ঢাকা ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
English
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বাংলাদেশের বিপক্ষে আফগানিস্তানের অনেক ‘প্রথম’

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৭ এএম
আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৫ এএম
বাংলাদেশের বিপক্ষে আফগানিস্তানের অনেক ‘প্রথম’
ছবি : সংগৃহীত

‘যদি দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের এই সিরিজটা খারাপও হয়ে যায় তার মানে এই না যে আমাদের দলটা খারাপ হয়ে গেছে, আমাদের রেকর্ড কিন্তু অনেক ভালো।’

মেহেদী হাসান মিরাজের এই কথাগুলো নিশ্চয়ই সবার মনে আছে। ২০২৩ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে তার বলা কথাগুলো সেবার সিরিজ হেরে আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছিলেন। তবে নিজেদের সামর্থ্য নিয়ে আত্মবিশ্বাসী সেই মিরাজের কথার প্রতিফলন দেখা যায়নি ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হওয়ার দিনে। বাংলাদেশ ৫ উইকেটে হেরে সিরিজটাও হারিয়েছে ২-১ ব্যবধানে। যা কি না আফগানদের কাছে ছিল টাইগারদের টানা দ্বিতীয় সিরিজ হার। 

সামর্থ্য নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মেহেদী হাসান মিরাজকে একটু মনে করিয়ে দেওয়া দরকার যে, ঘরের বাইরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে যে সংস্করণে যেখানেই প্রথম সিরিজ খেলা হয়েছে সেখানেই বাংলাদেশ হেরেছে। এমনকি ঘরের মাঠে পর্যন্ত প্রথম টেস্টে হেরেছিল বাংলাদেশ। দেরাদুনে ২০১৮ সালে টি-টোয়েন্টি সিরিজে অসহায় আত্মসমর্পণের কথা তো মনেই আছে সবার। ৩ ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। ন্যূনতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করতে পারেনি সেবার সাকিবরা। অবশ্য মনে করিয়ে দেওয়ার কিছুই নেই, সেই সিরিজের শেষ ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন মিরাজ। সে বছর এশিয়া কাপে দুই দলের প্রথম লড়াইয়ে ১৩৬ রানে হারে বাংলাদেশ। পরে অবশ্য সুপার ফোরের ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ইমরুল কায়েসের ব্যাটিংয়ের পর মোস্তাফিজের শেষ ওভারের চমকে ৩ রানের কষ্টার্জিত জয় পায় বাংলাদেশ। 

দুই দলের প্রথম মুখোমুখি লড়াইয়েও হেসেছিল আফগানিস্তান। ২০১৪ সালে ফতুল্লায় এশিয়া কাপে সামিউল্লাহ শিনওয়ারির ৮১ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ২৫৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় আফগানিস্তান, যেখানে ২০০ রান করাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এতেই স্পষ্ট যে প্রথম সাক্ষাতেই বাংলাদেশকে নিজেদের কমফোর্ট জোনে নিয়ে এসেছিল আফগানরা। এরপর ব্যাটিং ধসের পর জিয়াউর রহমানের ইনিংস দর্শকদের আনন্দ দিলেও বাংলাদেশ হেরেছিল ৩২ রানে। আগেই যেহেতু ২০১৮ সালের এশিয়া কাপের কথা চলে এসেছে, এর মানে দাঁড়াল এশিয়া কাপের প্রথম তিন লড়াইয়ের দুটোতেই বাংলাদেশের লজ্জাজনক হার।

রঙিন পোশাকে না হয় আফগানিস্তান বাংলাদেশের বিপক্ষে পেরেছে। সাদা পোশাকের ক্রিকেটের খেলায় সদ্য অভিষিক্ত দলটা বাংলাদেশের সামনে আর কতটুকুই বা পারবে? সমর্থকদের মনের এই প্রশ্নের জবাবটা চট্টগ্রামে দুই দলের একমাত্র টেস্টের আগে পাওয়া গেছে আফগানদের তৎকালীন কোচ অ্যান্ডি মোলের কথাতেই ‘বাংলাদেশের প্রতি আমাদের অনেক সম্মান থাকলেও আমরা তাদের ভয় পাই না।’ তার কথার প্রতিফলন দেখা গেছে মাঠে। বৃষ্টিবিঘ্নিত সেই টেস্ট ২২৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হার মেনেছিলেন সাকিব আল হাসানরা। মোহাম্মদ নবীর ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট জয় দিয়ে স্মরণীয় করে রাখেন রশিদ খানরা। ২০১৯ সালের সেই টেস্ট তাই বিশেষ কিছু আফগানিস্তানের কাছে। 

এবার আরও একবার ফিরে আসা যাক ২০২৩ সালের সেই সিরিজে। চট্টগ্রামে বৃষ্টিবিঘ্নিত সেই ম্যাচে হারের পরদিন আকস্মিকভাবে আবেগ জড়ানো কণ্ঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায়ের ঘোষণা দেন তৎকালীন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। পরের দিনই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে অবসর ভেঙে ফিরে আসেন তামিম। তবে সিরিজ চলাকালীন তার এমন অপেশাদারি আচরণ দলের ভেতর রীতিমতো প্রভাব ফেলেছিল। পরের ম্যাচে ১৪২ রানের হার। প্রথমবারের মতো আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ পরাজয়। এই সিরিজ হারলেও বাংলাদেশ তো খারাপ দল হয়ে যায়নি, মিরাজের কথায়তো ছিল তেমনই সুর। কিন্তু আদৌ কি সেই সুযোগটা আছে? 

সর্বশেষ দুই আইসিসি বিশ্বকাপের দুই দলের পারফরম্যান্সের দিকে তাকালেই উত্তর অনেকটা স্পষ্ট হয়ে যায়। ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল আফগানরা। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গেও জিততে চলেছিল তারা। কিন্তু আহত ম্যাক্সওয়েলের অতিমানবীয় ডাবল সেঞ্চুরির মনমুগ্ধকর ইনিংসে হেরে যায় আফগানরা। ফলে সেমিতে আর ওঠা হয়নি রশিদ-নবীদের। 

অথচ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জয় ছিল সাকুল্যে দুটি। একটি শ্রীলঙ্কা আর অন্যটি সেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে। তবে মোহাম্মদ নবী বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের কাছে হারা উচিত হয়নি।’ ধর্মশালায় সেই ম্যাচ জিতে গেলে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার সমূহ সম্ভাবনা ছিল নবীদের। যদিও পয়েন্ট টেবিলে তারা বাংলাদেশের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়ে ছিল। তবে সেই প্রতিশোধ তারা নেয় সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ দুই দলকেই হারিয়ে জায়গা করে নেয় তারা তাদের স্বপ্নের সেমিফাইনালে।

আফগানিস্তানকে মাত্র ১১৫ রানে আটকে দেওয়ার পর সেমিফাইনালে জায়গা নিশ্চিতে বাংলাদেশের দরকার ছিল ১২.১ ওভারে জয়। কিন্তু সেটি হয়নি সাহসের ঘাটতিতে, এমনকি জয়ের দেখাও বাংলাদেশ পায়নি। ক্ষুদ্র এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও বাংলাদেশ হেরেছিল বৃষ্টি আইনে ৮ রানে। সহজ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। যে ব্যর্থতার কোনো যৌক্তিক জবাব জানা নেই কারোই।

এই হলো আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়কার দৈন্যদশা। ২০২৩ সালে সিরিজ হারের পর পাকিস্তানের মাটিতে এশিয়া কাপে তাদের বিপক্ষে জয় পেলেও ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ হতাশ করেছে। যেখানে আফগানিস্তান নজর কেড়েছে গোটা ক্রিকেট বিশ্বের। ২০২২ সালে ফজলহক ফারুকীর পেসে বিভ্রান্ত হয়ে ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশ অবিশ্বাস্য এক জয় পেয়েছিল মেহেদী হাসান মিরাজ ও আফিফ হোসেনের ১৭৪ রানের জুটিতে। সেই সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ। অথচ একটু এদিক ওদিক হলেই তিন সিরিজই হাতছাড়া হতে পারত বাংলাদেশের। সেই সিরিজে মিরাজই একপ্রকার বাংলাদেশকে ফিরিয়েছিলেন। আবার ২০২৩ সালে আত্মবিশ্বাসী মিরাজই নিজেদের অবস্থান শক্ত আছে বলেই দাবি করেছিলেন। আফগানিস্তান অবশ্য র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশকে টপকে যাওয়ায় এখন আর মুখ ফুটে জবাব দেওয়ার অবকাশ নেই। 

১৯ দেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন ঢাকায়

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩০ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৫ পিএম
১৯ দেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন ঢাকায়
ছবি: সংগৃহীত

গুটি কয়েক ঘরোয়া প্রতিযোগিতা বাদে বাংলাদেশের ব্যাডমিন্টন আলোচনায় থাকে খুব কমই। সেই ব্যাডমিন্টনই এবার গড়তে যাচ্ছে দারুণ এক উদাহরণ। পাঁচ আগস্টের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ক্রিকেট-ফুটবল বাদে আর কোনো খেলার আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ঢাকায় আয়োজিত হয়নি। সেখানে ক্রিকেট-ফুটবলের পর ব্যাডমিন্টন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে যাচ্ছে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের কর্মকর্তারা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামরুল নাহার ডানা, টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর ও ফেডারেশনের নির্বাহী সদস্য তাপতুন নাসরীন।

আগামী ১৩ ডিসেম্বর থেকে ঢাকায় বসবে ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা। সিনিয়র ও জুনিয়র বিভাগ মিলিয়ে অংশ নেবে ১৯টি দেশ।

১৩ ডিসেম্বর শুরু হবে জুনিয়র বিভাগের প্রতিযোগিতা। এতে অংশ নেবে তিনটি দেশ। স্বাগতিক বাংলাদেশ বাদে অন্য দুই দেশ- ভারত ও ইন্দোনেশিয়া। মালদ্বীপ খেলার কথা থাকলেও তারা নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তবে সিনিয়র বিভাগে খেলবে তারা। 

এ ছাড়া ১৭ ডিসেম্বর শুরু হওয়া সিনিয়র বিভাগের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ছাড়াও খেলবে ১৮টি দেশ। বাংলাদেশ ছাড়াও ছেলেদের বিভাগে অংশ নিবে ভারত, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, কানাডা, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, জাপান, মালদ্বীপ, ইউক্রেন, ইতালি, ফিনল্যান্ড, বুলগেরিয়া, উগান্ডা, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর ও ইংল্যান্ডের শাটলাররা।

বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন জানিয়েছে, জুনিয়র বিভাগে ১১৪ জন ও সিনিয়র বিভাগে ২২৮ জন খেলোয়াড় অংশ নিবে বলে তারা প্রত্যাশা করছেন। এই প্রতিযোগিতার বাজেট ৭০ লাখ টাকা। জুনিয়র বিভাগে পাঁচ হাজার ডলার ও সিনিয়র বিভাগে ১৫ হাজার ডলার পুরস্কার থাকছে। ইউনেক্স গ্রুপ প্রধান পৃষ্ঠপোষক হলেও এতে আর্থিক সহায়তা করছে একমি ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

মেহেদী/এমএ/

এনসিএল টি-টোয়েন্টি চট্টগ্রামের বিপক্ষে রংপুরের সহজ জয়

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১১ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১২ পিএম
চট্টগ্রামের বিপক্ষে রংপুরের সহজ জয়
ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে ৫ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে রংপুর বিভাগ। 

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় রংপুরের অধিনায়ক আকবর আলী। আগে ব্যাটিং করে চট্টগ্রাম দাঁড় করে ১৩৩ রানের সংগ্রহ। যা ৫ উইকেট হাতে রেখেচ সহজেই টপকে গেছে রংপুর।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২২ রানে প্রথম উইকেট হারালেও ৫১ রানের জুটি গড়েন তানভির হায়দার ও নাইম ইসলাম। ১২ বলে ২৪ করে নাইম আউট হলে ৭৩ রানে ২ উইকেট হারায় রংপুর। ৩ রানের ব্যবধানে ১ রান করে আব্দুল্লাহ আল মামুনও ফিরে যান দলীয় ৭৫ রানে। ফলে ৩ উইকেট হারায় রংপুর। দলের হাল ধরে রাখা তানভির দলীয় ৯৮ রানে সর্বোচ্চ ৪১ করে আউট হলে ৯৮ রানে ৪ উইকেট হারায় আকবর আলীর দল।

পরের পথ এগোতে অবশ্য কষ্ট হয়নি রংপুরের। অধিনায়ক আকবর ২৫ রান করে আউট হলে ৫ম উইকেটের পতন ঘটে দলীয় ১২৪ রানে। তাতে অবশ্য কোনো সমস্যা হয়নি রংপুরের। আরিফুল ১৫ ও আলাউদ্দিন বাবু ১০ রানে অপরাজিত থেকে জয় আদায় করে নেয় ৫ উইকেট ও ১৯ বল হাতে রেখে।

