ঢাকা ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
English

সাক্ষাৎকারে সাগরিকা ফুটবল খেলতাম বলে বাবা কথা বলা বন্ধ করে দেন

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২১ এএম
আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৩ এএম
ফুটবল খেলতাম বলে বাবা কথা বলা বন্ধ করে দেন
ছবি : সংগৃহীত

এ বছরের শুরুতে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতে পাদপ্রদীপের আলোয় আসেন মোছাম্মৎ সাগরিকা। যৌথভাবে প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ গোলদাতাও ছিলেন তিনি। বাংলাদেশও হয়েছিল যৌথ চ্যাম্পিয়ন। পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে কদিন আগে নেপালে অনুষ্ঠিত সিনিয়র সাফেও বাংলাদেশ দলের গর্বিত সদস্য তিনি। প্রথমবারই পেয়েছেন শিরোপার স্বাদ। খবরের কাগজের মুখোমুখি হয়ে নিজের ও দলের সাফল্য নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন এই ফরোয়ার্ড। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তোফায়েল আহমেদ

খবরের কাগজ: প্রথমবারের মতো সিনিয়র সাফে খেলেই শিরোপার স্বাদ পেলেন। এই অনুভূতির কথা জানতে চাই প্রথমে। কেমন লাগছে?

সাগরিকা: অনেক ভালো লাগছে। সিনিয়র আপুদের সঙ্গে প্রথমবার সাফ খেললাম, প্রথমবার গিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। সত্যিই এটা অনেক ভালোলাগার অনুভূতি।

খবরের কাগজ: চ্যাম্পিয়ন হওয়া কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল?

সাগরিকা: অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল। কেননা আমরা বেশ কজন জুনিয়র খেলোয়াড় এবার প্রথম গেলাম। সিনিয়র আপুদের সঙ্গে আমার প্রথম ট্যুর ছিল এটা। অনেক চাপ ছিল। আপুদের সঙ্গে ভালো খেলতে পারব কি না, দলে থাকব কি না, এগুলো মনে কাজ করত। 

খবরের কাগজ: সব মিলিয়ে আপনি তিনটি ম্যাচ খেলেছেন। একটিতে শুরুর একাদশে, অন্য দুটিতে বদলি হিসেবে। নিজের খেলা নিয়ে কতটা খুশি আপনি?

সাগরিকা: আমি খুশি। সিনিয়র দলে প্রথমবার গিয়ে তিনটি ম্যাচ খেলতে পেরেছি। অনেক অভিজ্ঞতাও হয়েছে। এখন সামনে আরও ভালো কিছু করতে চাই।

খবরের কাগজ: এর আগে বয়সভিত্তিকে ভালো খেলেছেন। এবার সিনিয়র সাফে খেললেন। বয়সভিত্তিক আর সিনিয়র পর্যায়ের মধ্যে পার্থক্য কি দেখলেন?

সাগরিকা: পার্থক্য এটাই, আপুরা সিনিয়র খেলোয়াড়। উনাদের সেন্স ও বুদ্ধি আলাদা। জুনিয়রে যখন খেলেছি, তখন আমার নিজের মতো করে খেলতে পেরেছি বা স্যাররা শিখিয়ে দিয়েছেন সেভাবে খেলতে পেরেছি। সিনিয়র পর্যায়ে আপুরা যেভাবে খেলেন, সেভাবে খেলার চেষ্টা করতে হয়েছে। এটা খুব ভালোভাবেই বুঝেছি যে, সিনিয়র দলে থাকতে হলে আরও ইমপ্রুভ করতে হবে।

খবরের কাগজ: টুর্নামেন্ট চলাকালে তো অনেক বিষয়ে সমালোচনা হয়েছে। যার একটি সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব। এ নিয়ে আপনি কি বলবেন?

সাগরিকা: এগুলো আসলে কিছুই না। এগুলো এমনিতেই উঠেছে। আমাদের আপুরা সব সময় আমাদের সাপোর্ট করেছে। এখনো আমাদের আপুরা অনেক সাপোর্ট ও আদর করে। যেটা বললেন, এগুলো আসলে কিছুই না। এ ধরনের কিছু ঘটেনি।

খবরের কাগজ: সিনিয়র সাফে খেলার অভিজ্ঞতা সামনে কীভাবে কাজে লাগাতে চান?

