ঢাকা ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫
English

সিরিজ জিতল বাংলাদেশের মেয়েরা

প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৩ পিএম
আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৯ পিএম
সিরিজ জিতল বাংলাদেশের মেয়েরা
ছবি : সংগৃহীত

প্রথম ম্যাচ রেকর্ড ব্যবধানে জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ নারী দল। এবার দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৭ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।

এই জয়ে উইমেন্স চ্যাম্পিয়শিপে আরও দুই পয়েন্ট বেড়েছে টাইগ্রেসদের।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ ওভার ব্যাটিং করলেও বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৯৩ রানের বেশি করতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। উইকেট হারায় তারা ৬টি।

এই লক্ষ্য তাড়া করতে নামা বাংলাদেশের মেয়েরা শুরুতেই ধাক্কা খায় দলীয় ১৫ রানে ৬ রান করা মুর্শিদা খাতুনের বিদায়ে। তবে সেই চাপ ভালোভাবে সামলে নিয়ে ৮৫ রানের জুটি গড়েন ফারজানা হক ও শারমিন সুপ্তা।

তবে ৭ রানের ব্যবধানে তারা দুইজনও ফিরে গেলে ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হয়। ১০৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। ফারজানা হক অর্ধশতক আদায় করে থামেন ৫০ রানেই আর শারমিন সুপ্তা ৪৩ রানে আউট হন।

সোবহানা মোস্তারি করতে পারেননি ১৬ রানের বেশি। ১২৯ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় স্বাগতিক মেয়েরা। এরপর দলকে এগিয়ে নেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।

৪০ রান করে জ্যোতি আউট হলেও ততক্ষণে জয় নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের। বাকি কাজটুকু সারেন স্বর্ণা আক্তার ও ফাহিমা খাতুন। দুজনে যথাক্রমে ২৯ ও ৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচসেরা হয়েছেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।

এর আগে, আইরিশরা পুরো ৫০ ওভার ব্যাটিং করলেও তারা ছুঁতে পারেনি দুইশো রান।

ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৫ রানের ভেতর ২ উইকেট হারায় সফরকারী মেয়েরা। গ্যাবি লুইস ও সারা ফোর্বস সাজঘরে ফিরে যান ব্যর্থ হয়ে। উইকেট দুটি নেন নাহিদা আক্তার ও সুলতানা খাতুন।

সেখান থেকে ৯১ রানের জুটি গড়েন উইকেটকিপার ব্যাটার এমি হান্টার ও ওর্লা প্রেন্ডেরগাস্ট। সেই জুটি ভাঙে প্রেন্ডেরগাস্টের রানআউটে। তিনি করেন  ৩৭ রানে।

এরপর আয়ারল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৮ রান করা এমি হান্টারও আউট হয়ে ১ রানের ব্যবধানে। ফলে ১২৭ রানে ৪ উইকেট হারায় সফরকারীরা।

আইরিশদের ইনিংসে ১৫৩ রানের সময় সুলতানা খাতুন শিকার করেন তার দ্বিতীয় উইকেট, এতে করে পঞ্চম উইকেট হারায় দলটি। ইনিংসে দ্বিতীয় রানআউটের শিকার হয়ে আউট হন লরা ডেলানি। তিনি করেন ৩৩ রান। ১৯০ রানে ৬ উইকেট হারায় আইরিশ মেয়েরা।

সবমিলিয়ে ৫০ ওভার শেষে ১৯৩ রান সংগ্রহ করে আয়ারল্যান্ডের মেয়েরা। সুলতানা ২, স্বর্ণা ও নাহিদা করেন ১টি করে উইকেট শিকার।

ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন সামিত সোম

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০১:৫৭ পিএম
ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন সামিত সোম
ছবি : সংগৃহীত

সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচে খেলতে প্রবাসী ফুটবলারদের মধ্যে সবার আগে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেহিলেন ফাহমিদুল ইসলাম। এরপর আসেন আগেই বাংলাদেশের জার্সিত অভিষেক হওয়া হামজা চৌধুরী। আর আজ (৪ জুন) আসলেন কানাডাপ্রবাসী শামিত সোম।