এর আগে, রংপুর অধিনায়কের আমন্ত্রণে ব্যাট করতে নেমে প্রতিপক্ষের বোলারদের তোপে পড়ে চট্টগ্রাম। ৫৭ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। মাহমুদুল হাসান জয়, তামিম ইকবাল ও ইয়াসির আলী সাজঘরে ফেরেন ব্যর্থ হয়ে। তারা করেন যথাক্রমে ১৪, ১৩ ও ১৮ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন মুমিনুল হক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান আসে ইরফান শুক্কুরের ব্যাটে। সবমিলিয়ে ২০ ওভার ব্যাটিং করে ১৩২ রান পর্যন্ত করতে সমর্থ হয় চট্টগ্রাম ৯ উইকেট হারিয়ে। যা যথেষ্ট হয়নি জয় পেতে।

৪ ওভারে ৯ রান দিয়ে ২ উইকেট ও ব্যাট হাতে ১০ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরা হয়েছেন রংপুরের আলাউদ্দিন বাবু।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বায়ার্নের গোলউৎসবের দিনে পিএসজিরও জয়

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩১ পিএম
বায়ার্নের গোলউৎসবের দিনে পিএসজিরও জয়
ছবি : সংগৃহীত

ইউক্রেনের ক্লাব শাখতার দোনেৎস্ক শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল বায়ার্নের জালে গোল দিয়ে। কিন্তু পরবর্তীতে শাখতারের জালেই গোলউৎসব করেছে বায়র্ন মিউনিখ। জার্মান ক্লাবটি জয় পেয়েছে ৫-১ গোলের বড় ব্যবধানে। 

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে ঘরের মাঠে ৫ মিনিটেই গোল করে এগিয়ে যায় দোনেৎস্ক। স্বাগতিকদের হয়ে গোলটি করেন কেভিন। 

পিছিয়ে পড়ার ৬ মিনিট পর অবশ্য কানরাড লাইমারের গোলে ১-১ সমতায় ফেরে বায়ার্ন মিউনিখ। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে ৪৫ মিনিটে আরও একটি গোলের দেখা পায় জার্মান ক্লাবটি। ফলে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় মিউনিখ টমাস মুলারের গোলে।

দ্বিতীয়ার্ধে আরও শক্তিশালী হয়ে ফেরে বায়ার্ন মাইকেল অলিসির জোড়া গোলে। ৭০ ও ৯৩ মিনিটে গোল করেন তিনি। যার প্রথমটি ছিল পেনাল্টিতে। এই দুই গোলের মাঝে ৮৭ আরও একটি গোল করেন বায়ার্ন মিডফিল্ডার জামাল মুসিয়ালা। এতে ৫-১ গোলে জয় পায় জার্মান বুন্দেসলিগার ক্লাবটি।

টানা তিন জয়ে টেবিলের অষ্টম স্থানে উঠে গেছে বায়ার্ন। ৬ ম্যাচে ভিনসেন্ট কোম্পানির দলের পয়েন্ট ১২। 

সাল্জবুর্গ ০-৩ পিএসজি

রাতের আরেক ম্যাচে অস্ট্রিয়ান ক্লাব সালজবুর্গকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে পিএসজি। প্রথমার্ধে একটি ও দ্বিতীয়ার্ধে দুটি গোল করে ক্লাবটি।

প্রথমার্ধের ৩০ মিনিটে গঞ্জেলো রামোস প্রথম গোল করে এগিয়ে নেন পিএসজিকে। সেই গোলের পর প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না হলে পিএসজি ১-০ ব্যবধানে এগিয়েই শেষ করে প্রথমার্ধের খেলা। 

ম্যাচের ৭০ শতাংশ বল দখলে রেখেও দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় গোল পেতে অনেক সময় পার করতে হয় প্যারিসের ক্লাবটিকে। ৭২ মিনিটে নুনো মেন্ডিস দলের হয়ে দ্বিতীয় গোল করে ব্যবধান বাড়ান প্রতিপক্ষের সঙ্গে।

ম্যাচের শেষদিকে তৃতীয় গোলটি আসে ৮৫ মিনিটে। দেশায়ার দুয়ে করেন সেই গোলটি।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শুরু ভালো হয়নি পিএসজির। বুধবারের জয়ে প্লে-অফের সর্বশেষ জায়গা পেয়েছে লুইস এনরিকের দল। ৩৬ দলের প্রতিযোগিতায় শেষ ষোলোর আশা বাঁচিয়ে রাখতে অন্তত ২৪তম স্থানে থাকতে হবে পিএসজিকে। বর্তমানে ৬ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ২৪তম স্থানে আছে তারা।

এনসিএল টি-টোয়েন্টি শেষ বলের ছয়ে রোমাঞ্চকর জয় ঢাকা বিভাগের

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৭ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৭ পিএম
শেষ বলের ছয়ে রোমাঞ্চকর জয় ঢাকা বিভাগের
ছবি : সংগৃহীত

সিলেট ও ঢাকার লড়াইয়ে শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১২ রান। সিলেটের তোফায়েল আহমেদের করা ওভারটি থেকে ৫ বলে ৭ রান সংগ্রহ করে ঢাকা বিভাগ। শেষ বলে ৫ রানের কঠিন সমীকরণ ছক্কা মেরে মিলিয়ে রোমাঞ্চকর এক জয়ে ঢাকাকে শুভসূচনা এনে দেন শুভাগত হোম চৌধুরী।

দিনের উদ্বোধনী ম্যাচেই বয়ে গেছে চার-ছয়ের বৃষ্টি। সিলেটের ইনিংসে দাপুটে শতক হাঁকান তরুণ জিসান আলম। ১০ ছক্কায় ও ৪ চারে ৫২ বলে ১০০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তার ব্যাটেই ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছিল সিলেট।

এছাড়া মাহফুযুর রহমান রাব্বি করেন ১৭ বলে ৩০, ১৭ বলে ২৯ করেন তৌফিক খান তুষার। ২ উইকেট শিকার করেন নাজমুল ইসলাম অপু, ১টি করে উইকেট পেয়েছেন এনামুল হক ও তাইবুর রহমান।

সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একই রকম ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ঢাকার তরুণ ব্যাটার আরিফুল ইসলাম। অল্পের জন্য শতক হাতছাড়া করেন তিনি। তার ইনিংসটি ৪৬ বলে ৯৪ রানের। তবে তার ইনিংসে ভর করেই জয়ের ভিত পায় ঢাকা। 

ভিত পেলেও তাদের পেত্ব হয়েছে রোমাঞ্চকর জয়। শেষ ওভারের শেষ বলে ছয় হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন শুভাগত হোম। ৬ উইকেটের এই জয়ে দারুণভাবে আসর শুরু করল ঢাকা বিভাগ। 

সিলেটের হয়ে খালেদ আহমেদ, আবু জায়েদ রাহি ও রেজাউর রহমান রাজা পেয়েছেন ১টি করে উইকেট।

৪৬ বলে ৯৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ম্যাচসেরা হয়েছেন ঢাকার আরিফুল ইসলাম।

এনসিএল টি-টোয়েন্টি সিলেটে জিসানের ঝোড়ো শতক

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৫ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৬ পিএম
সিলেটে জিসানের ঝোড়ো শতক
ছবি : সংগৃহীত

আজ থেকে শুরু হওয়ার জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ম্যাচেই ঝোড়ো শতক হাঁকিয়েছে জিসান আলম। সিলেট ও ঢাকার ম্যাচে সিলেটের হয়ে ৫৩ বলে ১০ ছক্কায় করেছেন ১০০ রান। 

তার ইনিংসে ভর করেই সিলেট সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে ২০৫ রানের। ইনিংসের ১৫তম ওভারে ঢাকা বিভাগের অফ স্পিনার আরাফাত সানি জুনিয়রকে শেষ পাঁচ বলে পাঁচ ছয় হাঁকিয়েছেন। 

পুরো ইনিংসজুড়েই মাঠের চারপাশে চার-ছয়ের পসরা সাজিয়েছেন, নিখুঁত সব শটে। চারের চেয়ে বেশি তিনি ছক্কা হাঁকিয়েছেন এই দাপুটে ইনিংসে। ১০ ছয়ের বিপরীতে চার মেরেছেন মাত্র ৪টি। 

৫২ বলে ১০০ ছোঁয়া ব্যাটসম্যান মুখোমুখি হওয়ার পরের বলেই বোল্ড হয়ে যান। তবে তার ইনিংসটি হয়ে থাকলো বাংলাদেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টির অন্যতম সেরা ইনিংস। 

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });