ছবি : সংগৃহীত
ফুটবল বিশ্বকাপ তার শতবর্ষ পূর্ণ করতে যাচ্ছে ২০৩০ সালে। উরুগুয়ের মাটিতে প্রথমবারের মতো ১৯৩০ সালে ফুটবল বিশ্বকাপের আসর। সে বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল উরুগুয়ে। দক্ষিণ আমেরিকার মাটিতে শুরু হয়েছিল বিশ্বকাপের যাত্রা।
তাই শতবর্ষের আয়োজনটাও দক্ষিণ আমেরিকার মাটিতে করতে চায় ফিফা। তবে পুরো বিশ্বকাপ হচ্ছে না সেখানে। বিশ্বকাপের মোট ৩টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সেই মহাদেশে। ম্যাচ তিনটি হবে উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা এবং প্যারাগুয়েতে। অর্থ্যাৎ একটি করে ম্যাচ পাচ্ছে এই তিন দেশ।
২০৩০ সালের মূল আয়োজক মূলত দুই ইউরোপীয় দেশ স্পেন, পর্তুগাল এবং উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কো। দ্রুতই সেই বিশ্বকাপ আয়োজনের বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
জানা গেছে, আগামী বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ফিফার বর্ধিত সভায় স্পেন, পর্তুগাল এবং মরক্কো এই বিশ্বকাপ আয়োজক হিসেবে নাম ঘোষণা করবে। এছাড়া লাতিন আমেরিকার তিন দেশে তিন ম্যাচ আয়োজনের বিষয়টিও সে ঘোষণায় আসতে পারে।
মূল তিন আয়োজকের মধ্যে কেবল স্পেনের পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে বিশ্বকাপ আয়োজনের। এককভাবে ১৯৮২ সালেই শেষবার বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল স্পেন। অন্যদিকে, এটাই প্রথম অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে পর্তুগাল এবং মরক্কোর ম বিশ্বকাপ আয়োজনের।
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পাওয়া ঐতিহাসিক মনে করে পর্তুগাল, ‘আমাদের সবার লক্ষ্য এক। তিন দেশ বা দুই মহাদেশ এখানে কোন ফ্যাক্টর নয়। ২০৩০ বিশ্বকাপ হবে ঐতিহাসিক। সেটা সব দিক থেকে।’
দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় পর বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পেয়ে ধন্য স্পেন, ‘৪২ বছর পর যখন আবারও বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পেয়েছি, তখন আমরা এটি স্মরণীয় করতে চাই।’
সেরা বিশ্বকাপ উপহার দিতে উন্মুখ মরক্কো জানিয়েছে, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে সেরা বিশ্বকাপ আয়োজন করা।’
শতবর্ষী বিশ্বকাপের কথা ভেবে কনমেবলকে বিশ্বকাপের অংশ করায় ফিফাকে ধন্যবাদ জানিয়ে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল সংস্থা জানিয়েছে, ‘এটি দক্ষিণ আমেরিকার জন্য একটি বিশেষ মুহূর্ত, যেখানে একটি বিশাল উৎসব হবে।’