ঢাকা ৯ মাঘ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫

হারের কপালে সান্ত্বনার প্রলেপ

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩০ এএম
হারের কপালে সান্ত্বনার প্রলেপ
ছবি : সংগৃহীত

সময় (বাজে গেলে) খারাপ হলে যা হয়। সেই বাজে সময়টা যেন জগদ্দল পাথরের মতো বাংলাদেশ দলের কাঁধে চেপে বসেছে। গুমট আকাশ। ঘনঘন বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। বাতাসে শোঁ শোঁ শব্দ। কী অশনিসংকেত সামনে অপেক্ষা করছে, কে জানে? আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের পথ চলা কখনো মসৃণ ছিল না। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। একটু ব্যতিক্রমী ছিল ওয়ানডে ক্রিকেটে। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সেখানেও খেয়েছে প্রচণ্ড হোঁচট। তাই এখানেও মসৃণভাবে চলার পথে বিশাল এক প্রশ্ন সামনে এসেছে। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির মতো ওয়ানডেতেও হয়তো এখন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলতে হবে। এরপর ১৬, ১৮ ও ২০ ডিসেম্বর সেন্ট লুসিয়াতে অনুষ্ঠিত হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।

এটা সত্য তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ হোয়াইট ওয়াশ হয়েছে। কোনো ম্যাচেই লড়াই করতে পারেনি। কিন্তু লড়াই করতে না পারলেও খুব যে বাজে খেলেছে তা কিন্তু বলা যাবে না। তিনটি ম্যাচেই আগে ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ দল। দ্বিতীয়টি ছাড়া বাকি দুটি ম্যাচেই বাংলাদেশ কিন্তু বড় সংগ্রহ করে হেরেছে। দ্বিতীয় ম্যাচে মাত্র ২২৭ রান করে অলআউট হয়েছিল। বাকি দুই ম্যাচে আর অলআউট হয়নি। স্কোর বোর্ডে রানও জমা করেছিল বলার মতো। প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটে ২৯৪, তৃতীয় ম্যাচে ৫ উইকেটে ৩২১ রান।

কিন্তু বড় সংগ্রহ পেয়েও বাংলাদেশ ম্যাচ জেতা তো দূরের কথা, লড়াইও করতে পারেনি। এই দুই ম্যাচে বাংলাদেশ ব্যাটাররা শাসন করলেও বোলাররা শোষিত হয়েছেন। অথচ দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ জিতেছিল এই বোলারদের জন্যই। দুই ইনিংসে বাংলাদেশের রান ছিল যথাক্রমে ১৬৪ ও ২৬৮। সেই বোলাররাই গোটা ওয়ানডে সিরিজে হয়েছেন শোষিত।

ওয়ানডে সিরিজ বাংলাদেশ খেলতে নেমেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অনন্য এক রেকর্ডকে সঙ্গী করে। ২০১৮ সালের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ছিল অপরাজেয়। টানা ১১ ম্যাচ আর চারটি সিরিজ জয়। কিন্তু এবার সবই বিসর্জন গিয়েছে ক্যারিবিয়ান সাগরে। ম্যাচে বাংলাদেশ ২৯৪ ও ৩২১ রান করে হেরেছে। সেই দুই ম্যাচে কিন্তু বোলাররা দারুণ শুরু করেছিলেন। প্রথম ম্যাচে ২৭ রানে দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বোলাররা। এরপর শতরানের আগে তুলে নিয়েছিলেন আরও এক উইকেট। কিন্তু তার পরও শেষ রক্ষা হয়নি। রাদারফোর্ডেও (১১৩) সেঞ্চুরি আর অধিনায়ক শাই হোপের ৮৬ রানের ইনিংস বাংলাদেশকে ১১ ম্যাচ পরে হারের স্বাদ দিয়েছিল। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের রান ছিল আরও বেশি ৩২১। স্বাগতিকদের শুরুটাও ছিল আরও বাজে। ৩১ রানে নেই ৩ উইকেট। শতরানের আগে নেই আরও এক উইকেট। এ রকম অবস্থায় ম্যাচ বাংলাদেশেরই নিয়ন্ত্রণে। জয়টা সময়ের ব্যাপার। কিন্তু না, এবারও ম্যাচ হাতছাড়া হয় বাংলাদেশের। আর সেই কাজটি করেন প্রথমবারের মতো ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে নামা আমির জাঙ্গো অপরাজিত ১০৪ রানের ইনিংস খেলে। সঙ্গে ছিল কেসি কার্টির ৯৫ রানের ইনিংস। ২৪ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে আমির জাঙ্গো অভিষেকে সেঞ্চুরি করেছেন। এর আগে এই কীর্তি ছিল ডেসমন্ড হেইন্সের। ১৯৭৮ সালে অ্যান্টিগাতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনি ১৪৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন অভিষেকে।

সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে হারের মাঝেও বাংলাদেশ যেমন কিছু রেকর্ড করেছে, তেমনি তাদের বিপক্ষেও হয়েছে। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের ২৯৪ রান তাড়া করে জয় ছিল নতুন রেকর্ড। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ ওয়ার্নার পার্কে দলগত সর্বোচ্চ (৩২১/৬) রানের ইনিংস গড়ে। এবার সেই রান তাড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ আরও নতুন করে রেকর্ড গড়ে। ষষ্ঠ উইকেটে মাহমুদউল্লাহ ও জাকের আলীর অবিচ্ছিন্ন ১৫০ রানের জুটি ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। এর আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২০১৮ সালে এশিয়া কাপে মাহমুদউল্লাহ ও ইমরুল কায়েস করেছিলেন ১২৮ রানের জুটি। আবার শেষ ম্যাচে ৩২১ রান ক্যারিবিয়ানে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। আগের সর্বোচ্চ ছিল ওয়ার্নার পার্কে ২০১৮ সালে ৬ উইকেটে ৩০১ রান।

৩২১ রান করেও কোনো রকম লড়াই করতে না পেরে হেরে যাওয়ায় যেন বধির হয়ে গেছেন অধিনায়ক মিরাজ। বিশ্বাস করতে পারছেন না হারকে। হতাশ বদনে বলেন, ‘আমি বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না যে এ ম্যাচ আমরা হারতে পারি।’ দায় দিয়েছেন তিনি বোলারদের, ‘যেভাবে বল করা দরকার ছিল, আমরা সেভাবে করতে পারিনি। সম্ভবত সমস্যা এটাই ছিল। আমরা ছোট ছোট ভুল করেছি। যদি ওই ভুলগুলো না করতাম, এর চেয়ে ভালো করতে পারতাম।’ 

হোয়াইটওয়াশ হওয়া সিরিজে প্রাপ্তি বলে কিছু থাকে না। তার পরও সেখানে প্রাপ্তি আছে। টানা তিন ম্যাচেই অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাফ সেঞ্চুরি। অপরাজিত ৫০, ৬২ ও অপরাজিত ৮৪। সব মিলিয়ে এটি তার টানা চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি। এর আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে তিনি ৯৮ রান করেছিলেন। সিরিজে ১৯৪.০০ গড়ে তিনিই সর্বোচ্চ রানের মালিক।

জয়ে চট্টগ্রাম পর্ব শেষ ঢাকার

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৭ পিএম
জয়ে চট্টগ্রাম পর্ব শেষ ঢাকার
ছবি : সংগৃহীত
স্বাগতিক চিটাগাং কিংসকে ৮ উইকেট হারিয়ে চট্টগ্রাম পর্ব শেষ করেছে ঢাকা ক্যাপিটালস। এই জয়ে আসরে নিজেদের তৃতীয় জয় আদায় করে নিয়েছে ঢাকা।
 
বুধবার (২২ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের দেওয়া ১৪৯ রানের লক্ষ্য ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের ৯০ রানের ইনিংসে ৮ উইকেট হাতে রেখে টপকে গেছে ঢাকা ক্যাপিটালস।
 
১৪৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭৫ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস। সেই জুটি ভাঙেন হোসে তালাত লিটন দাসকে ফিরিয়ে। ২৫ রান করে আউট হন তিনি। এরপর ৩৬ রানের জুটি গড়েন তামিম ও মুনিম শাহরিয়ার। দলীয় ১১১ রানে আলিস আল ইসলাম বোল্ড করেন মুনিমকে।
 
তবে ব্যাট চলতে থাকে তামিমের। তাকে সঙ্গে দিয়ে ৯ বলে ১৪ রান করে পরাজিত থাকেন সাব্বির রহমান। ৭ ছয় ও ৩ চারে ৫৪ বলে ৯০ রানের ইনিংস খেলে জয় তুলে নেন তামিম।
 
এর আগে, টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিক চিটাগাং কিংস। চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন ওপেনার নাঈম ইসলাম। তবে তিনি খেলেছেন ৪০ বল। ১৯ বলে ২৩ রান করেন জুবাইদ আকবরি। গ্রাহাম ক্লার্কের ব্যাটে আসে ১৮ বলে ১৯ রান।
 
পুরো ২০ ওভার ব্যাটিং করলেও চট্টগ্রামের কোনো ব্যাটারই চড়াও হতে পারেননি ঢাকার বোলারদের ওপর। বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৫০ রানও পেরোতে পারেনি ঢাকা।
নাজমুল ইসলাম ও মোসাদ্দেক হোসেন জোড়া উইকেট শিকার করেছেন ঢাকার হয়ে। মেহেদি হাসান রানা ও রর্নসফোর্ড বিটন করেন ১টি করে শিকার।

ফের প্রশ্নবিদ্ধ আলিসের বোলিং অ্যাকশন

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:১৮ পিএম
আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:২৩ পিএম
ফের প্রশ্নবিদ্ধ আলিসের বোলিং অ্যাকশন
ছবি : সংগৃহীত

২০১৩ সালের পর বিপিএলে ফিরেছে চিটাগাং কিংস। এখন পর্যন্ত পয়েন্টস টেবিলে তাদের অবস্থান দুইয়ে। ৮ ম্যাচে ৫ জয় চট্টগ্রামের দলটির। ধারাবাহিকভাবেই ভালো খেলছে দলটি। তবে এমন সুসময়ের মাঝেও ধাক্কা খেতে হলো কিংসকে।

চলমান আসরে চট্টগ্রামের জার্সিতে ৭ ম্যাচে ১১ উইকেট শিকার করেছ আলিস আল ইসলাম। কিন্তু ভালো ফর্ম থাকা এই বোলারের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। দিতে হবে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষাও। 

ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ১৯ জানুয়ারির ম্যাচে ৩ ওভার বোলিং করেও কোনো উইকেট পাননি আলিস। সে ম্যাচেই তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে উঠে প্রশ্ন। 

পরের ম্যাচ দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে মাঠে নামেননি আলিস আল ইসলাম। তবে আজ খেলছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে। এই ম্যাচের দিনই খবর এসেছে তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন আসার খবর।

আগামী ২৫ জানুয়ারি শনিবার মিরপুর শের-ই বাংলায় বোলিং অ্যাকশান পরীক্ষা দিতে হবে আলিসকে।

এর আগে, ২০১৯ বিপিএলে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে অভিষেক হয়েছিল তার। সে আসরেও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল তার বোলিং অ্যাকশন।

স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপের সুপার সিক্সে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৫২ পিএম
স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপের সুপার সিক্সে বাংলাদেশ
ছবি : সংগৃহীত

আগের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়েও জেতা হয়নি বাংলাদেশে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলের। তবে এবার স্কটল্যান্ডকে ১৮ রানে হারিয়ে সুপার সিক্সে উঠে গেছে বাংলাদেশের মেয়েরা।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) কুয়ালালামপুরে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার ব্যাটিং করে ১২০ রান করে বাংলাদেশ ৯ উইকেটে হারিয়ে। 

বাংলাদেশ অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তার ৩৬ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন। ২১ রান আসে আফিয়া অসীমার ব্যাট থেকে আর ২০ রান করেন জুরারিয়া ফেরদৌস। ওপেনার ফাহমিদা ছোঁয়া ১৪ রান করেন। স্কটল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন নাঈমা শেখ আর মাইসি মাসেইরা।

১২১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৯ রানের ভেতরেই দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে বসে স্কটল্যান্ড। 

তবে সেখান থেকে দলের হাল ধরেন পিপা স্প্রৌল এবং অধিনায়ক অধিনায়ক নিয়ামহ মুইর। তাদের ৪০ রানের জুটি ভাঙে মুইর ২২ রান করে বিদায় নিলে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে শুরু করে স্কটিশরা।

৬৯ রানে ৩ উইকেট থেকে ৯৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে স্কটল্যান্ডের মেয়েরা। শেষ ২ ওভারে তখন জেতার জন্য ২৬ রান দরকার। কিন্তু স্কটল্যান্ড নিতে সমর্থ হয় মাত্র ৮ রান। ফলে ৮ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রান পর্যন্ত যেতে পারে তারা নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে।

বাংলাদেশের হয়ে ৪ উইকেট শিকার করেছেন মোসাম্মৎ আনিসা আক্তার সোবা।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে চিটাগাং

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:১৬ পিএম
টস জিতে ব্যাটিংয়ে চিটাগাং
ছবি : সংগৃহীত

ঘরের মাঠে সবশেষ ম্যাচ খেলতে নামছে চিটাগাং কিংস। সে ম্যাচে ঢাকার মুখোমুখি হবে তারা। ইতোমধ্যেই টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিংসের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিপিএলের একাদশ আসরের ২৯তম ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর দেড়টায়।

দুই দলের প্রথম সাক্ষাতে কিংস জিতে নিয়েছিল ম্যাচটি ৭ উইকেটের ব্যবধানে। সে ম্যাচে ঢাকায় ছুঁড়ে দেওয়া ১৭৮ রানের বড় লক্ষ্য ৩ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে গিয়েছিল চিটাগাং কিংস।

৮ ম্যাচে ৫ জয় নিয়ে পয়েন্টস টেবিলের দুইয়ে অবস্থান করছে চট্টগ্রামের দলটি। শেষ চারে তাদের জায়গা মোটামুটি নিশ্চিত বলা চলে। এই ম্যাচ দিয়ে ঘরের মাঠ থেকে জয়ের সুখস্মৃতি নিয়েই বিদায় নিতে চাইবে বন্দর নগরীর দলটি।

অন্যদিকে, আগের ম্যাচে সিলেটকে ৬ রানে হারিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় জয় আদায় করে নেওয়া ঢাকা ক্যাপিটালস চট্টগ্রাম পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচটাও জিততে চায়। যে জয় পরবর্তীতে তাদের ঘরের মাঠে প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ৯ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে শেষ মুহূর্তে বার্সেলোনার জয়

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৩৮ এএম
আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৪১ এএম
৯ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে শেষ মুহূর্তে বার্সেলোনার জয়
ছবি : সংগৃহীত

৯ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে শেষ মুহূর্তে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বার্সেলোনা। দুই অর্ধেই পিছিয়ে থাকার পরও ৫-৪ ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে কাতালানরা। বেনফিকার বিপক্ষে এই জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিয়েছে বার্সা। সাত ম্যাচে ছয় জয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে বার্সার অবস্থান দুই নম্বরে।

মঙ্গলবার(২১ জানুয়ারি) রাতে পর্তুগালের লিসবনে অনুষ্ঠিত ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই বার্সেলোনাকে পেছনে ফেলে ১-০ তে এগিয়ে যায় বেনফিকা। বক্সের ছয় গজ বাইরে থেকে নেওয়া শটে বল জালে পাঠান ভ্যাগলিস পাভলিদিস। 

তবে ১৩ মিনিটে সমতায় ফিরে আসে কাতালানরা রবার্ট লেভানডফস্কির স্পটকিক থেকে। সেই সমতা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি বার্সা। ফের পিছিয়ে পড়তে হয় তাদের ২২ মিনিটে নিজেদের ডিফেন্ডারদের ভুলেই। ফাঁকা জালে গোল করেন বেনফিকার পাভলিদিস।

বার্সার ভোইচেখ স্ট্যান্সনি ম্যাচের ২৮ মিনিটে কেরেম আক্তুরকোগলুকে ফাউল করে বসেন। রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত জানালে সফল স্পট-কিক থেকে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন পাভলিদিস। 

৩০ মিনিটে করা হ্যাটট্রিকটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের তৃতীয় দ্রুততম। ২০২২ সালে লেভানডফস্কি ২৩ মিনিটে ও ১৯৯৬ সালে মার্কো সিমোন ২৪ মিনিটে হ্যাটট্রিক করেছিলেন।

দ্বিতীয়ার্ধের ৬৪ মিনিটে বেনফিকার গোলকিপারের ভুল কাযে লাগিয়ে হেডে গোল করে ব্যবধান কমান রাফিনহা। এর ঠিক মিনিট চারেক পর বার্সা আরাউহো আত্মঘাতী গোল করলে ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বেনফিকা। ৭৮ মিনিটে আবারও পেনাল্টি পায় বার্সা। ইয়ামালকে বক্সে ফেলে দিলে সেখান থেকে পাওয়া পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান লেভাডফস্কি।

ম্যাচের নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার ৪ মিনিট বাকি থাকতেই ৭৪ মিনিটে বদলি নামা এরিক গার্সিয়া স্কোরলাইন ৪-৪ করেন। 

ড্র হয়ে যাওয়া ম্যাচের যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে ফেররান তরেসের উঁচু করে বাড়ানো বল ধরে বক্সে ঢুকে পড়েন রাফিনহা। দুই ডিফেন্ডারের মাঝখান দিয়ে দারুণ শটে বল পাঠিয়ে দেন জালে। ৫-৪ ব্যবধানে স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।