ঢাকা ৬ ফাল্গুন ১৪৩১, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১

বিশ্বকাপে এদুর যে রেকর্ড আজও অমলিন

প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:২২ এএম
বিশ্বকাপে এদুর যে রেকর্ড আজও অমলিন
ছবি : সংগৃহীত

সফল হতে পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের বিকল্প নেই। সঙ্গে লাগে ভাগ্যের ছোঁয়াও। ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার এদুর পরিশ্রমের ঘাটতি ছিল না। ছিল মেধার স্ফুরণও। ভাগ্য একটু সুপ্রসন্ন হলেই ১৯৬৬ বিশ্বকাপটা সোনায় মোড়ানো হতো তার জন্য। যদিও তার গড়া একটি রেকর্ড আজও অমলিন। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ডাক পাওয়া সবচেয়ে কমবয়সী ফুটবলার এদু।পুরো নাম, জোনাস এদুয়ার্দো আমেরিকা।

এদুর আবির্ভাব পেলের যুগে। সে কারণেই হয়তো ততটা লাইম লাইটে আসতে পারেননি এই উইঙ্গার। তবে ব্রাজিলের তিনটি বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা এদু যে কয়টি ম্যাচ খেলেছেন, স্বাক্ষর রেখেছিলেন নিজের প্রতিভার। এদু নামটা ১৯৬৬ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কারণ বৈশ্বিক আসর দিয়েই এদুর আন্তর্জাতিক ফুটবলে পথচলা। একই বছরের শুরুতে তার শুরু সান্তোস অধ্যায়ও। কিন্তু ইংল্যান্ড বিশ্বকাপটি এদু তথা ব্রাজিলের জন্য ছিল বিভীষিকাময়। গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল পেলে বাহিনী, যা দেশটির বিশ্বকাপের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত প্রথম। স্কোয়াডে থাকলেও সেই বিশ্বকাপে একটি ম্যাচও খেলা হয়নি এদুর। কারণ একটাই, তখন বদলি খেলোয়াড়ের প্রচলন ছিল না। কোনো খেলোয়াড় আহত হলে তাকে ছাড়াই খেলতে হতো টিমকে।

ব্রাজিলের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে এদু যখন ডাক পান, তখন তার বয়স ১৬ বছর ৩৩৯ দিন। মাঠে না নামার কারণে বিশ্বকাপে সবচেয়ে কমবয়সী ফুটবলারের রেকর্ডটি তার হয়নি। কিন্তু তিনি বনে যান, বিশ্বকাপ দলে ডাক পাওয়া সবচেয়ে কমবয়সী ফুটবলার। ১৭ বছর ৪০ দিন বয়সে খেলতে নেমে বিশ্বকাপে সবচেয়ে কমবয়সী ফুটবলারের রেকর্ডটি নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের নরম্যান হোয়াইটসাইডের (১৯৮২ বিশ্বকাপ)। এই তালিকায় পেলের অবস্থান পঞ্চম (১৭ বছর ২৩৪ দিন, ১৯৫৮ বিশ্বকাপ)।

সম্প্রতি ফিফা ডটকমের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ১৯৬৬ বিশ্বকাপসহ নানা বিষয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন ৭৫ বছর বয়সী এদু। তারুণ্য প্রসঙ্গটি আসতেই এদু শুরু করেন, ‘আজকাল অনেকেই তরুণদের নিয়ে সাবধানতা অবলম্বনের কথা বলেন, কিন্তু আমি ১৭ বছর বয়সে সাও পাওলো স্টেট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিলাম। বয়স কোনো বাধা নয়। যদি তারা ভালো হয়, তবে তাদের খেলাতে হবে।’

১৯৬৬ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড ও উরুগুয়ে। ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। এদুর ১৭তম জন্মদিনের ঠিক তখনো ২৬ দিন বাকি। ব্রাজিলের মিশন শুরু হয়েছিল বুলগেরিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে। তবে পরের দুই ম্যাচে পর্তুগাল ও হাঙ্গেরির কাছে হেরে বিদায় নেয় ব্রাজিল। এই তিন ম্যাচে একাদশে জায়গা পাননি এদু। তবে বদলির সুযোগ থাকলে স্বপ্নটা পূর্ণ হতো তার। সেই স্মৃতি মনে করে এদু বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, ১৯৬৬ সালে কোনো বদলি খেলোয়াড়ের নিয়ম ছিল না। শুরুর ১১ জনই খেলত, আর যদি কেউ আহত হতো, তাহলে এক খেলোয়াড় কম নিয়েই খেলা চালিয়ে যেতে হতো। আমি এবং জিতো ছিলাম একমাত্র খেলোয়াড় যারা, ওই বিশ্বকাপে মাঠে নামতে পারিনি।’

