মাত্র ২২ বছর বয়সেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন মার্কো আনগুলো। অনূর্ধ্ব-২৩ দলে না খেলেই সরাসরি খেলেছিলেন ইকুয়েডরের জাতীয় দলে। তাই তাকে ঘিরে ইকুয়েডর জাতীয় দলের স্বপ্নটাও ছিল বেশ বড়। কিন্তু সবাইকে কাঁদিয়ে তিনি চলে গেলে না ফেরার দেশে।
ইকুয়েডরের এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার আনগুলো হাসপাতালে পার করেছেন জীবনের শেষ এক মাস।
গেল মাসের ৭ তারিখ গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হন মার্কো আনগুলো। মাথায় ও ফুসফুসে গুরুতর আঘাত পান তিনি। এরপর থেকেই টানা একমাস ছিলেন আইসিইউতে। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে। মাঠের খেলায় বহুবার জয়ী হলেও হেরে গেলেন জীবনের যুদ্ধে। মাত্র ২২ বছর বয়সেই তিনি শেষ করেছেন তার দুনিয়ার সফর।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছে ইকুয়েডর ফুটবল ফেডারেশন।
ইকুয়েডরের বয়সভিত্তিক দলে খেলা আনগুলোর সাবেক সতীর্থ এবং ইন্ডিপেন্ডেন্তে জুনিয়র্সের ডিফেন্ডার রবার্তো কাবেজাসও মারা গেছেন এই দুর্ঘটনায়। দুই ফুটবলারকে হারিয়ে শোকে ডুবেছে ইকুয়েডরের ফুটবল ফেডারেশন। শোকের ছায়া নেমে এসেছে আনগুলোর ক্লাব যুক্তরাষ্ট্রের সিনসিনাটি এফসিতেও। এমএলএসের এই ক্লাবেই ক্যারিয়ারের সেরা সময় পার করেছেন এই ফুটবলার।
ইকুয়েডরিয়ান ফুটবল ফেডারেশন জানিয়েছে, ‘ইকুয়েডরের সাবেক ফুটবলার, যে প্রতিভা ও নিবেদন দিয়ে যখনই সুযোগ পেয়েছে আমাদের দেশের মুখ রক্ষা করছে। শুধু দুর্দান্ত একজন ফুটবলারই ছিল না, মার্কো দারুণ একজন সতীর্থও ছিল। তিনি আমাদের হৃদয়ে গভীর শোকের ছাপ রেখে গিয়েছেন’।
সিনসিনাটি আনগুলোর প্রতি সম্মান জানিয়ে লিখেছে, ‘মার্কোকে হারিয়ে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। যিনি ছিলেন একজন স্বামী এবং বাবা, ছিলেন কারো ভাই, কারো সন্তান। সর্বোপরি একজন বন্ধু আর সতীর্থ। তিনি উল্লসিত ও বিনীত তরুণ ছিলেন। যে রুমেই পা দিতেন, আলোকিত করতেন।’
আনগুলোর স্ত্রী এবং সন্তানও একই দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে ছিলেন। তবে তারা দুজনেই দুর্ঘটনার পর বেঁচে ফিরেছেন।