ঢাকা ৩০ মাঘ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১

সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখল বাংলাদেশ

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫১ এএম
সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখল বাংলাদেশ
ছবি : সংগৃহীত

সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাজেভাবে হারার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। ৬০ রানের জয়ে সিরিজে সমতা ফেরানোর পাশাপাশি সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনাও টিকিয়ে রাখলো নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। এই ম্যাচটি স্মরণীয় হয়ে থাকলো নারী দলের জন্য। কেননা, এই ম্যাচ দিয়েই প্রথমবারের মতো উইন্ডিজ নারী দলের বিপক্ষে ওয়ানডেতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ নারী দল। 

সিরিজ জিতলে সরাসরি খেলা যাবে ২০২৫ নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে। এমনটা জেনেই সিরিজ শুরু করে ধাক্কা খেয়েছিল মেয়েরা প্রথম ম্যাচে ৯ উইকেটের পরাজয়ে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা ফেরানোয় এখন শেষ ম্যাচ জিতলে ২০২৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলবে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬০ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।

আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ ১৮৪ রানের পুঁজি পায়। সর্বোচ্চ ৬৮ রান আসে জ্যোতির ব্যাট থেকে। সেই লক্ষ্য জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশি বোলারদের তোপের মুখে পড়ে উইন্ডিজের মেয়েরা। ফলে ৩৫ ওভারেই থেমে যায় স্বাগতিকদের যাত্রা মাত্র ১২৪ রানে। 

উইন্ডিজরা লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তৃতীয় ওভারেই নিজেদের প্রথম উইকেট হারায়। মারুফার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন কিয়ানা জোসেফ। হেইলি ম্যাথিউসকে থামান নাহিদা। মারুফা আঘাতে আরও একটা উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। দান্দেন্দ্র ডটিনকেও তুলে নেন তিনি। 

আশা বাঁচিয়ে রাখা শেমাইন ক্যাম্পবেল ২৮ রান করে বোল্ড হন  নাহিদার বলে। এরপর মান্ডি মানগ্রুকেও তুলে নেন নাহিদা। ফলে ৭০ রানে ৬ উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা।
বাংলাদেশের হয়ে বাঁহাতি স্পিনার নাহিদা আক্তার ৩০ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছেন। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন দুই লেগ স্পিনার রাবেয়া খান ও ফাহিমা খাতুন ও পেসার মারুফা আক্তার।

এর আগে, স্বাগতিকদের আমন্ত্রণে ব্যাট করতে নেমে ৫৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ।

সেই ধকল সামাল দেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও সোবহানা মোস্তারি। তাদের ৫১ রানের জুটিতে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর রসদ পায় বাংলাদেশ। 

তবে মোস্তারির পর ফাহিমা খাতুনও দ্রুত ফিরে গেলে অধিনায়ক জ্যোতি এগোতে থাকেন স্বর্ণা আক্তারকে নিয়ে। স্বর্ণা ২১ রান করে সাজঘরে ফিরলেও দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিতে হাল ধরে রাখেন জ্যোতি।

ম্যাচের ৪৯তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ৭ চারে ৬৮ রান করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। তিনি আউট হওয়ার পর আর কোন রান যোগ হয়নি, তবে তাতেই মিলে যায় জয়ের ভিত। তবে তাতেই জয়ের ভিত হয়ে যায় সফরকারীদের। 

ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডকে ধবলধোলাই ভারতের

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:১০ পিএম
ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডকে ধবলধোলাই ভারতের
ছবি : সংগৃহীত

ভারতের মাঠে ভারতকে টপকে যাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। তার ওপর যদি হয় রান পাহাড় টপকানোর মতো কঠিন কাজ, তাহলে তো সেই কাজ মাঠে নামার আগেই অসম্ভব হয়ে যায়। ইংল্যান্ডের ক্ষেত্রেও হয়েছে তাই। ৩৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২১৪ রানে অলআউট হয়ে ১৪২ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে ধবলধোলাই হয়েছে ভারতের কাছে।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) আহমেদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক ভারতের কাছে ১৪২ রানের বিশাল ব্যবধানে হারতে হলো ইংল্যান্ডকে। টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে হারার পর এবার ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হতে হয়েছে ওয়ানডে সিরিজে ইংলিশদের। 

