ঢাকা ৩০ পৌষ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

প্রথমবার যুব হকির বিশ্বকাপে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০৪ পিএম
প্রথমবার যুব হকির বিশ্বকাপে বাংলাদেশ
ছবি : সংগৃহীত

আম্পায়ারের শেষ বাঁশি বাজতেই বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের উল্লাস। ওমান এর মাসকটে যুব এশিয়া কাপে কপিতে থাইল্যান্ডকে ৭-২ ব্যবধানে হারিয়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দল জায়গা করে নিয়েছে যুব বিশ্বকাপে। বাংলাদেশের হকির ইতিহাসে যা কিনা প্রথম বিশ্বকাপ। 

আগামী বছর ভারতের মাটিতে বসতে যাচ্ছে সেই বিশ্বকাপের আসর। স্বাগতিক হওয়ার সরাসরি খেলবে ভারত। বাকি ছয় দেশের জায়গা হবে চলমান জুনিয়র এশিয়া কাপ থেকে।

‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশ তৃতীয় হওয়া বাংলাদেশ আজ মুখোমুখি হয়েছিল থাইল্যান্ডের। যারা কিনা ‘এ’ গ্রুপের চতুর্থ দল। পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থান নির্ধারণী ম্যাচের জন্য মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। এর মাধ্যমে বিশ্বকাপও নিশ্চিত হয়েছে। 

থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ দল বরাবরই শক্তিশালী। জাতীয় দল কিংবা যুব, দুইদিকেই সবসময় থাইল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেয়ে এসেছে হকিতে। আজ জিতলেই নিশ্চিত হয়ে যেত বিশ্বকাপ। এমন ম্যাচে সাবলিল খেলাই খেলেছে বাংলাদেশের যুবারা। চাপমুক্ত খেলে কাঙ্ক্ষিত জয়ের দেখাও পেয়েছে মওদুদুর রহমানের শিষ্যরা।

বাংলাদেশ প্রথম গোলের দেখা পায় জয়ের হিটে তৃতীয় মিনিটে। এর মিনিট তিনেক পর পেনাল্টি কর্ণার থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ হয় আমিরুল ইসলাম। আব্দুল্লাহ দ্বিতীয় কোয়ার্টারের করেন আরেকটি গোল। থাইল্যান্ড ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শেষ মিনিটে থাইল্যান্ড গোল করে। 

রিভার্স হিটে তৃতীয় কোয়ার্টারে মোহাম্মদ হাসান বাংলাদেশের লিড ৪-১ করেন। এরপর খানের গোলে ব্যবধান ৫-১। ঐ কোয়ার্টারে জয় আবারও গোল করলে প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের জয়। এরপর চতুর্থ কোয়াটারে আব্দুল্লাহ নিজের দ্বিতীয় গোল করলে স্কোরলাইন ৭-১ হয়। থাইল্যান্ড শেষ কোয়ার্টারে আরেকটি গোল করলে ৭-২ ব্যবধানে শেষ হয় ম্যাচ।

টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই বিশ্বকাপে পা দেওয়ার স্বপ্ন দেখা বাংলাদেশ খেলেছে দারুণ। স্বাগতিক ওমানকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শুরু করেছিল নিজেদের যাত্রা। তবে পরের ম্যাচেই পরাশক্তি পাকিস্তানের সামনে দিশেহারা হয় বাংলাদেশ ৬-০ ব্যবধানে হেরে। সেখান থেকে ভালো প্রত্যাবর্তন করে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। ম্যাচ জিততে না পারলেও মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ড্র করে নিজেদের টিকিয়ে রাখে।

চীনের বিপক্ষে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে নাটকীয় ড্র হয়। এই ম্যাচের কল্যাণেই গ্রুপে তৃতীয় হয় বাংলাদেশ। আর তাতেই থাইল্যান্ডের বিপক্ষে জিততে পারলেই বিশ্বকাপে উত্তীর্ণ হওয়ার সমীকরণ দাঁড়ায়। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। ৭ গোলের জয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করল বাংলাদেশের আগামী দিনের হকির প্রতিনিধিরা।  

