২৯৪ রানের স্কোর দাঁড় করিয়েও ৫ উইকেটে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। দ্বিতীয় ম্যাচে তাই ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য। সিরিজের প্রথম ম্যাচে জুটি ভাঙতে পারায় এমন পরাজয় হয়েছে বাংলাদেশের।
এই ম্যাচ সিরিজে টিকে থাকার লড়াই বাংলাদেশ দলের জন্য। অন্যদিকে মাইলফলক ছোঁয়ার ম্যাচ হতে পারে এটি অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জন্য।
গেল ম্যাচে মিরাজের ব্যাটে এসেছে ৭৪ রানের ইনিংস। যদিও ধীরগতির ইনিংস খেলে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। তবে দলের সংগ্রহে সন্তুষ্ট ছিলেন অধিনায়ক। সেই ম্যাচে ৭৪ রান করে পেছনে ফেলেছেন অধিনায়ক হিসেবে মুশফিকুর রহিমের ২০১৪ সালে করা ৭২ রান।
আজ দ্বিতীয় ম্যাচে একটি রেকর্ড ছোঁয়ার অপেক্ষায় আছেন তিনি। বল হাতে ৩ উইকেট শিকার করতে পারলে টপকে যাবেন সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্ত্তাজা ও উইন্ডিজের কেমার রোচকে। দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে সমান ৩০টি করে উইকেট আছে মাশরাফি ও রোচের ঝুলিতে। মিরাজের ঝুলিতে ২৭ উইকেট।
৩ উইকেট পেলে এই তাদের দুইজনকে ধরে ফেলবেন মিরাজ। আর ৪ উইকেট পেলে হবেন সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। মিরাজের অবস্থান এই তালিকায় চারে। তিনে আছেন আরেক বাংলাদেশি মোস্তাফিজুর রহমান। তার নামের পাশে ২৮ উইকেট থাকলেও তিনি এই সিরিজে নেই দলের সঙ্গে।
অন্যদিকে, এই ম্যাচে ১টি ছক্কার দরকার আগের ম্যাচে ৩ ছয় হাঁকিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ২০০ ছক্কা রেকর্ড গড়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের।
এই ম্যাচে ১টি ছক্কা হাঁকাতে পারলে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিপাক্ষিক সিরিজে সবচেয়ে বেশি ছক্কার মালিক হবেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২০টি ছক্কা নিয়ে সেই জায়গা দখল করে রেখেছেন ক্রিস গেইল। আগের ম্যাচে ৩ ছয় হাঁকানো রিয়াদের নামের পাশে এখন ১৯ ছক্কা। আজ একটি ছক্কা হাঁকালেই গেইলের সঙ্গে হবেন যৌথভাবে সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানো ব্যাটার।