ঢাকা ২৬ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৬ মাঘ ১৪৩১

র‌্যাকেট দিয়ে ক্যামেরা ভাঙলেন মেদভেদেভ

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪১ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪১ পিএম
র‌্যাকেট দিয়ে ক্যামেরা ভাঙলেন মেদভেদেভ
ছবি : সংগৃহীত

মনের মতো পারফরম্যান্স করতে না পারায় রাগে-ক্ষোভে র‌্যাকেট ভাঙার ঘটনা খুবই অহরহ। তবে এবার কিছুটা বেশিই রাগ দেখালেন দানিল মেদভেদেভ। নিজের ব্যাট ভাঙার পাশাপাশি রুশ তারকা ভেঙেছেন নেটে লাগানো ক্যামেরাও। 

অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রথম রাউন্ডের পঞ্চম বাছাইয়ের ঘটনা। মেদভেদেভে প্রথম সেট জিতেও দ্বিতীয় সেটে হেরে বসেন অখ্যাত কাসিদিত সামরেজ। যিনি কিনা টেনিসের বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ৪১৮ নম্বর খেলোয়াড়। 

প্রথমবার কোনো গ্র্যান্ড স্লাম খেলা এই থাই খেলোয়াড় যখন তৃতীয় সেট প্রায় জিতেই যাচ্ছেন। সামারেজ তখন এগিয়ে মেদভেদেভের চেয়ে। ৪০-১৫ পয়েন্টে  পিছিয়ে থেকে মেজাজ হারান অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের তিনবারের রানার্সআপ মেদভেদেভ। 

তৃতীয় সেটের শেষ গেমের সময় সামরেজের একটি শট নেটে লেগে গতিপথ পাল্টালে কোনোমতো সেই শট ফেরালেও ফিরতি উইনারে সামরেজের কাছে পরাস্ত হন মেদভেদেভ।

এরপরই নেটের কাছে গিয়ে সর্বোচ্চ শক্তিতে র‌্যাকেট দিয়ে ক্যামেরার দিকে পাঁচবার আঘাত করেন মেদভেদেভ। এতে তার র‌্যাকেট তো ভাঙেই, ক্যামেরাটাও ভেঙে যায়।

ওই সেট খোয়ালেও অবশ্য মেদভেদেভ দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে পরের দুই সেটে জয় নিশ্চিত করেন নিজের। ইউএস ওপেনের সাবেক চ্যাম্পিয়ন ম্যাচটি জেতেন ৬-২, ৪-৬, ৩-৬, ৬-১, ৬-২ গেমে।

২০২১ সালে ইউএস ওপেন ফাইনালে নোভাক জোকোভিচকে হারিয়ে একমাত্র গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা জেতা মেদেভেদেভ তিনবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে উঠে হেরেছেন। এর মধ্যে সর্বশেষ গত বছর হেরেছেন জানিক সিনারের কাছে।

সভাপতির ডাকেও সাড়া দেননি বিদ্রোহীরা

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৫ এএম
সভাপতির ডাকেও সাড়া দেননি বিদ্রোহীরা
ছবি : সংগৃহীত

কোচ-ফুটবলার দ্বন্দ্ব নিরসনে সমঝোতার দুয়ার বুঝি বন্ধই থাকছে। গতকাল পর্যন্ত যে চিত্র, তাতে বিদ্রোহী নারী ফুটবলাররা নিজেদের অবস্থানে দৃঢ় আছেন। বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের আহ্বানেও তারা অনুশীলনে যোগ দেননি। অন্যদিকে ইংলিশ কোচ পিটার বাটলারও বসে নেই। তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করা ১৮ ফুটবলারকে ছাড়াই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। গতকাল তো দুই বেলা অনুশীলন করিয়েছেন মেয়েদের। ৩৭ জন ফুটবলার এখন বাটলারের অধীনে অনুশীলন করছেন। যাদের বেশির ভাগই অনূর্ধ্ব-২০ ও অনূর্ধ্ব-১৭ দলের ফুটবলার। সর্বশেষ সাফজয়ী দলের কয়েকজনও আছেন।