সাগরিকা: সামনে আমাদের আরও খেলা আছে। বয়সভিত্তিক পর্যায়েও খেলা আছে। সাফে আমরা কেমন খেলেছি, সেটা যদি মাথায় থাকে, যদি এই খেলাটা ধরে রাখতে পারি, তাহলে অবশ্যই ভালো কিছু হবে।

খবরের কাগজ: এই যে প্রথমবার সাফে খেললেন। ভারত, নেপালের মতো দলের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা হলো। ভয় কাজ করেনি?

সাগরিকা: একটু তো ভয় কাজ করছিলই। ভারত, নেপাল বা পাকিস্তানের মতো সিনিয়র দল কেমন খেলে, সেটা তো সেভাবে জানতাম না। একটু তো ভয় কাজ করছিলই।

খবরের কাগজ: এই ভয়টা জয় করলেন কীভাবে?

সাগরিকা: সিনিয়র আপুরা সাহস দিচ্ছিল যে, ভয় করার কিছু নেই। আমরা আছি। বলতেন, তোমরা যখনই মাঠে নামবে, তখনই মনে করবে আমরা আছি। তোমাদের সেরাটা দিয়ে তোমরা খেলবে।

খবরের কাগজ: এবার জুনিয়র হিসেবে খেললেও পরবর্তী আসরে আপনাদের ওপরই বেশি দায়িত্ব থাকতে পারে। সে জন্য নিশ্চয়ই নিজেকে সেভাবেই প্রস্তুত করতে চাইবেন?

সাগরিকা: ইনশাআল্লাহ। সামনে এগিয়ে যেতে এখন আরও অনেক কিছুই করতে হবে। আমরা চাই যেভাবে খেলে আমরা সাফ জিতেছি, এই খেলাটা যেন সামনেও ধরে রাখতে পারি। যদি সেটা পারি, তাহলে অবশ্যই আরও ভালো কিছু হবে।

খবরের কাগজ: এ পর্যায়ে আপনার ফুটবলার হয়ে ওঠার গল্পটা একটু শুনি। কেমন ছিল আপনার উঠে আসা?

সাগরিকা: আমি ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকরের মেয়ে। ছোটবেলায় দেখতাম, আমাদের এলাকার অনেকজনই খেলতে যেত। কিন্তু আমি আসলে সেভাবে ফুটবল খেলা বুঝতাম না। আপুদের বলতাম, আপনারা কোথায় যাচ্ছেন? আপুরা বলত, খেলতে যাচ্ছি। আমি তো বুঝতাম না। তাই বলতাম, আপনারা কি খেলেন? তখন বলত ফুটবল খেলতে যাই। আমারও তখন যাওয়ার আগ্রহ তৈরি হয়। মাঠে গিয়ে দেখি অনেক আপুরা ফুটবল খেলছে। আমার দেখে ভালো লাগে। বাসায় এসে বলি, আমিও খেলতে চাই। কিন্তু আমাকে খেলতে দিতে চায়নি।

খবরের কাগজ: এরপরও কীভাবে খেলায় এলেন?

