ঢাকা ৩০ পৌষ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

হকিকে এগিয়ে নেওয়ার এখনই সময়

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৬ এএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৭ এএম
হকিকে এগিয়ে নেওয়ার এখনই সময়
ছবি : সংগৃহীত

সদ্যই বাংলাদেশের হকিতে এসেছে দারুণ এক সাফল্য। ওমানে অনুষ্ঠিত ছেলেদের জুনিয়র এশিয়া কাপে পঞ্চম হয়ে ফিরেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দল। এর মধ্য দিয়ে আগামী বছর ডিসেম্বরে হতে যাওয়া জুনিয়র বিশ্বকাপের টিকিটও পেয়েছেন তারা। এই প্রথম হকির কোনো বিশ্বকাপে থাকবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব। এই অর্জনকে কাজে লাগিয়ে দেশের সামগ্রিক হকিকে এগিয়ে নেওয়ার এখনই সময় বল মনে করছেন যুব এশিয়া কাপে বাংলাদেশের কোচের দায়িত্ব পালন করা মওদুদুর রহমান শুভ। খবরের কাগজের মুখোমুখি হয়ে জাতীয় দলের সাবেক এই খেলোয়াড় কথা বলেছেন আরও অনেক প্রসঙ্গেই। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তোফায়েল আহমেদ

এই প্রথম হকির কোনো বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করল বাংলাদেশ। দলটির কোচ হিসেবে কেমন লাগছে?

অবশ্যই খুব ভালো লাগছে। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ হকির কোনো বিশ্বকাপে খেলবে। এই ছেলেরা ইতিহাসের একটা অংশ হয়ে থাকল। আমার মনে হয় এটাকে পুঁজি করে হকিকে এগিয়ে নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ এখন। ক্রিকেটের কথাই বলি। ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জয় ও ১৯৯৯ বিশ্বকাপে কোয়ালিফাইয়ের মাধ্যমে দেশে ক্রিকেট জোয়ার তৈরি হয়েছিল। সেই থেকেই কিন্তু ক্রিকেটের এগিয়ে চলা। হকিতেও আমাদের ছেলেদের এই সাফল্যকে পুঁজি করে পরবর্তী পরিকল্পনা হওয়া উচিত। আমি মনে করি এই সাফল্যকে হকিকে এগিয়ে নেওয়ার টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে নেওয়া উচিত। যেহেতু আমরা যুব বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করেছি। এখন উচিত হবে আমাদের স্ট্যান্ডার্টটা ওই পর্যায়েই নিয়ে যাওয়া যে জুনিয়ররা গিয়েছে, পরবর্তীতে সিনিয়ররাও বিশ্বকাপে যাবে। সেভাবে যদি আমরা না আগাই, তাহলে সাফল্যটা এক জায়গাতেই আটকে যাবে।

আসরের আগে থেকেই আলোচনা ছিল, এবার বাংলাদেশের জন্য বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করার ভালো সুযোগ আছে। যেহেতু বিশ্বকাপে দল সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এই সুযোগ কাজে লাগানো কতটা চ্যালেঞ্জের ছিল?

এশিয়া কাপে আমরা সপ্তম হতে পারলেই বিশ্বকাপ কোয়ালিফাই করতাম। তবে আমাদের দলের প্রথম থেকেই লক্ষ্য ছিল সেমিফাইনালে যাওয়ার। সেমিফাইনালে যাবো, এটা ছিল প্রথম লক্ষ্য। আর ষষ্ঠ স্থানের নিচে যাওয়া যাবে না কিছুতেই। ছেলেরা নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেলেছে। কিছু ক্ষেত্রে ভাগ্য সহায় ছিল। আবার কিছু ক্ষেত্রে ছিল না। খুবই টাইট শিডিউল ছিল। সব মিলিয়ে সহজ ছিল না কাজটা। তবে আমি বলবো সেমিফাইনাল খেলার মতো দল ছিলাম আমরা। মালয়েশিয়ার সঙ্গে ম্যাচটা জিতলে (২-২ ড্র) কিন্তু আমরা সেমিফাইনালে থাকতাম।

যখন আপনাকে দায়িত্ব দেওয়া হলো তখন কী পরিকল্পনা নিয়ে শুরু করেছিলেন?

আমার লক্ষ্য ছিল দলটাকে একটা টিম হিসেবে তৈরি করার। যাতে একটা ইউনিট হয়ে আমরা খেলতে পারি। তাদের প্রতি আমার প্রথম মেসেজ ছিল- তোমরা এখন ফেডারেশনের অধীনে আছ, দেশের হয়ে খেলবে। তোমরা কে কোন ক্লাবের বা কে কোন জেলার, এটা মনে রাখবে না। হকি ফেডারেশনের অধীনে তোমরা বাংলাদেশ টিম, এই একটা নীতিতে চলবে। তারা সেটাই মেনে চলেছে, খুব ডিসিপ্লিনড ছিল। গত তিন মাস আমি যা বলেছি, এর বাইরে এক লাইনও যায়নি তারা। পুরোপুরি ডেডিকেটেড এবং মোটিভেটেট ছিল যে বিশ্বকাপ আমাদের খেলতেই হবে। লক্ষ্য পূরণের জন্য এই ছেলেরা যে পরিমাণ কষ্ট করেছে, তা ভাষায় প্রকাশের না।

এই সাফল্যে আপনার কোচিং ক্যারিয়ারেও নিশ্চয়ই নতুন মাত্রা যোগ হলো?

তা তো বটেই। কারণ এটা তো ইতিহাস হয়ে থাকবে। বাংলাদেশ এরপর যত বিশ্বকাপেই খেলুক, বলবে এই দলটার কোচ শুভ ছিল। আমার কোচিং ক্যারিয়ারে অবশ্যই এটা এখন পর্যন্ত সেরা অর্জন। এই দলের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি আমাদের ফেডারেশন সভাপতি ও বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞ। গত কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আরিফুল হক প্রিন্সের কথা বলতেই হবে। আমাকে কোচ করার পেছনে তার বড় ভূমিকা ছিল। অনুশীলন ক্যাম্পের জন্য বিকেএসপি পুরো সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। এজন্য ডিজি মহোদয়ের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। প্রতিটি খেলার পর তিনি ছেলেদের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেছেন। মোটিভেটেড করেছেন। ফেডারেশন সভাপতিও সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিয়েছেন। যা ছেলেদের অনুপ্রাণিত করেছে।

বিশ্বকাপে কোচ হিসেবে কাজ করা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে আপনার সঙ্গে?

সেভাবে কোনো আলোচনা হয়নি। যদি ফেডারেশন আমার ওপরে আস্থা রাখে, তাহলে কাজ করব। আর ফেডারেশন যদি আরও বেটার কিছু চিন্তা করে, সেটা একান্তই তাদের ব্যাপার। আমার সঙ্গে তাদের কথা ছিল জুনিয়র এশিয়া কাপ পর্যন্ত। এই মিশনে ছেলেরা অনেক কষ্ট করেছে। সবাই মিলে নিজেদের টার্গেটটা ফুলফিল করতে পেরে আমি আনন্দিত।

বিশ্বকাপের আগে ১ বছরের মতো সময় আছে। এই সময়ে ছেলেদের কীভাবে তৈরি করা উচিত বলে মনে করেন?

এখানে (যুব এশিয়া কাপে) খেলার পর প্রত্যেকটা দল বাংলাদেশের খেলা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে। মালয়েশিয়ার সঙ্গে ড্র করেছি আমরা, চীনের বিপক্ষে একবার ড্র করেছি, একবার জিতেছি। ছেলেদের মধ্যে যোগ্যতা বা সামার্থ্য সবই আছে। শুধু ঘাটতি যেটা, সেটা হলো ম্যাচ টেম্পারমেন্ট বা ম্যাচ অভিজ্ঞতা। তাদেরকে এই ১ বছর যদি দেশে-বিদেশে ভালো ভালো দলের বিপক্ষে খেলানো যায়, তাহলে এই ঘাটতি দূর হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে খেলোয়াড়দের আর্থিক বিষয়টাও দেখতে হবে। বিশেষ করে প্রিমিয়ার লিগ, ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ- এগুলো খেলোয়াড়দের আয়ের বড় উৎস। এই খেলাগুলো মাঠে রাখতে হবে। যারা নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে রয়েছেন, তাদের দায়িত্ব খেলোয়াড়দের বুস্টআপ করা, খেলার মধ্যে রাখা। খেলোয়াড়দের মোটিভেশনের ওভাব নেই। এরা নিজের পয়সা খরচ করে কেডস, বুট সবই কিনতেছে। যেমন আমার গোলকিপার তার ইকুপমেন্ট আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা খরচ করে কিনেছে। কিন্তু হকি খেলে আদতে সে কত টাকা পাচ্ছে? তারা নিজেদের সেলফ ডেডিকেশন দিয়ে যাচ্ছে। এখন তাদের বুস্টআপ করার দায়িত্ব আমাদের।

রিশাদের দল পাওয়ার খবরে যা বললেন তামিম

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৩৬ পিএম
রিশাদের দল পাওয়ার খবরে যা বললেন তামিম
ছবি : সংগৃহীত

আইপিএলের নিলামে দল পায়নি বাংলাদেশের কোনো খেলোয়াড়। মোস্তাফিজুর রহমান ও সাকিব আল হাসানের দল পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকে দেখলেও শেষ পর্যন্ত দল পাননি তারাও। 

তবে পিএসএলে দল পেয়েছেন ৩ বাংলাদেশি ক্রিকেটার। গতিতারকা নাহিদ রানা ছাড়াও দল পেয়েছেন লিটন কুমার দাস ও রিশাদ হোসেন। পিএসএলে বাংলাদেশি খেলোয়াড়রা দল পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা স্বস্তি আছে দেশের ক্রিকেটের সমর্থকদের মাঝে। তবে অন্য হিসাবে বাংলাদেশ থেকে নাম দেওয়া ৩৯ ক্রিকেটারের মধ্যে মাত্র ৩ জনের ডাক পাওয়া বলা চলে কমই।

সিলভার ক্যাটাগরি থেকে রিশাদ হোসেনকে দলে নিয়েছে লাহোর কালান্দার্স। এই ক্যাটাগরিতে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের পরিমাণ ২৫ হাজার ডলার। দল পেয়ে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ায়রি) চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তরুণ এই লেগস্পিনার।

পিএসএলে দল পেয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় সুযোগ পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। আলহামদুলিল্লাহ। আমি কোনো কিছু আশা করি না, আইপিএল বিগ ব্যাশ বা পিএসএল। আপাতত বিপিএলে ফোকাস করছি। যখন সেটা আসবে আমি চেষ্টা করব।’ 

দল পাওয়ার খবরে স্বাভবিকই ছিলেন তা নিজেই বলেছেন রিশাদ, ‘আমার এজেন্ট আমাকে বলেছিল যে তুমি পিএসএলে লাহোর কালান্দার্সে চান্স পেয়েছো। আমি আগে থেকেই ভাবছিলাম আমাকে নেওয়ার সুযোগ ছিল। ফলে নরমাল ছিলাম।’
 
পিএসএলে বাংলাদেশিদের মধ্যে মাত্র ৩ জন দল পাওয়ায় আক্ষেপ আছে কি না, এমন প্রশ্নে এই লেগস্পিনারের মন্তব্য, ‘আক্ষেপ না। সামনে আরও ভালো করলে ইনশাল্লাহ আরও ৩-৪ জনের বেশি সুযোগ আসবে। কোনো কিছু নিয়ে আক্ষেপ না থাকাই ভালো। অবশ্যই, আমরা তো চাইব ১২-১৫ জন সবাই বাইরের লিগগুলো খেলুক। আশা থাকবে যেভাবে বিপিএল যেভাবে সুন্দর যাচ্ছে সামনে আশা করব আরও ভালো টুর্নামেন্টে খেলবে আমাদের দেশের প্লেয়াররা।’

বর্তমানে বিপিএলে খেলছেন তিনি ফরচুন বরিশালের হয়ে। সে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবালও অভিনন্দন জানান রিশাদকে, ‘(তামিম ভাই) অভিনন্দন জানিয়েছে। বলেছে ভালো ফ্র্যাঞ্চাইজি, খেলে মজা পাবা।’

বিগ ব্যাশে সুযোগ পেয়েও খেলতে পারেননি রিশাদ। খেলতে পারলে কি ক্যারিয়ারে ভালো কিছু হতো? এমন প্রশ্নের উত্তরেও কোনো আক্ষেপ নেই রিশাদের, ‘যেহেতু যেতে পারিনি তাই বুঝতে পারছিনা (কী ভালো হত)। আল্লাহ লিখে রাখছেন যাই নাই এজন্য সেজন্য সামনে ভালো কিছু হবে। তাই ভাবছি না গেলে কী ভালো হত, না হত।’

র‌্যাকেট দিয়ে ক্যামেরা ভাঙলেন মেদভেদেভ

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪১ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪১ পিএম
র‌্যাকেট দিয়ে ক্যামেরা ভাঙলেন মেদভেদেভ
ছবি : সংগৃহীত

মনের মতো পারফরম্যান্স করতে না পারায় রাগে-ক্ষোভে র‌্যাকেট ভাঙার ঘটনা খুবই অহরহ। তবে এবার কিছুটা বেশিই রাগ দেখালেন দানিল মেদভেদেভ। নিজের ব্যাট ভাঙার পাশাপাশি রুশ তারকা ভেঙেছেন নেটে লাগানো ক্যামেরাও। 

অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রথম রাউন্ডের পঞ্চম বাছাইয়ের ঘটনা। মেদভেদেভে প্রথম সেট জিতেও দ্বিতীয় সেটে হেরে বসেন অখ্যাত কাসিদিত সামরেজ। যিনি কিনা টেনিসের বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ৪১৮ নম্বর খেলোয়াড়। 

প্রথমবার কোনো গ্র্যান্ড স্লাম খেলা এই থাই খেলোয়াড় যখন তৃতীয় সেট প্রায় জিতেই যাচ্ছেন। সামারেজ তখন এগিয়ে মেদভেদেভের চেয়ে। ৪০-১৫ পয়েন্টে  পিছিয়ে থেকে মেজাজ হারান অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের তিনবারের রানার্সআপ মেদভেদেভ। 

তৃতীয় সেটের শেষ গেমের সময় সামরেজের একটি শট নেটে লেগে গতিপথ পাল্টালে কোনোমতো সেই শট ফেরালেও ফিরতি উইনারে সামরেজের কাছে পরাস্ত হন মেদভেদেভ।

এরপরই নেটের কাছে গিয়ে সর্বোচ্চ শক্তিতে র‌্যাকেট দিয়ে ক্যামেরার দিকে পাঁচবার আঘাত করেন মেদভেদেভ। এতে তার র‌্যাকেট তো ভাঙেই, ক্যামেরাটাও ভেঙে যায়।

ওই সেট খোয়ালেও অবশ্য মেদভেদেভ দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে পরের দুই সেটে জয় নিশ্চিত করেন নিজের। ইউএস ওপেনের সাবেক চ্যাম্পিয়ন ম্যাচটি জেতেন ৬-২, ৪-৬, ৩-৬, ৬-১, ৬-২ গেমে।

২০২১ সালে ইউএস ওপেন ফাইনালে নোভাক জোকোভিচকে হারিয়ে একমাত্র গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা জেতা মেদেভেদেভ তিনবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে উঠে হেরেছেন। এর মধ্যে সর্বশেষ গত বছর হেরেছেন জানিক সিনারের কাছে।

স্ত্রী-বান্ধবীদের নিয়ে বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে ভারতের ক্রিকেটে

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:১১ পিএম
স্ত্রী-বান্ধবীদের নিয়ে বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে ভারতের ক্রিকেটে
ছবি : সংগৃহীত

সাধারণত দেশের বাইরে কোনো লম্বা সফরে গেলে ক্রিকেটারদের সঙ্গেই দেখা যায় তাদের স্ত্রী কিংবা বান্ধবীদেরও। পরিবারের সদস্যরা কাছে থাকলে সেটি তাদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে। তবে সেই সুযোগ আর থাকছে না ভারতের ক্রিকেটে।

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৩-১ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ হেরে আসার পর এই সুযোগ আর দিতে চাইছে না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। এই ব্যাপারে দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের কঠোর হওয়ার বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রচার করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে।’

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বর্ডার-গাভাস্কার সিরিজে ভারতের অধিকাংশ ক্রিকেটারই ছিলেন ব্যর্থ। এই কারণেই কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে বিসিসিআইকে, এমন দাবি করেছে ইন্ডিয়া টুডে।

তাদের দাবি অনুযায়ী, অদূর ভবিষ্যতে বিদেশ সফরে ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাদের স্ত্রী-বান্ধবীদের নেওয়ার অনুমতি নাও দেওয়া হতে পারে। এমনও হতে পারে, ৪৫ দিনের সফরে কেবল দুই সপ্তাহ স্ত্রী-বান্ধবীদের থাকার অনুমতি দেওয়া হবে।

বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুলের স্ত্রীকে নিয়মিতই মাঠে দেখা গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া সফরে। বিসিসিআই কঠোর হলে তাদের হয়তোবা নাও দেখা যেতে পারে মাঠে। সাম্প্রতিক সময়ে কোহলিকে দেখা গেছে নিজের মতো যাতায়াত করতে। কিন্তু  সামনে ক্রিকেটারদের টিমবাসে করে যাওয়া-আসা বাধ্যতামূলক করতে পারে বিসিসিআই। 

এমন সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র ক্রিকেটারদের নিয়ে নয়, আসতে পারে দলের সহকারী কোচদের নিয়েও। প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের সহকারী হিসেবে কাজ করা নায়ার, মর্নে মরকেল এবং রায়ান টেনদের সঙ্গে তিন বছরের বেশি চুক্তি করা যাবে না বলে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। যদিও গম্ভীরের সঙ্গে চুক্তি তিন বছরের বেশি সময়ের, তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দল ভালো না করলে তাকে বরখাস্ত করা হতে পারে বলেও গুঞ্জন আছে।

পেপ গার্দিওলার ৩০ বছরের সম্পর্কের ভাঙন

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:০৬ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:০৮ পিএম
পেপ গার্দিওলার ৩০ বছরের সম্পর্কের ভাঙন
ছবি : সংগৃহীত

এমনিতেই মাঠে শিষ্যদের নিয়ে ভালো সময় যাচ্ছে না পেপ গার্দিওলার। সবশষ চার প্রিমিয়ার লিগের স্বাদ পাওয়া এই কোচ এখন আছেন শিরোপা হাতছাড়ার পথে। মাঠের দুঃসময়ের মতো অবস্থা মাঠের বাইরেও। খবর বেরিয়েছে ইতি টেনেছেন স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম স্পোর্ত জানিয়েছে, গার্দিওলা ও তার স্ত্রী ক্রিস্টিনা সেরা তাদের ৩০ বছরের সম্পর্কের ইতি টেনেছেন।

১৯৯৪ সাল থেকেই একসঙ্গে বসবাস করছেন পেপ গার্দিওলা ও ব্রাজিলিয়ান বংশোদ্ভূত সাংবাদিক ও লেখ ক্রিস্টিনা। তবে বিয়ে করেছেন এক দশক আগে ২০১৪ সালে বার্সেলোনায়। ১০ বছরের বৈবাহিক জীবনের পর বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দুইজনই।

এই দম্পতির রয়েছে তিন সন্তান। তাদের বড় সন্তান মারিয়ার বয়স ২৪, ছেলে মারিয়ার বয়স ২২ এবং ছোট মেয়ে ভালেন্তিনার বয়স ১৭।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, ৫ বছর আগে বার্সেলোনায় ফিরে যান ক্রিস্টিনা ছোট মেয়ে ভালেন্তিনাকে নিয়ে পারিবারিক ফ্যাশন কোম্পানিকে সাহায্য করার জন্য। অন্যদিকে, ম্যানচেস্টার সিটির কোচের দায়িত্ব পালন করা গার্দিওলা অবস্থান ম্যানচেস্টারেই। ফলে গেল ৫ বছর আলাদাই থেকেছেন তারা।

তবে এর মানে এই নয় যে তখনই তাদের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। সেই পাঁচ বছরেও তাদের একসঙ্গে দেখা গেছে বহুবার। স্ত্রী ও পরিবারকে সময় দিতে নিয়মিত বার্সেলোনা ভ্রমণে যেতেন গার্দিওলাও। তবে এবার পাকাপাকিভাবে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্তই নিয়ে নিলেন এই দম্পতি।

স্পোর্ত জানিয়েছে, গেল ডিসেম্বরেই নিজেদের দাম্পত্যের ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গার্দিওলা ও ক্রিস্টিনা। খবরটি জানতেন কেবল তাদের অল্প কিছু মানুষই শুধু ঘনিষ্ঠ মানুষজন। এই খবরটি তাদের বাইরে যাতে না যায় সেই অনুরোধও জানান এই দুজন।

গেল বছর জুনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ইন্টার মিলানকে হারিয়ে ম্যানচেস্টার সিটির ঐতিহাসিক ট্রেবল জেতার সময়ও ইস্তাম্বুলে গার্দিওলার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ক্রিস্টিনা।

মাসখানেক পর গত জুলাইয়ে তাদের একসঙ্গে দেখা যায় অল ইংল্যান্ড ক্লাবে বসে উইম্বলডন উপভোগ করার সময়ও।

লেস্টার সিটি ছাড়ছেন হামজা চৌধুরী

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:১১ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:১২ পিএম
লেস্টার সিটি ছাড়ছেন হামজা চৌধুরী
ছবি : সংগৃহীত

গুঞ্জটা আগেই ছিল, এবার সেটির সত্যতা প্রমাণ হলো। প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব লেস্টার সিটি ছাড়ছেন তিনি শীতকালীন দলবদলে। লোন ডিলে নতুন দল খুঁজছেন তিনি।

ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, হামজা ও তার শৈশবের ক্লাব লেস্টার সিটি দুই পক্ষের মাঝেই পাকা কথা হয়ে গেছে। তবে এখন দেখার বিষয় তিনি কি ধারে যাচ্ছেন নাকি একেবারেই ছেড়ে যাচ্ছেন নিজের শৈশবের ক্লাবকে।

ইতোমধ্যেই গুঞ্জন ছড়িয়েছে, শেফিল্ড ইউনাইটেডে যোগ দিতে যাচ্ছেন তিনি। অনেকদিন ধরেই ক্লাবটির নজরে য়াছেন তিনি। গেল মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে অবনমন হওয়া দলটা হামজর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়া নিয়ে মুখিয়েই আছে। 

চলমান সপ্তাহে এফএ কাপের ম্যাচে পুঁচকে কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের বিপক্ষে মাঠে  নামেননি হামজা। পুরো সময় তিনি পার করেছেন সাইডবেঞ্চে বসে। সেখান থেকেই ধারণা জন্ম নেয় তিনি ছেড়ে যাচ্ছেন ক্লাব। 

সম্ভবত এই সপ্তাহেই শেফিল্ডের হয়ে চুক্তিটা সেরে নেবে লেস্টার। এর আগে ম্যাচ খেলিয়ে বাংলাদেশি তারকার ওপর ঝুঁকি নিতে চায়নি তারা। যদিও ম্যাচটি লেস্টার জিতেছে ৬-২ গোলের বিশাল ব্যবধানে। 

গেল মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ থেকে অবনমন হওয়া শেফিল্ড প্রিমিয়ার লিগে ৩৮ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে ছিল সবার নীচে। তবে বর্তমানে প্রথম লিগের ফুটবলে ভালো অবস্থানেই আছে ক্লাবটি। চ্যাম্পিয়নশিপে শেফিল্ডের অবস্থান বর্তমানে তিনে। দুইয়ে থাকা বার্নলির সমান ৪৯ পয়েন্ট পেলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে আছে তালিকার ৩য় স্থানে।

ইংলিশ ফুটবলের নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম বিভাগ চ্যাম্পিয়নশপে যে চার দল তিন থেকে ছয়ে অবস্থান করবে তারাই অংশ নেবে প্রিমিয়ার লিগ কোয়ালিফিকেশনে। এই মুহূর্তে সেই অবস্থানে রয়েছে শেফিল্ড।