রিশাদের দল পাওয়ার খবরে যা বললেন তামিম

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৩৬ পিএম
রিশাদের দল পাওয়ার খবরে যা বললেন তামিম
ছবি : সংগৃহীত

আইপিএলের নিলামে দল পায়নি বাংলাদেশের কোনো খেলোয়াড়। মোস্তাফিজুর রহমান ও সাকিব আল হাসানের দল পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকে দেখলেও শেষ পর্যন্ত দল পাননি তারাও। 

তবে পিএসএলে দল পেয়েছেন ৩ বাংলাদেশি ক্রিকেটার। গতিতারকা নাহিদ রানা ছাড়াও দল পেয়েছেন লিটন কুমার দাস ও রিশাদ হোসেন। পিএসএলে বাংলাদেশি খেলোয়াড়রা দল পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা স্বস্তি আছে দেশের ক্রিকেটের সমর্থকদের মাঝে। তবে অন্য হিসাবে বাংলাদেশ থেকে নাম দেওয়া ৩৯ ক্রিকেটারের মধ্যে মাত্র ৩ জনের ডাক পাওয়া বলা চলে কমই।

সিলভার ক্যাটাগরি থেকে রিশাদ হোসেনকে দলে নিয়েছে লাহোর কালান্দার্স। এই ক্যাটাগরিতে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের পরিমাণ ২৫ হাজার ডলার। দল পেয়ে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ায়রি) চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তরুণ এই লেগস্পিনার।

পিএসএলে দল পেয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় সুযোগ পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। আলহামদুলিল্লাহ। আমি কোনো কিছু আশা করি না, আইপিএল বিগ ব্যাশ বা পিএসএল। আপাতত বিপিএলে ফোকাস করছি। যখন সেটা আসবে আমি চেষ্টা করব।’ 

দল পাওয়ার খবরে স্বাভবিকই ছিলেন তা নিজেই বলেছেন রিশাদ, ‘আমার এজেন্ট আমাকে বলেছিল যে তুমি পিএসএলে লাহোর কালান্দার্সে চান্স পেয়েছো। আমি আগে থেকেই ভাবছিলাম আমাকে নেওয়ার সুযোগ ছিল। ফলে নরমাল ছিলাম।’
 
পিএসএলে বাংলাদেশিদের মধ্যে মাত্র ৩ জন দল পাওয়ায় আক্ষেপ আছে কি না, এমন প্রশ্নে এই লেগস্পিনারের মন্তব্য, ‘আক্ষেপ না। সামনে আরও ভালো করলে ইনশাল্লাহ আরও ৩-৪ জনের বেশি সুযোগ আসবে। কোনো কিছু নিয়ে আক্ষেপ না থাকাই ভালো। অবশ্যই, আমরা তো চাইব ১২-১৫ জন সবাই বাইরের লিগগুলো খেলুক। আশা থাকবে যেভাবে বিপিএল যেভাবে সুন্দর যাচ্ছে সামনে আশা করব আরও ভালো টুর্নামেন্টে খেলবে আমাদের দেশের প্লেয়াররা।’

বর্তমানে বিপিএলে খেলছেন তিনি ফরচুন বরিশালের হয়ে। সে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবালও অভিনন্দন জানান রিশাদকে, ‘(তামিম ভাই) অভিনন্দন জানিয়েছে। বলেছে ভালো ফ্র্যাঞ্চাইজি, খেলে মজা পাবা।’

বিগ ব্যাশে সুযোগ পেয়েও খেলতে পারেননি রিশাদ। খেলতে পারলে কি ক্যারিয়ারে ভালো কিছু হতো? এমন প্রশ্নের উত্তরেও কোনো আক্ষেপ নেই রিশাদের, ‘যেহেতু যেতে পারিনি তাই বুঝতে পারছিনা (কী ভালো হত)। আল্লাহ লিখে রাখছেন যাই নাই এজন্য সেজন্য সামনে ভালো কিছু হবে। তাই ভাবছি না গেলে কী ভালো হত, না হত।’

