
প্রথম ম্যাচ রেকর্ড ব্যবধানে জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ নারী দল। এবার দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৭ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
এই জয়ে উইমেন্স চ্যাম্পিয়শিপে আরও দুই পয়েন্ট বেড়েছে টাইগ্রেসদের।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ ওভার ব্যাটিং করলেও বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৯৩ রানের বেশি করতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। উইকেট হারায় তারা ৬টি।
এই লক্ষ্য তাড়া করতে নামা বাংলাদেশের মেয়েরা শুরুতেই ধাক্কা খায় দলীয় ১৫ রানে ৬ রান করা মুর্শিদা খাতুনের বিদায়ে। তবে সেই চাপ ভালোভাবে সামলে নিয়ে ৮৫ রানের জুটি গড়েন ফারজানা হক ও শারমিন সুপ্তা।
তবে ৭ রানের ব্যবধানে তারা দুইজনও ফিরে গেলে ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হয়। ১০৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। ফারজানা হক অর্ধশতক আদায় করে থামেন ৫০ রানেই আর শারমিন সুপ্তা ৪৩ রানে আউট হন।
সোবহানা মোস্তারি করতে পারেননি ১৬ রানের বেশি। ১২৯ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় স্বাগতিক মেয়েরা। এরপর দলকে এগিয়ে নেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
৪০ রান করে জ্যোতি আউট হলেও ততক্ষণে জয় নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের। বাকি কাজটুকু সারেন স্বর্ণা আক্তার ও ফাহিমা খাতুন। দুজনে যথাক্রমে ২৯ ও ৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচসেরা হয়েছেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
এর আগে, আইরিশরা পুরো ৫০ ওভার ব্যাটিং করলেও তারা ছুঁতে পারেনি দুইশো রান।
ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৫ রানের ভেতর ২ উইকেট হারায় সফরকারী মেয়েরা। গ্যাবি লুইস ও সারা ফোর্বস সাজঘরে ফিরে যান ব্যর্থ হয়ে। উইকেট দুটি নেন নাহিদা আক্তার ও সুলতানা খাতুন।
সেখান থেকে ৯১ রানের জুটি গড়েন উইকেটকিপার ব্যাটার এমি হান্টার ও ওর্লা প্রেন্ডেরগাস্ট। সেই জুটি ভাঙে প্রেন্ডেরগাস্টের রানআউটে। তিনি করেন ৩৭ রানে।
এরপর আয়ারল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৮ রান করা এমি হান্টারও আউট হয়ে ১ রানের ব্যবধানে। ফলে ১২৭ রানে ৪ উইকেট হারায় সফরকারীরা।
আইরিশদের ইনিংসে ১৫৩ রানের সময় সুলতানা খাতুন শিকার করেন তার দ্বিতীয় উইকেট, এতে করে পঞ্চম উইকেট হারায় দলটি। ইনিংসে দ্বিতীয় রানআউটের শিকার হয়ে আউট হন লরা ডেলানি। তিনি করেন ৩৩ রান। ১৯০ রানে ৬ উইকেট হারায় আইরিশ মেয়েরা।
সবমিলিয়ে ৫০ ওভার শেষে ১৯৩ রান সংগ্রহ করে আয়ারল্যান্ডের মেয়েরা। সুলতানা ২, স্বর্ণা ও নাহিদা করেন ১টি করে উইকেট শিকার।