আজ সন্ধ্যা ৭টায় ভুটানের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। আর ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ। এই দুই ম্যাচের স্কোয়াডেই রাখা হয়েছে সামিত সোমকে।

এই দুই ম্যাচকে সামনে রেখেই আজ (বুধবার) ভোরে সবার শেষে ঢাকায় পা রাখলেন কানাডা প্রবাসী ফুটবলার সামিত সোম। 

গেল ৬ মে বাংলাদেশের হয়ে খেলার জন্য ফিফার প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির অনুমতি পান সামিত সোম। ভ্রমণক্লান্তির জন্য আজ ভুটান ম্যাচে তার বিশ্রামে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রেখেই সামিত সোম জানান, ‘আমি দারুণ রোমাঞ্চিত। সতীর্থদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে উন্মুখ হয়ে আছি। আমরা কীভাবে খেলতে চাই, কোন ভূমিকায় খেলব এসব নিয়ে কোচের সঙ্গে কথা হয়েছে। এই মুহূর্তে আমি দলের সবার সঙ্গে দেখা করতে, টিমের সঙ্গে থাকতে মুখিয়ে আছি। আমি জানি আমাদের দলটা ভালো, আশা করি ভালো কিছুই হবে।’

এই দুই ম্যাচের জন্য ঘোষিত স্কোয়াডে এখন প্রবাসী ফুটবলারের সংখ্যা ৬। হামজা চৌধুরি (ইংল্যান্ড), জামাল ভূঁইয়া (ডেনমার্ক), কাজেম শাহ (কানাডা), ফাহমিদুল ইসলাম (ইতালি), তারিক কাজী (ফিনল্যান্ড) ও সামিত সোম (কানাডা)।

বাংলাদেশ-ভুটানের প্রীতি ম্যাচ ঘরের মাঠে হামজার অভিষেক আজ

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০১:৩০ পিএম
ঘরের মাঠে হামজার অভিষেক আজ
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনের তৃতীয় তলায় সংবাদ সম্মেলন কক্ষ যে অনেক বড় পরিসরের, তা নয়। তবে এই কক্ষেই বাফুফে তাদের সব আনুষ্ঠানিকতা সারে নির্বিঘ্নে। কিন্তু গতকাল বাংলাদেশ-ভুটান ম্যাচের সংবাদ সম্মেলন ভালোমতো শেষ করতে বাফুফের কর্মীদের বেশ বেগই পেতে হয়েছে। সংবাদ সম্মেলন কক্ষে যে তিল ধারনের ঠাঁই ছিল না। উপচে পড়া উপস্থিতি ছিল সংবাদকর্মীদের। বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া যে দৃশ্য দেখে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করলেন। সাংবাদিকরা বসার চেয়ার না পেয়ে নিচে বসে পড়া দেখে বলে উঠেন, ‘এখানে এত সাংবাদিক আমি প্রথম দেখছি। কিন্তু আমার কষ্ট লাগছে আপনারা নিচে বসে আছেন।’

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ফুটবলের দৃশ্যটা আসলে বদলে গেছে। এখন বাংলাদেশ ফুটবল ঘিরে সংবাদ মাধ্যমের ‍তুমুল আগ্রহ। কারণ আর কিছুই নয়, হামজা দেওয়ান চৌধুরী। ইংল্যান্ড প্রবাসী এই ফুটবলার বাংলাদেশ দলে নাম লেখাতেই গোটা দেশের ফুটবলের চিত্র বদলে গেছে। ফুটবলারদের অনুশীলন দেখতেও এখন স্টেডিয়াম আঙনায় ভিড় জমাচ্ছেন সমর্থকরা। সংবাদকর্মীদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি তো থাকছেই। গতকালের বাফুফে ভবনের চিত্রটাকে তাই অস্বাভাবিক বলার উপায় নেই। বরং এটা না হওয়াটাই এখন অস্বাভাবিক। আর ভুটানের বিপক্ষে এই ম্যাচটার তো অন্য রকম একটা আবেদন আছে। এই ম্যাচ দিয়ে যে ঘরের মাঠে অভিষেক হওয়ার কথা হামজার। 

ভুটান ম্যাচ না সিঙ্গাপুর ম্যাচ দিয়ে হামজার ঘরের মাঠে অভিষেক হবে, এ নিয়ে একটা দ্বিধা ছিল। সেই দ্বিধা গতকালের সংবাদ সম্মেলনে কেটে যেতে পারে বলে আভাস ছিল। হয়েছেও সেটা। বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা জানিয়ে দিয়েছেন, ‘হামজা কালকের (আজ) ম্যাচের জন্য অ্যাভেইলেবল।’ অর্থাৎ সব ঠিক থাকলে আজ দেশের মাটিতে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হবে হামজার। গত মার্চে শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে যিনি দেশের হয়ে প্রথম ম্যাচটি খেলেছেন।

জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-ভুটান ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টায়। এই ম্যাচ দিয়ে দীর্ঘদিন পর দেশের প্রধান ভেন্যুতে ফুটবল ফিরবে। তবে এই ম্যাচটি মূলত আগামী ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচের প্রস্তুতি বলা চলে। পুরো দলের মূল নজর সিঙ্গাপুর ম্যাচের দিকে। জামাল ভূঁইয়া যেমন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আগামী ১০ তারিখ আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। তবে কালকের ম্যাচও ভুটানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই আমরা আমাদের সেরাটা দেব। এখন আমাদের প্রধান ফোকাস হচ্ছে ভুটান ম্যাচে। ম্যাচটা জিততে হবে।’

ভুটানের বিপক্ষে মুখোমুখি লড়াইয়ে বাংলাদেশ বেশ এগিয়ে। দুই দলের ১৬ দেখায় বাংলাদেশ জিতেছে ১২টিতে। ভুটানের জয় ২টিতে। ড্র হয়েছে দুটি। তবে দুই দলের সবশেষ লড়াইয়ে জিতেছে ভুটান। গত বছর ভুটান সফরে দুটি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। প্রথমটি ১-০ তে জিতলেও পরেরটিতে একই ব্যবধানে হারে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। অন্য হারটি ২০১৬ সালের, যে হারের ফলে তোলপাড় পড়ে দিয়েছিল দেশের ফুটবলে। সবশেষ ভুটান সফরের পারফরম্যান্স নিয়ে জামালকে খুব বেশি চিন্তিত মনে হয়নি। তার কথায়, ‘সবশেষ আমরা যখন ভুটানের বিপক্ষে খেলছি, তখনকার আর এখনকার অবস্থাটা ভিন্ন। ওই ম্যাচের আগে আমাদের অধিকাংশ খেলোয়াড়ই প্রায় ৩-৪ মাস ধরে খেলার মধ্যে ছিল না। এখন লিগ মাত্র শেষ হয়েছে, তো সবাই খেলার মধ্যে আছে, মানে চিত্রটা ভিন্ন।’

এ ছাড়া এখন হামজা চৌধুরীর মতো হাইপ্রোফাইল খেলোয়াড় দলে রয়েছেন। আছেন ফাহামেদুল ইসলাম। যাকে এদিন পুরো ম্যাচ না খেলালেও কিছুটা সময় যে খেলানো হবে সেটি নিশ্চিত করেছেন কাবরেরা। বলেছেন, ‘ফাহামিদুলের কিছু সময় খেলার সম্ভাবনা আছে।’ আরও এক প্রবাসী সামিত সোম আজ ভোরেই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। তবে তাকে নিয়ে কাবরেরা বলেছেন, ‘লম্বা ভ্রমণ করে সে আসবে, তাকে নিয়ে আমাদের আরও একটু বেশি সতর্ক হতে হবে।’ অর্থাৎ সামিতের খেলার সম্ভাবনা কম।

বাংলাদেশ দলে এই যে প্রবাসী ফুটবলারদের মেলা, তাতে দলটির শক্তি যে অনেক বেড়েছে, এটি বলতে কোনো দ্বিধা করেননি ভুটান দলের কোচ আতসুশি নাকামুরা ও অধিনায়ক নিমা ওয়াংদি। নাকামুরার কথায়, ‘আমরা অনেক সৌভাগ্যমান যে হামজা চৌধুরীর মতো খেলোয়াড়ের সঙ্গে খেলতে পারব। হামজা খুবই ভালো মানের খেলোয়াড়। আশাকরি ছেলেদের খুব ভালো অভিজ্ঞতা হবে। আমি ম্যাচটা নিয়ে খুবই রোমাঞ্চিত।’ আর নিমা ওয়াংদির কথা তো, ‘হামজা যুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার সেরা দল।’ তবে এই বাংলাদেশের বিপক্ষে ভালো ফলের প্রত্যাশার কথাই জানিয়েছেন ভুটান কোচ নাকামুরা, ‘ব্রানাইয়ে বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের আগে এই ম্যাচটি আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই এই ম্যাচে আমরা আমাদের সেরাটা দেব।’ উল্লেখ্য, ভুটান দুলেও দুজন অস্ট্রেলিয়ান প্রবাসী ফুটবলার রয়েছেন।

এবারের আইপিএলে যত পুরস্কার

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ১২:৫৩ পিএম
এবারের আইপিএলে যত পুরস্কার
ছবি : সংগৃহীত

ক্রিকেটবিশ্বের সবচেয়ে দামি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৮তম আসরের পর্দা নেমেছে গতরাতে। দীর্ঘ ১৮ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে শিরোপা জিতেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

এই লিগে বাকিসব লিগের তুলনায় টাকার ঝনঝনানি বেশি। একগাদা পুরস্কার দেওয়া হয় প্রতি ম্যাচেই। আর ফাইনালে তো পুরো আসরের আরও অনেক পুরস্কারই দেওয়া হয় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে।

আইপিএল শুরুর আসরে ২০০৮ সালে চ্যাম্পিয়ন দলের প্রাইজমানি ছিল ৪ কোটি ৮০ লাখ রুপি। এবার সেই অংক বেড়েছে চারগুণেরও বেশি।

শিরোপা জেতা বেঙ্গালুরু পেয়েছে ২০ কোটি রুপি আর রানার্সআপ হয়ে পাঞ্জাব কিংস পেয়েছে ১২.৫ কোটি রুপি। এর বাইরে আরও একাধিক পুরস্কার দেওয়া হয়েছে ফাইনালে। 

এক নজরে ২০২৫ আইপিএলের দলীয় ও ব্যক্তিগত যত পুরস্কার:

চ্যাম্পিয়ন (২০ কোটি রুপি) : রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু

রানার্স আপ (১৩ কোটি রুপি): পাঞ্জাব কিংস

তৃতীয় স্থান (৭ কোটি রুপি) : মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স

চতুর্থ স্থান (৬ কোটি রুপি): গুজরাট টাইটান্স

ইলেক্ট্রিক স্ট্রাইকার অব দা ম্যাচ (১ লাখ রুপি) : জিতেশ শর্মা (১০ বলে ২৪ রান, স্ট্রাইক রেট ২৪০)

আল্টিমেট ফ্যান্টাসি প্লেয়ার অব দা ম্যাচ (১ লাখ রুপি) : শশাঙ্ক সিং

সুপার সিক্সার অব দা ম্যাচ (১ লাখ রুপি) : শশাঙ্ক সিং (৬টি ছক্কা)

অন-দা-গো ফোরস (১ লাখ রুপি) : প্রিয়াংশ আর্য (৪টি চার)

গ্রিন ডট বলস অব দা ম্যাচ (১ লাখ রুপি) : ক্রুনাল পান্ডিয়া (১২টি ডট বল)

প্লেয়ার অব দা ফাইনাল (৫ লাখ রুপি) : ক্রুনাল পান্ডিয়া (৪-০-১৭-২)

অরেঞ্জ ক্যাপ (সবচেয়ে বেশি রান, ১০ লাখ রুপি): সাই সুদর্শন (১৫ ইনিংসে ৭৫৯ রান)

পার্পল ক্যাপ (সবচেয়ে বেশি উইকেট, ১০ লাখ রুপি): প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা (১৫ ইনিংসে ২৫ উইকেট)

ইমার্জিং প্লেয়ার অব দা সিজন (১০ লাখ রুপি): সাই সুদর্শন (১৫ ইনিংসে ৭৫৯ রান)

সুপার স্ট্রাইকার অব দা সিজন (১০ লাখ রুপি): বৈভব সূর্যবংশী (৭ ইনিংসে ২৫২ রান ২০৬.৫৫ স্ট্রাইক রেটে)

ফ্যান্টাসি কিং অব দা সিজন (১০ লাখ রুপি): সাই সুদর্শন (১৪৯৫ পয়েন্ট)

অন-দা-গো ফোরস অব দা সিজন (১০ লাখ রুপি): সাই সুদর্শন (৮৮ চার)

সুপার সিক্সার অব দা সিজন (১০ লাখ রুপি) : নিকোলাস পুরান (৪০ ছক্কা)

গ্রিন ডট বলস অব দা সিজন (১০ লাখ রুপি): মোহাম্মদ সিরাজ (১৪৪ ডট বল)

ক্যাচ অব দা সিজন (১০ লাখ রুপি): কামিন্দু মেন্ডিস (চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ডেওয়াল্ড ব্রেভিসের ক্যাচ)

ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ড (১০ লাখ রুপি): চেন্নাই সুপার কিংস

মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার (ম্যান অব দা টুর্নামেন্ট, ১০ লাখ রুপি): সূর্যকুমার যাদব (৭১৭ রান)

বেস্ট পিচ অ্যান্ড গ্রাউন্ড অব দা সিজন (৫০ লাখ রুপি): অরুন জেটলি স্টেডিয়াম (দিল্লি)

শক্তিশালী জর্ডানের বিপক্ষে মেয়েদের ড্র

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ১২:৩১ পিএম
আপডেট: ০৪ জুন ২০২৫, ১২:৩৪ পিএম
শক্তিশালী জর্ডানের বিপক্ষে মেয়েদের ড্র
ছবি : সংগৃহীত

জর্ডানের মতো তুমুল শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ড্র করে আসা জয়ের চেয়ে কোনো অংশে কম নয় বাংলাদেশ নারী দলের কাছে। প্রতিকূল পরিবেশেও তাদের বিপক্ষে এই ড্র অর্জনের খাতায়ই পড়বে বলা চলে।

দারুণ লড়াইয়ে আফাঈদা খন্দকাররা অপরাজিত থাকল তিন জাতির এই টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচেও। 

ম্যাচের মাত্র ৫ মিনিটেই গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন তাদের অধিনায়ক জেবারাহ। পরে শামসুন্নাহার জুনিয়র বাংলাদেশকে সমতায় ফেরান ৪৩ মিনিটে।

প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় ১-১ সমতায়। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৮ মিনিটে গোল করে ফের জর্ডান এগিয়ে যায়।

দ্বিতীয়াবার জর্ডান ম্যাচে লিড নিলে বাংলাদেশ দলের ম্যাচে ফেরা পড়ে যায় শঙ্কায়। তবে ৮২ মিনিটে স্বাগতিকদের স্তব্ধ করে দেয় শাহেদা আক্তার রিপার গোল। আর ম্যাচ শেষ হয় ২-২ সমতায়।

এই জর্ডানের বিপক্ষেই ৫-০ ব্যবধানে হারতে হয়েছিল ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে। একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এই ড্র নিশ্চিতভাবেই দিচ্ছে জয়ের আনন্দ।

ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রয়ের পর র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ৫৯ ধাপ ওপরে থাকা জর্ডানের বিপক্ষে দুইবার পিছিয়ে পড়ার পরও এমন ড্র জয়ের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়।

আম্মানের কিং আবদুল্লাহ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় শুরু হওয়া ম্যাচে লাল-সবুজের দল খেলেছে মাথা উঁচু করেই। ম্যাচ শেষে মেয়েরা ছিলেন উচ্ছ্বসিত–আনন্দিত।

চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোহলির আনন্দাশ্রু

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ১১:৪৪ এএম
চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোহলির আনন্দাশ্রু
ছবি : সংগৃহীত

এই মাঠেই ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে হারার পর বিমর্ষ বিরাট কোহলির চেহারা যেন চেনাই যাচ্ছিল না। অস্ট্রেলিয়ার উদযাপনের ভীড়ে ঘরের মাঠেই শিরোপা ছুঁতে না পারার বেদনায় কেঁদে দেন বিরাট কোহলিরা।

গতরাতে (৩ জুন) একই মাঠে ফের কাঁদলেন কোহলি। তবে এই কান্না কষ্টের নয় আনন্দের। দীর্ঘ ১৮ বছরের অপেক্ষার অবসানের। টানা ১৮ বছর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলে চতুর্থবার ফাইনালে ওঠার পর কোহলি জিতলেন পরম আরাধ্য সেই শিরোপা। 

ম্যাচের শেষ বলে পাঞ্জাবের শশাঙ্ক সিং যখন ছক্কা মারলেন, সেটি নিয়ে কারো মাথাব্যথাই ছিল না। ছক্কা নয়, ক্যামেরা বরঞ্চ গুরুত্ব নিয়ে খুঁজে বের করলেন বিরাট কোহলিকে। অধিনায়ক রজত পাতিদার তার দেওয়া কথা রেখেছেন। কোহলির জন্য জিতে নিয়েছেন ট্রফি।

শিরোপা জেতার পর আহমেদাবাদের ঘাসে বসে হাত দিয়ে মুখ ঢেকে অঝোরে কাঁদলেন এই তারকা ব্যাটার। এ সুখের কান্নাটাই তো চেয়েছিলেন এই কিংবদন্তী। 

২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে হারের পর গ্যালারিতে থাকা কোহলির সহধর্মিণী আনুশকা শর্মা তাকে জড়িয়ে ধরে দিয়েছিলেন সান্ত্বনা। গতরাতেও বেঙ্গালুরু শিরোপা জয়ের রাতেও কোহলিকে আলিঙ্গন করেন আনুশকা। এবারের আলিঙ্গনটা সুখের এবং উদযাপনের।

আইপিএলের ১৮ মৌসুমের সব মৌসুমেই বেঙ্গালুরুর হয়েই খেলেছেন কোহলি। সেই দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর যেন ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন কোহলি, ‘এই জয় দলের যতটা, ভক্ত-সমর্থকদেরও ততটা। ১৮ বছরে আমি আমার যৌবন, ক্যারিয়ারের সেরা সময় ও অভিজ্ঞতা সবই কাজে লাগিয়েছি। প্রতি মৌসুমেই জেতার চেষ্টা করেছি। নিজের সর্বোচ্চটা দিয়েছি। অবশেষে সেই মুহূর্তটা এল। এই অনুভূতি অসাধারণ। এমন দিন যে আসবে, কখনোই কল্পনা করিনি।’

দলের বাকি সতীর্থরাও বারবার বন্দনা দিয়েছেন কোহলিকে। জিতেশ শর্মা, জশ হ্যাজলউড থেকে শুরু করে বেঙ্গালুরুর মেন্টর দিনেশ কার্তিক সবার মুখেই কোহলির নাম। 

সবার এমন ভালোবাসা পেয়ে ভারতীয় এই ব্যাটার আরও বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে কোহলি বলেন, ‘আমি সব সময় এই শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখেছি। শিরোপা জয়ের চেয়েও আমার কাছে এই মুহূর্তটা বিশেষ। কারণ, আমার হৃদয় বেঙ্গালুরুর সঙ্গে। আত্মা বেঙ্গালুরুর সঙ্গে। আমি যেমনটা বলেছি, আইপিএল ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত বেঙ্গালুরুর হয়েই খেলব।’