র‌্যাকেট দিয়ে ক্যামেরা ভাঙলেন মেদভেদেভ

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪১ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪১ পিএম
র‌্যাকেট দিয়ে ক্যামেরা ভাঙলেন মেদভেদেভ
ছবি : সংগৃহীত

মনের মতো পারফরম্যান্স করতে না পারায় রাগে-ক্ষোভে র‌্যাকেট ভাঙার ঘটনা খুবই অহরহ। তবে এবার কিছুটা বেশিই রাগ দেখালেন দানিল মেদভেদেভ। নিজের ব্যাট ভাঙার পাশাপাশি রুশ তারকা ভেঙেছেন নেটে লাগানো ক্যামেরাও। 

অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রথম রাউন্ডের পঞ্চম বাছাইয়ের ঘটনা। মেদভেদেভে প্রথম সেট জিতেও দ্বিতীয় সেটে হেরে বসেন অখ্যাত কাসিদিত সামরেজ। যিনি কিনা টেনিসের বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ৪১৮ নম্বর খেলোয়াড়। 

প্রথমবার কোনো গ্র্যান্ড স্লাম খেলা এই থাই খেলোয়াড় যখন তৃতীয় সেট প্রায় জিতেই যাচ্ছেন। সামারেজ তখন এগিয়ে মেদভেদেভের চেয়ে। ৪০-১৫ পয়েন্টে  পিছিয়ে থেকে মেজাজ হারান অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের তিনবারের রানার্সআপ মেদভেদেভ। 

তৃতীয় সেটের শেষ গেমের সময় সামরেজের একটি শট নেটে লেগে গতিপথ পাল্টালে কোনোমতো সেই শট ফেরালেও ফিরতি উইনারে সামরেজের কাছে পরাস্ত হন মেদভেদেভ।

এরপরই নেটের কাছে গিয়ে সর্বোচ্চ শক্তিতে র‌্যাকেট দিয়ে ক্যামেরার দিকে পাঁচবার আঘাত করেন মেদভেদেভ। এতে তার র‌্যাকেট তো ভাঙেই, ক্যামেরাটাও ভেঙে যায়।

ওই সেট খোয়ালেও অবশ্য মেদভেদেভ দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে পরের দুই সেটে জয় নিশ্চিত করেন নিজের। ইউএস ওপেনের সাবেক চ্যাম্পিয়ন ম্যাচটি জেতেন ৬-২, ৪-৬, ৩-৬, ৬-১, ৬-২ গেমে।

২০২১ সালে ইউএস ওপেন ফাইনালে নোভাক জোকোভিচকে হারিয়ে একমাত্র গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা জেতা মেদেভেদেভ তিনবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে উঠে হেরেছেন। এর মধ্যে সর্বশেষ গত বছর হেরেছেন জানিক সিনারের কাছে।

স্ত্রী-বান্ধবীদের নিয়ে বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে ভারতের ক্রিকেটে

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:১১ পিএম
স্ত্রী-বান্ধবীদের নিয়ে বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে ভারতের ক্রিকেটে
ছবি : সংগৃহীত

সাধারণত দেশের বাইরে কোনো লম্বা সফরে গেলে ক্রিকেটারদের সঙ্গেই দেখা যায় তাদের স্ত্রী কিংবা বান্ধবীদেরও। পরিবারের সদস্যরা কাছে থাকলে সেটি তাদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে। তবে সেই সুযোগ আর থাকছে না ভারতের ক্রিকেটে।

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৩-১ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ হেরে আসার পর এই সুযোগ আর দিতে চাইছে না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। এই ব্যাপারে দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের কঠোর হওয়ার বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রচার করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে।’

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বর্ডার-গাভাস্কার সিরিজে ভারতের অধিকাংশ ক্রিকেটারই ছিলেন ব্যর্থ। এই কারণেই কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে বিসিসিআইকে, এমন দাবি করেছে ইন্ডিয়া টুডে।