বিশাল এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিল ইংল্যান্ড। একের পর এক উইকেট হারিয়েছে দলটি নিয়মিত বিরতিতে। উদ্বোধনী জুটিতে ফিল সল্ট ও বেন ডাকেট ৬০ জুটি গড়েন। সেটি ভাঙার পরই আরও কয়েকটি ছোট-বড় জুটি গড়ে উঠলেও তা যথেষ্ট ছিল না। 

২২ বলে ৩৪ রান করে বেন ডাকেট আউট হলে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। দলীয় ৮০ রানে ফিল সল্ট আর টম ব্যান্টন ২০ রানের জুটি গড়ে বিচ্ছিন্ন হন। ফিল সল্ট ব্যক্তিগত ২৩ রানে ধরেন সাজঘরের পথ। আশা দেখিয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি টম ব্যান্টন ৪১ বলে ৩৮ রান করে। ২৪ রানে বিদায় নেন জো রুট। 

১৯ রান করেন হ্যারি ব্রুক। গুজ অ্যাটকিনসন ১৯ বলে ৩৮ রান করলে ইংল্যান্ডের রান ২০০ পার হয়। শেষ পর্যন্ত ৩৪.২ ওভারে ২১৪ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড।

ভারতের হয়ে জোড়া উইকেট শিকার করেন অর্শদীপ সিং, হার্ষিত রানা, অক্ষর প্যাটেল এবং হার্দিক পান্ডিয়া। ওয়াশিংটন সুন্দর ও কুলদিপ যাদব নেন ১টি করে উইকেট নেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৩৫৬ রান করে ভারত। সেঞ্চুরি করেন শুভমান গিল। ১১২ রান করেন তিনি। ৭৮ রান করেন স্রেয়াশ আয়ার। ৫২ রান করেন বিরাট কোহলি। ৪০ রান করেন লোকেশ রাহুল। আদিল রশিদ নেন ৪ উইকেট।

রিজওয়ান-সালমানের রেকর্ড জুটিতে, পাকিস্তানের রেকর্ড জয়

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:১৬ এএম
রিজওয়ান-সালমানের রেকর্ড জুটিতে, পাকিস্তানের রেকর্ড জয়
ছবি : সংগৃহীত

পাকিস্তানের ইনিংসের ৪৩তম ওভারের প্রথম বলে উইয়ান মুল্ডারকে ছয় হাঁকিয়ে শতকের ঘরে মোহাম্মদ রিজওয়ান। তার আগে উদযাপনটা শুরু করলেন সালমান আলী। উল্লাসের মাত্রাটা বেশি ছিল সালমানেরই।

একই ওভারের পঞ্চম বলে এক রানে নিয়ে শতকের ঘরে পৌঁছান সালমানও। এবার সালমানের চেয়ে বেশি উল্লাস মোহাম্মদ রিজওয়ানের। অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের রেকর্ড জুটিতে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে পাকিস্তান দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার ৩৫৩ রানের বিশাল লক্ষ্য ৬ উইকেট হাতে রেখে টপকে গেছে পাকিস্তান। যা সম্ভব হয়েছে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সালমান আলীর রেকর্ড জুটিতে। রান তাড়ায় এই জয়টি পাকিস্তানের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

যদিও রান তাড়া করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল পাকিস্তান। চাপে পড়ে যাওয়া স্বাগতিকদের হয়ে চতুর্থ উইকেটে হাল ধরেন অধিনায়ক রিজওয়ান ও সহ-অধিনায়ক সালমান। তাদের জুটি যখন শুরু হয় তখনও জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল আড়াই শ রানের বেশি।

বিশাল এই রানের চাপকে তোয়াক্লা না করে রিজওয়ান ও সালমান চতুর্থ উইকেটে সর্বোচ্চ ২৬০ রানের জুটি গড়েন। জুটিটি পাকিস্তানের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে যেকোনো উইকেটে তৃতীয় সর্বোচ্চ। 

৮৭ বলে এক শ ছোঁয়া সালমান ১০৩ বলে ১৩৪ রান করে যখন আউট হন, দলের দরকার মাত্র ২ রান। অধিনায়ক রিজওয়ান অপরাজিত থাকেন ১২৮ বলে ১২২ রান করে।

এর আগে, পাকিস্তান সর্বোচ্চ ৩৪৯ রান তাড়া করে জিতেছিল ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। সে ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন ইমাম উল হক ও বাবর আজম।

চ্যাম্পিয়ন হতে চায় বাংলাদেশ!

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫০ এএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫২ এএম
চ্যাম্পিয়ন হতে চায় বাংলাদেশ!
ছবি : সংগৃহীত

এটা যেন এক রকম অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়ে গিয়েছে। আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে খেলতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ দল নিজেদের সামর্থ্যের কথা না ভেবে সংবাদ সম্মেলনে বড় বড় বুলি ছাড়ে। ফাইনালে খেলবে, চ্যাম্পিয়ন হবে। পরে দেখা যাবে গ্রুপ পর্বই পার হতে পারেনি। আর পারলেও কোনো রকমে। এক সময় বাংলাদেশে দলের এ রকম কথায় ক্রিকেট প্রেমীরা আশাবাদী হয়ে উঠলেও এখন আর এসব কথাকে মোটেই আমলে নেন না। তারা বুঝে গেছেন এ সবই কথার কথা। অতীতের মতো এবারও চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আগে বিভিন্ন অধিনায়কের বলা সব কথাকে পেছনে ফেলে এক কদম এগিয়ে বলেছেন চ্যাম্পিয়ন হবেন।তার মুখ থেকে বের হয়েছে, ‘আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে যাচ্ছি।’ 

এটা ঠিক একটা সময় বাংলাদেশ দল ওয়ানডে ক্রিকেটে বেশ অবস্থানে ছিল। কিন্তু তাও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো অবস্থানে ছিল না। এখনতো সেই অবস্থানের অবনমন হয়েছে। সর্বশেষ দুইটি ওয়ানডে সিরিজই তারা হেরেছে। তারপর আবার খেলতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট নিয়ে। যেখানে আবার ব্যাটাররা নেই ফর্মে। সবচেয়ে বাজে অবস্থানে আছে অধিনায়ক নিজেই। যে কারণে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে নাজমুল হোসেন শান্তর এই কথা বলার সারমর্ম কী? পরে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি একটু ঘুরিয়ে বলেন, ‘৮ দলই ডিজার্ভ করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। সবাই কোয়ালিটি টিম। আমাদের দলের ঐ সামর্থ্য আছে আমি বিশ্বাস করি। সবাই এটাই চায় মনেপ্রাণে। বিশ্বাস করে সামর্থ্য আছে। আমাদের রিজিকে আল্লাহ কি লিখে রেখেছেন জানা নেই। আমরা মেহনত করছি। সততার সঙ্গে কাজ করছি। প্রত্যেকে বিশ্বাস করি লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।’ দলের সবার প্রতি তার আত্মবিশ্বাস আছে। তিনি বলেন, ‘ যে ১৫ জন স্কোয়াডে আছে সবাইকে নিয়ে খুবই খুশি ও আত্মবিশ্বাসী। যেই খেলবে একা ম্যাচ জেতাতে পারে, এই সামর্থ্য সবার আছে।’ 

এভাবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য থাকলে প্রতিটি ম্যাচ জেতাই তখন জরুরি হয়ে পড়ে। প্রথম টার্গেট থাকে সেমিফাইনালে যাওয়ার। চার দলের গ্রুপে অন্তত দুইটি ম্যাচ জেতা বাধ্যতামূলক হয়ে পড়ে। এতে করে জয়ের জন্য দলের ওপর একটা বাড়তি চাপ পড়ে। কিন্তু অধিনায়ক মনে করেন এতে করে কোনো চাপ তৈরি হবে না। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে বাড়তি চাপ মনে হয় না। বাড়তি চাপ কেউ অনুভব করবে না।’ লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে হলে ম্যাচ জেতার সঠিক পরিকল্পনায় এগুতে হবে। নাজমুল হোসেন শান্ত তাও ঠিক করে ফেলেছেন। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান আশা করছি ৩০০ + উইকেট হবে। এ ধরনের স্কোর করতে হবে আগে ব্যাট করলে। ডিফেন্ড করার ক্ষেত্রেও এমন রান লাগবে। দুবাইতে একেক সময় একেক রকম হয়। তাও আমার মনে হয় ২৬০-২৮০ এর ভেতরেই থাকবে। নির্দিষ্ট দিনে কত রান করা দরকার বা কত রানে আটকানো দরকার এসব এনালাইসিস করব। দলের পাশে এত রান জমা করতে হলে ব্যাটারাদের রান করতে হবে। কিন্তু সেখানেইতো ঘাটতি। টি-টোয়েন্টি খেলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে যাচ্ছে। অধিনায়ক মনে করেন এটা কোনো সমস্যা হবে না। তিনি বলেন, ‘ফরম্যাট অনুযায়ী একটু তো ভিন্নতা আছেই। তবে যেভাবে ব্যাটাররা খেলেছে, উইকেট ভালো ছিল, যে কন্ডিশনে খেলব এর চেয়ে হয়তো ভালো উইকেট থাকবে। প্রস্তুতি ভালো নিয়েছে ব্যাটাররা, লম্বা সময় খেলা জরুরি। ৫০-৬০ রানকে ১০০-১২০ করতে হবে। ম্যাচ সিনারিও প্র্যাকটিস হচ্ছে। প্রস্তুতির দিক দিয়ে ভালো অবস্থানে আছি। হাতে আরও ৬-৭ দিন আছে, এই সময়ে আমরা আরও গুছিয়ে নিতে পারব।’ অথচ দুই দিন আগে এই নিয়ে আক্ষেপ করে গেছেন দলের কোচ ফিল সিমন্স। নাজমুল শান্ত-এর ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘কোচ এমন কিছু মিন করেছে মনে হয় না।’ 

একোতো বাংলাদেশ কোনো ওয়ানডে ম্যাচ খেলেনি, প্রস্তুতি বলতে যা তা শুধু বিপিএলে। কিন্তু বাজে ফর্মের কারণে এই বিপিএলও খেলা হয়নি অধিনায়কের। এটাতো দলের জন্য অনেক বড় টেনশনের কারণ। কিন্তু নাজমুল হোসেন শান্ত এই না খেলাটাকে তার জন্য ‘ইতিবাচক’ হয়েছে বলে মনে করেন। দল থকে বাদ পড়ার পর তিনি নিয়মিত অনুশীলন করেছেন, ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,’ আলহামদুলিল্লাহ, বিশ্বাস করছি ভালো অবস্থানে যাওয়া সম্ভব। ম্যাচ খেলতে পারিনি এখানেও ইতিবাচক দিক ছিল। নিয়মিত অনুশীলন করেছি। ফিটনেস নিয়েও কাজ করেছি। সব ঠিকঠাক থাকলে আশা করছি টুর্নামেন্ট ভালো যাবে।’ নিজেকে ফিরে পাওয়ার টনিক হিসেবে তিনি নিজের খেলা সর্বশেষ ওয়ানডে ম্যাচটাকে সামনে নিয়ে এসেছেন, যে ম্যাচ খেলার পর ইনজুরির কারণে তিনি দল থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন। ৭৬ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন। দলও জিতেছিল ৬৮ রানে। সিরিজে এসেছিল সমতা। পরে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছিল। নাজমুল বলেন, ‘লাস্ট ওয়ানডে ম্যাচে ভালো ইনিংস খেলেছিলাম আফগানিস্তানের সঙ্গে। গত বছর রান মোটামুটি করেছি তবে স্ট্রাইক রেট ওরকম আপ টু দা মার্ক ছিল না। আমি বিশ্বাস করি আমি এর চেয়েও ভালো ব্যাটার। ওয়ানডে ফরম্যাট ভালো যাচ্ছে। অনেক দিন পর ম্যাচ খেলব। এখানে ম্যাচ সিনারিও প্র্যাকটিস হচ্ছে, আজও হবে। সামনে প্র্যাকটিস ম্যাচও আছে। এই ফরম্যাট ছোট বেলা থেকে খেলি। এডজাস্টমেন্টে সমস্যা হয় না।’ 

