাচে ৮৫, ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১১১ কেজিসহ সবমিলিয়ে ১৯৬ কেজি ওজন তোলেন মাবিয়া। তখনও তিনটিতেই হয়েছিল নতুন জাতীয় রেকর্ড। সে সময় ৮ মাস আগে নিজের গড়া রেকর্ডটাই ভেঙেছিলেন তিনি।

এভাবে নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙে চলেছেন মাবিয়া। অর্থাৎ প্রতিনিয়ত নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। পারফরম্যান্সের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী রাখতে পারায় দারুণ খুশি টানা দুই এসএ গেমসে দেশকে স্বর্ণ উপহার দেওয়া এই ভারোত্তোলক।

নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়ার পর বাহরাইন থেকে খবরের কাগজকে মাবিয়া বলেন, ‘মনে হয় সময়টা ভালো যাচ্ছে। সবার ভাবনার বাইরে লিফট (ওজন তোলা) করতে পারছি, নতুন রেকর্ড গড়তে পারছি, অনুভূতিটা প্রকাশ করার মতো না।’

মাবিয়া তার গ্রুপে ১০ জনের মধ্যে যৌথভাবে চতুর্থ সর্বোচ্চ ওজন তুলেছেন। যদিও নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েছেন, তবে অন্য দেশের প্রতিযোগীদের থেকে বেশ পেছনেই তার অবস্থান। নিজের ওজন শ্রেণিতে ২৬ জনের মধ্যে হয়েছেন ২১তম। 

এই ইভেন্টে সেরা হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের অলিভিয়া রিভস। স্ন্যাচে ১২০, ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১৪৭ কেজি ওজন তুলেছেন তিনি। ‍দুটি মিলিয়ে তুলেছেন ২৬৭ কেজি ওজন।

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });