ঢাকা ২৫ মাঘ ১৪৩১, শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১

সিলেটের ব্যাক-টু-ব্যাক জয়

প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:২৪ পিএম
আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:২৪ পিএম
সিলেটের ব্যাক-টু-ব্যাক জয়
সংগৃহীত

৬ বলে ১৯ রান। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রোমাঞ্চ জাগিয়ে তুলেন আবু হায়দার রনি। চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সীমানায় ধরা পড়েন তিনি। উইকেটে নেমে ২ বলে ১০ রানের কঠিন সমীকরণ মেলাতে পারেননি নাসুম আহমেদ। পঞ্চম বলে রান আউট হন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ম্যাচের শেষ বলে নাসুম নেন ১ রান।

আজ রবিবার (১২ জানুয়ারি) সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৮ রানে হেরেছে খুলনা টাইগার্স। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেটে ১৮২ রান তুলে স্বাগতিক সিলেট। লক্ষ্য তাড়ায় ৯ উইকেটে ১৭৪ রানে থামে খুলনা। টুর্নামেন্টে চতুর্থ ম্য্যাচে এটা টানা দ্বিতীয় হার তাদের।

খুলনাকে ব্যর্থতার গণ্ডিতে রেখে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে সিলেট, যারা তাদের প্রথম তিন ম্যাচেই হেরেছিল। এদিন তাদের জয়ের নায়ক জাকির হাসান। ৪৬ বলে ৩ চার এবং ৬ ছক্কায় তার ৭৫ রানের ইনিংসেই বড় সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা। এছাড়া ওপেনার রনি তালুকদারও পান হাফ সেঞ্চুরি। ৪৪ বলে ৫ চার এবং ২ ছক্কায় করেন ৫৬ রান।

বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই মারমুখী ছিল খুলনা। তবে রানের গতি ঠিক রাখলেও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় তারা। যেমন, পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে তাদের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ৪৭ রান। মিডল ওভারে মোহাম্মদ নওয়াজের ৩৩ রানের ছোট ঝড়ো ইনিংসে প্রাণ ফিরে খুলনা শিবিরে। তার ১৮ বলের ইনিংসে ছিল ৩ চার এবং ২ ছক্কার মার।

শেষ দিকে লড়াই জমিয়ে তুলেন অঙ্কন এবং আবু হায়দার। ২২ বলে তাদের ৩২ রানের জুটিও যথেষ্ট হয়নি খুলনার জয়ের জন্য। অঙ্কন ২৮ রানে (১৬ বলে) আউট হন। আবু হায়দারের ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান (৬ বলে)। সিলেটের হয়ে ২টি করে উইকেট পান তানজিম হাসান সাকিব, রিস টপলি এবং রুবেল মিয়া।

উৎসবের দিনে ‘জাল টিকিটের’ জ্বালা

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:২৯ পিএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৪৩ পিএম
উৎসবের দিনে ‘জাল টিকিটের’ জ্বালা
ছবি : খবরের কাগজ

এবারের বিপিএলে বিতর্ক যতই থাকুক না কেন, মাঠের ক্রিকেট দর্শকদের মন ভরাতে পেরেছে। মাঠে টেনে নিয়ে আসতে পেরেছে। আসরের শুরুর দিন তো টিকিট না পেয়ে দর্শকরা টিকিট কাউন্টার ভাঙচুর করার মতো ঘটনাও ঘটিয়েছিলেন। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সেই চাহিদা ক্রমেই বেড়েছে। ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম সর্বত্রই টিকিটের চাহিদা ছিল আকাশচুম্বী। যে কারণে কালোবাজারে চড়া মূল্যে টিকিট বিক্রি হয়েছে। এবারের বিপিএল নিয়ে দর্শকদের আগ্রহের মাত্রা এত বেশি ছিল, কালোবাজারে চড়া দামে টিকিট কিনতেও দ্বিধা করেননি। তার পরও দেখা গেছে, টিকিট না পেয়ে দর্শকরা মাঠে বসে খেলা দেখতে পারেননি। এই চাহিদা বেশি ছিল প্লে-অফের ম্যাচগুলোতে। যে কারণে ফাইনাল খেলা নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ তুঙ্গে ওঠে। আর এই সুযোগে একটি অসাধু গোষ্ঠী জাল টিকিট ছাপিয়ে কালোবাজারে দ্বিগুণের বেশি দামে দেদারছে বিক্রি করে ফাইনাল খেলা দেখতে আসা দর্শকদের সঙ্গে প্রতারণা করে। কারণ জাল টিকিট কিনে কোনো দর্শকই মাঠে প্রবশে করতে পারেননি। পরে প্রতারিত দর্শকরা জাল টিকিট বিক্রিকারী কয়েকজনের সন্ধান পেয়ে তাদের উত্তম-মধ্যম দেন।

খবরের কাগজের হাতে কয়েকটি জাল টিকিট এসেছে। দেখে মনেই হবে না জাল টিকিট। কারণ মূল টিকিট আর জাল টিকিটের সঙ্গে পার্থক্য বের করা সাধারণ দর্শকদের পক্ষে সম্ভব না। এই জাল টিকিট ধরা পড়ে মাঠে প্রবেশ করতে গিয়ে কিউআর কোড স্ক্যানিং করার সময়। টিকিট জাল হওয়াতে কিউআর কোড স্ক্যানিং হয়নি। বিভিন্ন গেটে দায়িত্ব পালনরত কমিটির সদস্যরা জাল টিকিট চিহ্নিত করে সেই সব দর্শকদের ফিরিয়ে দেন। দর্শকরাও তখন বুঝতে পারেন, তারা প্রতারিত হয়েছেন। তারিক হাসান মিথুন, সাজিদ, মারুফ, রঞ্জন এ রকমই ৭ জন বন্ধু এসেছিলেন বেইলি রোড থেকে। তারা পূর্ব গ্যালারির ৪০০ টাকা দামের টিকিট প্রতিটি কিনেছিলেন ১১০০ টাকা করে, ফাইনালের আগের দিন বৃহস্পতিবার। ৭,৭০০ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার চেয়েও তাদের আফসোস ছিল ফাইনাল খেলা মাঠে বসে দেখতে না পারাতে। তারিক হাসান মিথুন বলেন, ‘ফাইনাল খেলা দেখার জন্য আমরা বন্ধুরা আগে থেকেই অনেক প্ল্যান করে রেখেছিলাম। যে কারণে ৭০০ টাকা বেশি দিয়েও আমরা টিকিট কিনতে দ্বিধা করিনি। ফাইনালের দিন টিকিট না পেতে পারি এই শঙ্কা থেকে ঝুঁকি এড়াতে আমার আগের দিনই মিরপুরে এসে টিকিট কিনে রেখেছিলেম। এখন টাকাও গেল, টিকিট গেল, খেলাও দেখা হলো না। আর পরিশ্রম তো আছেই।’ মারুফ বলেন, ‘আগেও ব্লাকে টিকিট বিক্রি হয়েছে। জাল হয়েছে। কিন্তু এখন এসব করছে কারা। বিসিবিতে কী দেখার কেউ নেই।’ সাজিদ বলেন, ‘আগেও জাল টিকিট বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এবারের মতো এত অধিক পরিমাণে এবং ওপেন বিক্রি আগে কখনো হয়নি। বিসিবিকে কঠোরভাবে বিষয়টি দেখা উচিত।’ তাদের কাছেই জানা যায়, আরেক গ্রুপ ১৩ হাজার টিকিট কিনে প্রতারিত হয়েছেন।

ফাইনালের দিন মিরপুর স্টেডিয়ামের সামনে দর্শকদের লম্বা সারি। ছবি : খবরের কাগজ।

স্টেডিয়ামের ৪ ও ৫ নম্বর গেটের মাঝামাঝি জাল টিকিট বিক্রি করা নারী ও পুরুষ দুজনকে ধরে প্রতারিত হওয়া দর্শকদের কয়েকজন বেশ উত্তম-মধ্যম দেন। ফুটপাতের একটি হোটেলের ভেতর আশ্রয় নেওয়া জাল টিকিট বিক্রি করা পুরুষকে প্রতারিত দর্শকরা প্রথমে বের করে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সঙ্গে থাকা নারী নিয়ে আসতে বাধা দিলে দর্শকরা পরে তার ওপরও চড়াও হন। ধানমণ্ডি থেকে আসা নাবিল নামের এক ছাত্র তার জাল টিকিট উঁচিয়ে ধরে বলতে থাকেন, ‘এই দেখেন আমার টিকিট জাল। ঢোকার সময় জাল টিকিট ধরা পড়ে। পরে এটি ছিঁড়ে ফেলা হয়।’ তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা তো নিজ থেকেই বেশি দাম দিয়ে টিকিট কিনেছি খেলা দেখার জন্য। কিন্তু ওরা জাল টিকিট বিক্রি করে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করবে কেন?’ এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাউকে আশপাশে দেখা যায়নি। 

জাল টিকিটের ফাঁদে পড়ে দর্শকরা প্রতারিত হলেও ফরচুন বরিশাল ও চিটাগং কিংসের ফাইনাল খেলা দেখার জন্য দর্শকদের ঢল নেমেছিল। দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়ে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে যান-চলাচল মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়। এক পাশের রাস্তা তো বন্ধই হয়ে যায়। জাল টিকিটের বিষয়টি ছাড়া গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের ভেতর ও বাইরে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। বিপিএলের শেষ দিন হওয়াতে দুই দলের জার্সিও কম দামে বিক্রি করা হয়। ৪০০ টাকার জার্সি ৩০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। দর্শকরাও বেশ আগ্রহ নিয়ে দুই দলের জার্সি কিনেছেন। বেশি বিক্রি হয়েছে বরিশালের জার্সি। মাঠে বরিশালের দর্শক উপস্থিতিও ছিল বেশি। সাপ্তাহিক বন্ধের দিন হওয়াতে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে খেলা দেখতে আসেন।

ফাইনালের টিকিট। ছবি : খবরের কাগজ।

এদিকে স্টেডিয়াম পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়াতে টিকিটি কেটেও অনেকে মাঠে প্রবেশ করতে পারেননি। গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। একদিকে জাল টিকিট কিনে প্রতারিত দর্শকদের প্রতিবাদ অন্যদিকে আবার টিকিটি কেটে ঢুকতে না পারাদের ক্ষোভ, সব মিলে বাইরের পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠে। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা লাঠিপেটা করে উত্তেজিত দর্শকদের ছত্রভঙ্গ করে দেন। টিকিট কেটে ভেতরে ঢোকা প্রচুর দর্শককে দাঁড়িয়ে খেলা দেখতে হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২৬ হাজার ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামে দর্শক ৩০ হাজারের বেশি ছিলেন! এত দর্শক কোথা থেকে কীভাবে এলেন- এ নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তোলেন। এ ব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও বিসিবির কাউকে পাওয়া যায়নি।

ট্রফি উদযাপনে বরিশাল যাবেন তামিমরা

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৩৩ এএম
ট্রফি উদযাপনে বরিশাল যাবেন তামিমরা
ছবি : সংগৃহীত

ফের বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়ে শিরোপা ধরে রেখেছে ফরচুন বরিশাল। একাদশ আসরেও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দ বরিশালের মানুষের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে চায় ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ট্রফি নিয়ে উদযাপনে বরিশাল যাবেন তামিম ইকবালরা।

দশম আসরের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও বরিশাল যাওয়ার কথা ছিল দলটির। তবে নানাবিধ জটিলতায় আর যাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে এবার আর সমর্থকদের হতাশ করতে চায় না ফরচুন বরিশাল। তাই ট্রফি নিয়ে রবিবার বরিশাল যাবে দলটি। 

ফাইনালে জয়ের পর অধিনায়ক তামিম ইকবাল তা নিশ্চিত করে বলেন, ‘গত বছর আমরা বরিশালে গিয়ে উদযাপন করতে পারিনি। এইবার আমরা ঠিক করেছি, বরিশাল যাব। আমরা ৯ তারিখ আসছি বরিশালে। সবাইকে অনুরোধ করব ৯ তারিখ শিরোপা উদযাপন করতে।’

টান দ্বিতীয়বার ট্রফি জিতে তামিম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন দলের কর্ণধার মিজানুর রহমানকে, ‘অবিশ্বাস্য (আবার জেতা)। আমি মালিককে ধন্যবাদ দেব। উনি দুর্দান্ত ছিলেন, আমি যা করতে চেয়েছি তিনি তা করতে দিয়েছেন। কে খেলবে, কে খেলবে না তা নিয়ে হস্তক্ষেপ করেননি। আমাকে স্বাধীনতা দিয়েছেন, যেটা আমি চেয়েছি। হারলেও কিছু বলেননি।’

প্রতিবছরই বিতর্ক ডালপালা মেলে বিপিএলে। এবারও কম বিতর্ক হয়নি। দুর্বার রাজশাহীর অনিয়ম নিয়ে সমালোচনা হয়েছে দেশে ও বিদেশে। তবে এমনটা কিছুই হয়নি ফরচুন বরিশালের ক্ষেত্রে। অনেকখানি পেশাদারিত্বের ছাপ দেখা গেছে দলটির মধ্যে।

সাকিবিয়ান...তামিমিয়ান নয়, সবার আগে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩০ এএম
সাকিবিয়ান...তামিমিয়ান নয়, সবার আগে বাংলাদেশ
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেটের তিন বড় তারকা হলেন – সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও মাশরাফি বিন মোর্ত্তাজা। তিনজনই জিতিয়েছেন বাংলাদেশকে অনেক ম্যাচ। ভক্তের সংখ্যাও অনেকবেশি তিন সিনিয়র ক্রিকেটারের। তবে এই ভক্তরাই কখনো কখনো হয়ে দাঁড়ায় তাদের ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য বিড়ম্বনার কারণ। 

গতকাল (৭ ফেব্রুয়ারি) টানা দ্বিতীয়বার ফরচুন বরিশালের হয়ে বিপিএলের শিরোপা জয়ের পর ভক্তদের খেলোয়াড় নির্ভরতা নিয়ে সমালোচনা করেন তামিম ইকবাল। 

তামিমিয়ান কিংবা সাকিবিয়ান এই ফ্যানবেজগুলো দলের চেয়েও বেশি নির্দিষ্ট ক্রিকেটারের ভালো পারফরম্যান্সের আশায় ব্যস্ত থাকে। মাঝেমধ্যেই তারা বিবাদে জড়িয়ে পড়ে এক ক্রিকেটারের ফ্যানরা আরেক ক্রিকেটারের ফ্যান ও ক্রিকেটারকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে মন্তব্য করে। বিশেষ করে তামিম ইকবালের অবসরকাণ্ড ও বিশ্বকাপে তার না খেলার সিদ্ধান্তের পরই তা বিরাটাকারে রূপ ধারণ করে। তামিমের ভক্তরা মনে করেন সাকিবের কারণেই অবসর নিয়েছেন তামিম এবং বিশ্বকাপেও তার জায়গা হয়নি। দুই পক্ষ নিয়মিতই কাদা ছোড়াছুড়ি করে, 

তবে এই কাদা ছোড়াছুড়ি বা বিভাজন দিনশেষে ক্ষতি বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্যই। ভক্তরা বিভক্ত হয়ে গেলে দিনশেষে বাংলাদেশ ক্রিকেটেরই ক্ষতি। সেই বিষয়েই গতকাল সমর্থক ও ভক্তদের সচেতন করার চেষ্টা করেছেন তামিম ইকবাল।

বিদায়বেলায় তিনি ভক্তদের জানালেন, সবার আগে ক্ষুদ্র পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের সমর্থক হতে। তিনি বলেন, ‘তামিমিয়ান, সাকিবিয়ান, মাশরাফিয়ান বলে কিছু নেই। সবাই বাংলাদেশের সমর্থক।’ 

কেবল একজন নির্দিষ্ট ক্রিকেটারের ভক্ত হওয়ার কারণে যে তা দেশের ক্রিকেটের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন তামিম, ‘এটা (নির্দিষ্ট খেলোয়াড়ের ভক্ত হওয়া) বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করেছে। এসব জিনিস তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংস করে! দয়া করে এটা বন্ধ করুন!’

দেশসেরা এই ওপেনার আরও বলেন, ‘আপনি আমার ভক্ত হতে পারেন, আপনি সাকিবের ভক্ত হতে পারেন, আপনি মাশরাফির ভক্ত হতে পারেন কিন্তু দল যখন খেলে তখন বাংলাদেশের ভক্ত হন।’

‘দয়া করে তরুণ দলকে সমর্থন করুন, তারা ভুল করবে। তবে দয়া করে তাদের সমর্থন করুন, এটি আপনার দল। দয়া করে একসাথে থাকুন।’

টিভিতে যত খেলা

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১২ এএম
টিভিতে যত খেলা
ছবি : সংগৃহীত

আজকের দিনে টিভি পর্দায় যত খেলা দেখবেন তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা দেওয়া হলো খবরের কাগজের পাঠকদের সুবিধার্থে।

ক্রিকেট (সরাসরি)

শ্রীলঙ্কা-অস্ট্রেলিয়া
দ্বিতীয় টেস্ট, তৃতীয় দিন
সকাল ১০টা ৩০ মিনিট
সনি টেন ৫

ফুটবল (সরাসরি)

বুন্দেসলিগা

ডর্টমুন্ড-স্টুটগার্ট, রাত ৮টা ৩০ মিনিট
সনি টেন ২

ম’গ্লাডবাখ-ফ্রাঙ্কফুর্ট, রাত ১১টা ৩০ মিনিট
সনি টেন ১

এফএ কাপ

ওরিয়েন্ট-ম্যানসিটি, সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিট
বার্মিংহাম-নিউক্যাসল, রাত ১১টা ৪৫ মিনিট
সনি টেন ২

সৌদি প্রো-লিগ

দামাক-হিলাল, রাত ১১টা
সনি টেন ৫

আই লিগ

দিল্লি-ব্যাঙ্গালুরু, বিকাল ৪টা ৩০ মিনিট
সনি টেন ২

চিটাগংয়ের হৃদয়ে ভেঙে বরিশালের টানা দ্বিতীয় শিরোপা

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫১ পিএম
আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১৬ পিএম
চিটাগংয়ের হৃদয়ে ভেঙে বরিশালের টানা দ্বিতীয় শিরোপা
ছবি: সংগৃহীত

মেগা ফাইনালে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি গড়ল চিটাগং কিংস। বিপিএল ইতিহাসে দলটির প্রথম শিরোপার স্বপ্নে যেন জোর হাওয়াই লাগল তাতে। কিন্তু বড় লক্ষ্য তাড়ায় ফরচুন বরিশালের জবাবটাও হলো জুতসই। ম্যাচের শেষ হাসিটা তাই তাদেরই। অর্থাৎ বিপিএলের একাদশ আসরের চ্যাম্পিয়ন বরিশাল। 

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত ফাইনালে ৩ উইকেটের জয় পেয়েছে বরিশাল। ১৯৫ রানের বড় লক্ষ্য তারা পেরিয়েছে ৩ বল হাতে রেখে। বিপিএল ফাইনালে এতো বড় লক্ষ্য তাড়া করার রেকর্ড এটিই প্রথম।

এনিয়ে প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপার স্বাদ পেল তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন বরিশাল।

উদ্বোধনী জুটিতে ৭৬ রান যোগ করে বরিশালকে জয়ের ভিত এনে দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল ও তাওহিদ হৃদয়। নবম ওভারের প্রথম বলে তামিমের বিদায়ের মাধ্যমে জুটির পতন হয়।

শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে দলকে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন তামিম। ২৯ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি ৯ চার ও ১ ছক্কায়। একই ওভারে হৃদয় ফেরেন ২৮ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলে। তবে এরপর কাইল মেয়ার্স ২৮ বলের ৪৬ রানের ইনিংসে দলকে টেনে নিয়েছেন।

শেষ দিকে বরিশালের দ্রুত ৩ উইকেট পতনে ম্যাচ জমে উঠেছিল। তবে চিটাংগের ভাগ্যের শিকে ছিঁড়েনি। রিশাদ শেষ দিকে ৬ বলে ২ ছক্কায় অপরাজিত ১৮ রানের ইনিংস খেলেছেন। তাতেই শেষের শঙ্কা কাটিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে বরিশাল।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেটে ১৯৪ রানের পুঁজি গড়ে চিটাগং। ৪৯ বলে সর্বোচ্চ ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন পারভেজ হোসেন ইমন। ৬টি চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি।

আরেক ওপেনার খাওয়াজা নাফের ব্যাট থেকে আসে ৪৪ বলে ৬৬ রান। তিনে নেমে ২৩ বলে তিনটি ছক্কা ও দুটি চারে ৪৪ রান করেন গ্রাহাম ক্লার্ক।

তোফায়েল/এমএ/