সাগরিকা: পরের পথ পাড়ি দেওয়াটা অনেক কঠিন ছিল। পরিবার তো চায়ইনি। সঙ্গে পাড়াপ্রতিবেশীদের কটু কথা তো ছিলই। মেয়ে মানুষ কেন খেলবে, এসব বলত সবাই। যে কারণ বাবা কিছুতেই রাজি ছিল না আমি ফুটবল খেলি। কিন্তু আমি জেদ করেছি। মনে এটাই ছিল, মানুষ এখন বাজে কথা বলছে। কিন্তু আমি যদি ভালো কিছু করি, তাহলে একদিন তারাই  হাততালি দেবে। জোর করে খেলতে যেতাম বলে আমার বাবা আমার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। তবে মা সাপোর্ট করত। আমাকে সাপোর্ট করত বলে মার সঙ্গেও বাবা তেমন কথা বলত না। মাকে তখন বলতাম, সমস্যা নেই। একদিন এমন ভালো কিছু করব, আমার বাবাকে দেখিয়ে দেব যে মানুষের কথাতে না, আগে নিজের মেয়ের কথা শোনো। এভাবেই আমার খেলা শুরু হলো। মাঠে গিয়ে প্র্যাকটিস করতাম। একদিন আমার কোচ বললেন, সাগরিকা ঢাকায় লিগ হবে, তোমার নাম দিয়েছি। তোমাদের বাছাই করতে আসবে। আমি টিকেও যাই। এফসি ব্রাক্ষণবাড়িয়ার হয়ে ২০২৩ সালে প্রথমবার লিগ খেলি। এরপর সেখান থেকে ছোটন স্যার (গোলাম রব্বানী ছোটন) ও লিটু স্যার (মাহবুবুর রহমান লিটু) আমাকে বাছাই করে বাফুফের ক্যাম্পে ডাকেন। ছোটন স্যার আমাকে অনেক সাপোর্ট করেছেন। ছোটন স্যার যদি সাপোর্ট না করতেন, তাহলে এতদূর আমি আসতে পারতাম না।

খবরের কাগজ: আপনি কি শুরু থেকেই ফরোয়ার্ডে খেলেন?

সাগরিকা: হ্যাঁ। শুরু থেকেই ফরোয়ার্ডে খেলি।

খবরের কাগজ: আপনার প্রিয় খেলোয়াড় কে বা কাকে আদর্শ মানেন?

সাগরিকা: আমার সবচেয়ে পছন্দের খেলোয়াড় নেইমার। দেশের ভেতরে ছেলেদের মধ্যে রাকিব ভাইকে ফলো করি। আর মেয়েদের মধ্যে সাবিনা আপু প্রিয়।

খবরের কাগজ: শেষ প্রশ্ন। নিজেকে নিয়ে আপনার স্বপ্ন কি?

সাগরিকা: ভবিষ্যতে বাইরের দেশে প্রিমিয়ার লিগ খেলতে চাই। এটাই এখন সবচেয়ে বড় স্বপ্ন।

সাকিবের বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি, জানা গেল শাস্তি

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৯ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৫ পিএম
সাকিবের বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি, জানা গেল শাস্তি
সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে কাউন্টির চ্যাম্পিয়নশিপের ডিভিশন ওয়ান-এর একটি ম্যাচে। ছবি: সংগৃহীত

ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে খেলার সময় সাকিব আল হাসানের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এজন্য কিছুদিন আগে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষাও দিয়েছেন তিনি। এবার জানা গেল তার শাস্তির কথা। 

ইংল্যান্ডের লাফবরো বিশ্ববিদ্যালয়ে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়েছিলেন সাকিব। এই পরীক্ষায় তার অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়েছে।

ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পরীক্ষায় উতরানোর আগ পর্যন্ত তাদের কোনো টুর্নামেন্টে বোলিং করতে পারবে না সাকিব আল হাসান। ক্যারিয়ারে এই প্রথম এমন কোনো অভিজ্ঞতা হলো বাংলাদেশি অলরাউন্ডারের।

সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে কাউন্টির চ্যাম্পিয়নশিপের ডিভিশন ওয়ান-এর একটি ম্যাচে। গত সেপ্টেম্বরে এই টুর্নামেন্টে সমারসেটের বিপক্ষে সারের হয়ে ম্যাচটি খেলেন সাকিব। ১১১ রানে হেরে যাওয়া সেই ম্যাচে দুই ইনিংসে ৬৩ ওভার বোলিং করে ৯ উইকেট পেয়েছিলেন সাকিব।

এবার মনিটরিং কমিটিই ভেঙে দিল বাফুফে!

