
এডিনসন কাভানি, নেইমার এবং কিলিয়ান এমবাপ্পের দারুণ এক জুটি ছিল পিএসজিতে। এই ত্রয়ী ক্লাবকে পাইয়ে দিয়েছেন অনেক ট্রফি। কিন্তু ধরাধোঁয়ার বাইরে ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা। তাই আরও শক্তিশালী একাদশ সাজিয়েছিলেন ক্লাবটির কাতারি মালিক নাসের আল-খেলাইফি। পিএসজিতে নতুন ত্রয়ী সাজান লিওনেল মেসি, নেইমার এবং এমবাপ্পেকে নিয়ে। যদিও সাফল্যের দিক থেকে এই ত্রয়ী ব্যর্থ ছিল আগেরটির তুলনায়! অবশেষে জানা গেল এর কারণ। সেটা হলো- মেসি ও নেইমারের বন্ধুত্বে ঈর্ষান্বিত ছিলেন এমবাপ্পে।
প্যারিসে মেসির আগমনের আগে দারুণ বন্ধুত্ব ছিল নেইমার-এমবাপ্পে। সেটাই বদলে যায় ২০২১ সালের পর থেকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য জানিয়েছেন নেইমার। সাবেক ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার রোমারিওর সঞ্চালনায় এক প্রোগ্রামে গিয়ে নেইমার বলেছেন, ‘তার (এমবাপ্পে) সঙ্গে আমার সমস্যা ছিল, আমাদের মধ্যে একটু ঝগড়া হয়েছিল। আমি সব সময় তাকে বলতাম, আমি তার সঙ্গে মজা করতাম, সে সেরাদের একজন হতে চলেছে। আমি সব সময় তাকে সাহায্য করতাম, তার সঙ্গে কথা বলতাম। সে আমার বাড়িতে আসত, আমরা একসঙ্গে ডিনারে যেতাম।’
নেইমারই জানান, তাদের বন্ধুত্ব বদলে যায় ২০২১ সালে। যখন মেসি বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যোগদান করেছিলেন। কাতালান ক্লাবে বন্ধু ছিলেন মেসি-নেইমার। স্পেনে একসঙ্গে পার করেছেন চার মৌসুম। প্যারিসে তাদের পুরোনো সম্পর্ক নতুন মাত্রা পাওয়ায় বদলে যায় এমবাপ্পের আচরণ। নেইমার বলেছেন, ‘আমরা (এমবাপ্পের সঙ্গে) একসঙ্গে বেশ কিছু বছর ভালো কাটিয়েছি, কিন্তু তারপর যখন মেসি এসেছিল, আমার মনে হয় সে একটু ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়েছিল। সে আমাকে কারও সঙ্গে ভাগাভাগি করতে চাইছিল না এবং তারপর শুরু হয়েছিল ঝগড়া, আচরণের পরিবর্তন।’
নেইমারের দাবি, পিএসজির সুপারস্টার ত্রয়ী তাদের সম্ভাবনা পুরোপুরি কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছিল দলগত প্রচেষ্টার অভাবে। বলেছেন, ‘আপনাকে বুঝতে হবে যে আপনি একা খেলেন না।’ আপনার পাশে অন্যদের থাকতে হবে: ‘আমি সেরা, ঠিক আছে’, কিন্তু কে আপনাকে বল দেবে? আপনার কাছে ভালো মানুষ থাকতে হবে যারা আপনাকে বল দেবে। সবার মধ্যে অহংকার ছিল... তাই কাজ সঠিকভাবে হচ্ছিল না। আধুনিক ফুটবলে যদি কেউ না দৌড়ায়, যদি কেউ একে অপরকে সাহায্য না করে তাহলে জেতা অসম্ভব।’
এদিকে নেইমার তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কোনো ইঙ্গিত দেননি। সৌদি আরবে তার অধ্যায়ে এখন পর্যন্ত বলার মতো কিছু নেই। চোটের কারণে বিগত ১৬ মাসে মাত্র কিছু ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন। জল্পনা-কল্পনা রয়েছে যে তিনি ব্রাজিল অথবা মেজর লিগ সকারে যেতে চাইছেন। যদিও নেইমার জানিয়েছেন, সৌদিতে সুখী আছেন তিনি। একই সঙ্গে রহস্য করেছেন এভাবে, ‘ছয় মাসের মধ্যে সবকিছু বদলে যেতে পারে।’