তাদের দাবি অনুযায়ী, অদূর ভবিষ্যতে বিদেশ সফরে ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাদের স্ত্রী-বান্ধবীদের নেওয়ার অনুমতি নাও দেওয়া হতে পারে। এমনও হতে পারে, ৪৫ দিনের সফরে কেবল দুই সপ্তাহ স্ত্রী-বান্ধবীদের থাকার অনুমতি দেওয়া হবে।

বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুলের স্ত্রীকে নিয়মিতই মাঠে দেখা গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া সফরে। বিসিসিআই কঠোর হলে তাদের হয়তোবা নাও দেখা যেতে পারে মাঠে। সাম্প্রতিক সময়ে কোহলিকে দেখা গেছে নিজের মতো যাতায়াত করতে। কিন্তু  সামনে ক্রিকেটারদের টিমবাসে করে যাওয়া-আসা বাধ্যতামূলক করতে পারে বিসিসিআই। 

এমন সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র ক্রিকেটারদের নিয়ে নয়, আসতে পারে দলের সহকারী কোচদের নিয়েও। প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের সহকারী হিসেবে কাজ করা নায়ার, মর্নে মরকেল এবং রায়ান টেনদের সঙ্গে তিন বছরের বেশি চুক্তি করা যাবে না বলে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। যদিও গম্ভীরের সঙ্গে চুক্তি তিন বছরের বেশি সময়ের, তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দল ভালো না করলে তাকে বরখাস্ত করা হতে পারে বলেও গুঞ্জন আছে।

পেপ গার্দিওলার ৩০ বছরের সম্পর্কের ভাঙন

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:০৬ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:০৮ পিএম
পেপ গার্দিওলার ৩০ বছরের সম্পর্কের ভাঙন
ছবি : সংগৃহীত

এমনিতেই মাঠে শিষ্যদের নিয়ে ভালো সময় যাচ্ছে না পেপ গার্দিওলার। সবশষ চার প্রিমিয়ার লিগের স্বাদ পাওয়া এই কোচ এখন আছেন শিরোপা হাতছাড়ার পথে। মাঠের দুঃসময়ের মতো অবস্থা মাঠের বাইরেও। খবর বেরিয়েছে ইতি টেনেছেন স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম স্পোর্ত জানিয়েছে, গার্দিওলা ও তার স্ত্রী ক্রিস্টিনা সেরা তাদের ৩০ বছরের সম্পর্কের ইতি টেনেছেন।

১৯৯৪ সাল থেকেই একসঙ্গে বসবাস করছেন পেপ গার্দিওলা ও ব্রাজিলিয়ান বংশোদ্ভূত সাংবাদিক ও লেখ ক্রিস্টিনা। তবে বিয়ে করেছেন এক দশক আগে ২০১৪ সালে বার্সেলোনায়। ১০ বছরের বৈবাহিক জীবনের পর বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দুইজনই।

এই দম্পতির রয়েছে তিন সন্তান। তাদের বড় সন্তান মারিয়ার বয়স ২৪, ছেলে মারিয়ার বয়স ২২ এবং ছোট মেয়ে ভালেন্তিনার বয়স ১৭।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, ৫ বছর আগে বার্সেলোনায় ফিরে যান ক্রিস্টিনা ছোট মেয়ে ভালেন্তিনাকে নিয়ে পারিবারিক ফ্যাশন কোম্পানিকে সাহায্য করার জন্য। অন্যদিকে, ম্যানচেস্টার সিটির কোচের দায়িত্ব পালন করা গার্দিওলা অবস্থান ম্যানচেস্টারেই। ফলে গেল ৫ বছর আলাদাই থেকেছেন তারা।

তবে এর মানে এই নয় যে তখনই তাদের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। সেই পাঁচ বছরেও তাদের একসঙ্গে দেখা গেছে বহুবার। স্ত্রী ও পরিবারকে সময় দিতে নিয়মিত বার্সেলোনা ভ্রমণে যেতেন গার্দিওলাও। তবে এবার পাকাপাকিভাবে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্তই নিয়ে নিলেন এই দম্পতি।

স্পোর্ত জানিয়েছে, গেল ডিসেম্বরেই নিজেদের দাম্পত্যের ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গার্দিওলা ও ক্রিস্টিনা। খবরটি জানতেন কেবল তাদের অল্প কিছু মানুষই শুধু ঘনিষ্ঠ মানুষজন। এই খবরটি তাদের বাইরে যাতে না যায় সেই অনুরোধও জানান এই দুজন।

গেল বছর জুনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ইন্টার মিলানকে হারিয়ে ম্যানচেস্টার সিটির ঐতিহাসিক ট্রেবল জেতার সময়ও ইস্তাম্বুলে গার্দিওলার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ক্রিস্টিনা।

মাসখানেক পর গত জুলাইয়ে তাদের একসঙ্গে দেখা যায় অল ইংল্যান্ড ক্লাবে বসে উইম্বলডন উপভোগ করার সময়ও।

লেস্টার সিটি ছাড়ছেন হামজা চৌধুরী

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:১১ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:১২ পিএম
লেস্টার সিটি ছাড়ছেন হামজা চৌধুরী
ছবি : সংগৃহীত

গুঞ্জটা আগেই ছিল, এবার সেটির সত্যতা প্রমাণ হলো। প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব লেস্টার সিটি ছাড়ছেন তিনি শীতকালীন দলবদলে। লোন ডিলে নতুন দল খুঁজছেন তিনি।

ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, হামজা ও তার শৈশবের ক্লাব লেস্টার সিটি দুই পক্ষের মাঝেই পাকা কথা হয়ে গেছে। তবে এখন দেখার বিষয় তিনি কি ধারে যাচ্ছেন নাকি একেবারেই ছেড়ে যাচ্ছেন নিজের শৈশবের ক্লাবকে।

ইতোমধ্যেই গুঞ্জন ছড়িয়েছে, শেফিল্ড ইউনাইটেডে যোগ দিতে যাচ্ছেন তিনি। অনেকদিন ধরেই ক্লাবটির নজরে য়াছেন তিনি। গেল মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে অবনমন হওয়া দলটা হামজর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়া নিয়ে মুখিয়েই আছে। 

চলমান সপ্তাহে এফএ কাপের ম্যাচে পুঁচকে কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের বিপক্ষে মাঠে  নামেননি হামজা। পুরো সময় তিনি পার করেছেন সাইডবেঞ্চে বসে। সেখান থেকেই ধারণা জন্ম নেয় তিনি ছেড়ে যাচ্ছেন ক্লাব। 

সম্ভবত এই সপ্তাহেই শেফিল্ডের হয়ে চুক্তিটা সেরে নেবে লেস্টার। এর আগে ম্যাচ খেলিয়ে বাংলাদেশি তারকার ওপর ঝুঁকি নিতে চায়নি তারা। যদিও ম্যাচটি লেস্টার জিতেছে ৬-২ গোলের বিশাল ব্যবধানে। 

গেল মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ থেকে অবনমন হওয়া শেফিল্ড প্রিমিয়ার লিগে ৩৮ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে ছিল সবার নীচে। তবে বর্তমানে প্রথম লিগের ফুটবলে ভালো অবস্থানেই আছে ক্লাবটি। চ্যাম্পিয়নশিপে শেফিল্ডের অবস্থান বর্তমানে তিনে। দুইয়ে থাকা বার্নলির সমান ৪৯ পয়েন্ট পেলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে আছে তালিকার ৩য় স্থানে।

ইংলিশ ফুটবলের নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম বিভাগ চ্যাম্পিয়নশপে যে চার দল তিন থেকে ছয়ে অবস্থান করবে তারাই অংশ নেবে প্রিমিয়ার লিগ কোয়ালিফিকেশনে। এই মুহূর্তে সেই অবস্থানে রয়েছে শেফিল্ড।