তাহলে সাবিনা-ঋতুপর্ণাদের কী হবে? অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে বিষয়টি আরও কয়েক দিনের জন্য ঝুলেই থাকছে এবং সমাধান ‍পুরোপুরি বাফুফে সভাপতির হাতে। সংকট নিরসনে বিশেষ কমিটির প্রতিবেদনের ওপর যার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা। গত বৃহস্পতিবার রাতে সাত সদস্যের বিশেষ কমিটি তাদের প্রতিবেদন বাফুফেতে জমা দিয়েছে। জানা গেছে, ওই দিন রাতেই বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল বিদ্রোহী ফুটবলাদের সঙ্গে বসেছিলেন। তিনি মেয়েদের অভিযোগগুলো আমলে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। খেলোয়াড়দের প্রতি কোচের দৃষ্টিভঙ্গি যেন নম্র হয়, সেই বিষয়টিও দেখতে চেয়েছিলেন। সেই সঙ্গে সাবিনা-ঋতুপর্ণাদের অনুশীলনে যোগ দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছিলেন। কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতি সাবিনাদের নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকার কথাই জানান দিচ্ছে।

সাবিনাদের সঙ্গে তাবিথ আউয়াল বসেছিলেন বৃহস্পতিবার রাতে। পরের দিন শুক্রবার ছিল ছুটির দিন। এদিন মেয়েদের অনুশীলন ছিল না। বাফুফে সভাপতির আহ্বানের কারণে সংশ্লিষ্ট অনেকেই আশা করেছিলেন শনিবার সাবিনারা অনুশীলনে যোগ দেবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা অনুশীলনে যোগ দেননি। সাবিনাসহ ১৮ বিদ্রোহী ফুটবলার বাদে বাকিদের নিয়ে গতকাল সকালে ব্রাদার্স ইউনিয়ন মাঠে অনুশীলন সেশন পরিচালনা করেন বাটলার। আর বিকেলে অনুশীলন করান বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। গ্যালারিতে বসে মিনিট ত্রিশেক মেয়েদের অনুশীলন দেখে মনে হলো, এই দলটিকে তৈরি করতে বেশ সময় লাগবে বাটলারের। কারণ এদের বেশির ভাগই অনভিজ্ঞ।

এদিকে বাংলাদেশের মেয়েদের সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর এ মাসেই। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি আরব আমিরাতে যাবে মেয়েরা। ২৬ ফেব্রুয়ারি স্বাগতিকদের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে, ২ মার্চ খেলবে আরও একটি। ম্যাচ দুটির জন্য ১৫ তারিখের পর দল ঘোষণা হবে। বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ এমনটিই জানিয়েছেন।

তিনি এখনো আশায় আছেন সাবিনারা অনুশীলনে যোগ দেবেন, ‘আমার বিশ্বাস এখনো পর্যন্ত ওরা অনুশীলনে যায়নি, তবে ওরা অনুশীলনে যাবে। কারণ তাদের দীর্ঘ একটা ক্যারিয়ার তারা এভাবে নষ্ট করতে পারে না। আর এটা আমি বিশ্বাস করি। আমি এখনো চেষ্টা করছি ওরা যেন ফিরে আসে। ওরা হয়তো একটা অভিমানে আছে। আশা করি ওরা ফিরে আসবে।’

সাবিনারা ট্রেনিংয়ে যোগ না দিলে বিকল্প কী হবে- এমনটা জানতে চাইলে কিরণ সরাসরি বলেছেন, ‘কোনো প্ল্যান ‌‌‘বি’ নেই। প্ল্যান ‘এ’তেই আছি আমরা।’ এদিকে কোচ পিটার বাটরারও বলেছেন বিদ্রোহীরা এলে তিনি তাদের স্বাগত জানাবেন এবং বল তাদের কোর্টে বলেও মন্তব্য করেছেন। আবার তিনি এমনও বলেছেন, ‘নতুন ভবিষ্যতের জন্য আমরা নতুন দল গঠন করছি।’

সব মিলিয়ে আসলে পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে, সেটি আঁচ করা মুশকিল। এদিকে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল এ নিয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদমাধ্যমে কোনো কথা বলেননি। যদিও তার দিকেই তাকিয়ে সবাই।

টিভিতে আজকের খেলা

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১৯ এএম
টিভিতে আজকের খেলা
ছবি : সংগৃহীত

দেখে নিন আজকের দিনে টিভি পর্দায় যেসব খেলা দেখতে পাবেন সেই তালিকা

ক্রিকেট (সরাসরি)

শ্রীলঙ্কা-অস্ট্রেলিয়া
দ্বিতীয় টেস্ট, চতুর্থ দিন
সকাল ১০টা ৩০ মিনিট
সনি টেন ৫

ভারত-ইংল্যান্ড, দ্বিতীয় ওয়ানডে
বেলা ২টা, স্টার স্পোর্টস নেটওয়ার্ক

ফুটবল (সরাসরি)

এফএ কাপ

প্লাইমাউথ-লিভারপুর, রাত ৯টা
অ্যাস্টন-টটেনহাম, রাত ১১টা ৩৫ মিনিট
সনি টেন ২

২০২৫ ট্রান্সফারে রেকর্ড ব্যয়

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩৩ পিএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩৩ পিএম
২০২৫ ট্রান্সফারে রেকর্ড ব্যয়
ছবি : সংগৃহীত

ফুটবলে শীতকালীন ট্রান্সফার বন্ধ হয়েছে কয়েক দিন আগে। বছরের শুরুতে খেলোয়াড় কেনা-বেচা চলছে ১ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই ট্রান্সফার উইন্ডোতে সবচেয়ে বেশি খরচ করেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ। সবচেয়ে খরুচে ক্লাব ছিল ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার সিটি। সবচেয়ে বড় সাইনিং করেছে সৌদি প্রো-লিগের আল নাসর। তাদের খরচের বিপরীতে আয়ের শীর্ষে ছিল প্রিমিয়ার লিগের অ্যাস্টন ভিলা। এ নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হয়েছে খবরের কাগজে। শীতকালীন উইন্ডো নিয়ে এবার বিস্তারিত প্রকাশ করেছে ফিফা। বিশ্ব ফুটবল সংস্থার এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ ব্যয় করা হয়েছে ২০২৫ ট্রান্সফারে।

গতকাল ফিফা জানিয়েছে, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে পুরুষদের ফুটবলে আন্তর্জাতিক ট্রান্সফারে বিশ্বব্যাপী ক্লাবগুলো রেকর্ড ২.৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছে। এটা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৫৮ শতাংশ বেশি। ২০২৩ সালে শীতকালীন ট্রান্সফারে মোট খরচ হয়েছিল ১.৫৭ বিলিয়ন ডলার। এতদিন এটাই সবচেয়ে বড় ব্যয় ছিল। এর চেয়ে ৪৭.১ শতাংশ বেশি খরচে নতুন রেকর্ড হয়ে গেল এবার। ট্রান্সফার সংখ্যাতেও হয়েছে রেকর্ড। ১ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ৫ হাজার ৮৬৩টি আন্তর্জাতিক ট্রান্সফার হয়েছে, যা গতবারের চেয়ে ১৯.১ শতাংশ বেশি।

ব্যয়ের খাত ভারী হয়েছে ইংলিশ ক্লাবগুলোর বদৌলতে, মোট ৬২১.৬ মিলিয়ন খরচ করেছে। ম্যানসিটিই খরচ করেছে ২২৪ মিলিয়ন ডলারের বেশি। কিনেছে ওমর মার্মৌশ, নিকো গঞ্জালেস, আবদুকোদির খুসানভ, ভিটর রেইস এবং জুমা বাহকে। সবচেয়ে দামি ফুটবলার ছিলেন কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড জন ডুরান। ৭৯.৯৭ মিলিয়ন ডলার খরচে তাকে অ্যাস্টন ভিলা থেকে উড়িয়ে নিয়েছে নাসর। ব্যয়ের দিক থেকে শীর্ষ পাঁচটি দেশের তালিকাও প্রকাশ করেছে ফিফা। সবার ওপরে রয়েছে জার্মানি। দেশটির ক্লাবগুলো ট্রান্সফার মার্কেটে খরচ করেছে ২৯৫.৭ মিলিয়ন ডলার। পরের চার স্থানে রয়েছে যথাক্রমে- ইতালি (২২৩.৮ মিলিয়ন), ফ্রান্স (২০৯.৭ মিলিয়ন) এবং সৌদি আরব (২০২.১ মিলিয়ন)।