এর তিন বছর পর, তখনো কিশোর বয়সেই এদু তার ক্যারিয়ারের শীর্ষে পৌঁছান। ১৯৭০ বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকান বাছাই পর্বে ব্রাজিলের হয়ে প্রতিটি ম্যাচ খেলেন তিনি। এদু বলেন, ‘১৯৬৯ সালে আমাদের ডাকা হলে, কোচ জোয়াও সালদানহা আক্রমণভাগে জরজিনহো, টোস্টাও, পেলে এবং আমাকে রেখেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এটাই সেই আক্রমণভাগ, যা ১৯৬৬ বিশ্বকাপে খেলতে পারত। আমরা সবাই তখন সেখানে ছিলাম, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমি মাঠে নামতে পারিনি। অন্যরা পেরেছিল।’

সালদানহা ১৯৭০ বিশ্বকাপ শুরুর কয়েক মাসে আগে বরখাস্ত হন। কোচের দায়িত্ব নেন মারিও জাগালো। এরপর এদু তার জায়গা হারান। কারণ ব্রাজিলের আক্রমণভাগে তখন ছিলেন জরজিনহো, পেলে, টোস্টাও এবং রিভেলিনো। শেষ পর্যন্ত ১৯৭০ বিশ্বকাপে ব্রাজিল স্কোয়াডে ছিলেন এদু। খেলেছিলেন একটি ম্যাচও। পেলের সঙ্গে তিনিও বিশ্বকাপজয়ী দলের গর্বিত সদস্য। সব মিলিয়ে ব্রাজিলের হয়ে ৫৪ ম্যাচে ১২ গোল করা এদুর শেষ বিশ্বকাপ ছিল ১৯৭৪। 

এদুর দুই পা চলত সমান তালে। গতি ও দক্ষতা ছিল চোখে পড়ার মতো। আর তাই সান্তোসের ভিলা বেলমিরোতে মাত্র ১৪ বছর বয়সে তাকে নিয়ে আসা হয়। সেটাও পেলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। সান্তোসে এদু পেলের কথা রেখেছিলেন ভালোমতো। ৫৮৪ ম্যাচে তার গোল ১৮৪টি। ক্লাবটির ইতিহাসের ম্যাচ খেলা ও গোল করার দিক থেকে এদু যথাক্রমে সপ্তম এবং ষষ্ঠ স্থান দখল করে রেখেছেন। 

১৯৬৬ বিশ্বকাপে না খেলতে পারায় এদু অনেকটা ভেঙে পড়েছিলেন মানসিকভাবে। ঘুরেও দাঁড়িয়েছিলেন দ্রুত। সে প্রসঙ্গে এদু বলেন, ‘বিশ্বকাপ শেষে এক মাস পর, সান্তোস এবং বেনফিকা আমেরিকায় একটি প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হয়। বেনফিকায় ছিল পর্তুগাল জাতীয় দলের সাতজন খেলোয়াড়, যারা এই বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল। পর্তুগিজ স্কোয়াডে ছিলেন কিংবদন্তি ইউসেবিও এবং মারিও কলুনা। কিন্তু সান্তোসের হয়ে বেনফিকাকে আমরা হারিয়েছিলাম ৪-০ গোলে। যার দুটি গোলই আমার।’ 

শেষের অধ্যায়ে পরম আকুতিই ঝরে পড়ল এদুর কণ্ঠে, ‘তারা আমাকে খুব ভালো করে জানত না। এটা দারুণ হতো যদি বিশ্বকাপটা খেলতে পারতাম। কারণ আমি তখন তারুণ্যের আগুনে টগবগে, রীতিমতো উড়ছিলাম। কিন্তু মাঠে নামতে না পারার কষ্টটা আজীবনই পোড়াবে হয়তো।’

টাকার জন্য মিনি বিশ্বকাপের জন্ম

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩০ পিএম
টাকার জন্য মিনি বিশ্বকাপের জন্ম
ছবি : সংগৃহীত

ব্যাঙের ছাতার মতো বেড়েই চলেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক লিগ। বোর্ডগুলোও ধনী থেকে আরও ধনী হচ্ছে। এখনকার মতো ক্রিকেট সবসময় টাকা আয়ের যন্ত্র ছিল না। চোখ রাখা যাক আড়াই দশকেরও পেছনে, বিশেষ করে ১৯৯৮ সালে। সে বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) আরও বেশি দেশে খেলাটি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তহবিল খুঁজছিল। অর্থ সংগ্রহ করতে তৎকালীন চেয়ারম্যান জগমোহন ডালমিয়া চালু করেন ‘নকআউট  ট্রফি।’ ৯৯ বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে বিশেষ এই আয়োজন পায় মিনি-বিশ্বকাপ তকমা।

সময়ের স্রোতে টুর্নামেন্টের নাম বদলে গেছে, কিন্তু গুরুত্ব বেড়েছে বহুগুণে। ক্রমাগত ঘষা-মাজার মাধ্যমে বৈশ্বিক এই ইভেন্টটি ক্রিকেটারদের জন্য এখন লড়াইয়ের রঙিন এক মঞ্চ। ১৯৯৮ সালে টুর্নামেন্টের প্রথম সংস্করণের নাম ছিল উইলস ইন্টারন্যাশনাল কাপ। স্বাগতিক দেশ ছিল বাংলাদেশ। মজার বিষয় হলো, আয়োজক দেশের জাতীয় দলের অংশগ্রহণ ছিল উদ্বোধনী আসরে। কারণ ইন্টারন্যাশনাল কাপে খেলার যোগ্যতা ছিল না টিম টাইগার্সের (টেস্ট স্ট্যাটাস ছিল না)।

যাইহোক, অর্থ আয়ের ভাবনা ডুবতে চলেছিল পানিতে। ওই বছর ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল ঢাকায়। উপায়ান্তর না দেখে টুর্নামেন্টটি সম্পূর্ণরূপে ভারতে স্থানান্তরিত হওয়ার কথা ছিল কিন্তু খেলার সময় আসার আগেই বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং আইসিসিকে দেয় সবুজ সংকেত। বলাই যায়, ভাগ্যক্রমে ইতিহাসের অংশ হতে পেরেছিল বাংলাদেশ। কারণ ভেন্যু হিসেবে তৃতীয় অপশন ছিল ঢাকা। প্রথম পছন্দ ছিল ফ্লোরিডার ডিজনিওয়ার্ল্ড এবং দ্বিতীয়টি সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়াম।

প্রথমে আসরে অংশ নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং জিম্বাবুয়ে। নামিদামি দলগুলোর খেলা দেখতে সে সময় ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ভক্তদের ভিড় ছিল বিশাল। টুর্নামেন্ট ছিল অনেক দ্রুতগতির, ২৪ অক্টোবর শুরু হয়ে শেষ হয়েছিল ১ নভেম্বর (১৯৯৮ সালে)। এ জন্য সেমিফাইনালে ভারতকে হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্রামের দিনও ছিল না। পরের দিন ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। ক্লান্ত ক্যারিবীয়রা উদ্বোধনী সংস্করণে পেয়েছিল রানার্সআপ ট্রফি।

আসরজুড়ে বল নিচু এবং ধীরগতিতে থাকায় পিচগুলো ব্যাটিংবান্ধব ছিল না। কেবল ভারতই (অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে) ৩০০ রানের কোটা অতিক্রম করতে পেরেছিল। সর্বনিম্ন স্কোর ছিল চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকার। বৃষ্টিবিঘ্নিত একটি ম্যাচে তারা অলআউট হয়েছিল ১৩২ রানে। তবে যে লক্ষ্যে যাত্রা শুরু হয়েছিল ইন্টারন্যাশনাল কাপের সেটা পূরণ হয়েছিল আইসিসির। টুর্নামেন্ট থেকে আয় করেছিল প্রায় ১০ মিলিয়ন পাউন্ড। পরবর্তী  টুর্নামেন্টও খুব বেশি দীর্ঘ ছিল না, মাঠে গড়িয়েছিল প্রথমটির ন্যায় নকআউট ফরম্যাটে।

২০০২ সালে বদলে যায় নাম। নতুন নামকরণ করা হয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এখন পর্যন্ত পরিচিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নামেই। ওই বছর প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে চলেছিল টুর্নামেন্ট। ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। ২০০৬ সাল পর্যন্ত ২ বছরান্তে মাঠে গড়ায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। পরের আসরের পর্দা উঠেছিল ৩ বছর পর।  এর কারণও আছে। ২০০৮ সালের ভেন্যু ছিল পাকিস্তান। কিন্তু নিরাপত্তা জনিত কারণে তা সরিয়ে  নিয়ে ২০০৯ সালে আয়োজন করা হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়। তারপর সিদ্ধান্ত হয় যে ৪ বছরান্তে হবে এই টুর্নামেন্ট। সে অনুযায়ী ২০১৩ এবং ২০১৭ সালে মাঠে গড়ায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এরপরই লম্বা বিরতি। মূলত আইসিসি চেয়েছিল সব ফরম্যাটের জন্য একটি টুর্নামেন্ট রাখতে। কিন্তু ২০২১ সালে বদলে যায় সিদ্ধান্ত এবং তখনই বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ সংস্থা জানিয়েছিল ২০২৫ সালে হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরের আসর।

আগ্রহের কেন্দ্রে নাহিদ রানা

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪৫ পিএম
আগ্রহের কেন্দ্রে নাহিদ রানা
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে নাহিদ রানার মতো গতিরতারকা আর আসেনি। ১৪০ এর ওপরে বোলিং করা একাধিক বোলার বাংলাদেশ আগে পেলেও ১৫০ এর বোলিং করা বোলার নাহিদই প্রথম। এমনকি গড়ে ১৪০ এর ওপর নিয়মিত বোলিং করা বোলারও নাহিদ একাই।

অভিষেকের পর থেকেই গতির ঝড়ে নজর কেড়েছেন এই তরুণ। গতির ঝড় তুলে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সবাইকে। ব্যাটারদের ব্যর্থতার ভেতর বাংলাদেশের আশার আলো বলা চলে পেসারদেরই। 

গতি দিয়ে নজর কাড়া তারকাকে নিয়েই যত আগ্রহ বিদেশি সাংবাদিকদের। ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে নাহিদকে নিয়ে একাধিক প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। 

নাহিদকে নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে শান্ত বলেছেন, ‘ও যেরকম বোলিং করছে, ওর ওপর একটু বাড়তি নজর থাকবেই। কিন্তু ওকে দেখে কখনো মনে হচ্ছে না যে ও প্রেসারে আছে! ও নরমাল আছে।’

নাহিদ নিজের সেরাটা দিতে প্রস্তুত রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘ঠিক ঠিকমতো অনুশীলন করে যাচ্ছে নাহিদ। কালকে যদি ওর খেলার সুযোগ হয় তাহলে অবশ্যই সেরাটা দেবে আমি বিশ্বাস করি।’

ধারণা করা হচ্ছে বাংলাদেশ তিন পেসার নিয়ে একাদশ সাজাবে। স্কোয়াডে জায়গা আছেন তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানা, মোস্তাফিজুর রহমান ও তানজিম সাকিব। কোন তিনজন একাদশে সুযোগ পেতে যাচ্ছে তা অবশ্য এখনও নিশ্চিত নয়।

দর্শকসারি থেকে মঞ্চে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪০ পিএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪১ পিএম
দর্শকসারি থেকে মঞ্চে বাংলাদেশ
ছবি : সংগৃহীত

১৯৯৮ সাল। ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশ তখনো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জায়গা করে নিতে পারেনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়মিত খেলতে হলে আইসিসির টেস্ট ক্রিকেটের বনেদি পরিবারের সদস্য হতে হয়। সেই সদস্য পদ বাংলাদেশের ছিল না। আইসিসির পূর্ণ সদস্য পদ না পাওয়াতে বৈশ্বিক কোনো আসর আয়োজনও করতে পারেনি। তবে ১৯৮৮ সালে একবার এশিয়া কাপ ক্রিকেট আয়োজন করেছিল। এশিয়ার তিন সেরা দল পাকিস্তান, ভারত ও শ্রীলঙ্কার অংশগ্রহণে ব্যাপক সাড়া পড়েছিল। বাংলাদেশও খেলেছিল। এরপর ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ১৯৯৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ছাড়পত্র পেয়েছিল। কিন্তু এই আসর খেলার আগেই মেঘ না চাইতেই বৃষ্টির মতো বাংলাদেশের হাতে আকাশের চাঁদ এসে ধরা দে ১৯৯৮ সালে। টেস্ট পরিবারের সদস্য না হওয়ার পরও আইসিসির নতুন ইভেন্ট নক আইটি ট্রফি বা মিনি বিশ্বকাপ (পরিবর্তিত নাম চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি) আয়োজন করার স্বত্ব পায়। সময়ের প্রেক্ষাপটে সেটি ছিল বাংলাদেশের জন্য অষ্টম আশ্চর্যজনক ঘটনা! আর এটি সম্ভব হয়েছিল বাঙ্গালিবাবু কলকাতার জগমোহন ডালমিয়ার কারণেই। তিনি ছিলেন সে সময় আইসিসির সভাপতি। 

বাংলাদেশের দর্শকদের ঘরের মাঠে বিশ্বমানের তারকাদের খেলা দেখার অভিজ্ঞতা ছিল শুধু ১৯৮৮ সালের এশিয়া কাপই। সে সময় ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা তিন দেশে বিশ্বমানের তারকাদের ছড়াছড়ি ছিল। ভারতের মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন, কপিল দেব, দিলিপ ভেংসরকার, মহিন্দর অমরনাথ, কিরন মোরে নভোজিৎ সিং সিধু, কৃষ্ণচামারি শ্রীকান্ত, পাকিস্তানের জাভেদ মিয়ানদাদ, আব্দুল কাদির, ওয়াসিম আকরাম, রমিজ রাজা, সেলিম মালিক, ইজাজ আহমেদ, শ্রীলঙ্কার অর্জুনা রানাতুঙ্গা, মাহানাম, অরবিন্দ ডি সিলভা, রঞ্জন মাদুগালে, দুলিপ মেন্ডিস, হাসান তিলকরত্নে। মিনি বিশ্বকাপ এই তিন দেশের অনেকের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ের অনেক তারকা ক্রিকেটারদের খেলাও মাঠে বসে দেখার সুযোগ করে দেয়। যেখানে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ ওয়াহ, মার্ক ওয়াহ, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, গ্লেন ম্যাকগ্রা, রিকি পন্টিং, মাইকেল বেভান, ইংল্যান্ডের নেইল ফেয়ারব্রাদার, অ্যাসলে জাইলস, গ্রায়াম হিক, অ্যাডাম হোলিওক, নিউজিল্যান্ডের স্টিফেন ফ্লেমিং, ক্রিস হ্যারিস, ক্রেইগ ম্যাকমিলান, ড্যানিয়েল ভেট্টোরি, নাথান অ্যাসলে, দক্ষিণ আফ্রিকার হ্যানসি ক্রোনিয়ে, নিকি বোয়ে, মার্ক বাউচার, জ্যাক ক্যালিস, জন্টি রোডস, শন পোলক, মাখায় এনটিনি, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রায়ান লারা, শিবনারায়ণ চন্দ্রপল, কার্ল হুপার, ফিল সিমন্স, জিম্বাবুয়ের অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেল, অ্যান্ড্রি ফ্লাওয়ার, গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার,মারি গুডউইন, নেইল জনসন, হিথ স্ট্রিক, অ্যান্ডি হুইটাল। এ সমস্ত ক্রিকেটারদের পদচারণে মুখরিত হয়ে উঠেছিল বাংলার জমিন। 

একসময় যাদের খেলা দেখার একমাত্র অবলম্বন ছিল টিভি পর্দা, সেখানে চোখের সামনে হাত ছোঁয়া দূরত্বে বিশ্বের সব সেরা ক্রিকেটার! সে কি উন্মাতাল হাওয়া বাংলার আকাশে। ক্রিকেট-জ্বরে রীতিমতো কাঁপছিল দেশ। কিন্তু এতো উত্তাল আনন্দের মাঝে সেখানে ছিল না বাংলাদেশ দল। কারণ আইসিসির প্রথম এই আসর আয়োজন করেছিল শুধু টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোকে নিয়েই। বাংলাদেশ তখনো আইসিসির সহযোগী সদস্য ছিল। তারা পূর্ণ সদস্য হয়েছিল ২০০০ সালে। যে কারণে মিনি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ছিল নিজ দেশে পরবাসীর মতো। বাংলাদেশ স্বাগতিক হওয়ার দরুন এক অন্য রকম সুখানুভুতি উপভোগ করেছিল দর্শকসারিতে বসে। 

প্রথম আসর ছিল নকআউট। হারলে বিদায়, জিতলে টিকে থাকা। যে কারণে ৯ দলের আসরের আয়ু খুব বেশি দিন স্থায়ী ছিল না। ২৪ অক্টোবর শুরু হয়ে ১ নভেম্বর শেষ হয়েছিল। ৯ দলের আসর হওয়াতে নিউজিল্যান্ড ও জিম্বাবুয়েকে দিয়ে শুরু হওয়া ম্যাচটি ছিল অনেকটা প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের মতোই। দলগুলোর র‌্যাঙ্কিং করা হয়েছিল ১৯৯৬ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফলাফল অনুযায়ী। জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে নিউজিল্যান্ড বাকি ৭ দলের মাঝে জায়গা করে নেয়। এরপর একে একে হয় কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল। ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৪ উইকেটে হারিয়ে শেষ হাসি হাসে দক্ষিণ আফ্রিকা। এখন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার এটিই আইসিসির প্রথম ও একমাত্র শিরোপা। 

আইসিসির এই টুর্নামন্টে বাংলাদেশকে খুব বেশি সময় দর্শক হয়ে থাকতে হয়নি। নিজ দেশে পরবাসী থাকলেও ২০০০ সালে কেনিয়াতে পরের আসরেই বাংলাদেশ সুযোগ পায় নিজেদের মঞ্চস্থ করার। আইসিসির ৯ পূর্ণ সদস্য দেশের সঙ্গে দুই সহযোগী সদস্য বাংলাদেশ ও কেনিয়াও খেলেছিল। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটে হেরে থামে বাংলাদেশের অভিষেক আসরের যাত্রা। ২০০৯ ও ২০১৩ সালে পরপর দুই আসরে র‌্যাঙ্কিংয়ের সেরা আটে না থাকাতে বাংলাদেশ খেলার সুযোগ পায়নি। এ ছাড়া প্রতি আসরেই খেলেছে। সেখানে তাদের সেরা সাফল্য ছিল সর্বশেষ ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত অষ্টম আসরে সেমিফাইনাল খেলা। 

এবারে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসর। আগের ৮ আসরের ৫টিতে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে মাত্র ২টিতে। যার একটি ছিল গতবার ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত গ্রুপ পর্বের ম্যাচ। ‘এ’ গ্রুপের কার্ডিফে অনুষ্ঠিত ম্যাচে মাশরাফির নেতৃত্বে বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে এক জয়েই ওঠে গিয়েছিল সেমিতে। গ্রুপ পর্বে বৃষ্টির কল্যাণে নিশ্চিত হারা ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ড্র করে এক পয়েন্ট পেয়েছিল। এই ড্র-ই যেমন পরে বাংলাদেশকে সেমিতে খেলতে বিরাট সহযোগিতা করেছিল, তেমনি কপাল পুড়েছিল অস্ট্রেলিয়ার। তারা সেমিতে যেতে পারেনি। এই জয় ছাড়া বাংলাদেশের অপর জয় ছিল ২০০৬ সালের আসরে বাছাইপর্বে। ভারতে অনুষ্ঠিত সেই আসরে ৪ দলের বাছাইপর্বে হাবিবুল বাশারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১০১ রানে হারিয়েছিল জিম্বাবুয়েকে। বাছাইপর্ব তৃতীয় হয়ে বাংলাদেশ বাদ পড়েছিল। এই দুই জয়েই বাংলাদেশের ৩টি সেঞ্চুরি ছিল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শাহরিয়ার নাফীস করেছিলেন ১২৩ রান। বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ২৩১ রান। জিম্বাবুয়ে অলআউট হয়েছিল ১৩০ রানে। কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব আল হাসান। নিউজিল্যান্ডের ৮ উইকেটে করা ২৬৫ রানের জবাব দিতে নেমে এক পর্যায়ে ৪৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল বাংলাদেশ। পরে পঞ্চম উইকেট জুটিতে সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ ২২৪ রান যোগ করে দলকে জয় এনে দিয়েছিলেন। সাকিব ১১৪ রান করে আউট হলেও মাহমুদউল্লাহ ১০২ রান করে অপরাজিত ছিলেন। এই দুই ম্যাচে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন শাহরিয়ার নাফীস ও সাকিব আল হাসান।

এবার নবম আসরে বাংলাদেশের ষষ্ঠ অংশগ্রহণ। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত দেশবাসীকে শুনিয়ে গেছেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গল্প! 

সাকিব না থাকা চিন্তার নয় শান্তর কাছে

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:১৩ পিএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:১৫ পিএম
সাকিব না থাকা চিন্তার নয় শান্তর কাছে
ছবি : সংগৃহীত

আজ থেকে শুরু হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। বাংলাদেশ মাঠে নামবে আগামীকাল। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে নাজমুল হোসেন শান্তরা দুবাইতে।

হাইব্রিড পদ্ধতির এবারের আসরে বাংলাদেশ দলে নেই সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সাকিবের শূণ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করা হয় বাংলাদেশ অধিনায়ককে। 

ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের ইস্যুতে এক শব্দে জবাব দিয়েছেন শান্ত। 

সাংবাদিকরা শান্তর কাছে জানতে চান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো বড় টুর্নামেন্টে সাকিবের না থাকাটা কি বাংলাদেশের জন্য চিন্তার কারণ? এই প্রশ্নের জবাবে শান বলেছেন, ‘জ্বী না।’

বাংলাদেশ দলে রয়েছেন দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এটাই সম্ভবত তাদের শেষ আইসিসি ইভেন্ট। 

এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে নিয়ে শান্ত বলেন, ‘আমি মনে করছি না তারা ওইভাবে চিন্তা করছেন। তারা এখনো খেলাটা এনজয় করছেন। আমি আশা করবো তারা তাদের ওই এক্সপেরিয়েন্সটা এখানে শো করবে।’

উদ্বোধনী ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে পাকিস্তান

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৩৬ পিএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৫১ পিএম
উদ্বোধনী ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে পাকিস্তান
ছবি : সংগৃহীত

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসরের পর্দা উঠতে যাচ্ছে আজ। সেই আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে স্বাগতিক পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। ইতোমধ্যেই সেই ম্যাচের টস অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) করাচির জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টায় শুরু হতে যাচ্ছে আসরের উদ্বোধনী ম্যাচটি। 

টস জিতে পাকিস্তানের অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান বলেন, ‘আমরা আগে ফিল্ডিং করবো। গেল কয়েক ম্যাচ ধরে দেখছি সময় গড়ালে শিশির পড়ছে, আমরা সেটি কাজে লাগাতে চাই। আমরা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন তাই চাপ কিছুটা বেশি আমাদের ওপর থাকবে, তবে আমরা এটিকে ত্রিদেশীয় সিরিজের মতোই সামলে নেব। ঘরের মাটিতে খেলা আমাদের জন্য দারুণ ব্যাপার। হারিস রউফ ফিট হয়ে গেছে এবং ফিরে এসেছে।’

টস হেরে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার বলেন, ‘শিশির দেরিতে আসে তবে আমরা আমাদের কাজ ব্যাট দিয়ে করতে হবে। উইকেট দেখে ভালোই মনে হচ্ছে। আমাদের অভিজ্ঞতার মিশ্রণ ও নতুন কিছু মুখ রয়েছে যারা ভালো ক্রিকেট খেলছে। আমরা ভাগ্যবান যে তাদের ঘরে এবং বাইরে দুই জায়গাতেই খেলিয়েছি এবং তাদের ব্যাপারে ভালোভাবেই জানি। যেটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সেটি হলো করাচির কন্ডিশনের সঙ্গে অভ্যস্ত হওয়া। দুর্ভাগ্যের বিষয় যে কিছু চোটের সমস্যা রয়েছে, তবে আমরা আমাদের দল নিয়ে। ম্যাট হেনরি ফিরে এসেছে আজকের স্কোয়াডে।’

পাকিস্তান একাদশ

মোহাম্মদ রিজওয়ান (অধিনায়ক ও উইকেটকিপার), বাবর আজম, ফখর জামান, সৌদ শাকিল, সালমান আঘা, খুশদিল শাহ, তায়াব তাহির, শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ, নাসিম শাহ, আবরার আহমেদ।

নিউজিল্যান্ড একাদশ

উইল ইয়াং, ডেভন কনওয়ে, কেইন উইলিয়ামসন, ড্যারিল মিচেল, টম লাথাম, গ্লেন ফিলিপস, মাইকেল ব্রেসওয়েল, মিচেল স্যান্টনার (অধিনায়ক), নাথান স্মিথ, ম্যাট হেনরি, উইল ও’রুর্ক।