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে গতবার সেমিফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। সেমিতে খেলার পেছনে সাকিব আল হাসানের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। নিউজিল্যান্ডের ২৬৫ রান তাড়া করতে নেমে ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। সেখান থেকে মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে সাকিব পঞ্চম উইকেট জুটিতে ২২৪ রান করে দলকে ৫ উইকেটে জিতিয়ে সেমিতে নিয়ে যান। সাকিব ১১৪ রান করে আউট হলেও মাহমুদউল্লাহ ১০২ রান করে অপরাজিত ছিলেন। এবারে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলার পেছনেও রয়েছে সাকিবের বিশেষখ অবদান। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঐতিহাসিক ম্যাচটি না জিতলে বাংলাদেশকে দর্শক হয়ে থাকতে হতো। সেই ম্যাচে ইতিহাসে প্রথমবারের ম্যাথিউসের বিপক্ষে সাকিবের সেই বিখ্যাত টাইম আউট ঘটনা দেখেছিল ক্রিকেট বিশ্ব। ম্যাচে সাকিব বল হাতে ২ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে খেলেছিলেন ৬৫ বলে ৮২ রানের ইনিংস। নাজমুলের সঙ্গেই তৃতীয় উইকেট জুটিতে করেছিলেন ১৪৯ বরে ১৬৯ রান। সেই সাকিবই নেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। তাকে কী মিস করবেন অধিনায়ক। এ রকম প্রশ্নে কিছুটা বিব্রত হয়ে পড়েন নাজমুল। নিজেকে সামলে নিয়ে তিনি বলেন, ‘এই প্রশ্ন কেন করলেন আমি জানি না। অবশ্যই সাকিব ভাইকে মিস করব। থাকলে ভালো হতো। অনেকবার উত্তর পেয়েছেন। আমার মনে হয় না এক টুর্নামেন্টে যাওয়ার আগে এই প্রসঙ্গে বলা যৌক্তিক হবে। ঐ ম্যাচে ব্রিয়ালিয়ান্ট ব্যাটিং করেছেন। দলকে জেতাতে অনেক সহায়তা করেছে।’ সাকিবের পরিবের্ত যে যে দায়িত্ব পাবে সেই সাকিবের রোল প্লে করবে বলে জানান নাজমুল। সাকিবের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার না থাকলেও মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহর মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতাকে তিনি কাজে লাগাতে চান। তরুণ ক্রিকেটারদের মাঝে বিলিয়ে দিতে চান। 

টিভিতে আজকের খেলা

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২০ এএম
টিভিতে আজকের খেলা
ছবি : সংগৃহীত

টিভিতে আজকের দিনে যত খেলা দেখবেন, দেখে তিনি সেই তালিকা।

ফুটবল (সরাসরি)

ইউরোপা লিগ

মিডজিল্যান্ড-সোসিয়েদাদ, রাত ১১টা ৪৫ মিনিট
ইউনিয়ন সেন্ট-আয়াক্স, রাত ১১টা ৪৫ মিনিট
ফেরেনবাখ-আন্ডারলেখট, রাত ১১টা ৪৫ মিনিট
পোর্তো-রোমা, রাত ২টা
এজেড-গালাতাসারে, রাত ২টা
টুয়েন্টি-বোডো, রাত ২টা
সনি টেন ১, ২ ও ৫

নামসর্বস্ব বিদেশিরা মাঠেও ছিলেন নিষ্প্রভ

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:১৪ এএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:১৬ এএম
নামসর্বস্ব বিদেশিরা মাঠেও ছিলেন নিষ্প্রভ
সংগৃহীত

এবারের বিপিএলে মানহীন ক্রিকেটারে ভরপুর থাকার পরও চার-ছক্কার বৃষ্টি দর্শকদের মন জয় করেছিল। কিন্তু সেখানে মানহীন ক্রিকেটাররা নিজেদের মানসম্মত করে তুলতে পারেননি। দেশি ক্রিকেটারদের পাশাপাশি, মানসম্মত বিদেশি ক্রিকেটাররা জমিয়ে তুলেছিলেন আসর। এবারের মতো এত বেশি পরিমাণে মানহীন ক্রিকেটার অতীতে বিপিএলে কখনো খেলতে দেখা যায়নি। যে কারণে কোনো দল একাধিক ক্রিকেটারকে এক ম্যাচের বেশি খেলাতে সাহস করেননি। মানহীন ক্রিকেটার সবচেয়ে বেশি খেলেছেন সিলেট ও ঢাকায়। অন্য দলগুলোতেও কম-বেশি নামসর্বস্ব ক্রিকেটার খেলেছেন। শুধু রংপুরে নামসর্বস্ব ক্রিকেটার খেলতে দেখা যায়নি কাউকে। এক নজরে চোখ বুলিয়ে দেখা যাক এসব নামসর্বস্ব ক্রিকেটারের মাঠের পারফরম্যান্সের।

ফরচুন বরিশাল 
চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালের বিদেশি ক্রিকেটার খেলেছে মোট ৯ জন। মানহীন ক্রিকেটার বলতে গেলেন ছিলেন একজনই পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার মোহাম্মদ ইমরান। পাকিস্তানের বাইরে বিপিএলই ছিল তার প্রথম কোনো টুর্নামেন্ট। তিনি এসেছিলেন পাকিস্তানের ঘরোয়া ৫৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে। বরিশালের হয়ে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচটি শুধু খেলেছিলেন। ৪ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে উইকেট শূন্য নিতে পারেননি।

চিটাগং কিংস
রানার্সআপ চিটাগং কিংসে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে মোট ১০ জন ক্রিকেটার খেলেছেন। নামসর্বস্ব ক্রিকেটার ছিলেন শ্রীলঙ্কার লাহিরু মিলানথা ও দক্ষিণ আফ্রিকার থমাস ও’কনেল। লাহিরুর শ্রীলঙ্কার বাইরে যুক্তরাস্ট্রের মেজর লিগ খেলার অভিজ্ঞতা আছে। তিনি বিপিএলে খেলতে এসেছিলেন ৪৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে। চিটাগং তাকে  ১টি ম্যাচ খেলিয়েছিল। রান করেছিলেন ৬। অস্ট্রেলিয়ার থমাস ও’কনেল বিপিএলে খেলার আগে অস্ট্রেলিয়াতে মাত্র ৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন। বিগব্যাশে তার দল মেলবোর্ন স্টার্স। তাকেও ১টি ম্যাচ খেলানো হয়েছিল খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে। ব্যাট হাতে প্রথম বলেই আউট হয়ে গিয়েছিলেন। বল হাতে ২ ওভারে ২৫ রান দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন। আফগানিস্তানের জোবায়েদ আকবারিকেও অনেকটা একই কাতারে ফেলা যায়। দেশের হয়ে ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে তিনি রান করেছিলেন মাত্র ৮। তার টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা ছিল ২৭টি। ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ১টি ম্যাচ ওপেনিংয়ে নেমে ২৩ রান করেছিলেন। এরপর চুর্নামেন্ট শেষ হওয়া পর্যন্ত এই তিন ক্রিকেটারই দলের সঙ্গে ছিলেন, কিন্তু তাদের কোনো ম্যাচ আর খেলানো হয়নি।

খুলনা টাইগার্স
সবচেয়ে বেশি ১১ জন ক্রিকেটার খেলেছেন খুলনা টাইগার্সে। দলের ইংল্যান্ডের পিটার শিবলীকে মানহীন ক্রিকেটারের তালিকায় ফেলা যাবে না। কারণ তিনি ইংল্যান্ডের হয়ে ২২টি টেস্ট খেলেছেন। কিন্তু ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি কোনো ম্যাচ খেলেননি। তার টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা ছিল ৪৬টি ম্যাচের। সব কটিই  ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট টুর্নামেন্টে। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে তিনি দেশের বাইরে বিপিএলেই প্রথম খেলেছেন। চিটাগংয়ের বিপক্ষে ১টি ম্যাচ খেলে রান করেছিলেন ৩।

দুর্বার রাজশাহী
এবারের আসরে সবচেয়ে বিতর্কিত দল রাজশাহীর  রায়ান বার্ল ও মোহাম্মদ হারিসকে বাদ দিলে বাকি সবাই ছিলেন নামসর্বস্ব। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মার্ক দিয়াল বিপিএল খেলতে এসেছিলেন ৪৬টি ম্যাচ খেলে। তবে সেগুলো জাতীয় দলের হয়ে নয়। বিপিএলে ৩ ম্যাচ খেলে মাত্র ১৩ রান করেন। মিগুয়েল কামিন্স ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ১৪ টেস্ট ও ১১ ওয়ানডে খেললেও কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেননি। এবার ১ ম্যাচ খেলে ৮ রান করেন, উইকেট নেন ১টি। শ্রীলঙ্কার হয়ে ১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ধর্সানা সামারাক। বিপিএলেও তিনি ১ ম্যাচ খেলে রানও করতে পারেননি,উইকেটও পাননি। আফতাব আলম আফগানিস্তানের হয়ে ২০১২ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ১২টি। সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছেন ২০১৮ সালে। বিপিএলে ৩ ম্যাচ খেলে উইকেট নিয়েছেন ৩টি।

ঢাকা ক্যাপিটালস 
মানহীন ক্রিকেটার খেলানোর ক্ষেত্রে বেশ এগিয়ে ছিল এবারের বিপিএলের সবচেয়ে আলোচিত দল ঢাকা ক্যাপিটালস। যে কারণে তাদের ভরাডুবিও হয়েছে। ভারতে জন্ম নেওয়া সুবহাম রঞ্জন  মূলত যুক্তরাষ্ট্রে মেজর লিগ খেলে থাকেন। কিন্তু পরিসংখ্যান জানান দেয় খুব একটা ভালো করতে পারেননি। বিপিএলে খেলতে এসেছিলেন ৩৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে। যেখানে পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস ছিল মাত্র একটি। এবার ৩ ম্যাচ খেলে ৬২ রান করেন, উইকেট নেন  ৩টি। আফগানিস্তানের ফারমানউল্লাহকে কেন নিয়ে আসা হয়েছিল, তা ঢাকা ক্যাপিটালসের কর্তৃপক্ষই ভালো বলতে পারবেন। আফগানিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেট ৩৭টি ম্যাচ খেলেছেন।  ৩৮৬ রানের পাশে উইকেট আছে ১২টি। এমন ক্রিকেটারকে এনে ঢাকা ৭টি ম্যাচ খেলিয়েছিল। দলকে উপহার দিয়েছেন তিনি ৫৫ রান ও ৫টি উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার স্টিফেন এসকিনাজি ১১৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেললেও দেশের হয়ে কোনো ম্যাচ খেলতে পারেননি। এমন কি নিজ দেশে এসএ২০ টুর্নামেন্টেও খেলার সুযোগ পাননি। বিপিএলে ৪ ম্যাচ খেলে ৬৮ রান  করেন।

সিলেট স্ট্রাইকার্স 
মানহীন ক্রিকেটার খেলানোর ক্ষেত্রে সবাইকে ছাড়িয়ে গিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। পয়েন্ট টেবিলে সবার তলানিতে ছিল। এতেই বুঝা যায় তারা কী মানের দল গড়েছিল? পাকিস্তানের আহসান ভাট্টিকে নিয়ে এসেছিল, যার অভিজ্ঞতা ছিল ঘরোয়া মাত্র ২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের।  সিলেটও তাকে ২টি ম্যাচ খেলিয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজরে লুক জাগেসার বিপিএল খেলতে আসার আগে ঘরোয়া ২১ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়েছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাইরে বিপিএলেই তার প্রথম কোনো টুর্নামেন্ট। কোনো বিবেচনায় এ রকম ক্রিকেটারকে সিলেটের ফ্র্যাঞ্চাইজি দলভুক্ত করেছেন, সে ব্যাখ্যা তারাই ভালো দিতে পারবেন। ৫ লাখ টাকার ওপরে শুধু বিমান ভাড়া দিয়ে তাকে উড়িয়ে এনে মাত্র ১টি ম্যাচ খেলানো হয়। রান করেন ৫ রান ও উইকেট নেন ২টি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের আরেক ক্রিকেটার খাদেম আলিয়ান। ৩ ম্যাচ খেলে তিনি রান করেন মাত্র ১০। তাকে নিয়ে আসা হয়েছিল ঘরোয়া  মাত্র ১৮টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থেকে। কোনো হাফ সেঞ্চুরি  ছিল। না।  কিন্তু তবুও তাকে মনে ধরেছিল সিলেটের মালিকদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের আরেক ক্রিকেটার রাকিন কর্নওয়েল। খেলা দিয়ে নয়, বিশাল শরীর দিয়ে তিনি ক্রিকেট বিশ্বে পরিচিতি পেয়ে গেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডই তাকে শুধু টেস্ট ক্রিকেটের জন্য বিবেচনা করে থাকে। অথচ সিলেটের ফ্র্যাঞ্চাইজি তাকে টি-টোয়েন্টির জন্য মহামূল্যবান মনে করেছেন! এমন নয় যে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার হিসেবে তার সুখ্যাতি আছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাইরে বিপিএলেই তার একমাত্র ঠিকানা।