অপরদিকে, ফ্রান্সের ক্লাবগুলো ট্রান্সফার ফি হিসেবে সর্বোচ্চ ৩৭১ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে। এই তালিকায় পরের দেশগুলো হলো- জার্মানি (২২৬.২ মিলিয়ন), ইংল্যান্ড (১৮৫.২ মিলিয়ন), পর্তুগাল (১৭৬.৪ মিলিয়ন) এবং ইতালি (১৬২ মিলিয়ন)। ব্রাজিলে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ট্রান্সফার (৪৭১) হয়েছে, যেখানে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি (২৫৫)। শুরু পুরুষদের ক্ষেত্রে নয়, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে নারী ফুটবলেও ট্রান্সফার ফি বাবদ রেকর্ড ৫.৮ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে। ৪৫৫টি আন্তর্জাতিক ট্রান্সফারের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ, যা পূর্বের রেকর্ডের তুলনায় ১৮০.৬ শতাংশ বেশি।

নারী ফুটবলেও ইংলিশ ক্লাবগুলো এগিয়ে ছিল। খেলোয়াড়দের পেছনে ব্যয় করেছে ২.৩ মিলিয়ন ডলার। করেছে সর্বোচ্চ ৩৯টি চুক্তি।

আগামীতে বিদেশিদের সকল দায়িত্ব বিসিবির

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৩৪ পিএম
আগামীতে বিদেশিদের সকল দায়িত্ব বিসিবির
ছবি : সংগৃহীত

গতকাল ফরচুন বরিশাল পুনরায় শিরোপা ধরে রাখার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বিপিএলের একাদশ আসর। সদ্যসমাপ্ত এই আসরে রান হয়েছে বেশ। রান হওয়ায় গ্যালারিতে দর্শকদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।

তবে এসবের মাঝেও আছে অনিয়মের খবর। যেমন দুর্বার রাজশাহী খেলোয়াড়দের ঠিকঠাক পেমেন্ট না দেওয়া। একাধিকবার চেক বাউন্সের ঘটনা ঘটেছে। চিটাগং কিংসের ওপরও রয়েছে এমন অভিযোগ।

ভবিষ্যতে এমনসব বিড়ম্বনা এড়াতে বিদেশি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক, ম্যাচ ফি, হোটেল ব্যবস্থাপনা ও টুর্নামেন্ট শেষে ফেরার ব্যবস্থা করবে বিসিবি।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি জানিয়েছে, ভবিষ্যতে বিপিএলে অংশ নিতে আসা বিদেশিদের ব্যবস্থাপনা নিজেরাই করবে তারা। ড্রাফটে থাকা সকল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের সঙ্গেই যোগাযোগ করা হবে বিসিবি কর্তৃক। নিশ্চয়তা প্রদান করা হবে ম্যাচ ফি’র এবং সময় মতো পারিশ্রমিক পরিশোধের বিষয়টি নিজেরাই দায়িত্ব নিয়ে প্রদাণ করবে।

এমনকি বিদেশি ক্রিকেটারদের থাকা-খাওয়ার বিষয়টিও বিসিবি দ্বারা দেখভাল করা হবে। টুর্নামেন্ট শেষে তারা যাতে করে ঠিকঠাক দেশে ফিরে যেতে পারে সেই ব্যবস্থাও বিসিবিই করবে। বিসিবি ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য আর্থিক স্বচ্ছতার বিষয়ে কঠোর হবে, খেলোয়াড়দের সেফগার্ডিং ও পারিশ্রমিকের পদ্ধতি কঠোর করবে।

বিসিবির বার্তায় বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘বিসিবির উদ্যোগ প্রমাণ করে বিপিএলের সততা নিশ্চিত করতে এবং দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের পেশাদার অভিজ্ঞতা দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিপিএলের পরিচালনা ও আর্থিক বিষয় শক্তিশালী করতে বোর্ড সকল স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সর্বদা যুক্ত থাকবে।’

সেরার পুরস্কার জিতে কে কত টাকা পেলেন

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:০৯ পিএম
সেরার পুরস্কার জিতে কে কত টাকা পেলেন
ছবি :সংগৃহীত

টানা দ্বিতীয়বার বিপিএলের শিরোপা জিতেছে ফরচুন বরিশাল। চিটাগং কিংসকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে বরিশাল। সদ্যসমাপ্ত এই আসরে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। চলুন জেনে নেওয়া যাক পুরস্কার হিসেবে কত টাকা জিতেছেন তারা।

মেহেদী হাসান মিরাজ, খুলনা টাইগার্স (টুর্নামেন্ট সেরা) : ব্যাট হাতে করেছেন ৩৫৫ রান আর বল হাতে শিকার করেছেন ১৩ উইকেট। তার পারফরম্যান্সেই কোয়ালিফায়ারে জায়গা করে নিয়েছিল তার দল। তবে চিটাগং কিংসের কাছে হেরে বাদ পড়তে হয়েছিল। দারুণ এই পারফরম্যান্সে জিতেছেন টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার। আর এই পুরস্কারের অর্থ হিসেবে ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন মিরাজ।

তামিম ইকবাল, ফরচুন বরিশাল (ফাইনাল সেরা) : অধিনায়ক তামিম ইকবালের নেতৃত্বে টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা ঘরে তুলেছে ফরচুন বরিশাল। ব্যাট হাতে দারুণ পারফর্ম করেছেন তিনি এবারের বিপিএলেও। ফাইনাল ম্যাচেও খেলেছেন ২৯ বলে ৫৪ রানের এক অনবদ্য ইনিংস। যেখানে ছিল ৯টি চার ও ১টি ছয়। যেই ইনিংসেই তিনি পেয়েছেন ফাইনালে ম্যাচসেরার পুরস্কার। অর্থ হিসেবে তিনি পাঁচ লাখ টাকা পেয়েছেন।

মোহাম্মদ নাইম শেখ, খুলনা টাইগার্স (সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক) : ব্যাট হাতে এবারের বিপিএলে দারুণ সময় পার করেছেন খুলনা টাইগার্সের মোহাম্মদ নাইম শেখ। এক শতক ও তিন অর্ধশতকে তার নামের পাশে মোট ৫১১ রান। যা কিনা এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ। দারুণ এই পারফরম্যান্সের সুবাদে পেয়েছেন সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের পুরস্কার। একাদশ আসরের সেরা ব্যাটার হয়ে নাইম পেয়েছেন পাঁচ লাখ টাকা অর্থ পুরস্কার।

তাসকিন আহমেদ, দুর্বার রাজশাহী (সেরা বোলার) : দুর্বার রাজশাহী মাঠের বাইরে একের পর এক অনিয়ম করে বিপিএলকে করেছে কলুষিত। তবে এরপরও দলটি সম্ভাবনা জাগিয়েছিল প্লে-অফে জায়গা করে নেওয়ার। এনামুল হক বিজয়কে সরিয়ে তাসকিন আহমেদকে অধিনায়ক করার পর ছন্দে ফিরতে শুরু করে দলটি। একের পর এক চেন্স বাউন্সের খবরের মাঝেও রাজশাহী পারফরম্যান্সে কিছুটা মন জয় করার চেষ্টা করে সেসময়। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সেও উজ্জ্বল ছিলেন তাসকিন। এক ম্যাচে ৭ উইকেটসহ ১২ ইনিংসে ২৫ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের সেরা বোলার হয়েছেন তাসকিন। দুর্বার রাজশাহীর এই পেসার পেলেন পাঁচ লাখ টাকা।

মুশফিকুর রহিম, ফরচুন বরিশাল (সেরা ফিল্ডার) : উইকেটের পেছনে ১২ ক্যাচ ও ২ স্টাম্পিং করে মুশফিকুর রহিম হয়েছেন সেরা ফিল্ডার। পেয়েছেন তিন লাখ টাকা।

তানজিদ হাসান তামিম, ঢাকা ক্যাপিটালস (সেরা উদীয়মান ক্রিকেটার) : প্রথমবার বিপিএলে অংশ নিয়ে বেশ হতাশ করেছে ঢাকা ক্যাপিটালস। দলগতভাবে সফল হতে না পারলেও ঢাকার জুনিয়র তামিম এক আসরে সর্বোচ্চ (৩৬ ছক্কা) ছক্কা মারার কীর্তি গড়েছেন। ১ শতক ও ৪ অর্ধশতকে আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৮৫ রান করে সংগ্রাহক সেরা উদীয়মান ক্রিকেটারের পুরস্কারটি পেয়েছেন। এই কীর্তি গড়ে তানজিদ তামিম তিন লাখ টাকা অর্থ পুরস্কার পেয়েছেন।