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০২ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২১ পিএম
এবার মনিটরিং কমিটিই ভেঙে দিল বাফুফে!
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)

হঠাৎ করেই ২৯টি জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কমিটি বিলুপ্ত করে দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। 

গত বুধবার (১১ ডিসেম্বর) নির্বাহী কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয় তাবিথ আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিটি। এ নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

বাফুফে থেকে বলা হয়েছিল, তাদের দ্বারা গঠিত ‘ডিএফএ মনিটনিং কমিটি’র সুপারিশের ভিত্তিতে এই কমিটিগুলো ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

মনিটরিং কমিটি নাকি এই ডিএফএগুলোর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে- এক মাসও হয়নি বাফুফের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে এই কমিটিগুলোর দ্বারা নির্ধারিত কাউন্সিলররা ভোটও দিয়েছেন।

তখন সব ঠিক থাকলেও নির্বাচন শেষ হতেই কমিটিগুলো ভেঙে দেওয়া ভিন্ন কিছুই ইঙ্গিত দেয়।

এ সব নিয়ে যখন আলোচনা-সমালোচনা চলছে, তখন জানা যাচ্ছে আরও এক মজার তথ্য। যে মনিটরিং কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে কমিটিগুলো বিলুপ্ত করা হয়েছিল, এবার সেই মনিটরিং কমিটিই নাকি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

যদিও বাফুফের সেই মনিটরিং কমিটি ছিল মাত্র এক সদস্যের। অর্থাৎ এটিকে ঠিক কমিটি বলারও উপায় নেই। এই মনিটরিং কমিটির দায়িত্বে ছিলেন রাজবাড়ী ডিএফএর এবিএম মঞ্জুরুল আলম দুলাল।

উল্লেখ্য, বাফুফে কোন কোন ডিএফএর কমিটি বিলুপ্ত করেছে, তার কোনো তালিকাও এখন পর্যন্ত প্রকাশ করেনি। সবকিছুতেই যেন এক লুকোচুরি খেলায় মেতেছে সংস্থাটি।

নাবিল/এমএ/

এনসিএল টি-টোয়েন্টি তামিমের ব্যাটে চট্টগ্রামের জয়

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৪ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৫ পিএম
তামিমের ব্যাটে চট্টগ্রামের জয়
ছবি : সংগৃহীত

আগের ম্যাচে চট্টগ্রাম হেরেছিল ৫ উইকেটে। ৭ মাস পর মাঠের ক্রিকেটে ফিরে তামিম ইকবালের ব্যাটে এসেছিল মাত্র ১৩ রান। তবে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই দাপুটে ইনিংস খেললেন তামিম। ৩৩ বলে করেছেন ৬৫ রানের ঝোড়ো এক ইনিংস। তার ব্যাটে ভর করেই ১২ রানের জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ ১২ রানে সিলেটের বিপক্ষে।

৮ চার ও  ৩ ছক্কায় তার এই ইনিংসটি সাজানো ছিল। প্রথম ম্যাচে ১৩ রানে আউট হওয়ার পর এই ইনিংসটি তার জন্য স্বস্তির। একইভাবে ম্যাচটি স্বস্তির তার দলের জন্যেও। 

কুয়াশার কারণে সকালবেলার ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ের চেয়েও দেরিতে শুরু হওয়ায় ১৫ ওভারে হয় ম্যাচটি। যেখানে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট খরচায় ১৪৫ রানের পুঁজি পায় চট্টগ্রাম। 

যার জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৪.২ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে সিলেট তুলতে পেরেছে ১৩৩ রান। সিলেটের হয়ে তৌফিক খান তুষার ৩৬ বলে ৭৬ রান করেও ঠেকাতে পারেননি পরাজয়।

চট্টগ্রামের বোলারদের মধ্যে নাঈম হাসান ও হাসান মুরাদের শিকার ৩টি করে উইকেট। ৩৩ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন চট্টগ্রামের তামিম ইকবাল।

এনসিএল টি-টোয়েন্টি রান আউটের হ্যাটট্রিকে ১ রানের জয় খুলনার

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৩ পিএম
রান আউটের হ্যাটট্রিকে ১ রানের জয় খুলনার
ছবি : সংগৃহীত

বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারেনি খুলনা বিভাগ। ১৩০ রানের সংগ্রহেও শেষ তিন বলে রান আউটের হ্যাটট্রিকে জয় পেয়েছে নুরুল হাসান সোহানের দল ১ রানে। শেষ ৩ বলে বরিশাল বিভাগের যখন ২ রান দরকার, তখন টানা ৩ ব্যাটারকে রানআউট করে নাটকীয়ভাবে ম্যাচ জিতে নিয়েছে খুলনা।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান তোলে খুলনা বিভাগ। 

দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রান আসে ওপেনার এনামুল হক বিজয়ের ব্যাট থেকে। ১৭ রানা সে জিয়াউর রহমানের ব্যাট থেকে।

ছোট লক্ষ্য জবাব দিতে নেমে ওপেনার আব্দুল মজিদ দলের হাল ধরেন ব্যাটিং ধসে। একের পর এক ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে তার ৫১ রানই দলের সর্বোচ্চ। তিনি যখন আউট হন তখন ১১৩ রানে ৬ উইকেট হারায় বরিশাল ১৮.২ ওভারে। 

মাঝে মঈন খান ২৭ বলে ৪৩ রানের ইনিংসেও এগোচ্ছিল দলটি। তবে তিনি স্ট্রাইক না পাওয়ায় ও শেষ ওভারের ৩ বলে রান আউটের হ্যাটট্রিকের নাটকীয়তায় হারতে হয়েছে ১ রানে।

শেষ বরিশালের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৯ রান। প্রথম তিন বলে ৭ রান চলে আসে। যার মধ্যে প্রথম বলে লেগ বাই, দ্বিতীয় বলে মঈন খান সিঙ্গেল নেন। তৃতীয় বলে চার মারেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। 

কিন্তু শেষ তিন বলে রাব্বি, তানভির ও রুয়েল রান আউট হলে জয়ের একেবারে কাছে গিয়েও আর জেতা হয়নি বরিশালের। সোহানের দারুণ এক থ্রোতে শেষ বলে নন স্ট্রাইক প্রান্তে রান আউট করেন সোহান। মাঝে একটি বল ওয়াইড হলে শেষ বলে জিততে ২ ও টাই করতে ১ রান দরকার ছিল বরিশালের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জেতা হয়নি বরিশালের। 

খুলনার মেহেদী রানা ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা।

ঢাকায় প্রদর্শিত হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৫ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৬ পিএম
ঢাকায় প্রদর্শিত হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
ছবি : খবরের কাগজ।

২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন কোন পদ্ধতিতে হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে টুর্নামেন্টটির ট্রফি ঘুরে বেড়াচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ট্রফি ট্যুরের অংশ হিসেবে আজ তৃতীয় দিনের মতো বাংলাদেশ অবস্থান করছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। 

গতকাল বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে প্রদর্শনের পর আজ সকাল ১১টা থেকে ঢাকায় বসুন্ধরা সিটি শপিংমলে রাখা হয়েছে ভক্তদের জন্য। ট্রফিটি সেখানে রাখা হবে রাত ৮টা পর্যন্ত।

ফুটবল কিংবা ক্রিকেট, যেকোনো বিশ্বকাপের ট্রফি ট্যুরের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে এলেই ক্রীড়ামোদিদের আগ্রহ থাকে সেই ট্রফিকে কেন্দ্র করে। সবশেষ ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ট্রফিও ভ্রমণ করে গিয়েছিল বাংলাদেশে।

তবে সেবারের তুলনায় এবার ভক্তদের আনাগোনা অনেকটাই কম। আগেরবারের মতো ভক্তদের জন্য চারটি লাইন করা হলেও উপস্থিতির সংখ্যা বেশ কম নজরে এসেছে। গেল বার উপস্থিতির সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি ছিল এবারের চেয়ে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাম্প্রতিক অফ ফর্ম অন্যতম কারণ হতে পারে ভক্ত ও সমর্থকদের আগ্রহ কমে যাওয়ার পেছনে। 

আগামীকাল ট্রফিটির শেষদিন বাংলাদেশে। রাখা হবে হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে। সেখানে ক্রিকেটার, মিডিয়া, অফিসিয়ালদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে ট্রফিটি। সেখান থেকে রাতেই ট্রফিটি ঢাকা ছাড়বে।

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });