টেনিস ফেডারেশনের ট্রেজার ও বাছাই কমিটির সদস্য খালেদ হায়দারকে অবরুদ্ধ করে ডেবিস কাপে জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন দ্বিতীয় বাছাই খেলোয়াড় হানিফ মুন্না। গতকাল রমনা টেনিস ফেডারেশন কার্যালয়ে এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।
ডেভিস কাপ এশিয়া-ওশেনিয়া অঞ্চলের গ্রুপ-৫ এর প্রতিযোগিতা এবার অনুষ্ঠিত হবে বাহরাইনে ২০ থেকে ২৩ নভেম্বর। বাংলাদেশ দল বাহরাইন যাবে ১৮ নভেম্বর। এই আসরকে সামনে রেখে গতকাল রমনা টেনিস ফেডারেশনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলন চলমান অবস্থায়ই জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়া হানিফ মুন্না প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। এ দিকে সংবাদ সম্মেলনে তিনি দ্বিতীয় বাছাই খেলোয়াড় হওয়ার পরও জাতীয় দলে না থাকা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিয়ে যাচ্ছিলন সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ মোহাম্মদ হায়দার ও বাছাই কমিটির সদস্য খালেদ আহমেদ। তারা হানিফ মুন্নার দলে না থাকার কারণ হিসেবে শৃঙ্খলাজনিত নানা ব্যাখ্যা দিচ্ছিলেন। এ সময় ফেডারেশনের পক্ষ থেকে রমনা থানায় যোগাযোগ করা হলে দুজন পুলিশ আসেন। কিন্তু তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেন বলে ফেডারেশন থেকে জানানো হয়।
এদিকে সংবাদ সম্মেলন শেষে খালেদ আহমেদ টেনিস ফেডারেশন থেকে বের হয়ে যাওয়ার পথে হানিফ মুন্না কয়েকজনকে নিয়ে তার পথ অবরুদ্ধ করে দাঁড়ান। পরে তিনি আবার ফেডারেশনে ফিরে যান। এ সময় হানিফ মুন্না ও তার লোকেরা তাকে রুমে অবরুদ্ধ করে রাখেন। তাকে অবরুদ্ধ করার আগে চলে যান সাধারণ সম্পাদক।
অবরুদ্ধকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয় হানিফ মুন্নাকে দলে না নিলে তাকে বের হতে দেওয়া হবে না। পরে এক প্রকার বাধ্য হয়ে হানিফকে জাতীয় দলে নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে খালেদ আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তাকে দলে নেওয়া হচ্ছে।’ সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ মোহাম্মদ হায়দার বলেন, ‘আমার এখানে কোনো হস্তক্ষেপ নেই। বাছাই কমিটি সব কিছু বিচার-বিবেচনা করে দল গঠন করেছে।’ এ ব্যাপারে হানিফ মুন্না তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাজনিত ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, ‘তারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে না পেরে আমাকে দলে নিয়েছে। আমি শুধু আমাকে দলে না নেওয়াতে প্রতিবাদ করেছি।’